তাতারা রাবুগার আশ্রয়ে: প্রথম পর্ব

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: রবি, ১৭/০৪/২০১৬ - ১:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই অনেক বছর আগে যখন প্রথম পড়েছিলাম রফিক আজাদের 'চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া' কবিতাটা, যখন সেখানে পড়েছিলাম "চুনিয়া মানুষ ভালোবাসে" তখন মনে হয়েছিলো চুনিয়া নামের এই জায়গাটায় না গেলে তো জীবন বৃথা!
যখন পড়েছিলাম

বৃক্ষদের সাহচার্যে চুনিয়াবাসীরা প্রকৃত প্রস্তাবে খুব সুখে আছে
চুনিয়া এখনো আছে এই সভ্যসমাজের
কারু-কারু মনে,
কেউ-কেউ এখনো তো পোষে
বুকের নিভৃতে এক নিবিড় চুনিয়া।

ঠিক তখন থেকে আমারও বুকের নিভৃতে এক নিবিড় চুনিয়ার বাস। কিন্তু চুনিয়ায় আমার যাওয়া হলো না। বুকের নিভৃতে চুনিয়া নামের এক নিভৃত গ্রাম পুষে রেখে আমি বঙ্গীয় এবং খ্রীষ্টিয় দুইটারই এক শতক পেরিয়ে নতুন শতকে পৌঁছলাম, কিন্তু আমার চুনিয়া যাওয়া হলো না। হিল্লী দিল্লী সবখানে যাওয়া হলো, এমনকি চুনিয়ার কাছাকাছি বিরিশিরিতে যাওয়া হলো অসংখ্যবার, তবু চুনিয়া যাওয়া হলো না। এই কবিতার কবি রফিক আজাদের সঙ্গে বিরিশিরি কালচারাল একাডেমিতে তাঁর বাংলোয় রাতের পর রাত তরলহল্লাপান হলো, তবু আমার চুনিয়া যাওয়া হলো না। আগ্রহ আর আলস্য, দু'টোই আমার মধ্যে সমান তীব্র! কিন্তু তবু আমি কখনোই বুঝতে পারি না কেন আমার কখনো চুনিয়া যাওয়া হলো না? এই লেখা লিখতে গিয়েও অনেকবার ভেবেছি কথাটা, কোনো উত্তর আমি খুঁজে পাইনি। এমনকি চুনিয়া যেখানে আমার নিজের গ্রামের বাড়ি থেকেও অনেকটা কাছে!

এমনকি অতিথি সচল জুয়েল ভাই, যিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে নিয়মিত চুনিয়া যান, এবং আমি নিশ্চিত তিনি সেখানে নির্বাচনে দাঁড়ালে কেউ তাঁকে হারাতে পারবে না... সেই জুয়েল ভাই অসংখ্যবার আমাকে বলেছেন তাঁর সঙ্গী হওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি যখনই যাওয়ার তারিখ করেন, তখনই আমার কোনো না কোনো একটা ঝামেলা ঠিক এসে হাজির হয়, আমার আর যাওয়া হয় না। কী মুশকিল?
এমনকি এবছরের জানুয়ারীতে তাঁরা চুনিয়ার পাশের গ্রাম জয়নাগাছায় জাতিতাত্ত্বিক লোকায়ত জ্ঞান ও সংস্কৃতি পাঠকেন্দ্র 'মৃত্তিকা'র উদ্বোধন করলেন, তখনও ভেবেছিলাম যাবো... কিন্তু...

