আমজনতা পেঁপেঁ কিনবে না বাংগী কিনবে

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: শনি, ১১/০৯/২০১০ - ৭:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবাইকে ঈদের দিনে পাঠক হিসেবে পাওয়া যাবে না। ফলে এই অফলাইন সামাজিকতার দিনে অনলাইনে যিনি লগ ইন করবেন,বুঝতে হবে তার জগতটা বদলে গেছে,অন্তত জানালা।ফলে তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল রকে বসে ঈদের আড্ডা হতেই পারে।

 

আজ আমজনতার বিরুদ্ধে কিছু কথা বলা দরকার,কারণ আজ আমজনতা ব্যস্ত। ভার্চুয়াল নির্বাণ পাওয়া কয়েকজন আমভার্চুর সঙ্গে সাহস করে আমজনতার ব্লান্ডার নিয়ে কথা বলা দরকার।

 

৯৬ থেকে ০১ আওয়ামীলীগের পাঁচবছরের উন্নয়ন-অনুন্নয়নের ডিএফপির গোটা পনেরো রুটিন সরকারের ঢোল বাজানো প্রকাশনার সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলাম মাস তিনেক। তখন তথ্য ক্যাডারের সেবক হিসেবে আমাকে ডিএফপিতে সংযুক্তি দেয়া হয়েছিল।

 

 ওই কাজে কোন তেল না দিয়ে কাজটা ক্রিটিক্যালি করে দেখেছিলাম জয়নাল-হাজারি,শামীম ওসমানদের সুনাম ছাড়া কৃষি-শিক্ষা-গ্রাম উন্নয়ন-অবকাঠামো উন্নয়ন এসব ক্ষেত্রে সরকার যন্ত্রের শ্লথ গতি এড়িয়ে মোটামুটি একটা চেষ্টার ছাপ ওতে আছে।আমি বলবো চলে।ডিএফপিতে এর কপি আছে,কেউ সময় পেলে গিয়ে খোঁজ করতে পারেন। ডিএফপির পরিবেশ বেশ বন্ধুভাবাপন্ন।

 

তাহলে ২০০১ এ আওয়ামীলীগের ভরাডুবি কেন হলো।কী বাজটা মাথায় ভেঙ্গে পড়েছিল যে আমরা গিয়ে জামাত বলয়ে ভোট দিয়ে এলাম।ঠিক কী আশা আমাদের মনে ছিল?

আমার কাছে ঐ নির্বাচনের আগে গ্রাম পর্যায়ে গিয়ে মনে হয়েছে,ভোট ব্যাপারটাতে আমজনতার সিরিয়াসনেসের অভাব আছে।

 

আওয়ামী লীগ দেখলাম,এইবার একটু অন্যদের দিয়ে দেখি।

এইটাকে নানা আঞ্চলিক ভাষার অনুবাদে শুনতে হয়ে ছিল।

সরজমিন পর্যবেক্ষণ শেষে ফেরার সময় কানের কাছে বাজছিল এতোদিন হুইল সাবানে কাপড় কাচ্ছিলাম এখন আলমের পচা সাবানে কেচে দেখি। অথচ এর ওপরে দেশ-গণতন্ত্রের ভরসা।

 

৯৬-০১ সরকারের পারফরমেন্স যাচাই নথিতে একটি বাড়ি একটি খামারের মতো খুব মাইক্রোলেভেলের ম্যাসিভ প্রজেক্ট ছিল। যেগুলো আর বছর চারেকে দারিদ্র্য নিরসনে ভালোই কাজে আসতো। বিশেষ করে মতিয়া চৌধুরী তখন খাদ্য নিরাপত্তা গ্যারান্টিড করেছিলেন। তার মন্ত্রণালয়ের কাগজ পত্র খুব বাগাড়ম্বরে না গিয়ে কিছু পরিসংখ্যান তুলে দেয়া। কারণ যেখানে এরকম খাদ্য মজুদ আছে যে কোন মানুষের অনাহারে মরার কারণ নেই,সেখানে আর বক্তৃতা দেবার দরকার কী।

 

চ্যানেল আইয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধে বিধবাদের গ্রাম ডকুমেন্টারী সুটিং এ গিয়ে আমি এবং কবি হুমায়ুন রেজা মতিয়া আপার গ্রামের মানুষের একটু মাতবর গোছের লোকের উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনে প্রথমে মিনিট দশেক হেসেছি,তারপর মনখারাপ নিয়ে ঢাকা ফিরেছি। মতিয়া আপার বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগ উনি কড়া,কোন তদবিরের ধার ধারেন না। এই যদি এখন পর্যন্ত আমজনতার বুঝ হয় তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি কিম্ভুতকিমাকার আরব্যরজনীর গল্পের মতো হয়ে যেতে বাধ্য।

 

২০০৮এর নির্বাচনে সাংসদ প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে গিয়ে শুনি একি কথা।

 

গতবার ধানের শীষ দিছিলাম এবির নৌকাত দি দেকি।

 

মানে আমরা কিছু আমজনতা যেসব রাজনীতি অর্থনীতি বিজ্ঞান দর্শন এফোঁড় করছি প্রতিমুহুর্তে ভাবছি কিভাবে দেশটা একদিন ইউরোপের দেশ গুলোর মতো একটু নির্ঝঞ্ঝাট হবে, ওই সময় কিছু আমজনতা কিন্তু সি স খেলছে ,যেন বাজারে এসে পেঁপেঁ কিনবে না বাংগী কিনবে ,গতকাল বাংগী খেয়েছি,আজ পেপে।গণতন্ত্রের জন্য যে সচেতনতা দরকার আমজনতার তা আছে। শিক্ষাতো শুধু স্কুল থেকে হয়না,প্রতিদিনের যাপিত জীবন থেকেও মানুষ শিখে। কিন্তু আমার কাছে অবাক লেগেছে যে আমজনতা এইটাকে একটা বানর খেলা ভেবে বসল কীনা। আমজনতা কিছুই পায়নি দেশ থেকে তাতো নয়,যা সে পায়নি,তা সে নিজের কারণেই পায়নি।এইরকম নির্বাচন নিয়ে সি স খেললে বাংলাদেশ যে বানরের তৈলাক্ত বাঁশে ওঠার অংকভূমি হবে বলাই বাহুল্য।আমি কিন্তু দশজনে দুজনার কথা বললাম যারা এরকম সি স খেলছেন।

দশজনে একজন আছে সারাজীবন বাঙ্গী খাবে। আর একজন একগুয়ে পেপে ভক্ত। সেখানে দলের প্রতি অন্ধ আনুগত্য,কট্টর কমুনিস্ট বা জঙ্গীর চেয়ে একটু কোমল কিন্তু ঋজু।

দশজনে দুজন নির্বাচনী ব্যবসায় কিছু টাকা পয়সা উপার্জনের চেষ্টা করেন,এদের মধ্যেই থাকে সেই ঘোড়েল লোকগুলো যারা ভোট ব্যংকের সুপার ভাইজার। মানে রুস্তমপুরের বাজার সংলগ্ন বিশটি পরিবারের ভোট কেনা-বেচায় সুত্রধারের কাজটি করবে।এই বিশঘরে পেপে গেলে বলবে বাঙ্গীকে ঈমান দিয়েছি ভাই। পেপে বোঝে এইখানে বোঝাপড়া হয়ে গেছে।

