শব্দকরদের বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি
লিখেছেন কুঙ্গ থাঙ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৭/২০১০ - ১:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দরিদ্রতা এবং সভ্য সমাজের বিরূপতার শিকার হয়ে চরম বিপন্নতার মুখে পড়েছে শব্দকর জনগোষ্ঠি। হতদরিদ্র এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির বাস বাংলাদেশের সিলেট ও মৌলবীবাজার জেলায়। সমকালীন ইতিহাসে দারিদ্রের যে সীমারেখা চিন্হিত করা হয় শব্দকরেরা তার চেয়ে অনেক নীচু অবস্থানে জীবন অতিবাহিত করে। স্থানীয়ভাবে তারা 'ডুকলা' নামে পরিচিত। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত "বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান" পুস্তকে ‌ডুকলা শব্দের অর্থ হিসেবে বলা হয়েছে অসভ্য,নিকৃষ্ট জাতি বা সম্প্রদায়। তারা সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। প্রধান পেশা হলো ঢোল ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজানো।

শব্দকরেরা ভারতবর্ষের কুল, ভীল, সাঁওতাল, শবর, মুন্ডা ইত্যাদির মতোই একটি প্রাচীন অনার্য জনগোষ্ঠি যারা বৈদিক বর্ণাশ্রম ধর্মের শিকার হয়ে যুগে যুগে সভ্য সমাজের হাতে নিগৃহীত হয়ে আসছে। বর্তমানে তারা সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের শরীক হলেও বৃহত্তর হিন্দু সমাজের কাছে তারা অচ্ছ্যুত এবং অস্পৃশ্য হিসাবে গন্য। বাঙালি বর্ণহিন্দুরা ডুকলাদের হাতে জল খায় না, নিজেদের চেয়ারে বা বিছানায় ডুকলাদের বসতে দেয় না, শব্দকরেরা বাঙালিদের সাথে বড়জোড় প্লে­ট ছাড়া বিশেষ কাপে চা খেতে পারে। দোকানে বা অন্য কোথাও সবার সাথে বসে কোনো কিছু খাওয়া বারণ, এমনকি ধর্মীয় বা সামাজিক উৎসবগুলোতেও। তাদের সাথে একঘরে ঘুমালে, একসাথে উঠলে বসলে, একসাথে খেলে, হাতের রান্না বা জল খেলে বাঙালি বর্ণহিন্দুর নাকি জাত চলে যায়!

শব্দকরদের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্রপুর্ণ অতিপ্রাচীন সাংস্কৃতির উপাদান রয়েছে। এমনিতে তাদের সংস্কৃতি ভোগপ্রবল। তাদের অদৃস্টবিশ্বাস প্রবল এবং প্রতিদিনের দুঃখ ও কষ্ট থেকে মুক্ত হতে না পারলেও তারা গান-বাজনায় মত্ত থাকে। তাদের প্রধান উপাস্য দেবতা হচ্ছেন শিব বা মহাদেব। তারা বাদ্য বাজিয়ে শিবের গান, রাজার গান গেয়ে থাকে। ঢোল, ঢাক, করতাল, বাঁশি এগুলো তাদের জীবনের অংশ। চড়কপুজা ও গাঁজন উৎসব তাদের প্রধান উৎসব। বছরের শেষে চড়কপুজা হয়ে থাকে। শরীরের পেছনের অংশে বিশালাকার বরশি গেঁথে চড়কিতে ঘুরা তাদের কাছে পূণ্যের অংশ, অন্য সমাজের কাছে যা চিত্তবিনোদন। চড়কপূজা প্রক্রিয়ার সাথে নানান গান ও নাচ জড়িত। এ জাতীয় একটি গানের অংশ -

ও শিব আওরে জগত জটা
জগত জটারে শিব পাগলা বেটা
শিব আইলা সিনান করি
গেরি দিলা সিদ্ধি ভারি

ও মাই ও মাই ও মাইগো
অউনি গৌরির জামাইগো

খাইয়া ভাঙের গুড়া
গৌর করিয়া চায়
তারে দেখি উমার মা
উল্টা পাকে ঘরে যায়
খাওয়ায় বেনি কামাই গো
লেমটা বেটা, জগত জটা।

