মর্ম এর ব্লগ

বিজয়ের পঞ্চাশ পূর্তিতে কন্যাকে পিতা

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৪/১২/২০২১ - ১১:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লিয়ানা

বাংলাদেশের-বিজয়ের-৫০-বছর-পূর্তিতে-জীবনের-পয়লা-বছর দেখনিয়াসু,

আসসালামু আলাইকুম,

কত কত দিন ধরে তোমাকে লিখি না। সেই যেদিন শতকে পা পড়ল তখন লিখেছিলাম, তারপর এই এখন! মন খারাপ কর না, কেমন?
মাঝে মাঝে এমন হয়। লেখা-কথা'র চেয়ে কথা-কথাই বেশি। লেখা-কথাও ফিরে ফিরে আসবে মাঝে মাঝে, আজকের মত করে।

আজকের দিনটা কেন বিশেষ জান?


ভয় দেখালো মিঁয়াও

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০২/২০১৫ - ১১:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[প্রাককথনঃ মিঁয়াও-কে যাঁরা চেনেন তাঁদের তো বলার নেই কিছু, যাঁরা চেনেন না, তাঁরা ‘মিঁয়াওচরিত’ দেখে নিতে পারেন চাইলে। পরিচয়টা হয়ে যাবে তাতে। তাঁরাও আর সবার মত করে জানবেন মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!

এটাও জানা থাকা দরকার, মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!

সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।]


ল্যাথুরম্যান

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৪/০৬/২০১৪ - ২:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'সুপারম্যানে'র যায় না পাওয়া দেখা,
হয় না দেখা 'ফ্ল্যাশে'র কয়েক ঝলক,
'ব্যাটম্যান'ও কোন অন্ধকারে থাকে,
'ভ্যাম্পায়ার'ও কেবল নামের ফলক,

'আয়রনম্যান' নগর গড়ে বুঝি
'স্পাইডারম্যান' কেবল পেষে কলম,
'ম্যানড্রেকে'রা অবিশ্বাসের কোপে
পাড়ার মোড়ে হয়ত বেচে মলম,


সারপ্রাইজ

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০২/২০১৪ - ৭:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

।।১।।

"কী কর, নানা? কী কর তুমি একা একা? ঘুম নাই?"


'সিংঘ'-কথন

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৭/০৮/২০১৩ - ৪:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চশমাপড়া 'সিংঘ'টি, তার বেজায়রকম রাগ,
মেজাজখানি খিঁচড়ে গেলেই ডাইরিতে দেন দাগ,
নখ কেটেছেন, তাইতে কলম, ঝড় বয়ে যায় হাতে,
সকাল সকাল, ভরদুপুরে কিংবা গভীর রাতে!

'সিংঘ'টি বেশ গান শুনিয়ে, কানের ফুটোয় গুঁজে,
গান ভেজে যান গুনগুনিয়ে চক্ষুদুটি বুজে!
সিনেমাখোর গভীর রাতে আয়েশ করে শুয়ে,
দিব্যি গেলেন চলচ্ছবি আর বাকিসব থুয়ে!

ইচ্ছে হলে 'সিংঘ' গিয়ে চুলোয় আগুন জ্বালেন,
নখর দিয়ে ডেকচি ধরে তাইতে পানি ঢালেন,
দুগ্ধ মেশান আর চা/কফি, শুধান এসে কাছে,
"চিনির কিছু কম হল? না এক্কেরে ঠিক আছে!"


বাঘের মাসি 'মিঁয়াও'

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৭/২০১৩ - ৯:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[প্রাককথনঃ মিঁয়াও-কে যাঁরা চেনেন তাঁদের তো বলার নেই কিছু, যাঁরা চেনেন না, তাঁরা ‘মিঁয়াওচরিত’ দেখে নিতে পারেন চাইলে। পরিচয়টা হয়ে যাবে তাতে। তাঁরাও আর সবার মত করে জানবেন মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!

এটাও জানা থাকা দরকার, মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!

সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।]


লাল খাতার লেখা- [দাদুবাসা]

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৮/০৭/২০১৩ - ৭:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[পূর্বলেখঃ আম্মুটা পঁচা। এক্কেবারে পঁচা। কিচ্ছু বোঝে না। কালকে আমি লিখছি আম্মু আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বলল- কী করিস? আমি বললাম- লিখি। আম্মু বলল- কী লিখিস? আমি বললাম- খাতা লিখি। এরপর আম্মু বলল দেখি তো! এরপর আম্মু খাতা হাতে নিল আর চোখ বড় বড় করল। আম্মু যখন ভয় পায় তখন চোখ বড় বড় হয়। আম্মু বলল লেখা কই? আমি বললাম খাতায়। আম্মু বলল কই? আম্মু লেখাও চেনে না! আবার আমাকে শেখায়- আ তে আকাশ। আমি খাতা খুলে দেখিয়ে দিলাম- এত এত লেখা। আম্মু বলল- তুই তো দেখি শুধু অ আ লিখেছিস। এক, দুই, তিন- কতগুলা পাতা। আমি বললাম- এটা লেখা তো। অ আ না তো। আম্মু বলল কোথায় লেখা সব অ আ। আম্মু পড়তে পারে না। আমার খাতায় সব লেখা। সবার কথা লেখা। নানার কথা লেখা। আব্বুর কথা লেখা। খালামনির কথা লেখা। নানুর কথা লেখা। আম্মু পড়তে পারে না। আম্মু শুধু অ আ পড়তে পারে। আম্মু পঁচা। আম্মুর কথা আর লিখব না। আম্মু কিচ্ছু বোঝে না। ]


লাল খাতার লেখা- [পাখি আর মাছ]

