হ্যাভেনলি হাওয়াইইঃ পর্ব ১ (সৃষ্টি পর্ব)

মইনুল রাজু এর ছবি
লিখেছেন মইনুল রাজু [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৫/১২/২০১৪ - ৬:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ থেকে ১৫০০ বছর পূর্বে প্রশান্ত নামধারী অশান্ত সেই মহাসাগরে দ্বৈতকাঠামোর ডিঙ্গি নৌকায় দুই হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে পলিনেশিয়ানরা (দক্ষিণ ও মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দীপপুঞ্জের অধিবাসী) যে নতুন দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে উপস্থিত হয় তার নাম হাওয়াইই। সৌখিনজনেরা নাম দিয়েছেন হ্যাভেনলি হাওয়াইই। কিন্তু, সেই দীপপুঞ্জে একবার পায়ে যারা পদধূলি লেপনের সুযোগ পেয়েছেন, বিনাবাক্যে তারা স্বীকার করবেন, সৌখিনজনতো দূরে থাক, জগতের সবচেয়ে নীরস-নিপাট-নিস্তেজ লোকটিও হাওয়াইইয়ের সৌন্দর্যে রোমাঞ্চিত হতে বাধ্য হবেন।

পলিনেশিয়ানদের হাওয়াইই আবিষ্কার ছিলো কষ্টসাধ্য। তাদের কাছে কলাম্বাসের মত 'নিনা', 'পিন্টা' ছিলো না, ছিলো না 'স্যান্টা মারিয়া'; ভাস্কো-দা-গামা’র মত আধুনিক কম্পাস ছিলো না। রাতের তারা আর আকাশের পাখিই ছিলো একমাত্র সম্বল। তারা প্রকৃতির সন্তান, প্রকৃতিই তাদের প্রযুক্তি। প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া টিট্টিভ (Plover) পাখির গতিপথ অনুসরণ করে তারা ছুটে যেতো মহাসাগরে। তারা জানতো, পাখি যেহেতু উড়ে যাচ্ছে, সামনে নিশ্চয় কোথাও দ্বীপ আছে, আছে ভূমি; না-জানি কত অমূল্য ধন লুকিয়ে আছে সেই অজানা ভূমিতে। তবে, তারা জানতো না, কত দূরে সেই অজানা রহস্যময় দ্বীপ; দশক শতক নাকি হাজার মাইল।


ছবিঃ সমুদ্র অভিযানে পলিনেশিয়ানদের ব্যবহৃত জলযান (Art by Herb Kane)

কত শত প্রচেষ্টার পর পলিনেশিয়ানরা গিয়ে হাওয়াইই'তে উপস্থিত হতে পেরেছিলো, তার কোনো প্রমাণ ইতিহাসে সংরক্ষিত নেই, থাকার কথাও নয়। তবে, সেই সাধারণ জলযানে চড়ে, কোনো ধরণের আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই প্রশান্ত মহাসাগরে অভিযান সম্ভব কি-না, কৌতুহলী মন মাত্রই সে-প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাইবে। উত্তরটা প্রস্তুতই আছে। ১৯৭৬ সালে 'হাওয়াইই'য়ান পলিনেশিয়ান ভয়েজিং সোসাইটি'র সদস্যরা কোনো ধরণের আধুনিক উপকরণ ছাড়াই, হাওয়াইইয়ানদের ব্যবহৃত নৌযানের অনুরূপ নৌযান প্রস্তুত করে, হাওয়াইই থেকে তাহিতি দ্বীপ পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় চার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেন পলিনেশিয়ানদের হাওয়াইই আগমণ কেমন করে সম্ভব ছিলো।


ছবিঃ Hokulea- হাওয়াইই'য়ান নৌকার অনুকরণে নির্মিত এই জলযানে করেই পাড়ি দেয়া হয়েছিলো চার হাজার মাইল

