দোজখের কড়াই

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৮/২০১০ - ৬:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেহশতের ইমিগ্রেশন রুমে হতাশ বদনে বসে পেঁচা।কিরামান-কাতিবিন পেঁচাকে তার লেখালেখির জন্য পছন্দ করে, পেঁচা পাতি বুদ্ধিজীবী হওয়ায় কাতেবিন তাকে নিম্নস্তরের বেহেশতে রাখার জন্য সুপারিশ করেছেন।

 

অথচ গত তিরিশ মিনিটে যে তিনজন বেহেশতের ভিসা পেলেন সবি তাঁবু হিজাব পরা নিনজা নানী,ফলে এই বেহেশতে থাকার কথা ভাবতেই পেঁচার মনে আতংক তৈরী হয়।ওদিকের হাসিমুখে দোজখের দিকে হেঁটে গেলেন ক্যাটরিনা কাইফ।

 

সুতরাং বেহেশ্তের ইমিগ্রেশন ডেস্কে মন্ত্র বা কলমায় কনফিউশন বাধিয়ে পেঁচা দোজখের রাউন্ড রবীন লীগ নিশ্চিত করে। কিন্তু দোজখের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে বাউন্সাররা জানালো,ভারত আর বাংলাদেশের কড়াই আলাদা।

 

মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়লো পেঁচার,পাশের চেয়ারে মুনমুন-ময়ুরী কেবল বৃষ্টিভেজা গানের সুটিং এ স্ট্রোক করে এইখানে। ময়ুরী পেঁচাকে সান্তনা দেয়,বাইয়া আমগো লগে থাকবেন,গপশপ করুম,দিন কাইটা যাইবো।ওই মিয়া কতা কননা ক্যান।

 

মুনমুন ময়ুরীকে ধমক দেয়। বুজস না এইসব নিঙ্কম্পুক রাইটার টিবি স্টার চায়,হের পুতু পুতু টাইপের মাইয়া পছন্দ।পেঁচা বেশ ঝামেলায় পড়ে যায়। পেঁচার কপালটাই এরকম,কপালের নাম গোপাল।এই সময় পেঁচার সামনে এসে দাঁড়ায় মৌসুমী।

 

আরে কেমন আছেন স্যার?আপনি এইখানে কেন,আপনাকে এইখানে দেখবো ভাবিনি।

বাঁচা গেল,ভাবি কই।

 

লর্ড বেন্টিং সতীদাহ তুলে দেয়ায় ভাবী আসতে পারেনি,এমনকি দুএকজন যে বোকা চাবি জুটেছিল তারাও কপাল ঠুকে ঠুকে জান্নাতে।

 

মৌসুমি সেই চির চেনা হাসি দিয়ে বলে,আমার জানুটাও জান্নাতে চান্স পেয়ে গেল।আমার হলোনা।

 

কাতেবীন ফোন করে দিয়েছেন পেঁচার জন্য বিশেষ শ্রেণীর ব্যবস্থা করতে। তাই বাউন্সার এসে বলে,স্যার মে উই।

 

মৌসুমী ইন্টার পরীক্ষার আগে তিনহাজার টাকা দিয়ে পেঁচার কাছে দশদিন পড়েছে। মাত্র দশদিনে মৌসুমিকে ইংরেজীতে পাশের ব্যবস্থা করায়,আজ মৌসুমী মেহেরাম পরিচয়ে পেঁচার সঙ্গে ঢুকে পড়ে।

 

বাউন্সার দেখিয়ে দেয়,দিস ইজ ইউর ল্যাপটপ কাম কমোড।

এখানে শিভাস পাবেন না। জরিনাতে কাজ চালাতে হবে।

মৌসুমী এমনভাবে জরিনার দিকে তাকায় যেন সে জামায়াতের রোকন। দেবদাস হিট করার কারণেই বাঙ্গালীমেয়েরা জরিনাকে ভয় পায়। একমাত্র ব্যতিক্রম পেঁচার মা। গ্রামের এই মহিলা পেঁচাকে বলেছিলে,বিয়ার বেশী খেলে ভ্যাট সিক্সটি নাইনের বোতলের মতো হয়ে যাবে। কম খাও।পেঁচার বাপ মনে করিয়েদিলো,বেশী সূরা-সাকী হলে লক্ষীর সাধনা বিঘ্নিত হতে পারে।

