আমার বাবা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: সোম, ০১/১০/২০০৭ - ২:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"আমার ছেলেবলা" সম্পাদকের বক্তব্য হচ্ছে সাধারন মানুষের ছোটবেলা নিয়ে একটা বই করবেন। সেসুত্রে আমার প্রতি সমন এসেছে আমার ছোটবেলা থেকে ঘটনা লিখতে খানিক।

একজন আমার-আপনার মত সাধারন মানুষ যার শৈশব আমার-আপনার মতই খানিকটা রঙ্গীন আলোয়, খানিকটা ক্লেশে, খানিকটা আনন্দে, খানিকটা বিরহে কেটেছে - সেটা পড়ে আপনি কি পাবেন? কেন বইটা মানুষ পড়বে? ভাবতে ভাবতে নিজের মনেই উত্তর পেলাম। পাঠক লেখকের দর্পনে দেখবেন নিজেকে। কোন কোন ঘটনা পড়তে পড়তে হেসে উঠবেন - আরে এতো আমারই ছোটবেলা। কোন কোন ঘটনা পড়তে পড়তে অবাক হয়ে বলবেন - আরে এরকম ছোটবেলাও হয় মানুষের!

বইটা কেন তৈরী হচ্ছে সেটার উত্তর পাবার পর একটু আশ্বস্ত হলাম। ভাবলাম বাবাকে নিয়ে লেখা যায়। লোকটা বড়ই অবহেলিত। আমার আপনার জীবনে এই লোকটার অবদান কি কম? অথচ আমাদের সবার থেকে যোজন যোজন দুরত্বে বাস করেন লোকটা।

আমার কাছে বাবা ছিলেন শাসন আর নিয়ম কানুনের এক প্রতিমূর্তি। ছোটবেলা থেকে হাজারো টু-ডু ঝুলিয়ে রাখতেন, প্রতিটা কাজে বিধিনিষেধের বেড়াজালে জড়িয়ে রাখতেন আমার বাবা। তাই সবসময় একটা দুরত্ব, একটা শ্রদ্ধা মেশানো ভয় ছিল তার প্রতি।

আমেরিকা এসে ইচ্ছেমতো ঘুরছি। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করবার পর থেকেই বাবার শাসন ব্যাপারটা ছিল না ঠিকই, কিন্তু বিভিন্ন রকম আপত্তি করত। সেটা ছিল না এখানে তাই স্বাধীনভাবে ঘুরতাম। এরকমই একবার ঘুরতে গেলাম স্যান ফ্রান্সিসকো। ফেরার পথে টানা ১২ ঘন্টার ড্রাইভ। আমি আর গাইজার ভাই পাল্টা-পাল্টি করে গাড়ি চালাচ্ছি আর গল্প-স্বল্প করছি। কথা প্রসঙ্গে তিনি জিজ্ঞেস করলেন পরিবারের কথা, বাবার কথা। কথায় কথায় বাবার প্রতি যে একটা ক্ষোভ ছিল সেটা বেরিয়ে এল। স্বাধীনতা দেননি, প্রতিটা কাজে খবরদারী করেছেন এরকম একেরপর এক অভিযোগ করছি - হঠাৎ গাইজার ভাই আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন - তার জন্যই তুমি এতদূর এসেছ। আমি একটু থতমত খেয়ে চুপ হয়ে গেলাম। তারপর বাকিটা রাস্তা এনিয়ে ভেবে আবিষ্কার করেছি আসলেই তার অবদান কতটুকু!