কিন্তু বাকী যে চারজন,সেইখানেই মিরাক্যল। এই চারজনের বয়স চল্লিশের নীচে ১৮ থেকে ৩০ বললে আরো কনফিডেন্ট। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আস্থা রাখে। এই চারজনের অন্তত তিন জনের বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা আর একজনের বিনয়ী নিরবতা দেখেছি। যেটা গোটা তিনেক আড্ডায় মেরামতযোগ্য। এই চারজনের দেশপ্রেমে কোন ফাঁকি দেখিনি।সাদাকালো ফুটেজে বা ছবিতে দেখা মুক্তিযোদ্ধাদের মত মুখ। পরনে অবশ্য টিশার্ট,ট্রাউজার(লুঙ্গির চেয়ে দাম কম )মোবাইল ফোন,হেয়ার স্টাইলে কিছু একটা,খুব অনায়াসে কথা বলে,ইউরোপের ১৮ থেকে তিরিশের সঙ্গে এদের অভাবনীয় মিল পেলাম আচরণে,নন ভারবাল কিউজে।আমি এই চারজনের পেছনেই বেশী সময় দিয়েছি।আসলে কনফার্ম হতে চেষ্টা করেছি শিবিরের বা জামাতের সঙ্গে কেউ আছে কিনা। আশার কথা এই চারে তারা নেই। থাকলে তাদের আগের যে বয়েসী ভোটব্যবসায়ী ক্যাটেগরী করা হয়েছে সেইখানে জামাত শিবির রাখলেও ভোটারের হিসেবে কোন গড়বড় হবেনা।

 

নির্বাচনের নিয়তি নির্ধারণ ২০০৮এ এই চারজনি করেছে।এখন এই চারজনকে যদি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া যায়,তাহলে এরা সেই মালয়াশিয়া বা জাপানের উন্নয়ন যাত্রার তরুণদের মতোই আগ্রহী মনে হয়েছে।আর কর্মসংস্থান না বাড়িয়ে তেলে মাথায় তেল দিয়ে সময় নষ্ট করলে,এই চারজনের দুজন যে উপায়হীন হয়ে সি স হয়ে যাবে না বা আরো খারাপের দিকে যাবে না বলা মুশকিল।

গ্রামে ভোট বেচাকেনা হয়,পদ্মানদীর মাঝির সেই হুসেন আলীর সর্ণগ্রামের মতো গুয়ানতানামো আছে,যেখানে ভোটের ক্ষেত্রে দাস প্রথা।জঙ্গী প্রবণতা খুবি ঝুঁকিপূর্ণ।খুব চালাক প্রকৃতির লোক এরা।আমজনতাকে বোকা বানানোর সব কৌশল জঙ্গীরা জানে। চরমপন্থী আছে,কিন্তু এ এলাকার মানুষ সচ্ছল হোলেও মিলিওনিয়ার নয়।ফলে কার কাছে চাঁদা নেবে/

 

আর এই এলাকার বৈশিষ্ট্য হল ঐসব নেতা,পাণ্ডা,পুলিশ,ডিসি,এমপি,মন্ত্রী দেখে কেউ ভয় পায়না।শুধু হাসে। বেশ কিছু প্রশ্নোত্তরে বুঝলাম,এরা পলিটিকস নিয়ে বলিঊডের ছবি গুলো দেখে।ভারতীয় সীমান্তবর্তী বলে হিন্দী সংস্কৃতির বাজার আছে।ঢাকা ভাইবেরাদাররা থ্রী ইডিয়েটস মান ও মননের কমার্শিয়াল ছবি বানাতে না পারলে,বাঘা চারঘাটের বাচ্চাদের চোখে আবেগের ঠুলি দিয়ে বলিউড দেখা থামানো মুশকিল। আড্ডার সময় কার নাটক দেখতে বলবো,সেলিম আল দীন নেই কিন্তু দেবাশিস কাঁকনদের বয়েসী কয়েকজনের নাটক দেখতে বললাম।ঢাকায়ো পয়ত্রিশের নীচের মেকার বলিউড-হলিউড লেভেলে যাবার কিছু ঈশারাও চোখে পড়েছে।

 

নির্বাচনী পর্যটনে বাঘা-চারঘাটের গ্রাম গুলোতে কুয়াশায় ডুবে থাকা পথে ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাওয়া গেছে।খুব কাছ থেকে মিশে আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের গ্রামের মানুষ অনেক স্মার্ট অনেক স্ট্রেইট।যত নৈরাশ্য,কাদাছোড়াছুড়ি,মানসিক বৈকল্য,হীন্মন্যতা শিক্ষিত লোকজনের মধ্যে। শিক্ষাব্যবস্থার গলদ আজকাল খুব স্পষ্ট আমাদের আচরণে।

 

বাঘা চারঘাটে বড়াল আর পদ্মা নদীতে রিভার টুরিজমের ব্যবস্থা করলে,এই জায়গাটা প্রচুর রেভিনিউ নিয়ে আসবে।ঐ চার তিরিশের দেশ প্রেমিক তরুণদের ঘরের কাছে কাজ জুটবে। উপজেলা স্কুল গুলোতে কম্পিউটার আছে,শিক্ষক আছেন,তারা খুব উদ্যোগী তিরিশের। কম্পিউটার ট্রেনিংসেন্টার আছে,রাজশাহী থেকে একঘন্টারো কম সময় লাগে। এইখানে আইটিভিলেজ করা গেলে তথ্যশ্রমিক পেতে সমস্যা নেই,এই এলাকার তরুণেরা প্রস্তুত।

 

কিন্তু উদ্যোগ নেবে কে।এতো সুখী এলাকা,মোটামুটি খেয়ে পরে বেঁচে থাকার অবস্থার সবার আছে।টেনিসনের লোটাস ইটার কবিতায় লোটাস গাছের নীচে বসে থাকা সুখী মানুষ বলবো না টাইমলেস ল্যান্ড বলবো বুঝতে পারিনা। তবে এলাকাটা রূপকথার মতোই সুন্দর।গরীবী বেশ কম।মানুষ সামাজিক,সাহায্য প্রবণ।

 

যে কারণে কারো মধ্যে কোন বাড়তি উদ্যোগ নেই।

 

এলাকার সাংসদ খুব ভালো লোক।ঊদ্যোক্তা ব্যবসায়ী। আমজনতার আশা ছিল,সে রিভার ট্যুরিজমটা অন্তত করবে। কিন্তু উনি চলে গেলেন বাঘার পদ্মানদীতে ঝাপ দিয়ে মুঘল প্রত্ন-দালান উদ্ধার করতে। বিদ্যাসাগরো পানিতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন।এই বেচারার দোষ কী। কিন্তু বিদ্যাসাগর টিভি মিডিয়ায় কাভারেজ পাননি। এই বেচারা পেয়েছেন। তবে আমার ধারণা নদী পর্যটন চালু করতে পারলে উনার টিভি কাভারেজের জন্য পানিতে ঝাঁপ দেবার প্রয়োজন হবে না। ঈদের শুভেচ্ছা।

