কাইদান ছয় : ফেরা

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/১২/২০১৩ - ১২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাত অনেক। ওতাকু বাড়ি ফিরছিলো। কিয়োতো'য়, রাস্তার এক পাশে তার বাড়ি। এখনো অনেক দূরের পথ। সারাটা শহর কবরের মত নিশ্চুপ হয়ে আছে।
কিইয়ো কি এখনো অপেক্ষা করে আছে বাড়িতে?

হাঁটার গতি বাড়িয়ে দেয় ওতাকু।

তার মনে পরে কিইয়োর মুখ। বেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলো ওরা। অভাব অনটন গ্রাস করেছিল চারপাশ থেকে। পেশায় সামুরাই ওতাকু । প্রভু মারা গেলে কাজের অভাবে গরীব হয়ে পড়ে ওদের গোত্রের সবাই। দোজো'তে ধুলো পড়ে। তবু সারাদিন বসে থাকা, মাঝে মাঝে ছোট খাটো কাজ করা। কিন্তু কতদিন? বিষিয়ে উঠছিল ওতাকুর মন।

তাঁত বুনতো কিইয়ো। সে পয়সা দিয়েই কোনমতে তাদের সংসার চলতো। সুন্দরী ছিলো কিইয়ো..খুশি ছিলো। একদিনের জন্যও কিইয়োর মুখ থেকে হাসি সরতে দেখেনি সে। অভাবের দিনগুলিতেও না। কিভাবে পারলো সে কিইয়োকে ছেড়ে যেতে?

অর্থকষ্টের এই অপমান একদমই মেনে নিতে পারেনি ওতাকু। মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল তার। সবসময় বাইরে বাইরেই থাকতো। বাসায় ফিরে কিইয়োকে দেখলেই রাগ লাগতো। সবকিছুর উপর মন বিষিয়ে গিয়েছিল পুরোপুরি। তাই যখন দূরের মুলুকের- এক সচিবের অধীনে চাকরীটা পায়, দ্বিতীয়বার চিন্তা করেনি সে। শুধু তাই নয়; ভবিষ্যতের লোভে কিইয়োকেও ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আসলে শর্তটাই ছিল এমন, চাকরী করতে হলে সচিবের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। আপাতত দুই বছরের চাকরী, পরে বাড়ানো যাবে। মনে পড়ে কিইয়োর সেই বুকভাঙ্গা কান্না, তাকে ফেরানোর চেষ্টা। একটু জিরিয়ে নিতে থামে ওতাকু।

জায়গাটা প্রথম প্রথম বেশ ভাল লাগে তার। নতুন পরিবেশ, নতুন কাজ। কিন্তু তার দ্বিতীয় বিয়েটা সুখের ছিলো না। তার স্ত্রী ছিলো মানসিক বিকারগ্রস্ত। হয়তো এ জন্যই বিয়ের এই শর্ত। পাথরের মত ভাবলেশহীন হয়ে থাকতো সে ওতাকুর সামনে। ওতাকু যুবক, কাজ করতে পারে সে দিনরাত। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর সে একটু স্ত্রীর সাহচর্য আশা করতো। কিন্তু সে তার সামনেই আসতে চাইতো না। রাতগুলো তার কাটাতে হতো বাগানের ঘরে। তার স্ত্রী, সারাদিন সাজ-প্রসাধন, এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতো।

আস্তে আস্তে এই একাকী জীবনযাপনে ক্লান্ত হয়ে পড়ে ওতাকু। তার মনে পড়তে থাকে কিয়োতোর কথা, কিইয়ো’র কথা। বুঝতে পারে, কিইয়োকে কতটা ভালবাসে সে। ভাবে- কী ভয়ানক অন্যায় করেছিলো সে কিইয়োর সাথে, কিরকম অকৃতজ্ঞের মত সে ছেড়ে চলে এসেছিলো তাকে। তার অনুশোচনা বাড়তে থাকে; দিন দিন অনুতাপের আগুনে দগ্ধ হতে থাকে সে। মনের শান্তি নষ্ট হতে থাকে কিইয়োর কথা ভেবে ভেবে। কিইয়োর শান্ত কোমল কন্ঠস্বর, তার হাসি, তার ভালবাসা- তাকে দিনরাত তাড়া করে ফিরতে থাকে।

মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখে সে কিইয়োকে, তাঁতের যন্ত্রে বসে কাপড় তৈরী করছে কিইয়ো, মুখে সেই চিরচেনা শান্ত সুন্দর হাসিটা ঝুলিয়ে রেখে। কাপড় বিক্রী করেই সে সংসারটা টিকিয়ে রেখেছিলো তাদের দুঃসময়ের দিনগুলিতে। তবে সবচেয়ে বেশী দেখে তাকে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে, একা, তাদের ছোট ঘরটাতে- যেখানে ওতাকু তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো। কিইয়ো কাঁদছিলো কেবল, তার নোংরা ছেঁড়া আস্তিনে মুখ লুকিয়ে।

এমনকি সকালে কাজের সময়গুলিতেও সে হারিয়ে যেতে থাকে কিইয়োর চিন্তায়; কোথায় আছে সে, কেমন আছে..। তার মন বলে কিইয়ো হয়তো এখনো অন্য কাউকে স্বামী হিসেবে মেনে নেয়নি; আর ফিরে গেলে হয়তো তাকে ফেরাবে না, নিশ্চয়ই তাকে ক্ষমা করে দেবে তার প্রিয়তমা কিইয়ো। আর তাই সে গোপনে পরিকল্পনা করে কিয়োতো ফিরে যাবার— কিইয়োর কাছে ক্ষমা চাইবার, তাকে আবার আপন করে নেবার, প্রায়শ্চিত্ত করবার। কিন্তু সুযোগ বা ছুটি কোনটাই মেলে না, আর দেখতে দেখতে দুটি বছর কেটে যায়।

আজ সেই দিন। শর্ত মত আজকেই শেষ হয়েছে তার চাকরীর মেয়াদ। ওতাকু দেরি করে নি, সবিকছুই পরিকল্পিত ছিলো তার। সে বাড়িতে এসে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়েছিলো তার বাবার বাড়িতে। আর বেরিয়ে পড়েছিলো কিয়োতো’র পথে, এমনকি কাজ থেকে এসে জামাকাপড়ও পাল্টায়নি সে।

বড় রাস্তাটার দিকে তাকায় ওতাকু। এ রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলেই কিছুদূর পর তাদের বাড়ি। রাত অনেক, বছরের নবম মাসের দশম দিনের রাত এটা। চারদিক নীরব, নিঝুম। কিন্তু আকশের চাঁদটা বেশ উজ্জ্বল, চারদিক বেশ পরিষ্কার দেখা যায়।

এসে পড়েছি! ঐতো বাড়ি!

দূরে বাড়ি দেখে খুশি হয়ে ওঠে সে; এগিয়ে যায় হনহন করে।

কিন্তু বাড়ির কাছে এসেই মুখের হাসি ম্লান হয়ে যায় তার। একী অবস্থা! এখানে কি কেউ থাকে? লম্বা লম্বা আগাছা ঢেকে ফেলেছে তার বাড়ির চারপাশ। ছাদের একপাশ ভেঙ্গে পড়েছে, হয়তো ঝড় হয়েছিল কোন একদিন। চারদিকে পরিত্যক্ততার ছাপ সুস্পষ্ট।

আহ কিইয়ো, আমার একলা অসহায় কিইয়ো..

মন খারাপ হয়ে যায় তার, দরজায় টোকা দেয় সে, কিন্তু খোলে না কেউ। ধাক্কা দিতে গিয়ে বুঝতে পারে, দরজা ভেতর থেকে আটকানো নয়; ঢুকে পড়ে সে বাড়ির ভেতরে।

প্রথম ঘরটা একদম খালি। মেঝেতেও মাদুর নেই। কাঠের একপাশে ফাঁটল, সেখান দিয়ে বাইরের ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে ঢুকছে হু হু করে। ছেঁড়া পর্দার ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো কিম্ভূত নকশা কাঁটে ঘরের মেঝেতে। অন্য ঘরগুলোর অবস্থাও একইরকম, একে একে সে ঘুরতে থাকে ঘরগুলো। প্রতিটা ঘরই বিধ্বস্ত, জঞ্জালে ভরা। একরাশ ভয় আর আশঙ্কায় দোলে ওতাকুর মন। রোখ চেপে সে এগিয়ে যায় কোনার ঘরটার দিকে। কিইয়োর প্রিয় ঘর এটা। বিশ্রামের জন্য এই ছোট ঘরটিকেই বেছে নিয়েছিলো সে।