মানব সম্প্রদায়ের হাওয়াইই আগমণ একেবারে নির্ভূলভাবে সংরক্ষণ না করতে পারলেও, ইতিহাস ঠিকই সংরক্ষণ করতে পেরেছিলো সেই আদিম হাওয়াইই'য়ানদের নিকট অমূল্য এক খাবারের নাম। মজার ব্যাপার হচ্ছে, হাওয়াইই'য়ানদের সেই খাবারের সাথে আমাদেরও রয়েছে দারুণ পরিচয় - কচু, কচুর লতি কিংবা কচুমুখি। যে-মাটিতে গিয়ে আকাঙ্খার আবাস গড়েছে পলিনেশিয়ানরা, সে মাটিতে প্রত্যাশিত এবং প্রয়োজনীয় অনেক ফসল ফলানো সম্ভব না হলেও, ফলানো গিয়েছিলো জীবন রক্ষাকারী এই ‘কচু’। একদা সেই কচুই মিটিয়েছিলো পলিনেশিয়ান তথা হাওয়াইই'য়ানদের খাবারের চাহিদা।


ছবিঃ হাওয়াইই'য়ান অধিবাসী, কচুমুখি দিয়ে প্রস্তুত করবেন পোই, পেছনে কচুক্ষেত, সৌজন্যে- উইকিপিডিয়া

যে কারণে সহজে অন্য কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়নি, তার মূলে রয়েছে সেখানকার মাটির সৃষ্টি প্রক্রিয়া। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং তার লাভায় সৃষ্টি হয়েছে হাওয়াইই'য়ের মাটি। সে-মাটির গঠন আলাদা, আকৃতি আলাদা, প্রকৃতি আলাদা। মনে হতে পারে, হাওয়াইই বেশ কয়েকটি দ্বীপের সমষ্টি, পুরো দ্বীপের একটা অংশে যদি অগ্ন্যুৎপাৎ হয়, লাভার প্রবাহ হয়, অন্য দ্বীপে কিংবা দ্বীপের অন্য অংশেতো ফসল হওয়ার কথা। রোমাঞ্চটা ঠিক এখানটাতেই। হাওয়াইই'য়ের ভেতর থেকে আগ্নেয়গিরি বের হয়নি, বরং আগ্নেয়গিরির ভেতর থেকে বের হয়েছে হাওয়াইই। হাওয়াইই দ্বীপপুঞ্জের প্রতিটা দ্বীপ, প্রতিটা বিন্দু, প্রতিটা কণা পৃথিবীর বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে আসা।


ছবিঃ লাভা প্রবাহ প্রবর্তী অবস্থা


ছবিঃ লাভা প্রবাহ প্রবর্তী অবস্থা

প্রশন্ত মহাসাগরের উপর দৃশ্যমান যে আটটি উল্লেখযোগ্য দ্বীপের সমন্বয়ে হাওয়াইই সৃষ্টি তাদের মধ্যবর্তী দূরত্ব কয়েক'শো কিলোমিটার হলেও, এই দ্বীপ-পর্বতমালার প্রকৃত দূরত্ব তথা দৈর্ঘ্য প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার। আমরা কেবল সমুদ্রের উপরে বের হয়ে আসা অংশটা দেখতে পাই। বাকীটা সমুদ্রের তলদেশে। তবে, সেটা দেখার জন্য সমুদ্রের নীচে গিয়ে ডুব দেয়ার প্রয়োজন নেই। আছে গুগল আর্থ। কিন্তু, সমুদ্রের গভীরে কি করে এই কয়েক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বীপমালার সৃষ্টি হলো- সেই প্রশ্নের উত্তরটা নিজেই এক নান্দনিক ইতিহাস, পৃথিবীর ইতিহাস। সে এমনি এক চাঞ্চল্যকর ইতিহাস যে, ভ্রমণ কাহিনী লিখতে বসেও সে ইতিহাসের কিছুটা ব্যাখ্যা না দিয়ে যাওয়াটা হবে নিশ্চিত অপরাধ।


ছবিঃ দৃশ্যমান এবং সমুদ্র তলদেশে থাকা হাওয়াইই'য়ের পর্বত/দ্বীপমালা, গুগল আর্থ দিয়ে সরাসরি এরকমটাই দেখা যাবে

