Md. Musa Ibrahim has been successful to scale Mt. Everest

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৫/২০১০ - ৫:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় নিয়ে সন্দেহ কীভাবে দূর হবে তা জানি না। ওয়েব সাইটে কেন মুসার নাম আসেনি, তাই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিলো। নীচে একটা লিঙ্ক দিলাম, এখানে গিয়ে দেখতে পারেন। সেখান থেকে মুসাকে নিয়ে লেখাটাও তুলে দিলাম।

http://www.himalayanguides.com/news_and_events.php#news04

Md. Musa Ibrahim has been successful to scale Mt. Everest

Md. Musa Ibrahim, member of H.G. International Everest Expedition 2010, has been successful to scale 8,848 meter high Mt. Everest on 23rd May, 2010.

Musa used the North Alpine route on the Tibetan side to conquer the top of the world.

All 26 members of the expedition including 14 Sherpas got to the summit. Besides Musa, six British, three Montenegrins, an American and a Serbian are in the team.

যদিও আমি প্রমাণ করার কোনো দায় বোধ করি না। তবু খারাপ লাগে আমরা কেন অন্যের সাফল্যকে হাসিমুখে মেনে নিতে পারি না?


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

সাব্বাশ!!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দৃশা এর ছবি

গত পরশু প্রথম খবরটা জেনে মারাত্মক খুশি হয়েছিলাম। আমার মা'তো আমাকে একচোট খোঁচাও মেরে দিয়েছিল এই বলে যে 'দেখ মানুষের পোলাপাইন কত বিরাট বিরাট কান্ড ঘটাইতেছে'। খোঁচা গায়ে লাগাই নাই, কারণ আনন্দটাই ছিল মুখ্য।

গতকালের পোস্টটা দেখে বিরক্ত হয়েছিলাম, সঠিক কার উপরে বলা মুশকিল। এটাই মনে হচ্ছিল এমন একটা পোস্ট এই সময় আসা ঠিক হয় নাই বলে মনে হয়েছে, কিছুদিন অপেক্ষা করাই যেত। সত্য মিথ্যার কথা বাদ দিলাম, কারণ সেটা প্রমাণ করার দায়ভার মুসার উপরে। এই দায়িত্ব জ্ঞানটুকু কাঁধে নিয়েই নিশ্চয় মুসা এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। সে সময়টুকু তো তাকে দিতে হবে, তার আগেই অমুক সন্দেহ তমুক সন্দেহের বীজ কেন অন্যদের মাঝে আমরা ছড়াবো। মুসা সুস্থভাবে সবার মাঝে ফিরে আসুক, সকল বিভ্রান্তির অবসান হউক এটাই চাই। এরপর তার বিবৃতি যদি অসংলগ্ন কিংবা সন্দেহজনক মনে হয় তখন তাকে ক্যাঁক করে ধরুন, দেশের প্রতিটা মানুষই তখন সেই অধিকার রাখে। তাহলে এর আগেই কেন এই সব ক্যাচাল।

আজকে মুসার এভারেস্ট জয়ের খবরে এক পক্ষ কাদা ছুড়ছে, আজকে তার জায়গায় যদি সজল খালেদ কিংবা অন্য কেউ এভারেস্ট জয় করতেন হয়তো সে ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটত, শুধু ক্ষেত্রবিশেষে পাত্র-পাত্রীদের নাম বদলে যেত। এইসব কাদা ছোড়াছুড়ি্র বন্ধ হউক দেখতে চাই। চাই আমাদের মাঝে আরো সহনশীলতা।

দেশকে ভালবাসার মানে শুধু দেশের জন্য বিরল গৌরব বয়ে আনা না,বরং সেই প্রাপ্তিকে শুধু নিজের মনে না করে দেশের প্রতিটা মানুষের সাথে ভাগ করে নেওয়াটাই হল আসল ভালবাসার স্বরুপ। আমাদের সবার পক্ষে সব কিছু অর্জন করা সম্ভব না, কিন্তু অন্যের প্রাপ্তির আনন্দটুকুকে সরল মনে গ্রহন করা তো অনেক সহজেই সম্ভব। প্রথমে না হয় সবাই আমরা এই সহজ কাজটাই করি।