এছাড়াও আছে আগুনে হাঁটার গান, গাঁজার গান, জামাইষষ্ঠীর গান, ভাইফোঁটার গান, বিয়ের গান, তিননাথের গান, কালীনাচের গান ইত্যাদি। সবগুলো গানই তাদের জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পর্কিত।

শব্দকর সমাজের ছেলেমেয়েরা বরাবরই নানান দৃশ্য ও অদৃশ্য বাধার সম্মুখীন হয়ে, বৃহৎ সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ও অবহেলিত হয়ে হীনমন্যতাবোধে নিয়ে বড় হতে থাকে। বেশীর ভাগ শিশুই প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করতে পারেনা। বয়স্করা এখনো ১০০ পর্যন্ত গুনতে পারেনা। শব্দকর সমাজ আজন্ম দারিদ্রকে নিয়তি বলে মেনে নিয়েছে। তাদের পিতামাতা ও সন্তানদের চোখে কোন স্বপ্ন নেই। সবাই অবধারিত ধরে নেয় মা-বাবারা যেভাবে নিদারুন দারিদ্র ও হতাশার মধ্যে জীবন কাটায়, তারাও সেভাবে জীবন কাটাবে। একটা অদ্ভুত সত্য এদের বিশ্বাসে গেঁথে থাকে যে, তাদের এই দুর্দশার জন্য বিশেষ কোন দেবতার অভিশাপ দায়ী, অথবা ঈশ্বর নিজেই চান না তারা ভাল থাকুক। রাস্ট্রে জনসংখ্যা দমন যখন একটা প্রধান সমস্যা, তখন শব্দকরদের জন্মের চেয়ে মৃত্যুহারই বেশী।

১৯০৫ সালে বি.সি. এলেন সম্পাদিত Assam District Gazeteers -এর সিলেট খন্ডে শব্দকরদের জনসংখ্যার হিসেব দেয়া হয়েছিল ১০,১০৩ জন। অধ্যক্ষ রসময় মোহান্তের লেখা একটি গবেষনা গ্রন্থ থেকে জানা যায় মৌলবীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৯৯৫ সালে শব্দকরদের জনসংখ্যা ছিল সর্বমোট ৪,০৭৩ জন। এদের মধ্যে ২০৭৭ জন পুরুষ এবং ১৯৯৬ জন মহিলা। মোট পরিবার সংখ্যা ৯০০ এবং গ্রামসংখ্যা ৩৫। বিদ্যালয়গামী ছাত্রসংখ্যা ৩০৯, বাল্যবিবাহ ৩৪৩টি এবং বসতভিটা সাকুল্যে তাদের জমির হিসাব সর্বমোট ১০১৮৬ শতক যার মধ্যে উৎপাদনশীল জমি প্রায় শুন্যের কোঠায়।

এতটা মুল্যহীন, স্বপ্নহীন ও সম্পদহীন হয়ে কোন জনগোষ্ঠীর বেঁচে থাকা কি সম্ভব?

আমাদের রাষ্ট্রের বড় বড় নথিপত্রে বাঙালিভিন্ন অন্য সব জাতির সঠিক কোন তথ্যউপাত্ত নেই। কে কোথায় বাঁচলো বা মরলো তা নিয়ে রাষ্ট্রের কোন মাথাব্যাথা নেই; রাষ্ট্র ও তার সুবিধাভোগী মানুষজন ব্যস্ত আইনের প্যাঁচে ফেলে বিপন্নপ্রায় মানুষের ভূমি আর পাহাড়ের দখল নিয়ে। সেটা যদি ১০০ কিম্বা ১০০০ লাশের বিনিময়ে হয় তাও সমস্যা নেই। শব্দকরদের খবরও সেভাবেই রাষ্ট্র রাখেনা, রাখার দরকারও মনে করে না কোন কালে। অবহেলা ও বৈষম্যের এ ধারা অব্যাহত থাকে, আর নিজভুমে পরবাসী ডুকলারা হারাতে থাকে নিজেদের অস্তিত্ব, জীবন, জীবিকা, সংস্কৃতি, গানবাজনা, ঢোল, বাদ্য সবকিছু। এভাবে নিশ্চিহ্ন হতে থাকে মানুষ আর মানুষের জনপদ, মানুষেরই দাপটে!