অবশেষে যেদিন রফিক আজাদের মৃত্যুর খবর পেলাম, তখন সেই সারাটিদিন আমার শুধু চুনিয়ার কথা মনে হয়েছে। মনে হয়েছে সেই গ্রামটার কথা, যে গ্রামটা 'মানুষ' ভালোবাসে। সেদিন থেকে মন উথাল পাথাল, আমাকে চুনিয়া যেতে হবে, যেতেই হবে।

সব আলস্য ত্যাগ করে অবশেষে আমি লাড়াচাড়া দিয়ে উঠলাম। কিন্তু জুয়েল ভাইকে বলার সাহস করতে পারলাম না। নির্ঘাত এবারও তিনি ধরেই নিবেন শেষপর্যন্ত যাওয়া হবে না আমার। তাই চিন্তা করলাম নিজের ব্যবস্থাপনায় চুনিয়া গিয়ে হাজির হয়ে সেখান থেকে ফোন করে জানান দিবো। কিন্তু নানান খোঁজ খবর করেও চুনিয়া ফরেস্ট বাংলোতে রাত্রিবাসের অনুমতির জন্য যোগাযোগ করতে পারলাম না কারো সঙ্গে। অগত্যা বাধ্য হয়ে জুয়েল ভাইকেই ফোনে ধরতে হলো। বললাম ৭/৮ জনের একটা দল নিয়ে চুনিয়া যাবো। তিনি বললেন কোনো সমস্যা নাই, যান আমি সব ব্যবস্থা করতেছি। আমি তো খুশিতে আটখানা।

এই খুশি আরো বহুগুণ বেড়ে গেলো যখন জানলাম আমরা গিয়ে উঠবো মান্দী (গারো)দের মধ্যে জীবন্ত কিংবদন্তী জনিক নকরেক-এর বাড়ি!

১৯৯৭ সালে যখন প্রথম বিরিশিরি যাই, মান্দীদের সঙ্গে মিশি, তাঁদের সম্পর্কে টুকটাক জানার সুযোগ হয়, তখন থেকে খুব ইচ্ছে ছিলো একজন 'সাংসারেক'কে কাছ থেকে দেখা, তাঁর সঙ্গে কথা বলা। জনিক নকরেক বর্তমানে জীবিত অল্প কয়েকজন সাংসারেকের একজন। যিনি কখনোই নিজের ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে ত্যাগ করে খ্রীষ্টান বা অন্য ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেননি। যিনি এখনো এই ১১৩ বছর বয়সেও সাংসারেক ধর্ম এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী জীবন যাপন করেন!

চুনিয়া যেতে পারবে হয়তো যে কেউ-ই, বেড়ানো হবে দেদার, কিন্তু জীবন্ত কিংবদন্তী জনিক নকরেকের ঘরে অতিথি হওয়া! স্বপ্নের চেয়ে বেশিকিছু। জুয়েল ভাইয়ের কাছে এই একটা কৃতজ্ঞতা আজীবন থাকবে।

যাহোক, পহেলা বৈশাখের সকালবেলা মহাখালী বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে হাজির। জুয়েল ভাইয়ের কথামতো এনা পরিবহনের টিকিট কিনে গাড়িতে চড়ে বসলাম। আর ঠিক তখনই মনে পড়লো, তাড়াহুরায় ক্যামেরার ব্যাটারি চার্জার আর কার্ড রিডার নিতে ভুলে গেছি! ছবি তুলতে হবে খুব হিসেব করে, চার্জ দেওয়ার উপায় নেই মন খারাপ

