প্রিয় ব্যান্ডঃ পিঙ্ক ফ্লয়েড

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৬/২০১৩ - ৩:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'পিঙ্ক ফ্লয়েড' নিয়ে কিছু লেখা আমার জন্য একটা দু:সাহসিক ব্যাপার! আমার মত স্থুল মস্তিষ্কের একজনের জন্য সুপার ট্যালেন্টেড কিছু ব্যাক্তির সম্পর্কে কিছু লেখা অনেকটা আস্পর্ধাও বৈকি! সে জন্যেই সব থেকে প্রিয় ব্যান্ড হবার পরও, সেই কবে থেকে কিছু লিখব লিখব করেও আর লেখা হয়ে ওঠে না কিছুতেই। সাহসেও কুলাচ্ছিল না। আবার ভিতরে ভিতরে প্রচন্ড একটা ইচ্ছাও গুতাগুতি করছিলো। শেষ পর্যন্ত যা থাকে কপালে বলে শুরুই করে দিলাম লেখা।

১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডটির সব থেকে প্রতিভাবান এবং অঘোষিত দলনেতা ছিলেন রজার সিড ব্যারেট। দু:খের বিষয় হচ্ছে উনি প্রচন্ড রকম ভাবে LSD আসক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে এবং এর প্রভাবে প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাওয়ার ফলে, ব্যান্ডে উনার স্থায়িত্বকাল ছিল মাত্র ৩ বছর! পিঙ্ক ফ্লয়েডের নাম নিলেই সবাই যার নাম বলেন উনি হচ্ছেন ডেভিড গিলমোর। অথচ উনি কিন্তু ব্যান্ডের জন্মের শুরুতে ছিলেন না! অনেকটা সিড ব্যারেটের বিকল্প হিসেবেই উনি ব্যান্ডে যোগদান করেন। লন্ডনে পড়তে আসা সিড ব্যারেট আর রজার ওয়াটার ছিলেন ক্যাম্ব্রিজ এর। পুরোনো বন্ধু। লন্ডনে এসে তাদের সাথে পরিচয় হয় অনেকটাই এক্সপেরিমেন্টাল পারকাশানিস্ট 'নিক ম্যাসন' এবং পিয়ানিস্ট 'রিচার্ড রাইট' এর সাথে। ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য এই চারজন। ১৯৬৮ সালে অনেকটা বাধ্য হয়েই ব্যারেট কে সরিয়ে দেয়ার পর ব্যান্ডে প্রধান গিটারিস্ট হিসেবে গিলমোর দায়িত্ব। যদিও তিনি দলে যোগদান করেন তার কিছুদিন আগে রিদম গিটারিস্ট হিসেবে।

নামকরণঃ
বেশ কয়েকবার নাম পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এসে সব শেষে এই নামটি স্থায়ী হয়! শুরুর দিকে নাম দেয়া হয় 'দ্যা স্ক্রিমিং এবডাস' যা পরবর্তিতে 'টি -সেট', 'দ্যা আর্কিটেকচারাল এবডাস' এ পরিবর্তিত হয়ে শেষে 'পিঙ্ক ফ্লয়েড ' এ স্থায়ী হয়। এই নামকরণও কিন্তু ব্যারেট এরই করা। দু জন জ্যাজ আর্টিস্টের নাম অনুসারে (পিঙ্ক এন্ডারসন এবং ফ্লয়েড কাউন্সিল) এই নাম দেয়া হয়। যদিও প্রথম অ্যালবাম "Piper at the gates of dawn" প্রকাশের সময় ব্যান্ডের নাম ছিল "The Pink Floyd",কিন্তু দ্বিতীয় অ্যালবাম "The saucerful of Secrets " প্রকাশের সময় 'The' ছেটে ফেলা হয়।

অ্যালবামঃ
প্রথম অ্যালবাম অনেকটা সিড ব্যারেটের অ্যালবাম-ই বলা চলে কারণ এর লিরিক, টিউন এবং কম্পোজিশন প্রায় সবই তাঁর করা। গিটারে প্রথম 'ইকো ডিলে ' ইফেক্টও প্রথম ব্যাবহার করেন। LSD এর বিরূপ প্রভাবের কারণে খুব অল্পদিনের মধ্যেই পৃথিবী তার সঙ্গীত ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান একজনকে হারায়। মুলত 'সাইকোডেলিক রক' ধারার জনপ্রিয়তা তার হাত ধরেই!

