শব্দ

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: সোম, ১৬/০৮/২০১০ - ৯:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শহরে কৃষ্ণচূড়ারা সবে আসি আসি করছে, উত্তুরে বাতাস তার আনাগোনা বন্ধ করেছে কিছুকাল। ঘরের লেপ, কম্বল গুলো আস্তে আস্তে আলমারি, ট্র্যাঙ্কের ভিতর আস্তানা গেড়েছে, অপেক্ষায় আছে আগামী বছরের। রাতের জানালা গুলো আজকাল তাই আবার খোলা থাকে। সেই খোলা জানালা দিয়ে আসা আলো গলির অন্ধকার রাস্তায় আলো আঁধারির খেলা খেলে, আর খেলতে খেলতেই ঘর থেকে নিয়ে আসে শব্দ- কান্নার, হাসির, চিৎকারের আর কখনো বা শিৎকারের। আর সেইসব শব্দ দিয়ে মাহবুব গল্প বানায়, অন্ধকার বারান্দায় বসে চুপচাপ গল্প বানায়।

বারান্দায় বসে সিগারেট টানতে টানতেই গলির মুখে আবুল কনফেকশনারির শাটার নামানোর শব্দ পায় মাহবুব। গলির মাথার এই মুদি দোকানটার সামনে ভিড় রাত দশটায় বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত তেমন একটা কমে না, একদল যায় আরেক দল আসে। সন্ধ্যার মাগরিবের আযানের প্রায় সাথে সাথেই চলে যায় গলির মুখে স্ট্যাম্প দিয়ে ক্রিকেট খেলা ছেলেগুলো। একটু পরেই অবশ্য সে জায়গা দখল করে নেয় নামায ফেরত মুসল্লী অথবা অফিস ফেরত কেরানির দল। সারাদিনের ক্লান্তির সাথে সেইখানে থাকে বেড়ে যাওয়া চালের দাম, রাস্তার জ্যাম, ছেলের স্কুলের রেজাল্ট কিংবা গ্রামের বাড়ির পাশের পুকুরের মাছের স্বাদের গল্প।

তবে গলিতে সবচেয়ে ভিড় হয় লোডশেডিং এর সময়। সরু গলির বদ্ধ বাতাসে ঘর গুলো হয়ত আর গুমোট হয়ে উঠে, তাই দরজা গুলো খুলে যায়। সামনের টিনশেডের খোলা জায়গায় মহল্লার পিচ্চিরা অন্ধকারে ছোটাছুটির চেষ্টা করে, বড়দের কেউ হয়ত ধমকে উঠে। সেই ধমক সামলে পিচ্চিরা কয়েক মূহূর্ত পরে আবার ছোটাছুটি শুরু করে। বারান্দার নিচের বামকোণার অন্ধকারে দু-তিনটি জ্বলন্ত সিগারেট দেখা যায়। কি নিয়ে আলোচনা করে ছেলেগুলো? কল্পনা করার চেষ্টা করে মাহবুব। মাঝে মাঝে দুয়েকটা শব্দ ভেসে আসে তাই নিয়ে গল্প বানানোর চেষ্টা চলে। একদিন একটা নাম একটু জোরে ভেসে আসে, সাথে দু'একটা শিসের শব্দ। কী নিয়ে কথা বলে ছেলেগুলো? মেয়ে?

ছেলেদের প্রতিটা দলের আলোচনার জন্য একটি মেয়ে থাকে। প্রতিদিনের আলোচনায় ঘুরেফিরে হাজারবার মেয়েটার নাম আসে কিন্তু মেয়েটার হয়ত সেই কথা জানাই হয় না। এই দলের সে রকম কী কেউ নেই? অনেকদিন অন্ধকার বারান্দায় বসে মাহবুব ভেসে আসা শব্দগুলোর ভিতর থেকে মেয়েটার নাম বের করার চেষ্টা করে। আবার দুই তিনটা শিসের শব্দ আসে। নামটা এবার স্পষ্ট শুনতে পায় মাহবুব, ইভা। ইভা মেয়েটা দেখতে কেমন? শিউলীর মত? কলেজ, না,না পুরা শহরের সেরা সুন্দরী ছিল শিউলী। কত কবিতা লেখা হল তাকে নিয়ে, কত বাজি ধরা হল, কত জনের পকেট ফাঁকা হল আর কতজনের উদর পূর্তি হল গোবিন্দের ক্যান্টিনে তা হয়ত অজানাই রয়ে গেল মেয়েটার। নাকি জানত মেয়েটা? ইভা কী জানে তাকে নিয়ে অন্ধকার গলিতে জ্বলন্ত সিগারেটের আলোতে গল্প করে যুবকেরা। হয়ত জানে, হয়ত জানে না কিন্তু তাতে কিছুই আসে যায় না এই যুবকদের, তাদের গল্পের আর অন্ধকারে জ্বলতে থাকা সিগারেটের।