ঘরের দিকে এগিয়ে যেতেই ফাঁক দিয়ে আলোর ঝলকানি দেখতে পায় সে। দৌড়ে দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ে ওতাকু, আর পরমূহুর্তেই চিৎকার করে ওঠে আনন্দে.. সামনেই কিইয়ো, তাঁতের কলে বসে কাপড় বুনছিলো সে, একটা কাগুজে-লন্ঠন পাশে রেখে।

কিইয়োও ফিরে তাকিয়েছিলো তার দিকে। অবাক হয়ে তাকিয়েছিল তার দিকে। আস্তে আস্তে সেখানে একটা খুশির হাসি ছড়িয়ে পড়ে। চোখ কপালে তুলে দিয়ে সে জিজ্ঞাসা করে- “কবে ফিরলে কিইয়োতো? এই ঘোরঘুট্টি অন্ধকার ঘরগুলো পেরিয়ে কিভাবে খুঁজে এলে এই ঘরে?”

এই দুই বছরে একটুও বদলায়নি কিইয়ো। এখনো সেই আগেরমতই, সুন্দরী, স্নিগ্ধ। তার খুশি জড়ানো উৎকন্ঠার কথাগুলো মধু বর্ষণ করে ওতাকুর কানে।

নিজেকে আর সামলাতে পারে না ওতাকু। কিইয়োর পাশে বসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। ছুটে তাকে জড়িয়ে চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দেয় কিইয়ো। ওতাকু বলতে থাকে তার মনের সব কথা, কিভাবে সে এ দুই বছর ধরে অনুতাপে পুড়েছে, তার স্বার্থপরতার জন্য, তার নিষ্ঠুরতার জন্য। কতটা কষ্ট পেয়েছে কিইয়ো’কে ছাড়া,-- কতশত বার সে অনুশোচনা করেছে, তার কৃতকর্মের জন্য,-- কতদিন ধরে সে চিন্তা করে আসছে প্রায়শ্চিত্ত করবার; বলতে বলতে বারবার কিইয়োর কাছে ক্ষমা চায় ওতাকু।

কোমল কন্ঠে কিইয়ো তাকে আশ্বস্ত করে; মাথায় হাত বুলিয়ে বলে সব ভুলে যেতে, হয়তো সে-ই তার যোগ্য স্ত্রী ছিলো না; হয়তো দারিদ্র-ই ছিলো তাদের প্রধান শত্রু। সে জানে ওতাকু কতটা ভালবাসতো তাকে, আর ওতাকুর মঙ্গল বই অমঙ্গল কখনো আশা করেনি সে, সবসময় তার জন্য প্রার্থনা করেছে। তাদের এই মিলন যদি মুহুর্ত-সমানও হয়, তবু তাই তার কাছে অনেক বড় পাওয়া। এই বা কম খুশির কী যে- এতোবছর পরে সে তার ওতাকুকে দেখতে পারছে।

আনন্দে হেসে ওঠে ওতাকু, বলে, "কিইয়ো, আমি তোমার সাথে আমার সারা জীবন কাটাতে এসেছি প্রিয়ে। এক মূহুর্ত? তার চাইতে বলো সাত জন্ম- সাত জন্ম আমি তোমার সাথেই থাকতে চাই, আর কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না আমাদের। জানো এখন আমার অনেক অর্থ অনেক সম্পত্তি; আমরা আর গরীব নেই; কাল সকালেই আমার সব মালামাল এখানে এসে যাবে; আমার ভৃত্যরা হবে তোমার আজ্ঞাবহ দাস; আর আমরা আমাদের এই জীর্ণ ভাঙ্গা বাড়িটাকে আবার সুন্দর করে তুলবো.. আজ রাতটা শুধু কাটুক। আজ আমি বলতে গেলে এক কাপড়ে বেড়িয়ে পড়েছি, শুধু তোমাকে এই কথাগুলো বলবো বলে।"

