ভিক্ষা চাইনা রাষ্ট্র, কুত্তা সামলাও

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: শনি, ০৪/০৯/২০১০ - ৫:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমজনতা সাইদুল,কৃষিকর্মী,থাকে আড়ানীতে।নিজের অল্পকিছু জমি আর অন্যের জমি।ফসল ফলিয়ে দিনমান আনন্দে কেটে যায়।সাইদুলের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারণ, আজকের নাগরিক বনাম রাষ্ট্র দুইপাক্ষিক চুক্তি উপপাদ্যের ক্যাচালের বিষয়।

 

এই সাইদুল প্রাইমারী স্কুলের পর দারিদ্র্যের চাপে আর এগোতে পারেনি। পৈতৃক কৃষি পেশা থেকে অন্ন বস্ত্র আসে। সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার নেই,ওষূধ নেই,শুধু চোখ রাঙ্গানী।তাই গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার শেষ আশ্রয় রোগে শোকে।বাসস্থান পৈতৃক ভিটা। রাষ্ট্রের কাছে শিক্ষা চিকিতসা সুবিধা চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।এই সাইদুল বারোমাস কৃষিকাজে শরীরের রক্ত মিশিয়ে দেয় প্রিয় মাটিতে,মাটি খুশী হয়ে যা দেয় তাতেই দুবেলা খেয়ে পরে বেঁচে থাকে। সাঝের পরে চাখানায় বসে ডিভিডিতে হিন্দী ছবি দেখে। সরোয়ার ফারুকীটারুকী চেনেনা সে।বাংলাদেশ রাষ্ট্রের খায় না পরে না,ঢাকার সুশীল সমাজের নির্বোধ টক শো দেখেনা সে। সাইদুল বিচ্ছিন্ন এক মানুষ,সে কাউকে ঘাঁটাতে চায় না,কিন্তু কেউ ঘাটালে তার মাথায় সিধু কানুর মতো খুন চেপে যায়।

 

সাইদুল এরকম ছিল না, বিএনপির পাড়াত ভাইয়েরা তার জমি দখলের চেষ্টা করার পর সাইদুল এরকম বেপরোয়া হয়েছে,তাকে কাউন্সেলিং করা সম্ভব,তাতে তার ক্ষতি। রাজনীতির ডাইনোসরদের জুরাসিক পার্কে বাঁচতে গেলে এখনো সিধু কানুদের বল্লম নিয়ে বাঁচতে হবে,হয়ত মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।

 

সাইদুল রাজনীতি করে না। কারণ সতভাবে দুটো খেয়ে বাঁচার সুযোগ আছে তার। সাইদুলের এই কৃষি কর্মের সুখ সহ্য হয় না পাড়াত বিএনপি গ্রামসন্ত্রাসীর।সে রামদা নিয়ে বসে থাকে আড়ানী ব্রীজের পাশে,সাইদুল অনিল কাপুরের নায়ক ছবি দেখে ফেরার পথে ওই হাওয়াগ্রামসন্ত্রাসী হা রে রে রে করে তেড়ে আসে। মাসে পিঠে একটা রামদার কোপ সাইদুলের সহ্য হয়ে গেছে।

 

এই গ্রামে কী পুলিশ নেই। আছে ,ঝামেলা বাড়ানোর জন্য। বিএনপি আমলে সাইদুলকে পাড়াত হাওয়া ভাইয়ের ঈশারায় পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে রাজশাহী চালান করেছে,ওর বড় ভাই গিয়ে ছাড়িয়ে এনেছে রাজশাহী থেকে পুলিশের ঘুষ-উকিলের ফি ইত্যাদি আক্কেল সেলামী দিয়ে। কারণ রাষ্ট্রের কাছে সিধু-কানু-সাইদুল তাদের আনুগত্য বন্ধক রেখেছে। তার পরিবর্তে রাষ্ট্র অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের নিরাপত্তা না দিলেও শিক্ষা-চিকিতসা-পথঘাট, যেগুলো ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা কঠিন সেগুলো রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।রাষ্ট্র ঘুরেও তাকায়নি।

 

রাষ্ট্র সাইদুলকে চেনে না,বিএনপিক্যাডার বা পুলিশ চেনে।ফলে সাইদুলের জন্য রাষ্ট্র কিছু না করলেও রাষ্ট্রের কাছে একপেশে আনুগত্য জমা দিয়ে সাইদুল রাজনীতি আর পুলিশের জামাই আদরে আছে।

