পাণিনি-ই মানিনি, আর রবীন্দ্রনাথ? ঘ্যাচ করে কেটে দিন!

যূথচারী এর ছবি
লিখেছেন যূথচারী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৬/২০০৭ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
ব্লগিংয়ের জন্য কথ্য ভাষা পছন্দ করেন জামাল ভাস্কর। প্রমিত লিখতে নাকি জান বেরিয়ে যাচ্ছে! আমার অবশ্য কথ্য লিখতে গেলেই জান বেরিয়ে যায়। আসলে আমার জন্য লেখালেখিটাই কষ্টকর। তবু আমি জামাল ভাস্করের এই কথাগুলো সমর্থন করি। "গুতোগুতির শীর্ষে আজ", "ঘ্যাচাং", "টিপি দেন" ইত্যাদি খুবই চমৎকার। সুনীতিবাবু বাংলা ভাষায় কি এবং কী বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের আলোচনার সূত্র* ধরে বলেছিলেন, "পাণিনি-ই মানিনি, আর রবীন্দ্রনাথ? ঘ্যাচ করে কেটে দিন।" তার ঘ্যাচ শব্দটি আমার মনে ধরেছে। তার চেয়েও বেশি মনে ধরেছে না মানার, আয়তন ভাঙ্গার যে সাহস তিনি দেখিয়েছেন- সেটা। সচলায়তনের বাংলা ভাষাকে আমরা কি মানুষের মুখের ভাষার আরেকটু কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারি না?

মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
পারুম না ক্যালা? নিঘঘাত পারুম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আব্বে, কেঠায় কইছে পারুম না? খালি দেইখা যান। খালি লইয়াই যামু না এক্কারে হোতাইয়া লামু না! _________________________________ <স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
হযবরল এর ছবি
কুনো বেপার না।
অমিত এর ছবি
খিয়াল কইরা। কেউ "পসন্দ" কইলে একদম খোমা ফাটায় দিমু।
হিমু এর ছবি
চলেন পারি কিছু।
সুমন চৌধুরী এর ছবি
পারতাছি তো! ....................................... ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
কনফুসিয়াস এর ছবি
জোর না করে যতটুকু যায় ঠিকাছে। আমি কোন জোরাজুরিতে নাই। -যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হাসান মোরশেদ এর ছবি
সহমত@কনফু । ভাষা যদি যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যম হয় তাহলে বোঝানো এবং বোঝতে পারাটাই মুখ্য ব্যাপার । আমি যখন একটা কমন প্লাটফর্মে কথা বলছি বা লিখছি, আমার ভাবা দরকার অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগটা ঠিক হচ্ছে কিনা । আমার কথ্যভাষা সিলেটী বাংলা । এমন অনেক শব্দ আছে যা এই ব্লগের অনেকেই বোঝবেননা । এঁদেরকে বোঝানো যদি আমার উদ্দেশ্য হয় সে ক্ষেত্রে আমার কথ্যভাষাটা এড়িয়ে যাওয়াটাই কি সমীচিন নয়? -------------------------- আমি সত্য না হইলে গুরু সত্য কোনকালে?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
নাহ, মুখের ভাষাকে হয়তো আলাদা একটা সংজ্ঞা দেয়া যায়। ঠিক আঞ্চলিক না। ঢাকায় বা বাংলাদেশের রাজধানীতে কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, বরিশালের মানুষের আঞ্চলিক ভাষা মিলে মিশে একধরনের একটা কথ্য ভাষা চালু আছে। সেটাকে মুখের ভাষা বলা যায়। অথবা ছাপার অক্ষরের মত খটোমটো নয়, সরকারী প্রেসনোটের মত নয় এরকম সহজ ভাষা বুঝাতেও মুখের ভাষা কথাটা ব্যবহার করা যায়। লেখার ভাষাও জনপ্রিয়তার তাগিদেই মুখের ভাষার দিকেই ধায়। এখন এই যে সচলে লেখা গুঁতোগুতির শীর্ষে এটা কি মুখের ভাষা হলো? মুখে এপারে আমরা গুঁতাগুতি বলি গুঁতোগুতি না। যমুনা/পদ্মার ঐ পারে অন্য কথা। আবার শীর্ষে কেন? এ তো মোটেই মুখের কথা নয়। ডগায়, মাথায়, আগায় হতো পারতো। তার মানে এখানে রস চেষ্টা। ঠিক মুখের ভাষার ব্যবহারটা সফলভাবে হয়নি। একইভাবে টিপি দেনটা মুখে কমই শুনি। বরং টিপ দ্যান শুনি। টিপা দেন শুনি। যাতা দেন হতে পারে। চাপ দেনও চলে। তবে চাপেন বললে সরেন বুঝাবে।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হাসান মোরশেদ এর ছবি
খাইছে! -------------------------- আমি সত্য না হইলে গুরু সত্য কোনকালে?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি
ঐতিহাসিকভাবে সমকালীন খবরের কাগজের ভাষাই কিন্তু সাহিত্যের ভাষার মানদণ্ড ঠিক করেছে। কমলকুমার মজুমদাররা অবশ্যই ব্যতিক্রম, কিন্তু বিদ্যাসাগর-বঙ্কিম থেকে শুরু করে এই কিছুকাল আগে পর্যন্ত তা-ই ছিলো। এখন সংবাদপত্রের পাশাপাশি আরো সব শক্তিশালী ও কার্যকর মিডিয়া গড়ে উঠছে। ইন্টারনেট-ব্লগ এইসবও ওই পর্যায়ভুক্ত। যে মাধ্যম যতো কার্যকর, হয়তো তারাই নির্ধারণ করবে সাহিত্যের ভাষা কী হবে। তর্ক-বিতর্ক আরো চলুক।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।