পদত্যাগ বা দেশত্যাগ কোনো সমাধান নয় : দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন

যূথচারী এর ছবি
লিখেছেন যূথচারী (তারিখ: সোম, ২৪/১২/২০০৭ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফ্রান্সে পুরাকৃতি "পাচারের" প্রাক্কালে বিমানবন্দর থেকে প্রত্নসম্পদ খোয়া যাওয়ার ঘটনায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা আইয়ুব কাদরী। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মহামূল্যবান অংশ সবার চোখের সামনে পাচার, লুট বা ধ্বংস করার পর পদত্যাগ বা দেশত্যাগ কোনো সমাধান হতে পারে না। যারা প্রত্নসম্পদ বিদেশে পাঠানোর সঙ্গে জড়িত, তাদের সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। যেভাবে প্রকাশ্যে এই "পাচার"-এর ঘটনা ঘটেছে, সেভাবে প্রকাশ্যে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো যেতে পারে কিংবা সারা জীবনের জন্য এই ঘৃণ্য অপরাধীদের কারাগারের কনডেম সেলে রাখা যেতে পারে।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

বিষ্ণুমূর্তি দুটির ওপর কিছু জানান প্লিজ। আনুমানিক কোন সময়ের জিনিস এগুলো? বর্তমান বাজারমূল্য কেমন হতে পারে?


হাঁটুপানির জলদস্যু

যূথচারী এর ছবি

এগুলো নবম শতাব্দীর।

বাজারমূল্য? পাথরের দাম প্রতিটির প্রায় ১০ হাজার টাকা। বর্তমান কালে তৈরি হলে হয়তো লাখখানেক টাকা মূল্য হতো বা তারও বেশি। এর সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মূল্য যোগ করলে হয়তো মূর্তি দুটোর প্রকৃত দাম পাওয়া যাবে।

এই ধরনের পুরাকৃতি ইয়োরোপ-আমেরিকায় একেকটি কোটি টাকা বা তারও বেশি মূল্যে বিক্রি হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের একটি মূর্তির রেপ্লিকা নিউ ইয়র্কে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শাস্তি দরকার, তবে পদত্যাগের সংস্কৃতিটাও গড়ে ওঠা জরুরী। অযোগ্যের বিধান বিধেয় হতে পারে না। এই রীতিটা আগে থেকে থাকলে মরহুম কর্নেল আকবরের যন্ত্রনা থেকে বেঁচে যেতাম। আল্লাহ'র মাল আলতাফের কথা বাদই দিলাম।

বজলুর রহমান এর ছবি

কোন চ্যানেলেই তো এখনো পদত্যাগের ঘোষণা দেখছি না। কাদরী শুধু বলেছেন, বাকিগুলো পাঠানো আপাতত বন্ধ।

ফরাসী দূতাবাস বলেছে - মিডিয়া এই প্রদর্শনী নিয়ে বাড়াবাড়ি না করলে এমন ঘটনা ঘটত না, সব নির্বিঘ্নে গিমেতে পৌঁছে যেত।

পদত্যাগ এর আগে করেছেন - সুলতানা কামাল, হাসান মাশুদ চৌধুরী, আকবর আলী, এবং চৌধুরী শফি সমি। চতুর্থ জন পরে সম্মান খুইয়েছেন বোকার মতো ৭০০০ টাকার ভ্যালেরীকে সরিয়ে একই পদে বেশ উঁচু "সম্মানী" নিতে গিয়ে। আকবর আলী এবং হাসান মাশুদও আগের মর্যাদায় ভালো সরকারী পদ পেয়েছেন। যদিও এ দুজনের বর্তমান কাজকর্ম কি সেটা খুব পরিষ্কার নয়। সুলতানা কামাল আইন সালিশ কেন্দ্রে নিজের পরিচিত দায়িত্বে ফিরে স্বস্তি পেয়েছেন , মনে হয়। অবসরপ্রাপ্ত মানুষ নতুন পাওয়া লোভনীয় পদ সহজে না ছাড়াই স্বাভাবিক।

যখন মইনুলের ভাই মঞ্জু রেল মন্ত্রী ছিল, তখন বেশ কয়েকটা বড় রেল দুর্ঘটনা হয়। সাংবাদিকরা মঞ্জুকে স্মরণ করিয়ে দেন যে,ভারত ও অন্যান্য অনেক দেশে এসব ক্ষেত্রে মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। মঞ্জু বলেছিলেন - আমি কেন পদত্যাগ করব? দোষ কোথাকার লাইন্সম্যানের, না ড্রাইভারের, না কার। আমি তো মন্ত্রী।

এদেশে পদত্যাগের জন্য চা খাওয়ার দাওয়াত দরকার।

হিমু এর ছবি

ফরাসী দূতাবাসের বক্তব্য লক্ষণীয়। একটি দেশের মিডিয়ার আচরণকে তারা "বাড়াবাড়ি" বলার ধৃষ্টতা দেখায় কিভাবে? মিডিয়া কি তাদের পুটকিতে আঙুল দিয়েছিলো নাকি? এই প্রত্নসম্পদ কারো বাপের জিনিস না, বাংলাদেশের সব মানুষের সম্পদ, এবং এটা নিয়ে নয়ছয় করা হচ্ছে সন্দেহ হলে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার সবারই আছে। আজকে ল্যুভর থেকে লা জ্যকোন্দা বাংলাদেশে আনার প্রস্তাব উঠুক না, দেখি তথাকথিত সুসভ্য ফরাসীদের আচরণ কেমন হয়?


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুজিব মেহদী এর ছবি

যূথচারী, পদত্যাগের ঘোষণার সূত্র কী? আমি তো সচলায়তনের প্রতি অতি আস্থায় আপনার পোস্ট পড়ে গিয়ে ভরা আড্ডায় খবরটা ছেড়ে দিয়েছি। এখন দেখছি কোথাও এর সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে না। কাল বন্ধুরা আমার কথাকে আর পাত্তা দেবে বলে তো মনে হচ্ছে না।!
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

যূথচারী এর ছবি

কিন্তু খবর তো সত্যি, একজন সাংবাদিক যখন তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি পদত্যাগের কথা ভাবছেন, তখন তিনি বললেন, আপনি কি আমার পদত্যাগ চাইছেন। এরপর সাংবাদিকটি বললেন, আপনি নিজে কি ভাবছেন? তিনি বললেন, আই অ্যাম থিংকিং এবাউট দ্যাট।
সবগুলো চ্যানেলেই তো এই বিষয়টা দেখালো এবং নিউজ-ও ছিল "পদত্যাগে কথা ভাবছেন উপদেষ্টা আইয়ুব কাদরী", বাংলাভিশন এবং ইটিভির লিড নিউজ-ও ছিল এটা।

আর আমি যখন পোস্ট-টা দেই তখন এটা ছিল বিডিনিউজের লিড নিউজ। ওদের "ব্রেকিং নিউজ সার্ভিস" থেকেই আমি প্রথমে নিউজটা পাই। তার পর ওদের ওয়েব সাইটে গিয়ে কনফার্ম হয়েই পোস্ট-টা দিয়েছি।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।