হতে পারতেন বিনয় বাদল দীনেশ, হয়েছেন দিলীপ-বাদল-মেনন

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি
লিখেছেন মাসকাওয়াথ আহসান (তারিখ: সোম, ০২/০৮/২০১০ - ৭:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

 

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন গণতন্ত্রকে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার ঘৌড়দৌড়ে পরিণত করেছে। কিন্তু সামরিক শাসনের শনি বা রাহু খাঁড়ার মতো ঝুলে থাকায় গণতন্ত্রকেই মন্দের ভালো অপশন হিসেবে মেনে নিতে হচ্ছে। বাম রাজনীতির জন্য লাতিন আমেরিকার মতই উপযোগী বাতাবরণ দক্ষিণ এশিয়ায় আছে। কিন্তু গণতন্ত্রের বড়েমিয়ারা দক্ষিণ এশিয়ার দূর্গটি এমনভাবে পাহারা দিয়ে রেখেছেন যে বামপন্থাকে এখন চরমপন্থা হিসেবে বিজ্ঞাপিত করা হয়, মিডিয়ায়,প্রেসনোটে।

 

বৃটিশ শাসনের অবসানে ভারতবর্ষ মুক্ত হয়েছে,এরকম কথা জাতীয় দিবসগুলোর প্রধানমন্ত্রীদের বক্তৃতা ছাড়া আর কিছু পুনর্বাসিত রাজনীতিবিদ আর চুঁইয়ে পড়া উন্নয়নের শরিকেরা বলে থাকেন।

 

দক্ষিণ এশিয়ার আমজনতা মুক্তি শব্দটি বহুবার শুনেছে, কিন্ত জল-হাওয়ায় তা কখনো স্পর্শ করতে পারেনি।

 

দক্ষিণ এশিয়ার কড়া বামদের একটি অংশ সংসদগুলোর অলংকার হিসেবে রয়ে গেলেন,কংগ্রেস-আওয়ামী লীগ-পিপলস পার্টি ক্ষমতায়, যে কারণে রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় বামেরা দাওয়াত পাচ্ছেন বেশী।এই তিনটি দল মন্দের ভালো,সেক্যুলার অন্তত বিজেপি-বিএনপি-মুসলীম লীগ(এন)এর চেয়ে।

বাজপেয়ীর বিজেপি, জিয়ার বিএনপি আর নওয়াজ শরীফের মুসলীম লীগ হিন্দু-মুসলমান জঙ্গীবাদের পুনর্বাসন ও পৃষ্ঠপোষকতার কারণে কুখ্যাত। তবুও দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নৈতিক হতাশার কারণে এরা অতীতে ক্ষমতায় ছিল, এখন বিরোধীদলে।অসংখ্য নিরন্ন মানুষের জীবন কুশলতা অর্জনে বর্তমানের সেক্যুলার সরকারগুলো অদক্ষতাজনিত কারণে ব্যর্থ হলে আবার আমজনতা শাড়ী-টাকা-সোয়েটার ও ফেনসিডিল-ভাং-চরসের লোভে জঙ্গী রাজাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসবে।

 

ভারতে আরএসএস, পাকিস্তানে ও বাংলাদেশের জামাতী ভাতৃকুল বিজেপি-বিএনপি-মুসলীম লীগ এনকে ক্ষমতায় আনতে ছাত্রদের বৃত্তি দেয়, গ্রামে বুভুক্ষু মানুষকে ভাতের বিনিময়ে বোমা কার্যক্রমে যুক্ত করে, সাইদীর ওয়াজমুজরা  বা কুম্ভমেলা  আয়োজন করে,জিকিরে ফিকিরে যুদ্ধ মডেল লাদেনকে দার্শনিক নেতা মানার ভান করে, আসল প্রণোদনা পেট্রোডলার বলাই বাহুল্য।ঢাকা ইসলামাবাদের নিজামী-ফজলুকূল দিল্লী-মুম্বাই গেলে বাজপেয়ী-আদভানির সঙ্গে বসে একটু তাম্বাকুওয়ালা পান খেয়ে আসেন।তাদের এই সেক্যুলার প্রেমের আখ্যানটি সাংবাদিকেরা হোটেল লবিতে বা বাজপেয়ীর বাসার লনে সচক্ষে দেখেছেন,জঙ্গীবাদ রসুনের বটমটী ধর্ম ব্যবসা সূত্রে গাথা।হিন্দু বা ইসলাম নয়, ব্যবসাই ঐ রাজনৈতিক মাফিয়াদের ধর্ম।

