আমার বন্ধু মিশুক

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফর রহমান রিটন (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৮/২০১১ - ১১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় বন্ধু মিশুক মুনীর নেই! নেই বন্ধু তারেক মাসুদও! সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে অসামান্য মেধাবী দুজনকেই। আমার প্রজন্মের এই দুজন মানুষ তাদের মেধা আর যোগ্যতায় চলচ্চিত্র এবং ইলেক্ট্রনিক জার্নালিজমে যুক্ত করেছিল নতুন নতুন মাত্রা। দেশ আর দেশের মানুষকে অনেক দিয়েছে তারা। আরো অনেক দেবার ছিলো তাদের। কিন্তু বাংলাদেশের সড়কপথে ওঁত পেতে থাকা ঘাতক কেড়ে নিয়েছে তাদের দুজনকেই, অকালে।

কানাডায় আমার পাশের শহর টরণ্টোয় থাকতো মিশুক, স্ত্রী মঞ্জুলি আর পুত্র সুহৃদকে নিয়ে। মিশুক আর মঞ্জুলি দুজনই আমার বন্ধু। অটোয়া থেকে আমি টরন্টোয় গেলে প্রতিবারই একটি চমৎকার সন্ধ্যা আমাকে উপহার দিতো মিশুক। প্রিয় কিছু মানুষকে ডেকে এনে আয়োজন করতো জমজমাট আড্ডার। সেই আড্ডা চলতো রাতভর। আমার জন্যে মিশুক নিজ হাতে রান্না করতো খাসির মাংস। খাসির মাংসের ‘নল্লি’ আমার প্রিয়, এটা জানতো সে। আহারে কী চমৎকার রান্নাই না করতো মিশুক!

মঞ্জুলিরা একবার একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো শিশুকিশোরদের নিয়ে। অতিথি হিশেবে আমাকে নিয়ে গেলো মঞ্জুলি। ওদের সিক্স-সেভেন গ্রেডে পড়া পুত্র সুহৃদ ওর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ভ্রমণের ওপর লেখা ছোট্ট একটা রচনা পাঠ করে শোনালো। সুহৃদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে গিয়ে বলেছিলাম মিশুকের বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর কথা। মুনীর অপটিমা নামে বাংলা টাইপ রাইটার মেশিন ইনোভেট করেছিলেন মুনীর চৌধুরী। সেই মুনীর চৌধুরীর নাতি বাংলাদেশের ওপর লিখেছে রচনা, ইংরেজিতে! আমাদের পরের প্রজন্মেই কি বিশাল পরিবর্তন! আমাদের সন্তানরা কি বাংলা ভুলে যাবে?
আমাকে আশ্বস্ত করেছিলো মিশুক—না। তুমি ভয় পেওনা।
--কিন্তু আমি তো ভয় পাচ্ছি। তোমার সন্তান বাংলায় তো লিখলো না রচনা!
--বাড়িতে ওর সঙ্গে আমরা বাংলাতেই কথা বলি।
--লিখতে পড়তে শেখাবে না?
--শিখবে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না আমাদের পরের প্রজন্ম কমপিট করবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। ওর শেকড় প্রোথিত থাকবে বাংলাদেশেই কিন্তু সে হবে ইন্টারন্যাশনাল। ওকে আমি সেভাবেই বড় করছি, বড় হতে দিচ্ছি।