 

  ছবি কৃতজ্ঞতা, আহমদ শরীফ


মন্তব্য

শিশিরকণা এর ছবি

মতিয়া আপার বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগ উনি কড়া,কোন তদবিরের ধার ধারেন না। এই যদি এখন পর্যন্ত আমজনতার বুঝ হয়

বাংলাদেশের মানুষের এই তদ্বিরের সুযোগ খুঁজতে থাকে বলেই সৎ, আত্মত্যাগী নেতারা বেইল পান না। কেউ নিয়ম কানুন মেনে সিধা রাস্তায় চলতে চায় না, খালি শর্টকাটের ধান্দা। এইসব প্রাডো, ল্যান্ডক্রুজার হাঁকানো সংসদ সদস্যরা এসব জনগনেরই প্রতিনিধি। মানুষের ব্যাপক শিক্ষা দরকার এই স্বভাবগুলো পাল্টানোর জন্য।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ।ঈদের শুভেচ্ছা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

Tanjim Ferdous এর ছবি

মনে পড়ে গেল William Butler Yeats সেই কবিতাটি, "Leda and the Swan"। যেখানে ঝকঝকে তরুণী লিডা স্নান করতে নেমেছিল নদীতে । হঠাত দেবরাজ জিউসের নজর পরে মেয়েটির ওপর । জিউস সাদা রাজহাসের ছদ্মবেশ ধারন করে । ধবধবে রাজহাশ দেখে লিডা আকর্ষিত হয় ; কাছে টেনে নেয় । আর সু্যোগ বুঝে লম্পট জিউস তার মনের বাসনাকে চরিতার্থ করে নেয় ।
ঈশপের গল্পের মত এ কবিতাটিতে কোনো Moral না থাকলেও আমাদের রাজনৈতিক নেতারা কেন যেন দেবরাজের ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হন......কবিতাটির নাম "Leda and the Swan"

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আমজনতা পাত্তা দেয় বা অযথা আস্থা রাখে রক্ষকের ওপরে,পরে সে ভক্ষক হয়ে যায়। বেড়ায় ক্ষেতের ফসল খাওয়ার মতো। কি আর করা।

ঈদের শুভেচ্ছা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

জাহামজেদ এর ছবি

ঢাকা ভাইবেরাদাররা থ্রী ইডিয়েটস মান ও মননের কমার্শিয়াল ছবি বানাতে না পারলে,বাঘা চারঘাটের বাচ্চাদের চোখে আবেগের ঠুলি দিয়ে বলিউড দেখা থামানো মুশকিল

এই মানের ছবি বানাতে হলে মেধাবী ছেলেদের এফডিসিতে ঢুকার সুযোগ দিতে হবে। এফডিসিতে চাল ডাল তেল ব্যবসায়ীদের যে সিন্ডিকেট আছে, ছবি বানাতে হলে আগে এদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়, এরা আপনাকে অনুমোদন ( ছবি বানানোর সার্টিফিকেট) দিলে আপনি তখন একটি সিনেমা বানানোর সুযোগ পাবেন। যে সব তরুণ সিনেমা বানাতে আসে, হয়তো প্রডিউসার নিয়ে আসতে পারে, কিন্তু সিন্ডিকেটের কাছে তার মেধা হাবুডুবু খায়, পায়ের জুতা ক্ষয়ে যায়! এমনকি মোরশেদুল ইসলামের মত পরিচালকের ছবিও এরা আটকে ফেলে ছোট্ট একটা ইস্যূ তুলে !

এফডিসিকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিলেই প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হবে এবং আমরা ভালো ছবি দেখতে পারবো।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এবিষয়ে আরেকদিন ডিটেইলে কথা বলা দরকার। সহমত। তবে হলিউডের ডিয়ার জনের মতো অল্প বাজেটের ছবি যখন বিগ বাজেট আভতার ছবিকে ব্যবসায় তাক লাগিয়ে দেয়,তখন সুযোগ-সুবিধা না কি নির্মাণ দক্ষতা কোনটা বেশী দরকার একটু আঁচ করা যায়। শুভেচ্ছা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ঐদিক শুভেচ্ছা জানবেন। ঈদের দিন সেমাই খাইতে আসলাম। এবং কিছু কথাবার্তা পাড়লাম।

আমার গ্রামের মানুষের সাথে মিলামিশার অভিজ্ঞতা অতিস্বল্প। কিন্তু আমার মনে হইসে ভিন্ন কথা। গ্রামের মানুষ ঠিকটাই বুঝে। তাদেরকে ঠিকভাবে কোনো ইন্জিনিয়ারিং না করে ভোটটা দেয়ার সুযোগ দিতে হবে কেবল। তাদের আর কোনো কিছুর প্রয়োজন নাই। আমার তো মনে হয় আমরা সংখ্যালঘু শহুরে মধ্যবিত্ত মাত্র। নিজের চরিত্র সম্পর্কেই আমাদের ঠিকঠাক ধারণা নাই। তারপরও এনজিওমুখো পাদ্রী হয়ে হেদায়েত কর্তে চাই আমরা অনেকে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সহমত। তবে মার্কা দেখে ভোট দেয় বেশীরভাগ মানুষ,এতে মার্কার পেছনের প্রার্থীর কৃতিত কম থাকে। আবার পাঁচবছর পরপর পাশার দান বদলাতেই হবে এই মানস উন্নয়নের ধারাবাহিকতার আর কিচ্ছু রাখে বলে মনে হয়না।
ঈদের শুভেচ্ছা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আলমগীর এর ছবি

শিক্ষা এবং কাজের সুযোগ সৃষ্টি- কোনাটিরই উদ্যোগ নেই। এটাকে সুচতুরভাবে ব্যবহার করেছে শফিক রেহমান, তার তিন কোটি ভোটারের কাছে আবেদনে।

আমজনতা বাঙ্গি-পেপে না কিনে আম কিনলে কেমন হয় হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

জটিল কইছেন বস!



তারাপ কোয়াস

আসিফ [অতিথি] এর ছবি

আম-জনতা কবে আম কিনবেন সে অপেক্ষায় আছি। তবে আমের বদলে পঁচা কলা কিনে কলার খোসায় পা পিছলানোর কোন সুযোগ নেই।

ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ঈদের শুভেচ্ছা।অন্তত বাঘা চারঘাটে আম খেতে যেতে পারেন।খুব সস্তা।
কলার ছিলকায় পা পিছলে পড়ার শখ সর্দারজী আর পাঠানের,আমাদের কাঁঠালটাই পছন্দ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ঈদের শুভেচ্ছা। শফিক রেহমান ২০০১ সালে দেশের যে ক্ষতি করেছেন তা অপূরণীয়।

না স্যার আমজনতার দুই অপশন, হয় পেপে না হয় বাঙ্গী।

ভালো থাকবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আম জনতা কি খাবে তার অনেকটাই বিক্রেতার হাতে। বিকিকিনিতে যা সস্তা পড়ে আম জনতা তাই খাবে! তবে ক্যামিকেল দেয়া ফল যতোই খাক না কেন, তাতে স্বাস্থ হবে না! সমস্যা হল আম জনতা একটুও স্বাস্থ সচেতন না!