 

আর দক্ষিণ এশিয়ার বামদের মাঝে একদল ঘামপন্থী হয়ে ক্ষমতার আঁচ পেতে বিএনপি-বিজেপি মুসলীম লীগ এনএর বক্তৃতা লিখে দেবার কাজটি নিলেন। ভূপেন হাজারিকা, ভিক্টর বাড়ুজ্যে-শফিক রেহমান-ফরহাদ মযহার সেইসব প্রতীক যাদের ধরে ঘামপন্থীদের ওয়াজজলসায় উঁকি দেয়া যায়।

 

আরেকদল বাম আছেন যারা ক্ষমতাসীন সেক্যুলার দলগুলোর সফট কর্ণার হয়ে সংসদগুলোর প্রান্তে বসে থাকেন অনেকটা হতে পারতেন বিনয় বাদল দীনেশ, হয়েছেন দিলীপ-বাদল-মেনন।এরা আমাদের স্নেহ করেন,ডাকলে সভা-সেমিনারে আসেন, কিন্তু দর্শন আলোচনার বাইরের কোন এক্টিভিজমে যুক্ত হতে পারলেন না, ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদকের মত।

 

পাকিস্তানের বামেরা নাস্তিক,হতাশ, অনেকে পানাসক্ত তবে শের শায়েরী নিয়ে ব্যস্ত থাকে আর্টস কাউন্সিলে।সিভিল সোসাইটির তাপানুকূল আড্ডা ছাড়া বামেরা নিজভূমে পরবাসী, চারপাশে শস্যের চেয়ে টুপি বেশী ধর্মের আগাছা বেশী।

 

ভারতের বামপন্থা তুলনামূলক ভাবে সফল, তবে পশ্চিমবঙ্গে যে স্ট্যালিনী কাজ কারবার করলেন তারা তাতে যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ প্রবচনটি প্রমাণ হয়ে গেল। বামদের মধ্যে হিংসা ব্যাপারটা প্রবল, এটাকে তারা দর্শন দিয়ে আড়াল করে। তা না হলে আগের টার্মের এনডি এ সরকারে  জ্যোতি বসু যখন ভারতের প্রথম বাম প্রধানমন্ত্রী হবার প্রস্তাব পেলেন তখন হিন্দীভাষী পলিট বুড়োরা হিংসা কাতর হয়ে নিজেদের নাক কেটে জ্যোতির যাত্রা ভঙ্গ করলেন, জ্যোতি ভাল হতেন কী খারাপ হতে সেটা পরের ব্যাপার, কিন্তু বামদের সম্ভাব্য বড় অর্জনটিকে বামেরাই নষ্ট করলেন।

 

আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি আমাদের মেধাসমাজে বামভাবনার সেক্যুলার মানুষদের মধ্যেও এই জ্যোতিকে বড় হতে না দেয়ার ল্যাং মারা সংস্কৃতিটি চালু রয়েছে। তবে বামদের সুবিধা একটাই তারা ভদ্রলোক, অন্তত সমালোচনা শুনে হাসতে আর মেনে নিতে জানেন,নাহিদ বা দিলীপ বড়ুয়ার কথা বলছি। শেখ সেলিমের সমালোচনা করলে উনি চড় কষে দেবেন, দেলোয়ারের সমালোচনা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে হুংকার দেন, এরা কারা? নিজামীকে যুদ্ধাপরাধী বললে উনি বলেন এটা মিডিয়ার সৃষ্টি।

 

