খুলে দেয়া হউক ইস্টিশনের বন্ধ দুয়ার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৯/২০১৬ - ১২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সরকারি নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া হলে বাংলাদেশ থেকে ইস্টিশন ব্লগে প্রবেশাধিকার।সাধারণ ব্রাউজার ব্যবহার করে অনেকেই আর প্রবেশ করতে পারছেন না ওয়েবসাইট টিতে। বাংলাদেশের আইএসপি প্রোভাইডারদের সংগঠন আএসপিবিএ-এর সভাপতি আমিনুল হাকিম মঙ্গলবার ডিডাব্লিউ-কে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন-এর (বিটিআরসি) লিখিত নির্দেশে সোমবার থেকে ইস্টিশন ব্লগ নামের ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দিয়েছি আমরা৷ ব্লগটির ওয়েব অ্যাড্রেসসহ সব ধরনের লিংক ব্লক করা হয়েছে৷ তবে বিটিআরসি আমাদের সাইটটি বন্ধ করতে লিখিত নির্দেশ দিলেও, কোনো কারণ জানায়নি৷''

তবে এ নিয়ে বিটিআরসি-র সচিব এবং মুখপাত্র সরোয়ার আলমের সঙ্গে টেলিফোন মারফত যোগাযোগ করলে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কত ওয়েবসাইটই তো আছে৷ এর মধ্যে ইস্টিশন ব্লগ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে কিনা, তা এখন সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না৷ আমি এখন সচিবালয়ে মিটিং-এ আছি৷ অফিসে গিয়ে কাগজ-পত্র দেখে বলতে পাববো৷
http://www.dw.com/…/btrcblockedpopularblogsiteis…/a-35899928

ইস্টিশন ছিলো একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় কমিউনিটি ব্লগ। এর প্রবেশাধিকার বন্ধের সাথে সাথে গত এতো বছর ধরে অনেকের রাত জেগে লেখা এতোগুলো ব্লগ ও প্রকারন্তরে হারিয়ে গেলো। কারণ মানুষ যদি পড়তেই না পারে , তবে আর থেকেই বা কি মূল্য?প্রায় ৭ হাজার লেখক ও প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার পাঠকের মুক্তমঞ্চের দ্বার হয়ে উঠেছিলো ব্লগটি।
সেইসাথে হারিয়ে গেছে আমার অসংখ্য সহ ব্লগার বন্ধুদের এতোদিনের অনেক শ্রম আর মেধার সন্নিবেশিত অনেক কস্টের লেখাগুলো। এই ব্লগটিতে যারা যারা লিখতেন , প্রত্যেকের কাছেই এটি এক চরম দুঃসংবাদ। যেন সকল সাধের সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে গেল একটি মাত্র আদেশে।
ফেসবুকের স্বল্প পরিসরে না বলা কথাগুলো বিনি সুতোর মালার মতো গেথেছিলাম অনেকেই মনের মাধুরী আর আজ সেই মালা ছিড়ে দিয়ে দেয়া হলো জলাঞ্জলি। আমাদের মতো অপদার্থদের লেখার সূযোগ করে দিয়েছিল ইস্টিশন। হয়ে উঠেছিল রাইটিং প্লাটফর্ম।মিশিয়ে।আমার ব্লগিং জীবনের হাতেখড়ি হয়েছিলো ব্লগটিতে। ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক মতাদর্শগত বিরোধ থাকলেও অন্তত সামুর মতো স্বীকার হতে হয়নি অযাচিত ব্যক্তি আক্রমণের্। বা সইতে হয়নি মডারেটরদের বৈমাত্রেয় আচরণ। বরং পেয়েছি পূর্ণ সহোযোগীতা। ফলে ইস্টিশন হয়ে উঠেছিল একটি পরিবারের মতো।

অনলাইনে চরম সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানো অসংখ্য ওয়েবসাইট আর পেইজ টিকে আছে বহাল তবিয়তেই। সমানে দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞের উস্কানি। কিন্তু সেসব বন্ধ না করে , বন্ধ করে দেয়া হলো মুক্তচিন্তার আর মুক্তমতের মুক্তমঞ্চ ব্লগটিকে। ব্যক্তিগত ভাবে আমার জন্য এটি অনেক বড় একটি আঘাত। আমার মুক্তিযুদ্ধ আর ইতিহাস নিয়ে অনেক গুলো লেখা ছিলো এতে। সব হয়ে গেল অতীতের স্মৃতি।
সরকারি নির্দেশের বিরোধিতা করা সম্ভব নয় , শুধু আকুল আবেদন জানাবো সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি , অবিলম্বে যেন খুলে দেয়া হয় ইস্টিশনের প্রবেশদ্বার্। আবার যেন জমে ওঠে মিলনমেলা।