মুসা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের গর্ব করার মত এমন দারুণ একখানা অর্জন দেবার জন্য।

দৃশা

স্পর্শ এর ছবি

চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নিদ্রালু [অতিথি] এর ছবি

আমরা কন্সপীরেসি থিওরী খুবই পছন্দ করি।

১। নীল আর্মেস্ট্রংরা চাঁদে না গিয়েই দাবী করেছিলেন যে তারা চন্দ্র বিজয় করেছেন
২। ১/১১ এ আমেরিকা নিজেই টুইন টাওয়ারে হামলা করেছিল।
৩। মুসা ইব্রাহীম এভারেষ্টে না উঠেই বলছিল সে এভারেষ্ট জয় করেছে।......................................................

....................................

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সাবাশ বাঙ্গালি !!!!!!!

_________________________________________

সেরিওজা

মুস্তাফিজ এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ডয়চে ভেলেকে দেওয়া মুসার সাক্ষাতকার

http://www.dw-world.de/popups/popup_single_mediaplayer/0,,5605930_type_audio_struct_11973_contentId_5605963,00.html

http://www.dw-world.de/dw/article/0,,5605963,00.html
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অস্পৃশ্যা এর ছবি

কি পরিমাণ যে আনন্দিত হয়েছিলাম খবরটি জেনে তা বলে বোঝাতে পারব না! গৌতমদা'র পোষ্টে মন্তব্যও করেছিলাম তা জানিয়ে, কিন্ত যখন দেখলাম বিতর্ক শুরু হল হিমালয় আদৌ জয় নিয়ে, খারাপ লেগেছিলো। অথবা ফেসবুকেও দেখেছিলাম কেউ-ই সহজভাবে, নির্দ্বিধায় আনন্দটা প্রকাশ করতে পারছিল না, যে আসলেই কি করেছেন??

আমরা কেনো এমন?? এত বিভাজন কেনো আমাদের মাঝে? আমাদের সমজাতীয় চিন্তা-ভাবনাগুলোতে আজকাল বড় রকমের চিড় ধরতে শুরু করেছে! খুব খারাপ লাগে এসব দেখতে। মন খারাপ

যাইহোক, মুসা ইব্রাহীমকে আবারও অভিবাদন জানাই, আমি গর্বিত তাঁর এই শীর্ষজয়ে।

নৈষাদ এর ছবি

মুসা ইব্রাহীমের স্ত্রী কিন্তু অ্যাসিস্টেন্ট সাব-জজ...। আইন-টাইন বোঝে। জল অনেকদূর গড়াতে পারে, এবং গড়ানো উচিত। তা যদি না হয় এসব বেজলেস ডিফ্যামেসনের চেষ্টা চলতেই থাকবে।

আলমগীর এর ছবি

সজল মাহমুদ বেশ দ্রুত আমাদের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। দ্রুত তিনি মুসাকে অভিনন্দন জানাবেন এ কামনা করি।

মুসার জন্য গৌরব তো হচ্ছেই। ব্যানারটাও ফেরত আনার দাবী করি।

সাবিহ ওমর এর ছবি

যদিও উপরোক্ত খবরটায় নতুন কোন তথ্য নাই, মুসা ইব্রাহিমের ব্যানার ফেরত চাই।

আকতার আহমেদ এর ছবি

অভিনন্দন, মুসা ইব্রাহিম!

সজল খালেদ খুবই জঘন্য একটা কাজ করলেন মুসা’র এই অর্জনে সন্দেহ আর বিভক্তি ছড়িয়ে।

সজল খালেদের বক্তব্যের শেষটা ছিল এই রকম :

সারা পৃথিবীর কাছে এমনিতেই আমাদের নানান বদনাম, এভারেস্টের নামে মিথ্যা সংবাদের বদনাম হলে আমাদের মুখ দেখাবার উপায় থাকবে না।

নিজের উদ্ধৃত এই সরল সত্যটা সজল খালেদ উপলব্ধি করুক!