সাইদুলের ভোগান্তি এখানেই শেষ নয়। সাইদুলের হিন্দু বন্ধু রণোর জমি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর এক বণিক হিন্দু দখল করতে চেষ্টা করেছে লীগের ক্যাডার নিয়ে। সুতরাং রণোকেও সাইদুলের সাহায্য নিয়ে ঐ গ্রামে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। কারণ এরা রাজনীতি নিরপেক্ষ দলিত। যে যখন ক্ষমতায় আসছে সিধুকানুর পাছার ওপর ঘর তুলতে চাইছে।

 

এই প্রান্তিক ক্যাডাররা প্রকাশ্যে তাদের এমপি বা নেতার দিব্যি দিয়ে ভয় দেখায়।আগে একটা রামদা বা কিরিচের ঝলকানি দেখলে আমজনতা ঘরে ঢুকে খিল তুলে দিত,এখন ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।সাইদুল রণোর আত্মপ্রত্যয় দেখে আশা করতে ইচ্ছা জাগে এইবার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমজনতার রুখে দাঁড়ানোর একটা সাহস তরুণদের মধ্যে মাথা চাড়া দেবে। ন্যায়ের পক্ষে,সত্যের পক্ষে বাঙ্গালীর রুখে দাঁড়ানোর মুজিবীয় হুজুগে বাঙ্গালী হাজার বছরের পরাধীনতার শেকল ছিঁড়েছিল, সে এক অসাধ্য সাধন।। মুজিবকে হত্যা করার পর রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন আর সর্বস্ত্ রে দুর্নীতি চালু করার যে কল যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে দুই জলপাইনায়ক বসালেন,তা আবার আমজনতাকে নিজভূমে পরবাসী করেছে।পুলিশের ঘুষমানসের বলি ভাই পলায়নে যায়,বোন তার বাসনা হারায়।

 

রাষ্ট্র সাইদুল-রণোকে কিছুই দে্যনা,উল্টো রাষ্ট্রের ভূমি অফিসে নিজের বাপের জমির খাজনা দিতে গেলে পোকা খাওয়া দাঁতের কেরানী ঘূষ নিয়ে নেয়।  আবার জমি দখলের জন্য রাজনীতির পেশী ব্যবহার করে ক্ষমতার গুয়ে মাছিরা।

 

ভোটের আগে দাঁত কেলিয়ে সাংসদ প্রার্থীরা আসে। সাইদুল রণোকে বুকে জড়িয়ে ধরে।রাজার সাথে কোলাকুলিতে সিধু-কানুদের আর আগ্রহ নেই কারণ,এদের নাম ভাঙ্গিয়ে জমিজমা দখল হয়,উনারা সেগুলো দেখেও না দেখার ভান করেন।তাই কারো কাছে আর কিছু চাওয়ার নেই রণো-সাইদুলের।কিন্তু ওদের প্রশ্ন ধর্ম-রাষ্ট্র এগুলো ঝামেলায় গিয়ে কী লাভ,আমাদের তো পেটের ভাতের কথা ভাবতে হয়।তবে দেশের প্রয়োজনে আরেকবার মুজিবীয় মুক্তির হুজুগে মুক্তিযুদ্ধে যেতে রাজি তারা। কারণ মাটিকে ভালবাসে তারা,মাটি যে অন্ন দেয়। আর স্থানীয় আওয়ামী লীগ সাংসদ আর বিএনপি বৃদ্ধ নেতার কাছে তাদের ভোটার সাইদুল এবং রণোর আকুল আবেদন, রাষ্ট্রের কোন দয়া ভিক্ষা চাইনা,শুধু টেন্ডার আর দখলবাজ কুত্তা সামলাও।

 

ছবি, ফিল্ম স্কুল রিজেক্টস


মন্তব্য

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

রাষ্ট্র = সরকার অথবা সরকার = রাষ্ট্র - এরকম মানলে এমন পরাজয় হতেই থাকবে। রাষ্ট্রের মালিকানা বুঝে নিতে হবে সবাইকে। সব্বাইকে।

