কবির মৃত্যু: হুমায়ুন আজাদ স্মরণে

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৮/২০১০ - ৭:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বৃক্ষের মৃত্যুর পর বনভূমি তৃণভূমি হয়। ছায়ার আকার শুধু পাল্টে যায়। শাখাচারী গানের পাখিরা শাখার অভাবে ফিরে যায়, তৃণচারী পাখি তৃণচারী কীটের সন্ধানে সেই আদিগন্ত ঘাসের বুকে খসখস শব্দ করে চক্কর কাটে। যে ফলটি খসে পড়ে, তার বীজকেও গ্রাস করে ক্ষুদ্র-তুচ্ছ-ঊন ঘাস। একদিন মুছে যায় শেকড়ের চিহ্ন, একদিন লুপ্ত হয় বনের ঘ্রাণ।

আজ অকবি আর কুকলামিস্টদের ভিড়ে তাই মাঝারি হুমায়ুন আজাদকেই প্রকাণ্ড মনে হয়।

হুমায়ুন আজাদ পঁচে গলে মিশে গেছেন, বেঁচে আছে নিজামি-মুজাহিদ-সাঈদি। ঊনিশশো একাত্তরে এক দফা মেধাহননের পর এর চেয়ে বড় অপমান আর কী হতে পারে এই ব্রন্টোসরাসের চর্মাচ্ছাদিত জাতির জন্যে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো ভবিষ্যতে শুধু আসিফ নজরুল তৈরি করবে। হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুর সাথে হয়তো বা হুমায়ুন আজাদদেরও মৃত্যু ঘটলো।

হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার চাই। ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে দেখতে চাই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা সব বরাহকে।


দ্রষ্টব্য: হুমায়ুন আজাদ তাঁর নামটি হ্রস্ব উ দিয়ে লিখতেন। আমরা সম্ভবত এ ব্যাপারে সবাই সচেতন নই। ইন্টারনেটে যথেচ্ছ "হুমায়ূন আজাদ" লেখা হয়ে চলছে। সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে আজ থেকেই। কামরুল হাসানকে অসংখ্য ধন্যবাদ ব্যাপারটি গোচরে আনার জন্যে।


মন্তব্য

নীল রোদ্দুর এর ছবি

হুমায়ূন আজাদের মৃত্যু ঘটানো এতো সহজ কোন ব্যাপার না। ঐসব নিজামী সাইদরা হুমায়ূন আজাদ স্যারের দৈহিক মৃত্যু ঘটিয়ে স্যারকে আরো বেশী আলোকিত করে দিয়ে গেছে। আলোকে আড়াল করে রাখার ক্ষমতা অন্ধকারের নেই।

হুমায়ূন আজাদ স্যার হারিয়ে যাননি। যতদিন বাঙালী জাতির মাঝে কিছু পরিমাণে হলেও মেধা অবশিষ্ট থাকবে, ততদিন স্যার আলো ছড়িয়েই বেঁচে থাকবেন।

আমার প্রিয় কিছু মানুষ, প্রিয় কিছু বিষয় নিয়ে লেখা হলে আম কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারিনা। আইসক্রীম খাওয়ার মত করে খাই। এই লেখার দৈর্ঘ আরো বড় হবে, আশা করেছিলাম। এইটুকু পরেই নিজেকে নিবৃত করতে হল দেখে একটু মন খারাপ হল। :(তার উপর বললেন হতাশাবাদীদের মত কথা। একাত্তরে মেধা হনন করে আমাদের পিছিয়ে দিতে পেরেছে ঐ সারমেয়র দল। কিন্তু আমাদের থামিয়ে দিতে তো পারেনি। সুদে আসলে সব হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার সময় হয়েছে।
.
--------------------------------------------------------
শিশির ভেজা ঘাষ, ভোর বেলা যার ডগায় জমে থাকে একবিন্দু মুক্তো, হাসে মুক্তোটা, ঠিক শিশুর মত করে...

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

হুমায়ূন আজাদের মৃত্যু ঘটানো এতো সহজ কোন ব্যাপার না। ঐসব নিজামী সাইদরা হুমায়ূন আজাদ স্যারের দৈহিক মৃত্যু ঘটিয়ে স্যারকে আরো বেশী আলোকিত করে দিয়ে গেছে। আলোকে আড়াল করে রাখার ক্ষমতা অন্ধকারের নেই।

হুমায়ুন আজাদের আলোকিত হবার দরকার নেই, কিন্তু বেঁচে থাকা দরকার ছিল।

নীল রোদ্দুর এর ছবি

হুমায়ূন আজাদ স্যারের মরে যাওয়া না, বেঁচে থাকার দরকার ছিল, এটা ঐ সারমেয়গুলো ছাড়া মনে হয় সবাই ভাবে। আরো যারা ভাবতে পারে, তারা হল ঐ সারমেয়দের অনুসারী, যারা চোখ বন্ধ করে বাঁচে।

ভালো কথা, মৌলি আজাদের ব্লগ পড়েছি। লেখা পড়ে মনে হয়েছে, স্যারের যোগ্য উত্তরসুরী তিনি। অন্তত আলো আছে ঐ মনে।.
--------------------------------------------------------
শিশির ভেজা ঘাষ, ভোর বেলা যার ডগায় জমে থাকে একবিন্দু মুক্তো, হাসে মুক্তোটা, ঠিক শিশুর মত করে...

