ইসলামাবাদে বোমা হামলা

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: সোম, ২২/০৯/২০০৮ - ১০:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জেনারেল পারভেজ মুশাররফ গদি ছাড়তে না ছাড়তেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন গণতন্ত্রোদ্ধারী বাহিনী পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছে পাকিস্তানে। দু'দলে গোলাগুলিও বিনিময় হয়েছে কিছু, যদিও তা নিয়ে দু'পক্ষই পড়ে কিল চুরি করছে।

রাজধানী ইসলামাবাদে বোমাবাহী ট্রাক পার্লামেন্টভবনে হামলা করতে না পেরে উড়িয়ে দিয়েছে পাশের হোটেল ম্যারিয়ট। এবিসি নিউজের মার্ক করকোরানের স্মৃতিচারণ অনুযায়ী, হোটেল ম্যারিয়ট হচ্ছে পাকিস্তানে তথ্য কেনাকাটার অন্যতম স্থান, যে তথ্য সেখানে ক্ষমতার খেলাকে প্রতিমূহুর্তে প্রভাবিত করছে। ৯/১১ এর পর ম্যারিয়ট হয়ে পড়েছিলো মিডিয়ার আস্তানা, তার প্রতিটি রুম নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার মধ্যে একটা কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিলো, আর ২০০৪ থেকেই ম্যারিয়টের ওপর শুরু হয়েছে বোমা হামলা। ম্যারিয়ট ছিলো রাজনীতিক, কূটনীতিক, ওয়ারলর্ড, মাদকমোগল আর আইএসআইয়ের এজেন্টদের সম্মিলনস্থল।

শনিবারে এক ট্রাক এসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ম্যারিয়টকে প্রায় ধ্বসিয়ে ছেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রধান রেহমান মালিক জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে নয়টা অব্দি ৫৩ জন নিহত এবং ২৬৬ জন আহত হয়েছে। আহত ও নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। নিহতদের মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত ইভো জ্দারেকও রয়েছেন, ডেনমার্কের একজন কূটনীতিক হামলার পর নিখোঁজ হয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগই নিরাপত্তারক্ষী ও স্থানীয় মানুষ। মালিক আরো দাবি করেছে, হামলাকারী আত্মঘাতী আফগান সীমান্তবর্তী অঞ্চলের লোক এবং সেই ট্রাকে ৬০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ছিলো।

এক কৌতূহলোদ্দীপক ফুটেজও দেখিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, হোটেলের সিসিটিভি থেকে পাওয়া। সেখানে দেখলাম, একটা ট্রাক এসে হোটেলের ব্যারিয়ার ভেঙে ঢুকে থেমে গেলো, তার কিছুক্ষণ পর তাতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো। নিরাপত্তাকর্মীরা ইতস্তত ছোটাছুটি করছে, একজন অগ্নিনির্বাপক এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বিস্ফোরণের দৃশ্য এই মিনিটখানেকের ফুটেজে নেই। বিবিসির পক্ষ থেকে আত্মঘাতী প্রাথমিক বিস্ফোরণ এবং পরবর্তী ধ্বংসস্তুপের ফুটেজ পাবেন এখানে। আকাশ থেকে নেয়া ধ্বংসযজ্ঞের ফুটেজ পাবেন এখানে

পাকিস্তানের বড় বড় নেতাদের নাকি ম্যারিয়টে সেদিন নৈশ আহারের পরিকল্পনা ছিলো। তারা বহাল তবিয়তেই আছে, মারা গেছেন নিরীহ মানুষ।

