ডিটেকটিভ গল্প: সেলিব্রিটি প্রবলেমস ৫

জ্বিনের বাদশা এর ছবি
লিখেছেন জ্বিনের বাদশা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৮/২০০৭ - ৭:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনুষ্ঠান শুরু হবার সাথেসাথেই কাঁচের দেয়ালের ওপাশের রূমে, অর্থাৎ, স্টুডিওতে যেন প্রজাপতি নেচে উঠল। প্রথমে দেখে যে লুৎফাকে সাধারন গম্ভীর ধরনের মেয়ে মনে হচ্ছিল, তাকে দেখা গেল অসম্ভবরকম চঞ্চল হয়ে উঠতে। কি সুন্দর করে চুলের বেনী আলতো করে দুপাশে নাড়িয়ে নাড়িয়ে এবং একইসাথে মাইক্রোফোনের সামনে মুখ রেখে অনবরত কথা বল যাচ্ছে! আর প্রতি মুহূর্তেই অদ্ভুত রকমের আকর্ষণীয় এক ভুবনজয়ী হাসি দিয়ে পরিবেশটাকে যেন অর্কেস্ট্রা সঙ্গীতেও মাতিয়ে রেখেছে রেখেছে সে। তার পাশেই সারাক্ষণ গম্ভীরমুখে বসে থাকা আখতার এখন রেশমাকে তার কর্তব্য সম্পর্কে কিছু কিছু করে ব্রিফ করে বুঝিয়ে দিচ্ছে, হাসনাইন স্পষ্ট দেখতে পায় যে রেশমা কিছুক্ষণ পরপরই হাসিতে ঢলে পড়ছে। বুঝতে অসুবিধা হয়না যে আখতার নিশ্চয়ই খুব মজার কোন ক্যারেক্টার হবে, সেন্স অভ হিউমার খুব চমৎকার! 'সময় পেলে আখতারের সাথে অবশ্যই কথা বলতে হবে', মনে মনে কাজ বাড়ায় হাসনাইন।

দর্শকদের উদ্দেশ্যে কথা বলা শেষ হলে মাইক্রোফোনে ইউ.এস. টপচার্টের নম্বর ৪ গানটা ছেড়ে দিয়ে নিজের চেয়ারটাকে একটু সরিয়ে এনে আখতার আর রেশমার সাথে যোগ দেয় লুৎফা। কি কথা হচ্ছে কিছুই শোনা যাচ্ছেনা, তবে হঠাৎ হঠাৎ করে তিনজনকে হাসিতে ফেটে পড়তে দেখা যাচ্ছে। রেডিওতে বাজতে থাকা গানটা ঠিক এই মুহূর্তে হাসনাইনরা বসে থাকা রূমে, অর্থাৎ তারুণ্যের অফিস রূমে বি.জি.এম হিসেবেও বাজছে। গানের তালে তালে যেন অফিসের সবার, সবার বলতে যদিও এই মুহূর্তে হাসনাইন নিজে, লাবু ভাই, টেকনিকাল হ্যান্ড একজন যার নাম টুটুল আর হামিদ সাহেব আছেন -- এদের সবার মাঝেই একটু করে যার সংক্রমণ হয়েছে, তা হলো ড্যান্স, বা ড্যান্সকে বাড়িয়ে বলা হলেও গানের তালে তালে কোমরের দুলুনি বলা যায় অনায়াসেই।

পাঁচ ছয় মিনিট যেতে না যেতেই হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে স্টুডিওতে, লুৎফা চটপট ফোন ধরে। এটা তারুণ্যের অনুষ্ঠানে রেশমার কাছে আসা শ্রোতাদের প্রথম ফোন, লুৎফা আর আখতারের গালভরা হাসি। সাধারণত এরকম লাইভ অনুষ্ঠানে যদি কেউ ফোন না করে তাহলে শিল্পী ভীষন ইনসাল্টেড ফিল করেন, যেজন্য রেডিও স্টেশনের লোকেরা নিজেরাই কয়েকজনকে ঠিক করে রাখেন ফোন করার জন্য; নিয়ম হলো, অনুষ্ঠান শুরু হবার পর প্রথম ১৫ মিনিটে যদি কেউ ফোন না করে তাহলে সেসব ভাড়া করা শ্রোতারা ফোন করেন। সেকারণে, ১৫ মিনিটের আগে ফোন এলে লুৎফা আর আখতার দুজনেই খুব খুশী হয়, কারণ তাদের অনুষ্ঠান ভাল চলছে এটা তার একটা প্রমাণ হিসেবে দাঁড়ায়। অবশ্য আজকের গেস্টকে নিয়ে দুজনের কারুরই তেমন টেনশন ছিলনা, বরং ভক্তদের ফোনের যন্ত্রণায় অনুষ্ঠান চালাতে পারবে কিনা, রেশমার সাথে যথাযথ পরিমাণ কথা বলতে পারবে কিনা সেটা নিয়েই দুজন চিন্তিত ছিল বেশী।