আমাদের পৃথিবীর উপরিভাগের প্রায় পঞ্চাশ থেকে দেড়শো কিলোমিটার গভীরতা পর্যন্ত যে স্তর (ভূ-ত্বক/লিথোস্পিয়ার), সেটি আসলে কতগুলো বড় বড় খণ্ডে বিভক্ত। একেকটি খণ্ডকে বলা হয়ে থাকে একেকটি প্লেইট। এই প্লেইটগুলোর মাধ্যমে দাঁড় করানো ব্যাখ্যা দিয়েই সৃষ্টি হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্লেইট টেকটোনিক তত্ত্বের। অনবরত খুবই ধীর গতিতে একটি নির্দিষ্ট দিকে সরে যাচ্ছে প্লেইটগুলো। কিছু কিছু প্লেট আকারে এত বড় যে, সে একটা প্লেটের উপরই পুরো একটা মহাদেশ কিংবা মহাসাগর অবস্থিত।


ছবিঃ বিগ আইল্যাণ্ডের এক প্রান্ত থেকে তোলা

কথা হচ্ছে, এই সুবিশাল প্লেইটগুলো যখন একটি আরেকটির সংস্পর্শে আসে, তখন সেখানেতো এক লঙ্কাকাণ্ড হয়ে যাওয়ার কথা! যা হওয়ার কথা, তা-ই হয়। দুটো প্লেইটের সংঘর্ষস্থলে, একটা প্লেট আসলে অন্য একটা প্লেটের নীচে ঢুকে পড়ে এবং ঢোকার সময় সাথে করে বয়ে নিয়ে যায় পৃথিবীর উপরিভাগে থাকার সময় জড়ো হওয়া প্রচুর পরিমাণ জৈব পদার্থ এবং অক্সিজেন। আর, কে না জানে, আগুণ জ্বলনের শর্ত এই অক্সিজেন। এইসব কারণের সাথে সাথে আরো বেশ কিছু কারণ যুক্ত হয়ে, প্লেটের সংঘর্ষস্থলের অদূরে সৃষ্টি হয় আগ্নেয়গিরির। একটা দুটো নয়, রাশি রাশি আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয়গিরি না বলে আগ্নেয়গিরিমালা বলাই শ্রেয়। জ্বলন্ত 'প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার' তার সর্বোতকৃষ্ট উদাহরণ। বোধহয় একেই বলে 'জ্বলন্ত উদাহরণ'। কিন্তু, লঙ্কাকাণ্ডতো মানেতো শুধু আগ্নেয়গিরি না। আর কোনো লঙ্কাকাণ্ড কি নেই? হ্যাঁ, আছে! আরো লঙ্কাকাণ্ড আছে। হিমালয়ের মত সুবিশাল পর্বতমালা ইন্ডিয়ান প্লেইট ও ইউরেশিয়ান প্লেইটের, এবং আন্দিজের মত পর্বতমালা সাউথ আমেরিকান প্লেইট ও নাজকা প্লেইটের সংঘর্ষস্থলেই সৃষ্ট।

কিন্তু, যে আগ্নেয়দ্বীপের সৃষ্টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এত কিছু চলে আসলো, সে হাওয়াইই কিন্তু, কোনো প্লেইটের বাউন্ডারিতে অবস্থিত নয়। বিশাল প্যাসিফিক যে সুবিশাল প্লেইটের উপর অবস্থিত (প্যাসিফিক প্লেইট), বলতে গেলে সেই প্লেইটের একেবারে মধ্যখানে জন্ম নিয়েছে হাওয়াইই। প্রশ্ন হলো, তাহলে এই জায়গাতে আগ্নেয়গিরি আসলো কোথা থেকে? একটু খেয়াল করলে বুঝা যাবে, প্লেইট টেক্‌টোনিক তত্ত্বের মাধ্যমে যে ব্যাখ্যাগুলো দেয়া হয়েছে, সেগুলো শুধু প্লেইট অর্থ্যাৎ ভূপৃষ্ঠ থেকে দেড়শো কিলোমিটার গভীরতা পর্যন্ত ক্রিয়াকলাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু, পৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত আমাদের এই প্রিয় পৃথিবীর গভীরতা ছয় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি এবং আর অবিশ্বাস্য শোনালেও সেখানকার তাপমাত্রা সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রার সমান।

