ওয়াশিংটন ডিসি বেড়িয়ে এসে (১/৩) - জনৈক সচল পরিবারের সাথে মোলাকাত

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০৯/২০০৮ - ১১:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এবারের লেবার ডের লম্বা ছুটিতে ভাবলাম ওয়াশিংটন ডিসি ঘুরে আসি। আগেই জানতাম 'জনৈক সচল' ব্লগার থাকেন সেখানে। তাই আগেভাগে ফোনে যোগাযোগ করলাম। জানালাম দেখা করতে চাই।

ভাবছিলাম ব্লগের সুত্রে পরিচয় - বিরক্ত করাটা কতটা সমীচিন হবে! দেখা গেল উল্টো তিনি আমাকে তার বাসায় থাকতে বললেন এবং পারলে তার স্ক্যাজিয়্যুল ভেঙ্গে আমাদের সময় দেন। আমি তাকে নিরস্ত্র করলাম এই বলে যে, আমাদের হোটেল বুকিং হয়ে গেছে আর আমরা নিজেরাই তো শহর ঘুরে নিতে পারব।

প্ল্যান হচ্ছে যে শুক্রবার আমার স্ত্রী মৌটুসী ইন্ডিয়ানা থেকে সরাসরি ফ্লাই করবে আর আমি পেনসিলিভিনিয়া থেকে ড্রাইভ করে পৌছাব সেখানে। প্ল্যান অনুযায়ী সেখানে পৌছাতে সমস্যা হয়নি। একটানে সাড়ে চার ঘন্টা ড্রাইভ করে যখন রোনাল্ড রেগ্যান এয়ারর্পোটে পৌছেছি তখন বেশ ভাল বাথরুম ধরেছে আমার। ছোটোটা।

সেল ফোন ওয়েটিং এলাকায় গাড়ীটা নিয়ে দাঁড়াতেই মৌটুসী ফোন করল যে সে ল্যান্ড করেছে। সুতরাং পনের মিনিটের মধ্যে বাইরে আসবে। পনের মিনিট পর তাকে তুলে নিয়ে রওনা দিলাম সেই সচলের বাড়ি। তখন রাত নয়টা।

কিছু কিছু ব্যাপারে আমি এখনো গাঁড়ল। যেমন, এই জিপিএস সিস্টেম। আমার এখনও মনে হয় জিপিএস একটা খেলনা, যেটা দিক নিদের্শনা দিয়ে অন্ধ একটা প্রজন্ম গড়ে তুলছে। তবু মৌটুসীর গুঁতাগুঁতিতে একটা জিপিএস প্রায় কিনেই ফেলেছিলাম, খালি বাধ সাধল এই খবরটা। লেইন এসিস্ট, লাইভ ট্রাফিক আর থ্রিডী ভিউ নিয়ে এক মাসের মধ্যে আসছে গার্মিনের নতুন জিপিএস। সুতরাং এখন জিপিএস কেনা যাবে না।

জিপিএস ছাড়া নতুন শহরে আসলে কি কি করনীয় সেটা আগের ভ্রমন অভিজ্ঞতা থেকে জানা। এক. প্রয়োজনীয় সার্ভিস আগে ভাগে ঠিক করা, যেমন হোটেল, রেন্টাল গাড়ী। দুই. বিভিন্ন জায়গার ড্রাইভিং ডিরেকশন প্রিন্ট করা। তিন. সবার ফোন নাম্বার কাগজে লিখে রাখা; প্রয়োজনের সময় ফোন নাম্বার ঘেঁটে ফোন করা প্রায় অসম্ভব। চার. মোবাইল ফোন ঠিক রাখা। সব কিছু আগেভাগে মেনেছি তারপরও এয়ারপোর্ট থেকে বিশ মিনিট দূরত্বের সচল ব্লগারের বাড়িতে যেতে গিয়ে রাস্তা হারিয়ে ফেললাম।

অনেকবার ফোনাফোনি, ম্যাপ দেখা, অনেকগুলি ইউর্টান, বউয়ের ভ্রু কোঁচকানো চেহারা দেখা শেষে ব্লগার সাহেব রাস্তা থেকে যখন আমাকে পিক করে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেলেন তখন রাত বাজে এগারোটা। ব্লগার দম্পতি আমাদের জন্য না খেয়ে বসে আছেন জেনে আমাদেয় লজ্জায় মাথা কাটা যায় যায় আরকি!