আর, কুকুর সরাতে দরখাস্ত করবেন না মুগুর বানাবেন জনাব, আসেন এই চিন্তা করি। যদিও কখনো মুগুর বানাতে পারব কিনা জানি না।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শামীম এর ছবি

না জানি এজন্য (মুগুর) আবার কখন ক্ষমতার (?!) অপব্যবহারের সুশীল অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভয় পাইলেই ভয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

জনগণের ক্ষমতা জনগণ প্রয়োগ করবে। নিজের অধিকার রক্ষায় করবে। ঔদ্ধত্য প্রকাশে নয়।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আলমগীর এর ছবি

শামীম ভাই
আজকেই খবরে বলছিল ক্রাইস্টচার্চে (নিউজিল্যান্ডে) ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে সেনা মোতায়েন করেছে। এর একমাত্র কারণ লুটপাট ঠেকানো। স্মরণ করতে পারেন ক্যাটিরানার সময় নিউ অরলিন্সে কী হয়েছিল? এ দুটো উদাহরণ ধনী দেশের। আমাদের দেশে একটা বাস বা ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়লে যাত্রীদের প্রথম ভয় হয় লুটের। আপনার বিশ্বাস না হলে পরিস্থিতির শিকার কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখুন। সব মানুষ লুট করে না। কেউ কেউ দেখতে যায়, কেউ সাহায্য করতে যায়। কিন্তু লুটপাট প্রতিটি দুর্ঘটনায় সময় হয়।

ঢাকা শহরে প্রায় প্রতিটি বাসায় কাজের মেয়ে/ছেলে থাকে। একটু কষ্ট করে খোঁজ করতে পারেন শতকরা কতগুলো বাসায় তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন ঘটে? সামাজিক মর্যাদার বৈষম্যের কথা বাদ দিলাম। পত্রিকায় খুব ক্ষুদ্র অংশই আসে। যা আসে তাতে কী আপনার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় না যে একজন গৃহকর্তা তার কাজের মেয়েকে যৌনতার খোরাক বানান কীভাবে, আর গৃহকর্তী কীভাবে তাদের খুন্তির স্যাঁকা দিতে পারেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের স্ত্রী কীভাবে তার কাজের মেয়ের স্তন ছিঁড়ে নিতে পারে?

যে কোন দিন পত্রিকার পাতা খুললেই পাবেন এ ধরনের ঘটনা। এরপর কি আপনি বলবেন সাধারণ জনগণ সব সময় ন্যায়ের ঝাণ্ডা হাতে নিয়ে বসে আছে?

মানুষ কেন অপরাধ করে তার মনস্তাত্বিক/সামাজিক/অর্থনৈতিক এমনকি জীববৈজ্ঞানিক বিভিন্ন ব্যাখ্যা আছে। একজন অপরাধীকে মেরে ফেলা যতটা সহজ, তারচে বহু গুণে কঠিন অপরাধী প্রতিকূল সমাজ তৈরি করা। অপরাধীকে শাস্তি দিলে কৃত অপরাধের প্রতিবিধান হয় না, প্রতিরোধ হয় না, সম্ভাব্য অপরাধীদের অপরাধে নিরুতসাহিত করা হয় মাত্র। অপরাধী একদিনে তৈরি হয় না, সমাজ একদিনে পাল্টায় না।

সুশীল গালিটা সব সময় সবার প্রাপ্য না।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

দরখাস্তে কাজ না হলে আরেকবার মুজিবীয় মুক্তির শক্তিতে বর্গীখেদানোর মুগুর,পরীক্ষা প্রার্থনীয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শ্রাবন্তি এর ছবি

চমৎকার উদাহরণ টেনেছেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা কাটাতে মুজিবীয় শক্তিতে বলীয়ান হয়ে নিরুপদ্রব চিন্তামগ্ন হয়ে দেশ ও জাতি উদ্ধারের বাইবেল রচনা করবো আমরা জ়েলখানায় বসে।তারপর বিজিত পক্ষে যোগ দিয়ে মুগুর চালিয়ে ফিনিশিং তাচ দিয়ে বলব এটা ছিল আমারই খোয়াব।আর সমগ্র বাঙ্গালী জাতি যুগ যুগ ধরে গাঁজা সেবন করে সেই খোয়াবে বিভোর হয়ে থাকবে। আর একদল চামচা জাতির মূষিক শ্রেণীর বাঙ্গালী আমরা ১৫ই আগষ্ট(এই বৎসর) থেকে ১৪ই আগষ্ট(পরবর্তী বৎসর) পর্যন্ত শোকে আচ্ছন্ন হয়ে ভাবতে থাকব, বাবা থাকলে আজ আর আমাদের কাজ কইরা খাওন লাগতনা, ট্যাপ দিয়ে প্রবাহিত হত তাই স্যুপ, সাপ্লাই আসত কাচ্চি বিরিয়ানী ঘরে ঘরে, বাই দিস তাইম আমাদের মাল্যেশিয়া হওয়া ঠেকাতে পারতনা কেউ।কারণ আমাদের বাবা ছাড়া আর কোন বীর্যবান পুরুষ আমাদের স্বাধীনতার আগেও ছিলনা, এখনো নাই, ভবিষ্যতে আসবেনা।
টপিকটা ভালই ছিল, উৎসাহ নিয়েই বসে ছিলাম পড়তে। পরে আপনার ভিতরের একঘেয়েমি উদাহরণ (যেন বাংলাদেশে ছাত্রলীগ/আমিলীগ জবরদখল কখনো করেনি) আর মন্তব্যের গতানুগতিক চামচামি দেখে আবারো আপনার সাম্প্রতিক গন্তব্যের ট্র্যাজেক্টরীটা টের পাওয়া গেল।
এভাবে হবেনা, এই ব্লগারদের জগৎটাকেও কিছু সম্ভাবনাময় কিন্তু চামচে লোক নর্দমা বানিয়ে ছাড়বে।মুজিবকেও ডোবাচ্ছে এই চামচাগাছির দল।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আরে কুলসুম যে,শ্রারুলতা বৌদির সিঁদুর চুরি করে আজ সিধু-কানু-সাইদুল-রণোর জলসায়। সাত্তার ভাইয়ের ট্রায়াল চলছে, উনি মুজিববাদীদের রগ এবং গলা কেটেছে। কুলসুম তুমি ধরা পড়ে গেছো। তোমার শ্রারুলতা বৌদিকে ৯২সালে শিব সেনারা বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার কালে মুজিব সেনারাই পাহারায় বসে সারারাত মশার কামড় খেয়েছিল। বৌদিকে বল সে যেন ভোলে না মোরে।

মুজিবকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির বাইরে ষোলকোটি আমজনতার মুক্তির প্রতীক হিসেবে চর্চা করতে চাই।। আপনি জাতির জনকের অবমাননা করলে আপনাকে নিওনাতসী হিসেবে মানসিক ট্রমার ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ রাখছি। আপনি এই লেখককে যা খুশী বলুন,কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটিও সংবিধান বহির্ভূত শব্দ আপনি এর পরের মন্তব্যে ব্যবহার করলে, মডারেটরদের আপনার কমেন্টের ফুলগুলো সরিয়ে নেবার অনুরোধ রাখবো। কোন সভ্যমানুষ জাতির জনকের অবমাননা করতে পারেনা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শ্রাবন্তি এর ছবি

কাউকে হুমকি দেয়ার আগে আর মডারেটর এর কাছে নালিশ করার আগে বাংলাদেশের সংবিধানের আর্টিকেল ৩৯ টা পড়ে নিবেন।
আমি যদি বলি, তাজউদ্দিন কে বাংলাদেশের সাংবিধানিক জাতির পিতা ঘোষণা করা উচিত,আপনি আমার বিরোধিতা করতে পারেন,যুক্তি তুলে ধরতে পারেন, মাস্তানি করতে পারেন না। তবে ছাত্রলীগ আপনার যেমন প্রিয়, তাতে, কলম ফেলে লগি বৈঠা নিয়েও নামতে পারেন, তা আপনার হুমকিধামকি থেকে বোঝা যায়।

জাতির জনক কোন সাংবিধানিক অলংকার নয়। এটি জনগণের বিষয়।কাউকে যদি সাংবিধানিকভাবে কাতির জনক নির্ধারণ করে চাপিয়ে দেয়া হয়, বুঝতে হবে সমস্যা আছে, সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার সঙ্কট আছে।

আর আমি কোথায় জাতির জনককে অপমান করলাম বলুন তো ?