সিড চলে যাবার পর তারা একে একে ‘Ummagumma’, ‘Atom heart Mother’, ‘Relics’, ‘Meddle’, এবং ‘Obscured By Clouds’ অ্যালবাম গুলি প্রকাশ করেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় যে তাঁরা সিড ব্যারেটের প্রভাব থেকে বের হতে পারছিলেন না!! তবে খুব শিঘ্রই তাঁরা সিডের প্রভাব মুক্ত হন এবং প্রকাশ করেন “The Dark side of the Moon” যেটি সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে প্রায় ২৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় এবং একটানা ১৪ বছর ‘বিলবোর্ড চার্ট’ এ স্থায়ী হয়!!! এর পর তাঁরা প্রকাশ করেন “Wish you were here” অ্যালবাম টি এবং নিজেদের কে পুরোপুরি-ই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের ব্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এর পর প্রকাশিত হয় “The wall” যাকে রজার ওয়াটারের একক সৃষ্টিও বলা চলে। এটি সারা পৃথিবিতে প্রায় ২০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এই অ্যালবাম প্রকাশের কিছুদিন পর রিচার্ড রাইট ব্যান্ড ছেড়ে চলে যান রজার ওয়াটারের সাথে দ্বন্দের কারণে। ১৯৮৫ অথবা ৮৬ সালের দিকে রজার ওয়াটারও ব্যান্ড ছেড়ে চলে যান। কিন্তু তারপরও ডেভিড গিলমোর ও নিক ম্যাসন ব্যান্ড কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বীদ্ধান্ত নেন। ১৯৮৭ সালে তাঁরা “A momentary lapes of reason” অ্যালবাম টি প্রকাশ করেন। এর পর তারা ‘পাল্‌স্‌’ নামে ওয়ার্ল্ড ট্যুর শুরু করেন যখন আবার রিচার্ড রাইট দলে যোগদান করেন। পিঙ্ক ফ্লয়েডের শেষ স্টুডিও অ্যালবাম হচ্ছে “The Devision Bell”যা প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে।

রি-ইউনিয়নঃ

২০০৫ সালে বব গেলডফের উদ্যোগে পিঙ্ক ফ্লয়েড “লাইভ এইট” নামে একটি কনসার্টে অংশগ্রহণ করে,যেখানে তারা রজার ওয়াটার কে আমন্ত্রণ যানায়। রজার ওয়াটারও রাজি হন। রক গানের ইতিহাসে এই কনসার্ট টি কে একটি কাল জয়ী মুহুর্ত হিসেবে দেখা হয়!

ট্যুরঃ

পিঙ্ক ফ্লয়েডের বিখ্যাত ২ টি ট্যুর হচ্ছে ‘পাল্‌স্‌’ ও ‘দ্যা ওয়াল। এছড়াও তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে ওয়ার্ল্ড ট্যুর পরিচালনা করেছেন। তাদের সব ব্যাতিক্রমী কাজের মধ্যেও যেটি সব থেকে উজ্জল উদাহরণ তা হচ্ছে “Live at Pompeii” নামের কনসার্ট ফিল্ম,যেখানে তারা “Live concert”এর ধারণা-ই পাল্টে দিয়েছিলেন! “Live concert” বলতেই আমরা সাধারণত বুঝি ভীড়ে ঠাঁসাঠাসি,হইহুল্লোর পূর্ণ কোন কনসার্ট। কিন্তু এটি ছিল সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম- পম্পেই নগরীর প্রাচীন রোমান অ্যাম্ফিথিয়েটারে এই কনসার্ট টি করা হয়েছিল যাতে ছিল না একজনও দর্শক স্রোতা(ঢোকার অনুমতি ছিল না) অথচ ছিল পরিপূর্ণ সাউন্ড সিস্টেম!! ১৯৭১ সালের অক্টোবরে এই কনসার্ট টি করা হয়েছিল।
এই হচ্ছে খুব সংক্ষেপে পিঙ্ক ফ্লয়েডের ইতিহাস। আমার দেখা পৃথিবীর এ যাবৎ কালের সব থেকে ব্যাতিক্রমী এবং শ্রেষ্ঠ ব্যান্ড!!(ব্যাক্তিগত অভিমত)

(লাইভ অ্যাট পম্পেই)