আসলেই।পুত্র সুহৃদের সঙ্গে অন্যরকম চমৎকার একটা সম্পর্ক গড়ে নিয়েছিলো মিশুক। সেই সম্পর্কটা পিতা-পুত্রের বাইরেও অনন্যসাধারণ। বন্ধুর মতো। একটি ছেলের কৈশোর খুব জটিল একটা সময়। বয়োঃসন্ধির এই কঠিন দুঃসময়ে নিজের শারীরিক গঠনের আকস্মিক পরিবর্তনের ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়ে একজন কিশোর। একটা অজানা অপরাধবোধ ওর সবকিছু উলোটপালোট করে দেয়। মিশুক আমাকে জানিয়েছিলো, যৌবন উঁকি দেয়া কৈশোরের গভীর গোপন বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধাহীন আলোচনা করেছিলো ওরা, পিতা আর পুত্রে। মিশুক তার পুত্রকে বলেছে, আমি যখন তোমার বয়েসী ছিলাম তখন আমার জীবনেও ঘটেছিলো এই রকম ঘটনা। সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজের শরীরের কর্মকান্ডে ভয়ে কুঁকড়ে যেতাম আমি খামোখাই। কিন্তু তুমি কক্ষনো ভয় পাবে না। কারণ তেমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

মনে পড়ে, একবার, ২০০৪ সালে আমাদের অটোয়ার বাসায় বেড়াতে এসেছিলো মিশুক মঞ্জুলি আর সুহৃদ। শীতের বিকেলে আমরা একটা শপিংমলে সেকেন্ড কাপ নামের একটা কফিশপে বসে কফি খাচ্ছিলাম। আমাদের টেবিলের পাশ দিয়ে পরীর মতোন সুন্দর একটা কিশোরী হেঁটে গেলো। সুহৃদের মুগ্ধ চোখ মেয়েটাকে এক ঝলক অনুসরণ করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলো মিশুকের কাছে। গোঁফে দুষ্টুমির হাসি ঝুলিয়ে মিশুক তার পুত্রকে বলেছিলো—চাইলে ওকে আরেকবার আরেকটু দেখে আসতে পারো। গো এহেড। ফলো হার। সুন্দরকে দেখার মধ্যে ক্ষতি নেই কোনো, কিন্তু বাড়াবাড়ি যেনো না হয়।
গ্রেড সেভেনের সুহৃদ তো লজ্জায় একেবারে গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে গেলো—না বাবা আমি ওকে দেখিনি তো!

দুমাস আগে মঞ্জুলি এসেছিলো আমাদের বাসায়। সঙ্গে সুহৃদ। ধাঁই ধাঁই করে বড় হয়ে গেছে সুহৃদ। ওর উচ্চতা আর ঝাঁকড়া চুলের মিষ্টি হাসি দেখে আমি আর আমার স্ত্রী একসঙ্গে বিস্মিত হই—আরে! ওযে দেখতে এক্কেবারে মিশুকেরই মতো!

হ্যাঁ, মিশুকের মতোই হতে চেয়েছিলো ওর পুত্রটি। মাসকম্যুনিকেশন এন্ড জার্নালিজমে ভর্তি হয়েছে সেই কারণেই। সুহৃদ আমাকে বলেছে, ওর ইচ্ছে--ভবিষ্যতে ঢাকায় গিয়ে বাবার সঙ্গে ইন্টার্নশিপ করবে। তারপর কাজ করবে মিডিয়ায়, বাবার মতোই। আহারে মামা! তোমার সেই আশাটি আর পুরণ হবার নয়!

কানাডায় খুব ভালোই তো ছিলো মিশুকের জীবন। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সাভিস, এআর ডি ওয়ান, ফক্স এবং স্টার টিভিতে কাজ করেছে। কাজ করেছে রিয়েল নিউজ নেটওয়ার্কে। কেনেডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন সিবিসির ডক্যুমেন্টারি ফিল্ম ‘রিটার্ণ টু কান্দাহার’-এর চিত্রগ্রাহক হিশেবে কাজ করেছে মিশুক। রিটার্ণ টু কান্দাহারে ক্যামেরা চালানোর বাইরে লোকেশন সাউন্ডেও কাজ করেছিলো। রিটার্ণ টু কান্দাহারের চিত্রগ্রাহক হিশেবে বিখ্যাত জেমিনি এওয়ার্ড অর্জন করেছিলো মিশুক।
বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক জার্নালিজমের একজন পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব আমাদের মিশুক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ব্রডকাস্টিং জার্নালিজম বিষয়ে অধ্যাপনা করেছে প্রায় দশ বছর। বাংলাদেশের টিভি সাংবাদিকতা মিশুকের হাত ধরেই আজকের আধুনিক মাত্রায় এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী টেলিভিশন একুশে টিভির হেড অব নিউজ অপারেশন্স হিশেবে দায়িত্ব পালন করেছে। মিশুকের হাতে গড়া ছেলেমেয়েরাই এখন বাংলাদেশের সেরা টিভি সাংবাদিক।

