সবাই একটু একটু করে সভ্য হচ্ছে

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ২১/০৩/২০০৯ - ৬:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা আত্মসমালোচনা খুব ভালোবাসি। নিঃসন্দেহে এটি জরুরি, স্বাস্থ্যকর এবং কখনো কখনো জীবনরক্ষাকারী। কিন্তু জাতি হিসেবে নিজেদের সমালোচনা করতে গিয়ে অযথাই আমরা বাঙালিকে অন্যান্য অনেক জাতির চেয়ে নিচুতে নামিয়ে একটা আত্মপ্রসাদ অনুভব করি। এটি শেষবারের মতো টের পেয়েছিলাম মুজে গিমে যখন বাংলাদেশ থেকে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে কিছু প্রত্ননিদর্শন নিয়ে গিয়েছিলো ফ্রান্সে প্রদর্শনীর জন্যে। আমরা তখন দেখেছি, আমাদের সরকারের ভূমিকা কত ন্যুব্জ, কর্মকর্তাদের দশা কত বেহাল, মিডিয়া আর বোদ্ধাদের মধ্যে মতবিভাজন কত স্পষ্ট। একদল বিনা বাধায় "উন্নততর সংস্কৃতির" ফরাসীদের হাতে এসব প্রত্নসম্পদ "ধার" দিতে উদারতার পক্ষে, আরেকদল যেকোন মূল্যে তা ঠেকাতে প্রস্তুত। এই টানাটানির ফাঁকে চুরি হয় কয়েকটি নিদর্শন, যার একটিকে পরে পাওয়া যায় আস্তাকুঁড়ে। ফরাসীরা ফরাসী ভাষায় আর্তনাদ করে বমি করে দিতে চায় এসব শুনে, আমরা বাংলা ভাষায় হল্লা করি, আর ভেতরের খবর শুনি, আমাদের একজন প্রতিশ্রুতিশীল কূটনীতিক হৃদস্তম্ভনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন, আমাদের কর্তাদের ফ্রান্সে নামার পর পর ভিসা বাতিল করে ঘাড় ধরে বার করে দেয়া হয়, আরো কত কাহিনী।

দুশো বছর ইয়োরোপীয় শাসনের উষ্ণতা আমাদের গা থেকে নামেনি, যেমন বিছানা থেকে উঠে যাবার পরও স্ত্রীলোকের ওম শরীরে কিছুক্ষণ লেগে থাকে। আমরা এখনও তাদের কাজকারবার দেখে হতবাক হই, এবং নিজেদের তাদের তুলনায় ঊন মনে করি। মনে না করার কোন কারণ নেই। নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যাপারে তারা একমত, পরস্পরের পোঁদে আঙুল দেয়ার আগে এই স্বার্থ সংরক্ষণকেই তারা বেশি গুরুত্ব দেয়। আমরা উল্টোটা করি। কামলা জাতি হয়েও সাকাচৌকে ওআইসির মহাসচিব বানাতে গিয়ে চটিয়ে দিই মালয়েশিয়াকে। বদলে ঠাপ খেতে হলে খাবে গরীবগুর্বো কামলা লোকজন, নীতিনির্ধারকদের কী? বিপদ দেখলে তারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড বা সৌদি আরব গিয়ে পোঁদ পেতে বসে থাকবে।

লক্ষণীয় এটাই যে আমরা গত এক হাজার বছরে নিজেদের ছাড়া কারো পোঁদে আঙুল দিয়ে উঠতে পারিনি। সব জাতির মধ্যমাতেই পুরীষের গন্ধ আছে, তবে তা অন্য জাতির পুরীষের। আমরা ক্ষণজন্মা বাঙালি এ ব্যাপারে স্বয়ংসম্পূর্ণ, আমাদের মধ্যমাতে আমাদেরই গহীনপুরীষের বাস। ফলে ২০০৯ সালে পৃথিবীতে যেসব জাতি এগিয়ে আছে, তারা জানে, কিভাবে অন্যের পেছনে আঙুল দিয়ে নিজে একটু সামনে এগিয়ে যেতে হয়, আমরা জানি না। আমরা এমনকি নিজেদের পেছনে পর্যন্ত আঙুল দেয়ার জন্যে কিউতে অপেক্ষা করি। আর ভাবি, আমরা অসভ্য। অন্যেরা সভ্য।