যে কারণে বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে পড়ার পরে বা সোভিয়েত শক্তি মুখ থুবড়ে পড়ার পরেও হুগো চ্যাভেজ (শ্যাভেজ) জাতিসঙ্ঘ ভাষণে গিয়ে যখন লাতিন আমেরিকার বাম শক্তির শোডাউন করেন,যুদ্ধবাজ বুশের মুখোশ খুলে দিতে তাকে লুসিফেরার সাথে তুলনা করেন,আমরা সেই অডিও বা ভিডিও ক্লিপটা প্রায় বুশের ভাষণের সমান ডিউরেশনে বাজানোর রোমান্টিক নিউজরুম বিদ্রোহ করে ইউটোপিয়া আর ডিলিরিয়াম নিয়ে চে গুয়েভারা পাবে চলে যাই।বামন মানুষের এইটুকু ভাবনা বিলাস,প্রেমের ক্ষেত্রে মানুষ যতটা ভোগায়নি ততটা ভোগালো বামপ্রেমপন্থা।

 

তার মানে বোধ হয় বাম ভাবনা এখন অক্ষমতার আশ্রয়।আবার সক্ষমেরও বিজ্ঞাপনের পান্ডুলিপি। যে কারণে পুঁজিবাদী গোলকের রাজা হতে বারাক ওবামা ইক্যুইটি শব্দটিকে বিজ্ঞাপিত করলেন।

 

হয়তো দক্ষিণ এশিয়ার বাম মানেই হিজড়ে লাগিয়ে দিয়ে পদ্য লেখা সুশীল সমাজ যারা গ্রোথ উইদ ইক্যুইটির পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশনের পরেই এনজিওর প্রাডো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দূতাবাস পাড়ায়। বিনয় বাদল দীনেশ নিয়ে যারা মধুর ক্যান্টিন কাঁপিয়ে দিতেন এখন তারা ল্যাপ্টপ নিয়ে দারিদ্র্য আর প্রজেক্ট প্রোফাইল ফেরি করছে দূতাবাঁশ পল্লীতে। বামপন্থা সফল হয়নি এখনো, কিন্তু সফল হয়েছে বামপন্থীরা। এখন তারা দারিদ্র্য বিষয়ক সেমিনারের পরে ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টির সামনে দাঁড়িয়ে লেখক’ ক্যাপশন দেয় হাসি ফেসবুকে।


মন্তব্য

সালাম এর ছবি

উদ্দেশ্যহীন পুরানা কাসুন্দী ঘাঁটাঘাঁটি।কিছু ব্যর্থ রাজনীতিক-রণশাসকের পোন্দে বাঁশ দেয়া ছাড়া তেমন কোন সারবস্তু নেই।এইডস আক্রান্ত বাম রাজনীতির মাহাত্মের গলোপ শুনতে শুনতে কানের ভিতরটা পচে গেছে।বাংলাদেশের বাম রাজনীতির বি্দ্বেনদের দেউলিয়াত্ব সোভিয়েত ইউনিয়ন বুঝি অনেক আগেই বুঝেছিল।তাই কমিউনিজম এর স্বর্ণ যুগেও নব্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত এই দেশের বাম নেতাদের ভাগ্যে তেমন একটা রাশান ভদকার অমৃত জোটেনি।কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়িতে রাশানরা বিনিয়োগে তেমন ভরসা পায়নি।ছাত্র ইউনিয়নের পাতি নেতাদের দেখেছি,ম্যাক্সিম গোরকির মা পড়ে মারকসবাদ লেনিনবাদের সবজান্তা এই শমশের গুলো অতিবেশী হস্তমৈথুনে শুকনো পাছা ঢাকবার জন্য তেক্সাসী জিনসের পকেটে কাগজ ঢুকিয়ে গাঁজার কল্কি নিয়ে রকে বসে বসে অবিরাম বাল ছিঁড়ে গেছে।কলেজে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নির্বাচন আসলে ছাত্রলীগের নেতাদের কলকি সাজিয়ে সাহিত্য সম্পাদকের পদটা আদায় করতে পারলে নমো নমো করতে মুখে ফেনা ছুটিয়েছে।দেখলাম তো চোখের সামনে,
৪০ বছর শ্রমিকের কাস্তে নিয়ে রাজনীতি করে শেষমেষ ওই আওয়ামী কিস্তিতে চড়ে বৈতরণী পার হতে পেরে আর তর সইছেনা, আখেরাত গোছানোর কাজ শুরু করেছেন জোরেশোরে।একজন ভিকারুন্নেসা স্কুলের সম্পত্তি নিয়ে নয়ছয় করছেন আর ভর্তি বাণিজ্যের বখরা নিয়ে ব্যস্ত আছেন, আরেকজন টেলিকম অপারেটরদের কাছ থেকে মাসে মাসে ভিও আই পি ব্যবসার বখরা খেয়েছেন তারপর তাদের রক্ষা করতে না পেরে এখন সাধু সাজছেন,টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েই, আগ বাড়িয়ে কিভাবে তত্ত্বাব্ধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন অপারেটরদের কাছ থেকে অবৈধ আইএসডি কল অপারেশনের জন্য আদায় করা এক হাজার কোটি টাকা কিভাবে তাদের ফেরত দেয়া যায় তা নিয়ে উঠা পড়ে লেগেছিলেন, কমিশনের গ্যারান্টি ছিল হয়তো।তারপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, উনি টাকা নেনে কিন্তু কাজ করেন না, নিজেকে সেফসাইডে রাখার জন্য যার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তার বিপদ দেখলেই সটকে পড়েছেন।ইসলামী ভাষায় আদব কায়দা সহ গালি দিলেও মোনাফেক এর নীচে অন্য কিছু বলা যায় না। যাক থাক, আর কিছু না বলি, এদের চাইতে আমার আলীগ ব্যনপির চোর বাটপারেরা ভাল।