কানাডা ছেড়ে বাংলাদেশে এটিএন নিউজে যাবার আগে নিয়মিত আমার সঙ্গে কথা হতো টেলিফোনে। যাবে কি যাবে না কিছুটা দ্বিধা তো ছিলোই। আমাকে বলেছে, এখানকার ভালো চাকরি ছেড়ে গেলেও টাকার ক্ষেত্রে আমাকে খুব একটা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না। এটিএন কর্ণধার মাহফুজুর রহমান নাকি মিশুককে কানাডার হিশেব মাফিকই পেমেন্ট করবেন। আমিও মিশুককে বাংলাদেশে যেতে উৎসাহ দিচ্ছিলাম। প্রায় প্রতিদিন কথা হতো তখন। ঢাকা থেকে ফোনে মিশুককে মুন্নী সাহা কি বলেছে জ ই মামুন কি বলেছে সব আমার সঙ্গে শেয়ার করতো। আমিও বাংলাদেশে চলে যাবো শুনে একটা নিয়মিত আইটেম করার কতো পরিকল্পনা করেছে মিশুক! কথা ছড়া আর কার্টুন নিয়ে হবে একটা ৩/৪ মিনিটের সেগমেন্ট। আমি দ্বিমত পোষণ করেছি—না রে ভাই, বাংলাদেশের মন্ত্রী এমপি সচিব আমলারা ফান সহ্য করতে পারবেন না। মানহানীর মামলা হবে রোজ। কিন্তু মিশুক মানতে চাইতো না। বলতো, একটু মাইল্ড কোরো। অসুবিধে হবে না।

সাপ্তাহিক ২০০০-এর একটি ঈদ সংখ্যায় আমি সদ্য প্রবাসী এক প্রবীনের কালচারাল শক তাঁর মর্যাদাহীন জীবনের হাহাকার এবং স্বদেশে ফিরে যাবার আকুতিকে বিষয় করে একটা উপন্যাস লিখেছিলাম। দাউদ হায়দারের একটি লেখার কারণে সেই ঈদ সংখ্যাটি নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিলো। আমার লেখাটি তাই কেউ পড়েইনি। সেই লেখাটি নিয়ে একটি চলচ্চিত্র করার পরিকল্পনা করেছিলাম আমি আর মিশুক। মিশুকের টরন্টোর বাসায় মঞ্জুলি আর মিশুকের সঙ্গে বসে লেখাটির চিত্রনাট্যের খসড়া, শেষ দৃশ্যের সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং মেইন কাস্টিং নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি ভোর রাত পর্যন্ত।
হলো না।
মিশুক চলে গেলো।

মিশুক তার বাবা মুনীর চৌধুরীকে হারিয়েছিলো বারো বছর বয়েসে। সুহৃদও প্রায় কাছাকাছি বয়েসেই তার বাবা মিশুক মুনীরকে হারালো!
মিশুকের বাবার হত্যাকারী একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনো হয়নি। সুহৃদের বাবার হত্যাকারীর বিচার কি হবে?

কিন্তু কি করে হবে? আমাদের পরিবহন সেক্টর তো এমপি মন্ত্রী অবঃ আর্মিদের নিয়ন্ত্রণে! এই সেক্টরের লুন্ঠন বানিজ্যের হর্তাকর্তা বিধাতা তো তাঁরাই।

আমাদের যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল বড় বড় কথা বলেন। তাঁর হ্যান করেংগা ত্যান করেংগা ধরণের হাস্যকর কথাবার্তা শুনতে শুনতে আমরা লজ্জিত হই। কিন্তু তিনি লজ্জিত হন না। নতুন কোনো রাস্তা তিনি নির্মাণ করতে পারেন না। পুরনো কোনো রাস্তা তিনি সংস্কার করতে পারেন না। মিডিয়ার সামনে দাঁত কেলিয়ে হাসেন আর উড়াল সেতু পাতাল সড়ক ইত্যাদি ধরণের গালগল্প করেন আর বিস্তর গোপন কমিশন গোণেন। তাঁর যোগাযোগ মন্ত্রণালয় মাত্র দুদিন আগে চব্বিশ হাজার চালককে পরীক্ষা ছাড়াই ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করেছে! অর্থাৎ আরো চব্বিশ হাজার ঘাতক ড্রাইভারকে মানুষ হত্যার লাইসেন্স দেয়া হলো! সেলুকাস!

অটোয়া, ১৪ আগস্ট ২০১১

ছবি: 
02/06/2007 - 3:11pm

মন্তব্য

গগন২০১১ এর ছবি

বলার আছে অনেক কিছু। কিন্তু করার রাস্তাটা খুজে পাচ্ছি না............সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই।

তিথীডোর এর ছবি

কিছুই বলার নেই....
নেই লেখার মতো কিছু.....

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুজন চৌধুরী এর ছবি

রিটন ভাই,
আমার সেই দিন থেকেই খালি "হারাধনের ১০টি ছেলে" কবিতাটা মনে পরছে!!
কতদিনের পূণ‌্যে যে এমন সব কাজের মানুষ জন্ম নেয়.... তাও যদি হারাতে হয় অপঘাতে !! .... তখন নিজেকে হারাধনের মতই লাগে... "মনের দু:খে বনে গেলো রইলো না আর কেউ"

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ঠিক।
বাংলাদেশকে হারাধনের জায়গায় দাঁড় করালে বলতেই হয়--হারাধনের কৃতি ছেলেগুলো একে একে হারিয়ে যাচ্ছে।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ঠিক।
বাংলাদেশকে হারাধনের জায়গায় দাঁড় করালে বলতেই হয়--হারাধনের কৃতি ছেলেগুলো একে একে হারিয়ে যাচ্ছে।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

দিহান এর ছবি

সুহৃদ যেনো বাবার মতো হয় এটা কাছের মানুষ হিসেবে আপনারা দেখবেন, নিশ্চিত করবেন প্লিজ!

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

নিশ্চয়ই।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সাইফুল এর ছবি

এই মূর্খ আবুলের বিরুদ্ধে কথা বলে আমি বহুবার আমার মায়ের সাথে কথারকাটাকাটি করেছি। আমার মা মামাদের ধারনা এর থেকে ভালো মানুষ আর হয় না(আমাদের ঐদিকের এমপি দেখে ওর ব্যাপারে আলোচনা হত)। যখন বলতাম এত টাকার মালিক এই লোকটা কিভাবে হল? একটাই উত্তর, কেন, ব্যাবসা করে করেছে! আর আজকে অবশ্য মায়ের মতামতটা একটু ভিন্ন। এখন বলছে রাজনৈতিক জ্ঞ্যান নেই লোকটার।

আমি আরো ৭/৮ বছর আগে দেখেছি আমাদের গ্রামের এলাকায় ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার নিয়ে এই লোক নির্বাচনের প্রচারনা করতে এসেছিল। হাজার হাজার মানুষও এসেছিল সেদিন। তবে ঐ নির্বাচনি প্রচারনার সময়েই। এছাড়া তাকে কেউ তার এলাকায় দেখেছে, একথা কেউই বলতে পারবে না। টাকা দিয়ে সমস্ত নির্বাচনি এলাকা ভাসিয়ে ফেললে অবশ্য এলাকায় এসে মানুষের সাথে কথা না বললেও চলে!!