স্বাভাবিকভাবেই, উচ্চ তাপ ও চাপে থাকা গভীর পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের গলিত পদার্থ যখনই কেন্দ্রের বাইরের দিকে দূর্বল স্তর পেয়েছে, বের হওয়ার মত নির্গমন পথ পেয়েছে, তখনই পৃথিবীর বুক ছিঁড়ে বেরিয়ে আসতে উদ্ধত হয়েছে, শুরু করেছে অগ্ন্যুৎপাতের, সৃষ্টি করেছে আগ্নেয়গিরির। পৃথিবীর যে সমস্ত স্থানে এই ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া কার্যকর আছে, সে-সমস্ত স্থানকে বলা হয় 'হটস্পট'। সমুদ্রের তলদেশে থাকা সেরকমই এক হটস্পটের মুখনিঃসৃত লাভায় সৃষ্ট এক আগ্নেয়গিরি, সূর্যের আলো দেখবে বলে মাথা উঁচু করতে করতে যখন সমুদ্রের তলদেশ ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো, হাজার হাজার বছর পর আমরা মানব সম্প্রদায় তাহার নাম দিলাম 'হাওয়াইই'।


ছবিঃ সৌজন্যে উইকিপিডিয়া

পৃথিবীর উপরিভাগের প্লেইটগুলো একটি নির্দিষ্ট দিকে চলতে থাকলেও অভ্যন্তরভাগ কিন্তু স্থির। হটস্পটের উৎপত্তিস্তল পৃথিবীর গভীর হলেও, সেখান থেকে বের হওয়া উত্তপ্ত বস্তু দিয়ে যে বিশাল আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হচ্ছে, সেটার অবস্থান পৃথিবীর উপরিভাগে অবস্থিত প্লেইটে। মানেটা দাঁড়ালো, হটস্পট এক জায়গায় স্থির থেকে উদ্‌গীরণ করেই যাবে, কিন্তু, সেখানে সৃষ্টি হওয়া আগ্নেয়গিরি সময়ের ব্যবধানে প্লেইটের চলাচলের সাথে সাথে হটস্পট থেকে দূরে সরে যাবে, অর্থ্যাৎ প্লেইট যে-দিকে সরে যাচ্ছে সে-দিকে সরে যাবে। আর, ঠিক এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছে হাওয়াইই দ্বীপপুঞ্জের সমস্ত দ্বীপ তথা পর্বতমালা। তাদের সবার উৎপত্তিস্থল ওই একটা হটস্পটই। কিন্তু, মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে চলতে থাকা প্লেটের গতি, সে পর্বত সমূহকে নিয়ে গেছে হটস্পট থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে।

সমুদ্রের তলদেশে থাকা 'সী মাউন্টেইন' হোক আর সমুদ্রের উপরিভাগে দৃশ্যমান দ্বীপই হোক, হটস্পট থেকে যে পর্বত যত দূরে, সে-পর্বতের পাথর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তার বয়স তত বেশি এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হতে হতে আকারে সে-পর্বত তত ছোট। বর্তমানের এই পর্বতমালার সবচেয়ে বড় পর্বত তথা দ্বীপের নাম 'বিগ আইল্যান্ড', যেটি এই মূহুর্তে হটস্পটের উপর বসে আছে। এবং বর্তমানে সেখানেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলো।

তাহলে প্রশ্ন হলো, হটস্পটের উপর যে আইল্যান্ডটা আছে (বিগ আইল্যান্ড), সেটিতো সরে যাওয়ার কথা এবং সেখানে নতুন আইল্যান্ডের জন্ম হওয়ার কথা! খুবই সঠিক প্রশ্ন। হ্যাঁ, বিগ আইল্যান্ডের ঠিক পেছনেই, প্রশান্ত মহা সাগরের বুক ফুঁড়ে বের হয়ে আসতে শুরু করেছে নতুন পর্বত, নতুন দ্বীপ। বিজ্ঞানীরা তার নামও দিয়ে ফেলেছেন- "লো'ইহি"। আফসোস, এক জনম এতই ছোট যে, সে জিনিস অবলোকন করার সৌভাগ্য আমাদের হবে না। আজ থেকে দশ হাজার বছর পরে, এই পৃথিবীর মানুষজন দেখতে পাবে সেই নতুন দ্বীপের রূপ।