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৭/২০১৩ - ৪:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[আম্মুটা পঁচা। এক্কেবারে পঁচা। কিচ্ছু বোঝে না। কালকে আমি লিখছি আম্মু আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বলল- কী করিস? আমি বললাম- লিখি। আম্মু বলল- কী লিখিস? আমি বললাম- খাতা লিখি। এরপর আম্মু বলল দেখি তো! এরপর আম্মু খাতা হাতে নিল আর চোখ বড় বড় করল। আম্মু যখন ভয় পায় তখন চোখ বড় বড় হয়। আম্মু বলল লেখা কই? আমি বললাম খাতায়। আম্মু বলল কই? আম্মু লেখাও চেনে না! আবার আমাকে শেখায়- আ তে আকাশ। আমি খাতা খুলে দেখিয়ে দিলাম- এত এত লেখা। আম্মু বলল- তুই তো দেখি শুধু অ আ লিখেছিস। দুই- পাতা। আমি বললাম- এটা লেখা তো। অ আ না তো। আম্মু বলল কোথায় লেখা সব অ আ। আম্মু পড়তে পারে না। আমার খাতায় সব লেখা। সবার কথা লেখা। নানার কথা লেখা। আব্বুর কথা লেখা। খালামনির কথা লেখা। নানুর কথা লেখা। আম্মু পড়তে পারে না। আম্মু শুধু অ আ পড়তে পারে। আম্মু পঁচা। আম্মুর কথা আর লিখব না। আম্মু কিচ্ছু বোঝে না। ]


লাল খাতার লেখা- [খাওয়া-দাওয়া]

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১২/০৭/২০১৩ - ৪:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[আম্মুটা পঁচা। এক্কেবারে পঁচা। কিচ্ছু বোঝে না। কালকে আমি লিখছি আম্মু আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বলল- কী করিস? আমি বললাম- লিখি। আম্মু বলল- কী লিখিস? আমি বললাম- খাতা লিখি। এরপর আম্মু বলল দেখি তো! এরপর আম্মু খাতা হাতে নিল আর চোখ বড় বড় করল। আম্মু যখন ভয় পায় তখন চোখ বড় বড় হয়। আম্মু বলল লেখা কই? আমি বললাম খাতায়। আম্মু বলল কই? আম্মু লেখাও চেনে না! আবার আমাকে শেখায়- আ তে আকাশ। আমি খাতা খুলে দেখিয়ে দিলাম- এত এত লেখা। আম্মু বলল- তুই তো দেখি শুধু অ আ লিখেছিস। দুই- পাতা। আমি বললাম- এটা লেখা তো। অ আ না তো। আম্মু বলল কোথায় লেখা সব অ আ। আম্মু পড়তে পারে না। আমার খাতায় সব লেখা। সবার কথা লেখা। নানার কথা লেখা। আব্বুর কথা লেখা। খালামনির কথা লেখা। নানুর কথা লেখা। আম্মু পড়তে পারে না। আম্মু শুধু অ আ পড়তে পারে। আম্মু পঁচা। আম্মুর কথা আর লিখব না। আম্মু কিচ্ছু বোঝে না। ]


লাল খাতার লেখা

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৩ - ১২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লিখতে আমার একটুও ভাল্লাগে না। তবে এইবার লিখতে হবে।

নানার কলম আছে একটা, খুব সুন্দর, পুরোটা কালো, ক্যাপটাও, গায়ে তিনটে পাতার একটা ছবি খোদাই করা, আঙ্গুলে ছুঁয়ে দিলে কেমন আরাম লাগে, নামটাও সুন্দর, নানা বলে বুঝিয়ে দিয়েছে- ‘রেড লীফ’ মানে হল ‘লাল পাতা’। ‘লাল পাতা’ যে কলমের নাম সেটা কাল কেন কে জানে!

নানার অবশ্য ‘লাল পাতা’র লাল কলমও আছে, সেটা পুরোপুরি লাল। কলমতো লাল হবেই, ক্যাপটাও লাল, খোদাই করা ছবিটা লাল, এমনকি কালিও লাল! দুপুর বেলায় টেবিলের পাশটা এতগুলো লেখা খাতা বের করে নানা, এরপর চশমাটা চোখে দিয়ে লেখাগুলার দিকে তাকিয়ে থাকে আর বড় বড় করে একপাশটায় এক দুই পাঁচ সাত লেখে, লাল রং দিয়ে। এর নাম নাকি খাতা দেখা।

খাতা দেখার সময় নানার কাছে থাকা যায় তবে কিছু বলা যায় না, কলমটা হাত থেকে নেয়া যায় না, চশমাটা কেমন করে কানের দুইপাশে ঠিক ঠিক লেগে থাকল সেটা দেখা যায় না, এমনকি নানার মত করে এক দুই তিন লিখতেও মানা- আম্মু আর নানু আর খালামনি সব কিছুতেই “না না” বলে, নানা অবশ্য বলে না কিছু। কেবল পাঞ্জাবীর পকেট থেকে “ওভালটিন চকলেট” দেয় একটা। আবার একটা। তার মানে দুইটা। মাঝে মাঝে বিস্কুটও দেয়, হরলিক্স বিস্কুট। এই জন্যই থাকতে হয়, নয়ত বসে থাকতে আমার ভাল লাগে না একটুও। নানার মত খাতা দেখতে মন চায়।

খাতা আমারও আছে, তবে লেখা খাতা নাই, এটাও সমস্যা। এক দুই তিন চার আমি লিখতে পারি, তবে সব কয়টা সমান হয় না, এটা আরেকটা সমস্যা। আর আমার লাল কলম নাই, সেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা।