বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী মনশিক্ষা ও দেহতত্ত্বের গান

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি
লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৬/০১/২০০৯ - ৬:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনশিক্ষা বা দেহতত্ত্বের গানগুলো বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী কাব্যসাহিত্যের মুল্যবান নিদর্শন। অষ্টাদশ শতকে বৈষ্ণব ধর্মের বলয়ে আসার পর থেকে মণিপুরীদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিণ্পকলা প্রবলভাবে বৈষ্ণবদর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়। শ্রীচৈতন্যর ভক্তি আন্দোলন মণিপুরে পৌঁছলে তৎকালীন বাংলা অঞ্চল থেকে বঙ্গদেশ-পালা নামে একশ্রেণীর কীর্ত্তনভিত্তিক নৃত্যগীত সেখানে বিস্তার লাভ করে। এর সাথে ম...মনশিক্ষা বা দেহতত্ত্বের গানগুলো বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী কাব্যসাহিত্যের মুল্যবান নিদর্শন। অষ্টাদশ শতকে বৈষ্ণব ধর্মের বলয়ে আসার পর থেকে মণিপুরীদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিণ্পকলা প্রবলভাবে বৈষ্ণবদর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়। শ্রীচৈতন্যর ভক্তি আন্দোলন মণিপুরে পৌঁছলে তৎকালীন বাংলা অঞ্চল থেকে বঙ্গদেশ-পালা নামে একশ্রেণীর কীর্ত্তনভিত্তিক নৃত্যগীত সেখানে বিস্তার লাভ করে। এর সাথে মণিপুরীদের নিজস্ব সুর, তাল, রাগ-রাগিনী এবং তারসাথে নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র যেমন পুঙ, করতাল, মঞ্জিলা, মাঙকাঙ, সেলবঙর, মইপঙ ইত্যাদির সমন্বয় সাধন করে মণিপুরী পালার নিজস্ব একটি ফর্ম প্রবর্তিত হয়েছিল। বৈষ্ণবধর্মের প্রভাবে জয়দেব, গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস, কৃষ্ণদাস প্রমুখের রচিত বৈষ্ণবপদাবলী তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। সে সময় ব্রজবুলি, মধ্যযুগীয় বাংলা, সংস্কৃত বা মৈথিলী ভাষায় রচিত এসব পদাবলী কীর্ত্তনগুলো সাধারন মণিপুরী শিল্পী ও পালাকারেরা অর্থ না বুঝেই গাইতো। বৈষ্ণব সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসেন মণিপুরী রাজারা । বৈষ্ণবধর্ম মণিপুরের রাজধর্মের মর্যাদা লাভ করে। পরবর্তীতে মণিপুরী 'অজা' বা গুরুরাও নিজেদের ভাষা বাদ দিয়ে বাংলা- ব্রজবুলিতে পালা ও গীতরচনা শুরু করেন। বর্তমানে মণিপুরী রাসলীলায় যেসব গান গীত হয় সেগুলোর অধিকাংশ বাঙালী বৈষ্ণবপদকর্তাদের রচিত গান - মধ্যযুগের বাংলা, ব্রজবুলি নয়তো মৈথিলী ভাষায়। বিংশ শতকের প্রথমভাগে মণিপুরীদের মধ্যে জাতিগত চেতনার পুনর্জাগরন ঘটলে মণিপুরী গুরুরা আবার নিজেদের ভাষায় গীতরচনার দিকে মনোযোগ দেয়।

রাসলীলা, নটপালা, বাসকসহ অন্যান্য কাব্যগীতাশ্রয়ী পালার মতোই মনশিক্ষা বা দেহতত্ত্বের গানগুলোর দার্শনিক ভিত্তি বৈষ্ণবিজম। তবে এই গানগুলোর বিশেষত্ত্ব হলো ধর্মীয় আচারের বাইরে এসে মণিপুরী চিন্তক ও সাধারনের লোকাচার চর্চার নিজস্বতার মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য রূপ লাভ। এগুলোর সাথে আবহমান বাংলার বাউল, সুফী ও মারফতী ধারার যথেষ্ঠ মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