 

পেঁচার ঘর পরিষ্কার করতে এসে শাওনবুয়া চোখ কপালে তুলে।কাফেরের লগে হুর ক্যান,এইডা আল্লার কেমন বিচার। বেবাকরে কইয়া দিমু।

মৌসুমী বসে ঘোমটা দিয়ে তজবিহ জপে,

আল্লাহ সানীর সাথে রাখো আমাকে,ওর ওষূধ খাওয়ার কথা মনে করাবে।

পেঁচা মৌসুমীকে গুগলটকে সানি ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেয়।

মৌসুমীকে একটু প্রাইভেসী দিয়ে বাইরে বেরিয়ে পেঁচা এক নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে,একটি অত্যন্ত প্রতিভাবান শিল্পী দোজখের দেয়ালে গ্রাফিতি করছে,তার কয়েকজন বন্ধু বালতিতে হলুদ রঙের কিছু একটা মেশাচ্ছে।

পেঁচা দোজখের এই সাকসেস স্টোরিটা প্রথম ফাইল করতে চায়।

 

আন্ধাহলুদের গ্রাফিতি শিল্পী নিন্দালি

 

ছোট বেলায় সারাক্ষণ যে শিশুটি কমোডে বসে কমিক্স পড়তো,সে এখন দোজখের কমিক্সতারকা।

তার বন্ধুরা এখন নিরলস হলুদ রং মেশাতে।

জীবনের এক জটিল রহস্য উতপাটনে হলুদ বিপ্লবের রূপকার এই ক্ষণজন্মা তরুণ।

সালভাদার দালির নৈপূণ্যে তিনি উত্তরাধুনিক ভন্ডামীর মুখোশ উন্মোচন করে চলেছেন একে একে।নিন্দালুর নৈপূণ্য সম্পর্কে শাওন বুয়া একগাল হেসে বললেন,

হোনেন আপনের মতো পেঁচারা ডাবল এজেন্ট,ভয় দেখাইয়া ডলার লওনের এই খাইজলত বদলাইতে না পারলেও আপনের মত বর্বর ভন্ডগো মুখোশ খুইলা দিতাছে নিন্দালু।

হুমায়ুন আজাদ স্যারের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন,নোবেল প্রত্যাখানকারি লিটল বুদ্ধ।

স্যার নিন্দালু প্রসঙ্গে বললেন এই ছেলে অন্য রং নিয়ে কাজ করলে জয়নুল হতে পারতো।ফ্রয়েড বলেছেন ছোট বেলায় টয়লেট ট্রেনিং ঠিক মতো না হলে শিশুরা হলুদ রঙের প্রতি আকৃষ্ট হয়,ফলে কৃপণ এবং হিংসুটে হয়।অবশ্য শিল্পীর হিংসা থাকা ভালো।

লিটলবুদ্ধ পেঁচাকে টিটকারী দিয়ে বলে,মাননীয় তামার তার,তারেকের চামচ,এতো উতপাটন করলেন,এখন প্রটোকল কই গেল। বাতিল মাল,আনিসুল হকের ধামাধরা জামানত বাজেয়াপ্ত কামাল হোসেন,লক্ষণ সেন কোথাকার,এইটপাশ ছাগু।

নিন্দালুর ব্যাপারে একটা কমেন্ট প্লিজ,

লিটলবুদ্ধ মুচকি হেসে বললেন,নিন্দালু জানে কোন ছাগুকে কোন আন্ডা দিতে হবে।হি ইজ স্টানিং।

একজন বাউন্সার এগিয়ে আসে পেঁচার দিকে।ওয়াকি টকি নিয়ে।

ওপাশে কাতেবিন,পেঁচা একটু শরত বাবু সালাম দিয়েছেন।

হুমায়ুন আজাদ মুচকি হেসে বললেন,যাও যাও সস্তা লেখকদের তোষণ করো গিয়ে।ভাবতে অবাক লাগে তুমি আমার ছাত্র।