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

কুলদা রায় এর ছবি

হুমায়ুন আজাদ মারা গেছেন। মৌলি আজাদ আর অনন্য তাদের বাবাকে হারিয়েছে। আর সৃষ্টিশীল লোকটি থেমে গেছেন। শুধু ক্ষতিটি অই পরিবারেরই হয়েছে। দেশের কি কিছু হয়েছে? মনে হয় না।
যেমন তাজউদ্দিন মারা গেছেন। তাতে কার কি হয়েছে? বঙ্গবন্ধুর পরে কি তার অবস্থান হয়েছে?
দেখবেন--এই দেশে গোলাম আজম ঠিকই একুশে পদক পাবে। আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হবে। ফরহাদ মজহার শিক্ষামন্ত্রী হবে।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

ওডিন এর ছবি

না। পাবে না। হবে না। হবে না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সুরঞ্জনা এর ছবি

না। পাবে না। হবে না। হবে না।

সহমত।
হতে দেয়া হবে না।
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

হুমায়ুন আজাদ নিজেকে যতটা বড় মনে করতেন-- তাঁকে ঠিক ততটা বড় মনে না করলেও মাঝারি মনে করি না ।

হুমায়ূন আজাদ হত্যার বিচার চাই। ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে দেখতে চাই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা সব বরাহকে।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার চাই। বরাহদের যাবজ্জীবন রিমান্ড চাই। হুমায়ুন আজাদ ভুল সময়ে জন্মে ছিলেন। এখন মনে হয় মানুষ আর ভুল সময়ে জন্মায় না।

অতিথি লেখক এর ছবি

‎"আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো..." নাহ! হুমায়ুন আজাদ খুব ছোট কিছুর জন্য জীবন দেন নি! মৌলবাদ এখন আর ছোট কিছু নয়! এখন তা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, দুষিত রক্তের মতো শিরায় শিরায়!

কাজী মামুন

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বিচার হোক । কিন্তু আরো হুমায়ূন আজাদও হতে হবে। বিচার করে এই পশুগুলোকে মেরে, এই বিপুল পৃথিবীর যে হ্রাস-বৃদ্ধি হবে, তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী ক্ষতি হয়ে গেছে এই মেধাবীর মৃত্যুতে। তাঁর জন্য শ্রদ্ধা।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

"পরিচিত এক ভদ্রমহিলা আমার অবিশ্বাস পড়তে নিয়েছিলেন। বইটি তাঁকে পড়তে দেওয়া যায় কি না, এই নিয়ে কিছু দ্বিধায় ছিলাম। এই বইয়ে হুমায়ুন আজাদ সকল ধর্মবিশ্বাসের প্রতি প্রবল অনাস্থা জানিয়েছেন, মানুষের ধর্মবিশ্বাসগুলির অযৌক্তিকতা ও অসারত্ব সবিস্তারে বলেছেন তীক্ষ্ণ যুক্তি দিয়ে। আমার দ্বিধা ছিলো সেই কারণেই। ভদ্রমহিলা বড়ো হয়েছেন ধর্মপরায়ণ পরিবারে, ছোটোবেলা থেকে ধর্মবিশ্বাস ও আচরণে নিষ্ঠ। এখন ধর্মাচরণে অনিয়মিত হলেও ভদ্রমহিলার বিশ্বাসটি অক্ষত ও অটুট। তাঁর বিশ্বাস আহত হোক তা আমি চাইনি। একরকম জোর করেই তিনি বইটি নিয়ে গেলেন।

পড়া হয়ে গেলে বইটি ফেরত দিয়ে মহিলা অপ্রত্যাশিতভাবে একটি আশ্চর্য মন্তব্য করলেন। গ্রন্থে উপস্থাপিত তথ্য ও যুক্তি সম্পর্কে তিনি উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, একমাত্র আমার অন্ধবিশ্বাস ছাড়া আর কিছু দিয়ে তো আমি হুমায়ুন আজাদের যুক্তিগুলি অস্বীকার করতে পারছি না!"

