গুটলু বেত্তান্ত # ০২

মৌনকুহর এর ছবি
লিখেছেন মৌনকুহর [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৯/২০১১ - ৬:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হইয়া শয্যাশায়ী ও। সাথে নিজেরও কেমন ভার ভার লাগিতেছে মাথা, জ্বর হইবার পূর্ব লক্ষণ। পুত্রকে কহিলাম, “বাবা, আজ একটু নিজ হাতে খেয়ে নে? শরীরটা খারাপ লাগছে খুব, আমি একটু শুই গিয়ে?” ‘বাবা’ তখন কম্প্যু গেমে মত্ত। মহাজগতের আর কোথায় কী ঘটিতেছে, তাহা সম্পর্কে ভাবিবার বিন্দুমাত্র রুচি বা ফুরসত সেই মুহূর্তে তাহার নাই। অনুরোধ তাই পুনরাবৃত্তি করিতে করিতে শেষমেশ তৃতীয় বারের মাথায় তাহার কর্ণপটে আঘাত হানিতে সক্ষম হইল এবং তৎক্ষণাৎ রেডিমেড জবাব আসিল, “উঁহু, হবে না”।

এ বেলা মেজাজ চড়িয়া গেল। ভেংচি কাটিয়া বলিলাম, “উঁহু, হবে না! তবে রে হতভাগা, কথায় কথায় যে বেশ বড় বড় বাণী ঝাড়িস, ‘আম্মু, বড় হলে তোমার সব কাজে আমি হেল্প করবো, তোমার কোন কষ্ট হতে দেব না’-- সেই বাণী এখন কোথায়?” এহেন প্রশ্ন শুনিয়া আমার ‘শিশুশ্রেণী’ পড়ুয়া বাবাও খানিকটা উত্তেজিত হইয়া উঠিলেন বোধ করি। গেমে পজ দিয়া তিনি আমার মুখপানে চাইলেন, চশমা খুলিয়া হাতে লইলেন এবং খোমাখানাকে ভীষণ রকম ভ্রূকুটিকুটিল করিয়া অতঃপর অকম্পিত গলায় জবাব দিলেন, “আমি কি তোমাকে এই বড় হবার কথা বলেছি? আমি যেই বড় হবার কথা বলেছি সেটা তো আরও অ-নে-ক বড়। বাবার মত বড়।”

ইহার পর আর কথা চলে না। সুতরাং যাবতীয় আলস্য সহস্র ক্রোশ দূরে ছুড়িয়া আমি আমার বাবার সেবায় আত্মনিয়োগ করিলাম।

পরদিন প্রত্যূষে আবিষ্কার করিলাম, গায়ে জ্বর আসিয়াছে আমারও। মাপিয়া দেখি, একশত এক ডিগ্রি। অন্তরখানা খুশিতে কেমন বাগ-বাগ হইয়া গেল! বহুদিন পর রন্ধনশালার কামলা খাটা হইতে আজ একটুখানি ছুটি জুটিবে! পরিচারিকা রাঁধিবে এবং আমি ঠ্যাঙের ওপর ঠ্যাঙ রাখিয়া কেবল তাহার স্বাদ আস্বাদন করিব! আহা, কী সুখ! কিন্তু পরক্ষনেই যখন স্মরণ হইল যে, পরিচারিকা আমার ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়াছে এবং আমার ‘বাবা’র বাবাও জ্বরে আক্রান্ত হইয়া শয্যাশায়ী, আনন্দানুভূতি তখন মুহূর্তেই চরম বিষাদে পরিণত হইয়া গায়ের উত্তাপকে সহস্র ডিগ্রী ফারেনহাইটে তুলিয়া দিল।

বিছানার দুই পাশে আমি ও সে জ্বরে কাতর হইয়া সুকরুণ সুরে কোতাকুতি করিতেছি, মধ্যিখানে শয়ন করিয়া চোখ পিটপিট করিতেছে আমাদের ‘বাবা’। আমাকে সজাগ হইতে দেখিয়া সহসা তাহার প্রশ্ন, “আচ্ছা আম্মু, আল্লাহ্‌ তোমাকে আর বাবাকে দুইজনকেই জ্বর দিলো, কিন্তু আমাকে দিলো না কেন? যাতে আমি তোমাদের হেল্প করতে পারি?” বলিতে দ্বিধা নাই, এই আদম সন্তানের যাবতীয় সিরিয়াস প্রশ্নে বিচ্ছিরি একটা ভেটকি ভেটকাইয়া, উদ্ভট একখানা উত্তর দিয়া, অতঃপর তাহার সহিত সতীনের ন্যায় ঝগড়া বাঁধানো আমি বড় বেশি মাত্রায় উপভোগ করি। কিন্তু এই বেলা অসুস্থতার জন্যই হউক, কিংবা হউক প্রশ্নোত্তরে নিজের স্বার্থ হাসিল হইবার কিঞ্চিৎ সম্ভাবনা, খুব সিরিয়াস মুখভঙ্গি করিয়া বলিলাম, “হ্যাঁ, বাবা”।