ছবিঃ হাওয়াইই দ্বীপপুঞ্জের উৎপত্তি, ছবিটি ভলকানিক ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত জেগার মিউজিয়াম থেকে তোলা

বিগ আইল্যান্ডের আনাচে-কানাচে, পথে-প্রান্তরে হাঁটতে হাঁটতে আমার শুধু মনে হয়েছিলো, কি বিশাল আর ব্যাপ্তিময়ই না হতে পারে এই মহাকাণ্ড। যে দিকেই তাকাই শুধু তার নিদর্শন! অবাক চোখে দেখেছি অর্ধতরল, কঠিন, পাথুরে সব লাভা! তবে, অবাক মনে ভেবেছি অন্য কথা। এই পাথুরে, আগ্নেয়, বিরূপ, নিস্তেজ পরিবেশেও ঠিকই মাথা তুলেও দাঁড়িয়ে গেছে 'উদ্ভিদ'। শুরু করেছে সবুজের সতেজ মিছিল। আহ! অপূর্ব সেই সবুজ। দেখে কে বলবে, একদা পৃথিবীর বুক থেকে বেরিয়ে আসে আগুণের গোলায় তৈরি হয়েছে এই ভূমি! (চলবে...)


ছবিঃ উদ্ভিদ, যখনই সুযোগ পেয়েছে, গলা বাড়িয়েছে সূর্যের দিকে

মইনুল রাজু
ফেইসবুক
অন্যান্য সব লেখা


মন্তব্য

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

কতো অজানারে চিন্তিত ধন্যবাদ পোস্টটির জন্যে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মইনুল রাজু এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকেও। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

মন মাঝি এর ছবি

দারুন! চলুক

****************************************

মইনুল রাজু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষের ছবি আর ক্যাপশন দুটোই ভালো হয়েছে চলুক

রাসিক রেজা নাহিয়েন

মইনুল রাজু এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

এক লহমা এর ছবি

চমৎকার! চলুক। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মইনুল রাজু এর ছবি

ধন্যবাদ। চলুক

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহা! এই বয়সেও কত নতুন তথ্য জানছি। ধন্যবাদ আপনাকে। হাসি

মইনুল রাজু এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকেও। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

মাসুদ সজীব এর ছবি

পাঁচতারা।
আপনার ভ্রমণ লেখার ভক্ত আমি সচলের প্রথম থেকেই, এ লেখাটি বোধহয় আপনার অন্য সব লেখাকে ছাড়িয়ে গেছে। ভ্রমনের ছবির সাথে সেই স্থানের জন্মকথন-ইতিহাস কথন অার অপূর্ব বর্ণনা মিলিয়ে প্রতিটি লেখা হয়ে ওঠে অসাধারণ। লেখালেখি চলুক হাসি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

মইনুল রাজু এর ছবি

ইতিহাস আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিসগুলোর একটি। অনেক লেখা লিখতে, ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে কোথায় কোথায় যে গিয়ে হারিয়ে যাই; দেখা যায়, পড়তে পড়তে সেদিন লেখাটাই আর হয়ে উঠে না। হাসি
ধন্যবাদ আপনাকে।

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

অতিথি লেখক এর ছবি

মুগ্ধতা রেখে গেলাম চলুক

ফাহিমা দিলশাদ

মইনুল রাজু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মইনুল রাজু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

নীলকমলিনী এর ছবি

কত কিছু জানলাম। এই ধরনের লেখা পড়তে আমার খুব ভাল লাগে। কখনও হয়তো যাওয়া হবে, তখন অনেক কিছুই জানা থাকবে আপনার লেখার সুবাদে। আপনার প্রায় সব লেখাই পড়েছি। ধন্যবাদ।

মইনুল রাজু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মইনুল রাজু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক চলুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

মইনুল রাজু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।