নিরাসক্তি আমার বড় -
এমন কথা বল্লে যে,
গণকটুলির রায়বাবুকে
চেন নাকি, শুনি হে।
করছি না যে এই কাজটি-
এটা বলো এমন কি?
শুনলে তুমি বিষম খাবে-
রায়বাবু আজ বল্লো কি।
ন’নটি মেয়ে মাথার উপর-
নিজের তাহার তিনজনা,
তাদের মাঝে রইলো আরো
ভেসে আসা ছ’জনা।
রসুই ঘরে আনাজপাতি-
নুন-তেল তো হাতটানা।
তবুও মশাই আজকে উনি
পোষ্য নিল দু’জনা।
সিডর এলো, মঙ্গা এলো-
এলো আরও কত কি!
খুঁজে খুঁজে আগলে নিল-
মা-বাপহারা মে...
চেইন-প্যাডেল ডিঙিয়ে জল যখন সিট ছুঁই ছুঁই তখন ত্রিগুণ ভাড়ার খেপ না নিয়ে আনমনে বসে থাকে গণেশ।
ডুবছে ক্রমশ, প্রথমে ফুটপাত-রাস্তাঘাট-রোড বিভাজক। অতঃপর দোকান-বারান্দা, ঘরদোর, সুউচ্চ ভবনের অলংকার গ্যারেজগুলো। শ শ গাড়ি জলাবদ্ধ, ইঞ্জিনের দাম্ভিকতায় ভাটা পড়েছে।
শহরজুড়ে ‘জল’, আলোড়নে ‘জল’, আড্ডায় ‘জল’, সংবাদপত্রে ‘জল’, চকচকে চ্যানেলগুলোর নিউজের বিশেষ দৃশ্যপটে ‘জল’। দূর্ভোগ পোহানো ম...
নীল টিপ নৌকোর পাটাতনে বসে জল ছুঁয়ে খেলছে। ঘাসফড়িং এর কাছ থেকে সবুজ ধার করেছে ওর মন। সাদা শার্ট এতোটা দক্ষভাবে নৌকা বাইতে পারবে জানা ছিলনা ওর।
নীল টিপ - তোমায় বেশ লাগছে। জ্যোৎস্না মিশে গেছে তোমার শরীরে, শার্টের বুননে।
সাদা শার্ট - নদীটা ভীষণ প্রিয়। ওর সাথে আমার অনেকদিনের প্রেম। ওকে তুমি ঈর্ষা করছোনাতো?
নীল টিপের অধরে মাতাল হাসি ভর করে। বৈঠা ছেড়ে নীল টিপের কোলে মাথা রাখে সাদা শার্...
‘লইয়া যাইন মাই।
ডাইন আতঅ (হাতে) বান্-বা, গলাত্ বান্-বা।
আর কুনু জা’গাত্ বান্ধইন না-জান।
ড্যাগঅ ছুয়াইয়া পিন্-বা।
লইন বইন, লইন বাই (ভাই), আশা ফুরন(পুরণ) অইবো, বরকত পাইবা........’ -
মাথায় সাদা টুপি, প্যান্ট আর পাঞ্জাবী পরনে। গলার সুর আকৃষ্ট করে মানুষগুলোকে। ওদের মন তখন সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুর মতোন নড়বড়ে কিংবা পদ্মপাতার টলটলে জলকণা। আঁকড়ে ধরতে চায় বিশ্বাসের খুঁটি, গহীন অতল হাঁতড়ে খুঁজে ফিরে ...
আমার বাড়ির
ছাদ ডিঙিয়ে-
মালাইকারী চায়ের দোকান।
নড়বড়ে বেঞ্চ
ধুলোর পরত-
ইঞ্চিখানেক জমছে নিদান।
কাচের গেলাস
ছলকে ওঠে;
চায়ের সুবাস আড্ডামাঝে।
টঙঘরের ওই
দোকান জুড়ে,
জমছে সবাই একে একে।
ফিরবো-না ঘর,
ভাবছি বসে;
‘আড্ডা’মদে মাতাল হয়ে।
ভাবুক তারা-
ভাবছে যারা;
‘মেয়েছেলে’টা গেছে ‘বখে’।
একটা পুকুর
এই শহরে;
বের করেছি অনেক খুঁজে।
জল ভরপুর
সিঁড়ির উপর;
জলকেলিতে সময় কাটে।
ছোট ছোট
ঝাঁক বাঁ...