--- থাবা বাবা!

rha.rajib@gmail.com

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ঐ একটা ভোট যে বাংলাদেশের এমনকি নিজের জীবন মরণের প্রশ্ন এটা অনেক আমজনতা খুব সিরিয়াসলি ভাবেন বলে মনে হয়নি। এটা সাস্থ্য সচেতনতার অভাবের মতোই।

অনেক শুভেচ্ছা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বাবা ছিলেন রাজনীতি বিশ্লেষনের শিক্ষকও বটে। অনেক শিক্ষার মাঝে একটা বলেছিলেন,'জনতা কখনো ভুল করে না, এই কথাটি মনে রাখবে। রাজনীতিবিদরা ভুল করেন এবং অধিকাংশ সময়ই তারা নিজের ভুল বুঝতে না পারলে এর দায় চাপান জনতার উপর। কিন্তু জনতা কখনোই সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভুল করে নি।''

এই শিক্ষা মাথায় রেখে 'পেপে আর বাঙ্গীর' সমীকরণটায় দ্বিমত জানালাম।

ডিএফপির পরিসংখ্যান থেকে ২০০১ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট পরিস্কার হবে না মনে হয়। ডিএফপি প্রকাশিত বুকলেট পড়ে ভোট দিতে গেছে, এমন জনতা দেখি নাই।
-
"জয়নাল-হাজারি,শামীম ওসমানদের সুনাম ছাড়া " হিসাব করলে হবে না মাসকাওয়াথ ভাই। কারন আমজনতার সামনে এরাই দৃশ্যমান সবসময়। মহাখালীতে এক লোক শেখ মুজিবের ছবি ঝুলিয়ে রেখেছে রেস্তোরায়, কারন মুজিবের ছবি থাকলে চাঁদা কম দিতে হয়..এই খবর আমরাই প্রকাশ করেছি। এখন মুজিব যখন রেস্তোরার চৌকিদারির জিম্মাদার বনেন মুজিব সেনাদেরই কল্যানে, তখন এসব পরিসংখ্যানের চাইতে ঐ রেস্তোরা মালিকের নিজের রুটিরুজির নিরাপত্তাটাই মূখ্য হয়ে উঠে।
সেই সময় এক বাড়ি এক ঘর এক খামার এসব প্রজেক্ট মাস পিপলকে তেমন করে পথ দেখায় না।
এটা পুরোটাই রাজনীতির ভুল, রাজনীতিবিদদের ভুল..জনতার ভুল নয়।
আশাবাদী মানুষ লীগের বিরুদ্ধে শেরে বাংলাকে ভোট দিল জীবনের প্রথম নির্বাচনে, শেরে বাংলার ছইত্তা নাশ ভুমিধ্বস বিজয়ের পরে তিনি গিয়ে কোয়ালিশন করলেন মুসলিম লীগের সঙ্গেই, সেখানে তিনিই একমাত্র মন্ত্রী কৃষক প্রজা থেকে, বাকি সবাই মুসলিম লীগ ও ইত্যাদি ইত্যাদি..। এখন কৃষক প্রজা ডুবলে দায়টা আমরা এখনও দেই জনতাকে, ভুলে যাই সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগের বিরুদ্ধেই আমরা কৃষক প্রজা চেয়েছিলাম। সেই থেকেই শুরু এসবের।

আম জনতা ভুল করে না, তার প্রমান হচ্ছে, ২০০১ সালে আওয়ামীলীগের ভোট কিন্তু বেড়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ জায়গায় গুন্ডা মাস্তানকে প্রার্থী করে আপনি পেপে আর বাঙ্গীখোর বলবেন জনতাকে, এটা তো অন্যায়।
একটি খেত একটি খামার কেন, একটি বাড়ি একটি গাড়ির জন্যও যদি কেউ শওকত ওসমান, জয়নাল হাজারী, তাহের, গোলন্দাজ, ইকবাল, মকবুল, হাজী সেলিমকে ভোট না দেয়, তাহলে তাকে দোষ দেয়াটা অন্যায়। আর এখানেই কিন্তু সিটের হিসাব আসছে ৭টা। বাকিগুলো আর বললাম না।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

জেবতিক জনতা ভুল করে না কথাটা ২০০১এর নির্বাচনে মনে হয়নি। আওয়ামী লীগের কথিত দুশাসন কান্টিনিউ করলে ২০০১-২০০৬ বিএনপি-জামাতের সময় জঙ্গীবাদ বা হাওয়াবাদ আসতে পারতো না। আওয়ামী লীগ থাকলে দেশের এই পরিমাণ ক্ষতি হতো না। অবশ্যই কম হতো। কিন্তু ওই যে পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তন। একটু হিসাব করলে দেখা যাবে আওয়ামী লীগের ভুল প্রার্থীর বিপক্ষে বিএনপি-জামাত থেকে যারা জিতলেন তারা আরো বড় ভুল বা ভূলের সূতিকাগার। তাই ভুলটা কম হয় কিসে সেটা হয়তো বোঝা দরকার।ঠিক করা কঠিন,তবে কম ভুল করার সুযোগ আছে আমজনতার হাতে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এটা হচ্ছে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার, কিন্তু আওয়ামী লীগ কন্টিনিউ করলে যে অবস্থা আরো খারাপ হতো না, এমন কথা জোর দিয়ে বলার কোনো সুযোগ নেই। খারাপ হতে পারতো, ভালোও হতে পারতো, পুরোটাই অনুমান নির্ভর এটা।

২০০১ সালে নয়, সব সময়ই জনতা ভোট দিয়েছে ইস্যুতে বিশ্বাস করে, তারা সঠিক ইস্যু নির্ধারণ করতে ভুল করেনি, ভুল করেছে রাজনীতিবিদরা।

আওয়ামীলীগের সন্ত্রাস থেকে মুক্ত হতেই জনতা বিএনপির সঙ্গে জামায়াতকে হজম করে নিয়েছিল। ২০০১ সালের প্রধান ইস্যু ছিল সন্ত্রাস দমন। খালেদা জিয়া অপারেশন ক্লিন হার্ট করেছিলেন, আর্মির কাছে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মানুষ মরেছিলও অনেক, তারপর এলো প্রাতিষ্ঠানিকতার মোড়ক-রেব নামে বাহিনী হলো, কোথাও গেলেই আগে থেকে ওত পাতা মাস্তানরা তাদের দিকে গুলি ছুড়ে দেয়। সুতরাং এ পর্যন্ত জনতার দরবারে বিএনপিকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিকই বিবেচ্য হয়েছে।

কিন্তু বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে মূলত তারেক জিয়ার কারনে। তিনি চুরিকে প্রাতিষ্ঠানিক করে ফেললেন। এই সুযোগ নিল জামাত, তারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জোর কদমে এগুলো। চোরের বাইরে আর বিএনপিতে তেমন কোনো নেতা থাকতে পারলো না, প্রো ৭১ রা দূরে সরে গেল, এগিয়ে এলো সাকা চৌধুরী-মওদুদ গং।

সুতরাং জামাত এবং বিএনপির মোড়কে জামাত..এই দুই শক্তির এই চোট্টামি আর মৌলবাদী উথানের প্রতিবাদে জনতা এবার নৌকায় উঠেছে। এবারও হজম করে নিয়েছে এরশাদ নামের সারমেয় শাবককে। বরাহ আর সারমেয়, দুটো অপশন থাকলে জনতার কী করার আছে?