বাবার চাকরী ছিল বদলীর। বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম এরকম সারাদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। আমাদের পড়াশুনার ক্ষতি হবে ভেবে কখনো আমাদের ঢাকার বাইরে নেননি। একবার কি মনে করে বগুড়া শহরে নিয়ে গেলেন আমাদের। ছোট্ট শান্ত একটা শহর ছিল বগুড়া তখন। অনেক ভোরে বাবা আমাদের ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে যেতেন পাশের একটা ছিমছাম হোটেলে চমৎকার রুটি-ভাজির নাস্তা করাতে। তখনও বাসায় হাড়ি পাতিল কেনা হয় নি - সবে মাত্র একটা বাসা ভাড়া করে উঠেছি আমরা। সাত-রাস্তার মোড়ের দোকানগুলেতে প্রায়ই যেতাম ঘুরতে। আমাদের বাড়িওয়ালার বড় ছেলেটা হাওয়াইন গীটার বাজিয়ে শোনাত আর আমি মনে মনে খুব চাইতাম গীটার বাজানো শিখতে। তখন বোধহয় আমি ক্লাস ত্রিতে পড়ি। পড়াশোনার ভাল ব্যবস্থা হবে না দেখেই বোধহয় আমাদের আবার ঢাকা পাঠিয়ে দিলেন আব্বা। বছরের পর বছর প্রায় সপ্তাহে আব্বাকে দেখেছি ঢাকায় আসতেন আবার সপ্তাহ শেষে বিদায়।

আমার স্বভাব ছিল সবসময়ই একটুকরো বরফের মত, বাইরে রাখলেই গলে পানি। উপমা ঠিক হলো না। বরফের মত আমি বিভিন্ন বিষয়ে নিজেকে বিলিয়ে দেই ঠিকই কিন্তু গলে যাওয়া পানির মত ওয়ার্থলেস সেটা না। বরং আমি বরাবর বাঁদরেরই মত, এক ডালে থেকে আরেক ডালে লাফাই। তবে কোন গাছের ডাল পছন্দ হলে পরে অনেকক্ষন ঝুলেও থাকি।

এই বাঁদর ঝোলা অভ্যেসের কারনে আমার খুব সহজে একেকটা নেশা গড়ে উঠে। বাঁদর যেমন পরিনতি চিন্তা না করে এক ডাল থেকে আরেক ডালে ঝাঁপিয়ে যায়, শূণ্যে লাফ দেয়, চিঁ চিঁ করে উল্লাস করে তেমনই আমিও কখনও গপ্পের বই, কখনো স্ট্যাম্প সংগ্রহ, কখনো মুদ্রা সংগ্রহ, কখনো নারী সংগ্রহ (অনেক পরে, বড় হয়ে যাবার পর খাইছে) এসবে মেতে উঠতাম।

আমার নেশা দেখে বাবা খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়তেন। ক্লাস টুতে পড়তে সাত্তার কাকা শিশু কিনে দিলেন। সেই শিশু এতবার পড়ে ফেললাম যে প্রায় মুখস্ত হয়ে গেল। পরে প্রতি মাসের এক তারিখে সেই চাচুকে জ্বালিয়ে মারতাম শিশু না আনলে। শেষে বাধ্য হয়ে আম্মা সেগুলো কিনে আনত।

নেশা বাড়তে বাড়তে, শিশু ছাড়িয়ে রূপকথা, কমিকস, ভুত প্রেত, টারজান, তিন গোয়েন্দা, কিশোর ক্লাসিক, মাসুদ রানা পর্যন্ত এসেছি তখন। ক্লাস ফাইভ সিক্সে পড়ি বোধহয়। এক খালা বেড়াতে এসেছেন গ্রামের বাড়ি থেকে। তিনি অনেক রাতে উঠে দেখলেন আমি মুখ গুঁজে কি যেন পড়ছি। হাত থেকে কেড়ে নিয়ে দেখলেন মাসুদ রানা, উপরে সুন্দরী ললনার ছবি। ব্যস আর যায় কই সকালে উঠেই আব্বাকে জানানো হল। আব্বার করলেন কি কড়া করে একটা ধমক দিলেন, তারপর আমার বুকশেলফের সব বই জড়ো করা শুরু করলেন পোড়াবেন বলে। ব্যাস আমার কান্না দেখে কে? আমার আত্মা ছিল বইগুলো তখন। অনেক করে হাতে পায়ে ধরে, আর পড়বো না দোহাই দিয়ে রেহাই পেয়েছিলাম সেবার।

