৪ টি কবিতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০১/২০১৪ - ৩:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

আজ আর হয়েছে। বাঁধানো বইয়ের মলাট
উল্টানো ছাড়া পড়ুয়া ছাত্রের কাজ নেই আর;
অথচ, আমারই বা দোষ দিই কিভাবে? ওই
যে পিঠের দুপাশে হিমছড়ি জলপ্রপাতের
পেটেন্ট করা জলরঙা ওড়না ঝুলিয়ে এই
শেলফে বুদ্ধদেব বসুর আধুনিক বাংলা কবিতা
খুঁজছো— কি করে না দেখে থাকি? চুলের
খোঁপায় লাউয়াছড়ার বন্যতা, থ্রি কোয়ার্টার
জামার হাতা সুন্দরবনের মেঘ হও মাছরাঙা,
সালোয়ারের ভাঁজে ভাঁজে পাপিয়ার ‘পিঁউ কাঁহা’—
আর লাগে কি? বস্তুত, তত্ত্বসহ কাঠখোট্টা মাথা
এ যাত্রায় পেলো না কিছুই। যা পেলো তা
ইতিহাসের ঐ শেলফের বুর্জোয়া হৃদয় পেলো

২।
চশমাটা অ্যান্টি-রিফ্লেকশন৷ তাই ছবিগুলো প্রতিফলিত না হয়ে কোথায় পালায় যেনো৷ উত্তরের জানালা দিয়ে কোত্থেকে শৈত্য এসে মৃত্যুভয় দেখালো, আমি তখন ছবির পেছনেই ধাওয়ারত উল্টোদিকে৷ সাথেসাথে পুড়ে ছাড়খাড় রাজকন্যার জীয়নকাঠি, রাজ্যের একমাত্র বিশ্বকোষ— সভাসদদের পদত্যাগ৷

আমি তখন রোমান সম্রাটের বাঁশির সুরে কবিতা লিখছি

৩।
চোখ; চোখের এইখানটায় ভারী হয়ে আছে নীলগিরির নিচের ভারী কুয়াশার মতো। আর আইরিশের কাছাকাছি শিরীষের পাতাগুলো ঘুমিয়ে বুজলো। একগাদা জ্যাকেট চাপিয়েও প্রারম্ভিক শৈত্যকে ঢাকতে পারলাম না যখন, তুমি এসে মেঘের ভার চাপিয়ে বৃষ্টি ঝরিও: আমিও শৈত্যের পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করবো

৪।
টইটুম্বুর জল৷ আমার হঠাৎ-ই তা দেখে শুশুক হতে ইচ্ছে করে৷ আর, জলের নিচে, আরো নিচে ডুবতে! যেখানে মাছ নেই, সাপ নেই, তীব্র শৈত্যে যেখানে উথাল-পাথাল! বিশাল নিঃশ্বাসে মৃত্যু৷ আবার গান শুনি— ঢেউয়ে থরথর করে কুমিরের সঙ্গম—

গানটার গমগম গুনগুনানির জ্বলজ্বল বিষণ্ণতা জাহাজে বাঁধা জালিবোটের মতো জল কাটিয়ে চলছে আমার সাথে

--সাবর্ণি


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই গভীরত্বপূর্ণ কবিতা গুলো। এক কথায় চমৎকার।সাসাখাওয়া ৎ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।