ভাবনাঃ
মেয়ে তোর এলোচুলে ফুল গুঁজলো কে?
মেয়ে তোর আঁধার রাতে বাসর সাজায় কে?
স্বপ্নগুলো সাজাতে গিয়ে ক্রমাগত এক ধোঁয়াশার মাঝেই ঘুরপাক খায় নীর। গোধূলী যখন সন্ধ্যার বুকে এলিয়ে পড়ছে, ঠিক তখন ব্যাথা ব্যাথা অনুভবে বুক ভার হয়ে আসে।
বারান্দার গ্রিলের ফাঁকে ফাঁকে খন্ড খন্ড আকাশে চোখ পড়লে অনেক অগোছালো ভাবনার পোকা কচকচ করে মস্তিষ্কে। গল্প হলে বলতো- ‘হৃদয়ের ভাবনা।’
মনে নাকি মস্তিষ্কে ...
১০/৭/২০০৯
মাটির ঢাকনা সরালে অ্যালুমিনিয়ামের পাতিল থেকে ভাপ ওঠা ভাত ভাত গন্ধ ছড়ায়। ঝোলের সমুদ্রে মাংস খুঁজে পাওয়া ভার। ডালের হাঁড়ি পরিপূর্ণ, পাতলা- তবু অতোটা বিস্বাদ নয়। পলাশীর মোড় থেকে এগিয়ে এসে রিক্সা দাঁড় করায় আলম। পরিচিত খদ্দের সৌজন্য হাসির আভা ফুটিয়ে তোলে রুকির মুখে।
সূর্য তখন সবটুকু তেজ নিয়ে মধ্য আকাশে। পরিশ্রমকে দরকষাকষির পাল্লায় তুলে অনেকেই ছুটে আসে এই ফুটপাতের ধার...
২৭শে আষাঢ়
এক.
‘জানালা’, ‘বৃক্ষ’, ‘বোবা কান্না’....
‘ভয় ভয় এক দমবদ্ধ ব্যাকুল অনুভূতি’
সবই বড্ড পুরনো.....
তবু আদিম মানুষ খুঁজে ফেরে নিত্য নিরবধি।
মেঘলা আবেশ দুঃখ বিলাস জাগিয়ে তোলে যদি
মুঠোফোন আর চ্যাটবক্সে কবিতার ঝুনঝুনি।
দুই.
আমায় তুমি ছুঁতে পারো।
চকচকে ঐ জলকণা মুছে দেবার অভিপ্রায়ে-
বৃষ্টি ধোয়া সন্ধ্যেবেলায়
শুকতারাটা খুঁজতে পারো।
হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথ, চলতে চলতে বুঝতে শেখা-
...
২৮/৫/২০০৯, রাত: ১.২০ ঘটিকা
---------------------------------
“কিছুতে ভ্রুক্ষেপ নাহি, মহাগাথা গান গাহি
সমুদ্র আপনি শুনে আপনার স্বর।
কেহ যায়, কেহ আসে কেহ কাঁদে, কেহ হাসে,
খ্যাপা তীরে খুঁজে ফিরে পরশ পাথর ॥” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
sin, cos, ^/2, . . . . . . . .শ’খানেক ........ হাজারখানেক, না, না, লক্ষ কোটি ম্যাথম্যাটিক্যাল টার্মস মস্তিষ্কের কোষে কোষে তান্ডবনৃত্য শুরু করেছে। কি যেন করছে? হ্যাঁ, মনে পড়েছে, জটিল ইকোয়ে...
লোহার গারদ পেরিয়ে পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে আলোর বিম নেমে এসেছে মেঝে বরাবর। বিমের ভেতর দৃশ্যমান ধুলিকণার গতিময়তা অপলক দৃষ্টিতে দেখছে চপল। হঠাৎ ছোট্ট দুরন্ত এক ন্যাংটো ইঁদুর মেঝেতে তৈরি বৃত্ত পেরিয়ে যেতেই চঞ্চল চোখের তারা ওর পিছু নেয়। এই ইঁদুরগুলোকে মা বলতেন “বাত্তি ইন্দুর”। মেঝেতে কুচি কুচি কাগজের টুকরো, কাপড়-চোপড় আগলে রাখার কষ্ট, মায়ের জন্য সৃষ্ট যন্ত্রণা। কিন্তু চপলে...