ভয় দেখালো মিঁয়াও

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০২/২০১৫ - ১১:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[প্রাককথনঃ মিঁয়াও-কে যাঁরা চেনেন তাঁদের তো বলার নেই কিছু, যাঁরা চেনেন না, তাঁরা ‘মিঁয়াওচরিত’ দেখে নিতে পারেন চাইলে। পরিচয়টা হয়ে যাবে তাতে। তাঁরাও আর সবার মত করে জানবেন মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!

এটাও জানা থাকা দরকার, মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!

সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।]

“আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ”-

কেমন জানি চেনা কিন্তু তীব্র আর্তচিৎকারে সমস্ত শরীরটা কেঁপে ওঠে মিঁয়াও-এর, ঘুম-ভাঙ্গা-বন্ধ-হয়ে-আসতে-থাকা-চোখ কোনমতে খুলে রাখার চেষ্টা করতে করতে শূন্যদৃষ্টিতে তাকায় ঠিক সামনে-

কী হয়েছে বোঝা জরুরী কিন্তু দেখতে পেলে তো বুঝবে- ‘ছাই ঘুম! ঐ ভাগ এখন!’- নিজেকে একবার ধমকে দিয়ে মিঁয়াও সচেতন হওয়ার চেষ্টা করে আরেকবার- চট করে নিজের অবস্থানটা বুঝে নেয়ার চেষ্টা করে সবার আগে- ডানে দেখে, এরপর বাঁয়ে, পুরো ঘাড় ঘুরিয়ে, সতর্ক খাড়া কান সমস্ত শব্দ বুঝে নেয়ার জন্য প্রস্তুত-

‘কই রে বাপু! কোন সময় এলাম এখানে!’- অবাকই হয় একটু। আরেকটু পিছিয়ে আসতে শরীর ঠেকে যায় কিছুতে, ধাক্কা সামলে পেছনে তাকিয়ে চেনা নীলচে সাদা দেখেই স্বস্তি পায়- ‘অ! এটা তো ঘুমানোরই জায়গা! ঠিকই তো আছে!’

সোফার নীলচে সাদা কোনাটায় মিঁয়াও নিয়ম করে বিকেল বেলাটায় একটু গড়িয়ে নেয়- ঠিক গড়ায় না, গুটিশুটি মেরে শুয়ে থাকে আর কি- সাদাটে অংশটায় গা মিলিয়ে- মাঝে মাঝে ঘুমটা একটু লম্বা হয় বৈকি- “হে-ই-ই-ই, ফোকাস! ফোকাস! আগে কী হয়েছে সেটা দ্যাখ, হতভাগা”- নিজেকে বকে দেয় মিঁয়াও, নিজেই। সামনের দুটো পায়ে ভর দিয়ে একটু এগোয়, আবার দেখে এদিক ওদিক-

“ই-ই-ই-ই-ই-ই- এদিকে আসে তো!”

“কিছু হবে না! নেমে আয় তো!”- নিতুনের আম্মুর গলা ভেসে আসে এবার, মিঁয়াও-এর ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে- সব দেখতে পায় এবার, সোফার পাশের খাটে নিতুনের আম্মু, সোফার আরেক কোনায় নিতুন-“ওকী! চিপস খাচ্ছে নাকি! মিঁ-য়া-ও! হতচ্ছাড়া! বিটকেল! ফো-কা-স!”- নিজেকে কড়া করে ধমকায় এবার- সামনে টিভি- আর ঠিক তার পাশটাতেই যে চেয়ারটা- ওটার ওপর দাঁড়িয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে একজন- “ওমা! অমন করে তাকায় ক্যান!”- মিঁয়াও অবাক হয় বড়।

“খালামনি!”- গলা জানি কেমন কেমন- “তাকায় তো!”- গলায় স্পষ্ট ভয়- কে তাকায় দেখায় জন্য চট করে আবারো এদিক ওদিক দেখে নেয় মিঁয়াও- সোফার পাশে শোকেসের দিকেও দেখে- হোঁদলকুৎকুৎ, মানে নিতুনের আব্বু এল কি না দেখার জন্য- এ বাসায় এই একজনকেই আসলে ভয় পাওয়ার আছে- “নাহ! নেই!”- আনমনে বলে মিঁয়াও, সামনে চেয়ারের একজনের দিকে তাকিয়ে- “অমা! ম্যাও করে!”- কাঁদো কাঁদো হয়ে আসে গলা-

