বিধি বাম, কই বাম?

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফর রহমান রিটন (তারিখ: শনি, ১৪/১২/২০১৩ - ১০:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আদর্শ আর নীতি নিয়ে ওদের অনেক বড়াই ছিলো
ওদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ‘দুই কুকুরের লড়াই’ ছিলো!
চিরকালই এই দাদারা ইহার উহার লেজুড় ছিলো
এই দাদাদের পোটলায় লাল খোর্মা এবং খেজুড় ছিলো!

আন্দোলনে তেল-গ্যাস আর রামপালের অই বনটা ছিলো
ওদের প্রতি কারো কারো মৌন সমর্থনটা ছিলো।
কিছু কিছু সৎ মানুষের জন্যে ওরা টিকে আছে
কিন্তু বোঝা যায় না ওরা আসলে কোন দিকে আছে!

বোমায় মানুষ ঝলসে গেলে কয় না কথা এই দাদারা
বিম্পি-জামাত না থাকিলে নির্বাচনে নেই দাদারা!

কাদিরার ফাঁসি হলো। ব্যথা পেলো অন্তরে চিরচেনা চিরবুড়ো ভামরা।
এ বিষয়ে কথা নেই, নেই কোনো বিবৃতি, গ্যাড়াকলে পড়ে গেছে বামরা।

বাম থাকে কোনদিকে? থাকবার কথা তার বামে।
বলবো কী বিধি বাম, বাম দিকে নেই বাম, বাম থাকে শুধু চামে চামে...

১৪ ডিসেম্বর ২০১৩

ছবি: 
12/08/2007 - 9:52অপরাহ্ন

মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

এক লহমা এর ছবি

অনেকদিন পরে আমার সবচেয়ে প্রিয় বিশেষণ-টা ব‌্যবহার করি - ফাটাফাটি! গুরু গুরু

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

জামাতির পাশাপাশি এখন আরেকটা এসে দাঁড়িয়েছে... বামাতি!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বামাতি! চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সুজন চৌধুরী এর ছবি

বামাতি! হাহাহাহাহাহাহা হো হো হো

সুজন চৌধুরী এর ছবি
স্যাম এর ছবি

চলুক হাততালি নতুন শব্দ পেজে অনায়াসে রেকমেন্ড করা যায়!

তানিম এহসান এর ছবি

বামাতি! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

হাসিব এর ছবি

আপনি শেষ। আপনার নামের সাথে এখন থেকে সাম্রাজ্যবাদি, ইঙ্গ-মার্কিন-ইজরায়েলি-ইন্ডিয়া দখলদারিত্ব, আওয়ামী, বাকশাল, ফ্যাসিবাদ ইত্যাদি শব্দ উচ্চারিত হবে।

দীনহিন এর ছবি

কিছু কিছু সৎ মানুষের জন্যে ওরা টিকে আছে
কিন্তু বোঝা যায় না ওরা আসলে কোন দিকে আছে!

চিরচেনা রিটন ভাইকে কিন্তু পাইনি এ ছড়াটিতে। সাহস করেই বলছি যে, কিছুটা কম লেগেছে আমার কাছে।

আন্দোলনে তেল-গ্যাস আর রামপালের অই বনটা ছিলো

তবে এই লাইনটি জটিল। সেরা লাইন এ ছড়ার।

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

চিরচেনা রিটন ভাইকে কিন্তু পাইনি এ ছড়াটিতে। সাহস করেই বলছি যে, কিছুটা কম লেগেছে আমার কাছে।

বয়েস হয়েছে। বৃদ্ধ হয়েছি। আগের মতো বল পাই না। থাবার জোর কমে গেছে। তাছাড়া ছড়াটা লিখেছি 'বাম' হাতে।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সুজন চৌধুরী এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো হাততালি

