২০২১র বাংলাদেশ

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: শনি, ১০/০৭/২০১০ - ৮:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রত্যাশা, আকাংক্ষা, স্বপ্ন এই শব্দগুলো নিয়ে বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞাপনজীবী, এনজিওজীবী, সেনাজীবী এবং রাজনীতি ব্যবসাজীবীরা এতো বানিজ্য করেছেন, যে আজ ননপ্রফিট ব্লগ লিখতে গেলেও থ্রীইডিয়েটস বা ব্লগবুদ্ধিশৌখিনদের লেখক টিসিংএর আশংকা তৈরী হয়, যৌক্তিক, তবে যেহেতু অনলাইন মিডিয়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রেস-প্রণোদনা-চোখ রাংগানী-সংস্কৃতির মনোপলি-গাম্ভীর্যের বাইরে, কিংবা ধর্ম ব্যবসায়ীদের গ্রেনেড হামলা আওতার বাইরে, সবচেয়ে বড়কথা রাজনৈতিক ক্যাডারদের গুম করে দেবার ধামকির বাইরে আমাদের আরেক বাংলাদেশ, তাই সাহস করে লিখি এই ভার্চুয়াল বাংলাদেশকেই দেখতে চাই ভূমিতে ২০২১ সালে, কারণ চল্লিশ বছর বয়েসে এই থ্রীইডিয়েটস আর ব্লগ বুদ্ধি শৌখিনদের মাঝেই দেখতে পেলাম আধুনিক,উদার,অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে।এতটুকু মেদ নেই এই প্রশংসা কিংবা স্তুতিতে।আমি তো আর ঢাকায় ম্যাগডোনল্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজ করছিনা।

ভার্চুয়াল বাংলাদেশটা কেমন।পাশাপাশি উদার গণতন্ত্রী, মধ্যপন্থী, বামপন্থী,আস্তিক, নাস্তিক, ধর্ম ব্যবসায়ী, নারী,পুরুষ, অবমানব অবস্থান করছে, মুক্তভাবনার নিরন্তর সংলাপে অংশ নিচ্ছে।ঝগড়া-বিবাদ যাই হোক কেউ কাউকে কাটা রাইফেল নিয়ে দৌড়ানি দিচ্ছে না, গ্রেনেড ছুড়ছে না বা রিমান্ডে নিচ্ছেনা। এইখানে সংলাপের অস্ত্র বুদ্ধি,কীবোর্ড এবং আমজনতার গণতন্ত্র, কিংবা আন্তর্জালিক সমাজতন্ত্র।

ভার্চুয়াল বাংলাদেশে নেতাগিরি নেই, গাড়ীপতাকার দাপট নেই, কলতলার সেলিব্রেটিদের কিব্বা হনুরে নেই, আছে চিন্তার বহুমুখধারা, অসংখ্য দেশভাবনা, উন্নয়নপরিকল্পনার সিন্থেসিস-এন্টিথিসিস-থিসিস তৈরি হয় সেখানে।কথাগুলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিকে জাহাংগীরের মত শোনাচ্ছে।শিক্ষকদের প্রভাব শিরোধার্য।
এইখানে কখনো কোন প্রতিষ্ঠান বা কারাগার তৈরি হবেনা।প্রত্যেক নেটিজেন এক একটি মুক্ত প্রতিষ্ঠান।

বিজ্ঞান-কলা-বানিজ্য, শিক্ষার প্রতিটি মুক্ত প্রতিষ্ঠান এখানে বিকশিত হচ্ছে, ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠছে ক্রমশ, যেখানে রাজনীতিকে তোষণ না করে পড়া যায়, পড়ানো যায় আবার পড়া যায়।

বিদ্যুত, বাজারদর,চিকিতসা,মানবাধিকারের ইসুতে সরকার এবং কর্পোরেট বলয়ের বাইরে ব্লগ এক মুক্ত মিডিয়া।এতে আস্থা রাখা যায় কারণ এখানে যারা লেখেন তাদের লেখার ক্যালরিটা সৎ উপার্জন থেকে জোগাড় করা, নইলে সত্য প্রকাশের সাহস বা প্যাশন কোনটাই টেকসই হতে পারতোনা।

বার্তাকক্ষ ভূমিতে এবং ভার্চুয়াল দুজায়গাতেই পর্যবেক্ষণ করে এতটুকু বুঝেছি, যদি সাংবাদিক হিসেবে আমার রুটি মাখন সরকার বা কর্পোরেট পকেট থেকে আসে তবে সেটা গুয়ানতানামো কারাগার হতে বাধ্য।

অফলাইন বিটিভির মহাপরিচালক বা প্রথম আলোর সম্পাদক বা স্যাটেলাইট বা ক্যবল টিভির বার্তাসম্পাদক বা এফ এম রেডিওর বিনোদন প্রধান সবার জন্যই তাদের মসনদ্গুলো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, তারা এসব কথা নিশ্চয়ই লিখে যাবেন ব্লগে তাদের ছেলে মেয়ে বা নাতি নাতকুরকে কম্পিউটারের সাদাছড়ি হিসেবে শেষবার ব্যবহার করে।

সাংবাদিকতা বা রাজনীতিটা শখের আওতায় রেখেই আপাতত চর্চা করা হচ্ছে ভার্চুয়াল বাংলাদেশে। কারণ রুটিমাখন আসছে অন্যপেশায় থেকে,হোক সে শিক্ষকতা বা ট্যাক্সি চালিয়ে।হরলাল রায়ের শ্রমের মর্যাদা রচনা নিয়ে যেসব স্মার্ট লোকেরা খাট্টাতামাশা করেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রে দুজন বাংলাদেশী ট্যাক্সি চালকের সততার কিংবদন্তীর কথা শুনেছেন নিশ্চয়। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের একটা উপদেশ শিরোধার্য, শিক্ষা আর স্বেচ্ছাশ্রম ছাড়া কোন মহৎ কাজ হয়না। বিদ্যাসাগরেরাও এটা বার বার বলেছেন।

অনলাইন মিডিয়া গোলকের তাবত বিনোদন তর্জনীতে এনে দেয়ায়, সেলিব্রিটির এবং সাফল্যের সংগা উল্টো মনে হচ্ছে, ঢাকা শোবিজের তারকাদের চেয়ে ঈশ্বরদী বা চাটগাঁর অখ্যাত তারার ধূলো নজর কাড়ছে ইউটিউবে, ফেসবুকে।এগুলোকে রূপকথা বা অনলাইন ডিলিরিয়াম যারা ভাববেন তারা তথ্যপ্রযুক্তি নিরক্ষর, এখন তাকে আমরা জীবনের স্কুল থেকে যা শিখেছেন তার জন্য বয়সোচিত শ্রদ্ধা জানাবো, কিন্তু আপনাদের অবজ্ঞা বা গাম্ভীর্যে আর আগের মত উতলা হবনা মনে হচ্ছে।

আওয়ামীলীগ সরকার যদি শুধু আইনী পথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে আর আমজনতার মানবাধিকার লংঘন না করে তাহলে আমি আমার ভোটটা তাদের দেবো।আর আওয়ামী লীগ সরকার যদি গ্রামের স্কুল গুলোতে কম্পিউটার আর ইংরেজী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে আর ট্যাকা-ফেন্সিডিল-চোরাচালানের শাড়ি নিয়ে, রাজনীতির শিক্ষা বিবর্জিত ঋণখেলাপী বেনিয়া তরুণদের লটারীর টিকেট বেচে শেরে বাংলা নগরের গণতন্ত্রের লাশকাটা জলসাঘরের বা গণভবনের টিকেট কিনতে হবে না।সত্তুরভাগ ভোটার অনলাইন বা সেলফোন ইডিয়েটস,যারা টেন্ডার বাজির বা চর দখলের শ্লোগানে কান পাতবে না।

কারণ সরকারি বা কর্পোরেট মিডিয়ার ইতিহাস লেখার পুতুল নাচের চেয়ে অনলাইনের ইতিহাস আর্কাইভটি অনেক আধুনিক। নানা রকম তথ্য আছে।অতীতের তৈরী করা মিথ্যার গোলক ধাঁধাটা অনলাইন পাঠকদের কাছে ভিডিও গেমসের মত।তথ্য এবং প্রতীক খুঁজতে খুঁজতে মুক্তিযোদ্ধা দেশপ্রেমিক প্রজন্মের খাঁটি নায়কদের তারা সুচিহ্নিত করবে হয়ত একটু গল্প করার লোভে, তাকে তো আর বিটিভি বা কর্পোরেট টিভির ডিসেম্বর রিপোর্টিং করতে হচ্ছে না, ঘাড়ের ওপর আওয়ামী-বিএনপি-জামাত-সেনাশাসক-জঙ্গি বা কর্পোরেট খাঁড়া ঝুলে নেই।সে ধীরে সুস্থে সত্যটা জানবে, জানাবে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে কলতলার ঘোষক বিতর্কের গ্লানি থেকে মুক্তি দেবে।এর জন্য আওয়ামী লীগের সদস্যপদ লাগেনা।

ঢাকার রাজনীতি-মিডিয়া শোবিজের কুতসা, কাদা,অশিক্ষাজনিত গাম্ভীর্য গ্রামবাংলার গ্রাম্যতাকে ছাড়িয়ে গেছে, একটু ঘুরতে গেলে দেখবেন গ্রামগুলো আর গ্রাম নেই মোবাইলবাজ ইডিয়েটসরা বিশ্বায়নের বিনাটিকেটের বাংলাদেশ এক্সপ্রেসে চড়েছে।

নেহেরু যেমন ষাটের দশকের ভারতের গ্রামগুলোতে ভারত এক্সপ্রেস চালু করেছিলেন শিক্ষার আলো জেলে।আমাদেরটা করে দিচ্ছে আন্তর্জাল। জিন্নাহ বিনা চিকিতসায় বা দুর্ভাগ্যক্রমে মারা যাওয়ায় পাকিস্তান কেবল আইয়ুব, ইয়াহিয়া, জিয়া, মোশাররফের মতো জেমসবন্ডদের প্রিয় বাহন জলপাই এক্সপ্রেসটিই চালু রেখেছে। আমাদের জিয়া-এরশাদ-মইন চাচ্চুরা পাকজিয়ার হেলিকপ্টার চিতা দেখে ভয় পেয়ে রাজনীতির ধূলোপথে ছেঁড়া গেঞ্জি পরে ঘুরেছেন। ক্রাচের কর্ণেল, নূর হোসেন, চলেশ রিসিল হত্যার দাগ বাঙ্গালী জেমসবন্ডদের হাতে রয়ে গেছে। ইডিয়েটসরা অনলাইন খুঁচিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের বদ্ধভূমিতে সত্যের ফিনিক্সটাকে খুঁজছে। নিমতলীর ছাইগাদা থেকে বেরিয়ে আসছে একটি পুরো আত্মকেন্দ্রিক প্রজন্মের রাজনৈতিক-প্রশাসনিক-ব্যক্তিগত অসততার প্রমাণ নিয়ে একটি ফিনিক্স পাখি।