MOFAQ KHARUL ISLAM TAUFIQ এর ছবি

সালাম ভাই লাল সালাম।বেপক বলেছেন ভাই।এবার থামেন।শুরুটাতো ভালই ছিলো শেষের দিকে বেফাস হয়ে গেলেন যে...! ইনু সাহেবের উপর রাগটা একটু বেশি না।টাকা দিয়েছিলেন কাজ হয় নাই... এমন কন ঘটনা আছে নাকি? কি করবেন ভাই... ক্ষমতাতো আলীগের হাতে বুঝছেন না?।পাওয়ার রিলেশন বুঝে কথা বলেন।প্রদীপ কুমার রয়ের কমেণ্টসটা পরেন...!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ। গালির বাংলা অভিধানটাই সবচেয়ে সমৃদ্ধ বলে মনে হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সালাম এর ছবি

ঘেণ্ণা'র দুর্গন্ধটাও...

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আপনার ঘেণ্ণা'র দুর্গন্ধটাও" শুনে মনে পড়ল,একবার আমাদের গ্রামের বাঘা নারায়ণপুর মেলায় একটা তাঁবুর মধ্যে দুটো পাঁঠা রেখে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়া হয়েছিল যে পাঁচমিনিট ওই তাঁবুতে থাকতে পারবে তার জন্য পঞ্চাশ টাকা পুরস্কার সঙ্গে একটি লাইফবয় ফ্রি, লিভার ব্রাদার্সের সৌজন্যে। কেউ একমিনিটের বেশী টিকতে পারছিলো না, ফলে পাঁঠালটারীর ভিড় বাড়ছিল। পাশে একটা রাজনৈতিক জনসভায় যাদের একশো টাকা দিয়ে আনা হয়েছিল, তারা নেতাদের বক্তৃতা ফেলে পাঁঠা জুয়ায় মেতেছিল, বিরক্ত হয়ে নেতারা ব্যাপারটা বন্ধ করতে এলেন। বললেন পাঁঠা নিয়ে জুয়া খেললে দেশের উন্নতি ব্যাহত হবে। লোকজন গেলি গেলি রব তুললে নেতারা সমঝোতা করলেন, উনারা গিয়ে পাঁচমিনিট থেকে রেকর্ড করলে সবাইকে জনসভায় ফিরে যেতে হবে। লোকজন ভাবলো বগি দিচ্ছে, কেউ পারবেনা একমিনিটের রেকর্ড ভাংতে। নেতারা তাঁবুতে ঢুকলেন, একমিনিট-দুইমিনিট-তিন মিনিট, সাড়ে তিন মিনিটের মাথায় পাঁঠা দুটো জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পদ্মার চরের দিকে পালিয়ে গেল। পাঁঠাজুয়ায় জিতে পান খাওয়া দাঁত কেলিয়ে হাত নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে এলেন ত্রিভুজ। হেরে গেলো পাঁঠার সু*গন্ধ সাইদী-নিজামী-মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধের খুশ*বুর কাছে ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