ভাবীর হাতের রান্না করা অনেক গুলো পদ খাওয়া দাওয়ার পর খানিকটা আড্ডা হল। সাম্প্রতিক ব্লগ বিষয়াদি, সরকারের বিভিন্ন বিষয়, টেকনোলজী, আমেরিকার রাজনীতি এই সমস্ত টুকটাক বিষয় নিয়ে আলোচনা হল। জানা গেল ভাবিও ব্লগান এবং সেই ব্লগগুলি আমাদের মধ্যে আলোচিতও হয়েছে। তবে তারা সঙ্গত কারনেই দুজনে ছদ্মনামে লেখেন। আর এজন্যই আমাকে ছবি নিতে কিংবা সাক্ষাৎকার দিতে গভীর অনাগ্রহ প্রকাশ করলেন।

সপ্রতিভ, স্মার্ট এবং অতি সজ্জন এই পরিবারের সাথে দেখা এবং ভাবীর হাতের অসাধারন হরেক পদের খাবার দিয়ে ডিনার শেষে যখন ফিরছি তখন রাত সাড়ে বারোটা বাজে। হোটেলে চেকইন করতে দেবে কিনা ভাবতে ভাবতে গাড়িতে স্টার্ট দিলাম আমি। সচল ব্লগার সাহেব মনে হয় আমার মনের কথা বুঝতে পেরেছিলেন। আমাকে বললেন, আমি আরো আধাঘন্টা জেগে আছি, সমস্যা হলে জানিও। শুধু মাত্র অনলাইনে চেনা জানার সুত্রে একটা মানুষ কতটা আপন হতে পারে সেটা ভাবতে ভাবতে গাড়ী টান দিলাম।


মন্তব্য

রণদীপম বসু এর ছবি

কিছুদিন একসাথে থাকলে মানুষের মধ্যে এমন কি যে কোন প্রাণীর মধ্যেই যে জিনিসটা জন্মায়, তার নাম মায়া। সংক্ষিপ্ত অর্থে নয়, বিস্তৃত অর্থে এই মায়াটা এক অদ্ভুত জিনিস। দূরকে কাছে টানে, পরকে আপন করে, এবং চেনাকে করে বিস্ময়।
এখানে সচলে যাঁরা আছেন, সবার মন মানসিকতায় বড় কোন ভিন্নতা আছে কি ? নেই। বরং মিলটাই তো বেশি চোখে পড়ে। এটাই সম্ভবত অন্য যেকোন ব্লগের সাথে সচলের উল্লেখযোগ্য একটা পার্থক্য।
নিবিড় বন্ধনে জড়ানো একটা পরিবার।

সেই সচলযুগলের জন্য একরাশ অভিনন্দন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কথাটা সত্যি। আপনাকে ধন্যবাদ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

টিকটিকির ল্যাজ [অতিথি] এর ছবি

এরপরে? খাইছে

অমিত এর ছবি

ক্যামনে কি !! একই সময়ে তো আমি একই জায়গায় ছিলাম। ধুর

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

থাকিবার জায়গার অভাবে অধম মন ভরিয়া ডিসি ঘুরিতে পারে নাই। মন খারাপ

অমিত এর ছবি

আমি তো স্মোকি মাউন্টেইন থেকে ড্রাইভ করে ডিসি গেলাম। আপনের শহরের পাশ দিয়া গেলাম মনে হইল !!
যাই হোক, ডিসি সিরাম লাগসে। আরেকবার যাওয়া হবে হয়ত।
আর সান ফ্রানসিসকোর এদিকে আসলে থাকার জায়গা নিয়ে ভাবতে হবে না কাউরে। সবাইরে দাওয়াত দিয়া রাখলাম।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমরা তো স্মোকি মাউনটেইন ভ্রমন বাদ দিলাম। দেরী কইরা টিকেট কাটতে গিয়া দেখি প্রচুর দাম। পরে ওয়াশিংটন ডিসি গেলাম। আগে কইবানা?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ব্লু রিজ পার্কওয়ে ধরে ড্রাইভ করেছেন, না? আমাদের একদমই পাশ দিয়ে গেলেন। একটু ঘুরে গেলে পারতেন। আপনাদের বেড়াতে আসার উছিলা তো এখন লেক ইরি'র পাড়ে চলে গেছে। এবারেই তাই পদধূলি দিয়ে যেতেন।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আপ্নেরে আমি সবার আগে বুকিং দিয়া রাখলাম। পরে কইয়েন না কিন্ত। আমার এখানে দাওয়াত লাগে না । এনিটাইম, খালি ফোন দিলেই হবে । ঃ)
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালো লাগলো। ডেট্রেয়েটের আশেপাশে কখনো এলে এপাড়ে একটু ঢুঁ মেরে যাইয়েন। দারুণ সুন্দর রিভারসাইড ড্রাইভ আছে, সেখানে আছে স্কাল্পচার গার্ডেন আর এ্যাম্বাসাডর ব্রীজ। আর আছে ডেট্রয়েট নদীর তীরের নয়াভিরাম রাতের দৃশ্য। খাওয়াবো আলু ভর্তা আর গরুর মাংস দিয়ে ভাত সাথে শিমের ভাজি আর টাকি মাছের ভর্তা।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ভিসা নাইরে ভাই। বের হইলে আর ঢোকা যাবেনা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

স্নিগ্ধা এর ছবি

মাহবুব মোর্শেদ - ইয়ে, মানে আমি সেই ব্লগারের পরিচয় বুঝতে পেরেছি হাসি তিঁনি/তাঁরা আমার সাথে যোগাযোগ করলে খুব খুশি হই।