৪৭সালে রেলপথের সুযোগ নিয়ে মুক্তির মিছিল টাকে জড়ো করেছিলো ভারতের মানুষ।গান্ধীর রেলযাত্রাই আজকের ভারত উদয় মতান্তরে ভারত এক্সপ্রেস।নেহেরু মসনদ চেয়েছেন, কিন্তু বাপুজিদের স্বপ্নের কথা ভোলেন নি।জিন্নাহ হ্যাট খুলে টুপি পরে মসনদ দখল করলেও বাপুজির কথাগুলোই লিখে গেলেন মৃত্যুপূর্ব নথিগুলোতে।ধর্মের যক্ষাটাকে তিনি সারাতে চেয়েছেন, কিন্তু তার হিন্দু চিকিতসকেরা তখন ভারতে শরণার্থী।পাকিস্তানের তরুণেরা এখন কুইজ শোতেও কায়েদে আজমকে উদ্ধৃত করে, পিপলস পার্টির অর্থমন্ত্রী তার কথা আনেন বাজেট বক্তৃতায়। এমনকি মুশাররাফও পদত্যাগের আগে তার ছবির সামনে দাঁড়িয়েছেন।

ইন্দিরা-রাজীব-রাহুল নেহেরুর চেয়ে বাপুজীকে উদ্ধৃত করেছেন বেশীবার।বলিউডের ইডিয়েটরাও এই প্রতীকটিকে তরুণদের সামনে বার বার তুলে ধরেন। হাফ নেকেড বেগার প্রতিদিন অদৃশ্য চড় দেন ব্রিটিশ ফ্রড এবং ফ্রয়েডদের।

৭৫র ১৫ আগস্টের পর থেকে ৭১এর ৭ই মার্চের বাঙ্গালী উত্থানের নায়ককে টুংগীপাড়ায় সম্রাট শাজাহানের মত আটকে রাখলেন বিএনপি-জাতীয়পার্টির মোগল আওরঙ্গজেবরা এবং পাকিস্তান পন্থী ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীরা।বঙ্গবন্ধুর ছবিটি মুছে দিয়ে খালকাটা,ত্রাণ বিতরণের অশ্রু ভেজা সস্তা বিটিভি ফিলার বাজিয়ে জিয়া-এরশাদ আটকে দিলেন ইতিহাসচর্চা এবং বাংলাদেশ এক্সপ্রেসটিকে।

খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টে জন্মদিনের মিউজিক ভিডিওতে একদা সংশয়বাদের দার্শনিক ঘামপন্থী আর যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে কাসিম বাজার কুটির রচনা করলেন। ইতিহাসকে গ্যাস চেম্বারে আটকে রেখে বাংলাদেশ এক্সপ্রেসের কানেক্টিং ফ্লাইটটিকে বাড়ির কাছে বংগোপসাগর দিয়ে যাওয়া ইনফরমেশন সুপার হাইওতে ল্যান্ড করতে দিলেন না।

আর আওয়ামীলীগ বিটিভিতে পিতাকে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নাওয়া খাওয়া ভুলে বাকশালের ভুল ব্যাখ্যাটাকে আরো সঠিক প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠলো।বঙ্গবন্ধুকে প্রচারের দায়িত্ব ভাইরাসদের হাতে দিয়ে ইডিয়েটসদের কৌতুকের কারণ হলো।

খালেদা জিয়ার আইটি নিরক্ষরতার কারণে অসহায় বাংলাদেশ ইয়ুথ এক্সপ্রেস সিঙ্গাপুর বা কুয়ালালামপুরে গিয়ে ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে বিলম্বিত ফ্লাইট ধরলো, অশিক্ষিত মা পেলে জাতির যেসব ভোগান্তি হবার কথা। ভারত এগিয়ে গেলো, পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের এগিয়ে থাকার খবরটাও বোমাবাজী বাদ দিলে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে কতটা ঠিক আমি নিশ্চিত নই। তবে অনলাইন মিডিয়া কনটেন্টে অন্তত বাংলা ব্লগিং এগিয়ে হিন্দি বা উর্দু ব্লগিং এর চেয়ে , আমি গত পাঁচ বছর পর্যবেক্ষণ করে এই হাইপোথিসিসে (পৌঁছেছি)।