আমরা ভুলে যাই যে আজ যেসব জাতি সভ্য এবং সভ্যতর হয়ে উঠছে, তারা যথেষ্ঠ বর্বরতার চর্চা করেই অদ্দূর এসেছে। তারা আমাদের চেয়ে পবিত্রতর নয়, আমাদের চেয়ে বেশি সুসংহত।

একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। ঘানার আশান্তি গোত্রপতি দ্বিতীয় বাদু বনসুর মুন্ডুটি ওলন্দাজরা কর্তন করে ফরমালডিহাইডে চুবিয়ে রেখে দিয়েছিলো লাইডেন যাদুঘরে। বাদু বনসুর অপরাধ ছিলো, দখলদার দুই ওলন্দাজের মুন্ডুও সে ছেদ করেছিলো। লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে সেটি দীর্ঘদিন রক্ষিত ছিলো। খোঁজ পেয়ে ঘানা সেটা ফেরত চেয়েছে, যাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা ফিরিয়ে দেবেন, যাতে রাজার মুন্ডুটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে সমাহিত হয়। সূত্র বিবিসি

এমন উদাহরণ আরো আছে। ২০০৬ সালের জুলাই মাসে অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয় নয়টি উল্কিচিহ্নিত মাওরি-মস্তক ফিরিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডে। সেগুলি কর্তন ও সংগ্রহ করেছিলো তৎকালীন ব্রিটিশ অভিযাত্রীরা। সূত্র বিবিসি

এমন উদাহরণ আরো অনেক দেয়া যাবে। তাসমানিয়ায়, পেরুতে, প্রায় প্রতিটি উপনিবেশে। অতদূরে আর পেছনে না গিয়ে আমাদের প্রফুল্ল চাকীর কথা মনে করা যায়, তাঁর মস্তকটি কেটে পার্সেল করে মহামহিম বৃটিশ রাজ তাঁর মা-কে উপহার দিয়েছিলেন।

আমরা হয়তো খুব খারাপ জাতি। কিন্তু বাকি সবাই খুব ভালো নয়। আজ যারা আমাদের নানা অপকর্ম দেখে নাক সিঁটকায়, শুধু দুটি কারণেই তাদের তা করার অধিকার আছে, হয় তারা ওসব অপকর্ম করা ছেড়ে দিয়েছে বহুদ্দিন হলো, অথবা ওসবের প্রতিবাদের সামর্থ্য পৃথিবীতে আর কারো নেই। পরিস্থিতি খারাপ হলে, কাড়াকাড়ি শুরু হলে, সকলেরই মধ্যমাই ব্যস্ত ছিলো, আছে, থাকবে।


মন্তব্য

হুহু এর ছবি

কারুর কারুর বাঁশ ও আছে, হাইটেক। কারুর আরো এককাঠি উপরে, তাতানো গরম লোহার শিক।

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

কামলা জাতি হয়েও সাকাচৌকে ওআইসির মহাসচিব বানাতে গিয়ে চটিয়ে দিই মালয়েশিয়াকে। বদলে ঠাপ খেতে হলে খাবে গরীবগুর্বো কামলা লোকজন, নীতিনির্ধারকদের কী? বিপদ দেখলে তারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড বা সৌদি আরব গিয়ে পোঁদ পেতে বসে থাকবে।

মন খারাপ :(

সত্য যে কঠিন, তবু কঠিনেরে ভালোবাসিলাম........কারন উপায় নাই গোলাম হোসেন!!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হুমম...

মধ্যসমুদ্রের কোলে এর ছবি

লক্ষণীয় এটাই যে আমরা গত এক হাজার বছরে নিজেদের ছাড়া কারো পোঁদে আঙুল দিয়ে উঠতে পারিনি।
---------
কিন্তু জাতি হিসেবে নিজেদের সমালোচনা করতে গিয়ে অযথাই আমরা বাঙালিকে অন্যান্য অনেক জাতির চেয়ে নিচুতে নামিয়ে একটা আত্মপ্রসাদ অনুভব করি।
---------
আপনার আত্মপ্রসাদ টের পেলাম।

হিমু এর ছবি

চমৎকার হয়েছে হাসি । এবার অনুগ্রহ করে বার করে নিন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অবাঞ্ছিত এর ছবি

জ্বে...