লিটলবুদ্ধ খেঁকিয়ে ওঠে,পাছাটা সামলে বাছা।

শরত বাবু রাজলক্ষীকে নিয়ে বসে।হুমায়ুন আহমেদ পরিচয় করিয়ে দিলেন,আমার ছাত্র একজন পেঁচা।মিডলইস্টে মিলিট্যান্সী স্টোরি কাভার করতে গিয়ে পাছায় শেল লেগে এখানে এসে পড়েছে অল্পবয়সে।

শরতবাবু রাজলক্ষী্র বাহুডোর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে একটু জরিনাতে চুমুক চুমুক দিয়ে বলেন,হুমায়ুন কখনো পাছা বলবে না,ছেলেদের ক্ষেত্রে পশ্চাদদেশ,মেয়েদের ক্ষেত্রে নিতম্ব।

পেঁচা অনুনয় করে বলে,স্যার মেয়েদের ক্ষেত্রে আমি তানপুরা লিখি।

রসিক ছেলে,হুমায়ুন আহমেদ একটু প্যাম্পার করলেন।

শরতবাবু দেখছি রাজলক্ষীর সঙ্গে পেভিকল হয়ে থাকছেন।

হুমায়ুন ওকে ম্যানুস্ক্রিপ্ট বুঝিয়ে দাও।

আমি ভাবলাম শরতের কোন গল্প নিয়ে হুমায়ুন স্যার গোটু দ্য হেল দেবদাস বানাচ্ছেন।

আমি হয়তো তার সহকারি।নট ব্যাড পেঁচা।মনে পুলক।

স্যার ফিল্ম বানালে মৌসুমীকে একটা রোল দিয়েন। আমার ছাত্রী স্যার।খুব লক্ষী মেয়ে।

হুমায়ুন স্যার বললেন সেটা করা যাবে। ভারত কড়াইএর চিফ বাউন্সারের সঙ্গে কথা বলে ক্যাটরিনা কাইফকেও আনা যাবে।

শরত বাবু একটু বিরক্ত আমার বাচালতায়।রাজলক্ষী হেসে পরিস্থিতি মিষ্টি রাখে।

শোন হে কি সব ব্লগটগ লেখা হচ্ছে।আমিও লিখতে চাই। কিন্তু টাইপ করতে পারিনা।

তুমি টাইপ করে দেবে।

পেঁচা জানে জীবনে পাপ করলে তার প্রায়শ্চিত্ত করতেই হয়।সজল আর ধূগো রাত জেগে পেঁচা ভাইয়ার খাতার লেখা ব্লগে টাইপ করেছে।আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের আনন্দ শ্রম।সুতরাং আজ শরত বাবু কাল হুমায়ুন স্যারের খাতা থেকে টাইপ করতে হবে এটাই যুক্তিযুক্ত।

শরতবাবুর লালকাপড়ে বাঁধাই খাতাটা নিয়ে ঘরে ফেরে পেঁচা দ্য সিসিফাস।মৌসুমী ফসফস করে কাঁদছে আর টিস্যু দিয়ে চোখের বদলে নাক মুছছে। কী অনুপম শিল্প।

কী ব্যাপার কাঁদো কেন ভাই?

চুপ করেন,অপদার্থ পেঁচা।কাতেবিনের সঙ্গে এতো লবির গল্প দেন,আর আমাকে সানির কাছে পাঠাতে পারলেন না।

ব্যবস্থা একটা হয়েই যাবে।দেখি আজ কিছু করতে পারি কিনা।

মৌসুমী কমপ্লেইন করে পানখাকি শাওন বুয়াটা এসে জিজ্ঞেস করে পেঁচার সাথে তোমার কিসের সম্পর্ক।হজ্ঞলরে কইয়া দিমু।

