দ্রোহের আগুন ছড়িয়ে গেল পৃথিবী জুড়ে

ঝরাপাতা এর ছবি
লিখেছেন ঝরাপাতা (তারিখ: সোম, ১১/০২/২০১৩ - ১১:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল আজ একাত্ম যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে। স্লোগানে-সঙ্গীতে-প্রত্যয়ে মুখরিত রাত-দিন ক্লান্তিহীন শাহবাগ চত্ত্বর। যেই স্ফুলিঙ্গের সূচনা হয়েছিলো শাহবাগে আজ সেটা ছড়িয়ে গেছে সারা পৃথিবীতে। গতকাল পার্থ, সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিসবেনসহ অষ্ট্রেলিয়ার বড় বড় শহরগুলোতে হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ। একই সময়ে অর্থাৎ গতকাল বিকেলে ব্রিসবেন থেকে প্রায় ৯৪ কি.মি. দূরের একটি ছোট্ট শহর গোল্ডকোস্টে আমরা প্রায় অর্ধশতাধিক বাঙ্গালী জড়ো হয়েছিলাম একাত্তরের ঘাতক রাজাকারদের ফাঁসীর দাবীতে।

যেভাবে শুরু:
প্রতিদিন শাহবাগের গন-আন্দোলনের খবর পড়ি, ছবি দেখি আর নিজেকে ধিক্কার দেই কোন কিছু করতে না পারার অক্ষম যন্ত্রণায়। এর মধ্যে গত শুক্রবার বদিউল ইসলাম ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারি রোববার উনারা ব্রিসবেনে ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ডের সামনে একত্রিত হবেন রাজাকারদের ফাঁসির দাবী জানাতে। এদিকে রোববার ছিল গোল্ডকোস্ট বাঙ্গালী কমিউনিটির ফোরামের সদস্য নির্বাচনের ভোট, প্যাসিফিক পাইনস পার্কে। আমাদের কয়কেজনের উদ্দেশ্য ছিলো ভোট দিয়ে ব্রিসবেনে চলে যা্ওয়া সংহতি সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য। এরই মাঝে শনিবার বিকেলে ফেইসবুকের জিসিবিসি (গোল্ড-কোস্ট বাংলাদেশ কমিউনিটি) গ্রুপে সোনিয়া মেহের আপু প্রস্তাব করলেন- কালকে যেহেতু ভোট উপলক্ষে আমরা একত্রিত হচ্ছি, আমরাই একটা প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করি না কেন? গ্রুপের সবাই সম্মতি দিলেন প্রস্তাবে। নানা ধরনের মতামত এলো- সেদিন কি করা যায় সে সম্পর্কে।

প্রতিবাদের প্রহর:
রোববার, দুপুর আড়াইটা। আস্তে আস্তে সবাই ভিড় জমাতে শুরু করলো প্যাসিফিক পাইনস পার্কে। সবার কব্জিতে আর কপালে বাঁধা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে রিবন, কারো টি-শার্টে লেখা “রাজাকারের ফাঁসি চাই”, কেউ এসেছে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে, কেউ এসেছে সাদা-কালো বা বর্ণিল পোস্টার নিয়ে। আর সবাই নিয়ে এসেছে সাথে রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে মুর্হুমুহু স্লোগানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আমাদের অনুষ্ঠান। সেই স্লোগান চলতে থাকে অবিরাম, একজন থামেন তো আরেকজন শুরু করেন। স্লোগানের পর বাজানো হয় গনসঙ্গীত “জনতার সংগ্রাম চলবেই”। গনসঙ্গীত শেষে আবারো শুরু হয় চারিদিক প্রকম্পিত করা স্লোগান। মুহুর্তে মনে হচ্ছিলো আমরা যেন শাহবাগে আছি। সবশেষে হৃদয়ের সবটুকু আবেগ দিয়ে আমরা সম্মলিত কন্ঠে গাই “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”। চিরদিন মাতৃভূমিকে ভালোবাসার, জামাত-শিবির ও রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেষ হয় সংহতি সমাবেশের। আবারো দেখা হবে বন্ধুরা প্রতিবাদে-মিছিলে, আবারো এক হবে অগনিত কন্ঠ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে।

:: প্রতিবাদের কিছু ছবি ::

ছবি: 
15/06/2007 - 8:09অপরাহ্ন
15/06/2007 - 8:09অপরাহ্ন
15/06/2007 - 8:09অপরাহ্ন
15/06/2007 - 8:09অপরাহ্ন
15/06/2007 - 8:09অপরাহ্ন
15/06/2007 - 8:09অপরাহ্ন
15/06/2007 - 8:09অপরাহ্ন

মন্তব্য

ক্লোন৯৯ এর ছবি

চলুক

মানিক মনিরুল এর ছবি

অনেক ভাল লাগল, দেশের বাহিরে থেকেও আপনারা দেশকে ভুলে যাননি।অনেকে দেশে থেকেও ঘরে বসে মশা মেরেছে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও আমি একদিন গিযেছিলাম শাহবাগে।আমার ভাবতে অনেক ভাল লাগে যে আমি এক জন বাংলাদেশি।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

চলুক চলুক

সাইদ এর ছবি

আনন্দ তোমারে দেইখা ভাল লাগছে।
ভাল থাইক।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অস্ট্রেলিয়ার সবগুলো প্রতিবাদ সমাবেশের ছবি জোগাড় করে একটা স্লাইড শো বানিয়ে আরেকটা পোস্ট দিন। এগুলো আর্কাইভে থাকতে হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।