হঠাৎ করে মাহবুব বুঝতে পারে নিচের সিগারেট গুলো আস্তে আস্তে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। ঘাড় বাঁকা করে বাঁ দিকে তাকাতেই অন্ধকারের ভিতর আর অন্ধকার কয়েকটি ছায়ামূর্তি দেখা যায়। সামনের বাসা থেকে আসা আলোয় নিজের ঘড়িটা একবার দেখার চেষ্টা করে মাহবুব। তবে অস্পষ্ট সেই আলোয় ঘড়িটা ভাল ভাবে না বুঝা গেলেও মাহবুবের বুঝতে কষ্ট হয় না আগুয়ান দলটায় সিদ্দিক সাহেব আছেন। এই নগরী কিংবা তার সেই ছোট্ট শহর সবখানেই হয়ত কিছু ব্যাপার এক তাই সিদ্দিক সাহেব কে আসতে দেখে যুবকেরা অদৃশ্য হয়, সিগারেট গুলো নিভে যায়। হঠাত মনে প্রশ্ন আসে, এই যে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া কিংবা নিভে যাওয়া সিগারেট এটা আসল কী? সম্মান নাকি প্রতাপ? দলটা আস্তে আস্তে বারান্দার নিচে রাস্তায় এসে থামলে মাহবুবের মনে হয় পুরা ব্যাপারটাই আসলে হয়ত প্রতাপ। তার মনে হয় যুবকেরা অদৃশ্য হয় কারণ হয়ত সিদ্দিক সাহেব এই গলিতে পরপর চারটা বাড়ির মালিক কিংবা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা অথবা এই ওয়ার্ডের কমিশনার মজিবরের বড় ভাই। মাহবুব ঠিক বুঝতে পারে না এদের মধ্যে ঠিক কোনটা আসলে প্রতাপ, নাকি সবগুলোই। আচ্ছা, যুবকেরা কি জানে প্রায় রাতে যখন রাত আরো গভীর হয় সিদ্দিক সাহেবের প্রতাপের আস্তরণ খসে পড়ে। হয়ত জানে কিন্তু উলটো দিকের বারান্দায় বসে সেই প্রতাপহীন সিদ্দিক সাহেব কে দেখার সৌভাগ্য শুধু মাহবুবের হয়।

রাতের সাথে কি মানুষের স্মৃতির কোন সম্পর্ক আছে? রাত যত গভীর হয় ততই কি পুরাতন স্মৃতিরা শক্তিশালী হয়? হয়ত তাই। হয়ত সে জন্যই প্রায় গভীর রাতে সিদ্দিক সাহেবের প্রতাপের আস্তরণ খসে পড়ে, তিনি নুয়ে পড়েন। অন্ধকার বারান্দায় চুপচাপ বসে থাকেন।