বিষয়টা হচ্ছে ঋণাত্মক ভোট।
মানুষের নাভিশ্বাস উঠে, তারা দেখে এক গুন্ডা থেকে বাঁচন চাই, তখন অন্য অপশনে যায়। সেই অপশন হাওয়ায় উড়িয়ে দেয় সব সম্ভাবনা, শুরু হয় চোর বাটপারি আর জঙ্গী লালন।
তখন মানুষ আবার ফিরে আসে প্রথম অপশনে। একের চাইতে আরেক খারাপ আসছে, এর দোষ মানুষের নয়, এই দোষ যারা খারাপ নিয়ে আসে তাঁদের।

আমজনতা বাঙ্গী কিনে না, বরং তাদের পেছনেই বাঙ্গী ফাটিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা শুধু আগুপিছু করে কিছুটা স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে। পেছনে বাঙ্গী হজম করা জনতাকে তাই দোষারোপ করার সুযোগ পাচ্ছি না।

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

আরিফ ভাইয়ের মন্তব্য দুইটায় ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম

শ্রাবন্তি এর ছবি

ভাল লাগল।

শ্রাবন্তি এর ছবি

ভাল লাগল।

থার্ড আই এর ছবি

ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে আসলাম। আজকের দিনে রাজনীতি নিয়া কথা কমুনা। খাওন দাওন নিয়া পোষ্ট দেন।
ঈদ মোবারক ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

দাওয়াত খেয়ে খেয়ে চেহারা করেছ সুখী কর্মহীন অলস রাষ্ট্রদূতের মতো। জার্মানীর বনে এক বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত ছিলেন,দিনে তিনটা বাংলা,হিন্দী,ইংরেজী ফিল্ম দেখতেন।যে ভিডিওর দোকানে যেতেন তার মালিক আপা সাক্ষী। তবে ফিল্ম দেখতেন বলেই কারো ক্ষতি করেননি।তবে দেশের ক্ষতিতো হয়েছেই।
তোমার প্রোফাইল পিকচার দেখলেই মনে হয় রাষ্ট্রদূত। অবশ্য তোমার আপুরা তো প্রায় রাষ্ট্রদূতিনী হয়ে এলো।

পুণশ্চঃএইখানে এরকম লঘু আলাপে তোমার আপত্তি থাকলে ফেসবুকে মেসেজে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

থার্ড আই এর ছবি

সচলায়তনে লঘু আলাপে আপত্তি থাকবে কেন? এইটাতো নিজের ঘরের মতোই। সবাই এখানে আপনজন।
রাষ্ট্রদূত বইলা গালি দিলেন ? যদিও লন্ডন , আম্রিকা কিংবা ভারতের রাষ্ট্রদূতরা এখন উপ মন্ত্রীর মর্যাদা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তবুও জার্মান, অষ্ট্রেলিয়া কিংবা ইউরোপের দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের নিয়োগ হয় রাজনৈতিক পরিচয়ে। আমাকে আপনি এই ক্যাটাগরীতে ফেললেন কেন বুঝলাম না। তবুও মনে মনে খুশি হয়েছি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি হয়ে ফিতা কাটতে কার না ভালো লাগে বলেন। তবে রাষ্ট্রদূতদের সম্পর্কে আপনার বর্ননা সম্পূর্ণ সত্য। লন্ডনে তাই দেখছি। কিন্তু সবগুলা রাষ্ট্রদূত কেমনে যেন ঘুরে ফিরে আমার কাছের লোক হয়ে যায় তাই কিছু বলতে পারি না।

ঈদের দিনের খাওয়া নিয়া খোটা দিলেন ? ব্যচেলর বলে বাড়ী বাড়ী গিয়া বিবাহিত বন্ধুদের হামলা করে একদিন একটু পোলাও গোশত খেয়েছি, তাতেই আপনার পিত্তি জলে গেলো? এতই যেহেতু আমার জন্য আপনার দরদ, ভাবীকে বলে রাখবেন এবার দেশে আসলে আপনার বাড়ীতেই না হয় কবজিটা ডুবিয়ে নেবো।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ঈদের দিনের খাওয়া নিয়া খোটা দিলেন ?

বিলেতে যে মেধাবী ডিবেটরদের পাঠানো হলো খেয়ে খেয়ে সব ৯০ কেজি হল।এই জন্যই একটু মনে করিয়ে দেয়া।

ভাবী সিদ্দিকা কবীরের বই-পুস্তক নিয়ে প্রস্তুত। ভালো থেকো।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সভ্যদেশে্র আমজনতারা আজকাল আর ভোট দিতে যেতে চায় না কেন বলতে পারেন? অথবা ওদের ভোট না দিলেও কোনো ক্ষতি নেই কেন? A নয় B, এই সিলেকশনে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু A আর B এর নিজস্ব সিলেকশনেই সমস্যা। যেখানে দলের ভিতরেই গণতন্ত্র নেই সেখানে আমজনতার কী আর দোষ থাকে! বাংলাদেশের সংবিধান এর কিছু মৌলিক সমস্যা নিয়ে লিখবো ভাবছি।

কাজী মামুন

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ঈদের শুভেচ্ছা। আপনার লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শ্রাবন্তি এর ছবি

আমজনতা খুব বেশী ভুল গত চল্লিশ বৎসরে করেনি।তবে মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইলিং এর শিকার হয়ে বিভ্রান্ত হয়েছে,যেমন ছিয়াশির নির্বাচন।

আওয়ামীলীগের ৯৬-০১ ক্ষমতায় থাকার শেষ বৎসরে বাংলাদেশ দূর্নীতিতে প্রথমবারের মত বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়েছিল।পরবর্তী পাঁচ বৎসর সেই সাফল্যের ধারা বজায় রেখে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামাত বলয় সংসদের এক ষষ্ঠাংশ আসনও পেলনা।মাহী বি চৌধুরী সেই সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সংসদে যতজন মন্ত্রী আছে, বিরোধীদলের ততজন সাংসদও নেই।হা হা হা।

আমজনতা ভুল করলো কোথায় ?