গান্ধর্বী

হিমু এর ছবি

বাচ্চুখামোশ বামদের নামে এই বুর্জোয়া মিথ্যাবাদিতা ছড়াকারের ইঙ্গ-ইন্দো-ইসরায়েলীয় চক্রান্তের প্রতি নতজানু মনোভাবেরই বহিপ্রকাশ মাত্র। এ ছড়ার পরতে পরতে সাম্রাজ্যবাদী লুটেরা শোষকের বিষদাঁত দেখা যাচ্ছে। এই ছড়ার কারণে সুন্দরবনে হরিণ শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছি। অন্তরের অন্তস্থল থেকে মুর্দাবাদ জানাই।

আয়নামতি এর ছবি

হো হো হো

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বোমায় মানুষ ঝলসে গেলে কয় না কথা এই দাদারা
বিম্পি-জামাত না থাকিলে নির্বাচনে নেই দাদারা!

বামাতিদের মিজান, পিষে ফ্যালো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ইদানীং বামপারের (বামদলীয় বাটপার) বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে।

স্যাম এর ছবি

'বামপার' - এটাও পছন্দ হইসে শয়তানী হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমি 'বামাতি'-টা আগে খেয়াল করি নাই দেঁতো হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হু, বামাতিদের বামপার চলতেছে মিজান, পিষে ফ্যালো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্যাম এর ছবি

হাততালি উত্তম জাঝা!

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

এ দেশে আধা সামন্তবাদী আধা বুর্জোয়া মুৎসুদ্দি গোষ্ঠী শোষক ধনিক সাম্রাজ্যবাদী দেশের তল্পিবাহক লুটেরার দল কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতার শ্রেনী সংগ্রামকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের হীন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সুতরাং দেশের এই ঘোর দুর্দিনে জামাত শিবিরের গলায় গলা মিলিয়ে এই জালেম লটেরা সরকারের পতন ঘটানোই সকল বামাচারী বিপ্লবীর আশু কর্তব্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

রিটনভাই কি দেশে আছেন? বোমায় মানুষ পুড়ে গেলে বামরাই রাস্তায় নেমে স্লোগান তুলেছে। শাহবাগে সমাবেশ করেছে। পত্রিকাগুলো ঘাটলে বোধ হয় পাবেন। বিএনিপ নির্বাচনে না গেলে বামরা যাবে না এ কথাটা অতি সরলিকরণ হয়ে গেল না কি? নির্বাচন বিষয়ে বামদের স্পষ্ট অবস্থান আছে, তা প্রকাশিত এবং বিএনপি থেকে একেবারে স্বতন্ত্র। কষ্ট করে একটু চোখ বুলালেই দেখেত পাবেন।

আর কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিত হওয়ার পর শ্হবাগ তিনদিন রাত জেগে কারা পাহারা দিয়েছে কারা সারা রাত-দিন একাকার করে স্লোগান দিয়ে গেছে তা ওখানে থাকা যে কাউকে প্রশ্ন করলেই জানতে পারবেন। জানা থাকার কথাও। ৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর প্রথম মিছিল নিয়ে এই বামরাই ট্রাইব্যুনাল ঘেরাও করে, সমাবেশ করে। বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করে। অনলাইন এক্টিভিস্টদের ৮ টা পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থানকে ফোর্স করে লাগাতার করে। লিগের প্রস্তাব ছিল শহীদ মিনার। না মানায় তারা নিজেদের উইথড্র করে চলে যায় রাত সাড়ে দশটার দিকে। পরদিন সকাল ১১ টার পর যখন দেখে তারা না এলেও আন্দোলন চলছে তখন আবার যোগ দেয়। ঘটনাগুলো চাইলে একটু যাচাই করে দেখতে পারেন। প্রথম রাতে যে ৭০-৮০ জন সারা রাত জেগে ধরে রেখেছিল তাদের ৮৫-৯০ ভাগ বাম। যাদের এখন বামাতি বলছেন।

