দু'দিনের তুষারপাতে ব্ল্যাক্সবার্গ ঢেকে গেছে পুরো। স্কুলের ক্লাস বাতিল করে দেওয়া হয়েছে কিছু।
আহা, বিদেশ!
ফ্রিজের বাইরে বরফ দেখার শখ আমার অনেক দিনের। আমেরিকা এসেও ৪ বছর লুইজিয়ানায় থাকার বদৌলতে শীত কেটেছে ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে! গত শীতে ভার্জিনিয়া এসে দেখলাম বরফ। স্লেজিং নামক কাজটা সেবারই জীবনে প্রথম করলাম। এই শীতে বরফ পড়েছে বেশি, কিন্তু জমলো এবারই প্রথম। মাঝে -২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটেও খটখটে শুকনো ছিল।
আমার কাছে বিদেশ মানেই বরফ। শিশুতোষ এক ধরণের রোমান্টিকতা কাজ করে আমার তুষারপাত দেখলে। এই যে একটু আগে ব্ল্যাক আইসে পিছলে পা মচকে আসলাম, শক্ত মাটি মনে করে পানির উপর জমে থাকা বরফে পা দিয়ে জুতা ভিজিয়ে ফেললাম, তবুও ভালই লাগছে। ঝকঝকে রোদ উঠলেও শীত কমেনি। বালু-ঝড়ের মত উড়ছে মিহি তুষারকণা। বাতাস কাঁপিয়ে যাচ্ছে, মুখে সুঁইয়ের মত বিঁধছে, তবু ভালই তো লাগছিলো।
আমার কম্পিউটারটা জানালার পাশে। এখানে বসে দিনরাত প্রকৃতির খেলা দেখি। দু'দিন যাবৎ একটানা তুষারপাত দেখছিলাম। পরশু বের হবার আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দেখিনি। ক'দিন ধরে বৃষ্টি পড়ছিল, ভাবছিলাম তেমনটাই চলবে। ফতুয়া আর একটা জ্যাকেট পরে বেরিয়েছিলাম। চোখের সামনে বৃষ্টির পানি জমে ফ্লারি হয়ে গেল, তার দু'সেকেন্ড পরই পেঁজা তুলার মত তুষারপাত।
আহা, বিদেশ!
এক ফাঁকে পয়েন্ট-অ্যান্ড-ধ্যুৎ ক্যামেরাটা নিয়েই বের হলাম পার্কিং লটে। কিছু ছবি তুলে ফেললাম ঝটপট।
সিড়ি দিয়ে নেমেই... |
বায়ে তাকিয়ে দেখলাম রাস্তা মাত্রই সাফ করা হয়েছে... |
ডান দিকে তাকিয়ে দেখি এই দৃশ্য... |
ভাবলাম এদিকেই দু'কদম এগোই... |
আমার বাড়ি স্টেট হাইওয়ের একেবারেই পাশে। বেড়ার পাশ দিয়ে সেটার দিকে তাকিয়ে... |
দুই বিল্ডিং-এর মাঝের এই ধাপগুলো আমার খুব প্রিয় একটা জায়গায় নিয়ে যায়... |
পেছনের দিকে আমার খুব প্রিয় সেই বেঞ্চটা, যেখানে মন খারাপ হলেই একা বসে থাকি... |
এত বরফ ডিঙিয়ে নিজেকে ততক্ষণে হিলারি-হিলারি মনে হচ্ছে। ক্লিনটনের শয্যাসঙ্গিনী না, হিমালয়-বিজয়ী হিলারি। মনে হল নিজের দাবিটুকু রেখে যাই... |
যাবতীয় রোমাঞ্চ কেটে গেল এই গাছটা দেখে... |
অজান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল। এই গাছগুলোর মতই আলো-হাওয়ার প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে পরে আছি পরের দেশে। নিজের বলতে যেই পাতাগুলো, সেগুলো হারিয়ে গেছে। নুয়ে পড়া শরীরে শুধু ভার বইছি ভিন্দেশি বরফকণার।
ডাক পড়লো স্লেজিং-এ যাবার। কী মনে করে যেন মানা করে দিলাম। গরুর মাংস আর খিচুড়ি রাঁধবো। তুষারকে বর্ষা করে দেবো।
আহা, বিদেশ!
