অতি দরকারী ক্লিনজিঙ...

আরিফুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আরিফুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০৭/২০০৮ - ৭:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রচন্ড চপোটাঘাতে ঘরের এক কোনে ছিটকে পড়লো দাড়ি-টুপি ওয়ালা লোকটা। ভীত চাহনি নিয়ে সে উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করছিলো, নিঃসীম আতঙ্কে তার হাঁটু থেকে সেই জোর নেই হয়ে গেছে।

ঘরের মাঝখানে দাঁড়ানো দুজন যুবকের কণ্ঠের শীতলতা তাকে আরো ভীত করে তোলে।

‘কাল তুমি পল্টন ময়দানে আসবে, ঠিক বেলা এগারোটায়। পালানোর চেষ্টা করলে কি হবে গত এক মাসে তুমি দেখেছ’… নির্লিপ্ত কণ্ঠ ভেসে আসলো আধো অন্ধাকারে দাঁড়ানো অবয়ব গুলি থেকে।

‘আমি কি করেছি?’… শুকনো গলায় শেষ চেষ্টা করে লোকটা নিজেকে বাঁচানোর।

‘কাল ঠিক এগারোটায়, হাজির থাকবে’… আর কিছু বলার আগেই বলেই বেরিয়ে গেল দুজন।

এই দুই বিচ্ছু বার্তাবাহক। তালিক অনুযায়ী আলবদর খুজে বের করা, তাদের সমন দেয়াই আপাতত এদের কাজ।

গত এক মাস ধরে ঘাদানিকের আদালত বসছে পল্টনে। সমন দেয়া কেউই আসে না, তিন দিনের মাথায় তাদের পাওয়া যায় রায়ের বাজারে… অবশ্যই তাদের দেহে প্রাণ নামক বস্তুটি থাকে না। তাদের রূহ খুজলে হয়তো চল্লিশ হুর বেষ্টিত দেখা যাবে সাত আসমান উপরে।

কিন্তু পৃথিবীতে রেখে যাওয়া তাদের নশ্বর দেহে চামড়া থাকে না। প্রতিটি দেহ বাঁশের সাথে বাঁধা থাকে, নিচে ল্যামিনেট করা আর্ট পেপারে কৃতকর্ম সমুহ। ৭১ থেকে শুরু করে আজ অবদি।

এই এলাকাটা ইদানীং দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়েছে। প্রচুর মানুষ ব্যারিয়ারের বাইরে দাড়িয়ে প্রায় একই রকম দেখতে চামড়াহীন দেহগুলিতে থুতু নিক্ষপ করে, বলাবলি করে এতো অল্প শাস্তিতে তাদের বেহেশতে ফস্কে যেতে দেয়া কতোটা গুনাহের কাজ হয়েছে।

বিচ্ছুদের হ্যাঁচকা ইউনিটের কাজ সমন দেয়ার পর থেকেই তিনদিন পর্যন্ত তাদের ওপর নজর রাখা। স্বাভাবিকভাবেই তারা পালাতে চেষ্টা করে, হয় তাদের দড়জায় তালা দেখতে পেয়ে ভয়ে কাপড় ভিজিয়ে ফেলে অথবা লুকোনো সুরঙ্গ দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। রাজাকার ক্র্যাকডাউনের এক বছরে এমন প্রচুর সুরঙ্গের সাক্ষ্যাৎ পেয়ে ট্রেইন্ড হ্যাঁচকা দলগুলি জানে কিভাবে ইদুর কে পালাতে না দিতে হয়।

তিন দিন শেষ হলে ‘কসাই’ ইউনিট অবরোধে প্রবেশ করে… আলখাল্লা সরিয়ে সেখানেই আলবদরটাকে হাফ প‌্যান্ট পড়ানো হয়। দাড়ি ছাঁটার ট্রিমার কসাই ইউনিট সাথেই রাখে। ধরে নিয়ে যাবার আগে বাড়ির দড়জার সামনেই তার বুকে স্টেপল করা হয় নাম এবং রাজাকার রেজিঃ নম্বর। হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে বয়ান করা হয় তার রাজাকারনামা। মানুষ ঘৃণাভরে থুতু দেয় তার মুখে যখন হিঁচের নিয়ে যাওয়া হয় কসাইখানায়….