ফোন বেজে ওঠার সাথেসাথেই লুৎফা আর আখতারের মুখ যতটা আলোকিত হলো, ততটাই অন্ধকারাচ্ছন্ন হলো রেশমার মুখ; সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন মুখ দেখেই হাসনাইন ধরতে পারে যে রেশমা ভয় করছে এই ভেবে যে এই ফোনটা যদি সেই 'লোকটা'র হয়! প্রচন্ড ভয় নিয়ে খানিকটা আশ্বাসের আশাতেই হয়ত ওপার থেকে হাসনাইনের দিকে মুখ তুলে চাইল রেশমা, যেন এক বুক ভরা আকুতি, 'আমার পাশে থেকো, আমাকে রক্ষা কোরো।' এভাবে ভাবতেই বেশী ভালো লাগে হাসনাইনের।
হাসনাইনের শরীরে বিদ্যুত খেলে যায়, পুলক অনুভব করে সে ঠিকই, কিন্তু পরমুহূর্তেই খানিকটা শক্ত হয়ে নড়েচড়ে বসে। তবে হাসনাইন বুঝতে পারে তার এই হঠাৎ শক্ত হয়ে যাওয়া দেখেই রেশমা বেশী আশ্বস্ত হয়েছে, অজান্তেই মৃদু হেসে ওঠে সে। রেশমাও হাসে, যেন অদ্ভুত এক যোগাযোগ স্থাপিত হয়ে গেছে দুজনের মাঝে, প্রতিরক্ষার আকুতি আর সামর্থ্যের মাঝে।

তবে হাসনাইন একধরনের দ্বিধবোধও অনুভব করে সেই মুহূর্তে; তার আজন্ম সাধ ছিল রহস্য সমাধান করা, সেজন্যই অনেক ভাল ভাল চাকরীর অফার বাদ দিয়ে সে ডি.বিতে ঢুকেছে; আজ তার প্রথম তদন্ত, আর এখনই তার ভেতরের আরেকটা মন নেচে উঠেছে? তাও ব্যাপারটা এমন, যে এটার ঘটার কোন সম্ভাবনাই নেই বলতে গেলে। তারমতো ছাপোষা চুনোপুঁটি গোয়েন্দার সাথে কিভাবে শহরের সবচেয়ে নামকরা সেলিব্রিটির কিছু হবে! ঘটনার রহস্যের চেয়ে নারীর রহস্যের ব্যাপারে মনে জেগে ওঠা এই অতিরিক্ত আগ্রহের কারণে নিজেকে খানিকটা কপট রাগও দেখায় সে মনে মনে। কিছুটা হতাশও বোধ করে সে নিজের ব্যাপারে, কিন্তু একদৃষ্টে রেশমার দিকে তাকিয়ে থাকাটার সাথে সে কোনভাবেই আপোষ করতে পারেনা। নিজের ডেস্ক থেকে লাবুভাই দেখতে পায় যে কাঁচের দরজার এপাশে একদিকে নতুন গোয়েন্দাবিভাগের লোক হাসনাইন আর অন্যদিকে তার নিজের মালিক হামিদ বসে বসে প্রায় হা করে রেশমার দিকে তাকিয়ে আছেন। লাবু ভাই'র মুচকি হাসি মুচকিতর হয়, হাতেধরা সিগারেট শুধুশুধু পুড়ে অপচয় হয়।

অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ তে আর শেষ হবে ১০ টায়, এর মাঝে ৮টা ৩০ থেকে ৮ টা ৪৫ পর্যন্ত ব্রেক, সে সময়টুকু রেডিওতে খবর চলবে; আর তখন অফিসে সবাই মিলে তেহারী খাবে -- এটা আজকের স্কেজ্যুল। তাও আজকের মেন্যু আবার ফখরুদ্দিনের তেহারী, তারুণ্যের দিনকাল ভাল যাচ্ছে বলতেই হয়। লাবু ভাই নিজে এই প্রোগ্রামটার ডিরেক্টর হলেও তার বিশেষ কোন কাজ নেই, তাই তিনি এসব টুকটাক নিয়ে, অর্থাৎ স্কেজ্যুল প্ল্যানিং, বাজেট সামনলানো নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, অনুষ্ঠান মূলতঃ আখতার আর লুৎফাই সামলায়, মিউজিক নিয়ে ওদের জানাশোনা অন্য মাত্রার। আজ টেকনিকাল হ্যান্ড দু'জনের একজন আসেনি, তার নাম ফিরোজ। লাবু ভাই তাই বাজেটের সেই অংশটা হাসনাইনের নামে চালিয়ে দেবেন বলে ভাবছেন। হামিদ সাহেবকে দেখতে যুবক, খোলামেলা মনের মনে হলেও লাবু ভাইয়ের ধারনা লোকটা হাড়কিপ্টে।

হামিদ সাহেব প্রতিটি খরচ মেপে মেপে করেন, একদিন এর মধ্যে লুৎফাকে জিজ্ঞেসও করেছেন যে পিৎজা হাটের পিৎজা রাতে ঠান্ডা হয়ে গেলে হাফপ্রাইসে দেয় কিনা; হামিদ সাহেব যখন ইতালী ঘুরতে গিয়েছিলেন তখন নাকি হোটেলের পাশে এমন ব্যবস্থা ছিল, রাত এগারোটার পর পুরোনো পিৎজা গরম করে অর্ধেক দামে বিক্রী করা হতো। এই লোকের কাছে হাসনাইন আর তার দুই ঈগলস আইয়ের জন্য রাতের খাবারের আলাদা টাকা বরাদ্দ চেয়ে দুকথা শুনতে হবে এটা ভাবতে লাবু ভাইয়ের ভাল লাগছেনা। তার নিজের পকেটের অবস্থাও শোচনীয়, রেডিও স্টেশনের চাকুরী, বেতন তো বেশীনা। তিনি বুঝতে পারছেননা, শুধু হাসনাইনের জন্য তেহারী আনাবেন নাকি ঈগলস আই দুটোসহ তিনজনের জন্যই! ব্যাপারটা কিভাবে ট্যাকল করবেন ভাবতেই ঘেমে যাচ্ছেন তিনি। বারবার হাসনাইনের দিকে আড়চোখে দেখে ভাবছেন কিভাবে কথা পাড়া যায়।

হাসনাইন বসে বসে রেশমাকে দেখে আর তার সমস্যাটি নিয়ে ভাবে। সে মোটামুটি নিশ্চিত যে একদম অচেনা কোন লোক কাজটা করছেনা। আবার এমনও হতে পারে যে একজন না বরং কয়েকজন মিলেই করছে হয়ত, যদিও সেব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলা যায়না এখনও। তবে হাসনাইন বুঝতে পারেনা এই অফিসের কাউকে সন্দেহ করা ঠিক হবে কিনা! কারণ, এদের কারুর সাথেই রেশমার তেমন কোন মেলামেশা নেই, এককথায় এরা স্ট্রেঞ্জার্স বা অপরিচিতই। কিন্তু সবার সাথে তাও কথা বলে জেনে রাখা দরকার, অন্তত লাবু ভাই আর হামিদ সাহেবের সাথে। কিন্তু কি জিজ্ঞেস করবে সেটা নিয়েও সে একটু দ্বিধান্বিত বোধ করে, বিনা কারণে তো আর একজনকে ধরে বেঁধে জেরা করা যায়না! একটা ব্যাপার হতে পারে যে, রেশমা সম্পর্কে তারা কতটুকু জানে সেটা জিজ্ঞেস করা। কোন ক্লু হয়তো বেরও হয়ে আসতে পারে।

লাবু ভাইয়ের সাথে কথা জমাবার চেষ্টা করে হাসনাইন ,'প্রতি শুক্রবার এত লম্বা একটা প্রোগ্রাম লাইভ চালু করেন! আপনার সাহস আছে, লাবু সাহেব।'