দুই কুকুরের যুদ্ধ বলে যারা মুক্তিযুদ্ধে অবস্থান প্রকাশ করেছিল সেই চৈনিক বামদের অধিকাংশই কিন্তু মোহাজোটের শরিক। একটু খেয়াল কৈরা।

স্বয়ম

হিমু এর ছবি

স্বয়ম ভাই, সেইসাথে এও সত্য যে মুসলিম লীগার ফ্যামিলির কৃতী সন্তান আনু মুহম্মদের সাগরেদ কল্লোল মোস্তফা প্রকাশ্য ফেসবুক স্ট্যাটাসে জামাতের লক্ষ লক্ষ কর্মীকে আওয়ামী লীগ সরকার ঘেরাওয়ের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে চলছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কল্লোল মোস্তফা কি করেছে তা এখনো আমি জানি না। খুঁজে দেখবো। আমি শুধু বলেছি, সকল বামকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে এটা অতি সরলিকরণ হয়ে গেল কিনা। আর যে প্রসঙ্গগুলোকে তুলে আনা হলো সেখানে, বামদের অবস্থান কি তা জানানো। নিশ্চতভাবে সব বাম মানেই নির্বিশেষে ভাল বা ভুলহীন আমি েসটা দাবি করছি না। তাও সরলিকরণ হয়ে যাবে।

স্বয়ম

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

... ...ওদের প্রতি কারো কারো মৌন সমর্থনটা ছিলো।
কিছু কিছু সৎ মানুষের জন্যে ওরা টিকে আছে
কিন্তু বোঝা যায় না ওরা আসলে কোন দিকে আছে!

বোমায় মানুষ ঝলসে গেলে কয় না কথা এই দাদারা
বিম্পি-জামাত না থাকিলে নির্বাচনে নেই দাদারা!... ...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

দেশেই আছি। কিন্তু এই ছড়া লেখার জন্যে দেশে থাকাটা কি জরুরী?

গণ-জাগরণ মঞ্চের ঐতিহাসিক সেই সময়টায় আমিও কিন্তু উপস্থিত ছিলাম, প্রতিদিন। বামপন্থীদের উপস্থিতি ও ভূমিকা আমার নিজের চোখেই দেখা। না জেনে আমি কিছু লিখিনা স্বয়ম।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

অতিথি লেখক এর ছবি

তাহলে কিছু বলার নেই। দিন আর রাতের হিসেব, অক্লান্ত শ্রম, এই সবই আপনার জানা। সেখানটাতে ঘাটতি কতটা, কি তাও। ধন্যবাদ।