যাহোক, গাড়ি ছুটে চললো ময়মনসিংহের দিকে। আমি নূপুর আর নিধি তাতে সওয়ার। রাস্তা প্রায় ফাঁকা। আড়াই ঘন্টার মধ্যেই মাছকান্দা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে গেলাম আমরা। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড। যাওয়ার পথে মনে হলো থেকে একটু ময়মনসিংহ শহরটা দেখে যাই, এই শহরটা আমার খুব পছন্দের। কিশোর তরুণবেলায় অনেকবার আসা হয়েছে এই শহরে, থাকা হয়েছে। অনেকদিন পর আবার এলাম। নূপুর নিধি এবারই প্রথম। কিন্তু অনেক কষ্টে লোভ সামলিয়ে আর পহেলা বৈশাখে মানুষের আনন্দ উৎসবের জ্যাম পেরিয়ে অবশেষে আমরা হাজির হলাম টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডে। দুপুর হয়ে গেছে প্রায়, ভাবলাম কিছু খেয়ে নেই। নূপুর নিধি খাবে না কিছু। আমি দেখলাম স্থানীয় হোটেলে ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খাওয়ার বন্দোবস্ত মাত্র ৪০ টাকায়। খিদে না থাকলেও তো এই সুযোগ হাতছাড়া করার কোনো মানে হয় না তাই না? অগত্যা খেতে বসে গেলাম। সঙ্গে টাকি মাছের ভর্তা। আহ্, স্বর্গীয়।
খাওয়া শেষ করে হাত ধুতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম একটু দূরেই একটা গাছ, যে গাছের মাঝামাঝি জায়গায় দারুণ সুন্দর কিছু ফুল ফুটে রয়েছে। এই ফুল এবং তার গাছ আমি জীবনে কোনোদিন দেখিনি, ছবিও না। হোটেলওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন এটা 'শয়তান' গাছ!কী আশ্চর্য, এতো সুন্দর একটা গাছ, এতো সুন্দর তার ফুল, এর নাম শয়তান গাছ? কিভাবে?
কিন্তু কোনো উত্তর পেলাম না। হাতে সময়ও কম। ঝটপট কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। আর ছবি তুলতে গিয়ে দেখি এক কিশোর গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ছে। তাকে জিজ্ঞেস করে জানা গেলো সে তার ভাবির জন্য নিয়ে যাচ্ছে। অনুরোধ করলাম আর না ছিঁড়তে। বললাম ঘরে নিয়ে গেলে তো শুধু তুমি আর তোমার ভাবিই দেখবে, তারচেয়ে এখানে গাছে থাকুক, ফুলগুলোও ভালো থাকবে, আর অনেক মানুষ দেখতে পাবে।
সেই কিশোর নেমে গেলো। আমি গেলাম খাবারের বিল দিতে। বিল দেওয়া শেষ করতেই দেখি সামনে হোটেলওয়ালা হাজির, হাসিমুখে। আর তার হাতে ধরা এক গোছা ফুল! তিনি ভেবেছেন এই ফুল আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে যেহেতু, এটা উপহার পেলে আমরা খুশি হবো। তাই তিনি চট করে গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে এসেছেন আমাদেরকে উপহার দেবেন বলে!
মনে মনে কপাল চাপড়ায়া ফাডায়ালাইলাম, কিন্তু তখন আর কিছু করার নাই, ফুল ইতোমধ্যে ছেঁড়া হয়ে গেছে মন খারাপ
2
1

আমার মনে পড়লো অনেক আগে কবি জসীম উদ্দীনের একটা বই পড়েছিলাম 'মুর্শীদা গান'। সেখানে পড়েছিলাম ছাইতান নামের একটা গাছের কথা, যে গাছের কাঠ দিয়ে সবচেয়ে ভালো সারিন্দা হয়। স্থানীয়রা যাকে শয়তান গাছ বলছে, এটা কি তবে ছাইতান গাছ? খোঁজ নিতে হবে।

অগত্যা সেই ফুল হাতে নিয়ে আমরা চড়ে বসলাম বাসে, বাসের নাম প্রান্তিক। প্রান্তিক ছুটে চললো টাঙ্গাইল মধুপুরের দিকে। আমাদের নামতে হবে ২৫ মাইল নামের একটা জায়গায়। গুনগুনিয়ে ফাইভ হান্ড্রেড মাইল গাইতে গাইতে আর জানালা দিয়ে বাইরেটা দেখতে দেখতে এগিয়ে চললাম। সত্যি, অনেকদিন পর কোথাও যাচ্ছি। মাঝখানের এই সময়টায় দীর্ঘ তীব্র কাজের চাপ ছিলো, একদম অবসরবিহীন। একটু নিঃশ্বাস নেওয়াটা খুব প্রয়োজন ছিলো।