মন্তব্য
অনিকেত দা'র পোস্টের কমেন্ট হিসেবে লেখা। আকারে বিশাআআআআল বড় হয়ে যাওয়ায় আলাদা করে পোস্টালাম।
অনিকেতের পোস্টেই লিখেছিলাম, ভুট্টা ক্ষেতে আর বরফ টরফ এবার পড়বে না। কনকনে যত ঠান্ডাই থাকুক না কেনো, বরফের দেখা আর মিললোনা ঠিকমত এবার, কেবল দুই তিন বার পড়েই শেষ। আমাদের ভুট্টা ক্ষেত ইউনি আবার ছুটি টুটি দানে একেবারেই নারাজ -- ১৯৭৭ এর পরে সেই ২০০৭ এ বরফ-জনিত ছুটি দিয়েছিলো, তাও ১ দিন, আর ঐ দিন সবার বেতন কেটে রেখেছিলো!!
----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম
এবার শীতটা ভয়ংকর ছিল... কিন্তু বরফ সেই অনুপাতে তেমন একটা পড়লো না। বরফ পড়লে খুশি হই। তাপমাত্রা ৩০-এর আশে-পাশে থাকে তখন, অন্যথায় শূন্যের কাছে-ধারে!
Katrina-র পর LSU মাত্র এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল। সেটাও পুষিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ক্লাস করতাম, আর পাশে এসে হেলিকপ্টার নামতো উদ্বাস্তু নিয়ে। ক্লাস সেরে ট্রিয়াজে যেত ছাত্র-শিক্ষক মিলে।
তারই ক'দিন পর বিশ্বকাপ দেখার জন্য বুয়েট ছয় মাস বন্ধ হওয়ার খবর পেলাম। আমরা তো এমনি এমনি পিছিয়ে না!
হে হে হে ----
খিচুড়ির দাওয়াত তো দিলা না মিয়া?
পোলা পাইন গুলা রে নিয়া কী কত্তাম, কত্তা---
খিচুড়ি পর্যন্ত আর যাওয়া হয় নাই। জাতভাই (গরু) রেঁধেই শেষ। এসে খেয়ে যান। একদম দুই দিনের ফ্রেশ!
বরফ দারূণ জিনিস, ঠান্ডা ততটাই খারাপ ... আমাদের এইখানে আজকে ফীলস লাইক মাইনাস টোয়েন্টি নাইন চলতেছে ... একটু আগে বাসায় ফিরলাম, বাস থেকে নেমে চারশো গজ হাঁটতে গিয়েই নাক মুখ সব জমে যাচ্ছিল ঠান্ডা বাতাসে ...
ছবিগুলি অসাধারণ হইছে ... বিশেষ করে চার, ছয়, সাত আর আট ... কোন রং না থাকাটা একটা অন্যরকম মেজাজ নিয়ে আসছে ...
নোভা স্কশিয়ার ওয়েদার মিস্কর্তেছি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আমার ফিলস লাইক 5F (-18C)। বাসের জন্য মিনিট দশেক দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঘরে ফিরে হাত গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হয়েছে বেশ অনেকক্ষণ।
বাইরে তো রঙ বলতে ছিলই দুইটা। বাকিটা যৎ-সামান্য নাড়া-চাড়া। এমনিতেই এখন BW মোডে তোলার ব্যামো ধরছে...
হেঃ হেঃ আমি এখনও আছি লুইজিয়ানায়...গতবছর ১০ মিনিটের জন্য হাল্কা স্নো পড়েছিল (১০ না ১২ বছর পর)...তা নিয়ে স্থানীয় পুলাপানের কি লাফালাফি!!
তবে আমেরিকার প্রথম বছরে ম্যারীল্যান্ডে থাকায় তুষারপাত কাহাকে বলে অল্পবিস্তর দেখেছি বৈকি...স্নোর মধ্যে এক মাইল হেঁটে স্কুলে যেতে হত...
এরচেয়ে লুইজিয়ানার খটখটে রোদই অনেক ভালো!