স্বয়ম

তানিম এহসান এর ছবি

শাহবাগ আন্দোলনে বামপন্থীদের ভূমিকা নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলবো না (যদিও কিছু কিছু চেনা মানুষের রূপদর্শন নিয়ে কথা বলার চাইতে স্ক্রিনশট কাজে দেবে বেশি!), ভূমিকা আছে এবং সেটা’কে খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু শাহবাগ আন্দোলনের শুরু থেকে ‘সারা রাত জেগে ধরে রাখা’র দায়িত্ব যারা কোনরকম প্রাপ্তির আশা না করে করেছে সেটার ৮০-৯০ ভাগ করেছে বাম -- সেটা যদি বলা হয় তাহলে বিষয়টা’কে পুরোপুরি খণ্ডিত করে দেখা হবে, তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি। এমনকি প্রথম মিছিল কিংবা ফোর্স করে বোয়ান’কে মাঠে রাখা, এই ফোর্স করার বিষয়টাতে-ও যদি শুধুমাত্র বামপন্থীদের ভূমিকা হিসেবে দেখা হয় তাহলে সেটা আরও খণ্ডিতকরণ। আমি নিজে যতটা দেখেছি তাতে শুধু একটা কথাই বলতে পারি -- শাহবাগ আন্দোলনের সূতিকাগার বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর, জামাতি ছাড়া প্রতিটি মানুষের সর্বস্ব হৃদয়। সেটা শাহবাগ না হয়ে ভিন্ন কোন জায়গা-ও হতে পারতো, হতো-ই, ইতিহাস সে সাক্ষ্য দেবে! আর প্রথম মিছিল কিংবা স্থান নির্ধারণ করে বসে পড়ার আহ্বান যার যার জায়গা থেকে সবাই করেছে; আমি যেমন ৫ই ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার পরপর ঠিক দুপুর বেলা মেসেজ পেয়েছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ডের এক বড়ভাইয়ের কাছ থেকে, সেই মেসেজ আমি ছড়িয়ে দিয়েছি, সেটা কোন দলীয় প্লাটফর্ম-কেন্দ্রিক ছিলো না, সেটা ছিল ব্যক্তিগত লড়াইটাকে চলমান রাখা। এমনকি আমরা প্রাক্তন জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্র কমান্ডের আমাদের সময়ের গ্রুপ’টা আলাদাভাবে শাহবাগ আন্দোলনে যাইনি, আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তারপর সচলায়তনের ব্যানারে ছিলাম কিংবা চলমান স্রোতে মিশে গেছি -- নিজেদের উপস্থিতির চাইতে লড়াইটাকে বেগবান করাই-তো আমাদের সবার মূল উদ্দেশ্য ছিলো, নাকি? নিজেদের অংশগ্রহণ নিয়ে কথা বলতে বিব্রত বোধ করি সবসময়, কারণ এই অংশগ্রহণ করাটাকেই কর্তব্য বলে মনে করি। কিন্তু এই কথাগুলো বলার কারণ একটাই-- দলগত জায়গা থেকে আন্দোলনের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা যখন দেখা হয় তখন তা খণ্ডিত হয়, আপামর মানুষ’কে ছোট করা হয়, ছোট করা হয় তাদের স্বতঃস্ফূর্ততাকে -- এটা অন্যায়।

এই পোস্টে আলাদাভাবে বাংলাদেশের সব বামদলগুলোকে ছোট করা হয়নি বলেই বিশ্বাস করি, যাদের ভূমিকার কারণে বর্তমান লড়াই খণ্ডিত হচ্ছে সেটা নিয়েই বলা হচ্ছে। এমনকি ১৯৭১ সালে-ও সকল বামদল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ’কে সমর্থন করেনি, এটা আপনিও জানেন। জামাতবিরোধীতা’র সর্বত জায়গা থেকে বর্তমান যে লড়াই সেটাকে কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি’র প্লাটফর্ম থেকে যারা দেখছে তারা হয় চূড়ান্ত বোকা নয়তো ভীতু, এমন’কি চালাকি করেও শিক্ষিত লোক নিজেকে এর থেকে বিচ্যুত ভাবতে পারবে-না। আওয়ামী লীগের প্রচুর কাজের সমালোচনা করি, সচলায়তনে এই সেদিন-ও সমালোচনা করে বহু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত ‘শূন্য’ বিশ্বাসের জায়গায় দাঁড়িয়ে একটা কথা বলতে পারি, নির্বাচন কিংবা কেবলমাত্র ক্ষমতার আকাঙ্খা বর্তমান লৌহকঠিন নেতৃত্বকে জাস্টিফাই করবে বলে যারা বিশ্বাস করে নিজেকে মূল জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছে, ইতিহাস তাদের বিচার করবে নির্মমভাবে। আমরা যে বাংলাদেশ চাই, সেই বাংলাদেশের প্রকৃত অভ্যুদয় ঘটবে কেবলমাত্র জামাত বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে -- এর বাইরে আর কিছু হতে পারে না কোনদিন। লড়াইটাতে সাথে থাকলে ‘জয় বাংলা’ বলেই সাথে থাকতে হবে, এর ফলাফল যদি আওয়ামী লীগ নিজের ঘরে নিয়ে যায় তখন কিন্তু সে কৃতিত্বের ভাগাভাগি’তে সবাই ষোলকলা পূর্ণ করবে। ভাগাভাগি বুঝিনা, বাংলাদেশ বুঝি, মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বুঝি -- সাথে আছি!