কীর্তিনাশা এর ছবি

সাবাস মুসা ইব্রাহিম সময়ের সাহসী যোদ্ধা !

আর গোটা বাঙালি জাতির এমন অর্জনের সময়েও যারা বিভক্তি ছড়ায় তাদের জানাই তিব্র ধিক্কার !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

বকলম [অতিথি] এর ছবি

মুসা ইব্রাহীমের সাথে কথপোকথন- আজকের আপডেট

অবশেষে কথা হল মুসার সাথে আজকে।

সাফল্যের সাথে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পরেও একটি বিশেষমহলের ঈর্ষা বশতঃ তার এই সাফল্যের দিকে সন্দেহের তীর ছুড়ে দেয়া হয়েছে। জাতী হিসাবে কোন গৌরবের মুহুর্তেই বোধহয় আমরা এক থাকতে পারিনা। সেকারনে কাঠমান্ডুতে বসে আমরাও অপেক্ষা করছিলাম কখন চূড়ান্তভাবে ঘোষণা আসবে। সারাদিন অধীর আগ্রহ আর অসহ্য ধৈর্য নিয়ে আমরা অপেক্ষা করেছি কখন মুসার সাথে সরাসরি ফোনে কথা হবে। বার বার ঘড়ি দেখছি কখন ৬টা বাজবে। যাই হোক, গতকাল মুসা ছিল ৬৩০০ মিটার উচুতে অগ্রবর্তী বেইজ ক্যাম্পএ। আজ সারাদিনের পথ পাড়ি দিয়ে তারা নেমে আসে মূল বেইজ ক্যাম্প এ। মূল বেইজ ক্যাম্প এ টেলিফোন সুবিধা থাকায় মুসার সাথে কথা বলা সম্ভব হল। কাঠমান্ডুর মুক্তিনাথ হলিডেজের অফিস থেকে নেট ফোনে কথা বললাম আমরা কয়েকজন। প্রচন্ড উত্তেজনা নিয়ে আমাদের জাতীয় বীরের সাথে কথা বলার এই আবেগঘন মূহুর্ত আপানাদের সাথে শেয়ার করছি। আমি টেলিফোন আলাপ হুবুহু তুলে ধরছি---

আমিঃ হ্যালো মুসা? মুসা বলছ? খালেদ বলছি।
মুসাঃ হ্যা, খালেদ, কেমন আছ?
আমিঃ আমি কেমন আছি তার চেয়েও বড় বিষয় হল তুমি কেমন আছ?
মুসাঃ হ্যা আমি ভাল, একটু শুধু টায়ার্ড। সারাদিনের পথচলার ক্লান্তি।
আমিঃ তা তো বটেই। যাই হোক তুমি কাঠমান্ডুতে কবে আসছ?
মুসাঃ আমি দু দিন রেস্ট নিতে চাই। আশা করি ২৯/৩০ তারিখের মধ্যে কাঠমান্ডুতে পৌছতে পারব।
আমিঃ গ্রেট। আচ্ছা শোন, কোন কোন মহল ইতোমধ্যে তোমার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের কথা বলছে। তুমি তো জানই কারা। কাজেই সার্টিফিকেটটা ঠিকমত রেখ। আর আমরা কাঠমান্ডুতে একটি সংবর্ধনার পরিকল্পনা করছি। বাংলাদেশি প্রবাসী এবং এমবেসির পক্ষ থেকে।
মুসাঃ যারা সন্দেহ করছে তাদের করতে দাও। তাদের কাছে আমার প্রমান করার কিছুই নেই। আমার সাথে ছবি আছে। আমার সাথে প্রায় ২০-২২ জন মানুষ উঠেছে। কাজেই কে কি ভাবল তা নিয়ে আমার কিছু যায় আসেনা। আমি আমার কাজ করে যেতে চাই। আর আগ বাড়িয়ে কিছু প্রমানেরও নাই। বরং অন্যরা প্রমান করুক যে আমি উঠিনি।
আমিঃ তা তো ঠিকই। শুধু খারাপ লাগছে এই ভেবে যে জাতীর এই গৌরবের মুহুর্তেও আমরা আমাদের জাতীয় স্বভাব ছাড়তে পারছিনা। সন্দেহের তীর ছুড়ছি।
মুসাঃ আচ্ছা এসব ছাড়। তোমরা সবাই ভাল?
আমিঃ হা হা হা। তুমি আমাদের খবর নিচ্ছ? আরে এখন গোটা জাতী তোমার খবর জানতে চায়। যাই হোক, তুমি অনেক ক্লান্ত। রেস্ট নাও। আজকে রাখছি। পরে কথা হবে। বাই।
মুসাঃ আচ্ছা, বাই।