আমি বলেছি উনি আমার ইংরেজি ভাই,৯০সাল থেকে আমাদের জানাশোনা।

পেঁচা শরত বাবুর দশকেজি খাতা নিয়ে বিরস বদনে বসে টাইপ করে। মৌসুমী সেই ৯০সালের শিশুর মতো বলে, আমি টাইপ করতে পারি স্যার। অভ্র দিয়ে ফটাফট টাইপ করি।

মৌসুমি বানান ভুল করবে এই ভয়ে পেঁচা দ্রুত আঙ্গুল চালায়।

হঠাত নক করে ঘরে ঢোকে লিটল বুদ্ধ।

পেঁচা আজাদ স্যার আপনাকে সালাম দিয়েছেন,

ল্যাপটপ নিয়া চলেন,উনি জঙ্গীবাদের ওপর ডিকটেশন দেবেন।

পেঁচা চোখে সর্ষের ফুল দেখে।

আসতেছি স্যার,পাঁচটা মিনিট সময়দেন।

লিটল ঝাড়ি দিয়ে যায়,

পেঁচাদের টাইমজ্ঞান কম,ঠিকমত আইসা পড়েন,স্যাররে তো চেনেন,দেরী কইরেননা।

কাতেবিনের ফোন মৌসুমীর বেহেশ্তে দশ ঘন্টার প্যারোল মঞ্জুর হয়েছে।

 

খবরটা শুনেই মেয়েটা গুণগুণিয়ে ওঠে,সাংঘাতিক পতিব্রতা মেয়ে,সানি ভাই খুবি সৌভাগ্যবান।

 

মৌসুমী একটু সাজুগুজু করে বেরিয়ে গেলে পেঁচা কাতেবীন ভাইকে ফোন করে,

 

হ্যালো স্যার লাইফটাতো আবার নীলক্ষেতে চইলা গেলো,খালি কম্পোজ আর ডিকটেশনের কাজ,সাংবাদিকতা এইভাবে হয়না স্যার।আজকে খালি নিন্দালুর সাকসেস স্টোরিটা ফাইল করতে পারছি।

 

শরীর মুবারকে শেল লাগার পরেও আপনার সাংবাদিকতার শখ মেটে নাই।শোনেন প্যারোল হবে কিন্তু রিলিজ করা কঠিন। অন্য কোন দেশের কড়াই হলে অসুবিধা ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের কড়াইয়ে আপনার রিলিজের খবর শুনলে আপনার জাতভাই পাখিরা নীচ থেকে আপনার ঠ্যাং ধরে টেনে নামাবে। সো টেক ইট ইজি,দিস ইজ ইওর নেমেসিস।

 


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

ইভেন্ট হরাইজনের বাইরে দিয়া গেল। তাই ধরতে পারলাম না কী বলতে চেয়েছেন। হাসি

মাসকাওয়াথ আহসান লিখেছেন:
মাননীয় তামার তার,তারেকের চামচ,এতো উতপাটন করলেন,এখন প্রটোকল কই গেল। বাতিল মাল,আনিসুল হকের ধামাধরা জামানত বাজেয়াপ্ত কামাল হোসেন,লক্ষণ সেন কোথাকার,এইটপাশ ছাগু।

আপনার ত্যানা প্যাঁচানি জারি রাখার কারণটুকু ধরতে পারছি না। এই কয়েকটা বাক্যকেও কিন্তু মেটাব্লগিংয়ের অপরাধে অভিযুক্ত করা যেতে পারে। মাসকাওয়াথ আহসান নামটিকে শ্রদ্ধার চোখেই দেখতাম।


কি মাঝি, ডরাইলা?

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

মাথার ওপর দিয়ে গেলো বা চালালাম, কারণ যেটুকু বুঝলাম তা কারোর জন্যেই শুভঙ্কর নয়, না আপনার, না অন্য কারো।

আমি কিন্তু আপনাকে পছন্দই করতাম মাসকাওয়াথ, সেই আপনার 'বিষণ্নতার শহর' পর্ব থেকে, আপনার স্মার্ট নাগরিক গদ্যের জন্যে। কিন্তু, বিকল্পধারার ধারেই কি কিছুটা বিকল হলেন আপনি, অথবা, বিসিএসে কমিশন্ড হয়ে, জানি না।