আর, বামদলগুলোর যেসব নেতা পরোক্ষভাবে হলেও জামাত সমর্থন করছে তাদের কার পকেটে জামাতের কত টাকা সেটা খুঁজে করার প্রয়োজন নেই, জামাতের এইসব ‘রেকর্ড কিপিং’ ভয়াবহরকম ভাল, ভবিষ্যতে তাদের কোন এক দপ্তর থেকে এই সম্পর্কিত দলিল-দস্তাবেজ বের হবেই কিংবা হয়েই গেছে হয়তো!

আপনার মন্তব্য পড়ি, লেখা-ও পড়েছি সচলায়তনে, কিছুটা গল্প-ও মনে হয়েছে আপনাকে নিয়ে এই সচলায়তনের কোন এক লেখায় যতদূর মনে পড়ছে। কেন জানি-না বিশ্বাস করি, মানুষের ভুল ভাঙে, সময় শেষ হয়ে যাবার আগে সবার ভুল কিংবা নির্বিরোধী বিশ্বাসের জায়গাটা আমরা সবাই ফেরত পাবো, পেতেই হবে, নইলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবার আর বাকি নেই!

অতিথি লেখক এর ছবি

তানিম ভাই, আমার কথাটা ভূমিকা বা আন্দোলনের কারিগর হিসেবে বামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য না। আমি বলেছি, অতি সরলিকরণের কথা। যে কসাইর ফাঁসির জন্য রাস্তায় আন্দোলন করেছে, তার পরোক্ষ পক্ষাবলম্বনের অভিযোগ যখন করা হয় তখন এই সরলিকরণের বিপরীতে আন্দোলনের ঘটনাপুঞ্জিকে টেনে আনা। এটা কোনো কিছু দাবি করতে না। আন্দোলনটা যে একা কেউ করে নি বা কারো একার পক্ষে সম্ভব ছিল না এটাতো অস্বীকারের প্রশ্নই নেই। আশা করি বুঝবেন।

এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে বলি। বর্তমানে সম্ভবত বোমরা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। ৭২ এর সংবিধান বা যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে গণসংযোগের সময় সবচেয়ে বেশি যে কথাটি শোনা গেছে তা হলো বামরা লীগের টাকা খেয়ে এই আন্দোলন করেছে। জামাতকে নিষিদ্ধের দাবি করেছে, হয়ে গেছে আওয়ামি দালাল। জামাত কিন্তু নিষ্দিধ হয়নি। অথচ হতে পারতো। সব বাদ দিলে এখনকার সময়ে তার সন্ত্রাসি তাণ্ডবের কারণেই জঙ্গিবাদি হিসেবেই হতে পারতো। অন্তত যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত। হুজি বা হিজবুত তাহরিরের মতো করে। কিন্তু হয়নি। কেন হচ্ছে না? কট্টরপন্থা নিষিদ্ধ হলে দ্বিদলীয় কাঠামোটাই ভেঙে পড়ে, এটা একটা কারণ হতে পারে।

আজ নির্বচন থেকে সরে আসাকে দেখা হচ্ছে, বিএনপি-জামাতের দালালি হিসেবে। কিন্তু বামরাতো তত্ত্ববধায়কের কথা বলছে না, বলছে কোনোভাবেই একক বা েএরকম বিবেচিত হতে পারে এমন নির্বাচন না করতে। এটা সাময়িক এক ধরনের নিষ্কৃতি দিলেও তা দীর্ঘসুত্রিতায় চরম বিপদ ডেকে আনবে। লীগ বিএনপির মতো রাজনীতি করে না। বিএনপি খারাপ করে পার পেতে পারে, লীগ পাবে না। কারণ তার দীর্ঘ রাজনীতির ইতিহাস বা যে কোনো কারণেই হোক মানুষ তার কাছে এ ধরনের কিছু দেখতে চায় না। যে অপকর্মটা বিএনপি করলে হয়তো মেনে নেবে, কিন্তু লীগ করলে তেড়ে আসবে। বোঝাতে পারলাম কিনা জানি না। তাই এ রাজনীতি কোনো স্থিতিশীলতা সাময়িকভাবে আনতে পারলেও আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্রের জন্য আত্মঘাতি।