হুমায়ুন আজাদ জিতে গেছেন ঠিক এখানেই।

এই ভদ্রমহিলাটি ছিলাম আমি।

--------------------------------------------------------------------------------

কী কমু [অতিথি] এর ছবি

তিনি আত্মম্ভরী ছিলেন, ছিলেন উন্মাসিক, কিন্তু বাঙলা সাহিত্যে তাঁর অনেক প্রবন্ধই দীর্ঘদিন টিকে থাকবে। উপন্যাসে নতুন মাত্রা আনতে চেয়েছিলেন তিনি, আঙ্গিক বদলে নতুন কোনও আদলে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন। তাঁর সেই প্রয়াস কতখানি সার্থক হয়েছে, সে বিবেচনার সময় হয়ত এখনও আসেনি। তবে ধর্মবিশ্বাস আর সাম্প্রদায়িকতার ওপর তাঁর বীক্ষণ আমাদের সময়ের চেয়ে এগিয়ে। ভবিষ্যতে তাঁর এই দিকটির ওপর আলো পড়লে আমরা নতুন কিছু পেতে পারি। তাঁর কবিতাও অধিকাংশই কবিতা-অভিধার উপযুক্ত। এখনকার বহুপ্রসু অকবির ভীড়ে তিনি অবশ্যই মাঝারির চেয়েও বেশি কিছু।

নীল রোদ্দুরের সঙ্গে একমত, আলোকে অন্ধকার দিয়ে আড়াল করা যায় না। আজ নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদীদের মত নরপশুরা হয়ত রাজনীতির কূটচালে বেঁচেবর্তে আছে, কিন্তু ভবিষ্যতে তাদের স্থান নিঃসন্দেহে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়েই থাকবে। খুনী আর ধর্ষণকারী হিশেবে চিরদিন উল্লেখ হবে ইতিহাসের অন্ধকার আর নরকের কীটপতঙ্গের প্রসঙ্গে। হুমায়ূন আজাদের সাহিত্যের অবস্থান ওপরে-নিচে নড়তে পারে, কিন্তু তাঁর উল্লেখ চিরকালই আসবে সভ্যতার আর বিবেকের আলোর প্রসঙ্গে। এখানেই একজন মানুষ আর জানোয়ারের মধ্যে পার্থক্য। এ পার্থক্য চিরকালই ছিল, থাকবে আরও বহুকাল।

আমরা যদি নিজেদের ভেতর অসাম্প্রদায়িকতা আর বিজ্ঞানমনসষ্কতার চর্চাটা স্থায়ী আর স্বভাবের অন্তর্গত করে নিতে পারি, আমাদের ভেতর অদূর ভবিষ্যতে জন্ম নেবে অসংখ্য হুমায়ূন আজাদ। তবে প্রকৃতিতে মানুষের তুলনায় কীটপতঙ্গের সংখ্যাটা বিপুল, তাই হয়ত একজন হুমায়ূন আজাদের সঙ্গে জন্ম নেবে কয়েক সহস্র নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদীদের মত নরপশু। কিন্তু তাতে কী, এক অরণ্য অন্ধকার দূর করার জন্য এক চিলতে চন্দ্রালোকই যথেষ্ট।

হিমুর মত শক্তিশালী লেখকের কলম থেকে আমরা ভবিষ্যতে হুমায়ূন আজাদের সাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মান্ধতাবিরোধী চিন্তাভাবনার বহুবর্ধন আশা করতে পারি।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হুমায়ূন আজাদের লেখালেখির বিশ্লেষণ প্রয়োজন।

হুমায়ূন আজাদ হত্যার বিচার চাই। ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে দেখতে চাই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা সব বরাহকে।

----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

দ্রোহী এর ছবি

হুমায়ূন আজাদ হত্যার বিচার চাই।


কি মাঝি, ডরাইলা?

দূরের তেপান্তর [অতিথি] এর ছবি

হুমায়ূন আজাদের “লাল নীল দীপাবলি”র আলোয় যত বাতিঘর দেখেছিলাম বা দেখছি সেই রকম আলো আর দেখিনি। সেই হাজার হাজার দীপালি এখনো পূর্ণ করে রেখেছে আমার সময়।

লেখাটি আরেকটু বড় হলে আরো ভাল লাগতো।

দূরের তেপান্তর

সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

"হুমায়ূন আজাদ পঁচে গলে মিশে গেছেন, বেঁচে আছে নিজামি-মুজাহিদ-সাঈদি"

নিজামি-মুজাহিদ-সাঈদিও পঁচে গলে যাবে, থেকে যাবে "আমার অবিশ্বাস"। আরো অনেকদিন ধরে আমার মতো অনেকে সদ্য কৈশোর পেরোনো বয়সে বইটি তুলে নেবে, এবং একনিঃশ্বাসে শেষ করে বুঝতে পারবে যে বইটি কয়েক ঘন্টায় তার পৃথিবীকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।

বাউলিয়ানা এর ছবি

আরতো কিছু বলার নেই, শুধু বলতে চাই

হুমায়ূন আজাদ হত্যার বিচার চাই

জাহামজেদ [অতিথি] এর ছবি

হুমায়ূন আজাদ হত্যার বিচার চাই।
ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে দেখতে চাই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা সব কুলাঙ্গারকে...

