ফিওদর দস্তয়েভস্কির প্রথম উপন্যাস> অভাজন।।

জাহেদ সরওয়ার এর ছবি
লিখেছেন জাহেদ সরওয়ার (তারিখ: শুক্র, ২২/০৮/২০০৮ - ১:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জগতে সম্ভবত এই একজন লেখক যার লেখা বই নি:সন্দেহে কেনা যায় এবং র্নিদ্বিধায় পড়া যায়। দস্তয়েভস্কির লেখা সব বইই প্রায় পড়া। তার সব বই ই বার বার পড়া যায়। বিরক্ত লাগেনা আবেদন কমে না। এই বইটা রাদুগা থেকে ননী ভৌমিকের অনুবাদে অভাজন নামে প্রকাশ পেয়েছে। ইংরেজরা বোধয় এটার নাম দিয়েছে পুওর। যাই হোক এটা একটা পত্র উপন্যাস। ভারেন্কা ও মাকার নামের দুজন গরীব নারী পুরুষের পরস্পরকে লেখা বেশ কটি পত্রের ভেতর এই উপন্যাসের বয়ান। মাকার নিম্নবিত্ত এক কেরানী মেসে থাকে। আর ভারভার ওরফে ভারেন্কা ভাসমান এক নারী যার ইহজগতে কেউ বেচে নাই। এবং যে খুব তুখুড় এক পাঠিকা। ওর মাধ্যমে এই কেরানীও আধুনিক রুশ সাহিত্যের স্বাদ নিতে পারে। এই বইয়ের চরিত্রগুলো আর পুশকিনের গোগলের বইয়ের চরিত্রগুলো মিলেমিশে এক হয়ে যায়। ওরা পরস্পরকে প্রচন্ড ভালবাসে। ভারেন্কার ভরনপোষন করতে গিয়ে প্রায় নিস্ব হয়ে যায় মাকার আলেক্সায়েভিচ। শেষে কি হল তা পড়ে নিতে অনুরোধ রইল। দস্কয়েভস্কির মতো নীচুতলার মানুষদের করুণ জীবন নিয়ে আর কোনো লেখক এত দরদ দিয়ে লিখতে পেরেছে বলে মনে হয়না। কিন্তু দস্তয়েভস্কির নায়করা শেষ পর্যন্ত দেখতে চায় একটা রেডিক্যালি চ্যন্জ। সেটা তার নিজের জীবনেও সত্য। কিন্তু তারপর আশ্রয় নেয় বাইবেলে। এক অদ্ভুদ দ্বান্ধিক চৈতন্য তার।


মন্তব্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পড়ার আগ্রহ জন্মালো।
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

সবজান্তা এর ছবি

কিন্তু ভাই মাশা, শুধু বই এর নাম বললে তো হবে না, বই এর সন্ধানও দিতে হবে।

আমার জানা মতে রাদুগা পাবলিশার্সের বই আর পাওয়া যায় না। যা কিছু টুকিটাকি পাওয়া যায়, তা ঢাবির সামনের ফুটপাতে আর নীলক্ষেতে।

এর বাইরে আর কোথায় এই বই পেতে পারি, কোন আইডিয়া ?


অলমিতি বিস্তারেণ

রণদীপম বসু এর ছবি

সহমত @সবজান্তা।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পলাশ দত্ত এর ছবি

কিন্তু উপন্যাসটা তো শুরুই হয় নাই এখনো! ভুল বুঝলাম না তো??

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

ঝরাপাতা এর ছবি

পড়ার আগ্রহ বোধ করছি।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।