সব খবরই এখনও পর্যন্ত ভাল। বুক থেকে একটি বড় বোঝা নেমে গেল। ধন্যবাদ সবাইকে।

পরবর্তী আপডেটের জন্য অপেক্ষা করুন।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

এক হওয়ার মুহূর্তেও আমাদের বিভক্তি কেমন অদ্ভুত এক কষ্টে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।
জানতাম সত্যিটা বেরিয়ে আসবেই।
দেরীতে হলেও অভিনন্দন মুসা।
নিরাপদে ফিরে আসুন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অভিনন্দন!

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

মুসাকে প্রাণ খূলে অভিনন্দন।

মুস্তাফিজের কাছে অনুরোধ: সজল খালেদের নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি করছি আমরা, তাঁকে জানানো হোক।

সচলায়তনের কাছে অনুরোধ: ব্যানারটা ফিরিয়ে আনা হোক।

নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে ধিক্কার!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

আসলপ্রেমিক এর ছবি

মনেপরে গেল শহামসুর রাহমান এর সেই কবিতাটির
মত ছুটছিলো সবাই চিল এর পিছনে। কর্তিপক্ষের কাছে দাবি মুসার বিজয়ের ব্যানার না দিন অন্তত
একদল লোক চিল এর পিছনে ছুটতাসে আর নেট এ গুগ্লিং করে মুসার হদিস আবিশকার এ মগ্ন এই ব্যানারটি দিন।
হয়ত আমার মন্তব্যটি মডারেশান পার হয়ে আস্ তে পারবে কিনা জানি না , কিন্তু এতটুকু দাবি প্রকাশ
করতে কারপন্য কেউ দেখাবেনা এটাই আশা রাখি!

___ শহীদ __

পর্বত প্রেমিক এর ছবি

কালের কণ্ঠ আজকে এভারেস্ট জয়ে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে লিখেছে । এমন ভাব যে চাইলে তাদের পুরা টিম এভারেস্টের উপর গিয়ে পিকনিক করে আসবে । রিপোর্ট করেছে ডেস্ক নামে । পরে দেখলাম এটা হলো ইন্ডিপেন্ডেন্টের একটা নিউজ চুরি করে করা।

http://www.independent.co.uk/news/world/asia/no-room-at-the-top-in-everest-rush-hour-1976446.html

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সজল খালেদ নিজেই এখন নিশ্চিত মুসার এভারেস্ট বিজয়ে। পড়ুন তার ফেসবুক নোট-

http://www.facebook.com/notes/sajal-khaled/abhinandana-musa-ibrahima/111011018943121
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মুসা ইব্রাহিমকে প্রাণঢালা অভিনন্দন, বাংলাদেশের জন্য এমন বিরল সম্মান বয়ে আনার জন্য। আর নজু ভাইকে ধন্যবাদ, খবরটা শেয়ার করার জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।