সালাম এর ছবি

ধন্যবাদ।যুদ্ধাপরাধীর গন্ধ সারা দেশেই ছড়িয়ে ছিল।এখন ত্রিরত্নকে এক হাঁড়িতে ঢুকিয়ে চুল্লীতে আগুন দেয়ায়,গন্ধের তীব্রতা এতটাই বেড়েছে যে, অন্যান্য অপরাধ আর অপরাধীদের বিষ্ঠার মধ্যে জীবন যাপনে আমাদের তেমন সমস্যা হচ্ছে না।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ট্যানারী সংলগ্ন এলাকার মত পরিস্থিতি আর কী।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ধর্ম ব্যবসায়ীরা মূলত প্রয়োগবাদী। মানুষের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এবং অর্থহীন বিষয়গুলো নিয়ে এদের রাজনীতির ভিত্তি তৈরী হয়। জর্মনে থাকলে এরা নাত্সী হয়।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ভালো লাগলো। বাম রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কিছু লিখলে ভালো হত। ওরা কি জাস্ট ভদ্র গুন্ডা, নাকি আরো বেশি কিছু?

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ওদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

নাজমুল হুদা সুমন [অতিথি] এর ছবি

ডানে বামে না তাকিয়ে সোজা নিজের পথে হেটে যাওয়াই ভালো

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সেটা সুমনের ক্যারিয়ার আর ব্যক্তিগত লাভের জন্য ভালো। আমজনতার লাভের জন্য বামদিকের দারিদ্র্যে বিশীর্ণ জনপদের মানুষ গুলোর দিকে তাকানো দরকার কারণ ডান দিকে আত্মকেন্দ্রিক ঋণ-ট্যক্স খেলাপী ও টেন্ডারবাজ জঙ্গী সমাজ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

স্পর্শ এর ছবি

লেখাটা ভালো লেগেছে। চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ধন্যবাদ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

চয়নিকা [অতিথি] এর ছবি

বামেদের প্রতি এ ধরণের অসাধারণ সমালোচনার পাশাপাশি বামপন্থার কাছে কি চাচ্ছেন তা খোলাসা করে বললে ভাল লাগত। আমরা জাতি হিসেবে অতীতের যেকোন ঘটনার বুদ্ধিদীপ্ত এবং বিশেষজ্ঞ সমালোচক। কিন্তু বর্তমানে হতাশ আর ভবিষ্যত ভাবনায় অলস।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ডানে বামে না তাকালে তা ক্যারিয়ার আর ব্যক্তিগত লাভের জন্য ভালো। আমজনতার লাভের জন্য বামদিকের দারিদ্র্যে বিশীর্ণ জনপদের মানুষ গুলোর দিকে তাকানো দরকার কারণ ডান দিকে আত্মকেন্দ্রিক ঋণ-ট্যক্স খেলাপী ও টেন্ডারবাজ জঙ্গী সমাজ।

বামেদের আপাতত সামাজিক গণতন্ত্রের প্রেসক্রিপশনটা সরকারের মাথায় ঢোকানোর জন্য সক্রিয় হওয়া জরুরী, খাদ্য নিরাপত্তা-ফ্রি শিক্ষা-চিকিতসা,মঙ্গার মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র সুবিধা সরকারের কল্যাণ তহবিল থেকে আদায় করা দরকার আমজনতার জন্য। সেটা দিলীপ-বাদল-মেনন-নাহিদ-মতিয়া-ইনু সরকারে বসেও যদি না পারেন, আর কবে পারবেন?