“নিতুন! মিঁয়াওকে নিয়ে যাও বাবা, ও ঘরে! দেখ, আপু ভয় পাচ্ছে- ওখানে রেখে আসবে?”- নিতুনের আম্মুর কথা শুনে ভড়কে যায় মিঁয়াও-

“ভয়! আমাকে! কেন!”- দাঁড়িয়ে ছিল, বসে পড়ে ও- “আপু ভয় পায় কেন? মিঁয়াও ভয় পেতে হয়?”- লেজটাকে গুটিয়ে নিয়ে পায়ের ঠিক নীচটায় আলতো করে ওকে তুলে নিতে নিতেই নিতুন প্রশ্ন করে, “সেটাই তো বলছি!”- মিঁয়াও বলে আপনমনে-হিসাব মেলাতে পারে না কোনমতে!

“নেমে আয় দেখি এবার, বেড়াল ভয় পায়! অদ্ভুত!”- নিতুনের আম্মুর গলা ভেসে আসে আবার- “জান না তো তুমি খালামনি! অসুখ হয়! আম্মু বলেছে!”- খালামনি-ডাকিয়ে উত্তরে বলে। “তোর আম্মু- উ-ফ-ফ- নেই তো এখন রুমে- নেমে আয়!”- আবার নিতুনের আম্মুর গলা ভেসে আসে- গলায় হাসি এবার- “তোর আম্মুও যা করল সেদিন”-

“অন্য কারো কথা হচ্ছে নাকি! তাহলে ত ঐ একজনই আছে”- নিতুনের আম্মু তো নিতুনের আম্মু- মিঁয়াও এরই হাসি পেয়ে যায় এবার- চট করে মনে পড়ে যায় সব-

সেদিনও ঘুমিয়েই ছিল, সন্ধ্যার পর অবশ্য। সোফাতেই শুয়ে ছিল মিঁয়াও, নিতুনের আম্মুর কোল ঘেঁষে- কখন ঘুম এসেছে মনে নাই। হঠাৎ কী একটা এসে পড়ল শরীরে-

“অ-অ-অ-মা-গো”- চাপে কঁকিয়ে উঠল ও একদম, লেজ আর পা উদ্ধার করার চেষ্টা করতে গেল আচমকা, দাঁতে দাঁত চেপে “ম্যা-এ-এ-এ-এ-ও!” করে সামনের পা বাড়িয়ে কোনমতে ঝটকা দিল ওটাকে- একটা খামচিও বসিয়ে দিল- “সা-ব-ধা-ন- তুই-যে-ই-হোস!”

“আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ”- আজকের সাথে মিলিয়ে নেয় মিঁয়াও, গোঁফ নাচিয়ে একচোট হেসে নেয়- “এই জন্যই তো বলি, চেনা কেন লাগে!”

“আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ- বে-ড়া-ল!”- ততক্ষণে বুঝে নিয়েছে মিঁয়াও, ইনিও মানুষ, নিতুনদের মতই, কাজেই সামলে নিয়েছে নিজেকে, পা গুটিয়ে নিয়েছে, গায়ের লোমগুলো আবার বসে যাচ্ছে দাঁড় হওয়া অবস্থা থেকে- একটু পিছিয়েও এসেছে বটে- তবে চোখ সরায়নি-

“করেছ কি তুমি!”- নিতুনের আম্মু আসেন পাশের রুম থেকে- “ওর ওপর বসে পড়নি তো! ওর আওয়াজ পেলাম মনে হল!”

“তুই-তুই-তুই-তুই-তুই”- কথা খুঁজে পাননি তখনো নতুনজন- “বেড়াল পালিস!”- কোনমতে বলেন- “কেন?????”- এবার শেষ করেন তিনি। ঝট করে শরীর ঝাড়েন- “তাত্তাড়ি স্যাভলন নিয়ায়- খামচে দিয়েছে রে- কী হবে রে”- হা হা করে ওঠেন একেবারে- “আগে বলবি না তুই”- গলায় রাগও দেখান একটু-

“আপু তোমার সবকিছুতেই বেশি বেশি- হাত ধুয়ে নাও, যাও”- নিতুনের আম্মুর হাসি ফুরায়নি তখনো- “কিছু হবে না!” “জানিস তো খুব- মানিস না কিছু”- গজগজ করতে করতে নিতুনের আম্মুর আপু ঘর ছাড়েন- “বেড়াল! হাহ! বেড়াল! কী যে পাস বেড়ালে”-