'তা কিছুটা তো আছেই। তবে আমি এ লাইনে প্রফেশনাল তো! এর আগে বাংলাদেশ বেতারে কাজ করতাম, পেমেন্ট ভাল ছিলনা। এখনও যে খুব ভাল তা না, তবে চলে যায় আরকি। বউ-ছেলে-মেয়ে নিয়ে।' লাবু একনাগাড়ে বলে যায়, 'হামিদ সাহেবকে আমি কত বলি যে এ্যাডের সংখ্যা বাড়ান, আমাদের রেডিও স্টেশন এখন ভীষন জনপ্রিয়, কাজেই এ্যাডের রেটও বাড়াতে পারেন। বস্ তো আমার কথা শুনেইনা!! ওদিকে কমবেতনের ঝক্কিটা তো আমাদের উপর দিয়ে।'

'হুমম' হাসনাইন কি বলবে ভাবতে থাকে; একটু থেমে থেমে বলে যায়, 'আপনাদের কাজটা ইন্টারেস্টিং আর ক্রিয়েটিভ। আপনি তো আপনার প্রোগ্রামের সিডি বের করতে পারেন। তাহলে কিছুটা চলবে, আপনারও আয় হবে।'

'কপিরাইট!!' দীর্ঘশ্বাসের সাথেসাথে লাবু ভাই বলে যান,'কপিরাইটই তো মেরে দিল। তারুণ্যের সবপ্রোগ্রামের কপিরাইট কোম্পানীর নিজের।'

'তাই নাকি?' খানিকটা মেকি আশ্চর্যবোধ প্রদর্শন করে হাসনাইন।

কপিরাইট আইন সম্পর্কে সে বিশেষ জানেনা, জানতে হবে। টুক করে পকেট ডায়রীটা খুলে নিয়ে 'টু বি লার্নড' লিস্টের পেজে 'কপিরাইট ল'জ' শব্দটা লিখে নেয়।

তারপর লাবু ভাইকে বলে,' আচ্ছা আমি দেখব আপনার জন্য কিছু করা যায় কিনা, আই মিন ইফ আই গেট এনি আইডিয়া।'

লাবু ভাই স্তম্ভিত চোখে তাকায়, মনে মনে ভাবে, 'বলে কি এই পাগল! পুলিশরা এরকম জায়গায় জায়গায় পরোপকার করে বেড়ায় নাকি!!'

হাসনাইন কথা চালিয়ে যায়, 'রেশমার প্রোগ্রাম যেহেতু আজ নিশ্চয়ই অনেক বেশী শ্রোতা শুনবে?'

'হ্যাঁ, সেটা সন্দেহের ঊর্ধে। দেখছেননা? কিভাবে ফোন আসছে! আজ মনে হচ্ছে আখতারও বিরক্ত কাজের চাপে। রেশমা আসলেই ভাল পারফর্মার।' লাবু ভাইয়ের সুখী সুখী গলা। আজ শ্রোতার পার্সেন্টেজ ২০% অতিক্রম করবেই, এটা তার বিশাল আনন্দের বিষয়। কারণ, ২০% ক্রস করা সন্ধ্যার অনুষ্ঠান তারুণ্যের রেডিওতে এবারই প্রথম হতে যাচ্ছে।

'হুমম, উনার গানের গলা আসলেই ভাল।' হাসনাইন কথা চালিয়ে যায়, 'আপনার অফিস থেকে তো রেশমা গলা সাধলে শোনার কথা, রাস্তার ওপাশেই নাকি তার এ্যাপর্টমেন্ট?'

'কি বললেন?' লাবু ভাই উত্তেজিতভাবে বলেন, 'কবে থেকে উনি এতকাছে থাকেন? আমি তো জানতাম রেশমা ম্যাডাম থাকেন বারিধারা! বনানীতে শিফটই বা করল কবে?'