কিইয়ো সব শুনছিলো চুপ করে, তার মন ভরে যায় ওতাকুর কথায়। তারপর সে বলতে থাকে কিইয়োতো’র কথা; ওতাকু যখন ছিলো না সে সময়গুলির কথা, শুধুমাত্র তার নিজের দুঃখের কথাগুলো বাদে। ওতাকু জিজ্ঞেস করলেই সে লাজুক হেসে চুপ হয়ে যাচ্ছিলো। রাতভর কথা বলে তারা। একসময় কিইয়ো তাকে নিয়ে ঘুমাতে যায় একটা অপেক্ষাকৃত উষ্ণ ঘরে, অনেক আগে এই ঘরেই তাদের বিয়ে হয়েছিলো।

"আচ্ছা ঘরে তোমাকে সাহায্য করবার জন্য কি কেউ নেই?"

জিজ্ঞেস করে ওতাকু। কিইয়ো তার জন্য বিছানা পেতে দিচ্ছিলো, হেসে বললো,

"না, কে সাহায্য করবে, আমার তো কাজের লোক রাখবার মত অবস্থা নেই। এ সময়গুলি আমি একাই কাটিয়েছি বাড়িতে।"

"আর চিন্তা করতে হবে না তোমাকে, কালই তোমার অনেক দাসী হবে। আর তুমি যা আদেশ করবে তাই পালন করবে, তুমি যা চাও তা-ই হবে কাল থেকে।"

তারা দুজন শুয়েছিলো পাশাপাশি। শুধুই শুতে, ঘু্মাতে নয়। তাদের বলবার অনেক কথা বাকি ছিলো। তারা কথা বলছিলো তাদের অতীত নিয়ে, তাদের বর্তমান নিয়ে, আর ওতাকু দেখছিলো অনাগত ভবিষ্যতের স্বপ্ন।

সারাদিনের পথচলা আর উত্তেজনায় একসময় ক্লান্ত হয়ে আসে তার চোখ, ঘুমিয়ে পড়ে সে।

ওতাকু যখন জাগে তখন বেশ সকাল। টানা দরজার ফাঁক-ফোকর দিয়ে ম্লান সূর্যের আলো এসে পড়ছিলো তার চোখে মুখে। ঘুমের ঘোরের কেঁটে যেতে সে ভাল করে দেখতে থাকে চারিদিক। চমকে উঠে ততক্ষনাৎ! এ কোন ঘর? কাল রাতে কি এই ঘরেই শুয়েছিলো ওরা? এই ঘরে মানুষ কেন, বনের শেয়ালও থাকবে না। ছাঁদ একপাশে ভেঙ্গে পড়েছে, দেয়াল জায়গায় জায়গায় ভাঙ্গা! চারদিকে আগাছার অবাধ বিস্তার। এ তার ঘর নয়, ধ্বংসবশেষ কেবল! কিন্তু কাল রাতেও তো এতো খারাপ অবস্থা দেখেনি সে। হঠাৎ নিচে চোখ পড়তেই চমকে ওঠে সে- ঘরের মেঝে ধ্বসে পড়ে আছে একপাশে। তার মনে আছে, কালকে রাতেই কী সুন্দর তার শোবার জন্য বিছানা করে দিয়েছিলো কিইয়ো। কিন্তু কোথায় বিছানা? সে কি স্বপ্ন দেখছে? নাহ! এইতো কিইয়ো.. পাশ ফিরে ঘুমোচ্ছে এখনো.. তার দীঘল কালো চুল এলিয়ে। ওতাকু পাশ ফেরায় কিইয়োকে..