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পিকিংপন্থা আর মস্কোপন্থা = বামপন্থা নয় (এইটা আপনি লিখসেন এমনটা বলতেসি না। জেনারেল স্টেটমেন্ট দিলাম)

মেনন-ইনুর বিষয় জানি না। কিন্তু নাহিদ-মতিয়া যা করতেসেন তাও তাদের (অতিসরলীকৃত অভিধা) বামপন্থার কল্যাণেই।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মস্কো বা চীনপন্থী যাই হোক এদের বয়সন্ধির সাম্যবাদের রোমান্টিকতা একই ছিলো। ফলে মতিয়া ভাঙ্গা গাড়ীতে চড়েন,বাম্পার ফলন দেন, আমাদের মা-খালাদের মত খিটমিটে মেজাজ,ওই বয়েসে যাওয়ার আগে এসময়ের মেয়েরা আশা করা যায় এ ব্যাপারে জাজমেন্টাল হবেন না। নাহিদ শিক্ষা নীতি দিয়েছেন। তাকে টিভি টকশোতে মাননীয় বাদ দিয়ে শুধু মন্ত্রী বললে খুশী হন। পুরুষ মানুষের মেজাজ হতাশা না থাকলে ভালই হয়। মেনন-বাদল-ইনু তরুণদের সঙ্গে ভাল করে কথা বলেন। সেমিনারে ডাকলে আসেন। কিন্তু পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল হচ্ছেনা। কো কারিকুলার এক্টিভিটিজে ব্যস্ত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

ফাহিম এর ছবি

ডান, বাম, মধ্য, উপর, নীচ - যাই বলেন না কেন, কোন রাজনীতিবিদের কাছেই রাজনীতি করাটা নেশা না, বা আদর্শের ব্যাপার না, এটা তাদের পেশা। এটা মেনে নিলেই দেখবেন সব হিসাব নিকাশ সোজা লাগছে।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সহমত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

'ডানে বামে না তাকিয়ে সোজা নিজের পথে হেটে যাওয়াই ভালো'

এটাই ৯৮ ভাগ মানুষের মনের কথা। যারা বলে ফেলে তারা সৎ। যারা বলে না তারা মুখোশধারী। আর ২ ভাগ মানুষের ১ ভাগ মহামানব, আর ১ ভাগ পশু।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সহমত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

প্রদীপ কুমার রায় এর ছবি

সব তো সেই পুরণো কথা। অন্যদের কর্মকান্ড নিয়ে সমালোচনা, আক্ষেপ প্রকাশ। এটা তো সবাই করছে, প্রতিদিন প্রতিক্ষনে। নতুন করে নতুন সমাজ গঠনের জন্য যে কাউকে দায়িত্ব নিতে হয়। সেই দায়িত্ব পালনের যন্ত্রণাকে সবাই এড়িয়ে গিয়ে বন্দুকটা অন্যের কাধে রেখে সবাই গুলি করতে চায়।

রাজনীতি সম্পর্কে যেকোন কথা বলতে গেলে ক্ষমতা সম্পর্ককে বুঝতে হয়। ক্ষমতা সম্পর্ক না বুঝে কথাবার্তা বললে সেসব কথা এরকম বস্তাপচাই হবে, যা ক্রমাগত দুর্গন্ধ ছড়ানো ছাড়া আর কিছু দিতে পারবে না।

প্রতিটি মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। কথাটি শৈশবেই মুখস্ত করতে হয়। শৈশবের সেই কথাটি শৈশবের ভাবনা দিয়ে ভাবলে চলবে কেন? পরিণত বয়সে এসে বুঝতে হয় - মানুষ সমাজবদ্ধ জীব এবং সমাজবদ্ধ হতে হলে ব্যক্তি ো পরিবেশের সাথে সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়। সামাজিক সম্পর্কটা তৈরী হয় ক্ষমতা সম্পর্ক দিয়ে। মুখস্ত মার্কসবাদীদের মুখে এটাকে সংজ্ঞায়িত করতে দেখেছি - দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ হিসাবে।