এই যে, দুটি প্রেক্ষিত বললাম, একটিতে বামরা হয়ে যায় আওয়ামি লেজুড়, আরেকটিতে অভিধা পাচ্ছে বিএনপি-জামাতের দালালির এটা কি হয় বিএনপি নয় লীগ এমন স্থিরকৃত ভাবনার প্রতিফলন নয়? আমরাই কি বারবার এমন সরলিকরণ দিয়ে, জামাতের কপি বিএনপির মতো একটা দলের প্রতিস্থাপক হিসেবে, উদারনৈতিক আরেকটি রাজনৈতিক ধারাকে সামনে আসতে বাধা দিচ্ছি না? অন্য অর্থে এটি দ্বি-দলীয় কাঠমোকে দেশ নিয়ে যাচ্ছেতাই করার পরোক্ষ অনুমোদন নয় কি?

যা হোক ছাড়া ছাড়া অনেক কিছু বলে ফেললাম। আসলে প্রতিদিন যাতায়াতে, নৃশংসতা আর উৎকণ্ঠার যাপনে ভাবনাগুলো সংকলিত হতে সুযোগ পাচ্ছে না। তাই এলোমেলো। বুঝবেন আশা করি।

স্বয়ম

হিমু এর ছবি

এক তরফা নির্বাচন তো হতো না, যদি বামেরা নির্বাচনে অংশ নিতো। কিন্তু মানুষের ভোটের ওপর তাদের ভরসা নাই দেখেই তারা নির্বাচনে যায় না, এক পাশে দাঁড়িয়ে বিম্পিজামাতকে হাতছানি দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ঘেরাওয়ের জন্য রাস্তার বেশ্যার মতো ডাকাডাকি করে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমুভাই, স্বীকার করি আর নাই করি এটা কি কোনো সমাধান হতে পারতো? কত পার্সেন্ট ভোট কাস্ট করা সম্ভব ছিল? লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের সাথে ব্যাক্তিগত আলাপে এটাই বারবার সামনে এসেছে। অকপট স্বীকার করেছে অনেকেই নিজ নিজ এলাকায় সম্ভব না। যাদের সাথে দূরের সম্পর্ক তারা ভিন্ উত্তর করেছে রাজনৈতিক কারণেই। অনেকেই বলেছে সম্ভব, কিন্তু ম্যাসাকার হবে। তাদের রাজনীতির স্বর্থেই আমি পরিচয় উল্লেখ করতে পারছি না।

স্বয়ম

হিমু এর ছবি

৪২ বছরে কী রাজনীতি করলেন আপনারা, যে বিম্পিজামাত ভোটে না আসলে কাস্ট ভোটের পার্সেন্টেজ নিয়ে কান্নাকাটি পড়ে যায়?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

প্রথম রাতে যে ৭০-৮০ জন সারা রাত জেগে ধরে রেখেছিল তাদের ৮৫-৯০ ভাগ বাম। যাদের এখন বামাতি বলছেন।