বরং আপনি যেন বলতে চাইছেন,অই দিন, অই দিন তোমারে প্রটেকশন দিছিলাম, মনে আছে ? এখন আমার সেঞ্চুরি করার সময়।বাধা দিও না। বাধা দিয়া লাভ নাই। কারণ, সেঞ্চুরি করার পর আমি অভিযোগ করলেও তো আপনার কোন সমস্যা নাই। প্লেনের টিকেট কাটা আছে,এয়ারপোর্ট পার করার লোক আছে।বাংলাদেশে যে কোন, যে কোন অনাচার এর উদাহরণ টানলে, পরিসংখ্যান এর দিক দিয়ে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামীলীগ এগিয়ে থাকবে, তা আপনার মত সাংবাদিকের জানা থাকার কথা।১৯৯৬ থেকে ২০০১ ছাত্রলীগের শুধুমাত্র আভ্যন্তরীন কলহে নিহতের সংখ্যা বাংলাদেশে এখনো একটি রেকর্ড।সেঞ্চুরী কটা করেছেন তার খবরও আপনি ভাল জানবেন।

আমার বৌদিকে পাহারা দিতে এসে কে যেন মশার কামড় খেয়েছে বললেন ? আপনি ? হাসালেন, ভাইজান। আকাশ থেকে পেড়ে পেড়ে এই গল্প বানিয়ে বাস্তব উদাহরণ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার যুগ শেষ।

অন্যায়কে ঘৃণা করতে শিখুন।সে ছাত্রলীগের হোক আর ছত্রদলের হোক।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আপনি নিজেকে যতটা বুদ্ধিমান ভাবছেন,এতো বুদ্ধিমান হলে মন্তব্য দিয়ে বেড়াতে হতো না,কোন লেখালেখিতে আপনার একটা আত্মপরিচয় বা সুকৃতির ছাপ থাকত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছায়ার সঙ্গে তর্ক করে সময় নষ্ট,আপনি যুগ বদলানোর কথা বলেছেন। সেটা আপনাকেই আগে বুঝতে হবে। আপনার অতি তাজউদ্দীন ভক্তি একজন যাচাই না করা নারী-পুরুষ বা অবমানবের সেই ৭২-৭৫ স্টেরিওটাইপ। ঘোলা পানিতে কচ্ছপ শিকার।এখন ইতিহাস মুক্ত।মুজিব-তাজউদ্দীন সুকৃতির আলোচনা ছায়ানর্তকের সাথে আর নয়। লেখার মানে না বুঝে মন্তব্য করার এই ফ্রিডম অফ ননসেন্স কথিত শ্রাবন্তির আলোচনা ডিরেইল করার প্ল্যান বি। সনামে যেহেতু করা যাচ্ছেনা আর। তবে ৭৫ থেকে আমরা শিখেছি,তাই কলতলার পলিটিক্স দিয়ে বাংলাদেশকে ভুল পথে নিয়ে যাবার এই স্যাঁতসেতে পুনরাবৃত্তিতে আর লাভ হবেনা অযথা ক্যালরী ক্ষয় করছেন। নিজের চরকায় তেল দেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শ্রাবন্তি এর ছবি

আপনি নিজেকে যতটা বুদ্ধিমান ভাবছেন,এতো বুদ্ধিমান হলে মন্তব্য দিয়ে বেড়াতে হতো না,কোন লেখালেখিতে আপনার একটা আত্মপরিচয় বা সুকৃতির ছাপ থাকত।
ব্লগটা কি শুধু লেখকদের জন্য ? আপনাকে তো দেখি, ব্লগারদের বই এবার কেমন বিক্রি হবে তা নিয়ে বেশ হা পিত্যেশ করতে।তো সেই বইগুলি না কিনলে, তো আবার বলবেন,এই জাতিটা এখনো মননশীল হয়ে উঠলো না।সকাল্বিকাল লিখে যাছেন, বইমেলা উপলক্ষে।যে পাঠককে লক্ষী ভেবে এত লেখালেখি, তাকে এত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার ধৃষ্টতা আপনার নেই, কিন্তু আপনি আসলে ভীত হয়ে পড়েছেন।

আপনার অতি তাজউদ্দীন ভক্তি একজন যাচাই না করা নারী-পুরুষ বা অবমানবের সেই ৭২-৭৫ স্টেরিওটাইপ।

