কি পোলারে বাঘে খাইলো? (চরমপত্র পাঠ)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/১২/২০০৮ - ১:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১

কি পোলারে বাঘে খাইলো? শ্যাষ। আইজ থাইক্যা বঙ্গাল মুলুকে মছুয়াগো রাজত্ব শ্যাষ। ঠাস্ কইয়্যা একটা আওয়াজ হইলো। কি হইলো? কি হইলো? ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পিঁয়াজী সাবে চেয়ার থনে চিত্তর হইয়া পইড়া গেছিলো। আট হাজার আষ্টশ চুরাদি দিন আগে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট তারিখে মুছলমান-মুছলমান ভাই-ভাই কইয়া, করাচী-লাহুর-পিন্ডির মছুয়া মহারাজরা বঙ্গাল মুলুকে যে রাজত্ব কায়েম করছিল, আইজ তার খতম্ তারাবী হইয়া গেল।

বাঙ্গালি পোলাপান বিচ্চুরা দুইশ পঁয়ষট্টি দিন ধইর‌্যা বাঙ্গাল মুলুকের ক্যাদো আর প্যাকের মইদ্দে World- এর Best পাইটিং ফোর্সগো পাইয়া, আরে বাড়িরে বাড়ি। ভোমা ভোমা সাইজের মছুয়াগুলা ঘঁত্ ঘঁত্ কইরা দম ফ্যালাইলো। 'ইরাবতীতে জনম যার ইছামতীতে মরণ।' আত্কা আমাগো চক বাজারের ছক্কু মিয়া ফাল্ পাইড়্যা উডলো, 'ভাইসা'ব, আমাগো চক বাচারের চৌ-রাস্তার মাইদ্দে পাথর দিয়া একটা সাইনবোর্ড মছুয়া নামে এক কিছিমের মাল আছিলো। হেগো চোটপাট বাইড়া যাওনের গতিকে হাজারে হাজার বাঙ্গালি বিচ্চু হেগো চুটিয়া-মানে কিনা পিঁপড়ার মতো ডইল্যা শেষ করছিল। এই কিছিমের গেনজামরেই কেতাবের মাইদ্দে লিইখ্যা থুইছে 'পিপীলিকার পাখা উঠে মরিবার তরে।' টিক্কা-মালেক্যা গেল তল, পিঁয়াজ বলে কত জল?

২৫ শা মার্চ তারিখে সেনাপতি ইয়াহিয়া খান বাঙ্গালিগো বেশুমার মার্ডার করনের আর্ডার দিয়া কি চোটপাট। জেনারেল টিক্কা খান হেই আর্ডার পাইয়া ৩০ লাখ বাঙ্গালির খুন দিয়া গোসল করলো। তারপর, বঙ্গাল মুলুকের খাল-খন্দক, দরিয়া-পাহাড়, গেরাম-বন্দরের মাইদ্দে তৈরি হইলো বিচ্চু। 'যেই রকম বুনোওল, সেইরকম বাঘা তেঁতুল।' গেরামের পোলাপান যেমতে কইর‌্যা বদমাইশ লোকের গতরের মাইদ্দে চোত্রা পাতা ঘইস্যা দেয়, বিচ্চুগো হেই রকম কাম শুরু হইয়া গেল। হেই কাম Begin. ঢাঁই-ই-ই-ই। কি হইলো কি হইলো? ঢাকার মতিঝিলে বিচ্চুগো কারাবর হইলো।

ঘেটাঘ্যাট, ঘেটাঘ্যাট। কি হইলো? কি হইলো? অংপুরের ভুরুঙ্গামারীতে ভোমা ভোমা সাইজের মছুয়ারা হালাক হইলো। কেইসটা কি? কই না তো' আমাগো মানিকগঞ্জ মুন্সীগঞ্জে কোনো টাইমেই মছুয়া আছিলো না তো? মেরহামত মিয়া অক্করে চিক্কুর পাইড়া উঠলো, 'বুঝছি, বুঝছি, পুরা মছুয়া রেজিমেন্টরে আলাদা না পাইয়া প্যাক আর দরিয়ার মাইদ্দে গায়েব কইরা, কী সোন্দর দুই হাত ঝাইড়া বিচ্চুরা কইতাছে, কই না তো? এইদিকে কোনোদিন মছুয়ারা আহে নাই তো?