আব্বার এভাবে অনেকবার আমার সেই বাঁদর ঝোলা স্বভাবকে সামলে আমাকে ফোকাস করতে সাহায্য করেছেন। পঞ্চম শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষা, অষ্টম শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষার, মেট্রিক পরীক্ষা বা যে কোন পরীক্ষার সময় পাশে এসে বসে থাকতেন। আমরা দুভাই পড়ছি। পাশে আব্বা বসে বসে সরু রীমের চশমার পড়ে বই পড়ছেন। মাঝে মাঝে আম্মা রান্না বান্না শেষ করে এসে বসতেন। তখন বিরক্ত লাগত, এখন বুঝি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেগুলো আমাদের জন্য।

আমার মনে আছে, মাঝে মাঝে ঈদে বাসার সবার জন্য কাপড় যোগাড় করা কষ্ট হয়ে যেত। একবার মনে আছে, বাসায় প্রচুর আত্মীয় স্বজন। সবাইকে কাপড় দিতে গিয়ে আব্বার অবস্থা বেশ খারাপ। নিজে কিছু নিলেন না। কিন্তু আমাদের দু-সেট জামার আব্দার ঠিকই পুরোন করলেন। কতবার ঈদে দেখেছি আমরা নতুন জামা, নতুন স্যান্ডেল, এমন কি নতুন টুপি, জাঙ্গিয়া পরে দুভাই বেরিয়েছি, আব্বা বেরিয়েছেন পুরোনো একটা পাঞ্জাবী গায়ে দিয়ে। খুশী মনেই আমাদের সাথে ঈদের জামাতে যেতেন আর নামাজ শেষে দাদীর জন্য হাউমাউ করে কাঁদতেন।

আব্বা সব ঝামেলা খুব ঠান্ডা মাথায় ট্যাকল করেন। খুব খুব ঠান্ডা মাথায়। অনেকগুলো উদাহরন দেয়া যায়। কিন্তু আমি শুধু একটা দেবো। আমার ছোট ভাইকে বেশ আপস এন্ড ডাউনেসর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আব্বার কেয়ারফুল অবজারভেশন স্বত্তেও সে ম্যাট্রিক পরীক্ষার আগে খানিকটা দুষ্টু হয়ে যায়। ফলে মেট্রিকে ভাল করতে পারেনি। আর ইন্টার মিডিয়েট পরীক্ষার সময় একটা প্রেম করে বসে। সেই মেয়েও সম বয়সী। ফলস্বরুপ দুজনেই ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় খারাপ করে বসে। মেয়ের বাবা একজন ডক্টরেট, তিনি ব্যাপারটা জানতে পেরে মেয়ের জন্য এক জায়গায় বিয়ের ব্যবস্থা করেন। কৈশোরের আবেগ ঠেকাতে না পেরে এরা দুজন পালিয়ে চলে যায় আমাদের নানা বাড়িতে।

আব্বা জানতে পেরে তাদের কাছে যান, কথা বলেন এবং তাদেরকে রাজি করান এই বলে যে তাদের সর্ম্পক থাকুক, আরো সময় যাক, আমার ছোট ভাই প্রতিষ্ঠিত হোক তারপর পারিবারিক ভাবেই সবকিছু হবে। আমি তখন উত্তেজিত - পরিবারের মান ইজ্জত বলে কথা, পারলে তখনই আমার ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেই, ধরে মার দেই। আমি তখন বুয়েটে পড়ি, ইজ্জতের মামলা হয়ে গেল ব্যপারটা। আব্বা আমাকে শান্ত করলেন। ওদের নিয়ে আসলেন, মেয়ের বাবাকে খবর দিলেন যাতে মেয়েকে নিয়ে যায়। মেয়ের বাবা মেয়েকে নিতে এসে করলেন এক কান্ড - তিনি সবার সামনে পারলে আমার ভাইকে মারেন, আব্বাকে অপমান করলেন, মেয়েকে মারা শুরু করলেন। তবু আব্বা কিছু বলেননি। লোকজন জড়ো হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত আমার ছোট ভাই মেয়েকে তার হাত ছুটিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেল। আর চরম সেই নাটকের সময় আমি বাসায় ছিলাম না।