একটাই মেয়ে তাই মৃত বড় ভাইয়ের একমাত্র ছেলের কাছে বিয়ে দিয়েছিলেন। গল্পে যেমন হয় ঠিক তেমন করে হয়ত সুখের সময় যাচ্ছিল তাদের। সবাই বলে একটা মেয়েও নাকি হয়েছিল। কেমন ছিল সে সংসার অনুমান করার চেষ্টা করে মাহবুব। সুখী, ছোট তিন মানুষের সংসার। কিন্তু রাতে সিদ্দিক সাহেবের প্রতাপ খসে পড়বে বলেই হয়ত একদিন গাড়িটা উলটে যায়। তিন বিয়োগ দুই বাকী থাকে এক। পঙ্গু একজন থেকে যায়। সাথে থেকে যায় আরেকজন, স্মৃতি। রাত গভীর হলে সে প্রবল হয়, গভীর হয়। হয়ত সে কারণেই প্রায় রাতে চিৎকার ভেসে আসে। দূর্বোধ্য সে আর্তনাদ। কানা গলির বদ্ধ দেয়ালে সে আর্তনাদ প্রতিধ্ধনি তুলে কিন্তু হয়ত কাঁপন ধরায় শুধু সিদ্দিক সাহেবের প্রতাপে। তাই উলটো দিকের বারান্দায় রাতের পর রাত বসে থাকে এক বৃদ্ধ। নিশ্চুপ। আর অন্ধকার সেই রাতে প্রতাপহীন মানুষটার সঙ্গী থাকে আরেকজন, শব্দ। আর্তনাদের শব্দ।

ভেতর ঘর থেকে রিংটোনের আওয়াজ ভেসে আসে। পকেট হাতড়াতেই মোবাইলটা অস্তিত্বের জানান দেয়। হাসি আসে মাহবুবের, ছেলেটা বড় বোকা। আচ্ছা ঐ বয়সে অতটুকু বোকা মাহবুবও কি ছিল না? এই মেসে সর্বসাকুল্যে মানুষ থাকে ছয় জন। রুম তিনটা। সবার থেকে আশিক ছেলেটাই ছোট হয়ত তাই স্বপ্নটাও সবচেয়ে বেশী। প্রতি রাতেই ফোন আসে কিংবা ফোন যায় আর ছেলেটা স্বপ্ন বুনে। কথা হলে নিজে থেকেই বলে যায় ছেলেটা- এইতো বছর তিনেক। তারপর পড়াশুনা শেষ। একটা চাকরী, ছোট্ট একটা বাসা আর আমরা। আপনাদেরও দাওয়াত দিব একদিন। কিছুই বলে না মাহবুব। শুধু হাসে, অভিজ্ঞতার হাসি। বোকা সে নিজেও ছিল তাই ঐ স্বপ্ন গুলো সে নিজেও দেখেছিল একদিন। সেই একই স্বপ্ন- একটা চাকরী, ছোট্ট ঘর আর আমরা। সব হলো শুধু স্বপ্নের শেষ অংশটা পূরণ হল না। আচ্ছা আশিক ছেলেটার স্বপ্নে শিকল দিবে কে? কোন বিদেশ ফেরত বা কোন মাল্টিন্যাশনালের অফিসার কিংবা অন্য কেউ? মনের ভিতর তখন হঠাত করে প্রশ্ন টা আসে, আচ্ছা নিজেও কি সে একদিন তারমত অন্যকার স্বপ্নে বেড়ি দিবে? কী জানি।

পানির পিপাসা পায় হঠাৎ। ভিতরে ঢুকতেই বুঝতে পারে আজ সব বড় নিশ্চুপ। সপ্তাহের শেষ দিনে তারা তিন জন বাদে আর কেউ নেই। গ্লাসে পানি ঢালতে ঢালতেই টের পায় মাহবুব শব্দ আসছে। দু'টো ভিন্ন ধরনের শব্দ। একটা স্বপ্ন বুননের শব্দ আরেকটা আদিমতার শব্দ। একটা ঘর তিনটা মানুষ আর তিন ধরনের শব্দ। গ্লাসে আবার পানি ঢালতেই ঢালতেই কথাটা মনে হয় এক ঘরে তারা তিন জন কিন্তু ভিন্ন তিনটা তৃষ্ণা মেটাচ্ছে তারা। এই যে হায়দার ভাই, মেসের নির্বিবাদী, নিপাট ভদ্রলোক বড়ভাই। সপ্তাহের এই শেষ দিন ছাড়া তার তৃষ্ণাটার কথা টের পাওয়া যায় না। প্রথম প্রথম খুব অবাক হয়েছিল বন্ধ দরজার ভিতর থেকে শব্দটা পেয়ে। ভয়ও পেয়েছিল কিছুটা হয়ত। তবে আস্তে আস্তে সব পরিষ্কার হয়ে এসেছে।হায়দার ভাই নিজেই একদিন বলেছিল। হয়ত লজ্জা পাচ্ছিল লোকটা। বাবাহীন সংসারে অনেকগুলো ছোটছোট ভাইবোনের দায়িত্ব। সেখানেই বয়স বেড়ে গেল অনেক। এখনো ছোট দুই বোনের বিয়ে বাকি তাই নিজেরটা আর করা হয় নি। কিন্তু শরীর তো আর দায়িত্ব বুঝে না তাই প্রায়ই সে তার নিজের চাহিদার কথা জানান দেয়। তাই প্রায় সপ্তাহের শেষ দিনে কম্পিউটার নামক বস্তুটার ভিতরে থাকা সোনালী চুলের কোন নারী সেই চাহিদার কৃ্ত্রিম সরহরাহক হয়। হয়ত হায়দার ভাইও একদিন স্বপ্ন দেখেছিল- একটা চাকরী, ছোট্ট ঘর আর আমরা। অন্য অনেকের মত একদিন হয়ত সে স্বপ্নও ঝরে গেছে। তাই হয়ত হায়দার ভাই সেই আদিমতার শব্দের ভিতর আশ্রয় খুঁজে। হয়ত সেই আদিমতার ভিতর হায়দার ভাই পুরাতন স্বপ্ন কে খুঁজে ফেরে, পুরাতন সে স্বপ্ন সংগী কে খুঁজে ফেরে।