সাইফুল ইসলাম

ফাহিম হাসান এর ছবি

শুধু কান্না পেল

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

কিছু বলার ভাষা নেই

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

pathok(sam) এর ছবি

দুইজন আধুনিক বাংগালী কে হারালাম - রিটন ভাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ তার সুন্দর সময় ও চিন্তাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য - - -

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ


_____________________
Give Her Freedom!

The Reader এর ছবি

দেশ যে কি হারাল , তা অই মূর্খ মন্ত্রী রা কখনই বুঝবে না ।

দুর্দান্ত এর ছবি

এই শূন্য়স্থান পূরন হবেনা জানি। সহমর্মিতা জানাই।

বন্দনা এর ছবি

এত প্রাণবন্ত মানুষটা আজকে শুধুই ছবি। ভাবতে পারিনা একদম।

অনিকেত এর ছবি

দেশের সাগ্নিক সন্তানেরা কেবল অকালেই ঝরে যায়
পথের বাঁকে বাঁকে শুধু বেঁচে থাকে শকুন--

রিটন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ অন্তরঙ্গ আলোকে এক আলোকিত মানুষের কথা তুলে আনার জন্য!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ তারেক।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

নিত্যানন্দ রায় এর ছবি

কাকে দোষ দিব, সব আমাদেরই দোষ, "আরে বাবা রাস্তা ঘটে এত জোরসে চলার দরকার কি! পিপড়ার মত হাটি হাটি করে গেলি তো অই"

চরম উদাস এর ছবি

কিছুই বলার নেই

guest_writer এর ছবি

জানি এ শূন্যস্থান পুরণ হওয়ার নয়। শুধু একটাই চাওয়া- সুহৃদ , নিষাদ যেন বাবার যোগ্য সন্তান হয়ে উঠতে পারে............ শ্রদ্ধা

নির্ঝরা শ্রাবণ

fakhrzzaman chowdhury এর ছবি

ek nishshashe pore fellam ar mon kharap niye boshe thaklam onek khon.

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ জামান ভাই।
সচল বন্ধুদের বলি, এই ফখরুজ্জামান চৌধুরী আমাদের দেশের বিখ্যাত একজন লেখক। অনুবাদে বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রাপ্ত। ডিলান টমাস, আঙ্কল টমস কেবিন, যাদুর রাজা হুডিনি ইত্যাদির লেখক।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

নৈষাদ এর ছবি

এটা অপূরণীয়। সহমর্মিতা রইল।
স্মৃতিচারণের মাধ্যমে স্মরণ করার জন্য ধন্যবাদ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কিছু বলার নেই রিটন ভাই...

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

pathok এর ছবি

শকুন এর দল ভাল মানুষ খেযে সাবার করে ফেলছে। মূর্খ আবুলের দল সাবধান !!

pathok (sam) এর ছবি

রিটন ভাই আপনার আবুল হাসে টা কি সচলায়তন এ পোস্ট দেয়া যায়? এফ বি ফ্রেন্ড না হবার জন্য পড়তে পারছিনা --- ফোন এ আজ একজন শোনালো --- দারুন লাগলো

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

দেবো। একটি ছড়ার জন্ম সিরিজে আবুলও আসবে।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

আবু হাসনাত (মিলন)  এর ছবি

সব নস্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে।

মুস্তাফিজ এর ছবি

শ্রদ্ধা

...........................
Every Picture Tells a Story

ঢাকাইয়্যা যাদুকর () এর ছবি

আর কিছুই বলার নেই, আমিও এখন হতাশবাদীদের দলে যোগ দিলাম

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।