হাসনাইন কাঁচুমাচু চেহারায় মৃদু হেসে বলল, 'তাই নাকি? তাহলে আমার ভুল হয়েছে, একটু আগে উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কোথায় থাকেন, উনি রাস্তার দিকে হাত দেখিয়ে বললেন 'ঐ তো ওখানে', আমি ভাবলাম রাস্তার ঐপাড়ের এ্যাপার্টমেন্টটাই কিনা।'

'আরে! মেয়েরা অমনেই বলে।' লাবু ভাই এখন লেকচার মোডে চলে যান, 'আপনে সচ্চরিত্র ডি.বি হোন আর আমি লুচ্চা মাতাল লাবু হই, মেয়েদের কাছে আমরা সবাই পুরুষ। আপনাকে নিজের ঠিকানা ফোন নাম্বার দেওয়ার আগে গাঁইগুঁই করবেই।'

লাবু ভাই একটু থেমে এবার খানিকটা চোরা হাসি হেসে হাসনাইন কে জিজ্ঞেস করলেন, 'লাগবে নাকি, ইনস্পেক্টর? গায়িকা-নায়িকাদের ফোন নাম্বার? লাগলে বইলেন। হা হা হা।'

'আরে নাহ্' হাসনাইন কথা কাটাবার চেষ্টা করে।

অনুষ্ঠান চলতে থাকে, লাবু ভাই সিগারেট ধরিয়ে জানালার কাছে চলে যান, লাবু ভাই সম্পর্কে হাসনাইন তার ধারনাগুলো মেলাতে শুরু করতে থাকে। এক কথায়ই লাবু ভাইকে সন্দেহ তালিকা থেকে বাদ দেয়া যায়, তা নাহলে রেশমার ভুল ঠিকানা শোনার পর অতটা চমকাতোনা। হাসনাইন ইচ্ছে করেই রেশমার ভুল ঠিকানা বলে দেখতে চেয়েছে লাবু ভাইর রিয়্যাকশন কি? লাবু ভাইর সৎ রিয়্যাকশনের জেনারেল অর্থ হলো, সে কিছু ঢাকার চেষ্টা করছেনা; তবে তার হাতে অনেক নায়িকা আর গায়িকার নাম্বার আছে, তিনি ভুলে ভালে এমন কাউকে নাম্বার দিতে পারেন যে হয়তো অপরাধী। এমনকি তিনিও হয়তো কাউকে দিয়ে করাতে পারেন, যদিও সেটার কোন কারণ এই মুহূর্তে চোখে পড়ছেনা। কিন্তু যেই করে থাকুক, সাজানো হোক বা সিরিয়াস হোক, সে কেন এটা করছে -- এটাই আসল প্রশ্ন, এটাই জানতে হবে। আপাততঃ, এই একটি প্রশ্নই হাসনাইনকে কুরে কুরে খায়।

কেন ডিস্টার্ব করছে? ক্রেজী ভক্ত হলে একটা কথা ছিল, কিন্তু হাসনাইন কোনভাবেই মানতে পারছেনা এই ঘটনাগুলো কোন ক্রেজী ভক্তের। যদিও এখন পর্যন্ত সে এই ঘটনার ব্যাপারে তেমন কোন ক্লু পাচ্ছেনা, তবুও তার ধারনা এটা পরিকল্পিত ব্যাপার। আর তার এই ধারনা ঠিক হলে এরসাথে জড়িত অন্তত একজনকে সে চিহ্নিত করতে পেরেছে।

*********************************
সুপ্রিয় পাঠক, আপনি কি পেরেছেন?


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আরে,লেখক সাহেব কি পাঠককে দিয়েই রহস্য সমাধান করাতে চান নাকি?

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

হুমমম, আমাদের গোয়েন্দাটা একটু বোকাসোকা তো! তাই হাসি

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

জ্বিনের বাদশার কাজ হলো পাঠকের মাথার ঘিলু গুলোকে একটা ঝাঁকুনি দেয়া। ধাঁধা দিয়ে চক্কর দেয়ায়। এখন গল্প লিখে ওখানেও ফুটনোট! হা হা হা।
পড়ছি। ভালো লাগছে।
ভ্রাত: চুপিচুপি বলেন তো - মিডিয়ার এ লোকগুলোতো আপনার খুব কাছের মনে হচ্ছে। আসলেই?

অতিথি এর ছবি

লুইচ্চা মাতাল লাবু ভাই-ই সব নষ্টের গোড়া :)।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

শিমুল, সেটা কফি খেতে খেতে আলাপ করব চোখ টিপি

অতিথি, হামিদ থেকে লাবু ভাই? হাসি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।