পুরো ব্যাপারটা কেঁচে ফেলার পর মেয়ের বাবা তখন পুলিশে রিপোর্ট করাতে গেলেন। শেষ মেষ আমার আব্বা মেয়েদের আত্মীয়ের সাথে অনেক আলাপ আলোচনা শেষে ঠিক করলেন এদের বিয়ে দিয়ে দেবেন। অনেকে ছিঃ ছিঃ শুরু করলেন, অনেকে অনেক কিছু বলেছেন। আমি পর্যন্ত তাদের সাথে কথা বলিনি দুবছরের বেশী। কিন্তু আব্বা অনেক অনেক দূর পর্যন্ত, অনেক অনেক উদার ভাবে ভাবতে পেরেছিলেন বলেই এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন। আমার ছোটভাই কম্পিউটার সায়েন্স থেকে ব্যাচেলর করে, ইয়ং ওয়ান কোম্পানী চাকুরী করে এবং পাশাপাশি ম্যানেজম্যান্টে মার্স্টাস করছে। তারা এক সন্তানের জনক। আর আমার ভাইয়ের স্ত্রী এখন হোম ইকনমিক্সে ব্যাচেলর করছে।

আমি যখন বিয়ে করে আমেরিকায় চলে আসি তখন আমার স্ত্রী ঢাকায় ছিল মাস ছয়েকের মতো। তখন তাকে মানসিক সাপোর্ট দেয়া, ঠিক কোন সময়ে সে মন খারাপ করে বসে থাকে সেটা দেখে তার মন ভালো করার ব্যবস্থা করা, কিংবা চাকুরী করার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে সবরকমের সহায়তা করা সব কিছুতেই বাবা সাহায্য করেছে তাকে। নইলে নতুন পরিবেশে আমি ছাড়া মানিয়ে নেয়া অসম্ভব হতো তার জন্য।

বাবার এত অবদানের পরও বাবার কাছে গেলে আড়ষ্ট হয়ে বসে থাকি। বাবা ফোন করলে কেমন আছিস জিজ্ঞেস করে মাকে ফোন দিয়ে দেয়। কিন্তু শুধু ওই একটা প্রশ্নেই বাবার উদ্বেগটা আমাকে ছুঁয়ে যায়। ঈদ উপলক্ষে মা যখন আমার জন্য জিনিষপত্র পাঠাবেন বলে প্যাক করতে থাকেন তখন বাবা ছুটে গিয়ে কিনে আনেন একটা পাঞ্জাবী। তার খোকা মাকে বলেছে পাঞ্জাবী পড়বে না, তাতে কি খোকার ঈদের দিন একটা পাঞ্জাবী পরবে না তা কি হয়? যে খোকাকে কোলে করে ঘুম পাড়ানী গান শুনাতেন, অসুখ হলে স্বামী-স্ত্রী মিলে উদ্বিগ্ন হয়ে নামাজ পড়ে কাঁদতেন; গভীর রাতে ঘুমাতে না পেরে ছেলের মঙ্গল কামনায় হাউমাউ করে কাঁদতেন; সে খোকা আজ দূরে বসে তাকে ফোন করতে ভুল যায় তো কি হয়েছে। সে তো তার সেই খোকাই। তার কবরের পাশে সেই খোকাইতো গান গেয়ে শোনাবে, "খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়াল বর্গী এল দেশে..."