কেন সেই ৭০-৮০ জন তখন সারা রাত জেগে ছিল, এখন সেটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। সেই বামেরা তখন এটা প্রতিষ্ঠিত করতে উঠে পড়ে লেগেছিল যে জামায়াতের সাথে আঁতাতের কারনেই প্রত্যাশিত রায় আসে নাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে জামাতিরাও সচেষ্ট ছিল, বামাতিরাও সচেষ্ট ছিল, অন্যভাবে। আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে না, করলেও ফাঁসীর রায় হবে না, হলেও ফাঁসী দেয়া হবে না, এইসব নেতিবাচক কথাবার্তা বলে বামেরা প্রকারান্তরে বিচার প্রকৃয়াকে অযথা চাপে ফেলার কাজটি করে গেছে। এ সংক্রান্ত সর্বমহলের ভয়াবহ চাপ আওয়ামী লীগকে একা মোকাবেলা করতে হয়েছে, এখনও হচ্ছে। দেশব্যাপী ভয়াবহ জামাতি তান্ডব এদেশে আদৌ চলছে কি না, বামেদের কথাবার্তা, কর্মকান্ডে তার কোন প্রতিফলন নেই।

দুই কুকুরের যুদ্ধ বলে যারা মুক্তিযুদ্ধে অবস্থান প্রকাশ করেছিল সেই চৈনিক বামদের অধিকাংশই কিন্তু মোহাজোটের শরিক। একটু খেয়াল কৈরা।

আপনি বোধ হয় দিলিপ বড়ুয়া, বিমল বিশ্বাসের দিকে ইঙ্গিত করছেন। দিলিপ বড়ুয়া, বিমল বিশ্বাসরা যদি সেই ভ্রান্তি থেকে সরে এসে মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন তাতে অসুবিধা কোথায়? সেই অর্থে এরকম ভ্রান্তি তো স্বয়ং বঙ্গবন্ধুরও ছিল, তিনি একসময় হয়ত বলেছিলেন "লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান"।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বামরা সচেষ্ট ছিল। কথাটাতে হাসি পেল একটু। আর কিছু বলার নাই। ভালো থাকুন।

স্বয়ম

অতিথি লেখক এর ছবি

কাদিরার ফাঁসি হলো। ব্যথা পেলো অন্তরে চিরচেনা চিরবুড়ো ভামরা।
এ বিষয়ে কথা নেই, নেই কোনো বিবৃতি, গ্যাড়াকলে পড়ে গেছে বামরা।

গুল্লি

কিছু বঙ্কিম যুগীয় শব্দ ব্যবহার করে বুর্জোয়া সমাজের পতন ঘটাতে আগ্রহী চান্স পেলেই ড্যান্স মেরে দেয়া বামরা সত্যিই গ্যাড়াকলে পড়ে গেছে।

শব্দ পথিক

তানিম এহসান এর ছবি

দারুণ!

ফুয়াদ এর ছবি

জাহানার ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন, গনজাগরণ মঞ্চসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সবগুলো আন্দোলনেই বামপন্থিরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ মাত্রায় ছিল।সেটা আপনাদের না জানার কথা না। মুক্তিযুদ্ধের সময় বামপন্থি রাজনীতির বিভিন্ন ধারার মধ্যে শুধুমাত্র চীনপন্থিদের একটা অংশ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভুল অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু ছাত্র ইউনিয়ন-ন্যাপ গেরিলা বাহিনী, পেয়ারা বাগানে সিরাজ সিকদারের গেরিলা বাহিনী, নরসিংদীতে আব্দুল মান্নান ভূইয়ার নেতৃত্বে গেরিলা বাহিনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বামপন্থিদের সংফ্রামের কথা ইতিহাস আস্বীকার করে না। বামপন্থিদের বিরুদ্ধে সব ক্ষোভের কারন হলো বামপন্থিরা কেন আওয়ামী লীগের অধীনে েই নির্বাচনে গেল না সেইটা। তারা কেন এরশাদের মত টাকা আর সিট নিয়া ধান্দাবাজি করল না!আওয়ামী লীগের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে েই জন্য এই সরকারের কোন কাজেরই বিরোধীতা করা যাবে না?!তেল-গ্যাসের চুক্তি নিয়েও না, টিকফা নিয়াও না।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।