সে নিজেও কি পুরাতন কে খুঁজে ফেরে? কত বছর আগের কথা কিন্তু মনে হয় কত পরিষ্কার, সেটা কি রাত বাড়ছে বলে? আচ্ছা সেই পুরাতন দিনে কি কোন আদিমতার গন্ধ ছিল? এতগুলো প্রশ্ন কিন্তু উত্তর নেই। হয়ত সে নিজেও পুরাতন কে খুঁজে ফেরে হয়ত সেটা রাত বাড়ছে বলেই। মাথার ভিতর বদ্ধ গলির দেয়াল হাতড়ে সে উত্তর খুঁজে। দেয়ালে লেগে থাকা ফিকে হয়ে আসা শব্দ গুলো হাঁতড়ে সে উত্তর খুজে তবে সে উত্তর বড় অস্পষ্ট। আচ্ছা নাটকের প্র্যাকটিসে গ্রিনরুমের বারান্দায় বৃষ্টি দিনের সেই ছোঁয়াতে কি স্বপ্ন ছিল নাকি সেটা ছিল নিছক আদিমতা। কিংবা রফিকের বাড়ির সেই অন্ধকার সিঁড়ি। কি ছিল সেইসব? স্বপ্ন নাকি আদিমতা?

বারান্দায় দাঁড়াতেই কথার শব্দ আসে। ফিসফিস। অন্যরকম। এই বদ্ধ গলিতে সভ্যতা মূর্ত হয় তাই আমরা কেউ কাউকে জায়গা ছেড়ে দিতে চাই না। তাই বারান্দা থেকে হাত বাড়ালেই ঐপাশের বারান্দা কে স্পর্শ করা যায়। এইভাবে সার সার বিল্ডিং, জড়োয়া বারান্দা আর কতশত শব্দ, স্বপ্ন। প্রায় রাতেই এই ফিসফিস শব্দ আসলেই কেমন জানি হিংসে হয়, মারাত্মক। এই নগরে কিছুই গোপন থাকে না তাই জানা হয়ে যায় পাশের বারান্দার বাসিন্দা দুই মানব মানবীর কথা। কিন্তু এই নগরে এখনো স্বপ্নরা গোপন থাকে হয়ত তাই হিংসেটা বেশী হয়। মাহবুবের মনে হয় তার না পারা স্বপ্ন টা হয়ত ওরা পূরণ করতে পেরেছে- একটা চাকরী, ছোট্ট ঘর আর আমরা। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় হয়ত সবাই তার মত। হয়ত এরাও অন্য কার স্বপ্নকে খুন করেছে। ভাবতে ভাবতেই মোবাইলের বাটন গুলো টিপতে থাকে। নাম্বারটা ভেসে উঠে প্রতি রাতের মত কিন্তু সাহস হয় না। পুরাতন গলিতে হাত দিতে সাহস হয় না। হয়তে সে কারণেই ভেসে আসা ফিসফিস শব্দটার প্রতি রাগ হয়, হিংসে হয়।