আমি প্রথম পিঙ্ক ফ্লয়েডের গান শুনি গ্র্যাজুয়েশন সেকেন্ড ইয়ারে উঠে। প্রথম শোনা এবং দেখা অ্যালবাম “The Wall” , স্বভাবতই হজম হয় নি প্রথমে। কেমন অদ্ভুত টাইপের গায়কি,মিউজিক এবং লিরিক!! প্রথম পছন্দের গান “Another Brick in the wall-2” তারপর কিভাবে কিভাবে যেন প্রেমে পড়ে গেলাম একে একে প্রায় সব গান গুলোরই। একটা সময় ছিল যখন প্রত্যেক রাতে ঘুমানোর আগে ‘Echoes’ গানটা না শুনে ঘুমাতাম না!! ২৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের গানটি আমাকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছিল বহুদিন! আমার কাছে পিঙ্ক ফ্লয়েডের গান শোনা ছিল অনেকটা আরাধনার মত। আমার কাছে মনে হত পিঙ্ক ফ্লয়েডের গান শুধুই শোনার বিষয় না,অনুভব করার বিষয়! আর এ জন্যই মাঝে মাঝে রাতের বেলা রুমের লাইট নিভিয়ে দিয়ে কানে হেডফোন গুঁজে চোখ বুজে শুনেছি পিঙ্ক ফ্লয়েডের গান যেন বাইরের কোন শব্দ বা কোন কিছু উপদ্রব না করতে পারে! আর আলাদা করে না বললেই না- ডেভিড গিলমোর!!! আমার কাছে সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ গিটারিস্ট!! এত মেলোডি একজনের হাতে কিভাবে থাকে ??!!! ‘Echoes’ গানের শুরুতে গিটারের একুস্টিক টোনের একেকটা নোট এ স্ট্রোক দেয়া যেন আমার কাছে মনে হত কেউ আমার হৃৎপিন্ডে পৃথিবীর সব থেকে মোলায়েম কিছু দিয়ে আলতো করে ছুঁয়ে দিচ্ছে!!

যাই হোক,পিঙ্ক ফ্লয়েড নিয়ে বলতে গেলে আমার সব সময়ই একটু আবেগের বিস্ফোরণ ঘটে!! তারপরও খুব সংক্ষেপে যেটুকু না বললেই না,সেটুকুই বলার চেষ্টা করেছি। আর যদিও তাঁরা নিজেরাই নামের শুরু থেকে ‘The’ ছেঁটে ফেলেছে,তবুও আমার কাছে আজীবন “The Pink Floyd” হয়েই থাকবে!!

------------------------------
সুবোধ অবোধ
-------------------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!


মন্তব্য

বিবর্ণ সময় এর ছবি

শুধু শোনার না, অনুভবের হাসি :) হাসি পিংক ফ্লয়েডে গভীর ভাবে আচ্ছন্ন। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পিঙ্ক ফ্লয়েড হচ্ছে হ্যাল্যুসিনোজেনিক ড্রাগ!!
হাসি

---------------------
সুবোধ অবোধ
----------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

sojib এর ছবি

ভালো লাগল।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

---------------------------
সুবোধ অবোধ
---------------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

স্যাম এর ছবি

সচলের অনেকেরই প্রিয় ব্যান্ড পিঙ্ক ফ্লয়েড - এর মধ্যে দুজন ব্যানারেও এসেছে।
সিরিজ করবেন নাকি একটা প্রিয় ব্যান্ডগুলোর?

অতিথি লেখক এর ছবি

সাহস দিলে করতে পারি।
হাসি
আমার ইচ্ছা আছে।

----------------------
সুবোধ অবোধ
----------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------
সুবোধ অবোধ
-------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

পিংক ফ্লয়েডের তুলনা শুধু পিংক ফ্লয়েড। আমি প্রথম শুনি ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে। যদিও গানের অর্থ বুঝে উঠতে অনেক সময় লেগেছিল। যাই হোক এত ছোট লেখায় পিংক ফ্লয়েডকে বর্ননা করা যাবে না,তারপরেও খুব সুন্দর ভাবে করতে পেরেছেন যদ্দুর সম্ভব। প্রিয় ব্যান্ড নিয়ে একটা সিরিজ শুরু করে দেন, ভালই হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

পিংক ফ্লয়েডের তুলনা শুধু পিংক ফ্লয়েড

সেটাই।
আপনাকে ধন্যবাদ।
হাসি
চেষ্টা করব একটা সিরিজ করার।

------------------------
সুবোধ অবোধ
------------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