.. চিৎকার করতে পারছিলো না ওতাকু, গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে পিছনে সরছিলো কেবল ...। তার পাশে শায়িতার কোন মুখ ছিলো না, অন্তত তাকে মুখ বলা চলে না। সেখানে ছিলো চামড়াবিহীন খটখটে একটা খুলি.. এক মৃত নারীর কঙ্কাল। শতছিন্ন কিমোনোর অংশবিশেষ তখনো জড়িয়ে সেই কঙ্কালে.. আর মাথায় লেপ্টে থাকা লম্বা কালো চুল।

(ল্যাফকাদিও হার্ণের 'দ্য রিকন্সিলিয়েশন' গল্প অবলম্বনে)

আরো যত কাইদান

পাদটীকা

  • ১. সামুরাইদের অস্ত্রচালনা প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনের জন্য বৃহৎ যে কক্ষ

মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

সামুরাইদের সম্পর্কে একরকম 'ভালো' ইমেজ তৈরি করে দেয় মিডিয়া আজকাল, একরকমের ফ্যান্টাসির মত; যদিও তারা ছিল A Gun for Hire -যেমনটা আপনি বলেছেন।

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছে হাসি

খেকশিয়াল এর ছবি

মন্দ ভাল সবকিছু নিয়েই তারা সাধারণ মানুষ। আপনাকেও ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

অনেকদিন পর লিখলেন কমরেড হাততালি

এই কাইদানটা কমন পড়লো, কারণ কাইদানের যে সিনেমাটা আছে- সেইখানে এই গল্পটা ছিলো। ইনফ্যাক্ট মাসখানেক আগেই সিনেমার এই অংশটুকু আবার রিভিশন দিলাম। এই গল্পগুলি ঠিক হাত পা কাঁপাকাঁপি টাইপ গল্প না- কেমন যেন হালকা অস্বস্তি ছড়ায়। ভয়ের লাইনটা খুব সুক্ষ্ম।

আপনার অনুবাদ ভালো লাগছে। তবে আমার মনে হইছে, এই গল্পটা টেক্সটের চেয়েও সিনেমাতে বেশি ভালো ফুটবে(ফুটেছে)- ফেসিয়াল এক্সপ্রেশনগুলির কারণে।

কাইদান জারি থাকুক।

খেকশিয়াল এর ছবি

এইখানার খসড়া আপনাকে অনেক আগে একবার পড়তে দিয়েছিনু, আপনি মনে করতে পারছেন না বোধ করি। আজিকে শেষ করিলাম। দেঁতো হাসি

মুভিটাই আসলে আমার লেখার কারণ। পরে অনুবাদ করতে গিয়া দেখলাম মুভিতে বেশি ভাল দেখাইছে।

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

দারুণ ওস্তাদ! আমার মতে এইটা সবচে সার্থক অনুবাদ বোধহয়, যদি আমি ভুল না করে থাকি! কোথাও আটকাই নি, ঝরঝরে একটা গল্প!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

খেকশিয়াল এর ছবি

ধন্যবাদ মৃদুলদা হাসি

এখন আপনি একটা গা ছমছমে লিখে ফেলুন দিকিনি দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

খেঁকুর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হইসে!!!!

তোমাকে ২০১৫ সালের বইমেলা পর্যন্ত সময় দেয়া হল। এর মধ্যে একটা বই বের করার উপযুক্ত পরিমাণ অনুবাদ শেষ করো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

খেকশিয়াল এর ছবি

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বহুদ্দিন পর... চমৎকার হাততালি (ভাগ্যিস মুভিটা দেখি নাই)

গ্রামবাংলার কি হল? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

খেকশিয়াল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

গ্রামবাংলা আসতাছে

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর জলছবি এর ছবি

উত্তম জাঝা! হাততালি

খেকশিয়াল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

এক লহমা এর ছবি

সবকটা পড়ে এলাম। ভাল লাগল, সব কটাই, এটাও।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

খেকশিয়াল এর ছবি

ধন্যবাদ

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বহুদিন পর কাইদান...

০২
দুর্দান্ত গল্প আর অনুবাদ। আবার বন্ধহবার আগে অন্তত আরো কয়েকটা হয়ে যাক; নাকি?

খেকশিয়াল এর ছবি

ধন্যবাদ লীলেনদা

হবে আরো কয়েকটা হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

দীনহিন এর ছবি

ঝরঝরে অনুবাদ। নামটিও যথার্থ হয়েছে!
পাঠকদের জন্য এমন চমৎকার একটি বিদেশী গল্প কষ্ট করে অনুবাদ করেছেন, সেজন্য ধন্যবাদ।
ভাল কথা, গল্পটির জন্ম কখন?

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

স্যাম এর ছবি

হাততালি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।