পাকিস্তানীরা যে বিষবৃক্ষের বীজ নিজেরা বপন করেছে, লালন করেছে, রক্ষা করেছে এতদিন, সেই বিষবৃক্ষের ফল তাদের এখন ভোগ করতে হচ্ছে। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ এর হাত থেকে পরিত্রাণ পাবেন কি না জানি না, তাঁদের প্রতি রইলো গভীর সমবেদনা। আজ আপনারা যে কয়েকটি লাশ চোখের সামনে রেখে কাঁদছেন, তেমনি লক্ষ লক্ষ লাশ চোখের সামনে রেখে আমরা কেঁদেছি। আপনারা তখন হন্তারক ছিলেন, এখনও সে ইতিহাসকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। দুনিয়া গোল। যে মৃতদেহ আমাদের মাটিতে পঁচে গলে মিশে গেছে, তা আপনাদের মাটিতে আবার ভেসে উঠছে।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পার্থক্য একটাই-- আমরা ওদের দারা নির্যাতিত হয়েছিলাম আর ওরা নিজেরা নিজেদের মারছে। পাকিস্তানে কোনদিনই মনে হয় শান্তি আসবেনা। ওদের মত উগ্র মানসিকতার মানুষের পক্ষে একসাথে শান্তিতে থাকা কঠিন।

Klanto Pathik এর ছবি

সহমত।পাকিসতানি দের উগ্র মানসিকতার বিষয়ে ভবিযতে লেখার আশা রাখি।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

তাদের নিজ হাতে বোনা চারা আজ বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। তা ফুলে-ফলে সুশোভিত হবে না তা হয়তো তারা কখনো ভাবেনি।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আজ আপনারা যে কয়েকটি লাশ চোখের সামনে রেখে কাঁদছেন, তেমনি লক্ষ লক্ষ লাশ চোখের সামনে রেখে আমরা কেঁদেছি। আপনারা তখন হন্তারক ছিলেন, এখনও সে ইতিহাসকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। দুনিয়া গোল। যে মৃতদেহ আমাদের মাটিতে পঁচে গলে মিশে গেছে, তা আপনাদের মাটিতে আবার ভেসে উঠছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেকক্ষন ভাবলাম... এটা লিখি... অথবা ওটা... তারপর আবার চুপ করে বসে থাকি... কি লিখবো ভেবে পাই না...

তারপর বুঝি... সবই লিখে ফেলেছে হিমু... এরপরে আর লেখার কিছু নেই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍উদ্ধৃতি

আজ আপনারা যে কয়েকটি লাশ চোখের সামনে রেখে কাঁদছেন, তেমনি লক্ষ লক্ষ লাশ চোখের সামনে রেখে আমরা কেঁদেছি। আপনারা তখন হন্তারক ছিলেন, এখনও সে ইতিহাসকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। দুনিয়া গোল। যে মৃতদেহ আমাদের মাটিতে পঁচে গলে মিশে গেছে, তা আপনাদের মাটিতে আবার ভেসে উঠছে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমার বড় ভয় হয়- আমাদের আগামী দিনগুলো কেমন?
'৯০ এর গুলী,বোমা,ককটেল এর ঝাঁঝে-আমাদের অনেকের কৈশোর ও তারুন্যের উদগম ঘটেছে ।
মাত্র দেড় যুগ আগের সেই সংকটকালে ও কিন্তু কেউ কল্পনা করেনি এইদেশ আক্রান্ত হবে-জ়েএমবি,হিজবুত তাহরীরের সন্ত্রাসে, কেঁপে উঠবে সিরিজ বোমা হামলায়, রক্তাক্ত হবে পহেলা বৈশাখ,অবরুদ্ধ হবে মুক্তচিন্তা ।

আরো দেড়যুগ পর?
আমরা আমাদের কোন ইতিহাস লিখবো-কে জানে!
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অমিত আহমেদ এর ছবি

মৃতদেহ মাটিতে পঁচে গলে মিশে যায়নি, নতুন লাশ পড়ছে এই বাংলার মাটিতেই, বটমূলে, সমাবেশে। লক্ষণ বিচারে বাংলাদেশ পাকিস্তানের পথেই হাঁটছে। নিজেরা ঠিক পথে না আসা পর্যন্ত আস্ফালন করতে পারছিনা।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

হিমু এর ছবি
ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

দুনিয়া গোল। যে মৃতদেহ আমাদের মাটিতে পঁচে গলে মিশে গেছে, তা আপনাদের মাটিতে আবার ভেসে উঠছে।