ব্যর্থ অনুরোধ, তারপরও বলি, আপনার আপন জায়গাটা ভুলে যাচ্ছেন কি-না একবার ভাববেন?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

তথাস্ত মহাস্থবিরজাতক।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সাহিত্যের কল্পকাহিনিতে মনীষীদের বাণী আসতে পারে।
আজকের দুনিয়ায় কেউ কারও শ্রদ্ধার ঠোসে অনুকম্পা নিতে বসে নেই। অনিন্দ্যর লেখা মেটা ব্লগিং নয়,আমার চোখে রসোত্তীর্ণ ল্যাম্পুন। কবির লড়াইএর মতোই আকর্ষণীয় হতে পারে ব্লগের লড়াই। তাই অনিন্দ্যর খুব উঁচুমানের স্যাটায়ার থেকে কারো আহত হবার কারণ নেই। দালাইলামা তাতে গাল ফুলালে সেটা তার হীনমন্যতা।

এটি ব্লগ লড়াইয়ের নতুন ধারা,একে বাধা না দেয়াটাই যুগপোযোগী।সবিনয় নিবেদন অনিন্দ্য কিংবা আমাকে এই দুটো স্যাটায়ার ব্লগশোকেসে রাখতে দিন। শেষ পর্যন্ত আমরা সচলপরিবার। আমার নিজের পরিবারে আমার ছোটভাইয়ের সঙ্গে এরকম বুদ্ধিরসের লড়াই হয়েছে,তা থেকে আমরা শিখেছি।এখন জীনগত কারণে আমার দশ বছরের ছেলেও আমাকে আউটস্মার্ট করে। এটা চলতে দিন। আমরা আমাদের সম্পর্কের সুষমা ধরে রাখবো কথা দিচ্ছি। আমাদের এর পরের লেখাগুলোতে তার প্রমাণ পাবেন।
দ্রোহী শুভ হোক আপনার ব্লগদ্রোহ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এটি ব্লগ লড়াইয়ের নতুন ধারা,একে বাধা না দেয়াটাই যুগপোযোগী।সবিনয় নিবেদন অনিন্দ্য কিংবা আমাকে এই দুটো স্যাটায়ার ব্লগশোকেসে রাখতে দিন।

মাসকাওয়াথ ভাই,
উপরে দ্রোহী আর জাতকের ১ ও ২ নাম্বার মন্তব্যদুটো আবার পড়েন। দ্রোহীর মন্তব্যটির নিয়মতান্ত্রিক দিক আর জাতকেরটার ব্লগ-সমাজতান্ত্রিক দিক ভেবে দেখেন। আপনার উদ্ধৃত মন্তব্যটুকু থেকে এটা পরিস্কার যে আপনি এই লড়াই চালিয়ে যেতে চাইছেন।

আপনি নিশ্চিতভাবেই নিয়মভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন বা কারণ দর্শানোর কোপে পড়তে যাচ্ছেন। ধর্ম বিশ্বাস যদি থাকে তো আপনি নিশ্চয়ই জানেন ধৈর্য্যের কত গুন? আপনি ক্রমান্বয়ে আপনার অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছেন। তাই জাতকের মন্তব্যের লাইন কোট করে শেষ করি:

আপনার আপন জায়গাটা ভুলে যাচ্ছেন কি-না একবার ভাববেন?

অনিন্দ্যর লেখাটি এখন নিজের ব্লগে। এই পোস্টে এটাই আমার শেষ মন্তব্য।

বি.দ্র. ব্লগ-সমাজতান্ত্রিক বলতে ব্লগে বিচরণকারী পাঠক-সচল-দের সমষ্টিগত পরিবেশের কথা বুঝিয়েছি।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

পিপিদার পরামর্শ শিরোধার্য।
সরি স্যার। এরপর আর এরকম ক্ষাররস লিখবো না।
কোন ইমেজ সচেতনতা বা শ্রদ্ধার কাঙ্গালীপনা থেকে নয়।
আপনার মতো একজন মানুষের অনুরোধ উপেক্ষা করা আমার স্কুলে নেই।
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
আজ যেন পিপিদার কথা শুনে চলি।
আপনার মতো বন্ধুরা আছেন জন্য সচলায়তন প্রতিটি দিন বন্ধুদিন হয়ে ওঠে।

