নন্দিত নগরে - পর্ব ৭ (লাস ভেগাস)

মইনুল রাজু এর ছবি
লিখেছেন মইনুল রাজু [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০৪/২০১৪ - ১২:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লাস ভেগাস, থার্টি ফার্স্ট নাইট। টলতে টলতে একবার রাস্তার এপাশে যাইতো আরেকবার যাই অন্যপাশে। এই রাত্রিকালীন ঠাণ্ডার মধ্যেও পায়ের জুতো খুলে ফেলেছে তিন্নি। ওদিকে, শার্লিন অবিরতভাবে বলে যাচ্ছে ‘হাই বেইব্বি, হাই বেইব্বি’। এদিকে, বিবসনা রমনীদের সাথে আমার ছবি তুলতে ব্যস্ত রিচার্ড ভাই। অনেক হলো, এবার নাটক রেখে আসল কথা বলা যাক।

জগতের সমস্ত পুরুষকে দুইভাগে ভাগ করা যায়- বুদ্ধিমান পুরুষ এবং সেই সমস্ত পুরুষ যারা বউ নিয়ে লাস ভেগাস যায়। আমি দ্বিতীয় গোত্রের। শুধু তাই নয়, সাথে তিন মাসের পুত্রও আছে। তাকেই শার্লিন “হাই বেইব্বি হাই বেইব্বি” করে যাচ্ছে। যে সমস্ত বিবসনাদের সাথে রিচার্ড ভাই আমার ছবি তুলতে ব্যস্ত, তারা আসলে স্ট্যাচু। ক্লিওপেট্রা থেকে শুরু করে বিবসনা পুরুষ কিছুই বাদ যায়নি। থার্টি ফার্স্টের রাতে লাস ভেগাসে মূল রাস্তা গাড়ী চলাচলের জন্য বন্ধ থাকে, সেই জন্য বেশ কিছুদূর হাঁটতে হয় বলেই তিন্নির জুতো খুলে আরাম করে হাঁটা। আর, রঙিন পানীয়ের কল্যাণে শতকরা আশিভাগ মানুষ এমনভাবে টলতে টলতে হাঁটছে, আমাদেরকেও প্রায় টলতে টলতেই তাদেরকে জায়গা করে দিতে হচ্ছে। মনে হবে আমরাই বুঝি বদ্ধ মাতাল। চলমান গাড়ীতে উঠলে ঠিক যেমনটা মনে হয়, গাড়ী নয় বরং রাস্তাই বুঝি দৌড়ে পালাচ্ছে।

এর আগে দিনের বেলা এয়ারপোর্ট থেকে নেমে যখন হোটেলে যাচ্ছিলাম, তখন পথেই পড়েছিলো প্রথম সারপ্রাইজ- ইউনিভার্সিটি অফ লাস ভেগাস। কি আশ্চর্য, এই জায়গায় থেকে মানুষ পড়বে ক্যামনে! লাস ভেগাসে বসে পড়াশোনা করা আর গুলিস্তানের মোড়ে বসে গীতাঞ্জলি লেখাতো একই কথা। এতো গেলো প্রথম সারপ্রাইজ, দ্বিতীয়টাতো আরো ভয়ঙ্কর। এই আলো ঝলমলে, উন্মাতাল শহরের বিস্মিত হওয়ার জিনিসের অভাব নেই, অথচ যে জিনিসটা আমাদের কাছে বিস্ময় হয়ে আবির্ভুত হলো সে জিনিসের নাম 'সিঙ্গারা'। সিঙ্গারার ভিতরে আলু ঢুকলো ক্যামনে, তার উত্তর বঙ্গমনীষীরা ঠিকই বের করে ফেলবেন; কিন্তু, লাস ভেগাসের ভিতরে সিঙ্গারা ঢুকলো ক্যামনে, না বললে সেটার উত্তর বের করা জ্বীনের বাদশা ছাড়া অন্য কারো পক্ষে সম্ভব না। রিচার্ড ভাই নিউইয়র্ক থেকে ফ্লাই করে লাস ভেগাসে এসেছেন আমাদের সাথে নতুন বছর উদযাপন করতে। নিউ ইয়র্ক এমন একটা জায়গা যেখানে কাঁচা খেজুরের রস থেকে শুরু করে বান্দরবানের কলা পর্যন্ত সবই পাওয়া যায়। কিন্তু, আমাদের মত আলু-বাঙ্গালের কাছে যে সিঙ্গারার চেয়ে নমস্য অন্য আর আর কোনো খাবার হতে পারে না, সেটা তিনি ঠিকই টের পেয়েছেন। আর, তাই মরুভূমির বুকে গড়ে উঠা শহরে, মরুদ্যানের শান্তি ছড়িয়ে দিতে, বিমান ভর্তি করে নিয়ে এসেছেন বাংলার গর্ব আলু-সিঙ্গারা।

এবার সিঙ্গারা রেখে লাস ভেগাসে আসি। লাস ভেগাসকে বলা হয়ে থাকে বিশ্বের চিত্তবিনোদন তথা আমোদপ্রমোদের রাজধানী। মূলত, এখানকার হোটেলগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে সেই আনন্দ বাণিজ্য। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ২৫টি হোটেলের ১৮টি-ই এই লাস ভেগাসে। এই হোটেলগুলোর মূল ব্যবসা ক্যাসিনো থেকে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ খেলে চলছে লাখ লাখ ডলারের জুয়া। বলা হয়ে থাকে এই ক্যাসিনোগুলোতে সময় দেখার জন্য কোনো ধরণের ঘড়ি থাকে না, থাকে না বাইরের আলো আসার কোনো ব্যবস্থা। আলো না থাকলে কি হবে, অন্ধকারের ভীড় ঠেলে ঠিকই চলে আসে ফ্রি অ্যালকোহল। উদ্দেশ্য একটাই- জুয়ার টেবিল কিংবা স্লট মেশিনে বসে যেন রাত দিনের হিসেব না থাকে। নিঠুর ছলনায় নিঃস্ব করার সুনিপুণ আয়োজন। তবে, শুধু হোটেল বা ক্যাসিনো নয়, এই শহরের এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে গ্যাস স্টেশান, সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ, সব জায়গাতেই সাজানো থাকে স্লট মেশিন।

বেশিরভাগ নামীদামী হোটেলগুলো যে রাস্তায় অবস্থিত তার নাম ‘স্ট্রিপ’। রাতের বেলায় সেটি কৃত্রিম আলোকের আলোকচ্ছটায় এত বেশি আলোকিত থাকে যে, মহাকাশ থেকে দেখতে পাওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে আলোকিত জায়গাগুলোর মধ্যে একটি হলো এই ‘স্ট্রিপ’। হোটেলগুলোর আয়ের আরেক উৎস- ‘লাইভ শো’। ডেভিড কপারফিল্ডের মত ম্যাজিশিয়ান কিংবা ব্রিটনি স্পিয়ার্স, সেলিন ডিওনের মত শিল্পীরা রীতিমত আস্তানা গেঁড়ে বসে আছেন এখানে। একশো-দুইশ ডলার একেকটা শো এর টিকিট।

আমেরিকার ছোট্ট একটা শহরেও একরাতের হোটেল ভাড়া একশো ডলারের কাছাকাছি। অথচ, স্ট্রিপের প্রাসাদোপম এই হোটেলগুলোর ভাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পঞ্চাশ ডলারেরও কম। কারণটাও খুব সহজ। হোটেল ভাড়া থেকে তারা ব্যবসা করবে না। ব্যবসা করবে হোটেলে থাকা ক্যাসিনো থেকে। যেই হোটেলে অবস্থান করেন, সাধারণত অতিথিরা সেই হোটেলের ক্যাসিনোই ব্যবহার করে থাকেন।

জৌলুসের রকমভেদ যে কত প্রকারের হতে পারে তার সর্বোত্তম নিদর্শন এই হোটেলগুলো। উপরি হিসেবে যুক্ত হয়েছে রুচিশীলতা। নির্মাণশৈলী প্রশংসা না করে উপায় নেই। কিছু কিছু হোটেল আবার বিশেষ কোনো শহরের নামে, সেই শহরের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা। ‘প্যারিস’ হোটেলের সামনে ছোট করে বানানো হয়েছে 'আইফেল টাওয়ার'। ভেনিস শহরের নামে নামকরণকৃত ‘ভেনিসিয়া’তে আবার ভেনিস শহরের মত করেই তৈরী করা হয়েছে জলপথ। আর, জুলিয়াস কিংবা অগাস্টাস সিজারখ্যাত সিজারদের নামে নামকরণকৃত ‘সিজার প্যালেস’র ভিতরে গেলে মনে হয়, এই বুঝি রোম নগরীতে চলে আসলাম।

শুধু নাম নয়, হোটেলগুলোর ইতিহাসও চমকপ্রদ। হাওয়ার্ড হিউজেস নামের এক ভদ্রলোক এত বেশি দিন ‘ডেজার্ট ইন’ হোটেলে অবস্থান করছিলেন যে, কর্তৃপক্ষ একসময় তাকে জোর করে বিতাড়িত করতে বাধ্য হয়ে। হাওয়ার্ড অবশ্য কিছুদিনের মধ্যে সেই হোটেল কিনে নিয়ে সেই অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছিলো। বাগসি সিগ্যাল সাহেবত আরো এক ডিগ্রি উপরে। তার শো-গার্ল বান্ধবীর পদযুগল কিঞ্চিৎ লম্বাটে হওয়ায়, সেই লম্বা পায়ের সন্মানে নিজের ক্যাসিনোর নামই রেখে দেয় লম্বা পায়ের ‘ফ্লেমিঙ্গো’দের নামে।

নীচের ছবিটির উন্মুক্ত আকাশ দেখে ধারণা করুন, সকাল নাকি বিকাল। পরবর্তী লাইনগুলো পড়ার আগেই ছবি দেখে ধারণা করুন। খুব কম মানুষই ছবিটির অসামঞ্জস্য খুঁজে বের করতে পারবে। ছবিতো দূরে থাক, সরাসরি দেখলেও চোখের ভুল হয়। এটি উন্মুক্ত আকাশ নয়, 'সিজার প্যালেস' হোটেলের ভিতর কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই আকাশ। প্রয়োজনমত আলোক নিয়ন্ত্রণ করে যে কোনো সময় সৃষ্টি করা যায় দিন, রাত, সন্ধ্যা কিংবা সকালের আবহ।

ভেগাসের রাস্তাঘাট সবসময় প্রাণবন্ত। সবাই থাকে আনন্দের মেজাজে। ফুটপাথে হাঁটতে গিয়ে দেখি দুইজন লোক ছোট কার্ডের মত লিফলেট দিয়ে বেড়াচ্ছে। অপরিচিত শহরে গিয়ে লিফলেট নেয়া আমার অন্যতম প্রধান কাজ। শহরের আসল চেহারা বুঝতে পারার জন্য হাতে বিলি করা লিফলেটের মত মানদণ্ড খুব কমই আছে। কিছু শহরের লিফলেটে থাকে স্বপ্নে পাওয়া তাবিজের ঘোষণা আবার কিছু শহরের লিফলেটে থাকে গাঁজার মেলায় যাওয়ার আকুল আমন্ত্রণ। ভেগাসের রাস্তায় লিফলেট বিলি দেখে শার্লিন বুদ্ধি দিলো, এই লিফলেটগুলো নিয়ে আসেন, কোন কোন রেস্টুরেন্টের খাবার ভালো সেটার তথ্য দেয়া আছে। আমিও দেরি না করে দিলাম হাত বাড়িয়ে। লোক দুইজন দেখি আমার থেকেও দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে লিফলেটসহ হাত এগিয়ে দিলো। সেই লিফলেট হাতে নিয়ে চোখ বুলোতেই দেখি- নাউজুবিল্লাহ্! ছবিসহ ফোন নাম্বার দেয়া। একজন একশো, দুইজন দেড়শো; ‘পিরিতির বাজার ভালো না’। আর, আমার অবস্থা দেখে সাথে থাকা সিঙ্গারা পার্টি পারলে হেসে গড়াগড়ি খায়।

তবে, যতই ক্যাসিনো নির্ভর শহর হোক না কেন, প্রতিদন একশো থেকে দেড়শো বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই ভেগাস শহরে। আমেরিকার নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন এখানে ছুটে আসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে। সেটার কারণও আছে। আমেরিকার অন্য শহরগুলোতে বিয়ে করা আর পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট বানানো একই কথা। লাইনে দাঁড়াও-রে, ফর্ম পূরণ করো-রে, তারপর কয়েক সপ্তাহ পরে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নাও-রে। কিন্তু, লাস ভেগাস শহরে সেটি অনেক সহজ। একটা পরিচয় পত্র এবং পঞ্চান্ন ডলার সাথে থাকলেই হলো। চোক্ষের পলকে বিয়ে করিয়ে দেবে।