নিজের দোষটা কেউ দেখে না... আঙ্গুলটা বের করে তা তাক করে দেখিয়ে দেয় অন্যের দিকে...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

আনিস মাহমুদ এর ছবি

উদ্ধৃতি: আমরা হয়তো খুব খারাপ জাতি। কিন্তু বাকি সবাই খুব ভালো নয়। আজ যারা আমাদের নানা অপকর্ম দেখে নাক সিঁটকায়, শুধু দুটি কারণেই তাদের তা করার অধিকার আছে, হয় তারা ওসব অপকর্ম করা ছেড়ে দিয়েছে বহুদ্দিন হলো, অথবা ওসবের প্রতিবাদের সামর্থ্য পৃথিবীতে আর কারো নেই। পরিস্থিতি খারাপ হলে, কাড়াকাড়ি শুরু হলে, সকলেরই মধ্যমাই ব্যস্ত ছিলো, আছে, থাকবে।

খুব সত্যি কথা!

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আজ যারা আমাদের নানা অপকর্ম দেখে নাক সিঁটকায়, শুধু দুটি কারণেই তাদের তা করার অধিকার আছে, হয় তারা ওসব অপকর্ম করা ছেড়ে দিয়েছে বহুদ্দিন হলো, অথবা ওসবের প্রতিবাদের সামর্থ্য পৃথিবীতে আর কারো নেই। পরিস্থিতি খারাপ হলে, কাড়াকাড়ি শুরু হলে, সকলেরই মধ্যমাই ব্যস্ত ছিলো, আছে, থাকবে।

বাঁধিয়ে রাখার মতো একটা কথা বলেছেন দাদা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কথাটা নিকটাত্মীয়ের মুখে শোনা।

লেবার পার্টিতে টনি ব্লেয়ারের তুমুল সমালোচনা হয় ইরাক যুদ্ধের জন্য। ব্লেয়ার যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি দেশের স্বার্থরক্ষায়ই এই কাজ করেছেন। এই যুদ্ধে ব্রিটেন লাভ করেছে, ক্ষতি নয়।

জবাবে বলা হয়েছিল, বহু শতাব্দির ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ব্রিটেন অনেক "লাভ" করেছে। এখন আর যেকোন মূল্যে সম্পদ আহরণের প্রয়োজন নেই। এখনকার কারেন্সি/আবশ্যিকতা হল সম্মান।

এরা অনেক, অনেক দিন ধরে অসভ্যতা করে তবেই আজ সভ্য হয়েছে। এই অসভ্যতা থেকে এরা অনেক শাশ্বত সত্য শিখেছে অবশ্যই। সেটার নজির এই দেশগুলোর সংবিধানে দেখা যায়।

আমাদের উচিত এদের সংবিধান ও সমাজে আইনের শাসন থেকে শিক্ষা গ্রহন করা। শুধুমাত্র এভাবেই আমরা এদের সাথে "ক্যাচ-আপ" করতে পারবো। ঔপনিবেশিক আমলের টুকিটাকি ফিরিয়ে দেওয়াকে আমি তেমন একটা মাহাত্ম্য হিসেবে দেখি না।

কোহিনূর ফিরিয়ে দিলেও সিরাজকে ফিরে পাবে না বাংলা।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শেষ প্যারাটাই মূল কথা...

অপ্রিয় এর ছবি

একমত।
তবে,

২০০৯ সালে পৃথিবীতে যেসব জাতি এগিয়ে আছে, তারা জানে, কিভাবে অন্যের পেছনে আঙুল দিয়ে নিজে একটু সামনে এগিয়ে যেতে হয়, আমরা জানি না

এই 'সভ্যতা' এবং 'এগিয়ে থাকার' মাপকাঠিগুলো কি?