নৈষাদ এর ছবি

বিচার হোক। হুমায়ূন আজাদ হত্যার বিচারের কোন আপডেট পাই না তো ইদানিং। কী হল কে জানে।

রুবাইয়্যাত এর ছবি

সব চলে যাক এবার নষ্টদের অধিকারে।

বালক এর ছবি

হুমায়ূন আজাদ পঁচে গলে মিশে গেছেন, বেঁচে আছে নিজামি-মুজাহিদ-সাঈদি।

:::::: :::::::: ::::::::::::::: ::::::::::::::: ::::::::: ::::::::: :::::: ::::::: ::::::::::::
অভিলাষী মন চন্দ্রে না-পাক জোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

কামরুল হাসান এর ছবি

প্রিয় কবিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

হিমু ভাই

স্যার সব সময় নামের বানানটা 'হুমায়ুন আজাদ' লিখতেন।

হিমু এর ছবি

এরকম একটা ভুল করার জন্যে খুবই লজ্জিত। সংশোধন করে দিলাম। অশেষ ধন্যবাদ।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

তারাপ কোয়াস [অতিথি] এর ছবি

"পৃথিবীতে যতোদিন অন্তত একজনও প্রথাবিরোধী মানুষ থাকবে, ততোদিন পৃথিবী মানুষের।"


সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ঘাতক এবং পরিকল্পনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ঝরাপাতা এর ছবি

হুমায়ূন আজাদ..... ঠিক মধ্যাহ্নবেলায়ও যারা ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়....
বিচার চাই সেই সব বর্বরদের...


নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হুমায়ুন আজাদের হত্যাকারীদের পশ্চাৎদেশে প্রকাশ্য দিবালোকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজপথে ইয়া বড় বড় রাজহাঁসের ডিম প্রবিষ্ট করণ দেখতে চাই। এভাবেই তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবী জানাই। নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদীদের হিংস্রতার কাছে এইটা কিছুই না।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

বাবুবাংলা এর ছবি

মৃত্যুর ঠিক দু’সপ্তাহ আগে হুমায়ুন আজাদের লেখা “প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং দেশবাসীর কাছে খোলা চিঠি” থেকেঃ

“আমি একজন লেখক ও অত্যন্ত সংবেদনশীল মানুষ, যার কাছে ঘরে বন্দী হয়ে থাকাটাই মৃত্যুর থেকেও শোচনীয়। মনে পড়ে একদিন আমি একা একা হাঁটতাম, একা গ্রামে যেতাম, চাঁদ পাখী নদী দেখতাম; আজ আমার একা হাঁটার অধিকার নেই, অথচ অধিকার আছে তাদের যারা আমাকে হত্যা করতে চায়, যারা কখনো চাঁদ ভালো করে দেখেনি।”

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সাংবাদিক মানিক সাহা, অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী, অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ— এই নামগুলোর সাথে জুড়ে দেয়া যায় আরও অনেক নাম। এইসব নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পরেও আমরা ধর্মের নামে বেশ্যাবৃত্তি করার লাইসেন্স দেই জামাতকে। আমাদের দেশের সরকারও মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের জামাতকে নিষিদ্ধ করার আদেশ পালন করতে গরিমসী করে।

আরে, এই শুয়োরের বাচ্চাদের তো কোনো প্রকার রাজনীতি করারই অধিকার নেই আমাদের দেশে। ধর্মভিত্তিক আর কর্মভিত্তিক তো পরের কথা!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

সৈকত আরেফিন [অতিথি] এর ছবি

``...হুমায়ুন আজাদ পঁচে গলে মিশে গেছেন, বেঁচে আছে নিজামি-মুজাহিদ-সাঈদি।''
এই লেখাটিকে আমি প্রগতিপ্রবণ লেখা ভাবতে চাই; এবং এ লেখাটি বস্তুত তাই। তবুও এ ধরনের লেখায় হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কে 'পঁচে গলে গেছেন' রকমের শব্দ একটু বিভ্রান্তি ছড়ায়। আমি এটা বিশ্বাস করি, হুমায়ুন আজাদরা কখনও মরে যান না, তাঁরা যুগকে অতিক্রম করে যুগান্তরে পৌঁছান। আর নিজামী সাঈদীরা বেঁচে থেকেও হাজার বার মরে থাকে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।