তারেক রহমান হাওয়া ভবনে অফ লাইন রাষ্ট্রক্ষমতা চর্চা করেছেন।কর্পোরেট মিডিয়া করেছেন, কিন্তু অনলাইন মিডিয়ার শক্তি তার যে কোন শক্তির বাইরে।সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ এই একটি শ্লোগান দিয়ে আওয়ামীলীগের অচলায়তনকে একটু ট্রেন্ডি বানিয়েছেন, কারণ বিএনপি -জামাত শাসনামলে যখন বঙ্গবন্ধুর ছবিতেও গুলি করা হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা জোগাড়ের দেন দরবার করতে হচ্ছে জামায়াতের সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ে, তখন বিবিসি জরীপে রাজনীতি সচেতন অথচ দলীয় হালুয়া রুটির বাইরের ইডিয়েটসরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংগালীর পালক গেঁথে দিলো জাতির জনকের মুকুটে, এর জন্য আওয়ামী লীগ লাগেনি।

তাই ২০২১এর বাংলাদেশ আজকের ভার্চুয়াল বাংলাদেশের প্রতিরূপ হবে, বিএনপি আওয়ামীলীগ চাক নাচাক বা যতই তৈলাক্ত বাঁশে উঠুক।

যুদ্ধাপরাধী, মুক্তিযুদ্ধের সুফল কুড়ানো আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু হত্যার সুফল কুড়ানি ক্যান্টনমেন্ট এবং সুশীল সমাজ,চল্লিশ বছর ধরে বৃটিশ এবং পাকিস্তান উপনিবেশের আদলে বাংলাদেশ লুন্ঠনের প্রতিটি আত্মকেন্দ্রিক অপরাধীকে অনলাইন মিডিয়া প্রতিদিন খুঁজছে, ভার্চুয়াল আদালতে আমজনতা তাদের বিচার করছে। আশা করা যায় ২০২১র বাংলাদেশ অনলাইনের আয়নায় স্পষ্ট দেখা যাবে। তখন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বা সত্য খুঁজতে আওয়ামীলীগ,বিএনপি,জামাত,হিন্দু,মুসলমান,নীল,গোলাপী,সাদা প্যানেল কিংবা সাংস্কৃতিক জোট বা জিহাদী জোটের মাজার ব্যবসার দরকার হবেনা।

২০২১এর একুশে বইমেলাটা আন্তর্জাতিক ভাষা ও সংস্কৃতি উতসব হবে, অনলাইনে এবং অফলাইনে।সেখানে গ্রেনেড হামলা করতে এলে গান্ধীজী বা বঙ্গবন্ধুর মতো আর উদারতার বা সরলতার মার খাবে না আমজনতা, এমন মার দেবে যে নাটকুদের গ্রেনেড বন্দুকের শখ মিটে যাবে চিরতরে।তবে আমার ধারণা জয়-তারেক(যদি কোন মামলা ঝুলে না থাকে) বা অফলাইন রাজনীতির রাজপুত্ররা ২০২১এ হাসিনা-খালেদার মতো সরদার ফজলুল করিম বা বাউসার পলান সরকারকে দর্শকের সারিতে বসিয়ে না রেখে ওবামা বা ক্যামেরনের মত জিন্স-টি শার্ট বা কলকাতার বুদ্ধবাবুর মত পাঞ্জাবী পরে আমজনতার একজন হয়ে বইমেলায় আসবেন। অনলাইনে ই-বুক পাওয়া যায়, কিন্তু মলাটের বই মা-সন্তান কিংবা প্রেমিকার মতো স্পর্শের কাছে ডাকে। বই কিনতে কিংবা লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে আড্ডায় না এলে ২০৫০র বাংলাদেশকে তারা দেখবেন কার চোখে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি ঠিক বুঝলাম না এটা আক্ষেপ না মন্তব্য! তবে এটা যে পথনির্দেশনা না এটা বেশ বুঝতে পারছি!

--- থাবা বাবা!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আমিও বুঝিনা থাবা বাবা!আপনি তো তাও কিছু বোঝেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।