ধন্যবাদ বার্তাসম্পাদক। ভালো থাকবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দ্রোহী এর ছবি

মাসকাওয়াথ আহসান লিখেছেন:
আন্ধাহলুদের গ্রাফিতি শিল্পী নিন্দালি

ছোট বেলায় সারাক্ষণ যে শিশুটি কমোডে বসে কমিক্স পড়তো,সে এখন দোজখের কমিক্সতারকা।

তার বন্ধুরা এখন নিরলস হলুদ রং মেশাতে।

জীবনের এক জটিল রহস্য উতপাটনে হলুদ বিপ্লবের রূপকার এই ক্ষণজন্মা তরুণ।

সালভাদার দালির নৈপূণ্যে তিনি উত্তরাধুনিক ভন্ডামীর মুখোশ উন্মোচন করে চলেছেন একে একে।নিন্দালুর নৈপূণ্য সম্পর্কে শাওন বুয়া একগাল হেসে বললেন, হোনেন আপনের মতো পেঁচারা ডাবল এজেন্ট,ভয় দেখাইয়া ডলার লওনের এই খাইজলত বদলাইতে না পারলেও আপনের মত বর্বর ভন্ডগো মুখোশ খুইলা দিতাছে নিন্দালু।

হুমায়ুন আজাদ স্যারের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন,নোবেল প্রত্যাখানকারি লিটল বুদ্ধ।

স্যার নিন্দালু প্রসঙ্গে বললেন এই ছেলে অন্য রং নিয়ে কাজ করলে জয়নুল হতে পারতো।ফ্রয়েড বলেছেন ছোট বেলায় টয়লেট ট্রেনিং ঠিক মতো না হলে শিশুরা হলুদ রঙের প্রতি আকৃষ্ট হয়,ফলে কৃপণ এবং হিংসুটে হয়।অবশ্য শিল্পীর হিংসা থাকা ভালো।

আমার বুদ্ধিমত্তা খুব বেশি নয়। আবার খুব কম ও নয়। উপরোল্লিখিত অংশটুকু খুব মনযোগ দিয়ে আবারো পড়লাম।

স্যাটায়ার আর সারকাজমের মধ্যে খুব সুক্ষ পার্থক্য বিদ্যমান। আপনার লেখা থেকে উদ্ধৃত করা অংশটুকু স্যাটায়ার হয়নি। হয়েছে সারকাজম।

"নিন্দালু" কে তা চিনতে মনে হয় সচলদের খুব একটা কষ্ট করতে হবে না। আপনার পোস্টটিকে মেটাব্লগিংয়ের অভিযোগে আপত্তিকর হিসাবে অভিযুক্ত করছি। এ বিষয়ে কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। আমি আপাতত এ পোস্টে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।


কি মাঝি, ডরাইলা?

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সাধু সাধু।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ছবিটি নিশ্চয়ই মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

স্যার সত্যঘটনা। আমি মৌসুমীকে দশদিন পড়িয়ে তিনহাজার টাকা কামিয়ে আমরা বন্ধুরা একটু পান অনুপানের জলসা বসিয়েছিলাম। একে বারে বিয়ার ফেস্টিভ্যাল। লং লিভ মৌসুমীর আব্বাজান।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বস, ৭০+ ট্যাগ দেখে আমি আর পোস্ট পড়ি নাই। মন খারাপ

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমিও পড়ি নাই।

বুয়েটের এক সিনিয়র ভাইকে চিনতাম। উনি আবার শাবনূরকে পড়িয়েছিলেন। দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

নায়িকাদের অংকের জন্য বুয়েট,ইংজিরির জন্য ঢাবি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মিথিলা এর ছবি