ইস্টিশন বন্ধে যথেষ্ট সহমর্মিতা দেখিয়েছেন নামকরা ব্লগার আর অনলাইন এক্টিভিস্টরা।

বন্যা আহমেদ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,

“Bangladesh’s government continues to block the secular web sites in a systematic way. They arrest, harass and jail bloggers, writers, journalists and activists on the name of the ‘semi- blasphemy’ law called ICT Act 57. And of course they kill all the suspected militants in ‘crossfire’ in the name of justice. Many people have been killed in these ‘crossfires’ in last few years.
But this same government stayed silent when the secular bloggers got threatened and stabbed to death one by one by the Islamic militants. They were forced to act only after the heinous massacre in the Gulshan restaurant by these militants.
The truth is, the progressive activists and secularists in Bangladesh have more to fear than the Islamic militants; we must also fear our own government. This puts us between quite a rock and a hard place.”

মুক্তমনার সাবেক মডারেটর ফরিদ আহমেদ লিখেছেন,

“ইস্টিশন ব্লগের সাথে যেটা ঘটেছে, সেটা ঠিক দেড় বছর আগে মুক্তমনার সাথেও ঘটেছিল। যদিও অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন সরকারী নির্দেশে ইস্টিশনকে ব্লক করা হয়েছে, এই কথাটা পুরোপুরি মনে হয় সঠিক না (আমি ভুলও হতে পারি।) গত বছর আমাকেও বহু লোকে মুক্তমনার বিষয়ে এই ধারণা দেবার চেষ্টা করেছিলো। আমি সরকারী আদেশের কপি দেখতে চেয়েছিলাম তাদের কাছে। কেউ আমাকে সেটা দেখাতে পারেনি। সরকারী আদেশে নিষিদ্ধ হলে লিখিত প্রজ্ঞাপন থাকতে বাধ্য, এটুকু অন্তত আমি জানি। কারো মুখের কথার আদেশ বা গোপন নির্দেশ সরকারী আদেশ হিসাবে গণ্য হয় না।
এই ধরনের ব্লকগুলো কোনো ব্যক্তি বা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী চুপিসারে করে থাকে। এর পিছনে সরকারী সিদ্ধান্তের মদদ কতটুকু আছে ,সেটা আসলে বলা মুশকিল। থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। এই লোকগুলো বিটিআরসিতে বেশ প্রভাবশালী পদে অধিষ্ঠিত। ফলে এরা নিজেদের ক্ষমতা অপপ্রয়োগ করে তাদের অপছন্দের ওয়েবসাইটের গেটওয়ে বন্ধ করে দেয়। এদের ক্ষমতা সর্বব্যাপী নয় বলে, দুই চারটা গেটওয়ে খোলা থেকে যায়। যে কারণে দেশের কোনো কোনো এলাকা থেকে সেই ওয়েবসাইটে ঢোকা যায় আবার কোথাও থেকে ঢোকা যায় না। এই রকম পরিস্থিতিতে প্রক্সি সার্ভার দিয়ে খুব সহজেই ঢোকা যায়, তবে প্রক্সি সার্ভার খুব বেশি লোকে ব্যবহার করতে চায় না অনভ্যস্ততায়। আর এটা কোনো সুস্থ পন্থাও না।
আমরা এই সমস্যার সমাধান করেছিলাম মুক্তমনার ওয়েব হোস্টিং পাল্টে দিয়ে। বাংলাদেশ থেকে মুক্তমনায় ঢুকতে আর কোনো সমস্যা হয়নি।
সরকারী আদেশে কিংবা গুপ্ত আদেশে বা কোনো ব্যক্তিবর্গের কিংবা গোষ্ঠী যার কারণেই ইস্টিশনের কণ্ঠ এভাবে চেপে ধরা হোক না কেন, খুবই গর্হিত একটা কাজ হয়েছে এটা। কারো বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে যুক্তি দিয়ে লিখলেই হয়, এইভাবে শক্তি দেখানোটা খুবই অসভ্যতা এবং অশ্লীল একটা কাজ। মানুষের চিন্তাধারাকে জোর করে বা ভয় দেখিয়ে অল্প কিছুদিন চেপে রাখা যায়, চিরকাল এটা সম্ভব নয়।”