কী এত কথা প্রতিদিন? এই ফিসফিস শব্দের আড়ালে কী লুকিয়ে থাকে, স্বপ্ন নাকি আদিমতা? জানতে ইচ্ছে করেই বলে নাম্বারটার দিকে তাকিয়ে থাকে কিন্তু সাহস হয় না।প্রতি রাতের সেই আর্তনাদে কী থাকে, পুরাতন স্বপ্ন নাকি অক্ষম আক্রোশ? উত্তরটা জানেন না বলেই হয়ত সিদ্দিক সাহেব প্রতি রাতে নুয়ে পড়েন তার প্রতাপের আস্তরণ খসে পড়ে। জানে না বলেই হয়ত আশিক শব্দে স্বপ্ন বুনে, হায়দার ভাই আদিমতার শব্দে আশ্রয় খুঁজে। জানে না বলেই হয়ত স্মৃতির পুরাতন গলিতে লুকিয়ে থাকা ফিকে হয়ে আসা শব্দেরা সবকিছু আর ঝাপসা করে দেয়। কেউ জানে না বলেই হয়ত প্রতিরাতে একি শব্দেরা আবার ঘুরেফিরে আসে, জানান দেয় শব্দেরা সব সময় সব প্রশ্নের উত্তর দেয় না।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পটার সবচেয়ে বড় শক্তি বোধহয় এর কাঠামো, ব্যাপ্তিতে খুব একটা স্বল্পবপু নয়, চরিত্রগুলোর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়, কিন্তু পাঠককে গল্পকার তা বুঝতে দেননা, একদম টাল না খাইয়েই গল্পটাকে পরিমিতি দেন দারুণ মুন্সীয়ানায়।

কিছু কিছু জায়গায় মাহবুবের রোমন্থন নিয়ে একটু খটকা থেকে গেল, এ বোধহয় পাঠকেরই সক্ষমতার অপ্রতুলতা।

অদ্রোহ।

নিবিড় এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ অদ্রোহ। তবে কোন জায়গা গুলো নিয়ে খটকা থেকে গেল বললে বোধহয় সম্পাদনা করা সম্ভব হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

তিথীডোর এর ছবি

ভায়া,
বছরখানেকের সচলায়িত জীবনে বোধহয় এই প্রথম আপনার নুতন গল্প পড়লাম...
উত্তম জাঝা!
[ছুটুখাটো কিছু টাইপো আর বানানপ্রমাদ আছে কিন্তু খাইছে ]

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নিবিড় এর ছবি

গত একবছরে এইটা মনে হয় তিন নম্বর পোস্ট যার মধ্যে একটা আবার জন্মদিনের পোস্ট খাইছে

হাতে সময় থাকলে বানান গুলো ধরিয়ে দিলে আনন্দিত হব ম্যাডাম হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

তিথীডোর এর ছবি

স্যার,
আনাড়ির দুই পয়সা 'গিয়ান' জিমেইলে পাঠালাম...
সম্পাদনার সুযোগ তো আছেই! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নিবিড় এর ছবি
সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ভালো লেগেছে যেটা, সেটা হলো চরিত্রগুলোর মনোবিশ্লেষণ...
চলুক

_________________________________________

সেরিওজা

নিবিড় এর ছবি
মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

বিশ্লেষন সুন্দর। ভাল লাগলো ভাই। আরো লিখবেন আশা করি।

নিবিড় এর ছবি
পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভালোই লাগতো তো!