(এই লেখায় বাবার কথা শুধু বলেছি বলে মা রাগ করতে পারেন। মাকে বলি, তোমার মত মা-বাবা আমি পেয়েছি এ আমার পূর্বজন্মের সাধানাই হয়ত। বাবার মত তোমারও অনেক অবদান মাগো। সেটা অন্য কোন লেখায় আসবে হয়ত।)


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

চলুক লেখা.... সাথে থাকবো।


কি মাঝি? ডরাইলা?

তারেক এর ছবি

পড়ছি মুর্শেদ ভাই, ভাল লাগছে...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

আরিফ জেবতিক এর ছবি

কট্ঠিন প্রতিশোধ নেয়া হবে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চলুক। আগেও বলেছি - আপনার ব্যক্তিগত স্মৃতিকথা পোস্টগুলো পড়তে ভালো লাগে।

??? এর ছবি

বরফ ও বাঁদরের ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না। চিন্তিত

.............................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

তারপর?


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মাশীদ এর ছবি

তোর এই লেখা পড়ে আমার নিজের বাঁদর স্বভাব আবার প্রকাশ পেল। মনে হচ্ছে যেন এই লেখার ডাল ধরে ঝুলে আছি। দুর্দান্ত হয়েছে। জোরেসোরে চলুক।

এটা পড়ে বহু আগের একটা ঘটনা আবছা মনে পড়ছে। তোর ছোট ভাইয়ের বিয়ে সংক্রান্ত মনে হয়। পুরোটা মনে নেই...কি যেন...তোর ছোট ভাই হুট করে কবে জানি বিয়ে করল...মেয়েটার বাসায় বোধ হয় খুব ন্যাচারালি ক্যাঁচাল হচ্ছিল...তখন তোর বাবা বোধ হয় খুব সাপোর্ট দিয়েছিলেন তোর ভাইকে। আমাদের প্রায় সবারই প্রেমঘটিত কারণে তখন বাড়িতে নানা সমস্যা। তোর বাবার ওরকম সাপোর্ট শুনে আমরা সবাই তোর বাবার বিরাট ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম হাসি


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হুমম এই বিষয়গুলাও আনব ভাবছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমার বাপে তো আমাকে ত্যাজ্য করবে রাইট অ্যাওয়ে...


ব্লগস্পট | অর্কুট | ফেসবুক | ইমেইল

অনিকেত এর ছবি

খুব ভালো লাগল......।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

শেষ করলাম।
দুঃখিত খুব ন্যারেটিভ টাইপের ভ্যাজর ভ্যাজর হয়ে গেল। আরেকটু ঘষে মেজে ঠিক করবো দেখি...

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মাশীদ এর ছবি

তোর ন্যারাটিভ টাইপ ভ্যাজর ভ্যাজর একটানে পড়ে গেলাম। খুব সুন্দর লিখেছিস। মন ছুঁয়ে গেল। অনেক কিছু মিলেও গেল আমার সাথে। তোর বাবার জন্য অনেক শুভ কামনা।


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

শেষ মেষ আমার আব্বা মেয়েদের আত্মীয়ের সাথে অনেক আলাপ আলোচনা শেষে ঠিক করলেন এদের বিয়ে দিয়ে দেবেন। অনেকে ছিঃ ছিঃ শুরু করলেন, অনেকে অনেক কিছু বলেছেন। আমি পর্যন্ত তাদের সাথে কথা বলিনি দুবছরের বেশী। কিন্তু আব্বা অনেক অনেক দূর পর্যন্ত, অনেক অনেক উদার ভাবে ভাবতে পেরেছিলেন বলেই এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন।

নানাজানকে নিরানব্বইটা স্যালুট দেঁতো হাসি

আর মামুকে বাকিটা ... এইরকম জোস একটা মানুষের কথা লেখার জন্যে ...

তিথীডোর এর ছবি

বাবা কিংবা মাকে নিয়ে লেখা যেকোন পোস্টই আমাকে কাঁদায়.. এমন দুর্দান্ত লেখনী হলে তো কথাই নেই!!

--------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।