ব্লগার ইয়েমেন এম, হক লিখেছেন,

“বাংলাদেশ থেকে ইস্টিশন ব্লগে প্রবেশাধিকার বিআরটিসি কর্তৃক বন্ধ করে দেয়ার তীব্র নিন্দা জানালাম। ইস্টিশনের অনেক লেখাই আমার পছন্দ হতো না, অনেক লেখার সাথেই তীব্র দ্বিমত পোষণ করতাম। কিন্তু একই সাথে অনেক ভালো লেখাও যে সেখান থেকে পাইনি, তা না। এবং অনেক প্রো-৭১ অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষেরও পরিচয় হয়েছে এই ইস্টিশন ব্লগের লেখকদের মাঝ থেকেই।
আমি কারো লেখার সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারি, পছন্দ না হলে এড়িয়ে চলতে পারি। কিন্তু পরিস্কারভাবে দেশদ্রোহী বা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, এমন কিছু না হলে কখনই কোন সাইট/পেইজ বন্ধ করে দেয়া আমার কাছে কাম্য নয়। বিশেষ করে যেখানে বাঁশের কেল্লা, রেডিও মুন্না, ডেস্পেরেটলি সিকিং ঢাকা (এক্সপ্লিসিট) এর মত সাম্প্রদায়িক, লিঙ্গবাদী ইতর শ্রেণীর পেইজগুলো কখনই বিআরটিসি ব্লক করতে পারে নাই।
জানি না ঠিক কিনা, কিন্তু আমার ধারনা হচ্ছে সুব্রত শুভ ভাইয়ের সাম্প্রতিক একটা লেখা, যেখানে ডিজিএফআই এর সাথে নিষিদ্ধ সংগঠন হুজির রাজনৈতিক দল গঠনের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টা উঠে এসেছে, সেটার জন্যই এই হঠকারী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা। হলে বলবো, খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং ভুল একটা সিদ্ধান্ত নিলো আওয়ামী লীগ সরকার। কিছুদিন পর 'ডিজিটাল সুরক্ষা' নামক কালো আইন যদি খসড়াতে যেভাবে আছে সেভাবেই বাস্তবায়ন হয়, তাহলে মত প্রকাশের যে আরও কত বড় বারোটা বাজতে যাচ্ছে সেটা কল্পনা করতে ভয় হয়।”

ইস্টিশনের প্রতি সবার এই সহমর্মিতাই প্রমাণ করে ইস্টিশন ছিলো মুক্তচর্চার মুক্ত মঞ্চ। আর সেটা আরো বেশী প্রমাণিত হয়, যখন অনলাইনে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত পিনাকি ভট্টাচার্য্যের ফেসবুক স্ট্যাটাসে যিনি ব্লগ বন্ধের নিন্দার নামে প্রকারন্তরে দেখিয়েছেন উল্লাস।তার স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন,

“ইস্টিশন ব্লগটা আমার বেশ পরিচিত। এখানে নিয়ম করে আমার চৌদ্দ গুষ্টিরপিণ্ডি চটকানো হতো। আমি বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করতাম, সেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করে লেখাগুলোর প্রথম উৎসাহ সুচক কমেন্ট থাকতো খোদ ব্লগের মালিকের। বাংলা ব্লগের ইতিহাসে এই ঘটনা অভুতপুর্ব। ব্লগে প্রকাশিত কোন লেখায় ব্যক্তিগতভাবে কেউ সংক্ষুদ্ধ হলে ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেয়ার রাস্তা ব্লগের মালিক একটা পক্ষ নিয়ে নিজেই বন্ধ করে দেয়। বাংলা ব্লগিং এ এই ন্যাক্কারজনক ইতিহাসের স্রষ্টা ইস্টিশন ব্লগ।
ইস্টিশন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজ অনেকের আহাজারির সাথে সাথে বুঝতে পারলাম এই তৃতীয় শ্রেনীর ব্লগটি নাকি মুক্তমনা ও প্রগতিশীল!! ন্যুনতম বুর্জোয়াসুলভ লিবারেল ভ্যালুজ যারা মেইন্টেইন করতে পারেনা তারা প্রগতিশীল হয় কীভাবে?
তবুও আমি ব্লগ বন্ধ করার নিন্দা জানাই; সেটা ইস্টিশনের মতো তৃতীয় শ্রেনীর, পশ্চাৎপদ, ঘৃণা প্রচারক, ফালতু ব্লগ হলেও”