ব্যাস, মেসিন গানের লগে মেসিন গান; মর্টারের লগে মর্টারের বাইড়া-বাইড়ি শুরু হইয়া গেল। গাবুর বাড়ির চোটে জেনারেল টিক্কা খান খাকিস্তানে ভাগোয়াট্ হইলেন। লগে লগে আবার ছদর ইয়াহিয়া নতুন ট্রিকস কইর‌্যা কয়েকটা বাঙ্গালি হারু মালের মুখে লাগাল লাগাইয়া 'ক্ষেমতা হস্তান্তর করছি', বইল্যা চিল্লাইতে শুরু করলো। ঠ্যাটা মালেক্যা গবর্ণর, One Man পার্টির ছল্লু মিয়া, মাইনকার চরের আবুল কাসেম, খুলনার খবরের কাগজের হকার মাওলানা ইউসুপ্যা, জয়পুরহাটের মাওলানা আব্বাস, ফেনীর ওবায়দুল্লা মজুমদার আর বরিশালের আখতারউদ্দিন মিনিষ্টার হইলেন। হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী। পালের গোদা ছিয়াত্তর বচ্ছর বয়সের বুড়া বিল্লি আস্তে কইর‌্যা ছালার মাইদ্দে তবে বারাইলো। স-অ-ব কামই হিসাব মতো চলতাছে। সাতডা হারু পাট্টিরে এক গোয়ালে তুইল্যা মওলবী সাবের পেরধান মন্ত্রী হওনের চিরকিত্ হইলো। পুরানা তপনের ন্যাকড়া দিয়া উরা বাইনদ্যা বেডায় হাওয়াই জাহাজে পিন্ডি যাইয়া ছদর ইয়াহিয়া খানের অক্করে কোলের মাইদ্দে বইয়া পড়লো।

সেনাপতি ইয়াহিয়া খান যখন আন্তাজ করতে পারলো যে, কোনো ট্রিকসেই আর কাম হইতাছে না, তখন পাকিস্তান আর বঙ্গাল মুলুকের লাড়াইডারে ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের গেনজাম বইল্যা চালু করণের লাইগ্যা ভট্ কইরা কইয়া বইলো, 'আমি কিন্তু আর নিজের আটকাইয়া রাখতে পারতাছি না, আমার লগে নতুন মামু রইছে, বুড়া চাচা রইছে। আমি ইন্ডিয়া Attack করমু।' দিনা দশেকের মাইদ্দে আমি এই কারবার করমু। এইবার আমি নিজেই পিন্ডির থনে বর্ডারে যামুগা।' যেই কাথা, হেই কাম। মাথার Upper Chamber খালি ছদর ইয়াহিয়া- যা থাকে ডুঙ্গির কপালে কইয়া কারবার কইর‌্যা বইলো। কিন্তু মওলবী সাবরে আর Border-এ যাইতে হইলো না। আতকা শরাবন তহুরার গিলাস টেবিলের উপর ঠক কইরা থুইয়া দ্যাহে কী? লাড়াই রাওয়ালপিণ্ডির দরজায় আইস্যা হাজির হইছে। পাশে আজরাইল ফেরেশতা খাতা হাতে খাড়াইয়া রইছে। খাতায় লেখা সাদাপাকা মোটা মোটা ভুরু-ওয়ালা আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান, পিতা Unknown.