দিনের বেলায় দ্রুত তাপ গ্রহণ করে উত্তপ্ত হয়ে এবং রাতে আবার দ্রুতই সে তাপ হারিয়ে তীব্র ঠান্ডা হয়ে যাওয়া মরুভূমির বালির মত, মরুভূমির মাঝে গড়ে উঠা শহর লাস ভেগাসের বিয়ে যেমনটা খুব সহজ, সেই বিয়ে ভেঙ্গে দেয়াও ঠিক তেমনটাই সহজ। আর, হয়তো তাই, একসময় লাস ভেগাস এবং এর আশপাশের কিছু এলাকা খ্যাত হয়েছিলো 'ডিভোর্সের রাজধানী' নামে। ‘সিন সিটি’ হিসেবে পরিচিত লাস ভেগাস শহরের ব্যাপক প্রচারিত স্লোগান ‘হোয়াট হ্যাপেনস্ ইন ভেগাস, স্টেইজ ইন ভেগাস’। অর্থাৎ, ভেগাসে যা ঘটবে, সেটা ভেগাসেই থাকবে, সেটা বাইরে যাবে না, বাইরের কেউ জানবে না। অতএব, আমারো আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। হাসি

মইনুল রাজু
ফেইসবুক

অন্যান্য শহর নিয়ে লেখা পর্বগুলোঃ
(সেইন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া), সিয়াটল, আমস্টার্ডাম, নিউ ইয়র্ক, প্যারিস, শিকাগো, লস এঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, ডেট্রয়েট, লাক্সেমবার্গ সিটি, কলাম্বাস, পোর্টল্যান্ড, ওয়াশিংটন ডিসি, রিচ্মন্ড, স্যান ডিয়েগো


মন্তব্য

নিটোল এর ছবি

আহা ভেগাস.....মুভিতে দেখে দেখে কত স্বপ্ন দেখেছি শহরের অলিগলি নিয়ে। দুনিয়ার সব মজার আস্তরনে বিছানো বুঝি শহরটা.....এত উচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত উপাদানে ভরা থাকে যে নিজেকে উজাড় করে দিতে ইচ্ছা হয় হাসি

রাতের হোটেলতো ঘুরিয়ে দেখালেন.....পথের ছবি যে দিলেন না যে? ইয়ে, মানে...

মইনুল রাজু এর ছবি

চার-পাঁচ নাম্বারে পথের ছবি একটু আছে। কিন্তু, আরো কয়েকটা আছে আমার কাছে। ভেগাস আসলে হোটেলের শহর। তাছাড়া, আমি মূলত সন্ধ্যারাতের দিকে ঘুরতে গেছি, তাই পথের ছবি তুলনামূলকভাবে একটু কম আছে। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ছবিগুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। আর দেখি সিঙ্গাড়া খাওয়ার জন্য লাসভেগাসে যাওয়া যায় কিনা! আর যা যা বললেন তার জন্য তো আর বয়সটা পারফেক্ট না। অগত্যা, সিঙ্গাড়া....।

মইনুল রাজু এর ছবি

আপনার বয়সের লোকজনইতো বেশি দেখলাম। খাইছে কখনো যাওয়ার প্ল্যান করলে আওয়াজ দিয়েন। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

যথারীতি নয়ন জুড়ানো, মন ভোলানো পোস্ট, মইনুল ভাই। ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মইনুল রাজু এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকেও। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

আহা! লাস ভেগাস!!

আপনার রাশান সুন্দরীরা কই?

____________________________

মইনুল রাজু এর ছবি

দাঁড়ান, রাশান সুন্দরীরা কই সেটা লিফলেট দেখে বলতেসি আপনাকে। খাইছে

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

সুমন চৌধুরী এর ছবি

লাস ভেগাস শুনলেই এই সিনেমার গানগুলি মনে পড়ে ...

মইনুল রাজু এর ছবি

দেখা হয় নাই এই সিনেমাটা, দেখতে হবে। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

মেঘলা মানুষ এর ছবি

লাস ভেগাসের সাথে পরিচয় হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে। (আমার মত হয়ত অনেকেরই এভাবেই পরিচয় হয়েছে।) পরবর্তীতে, মুভি-টুভি থেকে আরেকটু ধারণা পেয়েছি।

এত ঝলমলে শহর খুবই কম আছে মনে হয়, আর আপনার চোখে খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে সবদৃশ্যগুলো।
এক কথায়, চোখ ঝলসানো

মইনুল রাজু এর ছবি

আমিও হুমায়ূন আহমেদের লেখায় পড়েছি, লোকটা জাদুকরের মত লেখতে পারে। আমি নিউ ইয়র্ক, প্যারিসের আলো ঝলমলে জায়গাগুলোতে গিয়েছি। কিন্তু, এত তীব্র, তবু এত রুচিশীল ঝলমলে আলো কোথাও দেখিনি।