শহরের কার্বন মেশানো বাতাস থেকে ধীরে ধীরে আমরা এগোতে থাকি বিশুদ্ধ বাতাসের দিকে। তীব্র যান্ত্রিক শব্দময় শহর থেকে আমরা ক্রমশ সরে যেতে থাকি নীরবতার দিকে। যে শহরকে কেউ ভালোবাসে না, শুধু বাঁচার প্রয়োজনে থাকে, সেই অনাথ শহরটিকে পেছনে ফেলে আমরা এগিয়ে যেতে থাকি এমন একটা জনপদের দিকে, যে জনপদটি মানুষ ভালোবাসে! আমরা ছুটে চললাম তাতারা রাবুগার দেশে।

ঘন্টা দেড়েক পর বাস এসে থামলো পঁচিশ মাইল নামের একটা জায়গায়। সেখানে নেমে আমরা অটোরিকশা দখল করলাম, এতে চড়েই আমরা পৌঁছে যাবো চুনিয়ায়। দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেল হয় হয়। আমরা জলছত্র ছাড়িয়ে ভুটিয়া ছাড়িয়ে মিনিট বিশেকের মধ্যে পৌঁছে যাই দোখলা বাজারে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনে ফরেস্টের দোখলা বাংলোয় যাই। এই বাংলোটা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা অংশ হয়ে আছে। ১৯৭১ সালে যখন সমগ্র দেশ উত্তাল, আন্দোলন তীব্র, তখন হুট করেই একদিন বঙ্গবন্ধু এসে হাজির হন এখানে। সঙ্গে ছিলেন বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব আর শেখ রাসেল। ১৯ জানুয়ারি ১৯৭১ সালে। ২১ তারিখ যান চুনিয়াতে। স্থানীয় মান্দি নেতা পরেশ মৃ'র আত্মজীবনী অনুযায়ী সেদিন বঙ্গবন্ধু সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলার স্বাধীনতা অর্জন ব্যতীত তাঁর সংগ্রামী কাফেলা থামবে না। দু'দিন থেকে ২১ তারিখ ঢাকায় ফিরে যান তিনি। দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্যে এই দু'টো দিন একটু দম নেওয়ার জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন দোখলা আর চুনিয়াকেই।
আবার বাংলাদেশ স্বাধীন হলে যখন ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংবিধান রচনার কাজ চলছে, তখন বঙ্গবন্ধুর কথাতেই সংবিধান প্রণয়নকারী টিম সবাই মিলে দোখলায় এসে ওঠেন, এখানে এই নিভৃতে কয়েকদিন থেকেই ৭২ এর সংবিধানের খসড়া তৈরি করেন।

যাহোক, দোখলা ছাড়িয়ে আমরা এগিয়ে যাই চুনিয়া কটেজের দিকে। যাওয়ার পথে হঠাৎ দেখি একদল হনুমান। থেমে তাদের ছবি তুলি। জানা গেলো এখানে একসময় প্রচুর হনুমানের আবাস ছিলো, কিন্তু এখন কমে গেছে। হনুমানের খাদ্য নেই বনে। ছোটছোট বাচ্চা হনুমানগুলোকে দেখে মায়াই লাগলো।
3

তারপর আমরা হাজির হলাম চুনিয়া ফরেস্ট বাংলোতে। যেখানে ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিভীষিকা ভুলতে এসেছিলেন কতেক বন্ধু সাহিত্যিক। রফিক আজাদ, রশীদ হায়দার, রাহাত খান, শামসুজ্জামান খান প্রমুখ। এবং লিখেছিলেন সেই কবিতা, চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া। এই বাংলোতে বসেই ফোন করি ব্যঞ্জন মৃ'কে। তিনি জনিক নকরেকের নাতি। যিনি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন।
চুনিয়া কটেজ থেকে খুব সামান্য দূরেই ব্যঞ্জন মৃ'র মুদি দোকান। সেখানেই তিনি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনিই আমাদের নিয়ে গেলেন আচ্চু জনিক নকরেকের বাড়িতে। মান্দি ভাষায় আচ্চু মানে দাদা।

শুরু হলো আমার চুনিয়া দর্শন! অবশেষে!