ইহা প্রত্যূষকালের কাহিনী। বেলা খানিকটা গড়াইতে না গড়াইতে উদরের অভ্যন্তরে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ ম্যাচ শুরু হইয়া গেল। কিন্তু রন্ধন করিবে কে! আমি করুণ মুখভঙ্গি করিয়া তাহার দিকে তাকাই তো সে দ্বিগুণ অসহায় দৃষ্টিতে উহার মৌন জবাব দেয়। এই লীলাখেলা কতক্ষণ যাবত চলিতেছিল সঠিক বলিতে পারি না। হঠাৎ দৃষ্টিগোচর হইল, 'বাবা' বিছানায় নাই। কোথায় গেলেন? ডাকিতে সাড়া পাইলাম, “আচ্ছি আম্মু”।

অতঃপর বাবা আসিলেন। কিন্তু ইহা কী! তাহার পরনে শেফের অ্যাপ্রন কেন! হাতের থালাতেই বা ওসব কী? সহাস্য বদনে থালাটি বাড়াইয়া ধরিয়া তিনি বলিলেন, “খাও!” বলাই বাহুল্য, এখনও যেই বাবা নিজ হাতে ভক্ষণ করেন না, সেই তাহাকে এইরূপ অন্নদাতা অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ দেখিয়া মাথায় আমাদের উপর্যুপরি ঠাডা পড়িল। তথাপিও মুখখানা ‘বাবা’র প্রসাদধন্য কৃতজ্ঞ ভক্তের ন্যায় হাসি হাসি করিয়া চাহিয়া রহিলাম। কিন্তু বাস্তব সত্য এই, থালাখানা যে ঠিক কোন খাদ্যবস্তুর ‘ডিশ’, তখনও পর্যন্ত আমরা কেহই তাহা ঠাহর করিতে সক্ষম হই নাই। 'বাবা'র বাবা শুধাইলো, “খাবো তো বুঝলাম, কিন্তু বাবা, জিনিসটা কী?” বিজ্ঞের মত সুরে তিনি জবাব দিলেন, “কেন, তুমি চেন না বুঝি? খেয়েই দেখ! এটা আলু ভর্তা।” ডিশের চেহারা দেখিয়া সঠিক বুঝিতে না পারিলেও তাহাই মনে হইতেছিল আমারও, কারণ আগের দিন ফ্রিজে সিদ্ধ আলু খোসা ছাড়াইয়া রাখিয়াছিলাম। কিন্তু খাইতে লইয়া আমরা সত্যিই বিষম খাইলাম, অদৃশ্য কোনো নরক-দেবতা সশরীরে আসিয়া যেন কষিয়া চপেটাঘাত করিলেন চাপায়। চেহারার ন্যায় এই আলু ভর্তা স্বাদেও যে কেমন ‘অভূতপূর্ব’ ঠেকিতেছে! নিপাট গবেট এই আমি মনের ভাব গোপন রাখিতে পারি না, মুখভঙ্গিতেও বোধ করি ‘অপার্থিব’ কোন একটা অভিব্যক্তি ফুটিয়া উঠিল। বাবা আমার বয়সে কচি হইতে পারেন, কিন্তু বুদ্ধি রাখেন যথেষ্ট। প্রশস্তি দূরে থাকুক, উল্টা এইসব ‘অশ্লীল’ প্রতিক্রিয়ায় তিনি দমিয়া গেলেন, তাহার হাসিমুখ গোমড়া হইয়া গেল, থালাটি সামনে রাখিয়া দিয়া তিনি নিঃশব্দে প্রস্থান করিলেন।

কর্মযজ্ঞের বিস্তারিত ধারণা পাইতে রন্ধনগৃহে ছুটিলাম। যাহা দেখিলাম তাহা এক কথায় ‘অবিস্মরণীয়’! আগের দিন খরিদকৃত এক লিটার সরিষার তৈলের নতুন বোতল অর্ধেকের বেশি খালি, চপিং বোর্ডে পড়িয়া কচলানো কতকটা পেঁয়াজ-মরিচ। কিন্তু এসবের কোনটাই নহে, আমার প্রাণপাখি খাঁচাছাড়া হইবার দশা হইল এসব কিছুর পাশের বস্তুটি দর্শনে-- খোলা পড়িয়া রহিয়াছে লবণসদৃশ ফিটকিরির বয়াম, যাহা আনিয়াছিলাম ওয়াসার সুগন্ধযুক্ত পানি শোধনের নিমিত্তে।