মনে আছে মিঁয়াও এর- প্রতিবাদ করতে ছাড়েনি ও- “বেড়াল না আমি, মিঁয়াও!”- মনে করিয়ে দিয়েছে পেছন থেকে- “কী বিচ্ছিরি করে ডাকে রে বাবা!”- চলে যাওয়া নিতুনের আম্মুর আপুর কথা গা জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছিল একদম।

“তোর আবার কী হল, ব্যথা পাসনি তো?”- মাথায় ঘাড়ে আর পিঠে নিতুনের আম্মুর ছোঁয়া অবশ্য মন ভাল করে দিতে সময় নেয়নি একদম। “আপু যে কেন ভয় পায় এখনো, কে জানে!”- নিতুনের আম্মুর সাথে মিঁয়াও একমত না হয়ে পারেনি।

চেষ্টাও করেছে তাই, এরপরে। ভয় না পাওয়ানোর। কিছুতেই কিছু হল না!

আর সবার মত করে আস্তে করে গা ঘেষে পায়ের কাছে দাঁড়িয়েছে। “আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ!”
পছন্দ না হলে কখনো করে না, তবুও লেজটা পায়ে ঘষে দিয়েছে। “আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ!”
যার তার সাথে করার অভ্যাস নেই, তবু হাঁটার সময় পায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। “আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ!”
অত বড় বড় নখ, মুখে খোঁচা লাগতে পারে জেনেও হাতের আঙ্গুল নাড়তে দেখে আস্তে করে কামড়ে দিয়েছে। “আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ!”
আর কেউ না থাকলে অপরিচিত কারো ধারে কাছে থাকার অভ্যাস নেই, তবু পাশে গিয়ে বসেছে। “আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ!”

“কী আজব!”- মিঁয়াও এখনো বুঝে পায় না- এমন করার কী আছে! তবু ও হাল ছাড়েনি- শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে- কেবল নিতুনের আম্মুর আপু বলেই- শেষদিনে-

ঘুমিয়ে ছিলেন উনি বিছানায়। ও আস্তে করে পাশে গিয়ে শুয়েছে, হাতের কাছটাতেই। একটুক্ষণ পরেই- উনি হাত রাখলেন ওর গায়ে। খুব খুশি তখন ও- একবার হাত বুলিয়ে দিলেন গায়ে, এরপর আরেকবার। এরপর একটু থেমে গেল যেন- এরপর এবার কেমন চাপ দিলেন একটা, পেট বরাবর, আবার হাত বুলালেন, আবার চাপ দিলেন- এবার জোরে-

“কী হল বাপু! এমন কর ক্যান!”- মিঁয়াও আর চুপ থাকতে পারেনি। এরপর আর কি- সেই “আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ!” আর তারপরেই থ-অ-অ-প-প! চেষ্টা করেছিল মিঁয়াও, সামনের পা বাড়িয়ে দিয়ে, সাহায্য করতে- উনার ইচ্ছা থাকতে হবে তো নেয়ার!

“থাকব না তোর বাড়িতে”- নিতুনের আম্মুর আপু পরদিনই চলে গিয়েছিলেন- “বেড়াল এইটা না বান্দর!” বড় বড় চোখে তাকিয়েছিলেন ওর দিকে! “বেড়াল না, মিঁয়াও!”- থাবা চাটা থামিয়ে আবারো মনে করিয়ে দিয়েছিল ও- কিন্তু একটা ব্যাপার তখনো বোঝেনি- এখনো না- ‘বান্দর’ জিনিসটাই বা কি আর ও ‘বান্দর’ হবেই বা কেন!

নিতুনের রুমের বালিশের স্তুপে কোনায় শুয়ে পড়তে পড়তে বড় চিন্তিত হয়ে পড়ে মিঁয়াও। আর একটু ঘুমও পায়- চিন্তা এলে কেন ঘুমও আসতে হবে এ ব্যাপারটা এতদিনেও বুঝে উঠতে পারল না ও।


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি অনেকদিন ভেবেছি মিঁয়াও-এর হলোটা কী? কিন্তু জিজ্ঞেস করবো কাকে? আপনি তো আর এই পাড়ার রাস্তা মাড়ান না। আর অন্য কোন উপায়ও তো আমার জানা নেই। যাকগে, অবশেষে মিয়াঁও-এর দেখা পাওয়া গেলো।

আরেক ফেব্রুয়ারি তো চলমান, মিয়াঁও আর লাল খাতা বাঁধাই হবে কবে?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তিথীডোর এর ছবি

আরেক ফেব্রুয়ারি তো চলমান, মিয়াঁও আর লাল খাতা বাঁধাই হবে কবে?