আমজনতার হুজুগে চিন্তাভাবনা এবং প্রতীকের প্রভাব বাংলাদেশের রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য ব্যাপার। তারপরও আমজনতা কিন্তু মোটা দাগে সেরকম কোন ভুল করেনি।
তবু মনগড়া কিছু তথ্য উপস্থাপন করে আপনি যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে বলতে চাইলেন-'আওয়ামীলীগকে ভোট দিলে আমজনতা ভুল করে না, আর অন্য কাউকে ভোট দিলে ভুল করে'------এটিকেই আপনি শিরোনাম দিতে পারতেন, তাতে খুব মানানসই হত।

খুব শিগগিরি মার্কেটে একটা বই আসবে।নাম 'আমার রাজনৈতিক পাপমোচন এবং অভিলাষ'। সিরিজের বাকী লেখাগুলোর জন্য আগ্রহ নিয়েই অপেক্ষায় থাকলাম।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

মাহী বি চৌধুরী সেই সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন

আমার স্মৃতি যদি আমাকে প্রতারিত না করে, তবে মনে পড়ছে, সে সময় মাহী বি'র পিতা ডা. বি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী; এবং তিনি রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হবার পরে মাহী বি প্রথমবারের মত বিএনপি'র সাংসদ হয়েছিলেন।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

শ্রাবন্তি এর ছবি

আপনার স্মৃতিশক্তি প্রখর এবং সঠিক।এই মামুলি ব্যাপারটা আপনার মনে আছে।কথাটি মাহী বি চৌ বলেছিলেন তার প্রথম সংসদ অধিবেশনে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ শ্রাবন্তী। আমার পর্যবেক্ষণে জঙ্গী সমস্যা আসছে বছরগুলোতে আরো বড় ধরণের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে দক্ষিণ এশিয়ায়। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ,ভারতে কংগ্রেস,পাকিস্তানে পিপলস পার্টি,যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটস, এ হচ্ছে মোটামুটি একমাত্র নিরাপদ রসায়ন জঙ্গীবাদ মোকাবেলায়। ঢাকায় বিএনপি-জামাত, নয়াদিল্লীতে বিজেপি,ইসলামাবাদে মুসলীম লীগ নওয়াজ আর ওয়াশিংটনে রিপাব্লিকান ধর্মব্যবসা এবং জঙ্গী বিকাশের রেসিপি।

পাপমোচন,অভিলাষ এই শব্দগুলো তাদের জন্য যাদের রাজনীতিব্যবসা করে রুটি-মাখন-গাড়ীঘোড়া জোগাড় করতে হয়। সেই দুর্ভাগ্য যে আমার কখনোই ছিলনা এবং ভবিষ্যতেও আসবেনা, আমি নিশ্চিত।

ফলে যে টোনে আপনি মন্তব্যের ইতি টানলেন তা আপনার জানার বাইরের মানুষ এবং পৃথিবীর চোখে হয়ত খুব ক্লিশে ভাবনার টানাপোড়েন। ভালো থাকবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় আওয়ামীলীগের স্বর্ণালি ভুমিকা নিয়ে শ্রাবন্তী নিচেই কমেন্ট করেছেন, সুতরাং সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই।
তবে এসব রসায়নে বিশ্বাস রাখা কঠিন ঈমানের ব্যাপার বটে।
জঙ্গীবাদ একটা আন্তর্জাতিক সমস্যা, এখানে বাংলাদেশের কোনো বিশেষ দলের তেমন আলাদা এজেন্ডার কিছু নাই।
বিএনপি বড় গলায় বলে, বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি তারাই দিয়েছিল।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আন্তর্জাতিক সমস্যায় রাজনৈতিক লবির ভূমিকা আমরা দেখতে পাই। প্রথমে তালিবান তৈরী,তারপর আবার নিজের প্রজ্জলিত আগুণে নিজেই পুড়ে মরার যে নাইন/ইলেভেন,তারপর ইরাক,আবার অশান্ত আফঘানিস্তান পাকিস্তান। রিপাবলিকান লবি জঙ্গীবাদকে ভূরাজনৈতিক প্রভাব তৈরির কাজে ব্যবহার করেছে। ওবামার কাজ হয়েছে রিপাবলিকানদের বর্জ্য পরিষ্কার করা। তবুও ডেমোক্র্যাটরা এখন পর্যন্ত মুসলমান আর খ্রীস্টানদের পারস্পরিক ঘৃণার আগুণ প্রশমিত করতে কাজ করছে। একি ভাবে আওয়ামী লীগ,কংগ্রেস এবং পিপিপি জঙ্গীবাদ প্রশমনে কাজ করছে। এটা অবশ্যি একটা টিম ওয়ার্ক। এতে করে এখন বাংলাদেশ হয়ে দশট্রাক আম ভারতে ডেলিভারী দিতে পারছেনা ইসলামাবাদের আমের ব্যাপারীরা। ফলে ভারতের আমব্যবসায়ীদের আবার একি সংখ্যক আম পাকিস্তানে পাঠাতে হচ্ছে না। ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় এখন আম হামলা কমে গেছে। পাকিস্তানে অবশ্য খেজুর হামলা হচ্ছে,সেটা তালিবান গাছের খেজুর। ফলে বিষয়গুলো যে সম্পর্কিত সেটা উড়িয়ে দেয়া ঠিক হবে কী?

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শ্রাবন্তি এর ছবি

দক্ষিণ এশিয়ায় জঙ্গীবাদের সম্প্রসারণ বিষয়ে আপনার আশংকা সত্য হতে পারে।তবে যে রেসিপির কথা আপনি বললেন, তা অন্ধ আনুগত্য আর ভাবাবেগ প্রসূত।জঙ্গী দমনে আ'লীগের অবদানের কথা আপনার অজানা থাকার কথা নয়।

যশোরে উদীচী'র এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হুজি'র সদস্যরা বোমা হামলা করেছিল।সাথে সাথেই দোষ চাপানো হয়েছিল বিএনপি'র উপর।জঙ্গী দমনের চাইতে সরকার বেশী উদ্যোগী হয়ে উঠল, ঘটনাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে।সেই সময় শোনা যায়, ঐ ঘটনায় জড়িত হুজির এক নেতাকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছিল।কিন্তু সরকারের মনোভাবের কথা বুঝে ঐ মামলার আই ও আর ওইদিকে তদন্ত করার সাহস দেখাননি।তরিকুল ইসলাম আর হাসান সিন্ডিকেটের হাসানকে প্রধান আসামী বানিয়ে চার্জশীট দেয়া হল, সরকারী বক্তব্য প্রমাণের জন্য যথাযথ তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই।২০০৭ এর সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যখন বিএনপি নেতাদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, পিঠ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে, নিত্যনতুন মামলায় জড়িয়ে চোখের পানি ফেলছে, সেই সময় আদালতের রায়ে এই মামলাটি থেকে খালাস পেয়ে গেলেন তরিকুল আর হাসান। তরিকুল ইসলামকে সবাই চেনেন, জানেন, সম্প্রতি ক্রসফায়ারে ভাইসহ পরলোকে গমন করা হাসানের সম্পর্কেও নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু মাঝখান দিয়ে আস্কারা পেয়ে গেল হুজি, পেয়ে গেল ইনডিরেক্ট এক পৃষ্ঠপোষক।বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম জঙ্গীবাদের সরকারী সরাসরি দৃশ্যমান পৃষ্ঠপোষকতা।
ফলাফল, এবার কোটালি পাড়ায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করল হুজি। যদি সফল হত, সারা দেশে বিএনপি'র অফিসে আগুন লাগাত ছাত্রলীগের কর্মীরা।সেই আগুনে আলু পুড়িয়ে খেত হুজি'র সদস্যরা।কাজেই ভবিষ্যতে প্রয়োজনে যে আ'লীগ আবার এদের পৃষ্ঠপোষকতা করবেনা তার গ্যারান্টর আপনি হতে পারেন, বিশ্বাসযোগ্য হবেনা।

দুর্নীতি অন্যায় অনাচার আর অত্যাচারে জর্জরিত বিশাল পরিমান অর্ধশিক্ষি্ত গরীব ধর্মপরায়ণ মানুষের এই দেশে, জঙ্গীবাদের বাসা বাঁধবার সমস্ত প্রণোদনাদায়ী উপকরণ বিদ্যমান। গরীবের আল্লাহ ছাড়া আর কিছু নাই। এটা একটি খুবই বিপদজনক এক অনুভূতি।এটিকে ব্যবহার করে খুব সহজেই দরিদ্র বেকার যুবকদের হাতে বিস্ফোরক তুলে দেয়া যাচ্ছে। সাবধান আমাদের থাকতেই হবে। দারিদ্র বিমোচন আর বেকারদের কর্মসংস্থান, আর সঠিক রাজনৈতিক পদক্ষেপ এর মাধ্যমেই এর মোকাবেল সম্ভব,

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ,ভারতে কংগ্রেস,পাকিস্তানে পিপলস পার্টি,যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটস, এ হচ্ছে মোটামুটি একমাত্র নিরাপদ রসায়ন জঙ্গীবাদ মোকাবেলায়।----চাটুকারী রেসিপি দিয়ে নয় ।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ভবিষ্যতে আওয়ামী আর যাই করুক জঙ্গী পৃষ্ঠপোষকতা করবে না নিশ্চিত,যতটুকু জানি। আলীগ,কংগ্রেস,পিপিপি তাদের গত একবছরের কার্যকালে সুস্পষ্টভাবে জঙ্গিবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সামনে তিন বছরে জঙ্গীবিরোধী অভিযানে আলীগ সরকারের সক্রিয়তা যদি থাকে তখন না হয় এবিষয়ে আপনার আস্থা অর্জন করবে তারা।আমরা কেউ জ্যোতিষী নই,তবে মর্ণিং শোজ দ্য ডে বুড়োরা বলতেন,দেখা যাক।

আর আপনার এই পূর্বসংস্কার জনিত শব্দ চয়ন,চাটুকার এই মন্তব্যে,এগুলো ছাড়া কথা বলতে পারলে ভালো হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই,
গত নির্বাচনের ঠিক আগে আগে একটা কনফারেন্সের কাজে আমি আর আমার স্ত্রী মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সাথে খুলনা গিয়েছিলাম । তো স্যারের সাথে কোথাও যাওয়ার সুযোগ পেলে আমি সাধারণত সারাক্ষণই তাঁর সাথে কথা বলতে থাকি । তো তখন অনেক কিছু নিয়ে অনেক কথাবার্তার মধ্যে স্যার একটা কথা বলেছিলেন-- "বাংলাদেশে ঠিকঠাক মত ভোট হওয়ার পর যদি কোনো সরকার পর পর দুইবার নির্বাচনে বিজয়ী হয় তাহলে বুঝতে হবে বাংলাদেশে বিপ্লব হয়ে গেছে" ।

আমার কাছে কিন্তু এই কথাটা চরম সত্যি মনে হয় । এবং আমার মনে হয় ৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমজনতা ঠিকঠাক মত ভোট দেয়ার সুযো্গ পেলে ঠিক সিদ্ধান্তটাই নিয়েছে । ৯১ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হেরেছে শেখ হাসিনার নির্বাচনের ঠিক আগের টিভি ভাষণটার জন্য এবং এরপর কোনো দলই তেমনভাবে দেশ শাসন করতে পারে নাই যাতে তারা দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হতে পারে । এবং এইবার আওয়ামী লীগও পারছে না ।

আওয়ামী লীগের নির্লজ্জ মন্ত্রী-সাংসদরা মিলে গাড়ি-ব্যবসার পাশাপাশি নিজেদের ট্যাক্স মাফ করার যে চরম অসাংবিধানিক (রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সমানাধিকার প্রশ্নে) এবং বেহায়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে-- এর জন্য যে কত বড় মূল্য দিতে হবে আগামী নির্বাচনে তা এই নির্লজ্জ আর নির্বোধ মানুষগুলো বুঝতে পারছে না ।

তাই দেশকে যদি সত্যিকারভাবেই সাহায্য করতে চান তাহলে আমজনতার ভুল না ধরে নেতাদের এইসব ভুলগুলো নিয়ে লেখেন ।

আমি মনে করি বাংলাদেশে মন্ত্রীদের যদি কোনো রোল-মডেল থেকে থাকে তাহলে সেটা হচ্ছেন মতিয়া চৌধুরী । ২০০১ এর নির্বাচনে মতিয়া চৌধুরী যার কাছে হেরেছিলেন সেই জাহেদ আলী চৌধুরী ঢাকাতে আমরা যে জায়গায় থাকি সেই এলাকাতেই থাকেন । যদিও তাকে আসলে তেমনভাবে চিনতাম না এবং কখনো তেমন ইন্টারএ্যাকশন হয়নি -- তবে শুনেছি উনি নাকি অনেক পরোপকারী ছিলেন। এবং মতিয়া চৌধুরী নির্বাচনে হারার পর অবাক আমি আমার ওই নির্বাচনী এলাকার (বিশ্ববিদ্যালয়ের) বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কথা বলে জেনেছি যে, মতিয়া চৌধুরীর আত্মীয়-স্বজনদের অত্যাচারে এলাকার মানুষজন অতীষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল । তাই পরেরবার নির্বাচনে জিততে হলে দেশের জন্য নিজের দপ্তরে জান-প্রাণ দিয়ে কাজ করার পাশাপাশি মতিয়া চৌধুরীকে এসব বিষয়েও খেয়াল রা্খতে হবে । আর আরেকজন আদর্শ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে তো আওয়ামী লীগই মনোনয়ন দিতে চায় না সবসময়।

তাই নিজেরা যে দলটাকে ভালোবাসি সেটারও যথোচিত সমালোচনা করতে হবে তাকে ঠিক পথে রাখার জন্য। আর রাজনীতিবিদদেরই মত আমজনতাকে নির্বোধ ভাবলে সেটা হবে ভুলেরই স্বর্গে বসবাস যেটা যথারীতি মাত্র পাঁচ বছরই স্থায়ী হবে ।

আর আপনার লেখা মোটামুটি নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করি-- কিন্তু মাঝে মাঝে পড়তে একটু বেশিই কষ্ট হয়ে যায়। লেখাকে আরও পাঠকমুখী করা যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন বস।

অতিথি লেখক এর ছবি

রাজিব মোস্তাফিজ ভাইয়ের মন্তব্যে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

কুটুমবাড়ি

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। জাফর ইকবাল স্যার ঐ কান্টিনিয়ুটি অব পলিসিজ মাথায় রেখেই ওটা বলেছেন। ভারতবাসী মনমোহনের অর্থনৈতিক সংস্কারের সুযোগ দিতে কংগ্রেসকে দিতীয়বার রেখে দিল।যুক্তরাষ্ট্রেও তাই হয়। আমরা অস্থির।৯১ এর বিএনপি এতো ভয়ংকর ছিল না। রাখা যেত তাদের আরেকবার। আবার ৯৬এর আলীগ এমন ছিল না যে তাকে ঐভাবে বিদায় দিতে হবে। তবে ২০০৮এ বিএনপির বিদায় যৌক্তিক।