মন্তব্য

মাসুদ সজীব এর ছবি

শেষ! ভালোই তো আপনার সাথে পৌছে গিয়েছিলাম চুনিয়াতে! আপনার অলসতার অবসান হয়ে দ্বিতীয় পর্ব তাড়াতাড়ি আসুক হাসি

ভ্রমণ পোষ্টে ছবি না দিলে ক্যাম্নে কি চিন্তিত

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দ্রুতই আসবে। ছবি বোধহয় এখন দেখা যাইতেছে। যদিও ছবি তোলা হয় নাই খুব বেশি। ব্যাটারি চার্জার নিতে ভুলে গেছিলাম।
যদিও ভ্রমণ পোস্টে ছবি না দেওয়াটাই আমার বেশি ভালো লাগে। আমার পড়া সেরা ভ্রমণকাহিনীগুলোর একটাতেও কোনো ছবি ছিলো না।
ছবি দিলেই দেখা হয়ে যায়। কিন্তু ছবিতে আসলে কিছু দেখা যায় না। তারচেয়ে বর্ণনা পড়ে কল্পনায় ভেসে যাওয়াটাই আনন্দের। যদিও আমার বর্ণনা ততোটা হয়তো কল্পনাউদ্রেককারী না মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নজমুল আলবাব এর ছবি

আহঃ প্রশান্তি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

গগন শিরীষ এর ছবি

ভাই,ছবি দেন।দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছবি দেওয়া হইলো, এবার ঘোল খান হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসিব এর ছবি

খানে ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিভীষিকা ভুলতে এসেছিলেন কতেক বন্ধু সাহিত্যিক।

সাহিত্যিকেরা ৭৫ নিয়ে কীরকম লেখালেখি করেছেন? একটা রিভিউ দিতে পারবেন?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খুব একটা জানা নাই আমার

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুবোধ অবোধ এর ছবি

২১ তারিখ যান চুনিয়াতে। স্থানীয় মান্দি নেতা পরেশ মৃ'র আত্মজীবনী অনুযায়ী সেদিন বঙ্গবন্ধু সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলার স্বাধীনতা অর্জন ব্যতীত তাঁর সংগ্রামী কাফেলা থামবে না।

সব মিছা কথা!! তবে যে লুকজন বলে বঙ্গবন্ধুর কোন স্বাধীনতার ইচ্ছা ছিলো না!! খাইছে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ, মিছাকথা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ছবি কই?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছবি দিতে যে আলসেমি আমার মন খারাপ
দিলাম কয়টা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

শয়তান গাছের ফুল দেখার সাধটা রয়েই গেল, আবার বলছেন সেই গাছের কাঠ দিয়ে সারিন্দাও তৈরী হয় - আগ্রহটা আরো বাড়লো। নজরুল ভাই দ্বিতীয় পর্ব আরো তাড়াতাড়ি আসুক। আশা করছি দ্বিতীয় পর্বে ক’টা ছবি দেখতে পাবো।

সোহেল ইমাম

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গাছ আর ফুলের নামটা জানি না।
দ্বিতীয় পর্ব আসবে তাড়াতাড়ি, সেখানে হয়তো কিছু ছবি থাকবে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাফি এর ছবি

শয়তান ফুল আগে দেখিনাই, অবাক হলাম দেখে। ভ্রমণ কাহিনীর সাথে হাল্কা পাতলা ঐতিহাসিক রেফারেন্স দেওয়াটা অনেক ভালো লাগলো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

থ্যাঙ্কু হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাসিম এর ছবি

ফুল গুলোর নাম নাগকেশর। শেরে বাংলা এগ্রি ভার্সিটি ক্যাম্পাসে কয়েকটা গাছ ছিলো আগে। এখন আছে কিনা জানিনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