গত বছর বার্লিনে এক জার্মান বন্ধুর ফ্ল্যাটে বসে কথা হচ্ছিল, সে বাংলাদেশে কর্মরত ছিল কয়েক বছর। কথায় কথায় সে বলল "বাংলাদেশে সব ভাল, আমি সেখানে বাস করতে চাই, মানুষজন খুব আন্তরীক। থাইল্যান্ডের মানুষরাও এমন নয, তারা পোলাইট কিন্তু আন্তরীক নয়। তোমাদের একটি বিষয় শুধু আমাকে ভীত করে, তোমাদের চিকিত্সা ব্যবস্থা। অহরহ মানুষ মরে যাচ্ছে অপ্রতুল চিকিত্সায়"

আমি বললাম, স্বীকার করি আমাদের চিকিত্সা ব্যবস্থা খুবই খারাপ, এর উন্নয়ন প্রয়োজন, কোন দ্বিধা নেই। কিন্তু খেয়াল করেছো আমরা আমাদের মৃত্যুকে কত সহজভাবে নেই? সেই কারনেই হয়ত আমরা অলস এবং আবেগ প্রবন। কিন্তু আমরা অত্যন্ত আইডিয়া নির্ভর, বস্তুগত অগ্রগতির চাইতে আদর্শগত অবস্থানই আমাদেরকে চালিত করে বেশী। সেই কারণেই এক মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন (১৯৭৪ এ, নাম মনে করতে পারছি না) পশ্চিমা শক্তি কোনও দিনই কোন এশীয় রাষ্ট্রকে পরাজিত করতে পারবে না। কারণ পশ্চিমারা যুদ্ধ করে প্রযুক্তি এবং দক্ষতা দিয়ে আর প্রাচ্য আদর্শ দিয়ে - যেখানে সবাই সৈনিকে পরিণত হয় এং মৃত্যুকে আলিঙ্গনে তারা ভীত হয় না। তিনি বলেছিলেন 'মৃত্য' এই দুই জগতে সম্পুর্ণ ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।

কিন্তু এই 'আইডিয়া নির্ভর' মানুষগুলো কিন্তু ঢিলা, ক্লামজি, বস্তুগত কর্মে তুলনামুলক অদক্ষ, ইত্যাদী ইত্যাদী..

পশ্চিমা ভৌত বাস্তবতা এবং লজিকের স্কেলে বিচার করলে আমরা অনেক পিছিয়ে, কিন্তু মানবীয় মানে বিচার করলে সামাজিকভাবে আমরাই অনেক টেকসই, অন্তত মানবিক, সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে। ভারতবর্ষকে দেখুন, সবচেয়ে পুরাতন এক সভ্যতা আর সংস্কৃতিকে আজও পুর্নমাত্রায় ধারণ করে ক্ষীণ গতিতে এগিয়ে চলেছে এক বিশাল কচ্ছপ সম।

তাই আমাদের চিন্তায়, মানষিকতায় যে আপাত বিশৃঙ্খলা দৃশ্যমান, তা আমাদের চরিত্রের একটি বাইপ্রোডাক্ট বলে আমার মনে হয়।

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

হিমু এর ছবি

আপনার কি মনে হয় না, এই যে হাজার হাজার দরিদ্র মানুষ শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে অন্য আরেকটি দেশে প্রায়ক্রীতদাসত্ব বরণ করার জন্যে এত উন্মুখ হয়ে থাকে, এটা পিছিয়ে থাকা? এঁদের আয়ের ওপর আমাদের বৈদেশিক আয় নির্ভরশীল, এটাও কি পিছিয়ে থাকা নয়? আমাদের দেশে কতগুলি খুনী বিশ্বাসঘাতকের বিচার করতে গেলে বাইরের কামলাঅলা রাষ্ট্র আমাদের চোখ গরম করে, আমরা তা থেকে বিরত থাকি, এটা কি পিছিয়ে থাকা নয়?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটা জায়গায় এসে বিগ সি (কিংবা দীক্ষক দ্রাবিড়ও হতে পারেন)-এর "নামা শালাকে টেনে নামা"-র কথা মনে পড়লো।

লেখার চুম্বক অংশ নিয়ে বাকী সবাই বলে ফেলেছে ইতোমধ্যে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সিরাত এর ছবি

আজ যারা আমাদের নানা অপকর্ম দেখে নাক সিঁটকায়, শুধু দুটি কারণেই তাদের তা করার অধিকার আছে, হয় তারা ওসব অপকর্ম করা ছেড়ে দিয়েছে বহুদ্দিন হলো, অথবা ওসবের প্রতিবাদের সামর্থ্য পৃথিবীতে আর কারো নেই।

সাধু, সাধু!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।