লক্ষণীয় যে ওই স্ট্যাটাসে তার অনেক ফলোয়ারদের কমেন্ট ছিলো ইস্টিশনের পাশাপাশি সচলায়তন আর সামু ব্লগও যেন বন্ধ করে দেয়া হয়!! এইভাবে এই চিহ্নিত গোষ্ঠীটির উল্লাস দেখেই বোঝা যাচ্ছে ব্লগারদের লেখালেখি কি পরিমাণ ত্রাসের সৃষ্টি করেছে তাদের মহলে।পৃথিবীতে যুগে যুগে প্রথাবিরোধী মানুষের উপরে আঘাতের পর আঘাত এসেছে। সক্রেটিস থেকে হাইপেশিয়া , ব্রুনো থেকে সালমান রুশদি , দাউদ হায়দার থেকে হুমায়ূন আজাদ , অভিজিৎ রায় থেকে সামাদ মিছিল ক্রমশঃই বেড়ে চলেছে। কিন্তু তবু থমকে যায়নি মুক্তচিন্তা আর ভিন্নমতের কাফেলা। বরং দিন দিন তাই বেড়েই চলেছে। গ্যালিলিওর সূর্য কিন্তু ঠিকই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে স্বমহিমায়।

সচলায়তন ব্লগের সকল সহ ব্লগার , আর পাঠকদের নিকট ও আবেদন রইলো ইস্টিশনের দুয়ার খোলার এই ক্ষুদ্র দাবীতে যেন পাশে এসে দাড়ান। মানুষের লেখার অধিকার , বলার অধিকার যেনো এইভাবে কেড়ে নেয়া না হয়।

কবির ভাষায় বলতে গেলে, “দ্বার রুদ্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে রুখি , সত্য বলে তবে আমি কোথা দিয়ে ঢুকি??????????”

রাজেশ পাল


মন্তব্য

ইয়ামেন এর ছবি

ইস্টিশন শিঘ্রই ফিরে আসুক ব্লগ জগতে, সে আশায় থাকলাম।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ
---------------
"যুক্তির আকাশে উড়ুক মুক্তির বারতা"

শেহাব এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

ইষ্টিশন অবিলম্বে খুলে দেওয়া হোক। ইষ্টিশনের সাথে সখ্যতা অনেকদিনের। আমার লেখালেখির একটা বড় অংশ ইষ্টিশনে জমে আছে। ব্যক্তিগত এবং আদর্শগত কিছু অবস্থানের কারণে সেখানে অনেকদিন লিখি না কিন্তু ইষ্টিশনের প্রতি ভালোবাসাটা পুরো মাত্রায়ই বিদ্যমান। আপনার লেখা পেয়ে ভাল লাগলো। আর পিনাকীর ব্যাপারে কিছু বলার নাই। উনার ভণ্ডামি সম্বন্ধে অনলাইনের লোকজন সবাইই জানে। এইসব জ্ঞানপাপীর কথায় আগেও পাত্তা দিতাম না, এখনও দিই না। এককালে উনার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা ছিল, এখন বিন্দুমাত্রও অবশিষ্ট নাই।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ
……………………
“যুক্তির আকাশে উড়ুক মুক্তির বারতা”

সোহেল ইমাম এর ছবি

কথা বলার অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকারকে বাদ দিয়ে যাই করা হোক তা গনতন্ত্র নয়। অনেক ওজর, ওজুহাত দেখানো যেতে পারে কিন্তু কথাবলার অধিকারের টুটি চেপে ধরা মানেই গনতন্ত্রকে হত্যা। উন্মুক্ত হোক ইস্টিশন ব্লগ।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ
……………………
“যুক্তির আকাশে উড়ুক মুক্তির বারতা”

অতিথি লেখক এর ছবি

চরমভাবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী নয় এমন কোন ব্লগ বাংলাদেশে বন্ধ করা উচিৎ নয় বলে আমি মনে করি। তাও, শুধু হাতে গোনা গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির মতে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হলেও চলবে না, যারা সকল স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে প্রকৃত পক্ষেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের তাদের কাছে মোটা দাগে যদি কোন ব্লগকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মনে হয় তবেই সেটা বন্ধ করার চিন্তা করা যেতে পারে। আর তাও বন্ধ করতে হবে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তাদেরকে নোটিশ দিতে হবে, আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দিতে হবে, সংশোধিত হবার সময় দিতে হবে। তারপর গ্রহনযোগ্য স্বচ্ছতা বজায় রেখে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের পর কোন ব্লগকে বন্ধ করতে হবে। আবার বন্ধ হবার পর তাদেরকে আইনী সহায়তা নেয়াারও সুযোগ দিতে হবে।
আর যদি এসব করা না হয় তবে আমরা ধরে নিব, মুখে সরকার নিজেকে যতই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বা গণতান্ত্রিক দাবী করুক, তারা আসলে স্বৈরাচারী, তাদের আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি কোন শ্রদ্ধা নেই। তারা মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে, শ্রদ্ধা করে না।

- পামাআলে

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ
……………………
“যুক্তির আকাশে উড়ুক মুক্তির বারতা”

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।