২০১৬'র ফেব্রুয়ারিতে, অবশ্যই, ইনশাল্লাহ! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মর্ম এর ছবি

২০১৬'র ফেব্রুয়ারিতে, অবশ্যই, ইনশাল্লাহ!

বটে? হলে মন্দ কী! দেঁতো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

মর্ম এর ছবি

ক।

আরেক ফেব্রুয়ারি তো চলমান, মিয়াঁও আর লাল খাতা বাঁধাই হবে কবে?

আপনি বললেন? সাংঘাতিক ভাল লাগল পাণ্ডবদা। ইচ্ছা যে হয়নি কখনো তা তো না- তবে কি না, এক আলসে মানুষ, তায় আবার কারুকে চিনি টিনি না, কাজেই ইচ্ছা কখনো বাস্তবের দিকে এগোয়নি।

খ। রাস্তা মাড়াই না নাকি মাড়ানোর পথে 'বাঁধা' পেরোতে পারি না সেটাই প্রশ্ন! তবে আসি মাঝে মাঝে, লেখা পড়ে মন্তব্য করে যাই- কখনো পাঠক পর্যন্ত পৌঁছায় কখনো পৌঁছায় না, এই আর কি! ইয়ে, মানে...

গ। এতদিন পরেও 'মিঁয়াও' কে যে মনে রেখেছেন সেটাই কি কম পাওয়া?

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

তিথীডোর এর ছবি

বাঁধা = বন্ধন, বাধা = প্রতিবন্ধকতা। এখানে পরেরটা হবে। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এক লহমা এর ছবি

হাততালি
অনেকদিন বাদে মিঁয়াও-এর দেখা পাওয়া গেল। আশা করি এবার আরো ঘনঘন তার দেখা পাওয়া যাবে। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মর্ম এর ছবি

আমিও আশা করি খাইছে

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

বড় সুন্দর হাসি

দেবদ্যুতি

মর্ম এর ছবি

আপনার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আমার শ্বশুরবাড়ির সবার ভীষণ বিড়াল প্রেম ছিল। আমার মেয়ের বাবা সেই ভোমলা আর ওর বোনকে নিয়ে এত আহ্লাদী করতো যে আমার হিংসেই হতো, পরে ভোমলার সাথে আমারও খাতির হয়ে গেল। ভোমলাকে নিয়ে একটা গপ্পও লিখেছিলাম। ভোমলা একদিন মারা গেল, কি খেয়ে এসেছিল যেন বাইরে থেকে। বাড়ির সবার অবস্থা কি হয়েছিল আর নাই বা বললাম। মিঁয়াও পরিক্রমায় সাথী হবো আশা করি। ভাল লেগেছে খুব খুব।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হু, লাল খাতাটা তাড়াতাড়ি বাঁধা হোক এই দাবিতে তালগাছটা আপনাকে দিলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

আহা কতদিন পরে এলো মিঁয়াও! বেশ লাগলো পড়তে উত্তম জাঝা!
বই ছাপানোর আগে দস্তখত অনুশীলন বাধ্যতামূলক করা হউক।
কারণ অনেক লেখকই দেখা যায় হাতে লেখা ভালু না কয়ে সঁটকে পড়েন।
মর্ম এমনটা কইলেই কিল পড়বে পিঠে। তাই পিঠ বাঁচানো ফরজ।
পরের পোস্টটা কবে আসবে হে?

তিথীডোর এর ছবি

কারণ অনেক লেখককেই দেখা যায় হাতে লেখা ভালু না কয়ে টকে পড়েন। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো বাঘের ওপর ঘোগের বাসা? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

হো হো হো
ব্যাপুক ধরা ওঁয়া ওঁয়া তবে বলে নেয়া ভালু, আমি মোটেও বানান বিশারদ নই।
কেবল মাত্র শেখা শুরু করেছি চাল্লু
তিথীর এই হাচল বান্ধব ব্যাপারটা আমার ভীষণ পিয়!
চন্দ্রবিন্দু নিয়ে আমার কিঞ্চিৎ দুর্বলতা আছে, মনে হয় পিতিমির সব অক্ষরের উপর ওটা বসিয়ে দেই। অনেকককককক ধন্যবাদ তিথী। সাথে থেকো সব সময় হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চন্দ্রবিন্দু নিয়ে আমার কিঞ্চিৎ দুর্বলতা আছে,
মনে হয় পিতিমির সব অক্ষরের উপর ওটা বসিয়ে দেই।

ইয়ে, মানে... আপনি জীবজগতের সদস্য তো? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।