SOS: আইডিয়া চাই, জরুরী

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি
লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: শনি, ২৯/০৯/২০০৭ - ৩:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাঙ্গালী ছাত্ররা ঝোঁকের বশে একটা 4-Minute Film Fest -এ নাম লিখিয়েছি। সময় আছে আর ২২ ঘন্টা। আইডিয়া দিয়ে বাধিত করবেন কেউ?

Topic: "Secret Ingredient" or, "Things better left unsaid"

এক টানা চার মিনিটের কিছু, বা ছোট ছোট কিছু অণুগল্প খুঁজছি। মানবিক আবেগের পাশাপাশি দেশের কিছু তুলে আনতে চাইছি। কেউ এগিয়ে আসলে আগাম ধন্যবাদ।


মন্তব্য

সুজন চৌধুরী এর ছবি

বিলাই চিমটি বা জামাল গোটা নিয়া করতে পারেন,
মানবিক আবেগের পাশাপাশি দেশীয় উপাদানও আছে।
"Secret Ingredient" or, "Things better left unsaid" উভয়ই পাবেন।

____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

তা দেখানো যায়, কিন্তু 'অনুপযুক্ত' বলে আটকে দেবে। নিজের মত করতে পারলে অনেক কিছুই করা যেত, কিন্তু এটা তো ওরা আলাদা করে দেখবে লাল-সবুজ জামা পরা কিছু বাদামি ছেলেমেয়ের প্রোডাকশন হিসেবে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একটা মেয়ে প্রেমিক বা জামাই থাকা স্বত্ত্বেও ভুল করে ফেইসবুক বা অরকুটের একটা সর্ম্পকে অনেক বেশী জড়িয়ে গেলো। তার পর সে ফিরে আসতে চাইছে। ভাবছে প্রেমিক বা জামাইকে জানাবে কিনা। কল্পনায় দেখাবে জামাইকে জানানোর পর তার প্রতিক্রিয়া, ছাড়াছাড়ি, ছেলেটার আত্মহত্যা। কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে আসবে মেয়েটা একটা ব্লগ লিখতে দেখা যাবে: টাইটেল থিঙ্কস বেটার লেফট আনসেইড।

আমার ভবিষ্যত গল্পের একটা আইডিয়া।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ধন্যবাদ। বাকিদের জানাই এই আইডিয়া, ওদিকে আগাতে থাকুক 'হারিকেন মহজ'।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হিমু ভাই একটা দুর্দান্ত আইডিয়া দিয়েছেন msn-এ। একটি ছেলে ফোনে রান্নার রেসিপি নিচ্ছে, রাঁধছে। মায়ের রান্নার মত হচ্ছে না। এক পর্যায়ে মা বললো, বাচ্চাকাচ্চা জন্ম দিয়ে তাদের জন্য রান্না করলে তখন মায়ের রান্নার মত হবে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি বরং অপেক্ষা করি,৪ মিনিটের মুভি দেখার জন্য ।
মুভিমেকারদের অগ্রীম অভিনন্দন ।
----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

যেমনই হোক, সচলায়তনে পোস্ট করে দিয়েন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

ভাই আমার কল্পনাশক্তি বড়ই কম, আর এইসব ক্রিয়েটিভ কাজের সাথে ছিলামও না কখনো, তাই ভাল কোন আইডিয়া প্রসব করতে পারব না ... তাও সাহস কইরা একটু চেষ্টা করি ...

ইশতিয়াক রউফ লিখেছেন:
মানবিক আবেগের পাশাপাশি দেশের কিছু তুলে আনতে চাইছি।

যেহেতু মানবিক আবেগ আর দেশের কিছু (সেটা হইতে পারে দেশের মানুষের জীবন কিংবা দেশের জন্য ভালবাসা) দেখাইতে চাইতেছ তাহলে তোমাদের প্রবাস জীবন নিয়াই বানাও না কেন? ... থীমটা হইতে পারে এইরকম: সারাজীবনের ঘরকুনো একটা ছেলে হঠাৎ পড়তে যায় আমেরিকা ... সারাদিন পড়ালেখা, কামলাগিরি, পরিচিত কোন মানুষ নাই কথা বলার মত ... সারাদিন মনে পড়ে দেশের কথা, মা-বাবা-ভাই-বোন-বন্ধুবান্ধব-ঢাবি-টিএসসির কথা (প্রেমিকাও আনতে পার চাইলে) ... এইসময় মা ফোন করে ... জিগেস করে কেমন আছিস বাবা ... ছেলে সাথে সাথে জোর কইরা গলায় হাসি নিয়া আসে ... বলে সে কত মজায় আছে ... কত বন্ধুবান্ধব তার ... সবাই খুব হেল্পফুল ... কোন কষ্ট নাই ...

There are some things better left unsaid ...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পছন্দ হল খুব। তবে কুশীলবের অভাব। সময়ের কথা বাদই দিলাম।

ভাস্কর এর ছবি

জানি না এখনো সময় আছে কি না...তারপরেও উপদেশ দেওনের লোভ সামলাইতে পারলাম না। আপনের বিষয় "Secret Ingredient" or, "Things better left unsaid" নিয়া আমার মনে হইলো আপনি yung-এর association of memories নিয়া আগাইতে পারেন। ছোট্ট একটা গল্প...বিদেশের পথে একটা ছেলে হাটতেছে রাস্তা ধইরা...একটা জায়গায় আইসা সে হঠাৎ আটকাইয়া যায়...একটু দূর গিয়া আবার ফিরা আসে...কিন্তু ঠিক বুইঝা উঠতে পারে না ক্যান সে ঐখানে আটকাইলো...সে আবার আগাইতে চায় আবার ফিরা আসে...তার চোখে পরে একটা ছোট একটা ছুরি...পকেট নাইফ টাইপ...ছেলেটা এই ছুরিটা তুইলা হাতে নিয়া দেখে...তার চিন্তিতঃ চেহারা থেইকাই আমরা একটা ফ্ল্যাশব্যাকে যাই পুরাটা মিউট মা ঝাড়ি দিতাছে একটা বাচ্চা ছেলেরে। ছেলেটা কিচেন কিট থেইকা ছোট একটা ছুরি চুরি কইরা নিয়া বাইর হইয়া বাইরে শুকাইতে দেওয়া মায়ের একটা লাল শাড়ির উপর হামলা করে বেশ কয়েকটা জায়গায় কাইটা দেওয়ার পরে তার শান্তি! সে আইসা পড়ার টেবিল পড়তে বসে। তার মা বের হইয়া শাড়ি নিতে গেলে এই অবস্থা দেইখা দিশেহারা। আমরা দেখি নার্ড চশমা পরা ছেলেটা জানালা দিয়া তাকায় ইনোসেন্স নিয়া এই খান থেই কা আমরা আবার বর্তমানে আসি ছেলেটা ছুরিটা জ্যাকেটের পকেটে ঢুকাইয়া আবার হাটতে শুরু করে। তার তাড়া আছে...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

অমিত আহমেদ এর ছবি
সৌরভ এর ছবি

দেখার অপেক্ষায় রইলাম। শুভ কামনা।


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

হাহা ২২ ঘন্টা কি এখনও আছে?

সে যাক। তবু বলি। ৪ মিনিট সময়টা আসলে মূল চরিত্রকে দাঁড় করাতে করাতেই চলে যাবে। সুতরাং শুধু মূল চরিত্রকে রেখেই কাজ সেরে ফেলতে হবে। তবে প্রথম দৃশ্যেই মূল চরিত্রের প্রতি দর্শকদের একধরনের সিমপ্যাথি তৈরি করা দরকার। গল্পটা বাংলাদেশের মানুষের মত সহজ-সরল করে বলি। আজকাল ইউএসএ-তে অবশ্য জটিল ও উইয়ার্ড গল্পের সমজদার বেশি। সেখানে ঠিক বিপরীত একটা ধাক্কা দেয়া যেতে পারে। অনেকটা এখন যেমন অনেক ডিরেক্টার সেভেনটিজ স্টাইলে সিনেমা বানাচ্ছেন। সুতরাং কালার গ্রেডিং ও পোস্ট -প্রোডাকশানে একটা বাংলাদেশি ফিল্মের মত শান্ত শান্ত ভাব রাখা যায়। সত্যজিতের পথের পাঁচালি ভাবলে হবে।

আচ্ছা গল্পে আসি।

মূল চরিত্র ডাঙ্গায় তোলা জলের মাছ। আমেরিকায় এক বাংলাদেশি ছাত্র। কাজ করে কোনো ক্যাফে তে। এর চরিত্রটা দু'একটা দৃশ্যের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে হবে। আগে চরিত্রটা ঠিক করে পরে দৃশ্য পরিকল্পনা।
সিমপ্যাথি জাগানোর জন্য প্রথম দৃশ্যে বিগ ক্লোজাপে এক ভীষণদর্শনা মহিলা। অবোধ্য ইংলিশ ঝাড়ছেন কারো উপর রাগ করে। তার সামনে কোকের বোতল ধরা একটা হাত কাঁপছে। মূল চরিত্র বেলাল হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার আরেক হাতে একটা ছোট্ট নোটবই। কিন্তু নোটবইয়ের দিকে সে ভুলেও উঁকি দিতে পারছে না। বেলালের দুর্দশায় সাহায্য করতে এগিয়ে আসে সুন্দর এক সহকর্মী আমেরিকান মেয়ে। রাগী মহিলা তার এক কথাতেই সন্তুষ্ট হয়। বেলাল হাঁফ ছাড়ে। মেয়েটা বেলালকে আশ্বস্ত করে। মিস্টি করে হাসে। ভারী প্রেমবতী লাগে মেয়েটিকে ।

ক্লোজআপে নোটবুকে ইংরেজি একটা শব্দ লিখছে। হাইফেন দিয়ে বাংলা শব্দ। বেলাল বসে আছে ক্যাফের এক টেবিলে। এখন মানুষের ভিড় নেই। মেয়েটা আসে। এখানে দর্শকদের একটা বিভ্রান্তিতে ফেলতে হবে। যাতে তারা ভাবে মেয়েটা ছেলেটার সাথে প্রেমে আগ্রহী। ছেলেটাও গলে গলে পড়ছে।

ছাত্রদের রুম। বেলালের চরিত্রের মত করে সাজানো। আছে বাংলাদেশের পোস্টার, ছবি, নকশি কাঁথা। একটা ডেস্কে বসে লিখছে বেলাল। আমরা ওর প্রোফাইল দেখি। ওর সামনে কি রাখা তা দেখা যায় না। চিঠিটা সে ভাঁজ করে একটা খামে ঢুকায়। কিন্তু খামটা না লাগিয়ে অন্য কিছু খুঁজে। পায় না। টেবিল ওলট-পালট করে ফেলে।
দরজায় খট খট শব্দ। বেলাল দরজা খোলে। ক্যাফের মেয়েটা দাঁড়িয়ে। মুচকি হাসি। বেলাল ভ্যাবাচ্যাকা। বেলাল মেয়েটাকে ঢুকতে দেয় ঘরে। মেয়েটা ঘুরে ঘুরে দেখে। তারপর হ্যান্ডব্যাগ থেকে বের করে বেলালের নোটবইটা দেয়।

মুহুর্তে খুশি হয়ে যায় বেলাল। দৌড়ে ছুটে যায় ডেস্কের কাছে। মেয়েটাও এগিয়ে আসে। বেলাল মেয়েটাকে দেখায় ডেস্কের সামনে আঠা দিয়ে আটকে রাখা তার প্রেমিকার ছবি। নোটবইটা সে বড় মোটাসোটা খামটার ভেতরে ভরে। খস খস করে ঠিকানা লেখে বেলাল। ঢাকা...বাংলাদেশ।