পুরাণ ও ধর্মগ্রন্থের শিক্ষাকে লোকাচারের সাথে সমন্বয় ঘটিয়ে মাতৃভাষার বাইরে বাংলা বা বৈষ্ণব পদাবলী ও কীর্ত্তন রচনার ধারাটি বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীরা আজো অক্ষত রেখেছে। এসব পদকর্তা বা পালাকারের বেশীর ভাগেরই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, নেই বাংলা বা ব্রজবুলি ব্যকরনের উপর প্রাথমিক ধারনা। তাই ভাষাগত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কেবল গুরুপরম্পরায় প্রাপ্ত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তারা মণিপুরী সুরের উপর ভাব-রস-ছন্দ অব্যহত রেখে অবলীলায় লাইনের পর লাইন বাংলা ও ব্রজবুলি কথামালা যেভাবে সাজিয়ে যান, ভাবলে অবাক হতে হয়। এখানে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী 'ইসালপা' বা পালাকার গোপীচাঁদ সিংহের একটি মনশিক্ষা ও একটি দেহতত্ত্বের গান হুবহু পত্রস্থ করা হলো।



মনশিক্ষা - ২১

ধনী কি গরীব সুখী বুঝা অতি বিষম দায়।
কোন ধনেতে কেবা সুখী অভাবে কেবা দুঃখী হায়।।
ধনে সুখী বিদ্যায় সুখী পুত্রে সুখী বিশ্বময়।
চিরসুখের চিন্তাধারা করিছে সেই সুখী সর্বদা নয় ।।
ভবের মুক্ত সুখী গুরু শ্রীহরির চরন লভিছে যেই।
আপন ভোলা জন্ম মৃত্যু এই জগতে সত্য সুখী সেই।।
দীন গোপীচাঁদে কহে মানব জন্মে পড়িল ছায়।
মানবাকৃতি ধরি জীবে হায় সাজ'তে বিষম দায়।।



দেহতত্ত্ব - ১৪

রংমহল কল কব্জার ঘর দেহ কলেবর।
দেখনা চেয়ে পর্দা খুলে কিবা আছে তার ভিতর।।
লক্ষ নাড়ি সারি সারি, মাংস পেশী জড়াজড়ি।
রাঙা রোধির তার ভিতরে স্রোতে বৈছে নিরন্তর।।

অস্থি মজ্জা জোড়াজাড়া, মধ্যে আছে পেরাক মারা।
কব্জায় কব্জায় নারা-চারা তারি মধ্যে কারিগর।।
ব্রহ্মান্ডেরই দুই জ্যোতিস্ক অতি যত্নে করে দৃষ্ট।
নাসারন্দ্রে রেচক কুম্ভক সাধনেতে রূপান্তর।।

হৃদি পদ্ম সিংহাসনে বসে আছেন নিরঞ্জন।
যোগী ঋষি মুনিগনে না পায় ভজে নিরন্তর।।
দীন গোপীচাঁদে বলে গণার দিন ফুরায়ে গেলে।
কল কব্জা সব অচল হবে দেহ হবে স্থানান্তর।।


]গোপীচাঁদ সিংহের জন্ম মৌলবীবাজার জেলার কমলগঞ্জের ডালুয়া নামের প্রত্যন্ত গ্রামে, বাংলা ১৩৩৮ সনে। ছোটবেলা থেকেই নাটকের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল তাই নাটকের দল গড়েছেন। নিজে নাটক লিখেছেন, অভিনয় করেছেন। ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পাকিস্তানিদের বর্বরতার চিত্র তুলে ধরে লিখেন "বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ" নামের পালাগীতির পুস্তিকা। প্রকাশিত গ্রন্থ : গীতিকাব্য (২০০৫)। বৈষ্ণব পদাবলী, পালা, কীর্ত্তনের গান রচনা ও সুরারোপে সমান দক্ষ এই গুণী শিল্পীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই বললেই চলে। কেবল পিতা ভদ্র সিংহ ও পিতামহ দঙ্গ সিংহের কাছ থেকে পাওয়া জ্ঞান ও বিদ্যাটাই পুঁজি।