ধন্যবাদ আপনাকে। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

মেঘলা মানুষ এর ছবি

কেন জানি আজও হুমায়ূনের ওই কথাগুলো মনে আছে। ভেগাসে তিনি পরপর দু'বার জিতে ২০০ ডলার পেয়েছিলেন, পরে অবশ্য সেটা সহ সবটাই খুইয়েছিলেন। তাঁর বর্ণনা আর নাটকীয়তা মনে রাখার মত ছিল।

দীনহিন এর ছবি

অসাধারণ!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

মইনুল রাজু এর ছবি

ধন্যাবাদ। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

এক লহমা এর ছবি

লেখা ছবি দুই-ই খুব ভাল লাগল। সুখস্মৃতি ফিরে এল। কিন্তু আমি যেখানে ছিলাম সেই এম জি এম গ্র‍্যান্ড-এর দেখা পেলাম না! এম জি এম গ্র‍্যান্ড-এ Cirque du Soleil-এর Kà দেখেছিলাম। অসাধারণ অভিজ্ঞতা। শো-এর এক পর্যায়ে অভিনেতা অভিনেত্রীরা পুরোপুরি উল্লম্ব পাটাতন বেয়ে মাটির সাথে সমান্তরাল ভাবে হেঁটে উপরে উঠে যান। (গত বছর এই শোতে ৫০ ফিট কি তার-ও উপর থেকে কোমরের দড়ির অপর প্রান্ত খুলে গিয়ে একজন অভিজ্ঞ অ্যাক্রোব্যাট মারা গেছেন)।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মইনুল রাজু এর ছবি

আসলে কোনটা রেখে যে কোনটার ছবি দেই। হাসি আমি কোনো শো দেখার সময় পাইনি। আর নিউ ইয়ার হবার কারণে সবকিছুর দাম অস্বাভাবিকরকমের বেশি ছিলো। নেক্সট টাইম শো দেখতে যাবো। আপনি থাকেন কোন শহরে?

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

তারেক অণু এর ছবি

না হে ভ্রাত, লেখাটা এবার ঠিক জম্পেশ হল না।

অনেক অনেক তথ্য দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ, ছবিও অনেক, কিন্তু উপস্থাপনা ঠিক মনে ভরাতে পারল না। আর প্রথমেই ব্যাকফুটে চলে গেলেন যে বড় স্ত্রী-পুত্রের কথা বলে? আরেক্তু সাসপেন্স রাখতেন।

পরের পর্ব ছাড়ুন জলদি

মইনুল রাজু এর ছবি

বিয়েটা করেন, তারপরে বুঝবেন ব্যাকফুটে যাওয়া কাকে বলে। দেঁতো হাসি আমাকেতো ঘরে থাকতে হয়, আপনিতো থাকেন পাহাড়ে-পর্বতে। খাইছে

আচ্ছা পরের পর্বে আরেকটু বেশি এফোর্ট দিয়ে লিখতে চেষ্টা করবো। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আর, হয়তো তাই, একসময় লাস ভেগাস এবং এর আশপাশের কিছু এলাকা খ্যাত হয়েছিলো 'ডিভোর্সের রাজধানী' নামে।

-একটা নিউজে পড়েছিলাম, ইউএসএর পুরুষ সিংগেল প‌্যারেন্টের হার সবচেয়ে বেশি লাসভেগাস আর এর আশেপাশের এলাকায়। ভেগাসে এত বেশি কাজের (সৎ উপায়েও) সুযোগ থাকায় তুলনামূলকভাবে সাধারণ কারণেও সংসার ভেঙেছে অনেকের।

শুভেচ্ছা হাসি

মইনুল রাজু এর ছবি

আমি যতদূর জানি, ভেগাসে ভেগাসের লোকেরা ডিভোর্স করে সেটা বুঝাতে ডিভোর্সের রাজধানী বলা হয়নি। বরং, অন্য জায়গা থেকে লোকজন এসে হুটহাট বিয়ে করে আবার বিয়ে ভাঙ্গে সেটা বুঝানোর জন্য বলা হয়েছে। নিশ্চিত না যদিও। রেনো নামে পাশে একটা শহর আছে। সেখানে এধরণের ঘটনা বেশি।

শুভেচ্ছা আপনাকেও। হাসি

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।