নিছক আলুভর্তার অমন অসাধারন অলৌকিক স্বাদের রহস্য উৎঘাটনপূর্বক বাবার সন্ধানে প্রবৃত্ত হইলাম। গিয়া দেখি, তিনি বারান্দার রেলিঙয়ে থুতনি রাখিয়া আকাশের কাউয়া গুনিতেছেন। বুঝিলাম তাহার মন খারাপ করিয়াছে, নইলে এই ছুটির দিনে কম্প্যু গেম রাখিয়া তিনি কবি সাজিতে বসিতেন না। শুধাইলাম, “বাবা, মন খারাপ?” উত্তরে বাবা কথা কহিলেন না। কিন্তু নজরে আসিল, বাম হস্ত দিয়া তিনি তাহার দক্ষিণ হস্ত মর্দন করিয়া চলিয়াছেন অবিরামভাবে এবং উভয় হস্তই তাহাতে দুধে-আলতা রং হইতে শুধু আলতা রংয়ে রূপান্তরিত হইবার উপক্রম। শিহরিয়া উঠিয়া জানিতে চাহিলাম, “বাবা, তুই শুধু হাতে মরিচ কচলেছিস?!” এইবার আর চাপিতে পারিলেন না বাবা, উচ্চস্বরে “ভ্যাঁএএএ” রাগিণী তুলিলেন। কোলে তুলিয়া লইয়া লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশের খোঁজে ছুটিলাম। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, ‘হেল্প’কারীর অমন ক্রন্দন দেখিয়া এ বেলা কেন যেন হঠাৎ কাঁদিয়া ফেলিলাম নিজেও!

কারণ জানি না বটে, তবু বলিতে পারি, এ কান্না দুঃখের কান্না নহে। এ কান্না সুখেরও কান্না নহে। এ কান্না ভাষায় অবর্ণনীয়, অদ্ভুত, স্বর্গীয় এক ‘কেমন যেন’ অনুভূতির উচ্ছ্বসিত বহিঃপ্রকাশ!

[এই সিরিজের সমস্ত ঘটনা বা কাহিনী বাস্তব ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাপ্রসূত। তবে চরিত্রগুলো কাল্পনিক]


মন্তব্য

চেনা পথিক এর ছবি

আপনারা দু'জন আপনাদের 'বাবা'টি-কে পেয়ে যতটা ভাগ্যবান ও খুশি, দো'আ করি, সারা জীবন যেন আপনাদের ঠিক এভাবেই পরমানন্দে দিন কাটে। ^_^

মৌনকুহর এর ছবি

যে গুটলুকে নিয়ে এই লেখা, তার মা-বাবার জন্য আপনার দু'আ কবুল হোক। হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

পাঠক এর ছবি

হাসি

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমি কিনা এতদিন ভাবতাম মৌনকুহর নিজেই "বাবা" জাতীয় কিছু হবেন!

চলুক

মৌনকুহর এর ছবি

ঠিকই তো আছে! বেঁচে থাকলে কোন একদিন 'বাবা'-ই হব, 'মা' না। এই লেখাটা মায়ের অ্যাঙ্গেল থেকে লিখলাম আর কি। হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

অপছন্দনীয় এর ছবি

না না ওই অর্থে না, এই গল্পে আপনার "বাবা" যে অর্থে বাবা সেই অর্থে ভাবছিলাম দেঁতো হাসি

মৌনকুহর এর ছবি

হো হো হো

সেই অর্থেও খুব খারাপ বলেন নি, দাদা। তিথীদিকেই যেই পচানো পচান আপনারা, ভয়ে বলি না আর কি! নইলে আমিও কিন্তু নিতান্তই 'খোকা'। দেঁতো হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

অপছন্দনীয় এর ছবি

তিথীদিকেই যেই পচানো পচান আপনারা

ছি ছি কী বলেন! আমরা কি এত খারাপ নাকি যে একটা শিশুকে পচাবো? কই হে খুকি, তোমার ভাইবেরাদরদের নামে এরকম অপপ্রচারের একটা জোরালো প্রতিবাদ আশা করছি...