মতিয়া আপার শশুর বাড়ীর এলাকা ঐটা। উনার হাজব্যান্ড ছিলেন সংবাদের সম্পাদক ঋষিতুল্য এক বাম। সেইখানে এরকম আত্মীয় থাকার কথা নয়। তবে মতিয়া চৌধুরী মন্ত্রণালয়ের কাজটা খুব নিবিষ্ট চিত্তে করেন। এই সুযোগে আত্মীয় সজন হয়ত ডুবিয়েছে। এই গোত্রের নামডুবানো সজন কিন্তু আপনার আমার সবার আছে। তবে এবিষয়ে উনি এখন সচেতন,২০০১ এর তিক্ত অভিজ্ঞতার পরে।
আমরা কি ভাবছি কি লিখছি তার চেয়ে জরুরী আওয়ামী লীগের পারফরমেন্স,লেটস হোপ ফর দ্য বেস্ট।

আমার ভাষা পুরোনো এখনকার তরুণ দের জন্য। এটা আমার সীমাবদ্ধতা। আমিও বুড়োদের লেখা কষ্ট করে পড়ি,আপনারো একি অবস্থা। আপনার লেখা আপনার পরের প্রজন্মকে হয়ত কষ্ট করেই পড়তে হবে। অবশ্য আপনি জাফর ইকবাল স্যারের সান্নিধ্য পেয়েছেন, ফলে আশা করি স্যারের লেখার মতো আপনার লেখাও তারুণ্যের অমরতা পাবে।খুব ভালো লেগেছে আপনার মন্তব্য।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শ্রাবন্তি এর ছবি

ভবিষ্যতে আওয়ামী আর যাই করুক জঙ্গী পৃষ্ঠপোষকতা করবে না নিশ্চিত,যতটুকু জানি।

বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় যাওয়ার অথবা থাকার রেসিপি হিসেবে ইসলামী জঙ্গীবাদ দলীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করেনি।তবে অতি চালাকের দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাঁসফাঁস করছে।অতীত থেকে আ'লীগ শিক্ষা নিয়ে থাকলে দেশের মানুষের অনেক উপকার হয়।তবে এখন পর্যন্ত তার কোন লক্ষণ চোখে পড়লনা।
'কোন তথ্য প্রমান ছাড়া নিশ্চিত জানা' টাইপ আপনার কথাগুলোর কারণেই পুর্ব সংস্কারজনিত শব্দচয়নে বাধ্য হই।কাড়োণ তখন মনে হয়, আপনি বুঝি দলটির সর্বশেষ সভার চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের দলীয় সাংবাদিকের প্রেস ব্রিফিং লিখে দিছেন।

সামনে তিন বছরে জঙ্গীবিরোধী অভিযানে আলীগ সরকারের সক্রিয়তা যদি থাকে তখন না হয় এবিষয়ে আপনার আস্থা অর্জন করবে তারা।

আপনার রেসিপি থেকে আপাতত আগামী তিন বৎসরের জন্য তাহলে আ'লীগ বাদ দিই চলুন।বৃক্ষ তোমার নাম কি,ফলে পরিচয়।
আপনার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী নির্বাচনেও আমজনতা যদি স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে জনতা আমই কিনবে, সেটা আ আর বি এর মধ্যে অদল বদলের ফর্মূলায় ও পড়তে পারে, তবে সেটি আমজনতার অর্বাচীনতা নয়,আলীগের কর্মফল হিসেবেই হতে পারে।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আপনার মতো শিক্ষিত সচেতন দেশপ্রেমিক মানুষের মধ্যে এতো নেতি থাকলে আমরা আমজনতা কোথায় কার কাছে যাবো বলুন।
সাংবাদিকতা আমার ফোর্টে,তথ্য খেয়ে বেঁচে থাকি। সেটা প্রেসরিলিজ হতে যাবে কেন। হতে পারে মন্ত্রীদের প্রেস রিলিজ,বক্তৃতা লিখে আমার শব্দ চয়ন বস্তাপচা হচ্ছে। সচেতন হবো।

ব্লগিং আমার ব্যালকনির সিগার আড্ডার মতো।আমাকে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা নবরত্ন ভাবাতেই পূর্ব সংস্কার হচ্ছে। সোহেল তাজ আর শাশী থারুরের এতো অপমানিত হবার পরে কেউ সেধে আর ঐপথে যাবে না।
বাই দ্য ওয়ে সোহেল এবং থারুর দুজনেই খুব্ শান্তিতে আছেন,বই লিখছেন দুজনি। কাজেই শান্তি,শান্তি। আমজনতার জীবন হচ্ছে সেরা জীবন।

আর আওয়ামীলীগের পারফরমেন্স ভালো হবেই। কারণ আপনার মতো একটি গণতন্ত্র সচেতন প্রজন্ম তৈরী হয়েছে,যাদের চোখ অণুবীক্ষণ্ যন্ত্রের মতো। আপনারা ভুল ধরিয়ে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করুন। ট্রায়াল এন্ড এরর মেথডে আওয়ামী লীগ তার ভিশন ২০২১ এ পৌঁছে যাবে ভীষণ্ দুর্নীতি না করে।
এবার এই বিষয়ে আপনার পোষ্ট লেখার সময় এসেছে।
শুধু আমি লিখবো আর আপনি এসে বাণী দিয়ে যাবেন,তাই কী হয়। এবার আপনি পোস্ট লিখবেন আর আমি এসে বাণী দিয়ে যাবো। ভালো থাকবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শ্রাবন্তি এর ছবি

ট্রায়াল এন্ড এরর মেথডে আওয়ামী লীগ তার ভিশন ২০২১ এ পৌঁছে যাবে ভীষণ্ দুর্নীতি না করে।

ট্রায়াল এন্ড এরর মেথড এর সুযোগ কি শুধু আ'লীগের প্রাপ্য, আর কাউকে এটা আপনি দিতে চান না ?

আ'লীগের এই ট্রায়াল এন্ড এরর মেথডে পরিপূর্ন বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য আমজনতাকে কতবার বারবার পরপর নিঃশর্তভাবে সমর্থন দিয়ে যেতে হবে ? এটা আমার একটা কৌতুহল।

আগামী এগার বৎসর তাহলে আ'লীগ যাই করুক আমজনতাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়াটাই তাহলে এখন একমাত্র কর্তব্য ?

আওয়ামী লীগ ভিশন ২০২১ এ এই পাঁচ বৎসরেই পৌঁছে যেতে পারে, জনগণ কবে পৌঁছাবে ?

বাণী নয়, আপনার টপিকের আর বাণীর আলোকেই প্রশ্নগুলি।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আজকের দুনিয়ায় সব কিছু পারফরমেন্সের ওপর নির্ভরশীল।

৯১-৯৬ বিএনপি ধরে নিলাম ১০ এর মধ্যে ৫, ৯৬-০১ আলীগ ৫,
০১-০৬ বিএনপি ২, আলীগ-০৮-১৩ ?

কাকে সুযোগ দেবেন শ্রাবন্তী।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শ্রাবন্তি এর ছবি

আওয়ামী লীগকে।

এই যাত্রা বিদায়,
এখন হইতে আমড়ণ শুধু আওয়ামীলীগকে। আর কাহাকেও নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।