জন স্টেইনব্যাকের উপন্যাস'দ্যা পার্ল'

জাহেদ সরওয়ার এর ছবি
লিখেছেন জাহেদ সরওয়ার (তারিখ: বুধ, ২৯/০৮/২০০৭ - ৩:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা উপন্যাসে কি কি থাকলে তাকে আমরা মহৎ উপন্যাস বলতে পারি এ রকম কোনো নিয়ম আছে কিনা আমি জানিনা। তবে ক্রিয়েটিভ রাইটিং প্রোগ্রাম গুলোতে শুনেছি এ রকম কিছু লেসন আছে। আমার মনে হয় সেটাও যে সব উপন্যাস ইতিমধ্যে মহত্বের পযর্ায়ে পড়ে। তা থেকেই ধারনা টা নেয়া হয়েছে। শিল্পী আর তাতি্বকদের পথ আলাদা। কার্লমার্ক্স পুঁজির গতিবিধি বোঝাতে দাস ক্যাপিটাল নামের বিশাল পুস্তক রচনা করেন। কিন্তু জন স্টেইনব্যক তার দুই তিন ফর্মার উপন্যাস দি পার্লের ভেতর দিয়ে তা অন ায়াসে দেখাতে পারে। কিনো এক জন জেলে যাকে বলা হয় চিকিৎসা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত একজন গেয়ো লোক। তার স্ত্রী জোয়ানা ও তাই। আর তাদের একমাত্র শিশু সন্তান। কিনো একটা সময়ে সমুদ্রের সবচাইতে বৃহৎ মুক্তাটা পায়। এটা হচ্ছে পুঁজির প্রতিক। আর সাথে সাথে তার অবস্থান বদলে যায় সমাজে। তার কাছে পাদ্রী আছে সে গীর্জার উন্নয়নের জন্য মুক্তোটা চায় তার কাছে। এই সে লোক যে গরীব বলে তার সাথে কথাই বলতো না। তবে তার ছেলেটাকে বৃশ্চিক দংশনের পর ঘঠনাটা মোড় নেয় অন্যদিকে। এর পর ছেলেটাকে নিয়ে সে যায় নিকট শহরে ডাক্তারের কাছে। এযেন ডাক্তারের কাছে যাওয়া নয় যেন অনন্ত মিছিল। প্রথমে ডাক্তার পাত্তাই দিল না। এক পর্যায়ে সে চলে আসে আশা ছেড়ে দিয়ে। কিন্তু ইতিমধ্যে ডাক্তার তার বৃহৎ মুক্তো পাওয়ার খবর শুনার পর একেবারে তার বাড়ীতে উপস্থিত হয়। রাতে আসে ডাকাত চোররা। তারা কিনো কে ছুরি মেরে যায়। জোয়ানা ভাবে আসলে অশুভ এই মুক্তোটি। তার পর কিনো মুক্তোটি সমুদ্রেই নিক্ষেপ করে। জন ষ্টেইনব্যকের ভাষা অসাধারণ। মনে হয় যেন কবিতা পড়ছি। পড়তে পড়তে তলস্তয়ের' হাও মাচ ল্যন্ড নিড আ ম্যান' এর কথা মনে পড়ে


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার বর্ণনা শুনে অনেক আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে। আমি অবশ্য ইংরেজিতে বেশিক্ষণ ধৈর্য রাখতে পারি না। অনুবাদ খুঁজে দেখবো। তবে প্রথম কাজ গুটেনবার্গে সার্চ দেওয়া।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

স্টাইনবেকের অব মাইস অ্যান্ড মেন আমার খুব প্রিয়।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।