তথ্যসূত্রঃ
× Dr M. Kirti singh / Religious Developments in Manipur,1980
× N. Tomba Singha / Bhakti Rasa Numbumari, Imphal, 1969
× তরুন কুমার সিংহ / মণিপুরী নৃত্য প্রবেশিকা, ১৯৬৮
× গায়ত্রী চট্টোপাধ্যায় / ভারতের নৃত্যকলা, ১৯৯৫


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ এই লোককবির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ।
ভিন্ন একটা প্রসংগে আমার কিছু জানবার ছিলো ।

বাংলাদেশে মনিপুরী জাতিগোষ্ঠীর যারা আছেন তাদের সাথে মুল মনিপুরের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক কেমন? ভারতের উত্তর পুর্বাঞ্চলে কিছুদিন কাটানোর অভিজ্ঞতায় দেখেছি- মুল মনিপুরীদের অর্থ্যাৎ ইম্ফলের লোকজনের সংস্কৃতি বেশ ভিন্ন ।
তুলনায় আসামের বিশেষ করে শিলচর হাইলাকান্দি এলাকার মনিপুরীদের সাথে বাংলাদেশী মনিপুরীদের সামঞ্জস্য বেশী ।

আমার এ পর্যবেক্ষন কি ঠিক ?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে সাংস্কৃতিক যোগাযোগটা খুবই কম। আর সাংস্কৃতিক ভিন্নতা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সেখানে ইতিহাসের নানান বাঁক, ঘাতপ্রতিঘাত, ধর্মভাবনায় প্রতিবিপ্লবের ধারা চলছে, আগন্তুক বৈষ্ণবধর্মের বিপরীতে রিভাইভেলিস্টরা আদিধর্ম নিয়ে দাড়াঁনোর চেস্টা চালাচ্ছে এবং সমান্তরালভাবে চলছে সশস্ত্র সংগঠনগুলো স্বাধীনতার আন্দোলন। সে তুলনায় আসাম, ত্রিপুরা বা বাংলাদেশের মণিপুরীদের অবস্থান সম্পুর্ণ ভিন্ন। এখানে নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে টিকে থাকার প্রচেস্টা বা জীবন সংগ্রামের ধরনটি ভিন্ন।


প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি

এনকিদু এর ছবি

আমিও কৌতুহলী বোধ করছি ।

সে তুলনায় আসাম, ত্রিপুরা বা বাংলাদেশের মণিপুরীদের অবস্থান সম্পুর্ণ ভিন্ন। এখানে নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে টিকে থাকার প্রচেস্টা বা জীবন সংগ্রামের ধরনটি ভিন্ন।

একটু ব্যাখ্যা করবেন কি ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

মণিপুরীদের জীবনধারা নিয়ে আগ্রহের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রধান পার্থক্যটা হচ্ছে গত দুই শতকে ধর্মভাবনা ও সাংস্কৃতিক জাগরনের কারণে মণিপুরের সংস্কৃতিতে যে পরিবর্তন হয়েছে তার প্রভাব আসাম, ত্রিপুরা বা বাংলাদেশে এসে পড়েনি। কারণ নিজস্ব ভুখন্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠির পক্ষে যা সম্ভব, অভিভাসিত হয়ে সেটা সম্ভব নয়। আসামে বা বাংলাদেশে শুধু নিজেদের অস্তিত্ত্ব রক্ষা ও আগ্রাসন থেকে নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতিকে (যা মুলতঃ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত মণিপুরের উনবিংশ শতকের সংস্কৃতি) বাঁচিয়ে রাখতেই গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। এর সাথে যোগ হয়েছে আন্তঃজাতিক দ্বন্দ্ব, এবং উভয় রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম বরাবর এই আন্তঃজাতিগত দ্বন্দ্ব থেকে নানান ফায়দা নিতে চায়। ...এসব নিয়ে বিস্তারিত একটি পোস্ট দেবার ইচ্ছা আছে। আশা করি পড়বেন।