পিঙ্ক ফ্লয়েড দেখেই লগ ইন করলাম! যদিও তথ্যগুলো আগেই জানা ছিল, কিন্তু আবার পড়তে ভালই লেগেছে। প্রিয় ব্যান্ডগুলো নিয়ে একটা সিরিজ হয়ে যাক (উপরের এক কমেন্টেও বলা হয়েছে দেখলাম)। আমার মাঝে মাঝে ঝোঁক চাপে মাথায় এরকম সিরিজ করার, কিন্তু পরে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে না পারার ভয়ে আর করা হয়ে ওঠে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
চেষ্টা করব সিরিজ করার।

--------------------
সুবোধ অবোধ
---------------------

উজানগাঁ এর ছবি

ফ্লয়েডকে নিয়ে কেউ কিছু লিখলেই বড় বেশী কাছের মানুষ মনে হয় তারে। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-------------------------
সুবোধ অবোধ
------------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ফ্লয়েডকে নিয়ে কেউ কিছু লিখলেই বড় বেশী কাছের মানুষ মনে হয় তারে। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি

----------------------------
সুবোধ অবোধ
-----------------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

কিছুদিন আগের কথা। ডালাসে এসে সবজান্তা খুব কনসার্ট দেখে-শুনে বেড়াচ্ছে। আমেরিকা এসে এটাই নাকি তার একমাত্র লাভ হয়েছে। বাকী সবই লোকসান। রেগে টং
আমরা আড্ডার প্লান করছিলাম ও ভেটো দিলো, আসতে পারবেনা, কার জেনো কনসার্ট দেখবে। খুব রাগ হলো বললাম কি যে পাও তোমরা কনসার্ট দেখে? আমার মাথা ধরে যায়, কানে তালা লেগে থাকে ২৪ ঘণ্টা! ওপেন ইয়ার কনসার্ট তাও কিছুটা সহনীয়, কিন্তু ক্লোজ কনসার্ট! উ: কী প্রচণ্ড শব্দ! যতো না ইনুস্টুমেন্টের শব্দ তার চেয়ে বেশী দর্শকের চিৎকার। আর গাজার ধোয়ায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, মাথা ঘুরতে থাকে। বেশ অবাক হয়ে জানতে চাইলো কার কনসার্ট এর কথা বলছি?
পিঙ্ক ফ্লয়েডের ৮৭ বা ৮৮ এসেছিলো ডালাসে। ওটাই আমার প্রথম। সবজান্তা আমার দিকে এমন ব্যথাতুর ভাবে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ যেন ভাবছে বলে কী এই মহিলা!
কথাটা সত্যি, জানি সবাই হাসবে কিন্তু পিঙ্ক ফ্লয়েডের কনসার্ট দেখে আমার অভিজ্ঞতা এই....

--------------------------------------------------------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যান্ড এ সিড ব্যারেট এর স্থায়িত্ব মাত্র তিন বছর হলেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রভাব কিন্তু ছিল চরম ভাবে। যেহেতু প্যাটার্ন টা সাইকোডেলিক সেক্ষেত্রে গান শুনে যদি কেউ ঝিম মেরে বসে থাকতে চায়,তাকে দোষ দেয়া যায় না!! আর কে না জানে,ঝিম মেরে থাকার জন্য গাজা'র কোন বিকল্প নাই!!
খাইছে
যদিও আমার এই অভিজ্ঞতা নাই!! একদম ইমানে কইলাম!!
যাই হোক,আপনার যায়গায় যদি আমার থাকার সৌভাগ্য হত,তবে নাক,চোখ বন্ধ করে শুধু কান খোলা রেখে গান 'অনুভব' করার চেষ্টা করতাম!!
একটা জিজ্ঞাসা-কনসার্ট টার নাম কি ছিল? PULSE??
আপসুস!!! এ জীবনে কি পিঙ্ক ফ্লয়েডের লাইভ দেখা আর হবে...
মন খারাপ

--------------------------
সুবোধ অবোধ
--------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

ওটা ছিলো A Momentary Lapse of Reason album নিয়ে। ২১শে নভেম্বরে হয়েছিলো রিইউনিয়ন এরিনা, ডালাসে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক
---------------
বাপ্পীহায়াত

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

---------------
সুবোধ অবোধ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।