তাজুদ্দিনের প্রতি আমার ভক্তি আপনাকে যেমন তিতি বিরক্ত করছে,তাজুদ্দিনের সফল মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনার এবং যুদ্ধে নেতৃ্ত্ব দেওয়ার ব্যাপারটি বংগবন্ধুকে করে তুলেছিল তার চাইতে অনেকগুণ বেশী হীন্মন্যতাগ্রস্ত আর ক্ষমতা হারানর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত এক মহানায়ক।নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য তাই দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের আসল নায়কদের।কদাচিৎ তাদের কথা স্বার্থান্বেষী লোকেরা উচ্চারণ করলেও তা এমনভাবে করবেন যেন মনে হয়, তাজুদ্দিনকে তারা করুণা করছে।তাজুদ্দিনদের স্মৃতি জাগরুক যে কোনকিছুর মধ্যেই আপনারা অতি ভক্তির ভূত খুঁজবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইতিহাসকে বদলে দেয়ার সামর্থ্য আপনার আমার নেই।তাজুদ্দিনের চাইতে বড় কোন আদর্শ আমাদের সামনে নেই।

নিজের চরকায় তইল দেই বলেই চরকাটা আজও সুতো কাটে।আর আমরাও খেয়ে পরে বেঁচে আছি।

সে যাই হোক, এভাবে ধমক দিলে তো আর যাওয়া যায়না।আমি আছি।এই ছায়ার অনুসরণ উপভোগ্য না হলেও,আমার জন্য এটি এক অবশ্য করণীয় হয়ে দাঁড়াল।দেখা হবে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আপনি পাঠক নন,একজন ছায়া লেখক,এখন কলতলার কায়দায় লেখক-পাঠক বিভেদের দেয়াল তুলে নিজের বামনতার গ্লানি মুছতে আমার প্রিয় পাঠকদের মাঝে আমার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণার চেষ্টা করছেন। আপনার মতো প্রতিক্রিয়াশীল লোককে বুঝতে হবে এসব ক্যাচালের দিন শেষ।
আপনি আদার ব্যাপারী বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীনের মাঝের বিভেদটাকে সামনে আনছেন।আপনার এই বিভেদমনস্কতা একটি মানসিক রোগ। আপনি আমার সঙ্গে সাপলুডু খেলে নিজের নিয়তি বদলাতে পারবেন না। নিসঙ্গতা,ঈর্ষাজনিত স্কিজোফ্রেনিয়া,প্রিয়জনদের প্রত্যাশার চাপে বয়েসকালে ঘুড়ি উড়াতে না পেরে এখন অন্ধকার ঘরে বসে আমাকে ব্রাশফায়ার করছেন।তাই আপনার হীনমন্যতাজনিত প্যারানয়া লাঘবে একটা রিল্যাকজিন পেশ করলাম। পড়ে ঘুমিয়ে যান। শুভ রাত্রি।