প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

যৌক্তিক ব্যাখ্যা ।
মনিপুরের মনিপুরীদের এবং আসাম-বাংলাদেশের মনিপুরীদের প্রেক্ষাপট আসলেই ভিন্ন ।
আরেকটা কৌতুহলঃ- মনিপুরে কি মৈতেয়ীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ?
আমার বেশ ক'জন বন্ধু ছিল কিন্তু কেনো জানি এই বিষয়টি জিজ্ঞেস করা হয়নি ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

মণিপুরে মৈতৈরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। মৈতৈ ভাষা সেখানে লিঙগুয়া ফ্রাংকা। মৈতৈ ছাড়াও আরো ৩০টিরও বেশী জাতিগোষ্ঠী বাস করে। ইমফাল, বিষ্ণুপুর ও নিংথৌখঙের বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী যারা ছিল তারা প্রায় সবাই মৈতৈ ভাষা গ্রহন করার ফলে সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায় না কারণ ভারতের সেন্সাস পুরোপুরি ভাষাভিত্তিক। তবে সেন্সাস থেকে জিরিবামে কয়েক হাজার বিষ্ণুপ্রিয়ার পরিসংখ্যান পাওয়া যায়।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ধন্যবাদ ।
আমার নিজের ধারনা ও এরকম ছিলো । সাংস্কৃতিক বিভাজনটা ও বিশাল । শিলচরের মনিপুরীর জাতিগোষ্ঠিরা সম্ভবতঃ বিষ্ণুপ্রিয়া । তাদের জীবনাচারনের সাথে বাংলাদেশী মনিপুরীদের মিল অনেক বেশী ।
আমাদের দেশে বিষ্ণুপ্রিয়া, মৈতৈই অনুপাত কেমন?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

আসাম ত্রিপুরাতেও প্রচুর মৈতৈ আছেন। আসলে আমরা সবাই তো আড়াইশো বছর আগে বার্মা-মণিপুর যুদ্ধের সময় একসাথে এসব জায়গায় বসতি গড়েছি। আসাম ত্রিপুরা বাংলাদেশ সব জায়গাতেই দেখবেন আমাদের গ্রামগুলো আলাদা কিন্তু পাশাপাশি। সিল ইন্টারন্যাশনালের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে মণিপুরীদের মধ্যে বিষ্ণুপ্রিয়া ৪০হাজার এবং মৈতৈ ১৫ হাজার এরকম তথ্য দেয়া হয়েছে। তবে এসংখ্যা আরো বেশী হবার কথা। আরেকটি মণিপুরী জনগোষ্ঠী আছে যার পাঙন নামে পরিচিত, এরা মুসলিম। এই লিংকটি দেখতে পারেন - মণিপুরী মুসলিম আদিবাসীদের ঈদ উদযাপন এবং জীবনযাত্রা নিয়ে কিছু তথ্য


প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ধন্যবাদ আবারো ।
পাঙনদের কথা জানি । আমি সিলেটের ছেলে, শহরের শিবগঞ্জ এলাকাতেই বড় হয়েছি যেখানে মনিপুরীরা ভালো বসতি আছে । আমাদের বেশ ক'জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আছে ।
কিন্তু এই বিষয়গুলো কখনো জানতে চাওয়া হয়নি ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নামহীন [অতিথি] এর ছবি

আপনার পোস্টগুলোতে মুল পোস্টের চেয়ে ভূমিকাটা বেশী আকর্ষনীয় হয়। এবারেরটা আরো ভাল হয়েছে। ,,, রাসলীলার গান বাঙালী কবিদের লেখা এ তথ্যটি নতুন জানলাম। নিয়মিত লিখবেন আশা করি।

সাধু এর ছবি

এমন তথ্যসমৃদ্ধ লেখা এই ব্লগে সচারচার দেখা যায় না । লেখাটা আমার সংগ্রহে রাখলাম । অসংখ্য ধন্যবাদ ।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ধন্যবাদ না জানা কথাগুলো জানাবার জন্য। বেশ লাগল। আরো জানতে চাই।
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।