নিবিড় এর ছবি
শান্ত [অতিথি] এর ছবি

চমৎকার লেগেছে গল্পটা।

"একটা চাকরী, ছোট্ট ঘর আর আমরা।"

বোধহয় সব যুককেরই মনে এরকম থাকে।

নিবিড় এর ছবি
কনফুসিয়াস এর ছবি

গল্পের বর্ণনা ভাল লাগলো। অবশ্য বর্ণনামূলক গল্পের প্রতি আমার পক্ষপাতিত্ব আছে।
মাঝে কিছু জায়গায় খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। চরিত্রগুলোর ওভারল্যাপিং এর সময় বিশেষ করে, আমি ভাবছিলাম নিশ্চয়ই মনোযোগ দিয়ে পড়ছি না। এ জন্যে ফিরে গিয়ে আবার পড়লাম, কিন্তু তারপরেও কিছু খটকা থেকে গেলো।
চিপা শব্দটা কি গল্পে স্থান পেয়ে গেছে ইদানিং? ঐ লাইনটায় এই শব্দটা চোখে লাগলো কেন যেন। ওটা বাদ দিয়ে লাইনটা পড়ার পরে ভাল লাগলো।

আরও কিছু বলি।
গল্পটা নিয়েই ভাবছিলাম। একদিনের গল্প। মানে, একটা সময়ের। একজন বসে বসে ভাবছে। তার ভাবনার গল্প। ভাবার মধ্য দিয়েই আরও অনেকের গল্প। পুরোটা পড়ে শেষ করে একটা দীর্ঘশ্বাস এলো, কিন্তু ভাবছিলাম, অনেকদিন মনে রাখার মত কোন নাটকীয়তা বা 'গল্প' এই গল্পটায় আছে কি না? তুমি কী বল?
আরও বেশি বেশি লিখো। জানি আমার মুখে এই উপদেশ মানায় না, তবু দিলাম। হাসি
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নিবিড় এর ছবি

এই লেখাটা নিয়ে আমার নিজেরো কিছুটা সন্দেহ আছে। তাও গল্পের বর্ণনা ভাল লেগেছে যেনে এটুকু বুঝলাম একটা জায়গায় অন্তত আগের তুলনায় উন্নতি করেছি হাসি
আসলে আমার বড় সমস্যা আমার অস্থিরতা। অনেকদিন কিছুই লেখা হয় না তাই ভাবলাম কিছু লিখি এবং তিন ঘন্টার ভিতরে লিখলাম। অনেকেই নিজের লেখা কিছুদিন রেখে দিয়ে পরে আবার তা লিখে। দূর্বল জায়গা গুলো কে শুধরে নেবার জন্য। কিন্তু আমি এখনো এই অভ্যাসটা গড়ে তুলতে পারি নি। সম্ভবত যতদিন এই অস্থিরতা এবং লেখা রিভাইজ না দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারব ততদিন লেখায় এই সমস্যা গুলো থেকে যাবে।

গল্প নিয়ে আপনার পয়েন্টটা মনে হয় ধরতে পেরেছি। আপনার মন্তব্যের পর আমি নিজেও অনেকক্ষন চিন্তা করলাম কোন লেখা গুলো আমার মনে দাগ কেটে গেছে। ভেবে দেখলাম এমন প্রত্যেকটা গল্পের কোন না কোন আকর্ষণীয় দিক ছিল, হয় শেষ নাহয় এর বর্ণনা নাহয় এর প্লট। কিন্তু এই গল্পের সেভাবে দেখলে কিছুই নেই। সাদামাটা বর্ণনায় কোন রকম নাটকীয়তা ছাড়া এবং চমতকার কোন প্লট ছাড়া। সমস্যা হল এই কথা গুলো লেখার আগে ভেবে দেখেনি। এখন আমার কাছে পরিষ্কার সত্যিকার অর্থে ভাল গল্প লিখতে হলে আরেকটু ভাবতে শিখতে হবে, গল্পের প্লট নিয়ে পরিশ্রম করতে হবে। বারবার রিরাইটিং করে গল্প কে নিখুঁত করতে হবে। সেই অর্থে এই গল্প এবং আপনার মন্তব্য আর ভালভাবে নিজের দূর্বলতাগুলো কে খুঁজে বের করতে সাহায্য করল হাসি

আর "চিপা" শব্দটা কে চিপায় ফেললাম খাইছে


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

বইখাতা এর ছবি

জমাট বুননের বর্ণনা পড়তে ভাল লাগে। এটাও ভাল লাগলো। এত কম লেখ কেন? বেশি বেশি গল্প লিখ।

নিবিড় এর ছবি

আলসেমী বড়ই উপকারী বস্তু খাইছে
আপনি আছেন কেমন?


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।