ব্যক্তি ো পরিবেশে আছি, আমরা সবাই - আপনি, আমি এবং অন্যরা। এখানে আমরা সবাই ক্ষমতা সম্পর্ক বিবেচনা করে নিজেদের কর্মকান্ড পরিচালনা করছি। এর বাইরে লেখক কিংবা অন্যান্য পাঠকরাো কোনভােই বর্হিভূত নন বা বর্হিভূত থাকার কোন সুযোগ নেই।

লেখক-পাঠক এবং আমি নিজেকেই বলছি:
হতে পারতাম ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, নূরহোসেন; হয়েছি যদু-মধু-কদু; কাজে নেই, কর্মে নেই; পড়ছি আর লিখছি। পড়ছি আর লিখছিই - এটা করা উচিত হয়নি, োটা করা যেতো। উনি ভাল, উনি মন্দ। কতরকম ভাবনা উকি দেয় মনে। বলতে ইচ্ছে করে, কাজটি করতে গেলেই আসে অলসতা, ভীরুতা, কাপুরুষতা। সেইসাথে থাকে কাজটি করার অযোগ্যতা।

সেই অলসতা, ভীরুতা, কাপুরুষতা আর অযোগ্যতা নিয়েই আমরা প্রতিনিয়িত ভাবি - হতে পারতেন বিনয় বাদল দীনেশ, হয়েছেন দিলীপ-বাদল-মেনন।

শেষকথায় আসি, জ্ঞান-অভিজ্ঞতা আর কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের মধ্যে একধরণের পন্থা আপনাআপনিই তৈরী হয়, সেটাকে কেউ তৈরী করতে পারে না। মানুষ পরিচালিত হয় সেই পন্থা দিয়েই। তাই কে বামপন্থী, কে নয়, সেটা না ভেবে, যে যার জায়গায় থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে সমাজকে। আপনি যদি বামপন্থী হন, তবে অবশ্যই বামপন্থার জয় হবে। আর যদি আপনিো দিলীপ-বাদল-মেনন হন, তবে অন্যরা আপনার মতোই একই গান গাইবে, একই সুরে।

মনেহয় গানের কথাগুলো বদলানো দরকার, সাথে সুরটাো। নতুন কথায় নতুন সুরে নতুন গান রচনা করার সময় এখন, পুরণো কাসুন্দি ঘেটে কেন শুধু র্দুগন্ধ ছড়ানো।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

বুঝে কথাবার্তা বললে সেসব কথা এরকম বস্তাপচাই হবে, যা ক্রমাগত দুর্গন্ধ ছড়ানো ছাড়া আর কিছু দিতে পারবে না।

এই বাক্যটা খুব আউটডেটেড। আপনার প্রজ্ঞার সঙ্গে মানানসই নয়।

পুরণো কাসুন্দি ঘেটে কেন শুধু র্দুগন্ধ ছড়ানো।

পুনরাবৃত্তি।

বাকিসব ঠিক আছে।মনে মনে এরকম একজন শিক্ষক খুঁজছিলাম। মাঝে মধ্যে এরকম চিহ্ন দিলে বাধিত হব।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

মোফাক খারুল ইসলাম তৌফিক এর ছবি

শ্রদ্ধেয় সালাম ভাই লাল সালাম।বেপক বিপ্লবী হয়ে গেছেন দেখছি।মুখে তো কিছুই বাধছে না।ভালো সমালোচনা করতে পারেন আপনি।বাম পন্থিদের উপর অনেক রাগ না...? বিশেষ করে ইনু সাহেবের উপর।টাকা নিয়েও কাজ করে না...তাই না...? টাকা দিয়েছিলেন নাকি? ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকেই বলছেন? ব্যানপি আলীগেরা টাকা নিলে কাজ করে।আর এরা করে না।কি করে করবে ক্ষমতা নাইতো।পাওয়ার রিলেশন বোঝেন? প্রদীপ কুমার রয়ের কমেন্টসটা পরেন।ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।