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট, -২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট - এসব পড়ে হুট করে আন্দাজ করতে পারি না সেন্টিগ্রেডে তা কতো! হিসেব করতে হয়।
নাহ্, বেজায় পিছিয়ে আছে আমেরিকা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এতো বছর আম্রিকাতে থেকেও আমি এখনো মেট্রিক মোডেই রয়ে গেছি। আশে পাশে (বাঙালিরাও) যখন ফারেনহাইটে তাপমাত্রা বলে, আমি ৩-৪ সেকেন্ড ধরে হিসাব করে সেলসিয়াসে কতো তা বের করি, তার পর বুঝি কী বললো।
সহজ সরল মোটা দাগের ফরমুলা যা বের করেছি, সেইটা হলো ৩০ বাদ দিয়ে অর্ধেক। ৩/৪ ডিগ্রির গরমিল হলেও কাছাকাছি হয়।
----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com
----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম
আমি তো শুধুই ফর্মুলায় মেরে হিসেব করতাম। পরে আজমীর একটা ভাল শর্টকাট শেখালো।
ফারেনহাইটে ৩২ থেকে যত ডিগ্রি বেশি/কম, সেলসিয়াসে শূন্য থেকে তার অর্ধেক বেশি/কম।
C/5 = (F-32)/9 => C/(F-32) = 9/5 = 1.8
এই 1.8 কে রাউন্ড করে 2.0 ধরলেই খুব সহজে আন্দাজ পাওয়া যায়।
80F => 80-32 = 48 => 48/2 = 24 ~ 26.67C
এইটা তো আমার ফর্মুলাটাই, আমি এটাকে আরো সহজ করে ৩০ বাদ দেয়ার সিস্টেম করেছি ... মানে ৩২ বাদ দেয়া অনেক কঠিন, তাই ৩০ বাদ দেই এবং অর্ধেক করি।
80F-> (80-30) = 50 -> 50/2=25 (26.67 এর আরো কাছে)।
----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম
রাগিব ভাই যদি বলেন ৩২ বাদ দেয়া কঠিন, তাইলে কেম্নে কি
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ড়াগিব ভাইজানের formula আমার পছহন্দ হয়েছে। আশলেই এটা আরও সহজ।। এটাতে আরও কম error ... ......... এখানে শুরুতেই ২ ফারেনহাইট যা প্রায় ১ সেলসিয়াস এর সমান error দিয়ে শুরু হলেও কাজ শুরু সহজ। তাই শেষে শতকরা ১০ ভাগ যোগ করে ১ বিয়োগ করে দিলেই সহজ সমাধান। দেখি এতে কি হয় - উনার ফলাফল এসেছে ২৫ - এখন এর সাথে ১০% যোগ করলে হবে ২৫+২.৫=২৭.৫ যা থেকে ১ বিয়োগ করলে হবে ২৭.৫-১=২৬.৫ যা কিনা ২৬.৬৭ এর আরও কাছাকাছি। দারুন ............... এই shortcut টা আমার আরও ভাল লাগল। Thanks.
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
একটু কিছু যোগ করি। Formula টিতে ২ দিয়ে ভাগ না করে ১.৮ দিয়ে ভাগ করার কথা। সুবিধার জন্য ২ দিয়ে করা। ২ এর ১০% error হল ০.২ যা আমরা final result এর সাথে যোগ করে দিতে পারি। মানে, যেখানে ফলাফল এসেছে ২৪, তার সাথে ২.৪ যোগ করতে হবে। কেননা, ১০% বের করার খুবই সহজ। দশমিক কে এক ঘর এদিক করা। তাহলে দেখা যাবে, ২৪+২.৪ =২৬.৪ হয়েছে, যা কিনা ২৬.৬৭ এর খুবই কাছাকাছি। লিখতে এবং শুনতে যত কঠিন মনে হয় প্রকৃত অর্থে তত কঠিন নয়।
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
কেন যে ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়ে অ্যাকাউন্টিং পড়তেসো মিয়া...
ছবিতে দেখেই তুষারপাতের মজা নিলাম।
হ্যাব্বি হয়েছে
--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
বিদেশে ঘোরাঘুরির সুবাদে তুষার দেখা হয়েছে কয়েকবার।
লেখা ইশতির মতো হয়েছে । ছবিগুলোতে আপনার অনুভুতির স্পষ্ট ছাপ রেখে দিয়েছেন দেখছি, বিশেষ করে বেঞ্চ আর "অ" লেখা ছবিটাতে!!
.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
বেঞ্চটার সাথে স্মৃতি অনেক। "অ" লিখেছিলাম বাংলা বর্ণমালার প্রথম বর্ণ বলে। পরে মনে হল, নিজের নামের সাথেও মিলে যায়।
প্রফেশন রে ভাই
আগে হাতের লেখা চোখে পড়ে।
হাতের লেখা পরিচ্ছন্ন।
চিত্রগুলিও দারুণ এঁকেছেন, জনাব।
এই ফাঁকে ঘুরে এলাম ইশতির বাসভবনসহ আশেপাশের এলাকা।
সিঁড়ির ছবিটা মন অন্যরকম করে দিচ্ছে...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তুষার নিয়ে সব ছবিই কি বাই ডিফল্ট সাদা-কালো?