মুলসূত্র:
১. প্রাবন্ধিক ও গবেষক আহমদ সিরাজের লেখা 'শব্দকর একটি চরমবিপন্ন জনগোষ্ঠি'। মণিপুরী থিয়েটারের পত্রিকা, ৭ম সংখ্যা।
২. পাভেল পার্থের লেখা 'ডুকলাদের সকল ঢোল বেজে ওঠুক বর্ণদাপটের বিরুদ্ধে'। ২য় সংখ্যা।
৩. রসময় মোহান্তের লেখা 'সিলেট অঞ্চলের আদিবাসী প্রেক্ষিত ও শব্দকর সমাজ সমীক্ষা' । ১৯৯৫।


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

সিলেটে এদের নাম শব্দকর তা জানা ছিলো না

...........................
Every Picture Tells a Story

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

ডুকলা, ঢুলি, শব্দকর, বাদ্যকর... নামের অন্ত নেই। তবে এরা নামের শেষে 'শব্দকর' ব্যবহার করে।

রিফক-১ [অতিথি] এর ছবি

শব্দকরদের বাঁচাতে আমাদের কি করণীয় জানতে চাই?

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

বাঁচাতে হবে তা জানি, কীভাবে বাঁচাতে হবে তা জানা নাইরে ভাই! গ্যানিগুণীজন আছেন তারা ভাল বলতে পারবেন।

... মনে হয় রাস্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের বিশেষ উন্নয়ন কর্মসূচীগুলোতে এদের অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে। টাকাকড়ির গন্ধ কম বলে এনজিওঅলারাও শব্দকরদের বিষয়ে খুব একটি উৎসাহি নয়। তাদেরকে নিজেদের স্বার্থের সাথে কিছুটা হলেও সমঝোতা করতে হবে। তারও আগে বন্ধ করতে হবে ডুকলাদের উপর বর্ণবাদী আচরন ও মনোভাব।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একটু খটকা থেকে গেলো
শব্দকর কিংবা ডুকলাদের তো আমি বাঙালি বলেই জানতাম
বাঙালিদের মধ্যে একটি পেশাগত গোষ্ঠী। যারা বাদ্যবাজনা বাজায়

আমার নিজের শৈশবের বন্ধুদের মধ্যে একজন ছিল শব্দকর
বড়ো হয়ে আরো কিছু শব্দ করের সাথে পরিচয় হয়েছে আমার
কিন্তু ছোঁওয়া ছু্ওয়ির যে ঘটনাটা বললেন তা কিন্তু আমার চোখে পড়েনি
অবশ্য তারা যেখানে গ্রামবদ্ধভাবে থাকে সেখানে যাওয়া হয়নি বলে সেখানকার অবস্থা জানি না

কিন্তু আমি যদ্দুর জানি শব্দকররা বাঙালিই। অনার্য গোত্রের বাঙালি
কোথাও কোথায় তারা নামের সাথে বাদ্যকরও লেখে
আর অন্যরা ডাকার সময় তাদেরকে ডুকলা বা 'নাগারসি' ডাকে কোথাও কোথাও

০২

প্রাচীন পেশাজীবী গোষ্ঠীগুলোকে বোধহয় আর পেশাগতভাবে বাঁচানো সম্ভবও না যুক্তিও নাই
একটা গোষ্ঠীর জন্য এখন আর শুধু কামার কুমার বাদ্যকর থাকা বোধহয় সম্ভবও না উচিতও না

অনেকেই প্রাচীন পেশা ছেড়ে বের হয়ে আসছে। এটাই বোধহয় এখন একমাত্র উপায়

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

আপনার কথার সাথে কোন দ্বিমত নেই লীলেন ভাই। শব্দকরেরা বাংলায় কথা বলে, তাদের জীবনযাত্রা-আচার-আচরন নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে তার বাঙালি হিসাবে অভিহিত হতে পারে, যদিও দাপুটে বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়ে তারা এ পরিচয়টি অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে। বাঙালি বর্ণহিন্দুরা কখনোই তাদেরকে নিজেদের অংশ মনে করেনি। পেশাগত গোষ্ঠি থেকে ক্রমান্বয়ে তারা প্রান্তিক জাতিতে পরিণত হয়েছে। এখনো সাধারনের ঘরে শব্দকরদের প্রবেশাধিকার নেই, সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এমকি দোকানপাটেও এখনো তারা সাধারনের সাথে একসাথে উঠতে বসতে পারে না। তাদের ষ্পর্শ করা জলখাবার এখনো কেউ খায়না। একজন ডুকলা সে যতই শিক্ষিত বা উন্নত হোক সে চিরকাল ডুকলাই থাকে, ডুকলাদের কেউ বিয়ে করে না বা তাদের কাছে কেউ মেয়ের বিয়ে দেয় না। ঠাট্টা তামাশা নীপিড়নের শিকার হবার ভয়ে শিক্ষিত শব্দকরেরা নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পায়, অনেকে 'শব্দকর' বাদ দিয়ে 'কর' লিখছে ...

ডুকলাদের চলতি সময়ের অবস্থান খুবই ভয়াবহ। এখন বাঙালি মুসলিমরাসহ স্থানীয় অনেকেই বাদ্যবাজনার দল গড়ে তুলছে। বাদ্যবাজানোর বাইরে ডুকলা নারীদের একমাত্র পেশা ছিল ভিক্ষাবৃত্তি। গেরস্তরা এখন সেয়ানা হয়ে যাওয়ায় সেই ভিক্ষাও রোজ মেলে না। ... পেশা পরিবর্তনের ব্যপারটি অবশ্যই একটি সমাধান, তবে ডুকলারদের দিয়ে অন্য কোন কাজ করানো বেশ কষ্টসাধ্য, তারা অন্য কোন পেশায় আসতে চায়না। কারণটি অবশ্যই শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব। সরকারের ভিতর সদিচ্ছা জাগানো.... সমাজের দৃষ্টিভংগীর পরিবর্তন ঘটানো.... শব্দকরদের শিক্ষিত বা সচেতন করে তোলা..... বসবাসের ভুমি নিশ্চিত করা.... কর্মসংস্থান ঘটানো ইত্যাদিসব জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার আগেই দারিদ্র অনাহার অপুস্টিতে তারা নিশ্চিন্হ হয়ে যেতে পারে এমন আশংকা ও আছে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

'নাগারসি' ডাকে কোথাও কোথাও

সিলেটের ভাটি অঞ্চলে, গালি অর্থে ও 'নাগারসি' শব্দ ব্যবহৃত হতে শুনেছি।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমিও এটাই ভাবছিলাম। আমাদের গ্রামাঞ্চলেও 'নাগারসি' একটি গালিবাচক শব্দ, বিশেষ করে যারা হ্যাংলার মতো খায় তাদেরকে এরকম বলে উপহাস করা হয়।
এই শব্দটি যে শব্দকরদের ইঙিত করে করা হয়, এটা আজকেই প্রথম জানলাম।

হরেকৃষ্ণ এর ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগার্সি আডি নামে একটি পাড়া ছিল একটি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার মাঝে, এখন আছে কিনা জানি না। তাদের লোকজন শহরের সব প্রয়োজনে ঢোল-বাদ্য বাজাতেন জানতাম। কিন্তু কখনো নীচু চোখে দেখা হোত শুনিনি। তাদেরকে হিন্দু বলেই জানতাম অথচ আমেরিকার ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ১৯৮৯ সনে প্রকাশিত Bangladesh a country study নামে বইতে পড়েছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাগার্সি সম্প্রদায়কে হিন্দু মনে করা হলেও মুসলমান (অথবা মুসলমানদের মতই আচার-আচরণ করে)।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

একদমই জানা ছিলো না। জানলাম। অনেক ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আরিফুর রহমান এর ছবি

চমৎকার হতো যদি একটা দুটো ভিডিও দেখতে পেতাম সঙ্গে।

ওডিন এর ছবি

কে কোথায় বাঁচলো বা মরলো তা নিয়ে রাষ্ট্রের কোন মাথাব্যাথা নেই; রাষ্ট্র ও তার সুবিধাভোগী মানুষজন ব্যস্ত আইনের প্যাঁচে ফেলে বিপন্নপ্রায় মানুষের ভূমি আর পাহাড়ের দখল নিয়ে।
আর ব্যস্ত সবাইকে বাঙ্গালী বানিয়ে ফেলায়!

এখনকারদিনেও যখন শুনি 'জাত চলে যায়' - আর কিচ্ছু ভাবতে ইচ্ছে করে না।

ধন্যবাদ এইরকম একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।