হ-অ-অ-অ এইদিকার খবর হুনছেন নি? সবই হবুর কারবার। হবু পেরধান মন্ত্রী চুরুল আমীন, হবু দেশরক্ষা মন্ত্রী মিয়া মোমতাজ মোহাম্মদ দৌলতানা, হবু যোগাযোগমন্ত্রী আগায় খান পাছায় খান খান আব্দুল কাইয়ুম খান, হবু পোস্টপিসের মন্ত্রী ইসলামের যম গোলাম আজম আর হবু ফরিন মিনিস্টার মদারু ভুট্টো। কেউই শপথ লইতে পারে নাইকা-টাইম শর্ট। বঙ্গাল মুলুকের বিচ্চুগো গাজুরিয়া মাইর শুরু হইয়া গেছে। ঠ্যাটা ম্যালেক্যার কী কাঁপন! মওলবী সা'বে বাংকারের মাইদ্দে বইস্যা বল পয়েন্ট কলম দিয়া গবর্ণরের পদ থাইক্যা ইসতফা দিছে। এরেই কয় ঠ্যালার নাম জশমত আলী মোল্লা। বেডায় তার স্যাঙ্গাতগো লইয়া কী সোন্দর হোটেল Intercontinental-এর মাইদ্ হান্দাইছে। কিন্তু মওলবী সা'ব বহুত লেটই কইর‌্যা ফেলাইছে। আপনার ঘেটুগো খবর কি?

ছহি আজাদ পত্রিকার হরলিকের বোতল ছৈয়দ ছাহাদত্ হোসেন, মর্নিং নিউজের এসজিএম বদরুদ্দিন, ছালাউদ্দিন মোহাম্মদ, সংগ্রাম পত্রিকার মাওলানা আখতার খারুক্যা, দৈনিক পাকিস্তানের আহসান আহম্মদ আশক, পাকিস্তান অবজার্ভারের খাসির গুর্দার শুরুয়া খাওইন্যা মাহবুবুল হাক, নেশন্যাল ব্যুরোর দাড়ি নাই মাওলানা ডা: হাসান জামান-খোন্দকার আবুল হামিদ এসব মালেরা অখন কি করবো? প্রাক্তন ফরিন মিনিস্টার হরিবল হাক্ চৌধুরীর কোনো খবর নাইক্যা- সিলেটের হারু মাল চুষ পাজামা মাহমুদ আলীর কোনো আও-শব্দ পাওয়া যাইতাছে না। কি হইলো? এদ্দিন তো শাহ্ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আর দরদী সংঘের দালাল সম্রাট এ.টি. সাদ'দীরে লইয়া খুবই তো ফাল্ পাড়াতাছিলা-মাল-পানি জিন্দাবাদ। এলায় হের করবা কি?

আমার সাজানো বাগান হুকায়া গেল। অ্যা: এ্যা: একটিং জাতিসংঘে মদারু ভুট্টো জেনারেল পিঁয়াজীর ছারেন্ডারের খবর পাইয়া একটিং করছে। পয়লা গরম, তারপর নরম হেরপর আরে কান্দনরে কান্দন! পকেটের রুমাল বাইর কইর‌্যা চোখ মুইচ্ছ্যা নাক Clear কইরা লইলো। চিল্লাইয়া কইলো, 'ছারেন্ডার-ছারেন্ডার তো' Impos-অসম্ভব। আমরা ছারেন্ডার করমু না। আমি পাইট করমু, আমি পাইট করমু। এই না কইয়া মদারু মহারাজ আত্কা গতরের জামাকাপড় থুড়ি-ফ্রান্স-বৃটেনের খসড়া প্রস্তাব টুকরা টুকরা কইর‌্যা ছিইড়্যা ফেলাইয়া ঘেটমেট কইর‌্যা বাইরাইয়া গেল। বাইরাইনের টাইমে ইন্ডিয়া-রাশিয়ার লগে ফ্রান্স-বৃটেনরে তুফান গাইল। সাদা চামড়ার জেন্টেলম্যানরা খালি কইলো, 'যার লাইগ্যা চুরি করি, হেই কয় চুর।'

জাতিসংঘ থাইক্যা আগাশাহীর রুমে আহনের লগে লগে 'মওলবী সা'ব খবর পাইলো, 'খেইল খতম, পয়সা হজম'। আট হাজার আষ্টশ চুরাশী দিনের সোনার হাঁস, মানে কিনা বঙ্গাল মুলুকসহ পাকিস্তান নামে দেশটা শ্যাষ হইয়া গেছে। আমগো ছক্কু মিয়া একটা গুয়ামরি হাসি দিয়া গালটার মাইদ্দে খ্যাকরানি মারলো। কইলো, 'ভাই সাব ২৬ শে মার্চ এই মদারু ভুট্টো ঢাকার থনে করাচীতে ভাগোয়াট্ হইয়া এলান করছিল, 'আল্লায় সারাইছে, ছদর ইয়াহিয়া বেশুমার বাঙ্গালি মার্ডারের অর্ডার দেওনের গতিকে পাকিস্তানডা বাঁইচ্যা গেল।

এলায় কেমন বুঝতাছেন? বিচ্চুগো বাড়ির চোটে হেই পাকিস্তান কেমতে কইর‌্যা ফাকিঁস্তান হইয়া গেল? হেইর লাইগ্যা কইছিলাম, কি পোলারে বাঘে খাইলো? শ্যাষে। আইজ থাইক্যা বঙ্গাল মুলুকে মছুয়াগো রাজত্ব শ্যাষ।

আইজ ১৬ই ডিসেম্বর। চরমপত্রের শ্যাষের দিন আপনাগো বান্দার নামটা কইয়া যাই। বান্দার নাম এম আর আখতার মুকুল।

____________________________________________

মুক্তিযুদ্ধকালে চরমপত্র ছিলো একটা দারুণ জিনিস। যুদ্ধের গতি সঞ্চারে এর ভূমিকা বিরাট। এম আর আখতার মুকুল ভাইয়ের হাত থেকেই বইটা কিনেছিলাম অনেক আগে। মাঝে মাঝে খুব মন খারাপের কালে এই বইটা পড়ি... যতবার পড়ি মনটা আনন্দে ভরে যায়। খুব উদ্দীপনা পাই। সেই চরমপত্রের শেষ পত্র যা ১৬ ডিসেম্বর প্রচার হইছিলো... সেটা তুলে দিলাম...

অফটপিক: বটুমিয়ার পডকাষ্ট খুব মিস করলাম মন খারাপ


মন্তব্য

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

চরমপত্র পড়ে এর আসল মজাটা পাইলাম না । কারও কাছে অডিও থাকলে লিঙ্কটা দিবেন ............ please।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এইটা একসময় আমার মুখস্ত ছিল। আমার মতে সকল বাঙালীর থাকা দরকার। বিশেষ কইরা নাম গুলি।

১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে বইমেলা থিকা একটা ক্যাসেট কিনছিলাম। তাতে ৭ই মার্চের ভাষন, স্বাধীন বাংলাবেতার কেন্দ্রের গান আর এই চরমপত্র ছিল।

সেই ক্যাসেট অর্ধদশকের বেশী টিকে নাই। কম্প্যাক্ট ডিস্ক মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় আসার আগেই তার ফিতায় ফাঙ্গাস পৈড়া গেছিল। এরপর যখন কম্পুর যুগে ঢুকলাম তখন আর ঐ জিনিস খুঁইজা পাই নাই।

সকল সচল এবং সচলয়াতনের সকল শুভানুধ্যায়ীর প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ কেউ কোন ভাবে চরমপত্রের ১৬ ডিসেম্বরের অডিও ফাইলটি ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে বা সংগ্রহ করে ইস্নিপস/আইমীম জাতীয় সাইটে আপলোড করে সচলে লিঙ্ক দিন।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাঙালী জাতির সম্পত্তি। এর আবার কপিরাইট কিসের?