যাই হোক, এর পরেরবার ডি সি ভ্রমণের সময় আমার বাড়িতেও আতিথ্যের নিমন্ত্রণ রইলো। রাস্তা থেকে পিক করতেও পারবো এবং থাকতেও দিতে পারবো হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আহা! আগে বলবেন না!! খানা পিনা মিস হয়ে গেল!!!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আপু আমি কি দোষ করলাম, আমার কি নেমতন্ন লাগবে ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

স্নিগ্ধা এর ছবি

ইশ্তিয়াক রউফ - এটা কি বললেন? আপনাকে না বলেছিলাম আপনার মা আর বোনকে নিয়ে আমার বাসায় আসতে?? আপনার থাকার জায়গা দরকার একবার বললেন না কেন? কি আশ্চর্য্য!!!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পরের বার, আপু। মা আর ভাই ছিল তো, তাই ঝামেলা করলাম না। তায় আবার অন্যের গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। পরের বার ঠিকমত দেখার ইচ্ছা আছে। কোন মিউজিয়ামেই যেতে পারিনি এবার। ঝড়-বাদলার কথা বাদই দিলাম।

রেনেট এর ছবি

উনাদের পরিচয়টা যদি একটু গোপনে গোপনে আমারে দিতেন!
আহ! বর্ণণা শুইনাই বুঝছি, উনারা বড়ই ভালো মানুষ!
(আর সেই সাথে কোন স্টেটে কে কে আছে, এই গোপন লিস্টিটা ও যদি একটু দিতেন...আমেরিকাডা এট্টু ঘুইরা দেখতে মন চায় মন খারাপ )
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অমিত এর ছবি

রেনেট ভাইজান আপনে গুস্তাভ-রে কেমন দেখলেন ?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গুস্তাভ তো ঠান্ডা মেরে গেছে মনে হয়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

সামনের বছর আম্রিকা যামু, আপ্নেরা সবার এড্ড্রেস দিয়ে দিয়েন। বারবার চাইতে ল্জজা করে।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

সিরিজ চলুক, পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ভাল লাগছে খুব।

--------------------------------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

গত বছর লেবার ডে'তে আমি ডিসি থেকে ফিলিতে গেছিলাম খালি লেবার ডে'র কর্মসূচীতে যোগ দেয়ার জন্য। অনেক উপভোগ্য ছিল কর্মসূচীগুলো। এইবার কেমন হলো জানিনা....

এরপরে যখন আম্রিকা যামু আপনেগো সবার কথা মাথায় রাখুম। দেখা করবার না পারি ফোনে কথা তো কইবার পারুম হাসি

কল্পনা আক্তার

.......................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

দ্রোহী এর ছবি

ওয়াশিংটনের "জনৈক সচল পরিবার" সত্যিকার অর্থেই অতি সজ্জন। আমি যখন নিউইয়র্কে থাকতাম তখন এই "জনৈক সচল পরিবারের" সকল সদস্য/সদস্যা নিজের গরজে ও নিজের খরচে আমার সাথে দেখা করেছিল।


কী ব্লগার? ডরাইলা?

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনাদের ছবিগুলা আসলেই চমৎকার আসছে। হাসি
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কি তেলেসমাতি... আজ সকালে আমিও এরকমই ভাবছিলাম।

আসলেই... নেটে পরিচিত বন্ধুরা কতো তাড়াতাড়ি আপন হয়ে যায়।

একবছরে এই সচলদের সঙ্গেই তো কেবল সার্বক্ষনিক যোগাযোগ... আর কারো সঙ্গেই এতো বেশি সময় কাটানো হয় না তো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নজমুল আলবাব এর ছবি

'ওয়াশিংটনের জনৈক সচল' আমার আপত্তি এই যায়গায়। এইসব পর্দার আমি ঘোর বিরোধী।

বর্ণনা উপাদেয় হচ্ছে।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সবজান্তা এর ছবি

সহমত। মনে হচ্ছে মাসুদ রানার কোন বই পড়ছি। এই গোপনীয়তা খুব অস্বস্তিকর।


অলমিতি বিস্তারেণ

সবজান্তা এর ছবি

লেখা পড়ে মজা পেলাম।

যান আপনারা ঘুরেন এসি-ডিসি। আমি আপতত সুন্দরবনের একটা বিস্তারিত ট্যুর নিয়েই চিন্তিত।


অলমিতি বিস্তারেণ

অমিত আহমেদ এর ছবি

সচলায়তন যে কিভাবে আমাদেরকে আপন করে তুলেছে তা মাঝে মাঝেই ভেবে আপ্লুত হয়ে যাই। পরের পর্বের অপেক্ষায়।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। কয়েকটা ছবি এখানে দিলেও পারতেন।

আর "জনৈক সচল ব্লগার" এর ছদ্মনামটা তো অন্তত বলতে পারেন। আশা করি এতে তাঁরা আপত্তি করবেন না। আমাদের নিজেদের ঘরের মানুষ নিয়ে এতো রাখঢাক করলে চলে! দেঁতো হাসি
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

দৃশা এর ছবি

অতন্দ্র প্রহরীর মত আমারও একই প্রশ্ন...ছদ্মনামটা কওন যায় না?
-------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

কইলেও কি কিছু যায় আসে ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।