এটা নাগকেশর বা নাগেশ্বর (Mesua ferrea) নয়। এটা নাগলিঙ্গম (Couroupita guianensis) বা ক্যানন বল। এই ব্যাপারে উইকির ভূক্তিদ্বয়ে বাংলা নামে ভ্রান্তি আছে। ঢাকার নটর ডেম কলেজে, রমনা পার্কে এই গাছ আছে। আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেক্স ভবন প্রাঙ্গনেও ছিল, কিন্তু সে' গাছ কেটে বিল্ডিং তোলা হয়েছে। এর সুবাস মাদকতাময়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ঢাকায় এই গাছ বাড়ানো যায় না আরো? ফুলগুলো তো সুন্দর

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

কিশোরগঞ্জ থেকে রাজশাহী যেতে চাইলে ময়মনসিংহ-মধুপুর-কালিহাতি পার হয়ে যেতে হয়। যাত্রাপথে মধুপুরের অরণ্য চোখে পড়ে। ঘুরে দেখা হয়নি যদিও তবে কোন একদিন একটা রাত্রি এখানকার বাংলোতে কাটানোর ইচ্ছে আছে। আচ্ছা ভাইয়া চুনিয়া ফরেস্ট আর মধুপুর ফরেস্ট কি আলাদা? নাকি চুনিয়া মধুপুর ফরেস্টের একটা অংশ? পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মধুপুরে ফরেস্টের কয়েকটা বাংলো আর কটেজ আছে। টাঙ্গাইল বন বিভাগে যোগাযোগ করলেই সবগুলোর খোঁজ পাবেন।
আপনারা বেশি করে লেখা দিন, এই পোস্ট পরের পাতায় গেলেই পরের পর্ব লিখে ফেলবো হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ছাইতান গাছ নামে পরিচিত গাছের ভালো নাম ছাতিম গাছ। ইংরেজি নাম ডেভিল ট্রি। উইকির ভুক্তির লিংক: https://en.wikipedia.org/wiki/Alstonia_scholaris

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। ছাতিম গাছ তো চিনি, কিন্তু এরই যে আরেক নাম ছাইতান তা জানা ছিলো না। অথচ আমি বহু বহু বছর ধরে মনে মনে এই গাছ খুঁজি মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সজল এর ছবি

আমাদের বাসার পাশে রামকৃষ্ণ মিশনে এই গাছ ছিলো, আমরা ওইটাকে নাগপদ্ম বলতাম।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ফুলগুলো তো সুন্দর... এই গাছ ঢাকা শহরে প্রচুর আবাদের দরকার

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

[ নাগলিঙ্গম গাছ কার্জন হলের সামনে আছে একটা, গত সপ্তাহে ফুলও এসেছে ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যাবো দেখতে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কোলাকুলি

মন্তব্যে ছবি জুড়তে পারিনা, পারলে এখনি ঘুরায় আনতাম, ছবি আছে আমার কাছে।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পোস্টে যেমনে ছবি দেয়, মন্তব্যেও তো সেমনেই, একই তো নিয়ম

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

নাহ, পোস্টে সরাসরি মেমোরি থেকে দেয়া যায়, মন্তব্যে লিংক চায়।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মন মাঝি এর ছবি

ফ্লিকার জাতীয় অন্যকোন সার্ভিসের দ্বারস্থ না হয়ে সচলে থেকেই হাইব্রীড পদ্ধতিতে এভাবেও ছবি দিতে পারেন মন্তব্যে। মেমোরি থেকেই। হাসি

****************************************

মিতা চার্বাক এর ছবি

পড়তে পড়তে আমিও চুনিয়া ‍ঘুরে এলাম হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জুয়েল বিন জহির এর ছবি

দ্বিতীয় পর্ব কই?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আসিতেছে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ছন্দা এর ছবি

ফুলটা নাগ-লিংগম, কার্জন হলে আছে, তবে এইটার মত এত তীব্র লাল নয়। রমনা পার্কেও আছে বেশ কয়টা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কার্জন হলে যাবো অচিরেই

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।