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমার কিছু রঙিন ছবি ছিল, কিন্তু ইশতির গুলি দেখে দুঃখ হচ্ছে কেন সাদা-কালোয় ট্রাই দিলাম না
সচল বাঘা বাঘা ফটুবাজে ভরে যাচ্ছে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
সাদা-কালো করা তো সহজ কাজ। রঙিন করা অনেক বেশি কঠিন। মোনোক্রোমে তো স্রেফ ইনফো কমিয়ে ফেলে। পিকাসাও, নয়তো পি'শপাও।
সেটা ঠিক আছে, তবে সাবজেক্টও একটা ম্যাটার ... যে ছবি রংয়ে ভালো লাগে সেটা সাদা-কালোতে ভালো লাগার চান্স কম, এন্ড ভাইস ভার্সা ... তাই ছবি তোলার সময় প্ল্যান না করলে সমস্যা ... [আতেলিক্স ডায়লগ দিয়ে ফেললাম, বসরা হাসবে ]
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
তা হতে যাবে কেন? এই যে দেখুন নিচে। তবে, সবকিছু সাদায় ছেয়ে গেলে তেমন কোন রঙ থাকে না আর। সাদার সমুদ্রের মাঝে থাকে শুধু বরফ-সরানো রাস্তার পিচের কালো, আর গাছের বাকল। নিচের ছবিটা আমার নিজের খুব পছন্দের। বৃক্ষরোপণের সচেতনতা একটু অন্যভাবে প্রকাশ করে ছবিটা।
এসো নীপবনে
বাহ্... ছবিগুলো দেখে আমার সেখানে যেতে ইচ্ছা করতেছে খুব... দারুণ সুন্দর...
এসো নীপবনে ছবিটা বেশি পছন্দ হইছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই ৫ বছরে আমেরিকার অনেক জায়গা দেখেছি। ব্ল্যাক্সবার্গের মত সুন্দর জায়গা পাইনি। আমার ফেসবুকে আশ-পাশের কিছু জায়গার ছবি পাবেন।
উত্তরে শীতে বেশি, দক্ষিণে গরম আর সব কেমন ধূসর, পশ্চিমে মরুভূমি, পূর্বে ঘনবসতি। বৈচিত্র্য বিবেচনায় সাউথ-ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার মত কিছু নেই। জন ডেনভারের গান মনে আছে? ব্লু রিজ মাউন্টেন, শ্যাননডোয়াহ রিভার... একদম সেই এলাকায় অধমের বাস। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা নির্বিশেষে পাহাড়ের সৌন্দর্য অসীম। একদম ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার বর্ডারে আমরা। ওদিকটায় একটু বেশিই পাহাড়ি। আমেরিকা এলে একবার ভার্জিনিয়া টেকের আশ-পাশ ঘুরে যাবেন অবশ্যই। ভূ-স্বর্গ।
পশ্চিমে মরুভূমি ??? প্যাসিফিক কোস্টরে কই ফালায় দিলা মিয়া ? বৈচিত্রে বিবেচনায় ভার্জিনিয়া ? তাইলে তো ক্যালিফোর্নিয়া ভূস্বর্গ হে। ইয়েসোমিটি, রকি মাউন্টেইন কি যাওয়া হয় নি এখনো ?প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ? গ্রান্ড ক্যানিয়ন থেকে ইউটাহ ড্রাইভ করাটাও মনে হয় এখনো হয় নি, মরুভূমিরে এইভাবে ফালায় দিতেন না তাইলে।
আমি পুরা আমেরিকায় সবচেয়ে হতাশ হয়েছি স্মোকি মাউন্টেইন দেখে। উচু উচু টিলা আর অনেক গাছ। এইটার টাইটেল আবার গ্রেট !!! ঐখান থেকে ডিসি যাওয়ার সময় ব্ল্যাকসবার্গ এর পাশ দিয়ে গেলাম। রাত ১০টার মধ্যে গাড়ি জমা দিতে না হলে অবশ্যই ইশতিয়াক রউফকে দেখার জন্য থামতাম।
প্যাসিফিক কোস্ট অবশ্যই খুবই সুন্দর। আমার ঘোরা হয়েছে অরিগনের দিকটা। একবার দেখেছিলাম কোন জরিপে যেন, আমেরিকার টপ টেন দর্শনীয় জায়গার ৬ টা অরিগনের আশে-পাশে। কিন্তু সমস্যা হল সারা বছরের আবহাওয়া খারাপ। এই দিক থেকে ব্ল্যাক্সবার্গ ভাল। চরম-ভাবাপন্ন না। কম-বেশি সব রকম বৈচিত্র্যই দেখা যায় কিছুক্ষণের ড্রাইভে গেলে। সুন্দর তো সব জায়গা-ই... কিন্তু আমার কাছে থাকার জন্য এই দিকটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে। (এই সমীকরণে কিন্তু থাকার খরচও অন্তর্ভুক্ত!)