…যেখানে জ্যান্ত চামড়া ছিলে বাঁশস্থ করা হয় রায়ের বাজারে প্রদর্শনীর জন্য।

বুড়োগুলি কখনোই এটা পার হয় না। মাঝপথেই উপর দিকে দৌড় দেয়।

একটা কেসই শুধু টিকে ছিলো… মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের মিটিঙে আলী আমানের কোমরে লাথি মারা শিবির কর্মীটাকে ধীরে ধীরে জন সমক্ষে শুধুমাত্র কোমড়ে লাত্থি দিয়ে আল্লাহ্‌কা পেয়ারা করে দেয়া হয়। শেষের দিকে বেহেশতের ব্যাপারে তার আশাবাদী চেহারা না দেখতে পাওয়ায় অন্যান্য শিবির দের বুকে ইদানীং গুরগুর করে…

বিচ্ছুদের ‘ধাঙর’ দলের কাজ সচিবালয়ে, সরকারী দপ্তর গুলিতে। অডিটিঙে বিশেষজ্ঞ এই দলটার কাজ গত ত্রিশ বছরের সমস্ত ‘পার্সোনেল’ ফাইল ঘাঁটা, ক্রস রেফারেন্স করে দেখা কারা আসলে মাদ্রাসাগুলিতে আস্কারা দিয়েছে, জামাত বা ইসলামী ব্যাংক বা জামাতের অঙ্গ সংগঠনগুলির পক্ষে কাজ করেছে, ইতিহাস বিকৃতিতে মদত দিয়েছে, ইতিহাস মুছে ফেলেছে। এদেরই একজনের বাড়ির বেসমেন্টে আবিষ্কৃত হওয়া টিভি ফুটেজের বিশাল স্তুপ ধাঙর দলের আশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক অজানা ইতিহাস বেড়িয়ে আসবে।

তাদের চিহ্নিত করার পরে বাকি কাজ হ্যাঁচকা ইউনিটে হস্তান্তর করা হয়।

তবে আগামী মাসের পর এর প্রয়োজন আর হবে না বলেই মনে হচ্ছে।

পরোক্ষ আবর্জনা পরিষ্কারে মনযোগ দেয়া হচ্ছে একই সাথে।

প্রতিটি গ্রামের, ইউনিয়নের বর্ষীয়ান মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে ‘ঘাউরা’ বিচ্ছু ইউনিট মাতবরদের/পলিটিক্যাল লোকদের প্রোফাইলিং করে থাকে। কারা কারা জামাতের লোকাল শাখার মদত দিয়েছে, তা সাক্ষী সহ বের করা হয়, অপরাধের মাত্রানুযায়ী শাস্তি রেকমেন্ড করা হয়। আম্লীগ বিম্পি কেউ বাদ যায় না।

‘আঁতেল বিচ্ছু’রা গতো কিছুদিন ধরেই গবেষনা করছিলো, দেশি বিদেশী কিছু বাঘা শিক্ষা বিশেষজ্ঞের সাথে কিভাবে মাদ্রাসা ব্যাবস্থাকে মুল শিক্ষার আওতায় আনা যায়। পুরো দেশজুড়ে স্বভাবতঃই একটা গুঞ্জন উঠেছিলো
এ ব্যাপারে….

…. চলবে…..


মন্তব্য

আরিফুর রহমান এর ছবি

হমম..

অতিথি লেখক এর ছবি

মূর্খ আমি । নিজের বোঝার ক্ষমতার অক্ষমতা দেখে আপসোস হচ্ছে। তবু চেষ্টা চলুক।

নিষাদ

আরিফুর রহমান এর ছবি

নিষাদ, এটা একটা ফিকশন।

পুঞ্জীভুত ক্রোধ প্রকাশের একটা ক্ষনে কিছু কল্পনা বেরিয়ে এসেছিলো কিবোর্ড দিয়ে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এটা বন্ধ করলেন কেনো?
'৭১ ফিকশন ছিলোনা । এই ফিকশন ও একদিন সত্য হয়ে উঠুক ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আরিফুর রহমান এর ছবি

আবার চালু করবো হয়তো। বেশিরভাগ সময়ই মগজটা পড়ে থাকে ময়দার দলার মতো। শ্রদ্ধা

কল্যাণ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।