শেষের লাইনদু'টো দারুন লিখেছেন ভাইয়া।
কথাটা খুব সত্যি।

--------------------------------------------------------

nodi এর ছবি

পাকিমনা আর কুসুম কুসুম মুক্তিযুদ্ধমনাদের বোধ জানতে ইচ্ছে করছে । কুসুম কুসুম মুক্তিযুদ্ধমনা বলতে যারা মুক্তিযুদ্ধের গল্প পছন্দ করে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের নয় তাদের বুঝাচ্ছি ।

হিমু এর ছবি

এই "বোধ" সম্পর্কে আপনাকে কিভাবে জানাতে পারি? আমি পাকিমনা নই, কুসুম কুসুম মুক্তিযুদ্ধমনাও নই। অক্ষমতা ক্ষমা করবেন।

সচলায়তনের কোন পাঠক যদি উপরোক্ত দুই ক্যাটেগরিমনার একটি হয়ে থাকেন, নদীর জন্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

পাকিস্তানকে অনেক কিছুই বলার ছিল, যদি আমরা গত ৩৭ বছরে ওদের চেয়ে আগাতে পারতাম ।

বরং বড় চিন্তার বিষয় হল, পাকিস্তানের যা হয় আমাদের এইখানেও তাই হয় ঘুরে ফিরে ...বেঁচে থাকতে থাকতে সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেই খুশী...

~

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আফগানিস্তান সম্পর্কে সৈয়দ মুজতবা আলীর বিখ্যাত মন্তব্য ছিল "পরিবর্তনে অপরিবর্তনীয়"। পাকিস্তানের ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় কথাটা পাকিস্তানের জন্যও প্রযোজ্য। আরো ভয়ের ব্যাপার, একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথাটা বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য হতে যাচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের "ইতিহাসের দুষ্টচক্রের" পিরিয়ড কেবল কমে-বাড়ে, চক্রের গতি ও পরিনতি অব্যাহত ও অবিকৃত থাকে।

একের অন্যায়ের কর্মফল অন্যরা ভোগ করা, পাপের ফল বা ইতিহাসের প্রতিশোধ ধারনাগুলোকে মানতে পারি না। পাকিস্তানীরা বাংলাদেশে যে নৃশংসতা ঘটিয়েছিল তা তারা না ঘটালেও পাকিস্তানে আজ এসব ঘটত। পাকিস্তানের সমাজ আর রাষ্ট্র প্রকৃতিই এর জন্য দায়ী।

ম্যারিয়ট হোটেলে নিহত গরীব গার্ড বা নিরীহ ট্যাক্সি ড্রাইভারের কোন পূর্ব-পুরুষ যদি ১৯৭১-এ আমার মামার হত্যাকারীও হয় তাহলেও আজ তার করুন মৃত্যুতে আমি উল্লাস করবো না। বরং আজ আমি তার করুন মৃত্যুতে কষ্টই পাব, দুঃখ প্রকাশ করব। কারন আমিতো মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের সন্তান। আমার চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারনা বা আচরন পাকিস্তানী দানবদের থেকে ভিন্ন হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। তারা হীন দানবীয় হলে আমার মানবিক হতে বাধা কোথায়? ১৯৭১-এ বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের করা নৃশংসতা নিয়ে আমাদের ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক, তবে তা প্রশমণের যৌক্তিক উপায়ও আছে। আমরা কি তা করার চেষ্টা করেছি?

===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হিমু এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো আমার পোস্টে এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অব্যক্ত উল্লাস/উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়েছে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, এমন কোন কিছু প্রকাশের চেষ্টা আমার নেই, কখনও ছিলোও না।

তবে ক্ষোভ প্রশমনের যৌক্তিক উপায় সম্পর্কে আপনার মত শুনতে চাই। তারপর বলতে পারবো, আমরা সে চেষ্টা করেছি কি করিনি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রেজওয়ান এর ছবি

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

ষষ্ঠ পান্ডব লিখেছেন:
তারা হীন দানবীয় হলে আমার মানবিক হতে বাধা কোথায়? ১৯৭১-এ বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের করা নৃশংসতা নিয়ে আমাদের ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক, তবে তা প্রশমণের যৌক্তিক উপায়ও আছে। আমরা কি তা করার চেষ্টা করেছি?

খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন। কাল ১৯ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি ব্লগারের সাথে কথা হল। সে প্রথমে আশন্কা প্রকাশ করল যে আমি বাঙালী বলে তার সাথে কথা বলব কি না। সম্প্রতি সে ১৯৭১ সালের ব্যাপারে অনেক কিছু জেনেছে ইন্টারনেটে এবং সে খুবই ক্ষুব্ধ যে তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে গণহত্যা সম্পর্কে সত্যি কথা না জানিয়ে। স্কুল কলেজে তাদের অন্য কিছুই শেখানো হয়। কিন্তু বর্তমান ইন্টারনেট যুগে কোন সত্যই চাপা থাকে না - তার বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য। সে অনেক গালাগালি করল তৎকালীন সামরিক জান্তা আর ভুট্টো পরিবারকে। এবং আমার কাছে ক্ষমা চাইল এই অমানুষিক হত্যাযজ্ঞের জন্য। সে তো এক নতুন প্রজন্ম। ১৯৭১ সালে তার জন্মই হয় নি।

কাজেই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ সত্যকে সবার সামনে তুলে ধরা। আমার মনে হয় তাহলে একদিন অনেক পাকিস্তানিরাই চাইবে যে একাত্তুরের শকুনদের বিচার করা হোক।

মাসুদা ভাট্টি এর ছবি

পাকিস্তানের সৃষ্টির মধ্যেই নিহিত রয়েছে এর শেষ হয়ে যাওয়ার বীজ। যে মিথ্যা এবং মিথের সমন্বয়ে রাষ্ট্রটির পত্তনি ঘটেছিল তা যেমন রক্তপাত এড়াতে পারেনি তেমনই এর বিনাশও রক্তপাতহীন হবে না, হচ্ছে না। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভে পাকিস্তানের ভেঙে যাওয়ার যে শুরুটা তা আরও বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে, তাও বলাই বাহুল্য। গান্ধার থেকে পাকিস্তান - এই দীর্ঘ ইতিহাসের পূর্বাপর পাঠে অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের কাছেই এমনটাই মনে হয়েছে।
আরেকটি কথা, সংস্কৃতির চেয়ে ধর্ম যখন বড় হয়ে যায়; মাটির গন্ধ যখন আরবীয় ঈত্বরের তীব্রতায় ঢাকা পড়ে যায়, মানুষের অধিকার যখন সামরিক উর্দির পকেটে পুরে রাখা হয় দশকের পর দশক তখন সেখান থেকে আশা করার আর কী বা অবশিষ্ট থাকে বলুন?

অভয় দিলে, পাকিস্তান এবং পাকিস্তানীদের নিয়ে এই ব্লগে একটি ধারাবাহিক লিখতে চাই, যা দেখেছি ব্যক্তিগত জীবনে, পাকিস্তানে বছর খানেক থেকে এবং একজন সাংবাদিক হিসেবে পাকিস্তানে কাজ করে তার একটি খতিয়ান। জানি না কখন সময় পাবো, তবে লিখতে চাই।

পাকিস্তান, বেজড্‌ অন থ্রি এ'স- আল্লাহ্‌, আর্মি এ্যান্ড আমেরিকা.....আর ওখানে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক জোট হচ্ছে, "মোল্লা-মিলিটারি এ্যালায়েন্স" সংক্ষেপে - এমএমএ

অমিত আহমেদ এর ছবি

এই নিয়ে বিস্তারিত লেখেন আপু। কিচ্ছু বাদ দিবেন না।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শেষ প্যারাটা অসাধারণ!
মানুষ নিজের পায়ে কুড়াল মারে, তবে পাকিস্তানীদের ব্যাপার দেখে মনে হয়েছে ওরা কুড়ালে অবিরত পা মেরেই চলেছে। আর খাল কেটে কুমীর আনার বদলে এনেছে ওরা অক্টোপাস! ঠ্যালা তো কিছুটা সামলাতে হবেই!
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।