পরের বার এলে একদিনের গাড়ি ভাড়া আমি দিয়ে দেবো নাহয়!
এক কাজ করি। সচল রিসেপশন কমিটি করে একটা টুর বাস ভাড়া করি।
আমার মনে হয় আবহাওয়ার দিক দিয়ে এসএফও বে-এরিয়াকে বিট করা শক্ত। তবে থাকার খরচও যদি অন্তর্ভুক্ত করতে চাও তাইলে বে-এরিয়া ফেল।
মাথা একদম ফাঁকা ছিল আজকে বিকেল পর্যন্ত। ই-বুকের জন্য তিন খানা উপাদান দরকার -- ছবি, লেখার বিষয়, গল্প। ছবি আর অবলম্বন পেয়ে গেছি। দেখি, সময় করে কিছু একটা লিখে পাঠাবো নে। একদম জীবন থেকে নেওয়া এবারও!
ওরে! ছবি দেইখা মন ভরে যাইতেছে। কিন্তু এটাও ঠিক যে ছবি দেইখা, বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছাও দূরীভূত হইতেছে। একটা মানুষ নাই জন নাই! কথা কমু কার লগে?? আমি তো শ্যাষ পুরাই!
তয় মন খ্রাপ করিস না। ছবিগুলা আসলেই জুশ হইছে!
===
অনীক আন্দালিব
বাহ! দারুন লাগল ছবি গুলো, "অ" খুব সুন্দর হয়েছে
খুব ভাল লাগল, কেমন নির্জন সবাই নিশ্চয়ই ঠান্ডায় বাসায় বসে আছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
সবগুলা ছবিই বসিক!
"দুই বিল্ডিং-এর মাঝের এই ধাপগুলো আমার খুব প্রিয় একটা জায়গায় নিয়ে যায়...", বেঞ্চের ছবিটা আর একদম শেষেরটা (যে গাছ দেখে রোমাঞ্চ কেটে গিয়েছিল) বেশি ভাল্লাগল।
তবে একটা কথা না বললেই না, ছবিগুলা কেমন যেন বিদেশি-বিদেশি!
বিদেশী সবসময় লাগে না। কোন কোন দিন স্রেফ "একটু বেশি পরিষ্কার" লাগে দেখতে। ঐ দু'দিন একদম বিদেশীই হয়ে গেছিল।
ফারেনহাইট আর সেলসিয়াসের বিশাল রহস্য ভেদ করতে পেরে
বিশাল শান্তি পেয়েছি।
'অ' সুন্দর হয়েছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মজা হল, 'অ' বাম হাতে লেখা...
পুরো নাম বাম হাতে লিখতে পারলে বুঝতাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বাপের দেওয়াটায় ভেজাল বেশি (রউফ)। মায়ের দেওয়াটার অবস্থা আরো খারাপ (ইশতিয়াক)। নানার দেওয়াটাই লিখলাম (অভি)। খারাপ হয় নাই মনে হয়।
ভালই মজা লইসেন দেখি, আমরা এই মজা নিসি ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ফেব্রুয়ারির শেষে এমন তুষারপাত দেখে আমরাও একটু অবাক। একটু বেখাপ্পা টাইমে এসে এমন হল। এখন তো একটু একটু করে ঠান্ডা কমার কথা ছিল...
মনে একটা শখ ছিল
ইশতিয়াক রউফ
পুরো নামটা বরফে দেখবো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
"ইশতিয়াক রউফ অভি" দেখতে চাই
আইছে একজন সেরের উপর সোয়া সের! গলে গেছে সব। পরের বার!
বরফে লিখো নাম, বরফ গলে যাবে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- আম্রিকার বরফ ভালু বরফ না, আসল বরফ পড়ে কাসেলে। ঐখানে আবার সঙ্গিনীও (শয্যা না কইলাম) নাকি জোটে শুনি! কিন্তু কাউরে এখনো বরফে নাম দস্তখত করতে দেখি নাই, শুনিও নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেকে বরফের উপ্রে ভিন্নভাবে লেখালেখি করে... খোলসা কইরা কইলাম না, বুইঝা লন
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
পড়ছি আগেই, কিন্তু ছবিসহ পইড়া সেইরকম লাগলো রে দোস্ত!
নতুন মন্তব্য করুন