অজ্ঞাতবাস

শিক্ষানবিস এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাঙালী জাতির সম্পত্তি। এর আবার কপিরাইট কিসের?

মন্তব্যে (বিপ্লব)

এনকিদু এর ছবি

দারুন কাজ করেছেন একটা !

ছোট্ট একটা সংশোধনী :

আমাগো চক বাচারের চৌ-রাস্তার মাইদ্দে পাথর দিয়া একটা সাইনবোর্ড মছুয়া নামে এক কিছিমের মাল আছিলো।

হবে :
আমাগো চক বাজারের চৌ-রাস্তার মইদ্দে পাত্থর দিয়া একটা সাইনবোর্ড বানামু, হেইডার মইদ্দে কাউলার দিয়া লেখায়া লমু, " ঊনিশ্‌শো একাত্তর সালের পূর্বে এই দেশে মছুয়া নামে এক কিছিমের মাল আছিল । ...

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এরকম আরো কয়ক্টা আছে।



অজ্ঞাতবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আসলে সকালে খুব জলদির ভিত্রে কম্পোজটা করেছি। সময়াভাব থাকা সত্ত্বেও বিজয় দিবসের এই ব্লগোজাগরণে শামিল থাকার লোভেই আসলে এটা তুলে দিছি চটজলদি। ভুল কিছু থাকা স্বাভাবিক... সময় পেলে ঠিক করে রাখবো।

আর আপনার আগের মন্তব্যটা আসলেই সত্যি... সবারই চরমপত্রটা পড়া উচিত... বিশেষ করে নামগুলা মনে রাখা উচিত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অডিওগুলা কালেক্ট করা দরকার:
লিংক ১ , লিংক ২

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

স্নিগ্ধা এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল এবং অছ্যুৎ বলাই! গান আর চরমপত্র আর সচলাড্ডা আর মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য, সচলায়তনের কল্যাণে সুন্দর বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে হাসি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

অ-সা-ধা-র-ণ!
চরমপত্রের জন্য চরম ধন্যবাদ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রানা মেহের এর ছবি

খুব ভালো লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভালো লাগলো।

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ নজু ভাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ... চরমপত্রের অডিও কালেকশনটা সংগ্রহ করা গেলে ভালো হইতো খুব।
খোঁজ নিবো...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

সত্যিই চরম! সবসময়। আমি ভাবি- 'বান্দা' সেইরকম কপি-রাইটার ছিলেন বটে। শ্রদ্ধেয় মুকুল ভাইয়ের জন্য সালাম।
আর, নজরুল ভাই, আমার পড়াশোনার দৌড় তো বললামই আপনাকে, এই অশিক্ষিত দেশপ্রেমিক আমি এই মাস্টার-পিস জিনিস-টা একসাথে এতটুকু আর পড়িই নাই আগে কোনোদিন, শুনিওনাই। বিনয় আর লজ্জার সঙ্গে স্বীকার করি- আগে টোটাফাটা ছোটাছোটা এক আধটু শোনা ছিল কেবল। তাই, এই পোস্টের জন্য একদম গভীরতম অন্তর থেকে ধন্যবাদ। হাসি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পারলে পইড়েন পুরাটা... এইটা একটা জোশ জিনিস...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হ বস।

অছ্যুত্ বলাই সাহেবের কমেন্ট থেকে লিংক ফলো ক'রে আমি শুনছি এই মুহূর্তে।
উনাকেও ধন্যবাদ। হাসি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

পাঠক এর ছবি

ওহ বস জবর মাল

রু (অতিথি) এর ছবি

অসাধারণ লেখা, নজরুল ভাই। আমার অতি অতি প্রিয় একটা বিষয়। অনেকদিন ধরে আমার ইচ্ছা ছিল উনাকে নিয়ে লিখব। লেখা আসলে শুরুও করেছিলাম মোটামুটি। অনেক কারনে শেষ হয়নি। চরমপত্রের অডিওর কোন কালেকশন পেয়েছিলেন?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।