দাত কেলায়য়া বেশীক্ষণ "তোমাদের কথায় অপমানিত হইনাই বোজানো সম্ভব না" মাসকাওয়াথ ভাই। তবে আপনার তেনা আপনে পেঁচাতেই থাকেন, পেঁচাইতেই থাকেন। কার কি!!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ মিথিলা আপা। ধমক খেয়েই শিখি,শিখতেই থাকি শিখতেই থাকি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মিথিলা এর ছবি

শেখার কিছু নাই আর এই বয়সে। টক'শো এর মত চালাইতেই থাকবেন, যতক্ষন না আপনার কারেন্ট যায়।
বাইদাওয়ে, প্রোফাইল পিক টা পারফেক্ট!!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

প্রোফাইল ক্যাপশন;বিটিভির বস্তাপচা গ্যাটিস দেয়া বিতার্কিকদের নিয়ে প্রজন্ম টকশোতে হতে পারতাম শফিক রেহমান কমোডে আইবুড়োপেঁচা।
সুত্র। পেঁচাডটকম।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

পুণশ্চ, দালাইলামার ভক্তদের অর্থানুকূল্যে গড়ে ওঠা হলুদ বিদ্যুত প্রকল্পে্র অধীনে পেঁচার টকশোতে ২৪/৭ বিদ্যুত জারী রাখা হচ্ছে। সূত্র,ইয়েলোএনার্জিডটকম।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আপনে ঝানু না। প্রেডিক্টেবলি ভুল পদক্ষেপ নেয়া একটা অপরাধ।

মিথিলা এর ছবি

একমত!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আমরা খুব জাজমেন্টাল,এক একজন বিচারক। কী হবে,কিছু কেচ্ছা হবে,তারপর ভুলে যাবে আত্মকেন্দ্রিক আলোচনায়। সমাজে কুলটা হলে আমার ছেলের জন্য মেয়ে দেবেনা। ২০২৭সালে আমাকে সে ফোন করে জানাবে বাবা আই লাভ বিড়ালাক্ষী বিধুমুখী মুখে গন্ধ ছোটে,এন্ড দ্যাটস ফাইনাল। বউ ফোস ফোস করে কাঁদতে কাঁদতে ডিএইচএল অফিসে যাবে একটা লিভটুগেদার রিং পোস্ট করতে। এই যেখানে ঘটবে সেখানে কোন পদক্ষেপের আগুণে পোড়াবেন আমাকে।

ব্লগ কী পোড়ে ব্লগ কী পোড়ানো যায়
পোড়েন শুধু ব্যাক্কল পেঁচা ভাই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

ব্রিলোইন জোনের বাইরে দিয়া পার্টার্বেশন...

স্পর্শ এর ছবি

নেন গান শোনেন


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আলোড়িত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

আসমানী-মডু এর ছবি

সচলায়তনে "সচল পরিবার"-এর সুস্থ মিথষ্ক্রিয়া বজায় রাখার স্বার্থেই মেটাব্লগিং কঠোর ভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। স্পষ্টতই মাসকাওয়াথ আহসান ও অনিন্দ্য রহমানের সর্বশেষ পোস্টদুটিতে কিছু ব্লগারের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বেড়ে চলছে। এই অবস্থায় এই ব্লগটি নীড়পাতা থেকে সরিয়ে নিজের ব্লগে নিয়ে যাওয়া হল।

পাশাপাশি, সচল ও অতিথিদেরও অনুরোধ করা হচ্ছে সংযত ভাবে মন্তব্য করতে। আপনাদের আপত্তিগুলো পোস্টে উষ্ণতা প্রকাশের পরিবর্তে মডারেশনে ইমেইল করে জানান।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

শ্রদ্ধা রইলো সচলায়তনের মডারেটরদের সিদ্ধান্তের প্রতি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

লালন এর ছবি

সিরাজ সাই বলেন ডেকে লালন'কে
কূতর্কের দোকান করিস নে আর
মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার ভবে
সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তার...
_________________________
এক কানা কয় আর এক কানা'রে
চল এবার ভবপারে
নিজেই কানা পথ চেনে না
অন্যরে ... ... ...
এসব দেখি কানা'র হাট বাজার ! হাসি

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সাধু সাধু।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।