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

আপনার খুকিও সম্ভবত ওই আশালতা-সজল প্যানেলে ভিড়েছে। 'ডুব-সাঁতারু' প্যানেল। দেঁতো হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

হুম, ভালো হইসে লেখা

মৌনকুহর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তারেক অণু এর ছবি
মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

কিন্তু ধইন্যা কেন ভাই? 'বাবা' আলু ভর্তায় এটা দেয় নাই বলে? চোখ টিপি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

 তাপস শর্মা  এর ছবি

চলুক জাস্ট ফাটাফাটি

হো হো হো ব্যাপক লাগল। চালিয়ে যান।

-------------------------------------------------------------------------------------

সব অভিমান আকাশের চেনা চেনা
সবার জন্য সুদিন কি আসবেনা
উত্তর চেয়ে আকাশ পেতেছে কান
আমিও বেধেছি আমার প্রেমের গান

মৌনকুহর এর ছবি

ধন্যবাদ, তাপস শর্মা।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

দ্যা রিডার এর ছবি

চলুক

মৌনকুহর এর ছবি

সাথে থাকার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

রুমঝুম ১ এর ছবি

চলুক

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

কৌস্তুভ এর ছবি

গল্প ভালো লাগল। সাধুভাষা ব্যবহার করায় একটা অন্যরকম ফ্লেভার এসেছে, ওই নুনের বদলে ফিটকিরি দেওয়ার মত। খাইছে তবে সাধুভাষাটা তো ব্যবহার করা হয় গম্ভীরভাবে হাস্যরস সৃষ্টির জন্য, আপনার চলিত শব্দের মিশ্রণের ফলে ভাষাটা কেমন চপল মনে হচ্ছে। যাহোক খারাপ হয় নি।

'বাবা'র বয়স কত ধরেছেন?

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্‌, ব্যাপারটা আমার চোখেও লাগছে, খানিকটা খেলো হয়ে গেছে।

'বাবা'র বয়স ৫-৬।
[আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তো কেমন কেমন যেন লাগছে...... পছন্দনীয় ভাই দেখি আমাকে দুধের বাচ্চা বানিয়ে ছাড়লেন!!] ওঁয়া ওঁয়া

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

কৌস্তুভ এর ছবি

পাঁচ বছরের বাচ্চা প্যাঁজ কেটেছে চপিং বোর্ডে... উম...

মৌনকুহর এর ছবি

কচলেছে, কাটে নি।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

দেবানন্দ ভূমিপুত্র এর ছবি

দারুণ রস আছে আপনার লেখায়। এতোকাল পর আবার সাধুভাষা ভিন্নতা এনে দিয়েছে। শুভকামনা সতত।

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

রু (অতিথি) এর ছবি

ভালো লেগেছে। চালিয়ে যান। সাধুভাষার ব্যবহার নিয়ে কীভাবে লেখা যায় ভাবছিলাম। দেখি কৌস্তুভ একদম মনের কথাটাই লিখে দিয়েছে।

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

চলুক

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

আশালতা এর ছবি

বাকিদের সাথে একমত। সাধুভাষা না হলে অনেক বেশি আপন আর মায়াকাড়া লাগত। ওটা বাদে চমৎকার।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মৌনকুহর এর ছবি

হয়ত বা তাই-ই। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

সজল(লগ ইন করলাম না) এর ছবি

লেখা উপাদেয় হয়েছে, অসাধু শব্দের আমদানী নিয়ে জ্ঞানীরা আগেই বলে গেছেন, তাদের সাথে একমত। ট্যাগ আর লেখা মিলিয়ে ভাবছিলাম, "লেখিকা ভদ্রমহিলা" আর তার বাচ্চাটা কী সুইট। কমেন্ট পড়ে দেখি কাহিনী অন্য। সিরিজ চলুক, তবে অবিমিশ্র সাধু ভাষায় (পাঠকের আবদার আর কি!)।

মৌনকুহর এর ছবি

উপরেই একটা প্রতিমন্তব্যে আপনার নাম করে নিচে এসে দেখি কমেন্ট রেখে গেছেন। হাসি

ঠিকাছে, আবদার না হয় রাখলাম। কিন্তু অসাধু শব্দগুলো কি একটু ধরিয়ে দেবেন কষ্ট করে?

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ঐ একই আর কী, 'কাউয়া' জাতীয় জায়গায় কিঞ্চিত থেমেছি আর কি!!! ভালো হয়েছে..........'বাবা'কে আলু ভর্তা বানানো শিখায় দিয়েন, গল্পকার। হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

মৌনকুহর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তবে এটা গল্প না, সত্যি ঘটনা।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

পাগল মন এর ছবি

মজা পেলাম পড়ে। আগে পড়িনি দেখে আফসোস হচ্ছে।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

মৌনকুহর এর ছবি

ধন্যবাদ।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তানিম এহসান এর ছবি

সিরিজ চলিবে কিন্তু চলিতেছেনা কেন!আমিতো ভাবিতাম গুটলুনামটা বোধকরি আমিই ডাকিয়া থাকি অতিমাত্রায় পছন্দের শিশুদিগকে, এখনতো দেখিতেছি ইহা আপামর জনগনের সম্পত্তিতে পরিণত হইয়াছে মন খারাপ

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

আর হ্যাঁ, গুটলুরা যেহেতু আছে, সিরিজও সেহেতু চলবে।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

কল্যাণF এর ছবি

হাততালি

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।