মুজিব-তাজউদ্দীন;১৬ ডিসেম্বর উড়ালের দুই আকাশচারী সুপারম্যান

এই দুই সংসারবিবাগী মানুষের জীবন রূপকথার মত। একজন বাঘমানুষ-গাছমানুষ-আকাশমানুষ,আরেকজন শুধুই নদীমানুষ।মুজিব আর তাজউদ্দীনের ব্যাটিং পার্টনারশীপ বাংলার নদীমানুষকে মানচিত্র-পতাকা জিতে দেয়। সঙ্গে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধার রক্ত-ঘাম,আমজনতার তিরিশ লাখ মৃতদেহ,ধর্ষিতা মা-খালাদের বঞ্চনার অগ্নিপরীক্ষায়,মাত্র নয় মাসে মুজিবের মুক্তির ডাকে বিস্ফারিত জনমানুষকে সাথে নিয়ে তাজউদ্দীন কাঠের চৌকিতে চিলতে বিছানায় নির্ঘুম যুদ্ধ ও কূটনৈতিক পরিকল্পনায় মুজিব ভাইয়ের ছবির দিকে তাকিয়ে,রণাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন-মৃত্যুর খবর,যশোর রোডে ফুলে ওঠা শিশুর মৃতদেহ,শরণার্থী শিবিরের মানুষ বৃষ্টিতে ভিজছে সেই ভাবনায় খোলা জানালায় দাঁড়িয়ে ভিজলেন রামভক্ত লক্ষণ, চে ভক্ত কাস্ত্রো কিংবা বঙ্গবন্ধু ভক্ত বঙ্গতাজ। বঙ্গবন্ধু এই মুকুট তার রানিংমেটকে পরিয়ে দিয়েছিলেন।এই দুজনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সপ্নবাজ এক জনরাজ,আর বঙ্গতাজ ছিলেন আমজনতার বিপ্লবী রাজার বাংলাদেশ মহাকাব্যের সম্পাদক।বার্তাকক্ষের সম্পাদকের জীবন নিসঙ্গ শেরপার জীবন। পর্দার আড়ালের থ্যাংকলেস জীবন।কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর যখন মুজিবের বাংলাদেশ মহাকাব্য প্রকাশিত হলো,তখন সম্পাদক তাজউদ্দীন তার নেতার ছবির দিকে অপলক তাকিয়ে থাকেন,এই সংবাদটা যাকে প্রথম জানাতে ইচ্ছা করছে, সেই পর্বত মানুষটি করাচীর জেলখানায় তার সপ্নপূরণের খবরটা কীভাবে পাবেন। তিনি ফিরবেন, এই অপেক্ষায়, একটি দরাজ অগ্রজ বুকে যুদ্ধজেতার আলিঙ্গন।কখন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। তাজ মুজিবের প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন গাছ-আকাশ-নদীর কাছে। আমজনতা রোজা রেখেছে নেতার জীবন প্রার্থনায়।মুজিবের ক্যারিশম্যাটিক লিডারশীপ আর তাজউদ্দীনের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের ক্ষমতার সম্মিলনই আজকের বাংলাদেশ। এরা কী সেই রাইট ভাতৃদয়,লালসবুজ পতাকার ১৬ডিসেম্বর উড়ালের দুই আকাশচারী সুপারম্যান।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শ্রাবন্তি এর ছবি

এরা কী সেই রাইট ভাতৃদয়,লালসবুজ পতাকার ১৬ডিসেম্বর উড়ালের দুই আকাশচারী সুপারম্যান।

হা হা হা।যাক দুটো সত্যি কথা লেখানো গেল আপনাকে দিয়ে,যদিও আপনার পুরো উপ্লব্ধির বিষয়টি অপ্রকাশিত থেকে গেল।

রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের মতই মুজিব-তাজুদ্দিন ছিলেন একে অপরের সম্পূরক।এই দুই ভাইয়ের (ভাইই বলতে হয়, তবে তার চাইতেও বেশী কিছু)কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করা সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার প্রতি এগিয়ে যাওয়াকে বেগবান করেছে।নতুবা মাউন্টব্যাটেন এর করা ভবিষ্যতবাণী ফলার জন্য বাঙ্গালীকে অন্তত আরও ছাব্বিশ বছর অপেক্ষা করা লাগত।কিংবা, অন্য কোন বাঙ্গালী রাইট ব্রাদারের জন্মের প্রতীক্ষায় থাকতে হত অনির্দিষ্টকাল।
তবে কিছু পার্থক্য তুলে না ধরলে,মুজিব-তাজুদ্দিন সম্পর্কের পুরো বিষয়টা বলা হয়না, আর আপনার এই লেখার পেছনে ব্যয় করা ক্যালরি আর সময়ের প্রতি সুবিচার করা হয় না।
রাইট ভ্রাতৃদ্বয় দুজনেই ছিলেন এক স্বপ্নের রুপকার-কর্মকার।তাজুদ্দিন আর মুজিবের ক্ষেত্রে একজন ছিলেন বাঙ্গালীর স্বাধীনতা সংগ্রামের কৌশলী রুপকার, আর একজন ছিলেন সেই বার্তার অতন্দ্র ক্লান্তিহীন দীপ্তিময় এক ডাকহরকরা।একজন আগুনের আঁচে বসে অবিরাম লোহা পিটিয়ে বানিয়ে গেছেন তরবারি, আরেকজন ঘাড়ে করে ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন সেই অস্ত্র।
তবুও,একজন যখন অতিমানবীয় আনুগত্য নিয়ে যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরে যুদ্ধজয়ের সমস্ত অর্জন আর স্যুভেনির হাতে নিয়ে কারাগারে বন্দী নবাবের মুক্তির জন্য অপেক্ষা করেছেন, কারামুক্ত নবাব তখন বিজয়ের ডালি হাতে নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে গেছেন,যুদ্ধজয়ের সেনাপতির কাছে নিজের ইমেজ আর মসনদ হারানর আশঙ্কায় পদচ্যুত করেছেন।একজন আমরণ লালন করেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,যে চেতনা ধারণ করে দাঁত কামড়ানো মরণপণ সংগ্রাম করেছেন, অন্যজন বিশ্বাস স্থাপন করেছেন নিজের জনপ্রিয়তায়,আর নিজের ঈশ্বরতুল্য ইমেজের ছায়ায়, আর ঝোড়ো হাওয়ায় সেই মেকি দেবতার বেদী নড়েচড়ে উঠলে মুক্তি সংগ্রামের চেতনা ভলুন্ঠিত করতে দ্বিধান্বিত হননি,কারণ বোধহয় এর প্রসবকালীন বেদনার সুখানুভূতি বঞ্চিত হওয়া।
এক মহানায়কের আদর্শচ্যুতি আর নবজাত এক জাতির ভূচ্যুতি।
ভবিষ্যতে আমাদের মহানায়করা যেন আবার কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করতে গিয়ে আদর্শ্চ্যুত না হন, অনুসরণীয়রাই যেন প্রাতঃস্মরণীয় হন,সেটাই কাম্য।
অহেতুক দ্বন্দ্ব নয়। ঘুম-ঘুম-ঘুম ঘুম আসছে।এই যাত্রা, বিদায়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মুগুর দিয়ে আমরা প্রতি পাঁচ বছরেই কুকুর মারি। কুকুর মেরে একটা বিড়ালকে বসাই ক্ষমতায়। যারা সেবা করার প্রতিশ্রুতি এবং মাফ চেয়ে ক্ষমতায় বসে। তারপর সেই বিড়াল আবার কুকুর হয়ে ওঠে। বিবর্তনের কারণে আগের মুগুর দিয়ে নতুন কুকুরকে তাই বধ করা কঠিন হয়।

mef এর ছবি

অসাধারণ লাগলো মন্তব্য

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

কী করা যায় পিপিদা?

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

মুগুর দিয়ে আমরা প্রতি পাঁচ বছরেই কুকুর মারি। কুকুর মেরে একটা বিড়ালকে বসাই ক্ষমতায়। যারা সেবা করার প্রতিশ্রুতি এবং মাফ চেয়ে ক্ষমতায় বসে। তারপর সেই বিড়াল আবার কুকুর হয়ে ওঠে। বিবর্তনের কারণে আগের মুগুর দিয়ে নতুন কুকুরকে তাই বধ করা কঠিন হয়।

এর উপরে আসলে আর কোন কথা নাই। সমস্ত গল্প আর মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের সার কথা পিপিদাই বলে দিলেন।

লালন এর ছবি

" মুগুর দিয়ে আমরা প্রতি পাঁচ বছরেই কুকুর মারি। কুকুর মেরে একটা বিড়ালকে বসাই ক্ষমতায়। যারা সেবা করার প্রতিশ্রুতি এবং মাফ চেয়ে ক্ষমতায় বসে। তারপর সেই বিড়াল আবার কুকুর হয়ে ওঠে।"
লালন সাঁই'জি বলেছেন,
সত্য বল সুপথে চল, ওরে আমার মন...
প্রকৃতি প্রেমিক সাধু বলেছেন সত্য, জয় হোক সত্যের

জাহামজেদ এর ছবি

প্রতিবাদের সব কন্ঠকে এক হতে হবে। সব প্রতিবাদী কন্ঠ এক হতে হবে মুষ্টিবদ্ধ হাতে।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আশাবাদী।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বিড়ালকে ডেকে আনতেও এখন ভয় লাগে!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কুত্তাটা কে লেলিয়ে দেয়? রাষ্ট্র নাকি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকার?
ক'দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্র আবু বকরের স্মৃতিতে প্রকাশিত এক প্রতিবাদ পোষ্টারে দেখলাম- যে রাষ্ট্র আবু বকরের মতো নিরীহ মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করেছে সেই রাষ্ট্র ভেঙ্গে ফেলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বামপন্থী প্রগতিশীল ছাত্রজোটের পোষ্টার।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।