পোস্টবক্সের ভেতরে খামটা ফেলে দিচ্ছে একটা হাত। বেলাল আর মেয়েটা। বেলাল ধন্যবাদ জানায় মেয়েটাকে। মেয়েটা ওকে হাত নাড়িয়ে বিদায় নেয়। বেলাল তাকিয়ে থাকে পোস্ট বক্সের দিকে।

(এক্ষুণি ছুটতে হবে। আরেকবার পড়তে পারলাম না।)
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সবজান্তা এর ছবি

২ জানি দোস্ত ক্লাস শেষে বের হয়ে আসছে। ১ম বন্ধু খুব ই উত্তেজিত, কারন আজকে তার প্রথম ডেট, এক অসাধারণ সুন্দরী মেয়ের সাথে। উত্তেজিত ভঙ্গিতে সে গল্প করতে করতে এগিয়ে যায়, অপর বন্ধুর সাথে।হঠাৎই সেই অপর বন্ধু খেয়াল করে তার প্রেমিক বন্ধুর প্যান্টের চেইন(জিপার) হা করে খোলা এবং বেশ ভালো ভাবেই খোলা।

ওই বন্ধু বলতে যাবে এই চেইন এর কথা, কি মনে করে একটা মুচকি হাসি দিয়ে, বাই বলে চলে গেল।

শেষ দৃশ্য হবে, ওই প্রেমিক বন্ধু হেটে যাচ্ছে, ক্যামেরার মূল ফোকাসে থাকবে, বন্ধুর খোলা চেইন।

আর ব্যাকগ্রাউন্ডে লেখা উঠবে, Things better left unsaid. ( অথবা কন্ঠস্বরও দিতে পারেন)।

এমন অশীল আইডিয়া দাওয়ার জন্য দুঃখিত। তবে, সামান্য পংগটামি আল্যাউড হলে, ভেবে দেখতে পারেন।

-----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

অয়ন এর ছবি

এই আইডিয়া থেকে ছবি বানাইলে সেইটা শুধু ইউরোপে মুক্তি পাবে। হলিউডের ছবিতে তো ব্যাপক কাটাকাটি । আসল মজাই থাকেনা।

নিঘাত তিথি এর ছবি

হাসি
ইশতিয়াক রউফকে ধন্যবাদ, তার এই sos নোটিশের কারনে অনেকগুলো শর্ট ফিল্ম স্টোরি রাইটার পাওয়া গেলো!

গুডলাক ইশতিয়াক, দেখার অপেক্ষার রইলাম।

--তিথি

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

একটা ছেলের হাতে একটা বেড়াল।
একজন হুজুর জিজ্ঞেস করলো :এই ছেলে তোর নাম কী?
......

বাকী টা বলবো না।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এইটাই বেস্ট দেঁতো হাসি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হ, একমিনিটেই ছবি শেষ।
কিন্তু পরিচালক দুনিয়া জুড়ে হিট।
দুই একটা পুরষ্কারও জুটে যেতে পারে।

অমিত আহমেদ এর ছবি
ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আরিফ ভাইয়ের বিড়ালনামা সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে। সময়ের অভাব এবং আরো কিছু বিচিত্র কারণে কাজ আগালো না। সেই কাহিণী পরে পোস্টাবো। আপাতত প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি এত্ত সুন্দর প্লটগুলোর একটা বিহীত করার।

WarlorD এর ছবি

এই পেজটি পড়ে দেখুন। আশা করি আপনাদের প্লটের অভাব হবেনা। আপনারা নিজেরাও ঘটনা গুলো একটু ভেবে দেখুন। সব গুলোই সত্যি ঘটনা।
http://www.omicronlab.com/forum/index.php?showtopic=1069&pid=7380&st=0&#entry7380

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।