গুটলু বেত্তান্ত # ০৩

মৌনকুহর এর ছবি
লিখেছেন মৌনকুহর [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/১০/২০১১ - ১:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“তা শাফকাত কেমন করছে, ভাবী?”
“আর বলবেন না! পড়াশোনার তো ধারে-কাছেই নেই সে। সারাদিন শুধু গেম্‌স, কার্টুন আর কমিক্‌স! পড়তে তো বসাতেই পারি না ওকে!”
“ও মা ভাবী, আপনি বলছেন এ কথা! আমি তো এই ক’দিন সকাল-বিকেল-রাত যখনই যাই আপনার ওখানে, দেখি টেবিলে বসে একমনে ড্রয়িং প্র্যাকটিস করছে ছেলেটা! কী লক্ষ্মী ছেলে আপনার! আর মোটা ফ্রেমের ওই চশমাটায় যা মানিয়েছে না ওকে ভাবী, হঠাৎ দেখায় মনে হয় যেন কত বড় সায়েন্টিস্ট!”

‘শাফকাতের মা’ ভাবী এবার বিগলিত হাসি হাসেন। গদগদ কণ্ঠে বলেন,
“তা ভাবী, সেটা এই দিন দুয়েকের কাহিনী আর কি। সেদিন কোচিংয়ের ‘ড্রয়িং এক্সামে’ পেয়েছে ‘সি’। বাসায় ফিরে প্যাঁদানি দিয়েছি আচ্ছামতন, বলেছি পরেরবার ‘এ+’ পেয়ে তারপর অন্য কিছু, সে পর্যন্ত কার্টুন-ফার্টুন সব বন্ধ।”
“বেশ করেছেন ভাবী! আমার হতচ্ছাড়াটার ওপরেও দেখি এবার এই মেডিসিন অ্যাপ্লাই করতে হবে......”

শুনে আমি শিউরে উঠি, আমার প্রাণের প্রিয় দস্যি ভ্রাতা তাহ্‌মিদটার কথা ভেবে। পাশাপাশি ফ্ল্যাটের দুই ভাবীর কথা চালু থাকে, আমি খাবার ফেলে ছুটে গিয়ে ড্রয়িং-ডাইনিংয়ের পার্টিশন গ্লাস টেনে দিই।

তাহ্‌মিদ আর শাফকাত। চার কি সাড়ে চারের দুরন্ত-উচ্ছল-দস্যি দু’টি শিশু। তারা ‘অ্যাডমিশন কোচিং’ করছে, ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হবে বলে। আমার মা আর এই ‘শাফকাতের মা’ আন্টির আলাপের বিষয়ে ব্যাপক ভ্যারাইটি ছিল এই মাস দেড়েক আগ পর্যন্তও। কিন্তু কোন এক মাহেন্দ্রক্ষণে যে বালকদ্বয় চার বছরে পা রাখলো! টিভি সিরিয়ালের সিন বা বাজারে আসা নতুন শাড়ি-গয়নায় ভাবীদ্বয়ের আর রুচি নাই আজকাল। এঁদের ধ্যান-জ্ঞান সবকিছু এখন একটাই-- ‘পুত্রের বিদ্যার্জন’।

বছর জুড়ে মা-আন্টির আপসহীন সংগ্রামের পর অবশেষে এলো সেই দিন। সেই দিন নায়কদের 'অ্যাকশন সিনে'র দিন, অ্যাডমিশন টেস্ট। সারা ঘরে সাজ সাজ রব।

বিকেলে ফিরে দেখি বাসা খালি, মা তাহ্‌মিদকে নিয়ে ঘুরতে গেছেন কোথাও। ছাদে গেলাম। দেখি শাফকাত সাহেব একলা একা সিঁড়ির মুখে বসে পা দোলাচ্ছেন। আসলে তাহ্‌মিদ নেই, খেলার তাই কোন সঙ্গী পাচ্ছে না সে। ভাবলাম পাশে গিয়ে বসি, প্রশ্ন-টশ্ন কী আসলো শুনি।

“ছাতা, আম আর বল ড্রয়িং এসেছিল।”
“তাই নাকি! আর? লেখার প্রশ্ন আসে নি কোন?”
“হ্যাঁ, বলেছিলো 'তোমার বাসায় কি কোন বিড়াল আছে? থাকলে তার সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।"
“মজার প্রশ্ন তো! কী লিখলে তুমি?”
“আমি লিখেছি, “আমাদের বাসায় কোন বিড়াল নেই।”

মিনিটখানেক আর কোন কথা এলো না মাথায়। শেষমেশ প্রসঙ্গ বদলাতে বললাম,
“শাফকাত তো ঘুরতে গেল, তুমিও যেতে আম্মুর সাথে?”
“আমি তো বলেছিলাম আম্মুকে, কিন্তু আম্মু নিয়ে গেল না। বলল সামনে নাকি আরও দুই-তিনটা এক্সাম আছে কোথায় কোথায়, ওগুলো শেষ হলে তারপর ঘোরাঘুরি। এখন ঘুরলে পড়াশুনার ক্ষতি হবে অনেক--"
কথায় ছেদ পড়ে শাফকাতের, নিচ থেকে আন্টির কণ্ঠ ভেসে আসে,
”শা-ফ-কা-ত, পড়তে বসতে হবে এখন, চলে আসো......”

শাফকাত উঠে চলে যায়।

আর হতভম্ব এই আমি তাকিয়ে থাকি গোধূলিবেলার রক্তিম পশ্চিমাকাশে-- জ্যোতির্ময় এক প্রভাকর, যেখানে অস্তমিত হবার প্রতীক্ষায়......

[এই সিরিজের সমস্ত ঘটনা বা কাহিনী বাস্তব ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাপ্রসূত। তবে চরিত্রগুলো কাল্পনিক]


মন্তব্য

কল্যাণF এর ছবি

হাততালি চলুক চলুক (গুড়)

মৌনকুহর এর ছবি

আয় হায়! হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

সজল এর ছবি

ভালো লাগছে। এই সিরিজের লেখা পড়তে গিয়ে কার সাথে কার কী সম্পর্ক সেটা বুঝতে গিয়ে একটু কষ্ট হইছে অবশ্য।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মৌনকুহর এর ছবি

মাথায় থাকলো। সাথে থাকবার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

শাব্দিক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

বিদ্যাশিক্ষায় অতি উৎসাহী বাবা-মা'দের যন্ত্রণায় শিশুদের শৈশব বলে আর কিছু থাকলো না!

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্ম...... মন খারাপ

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

পাঠক এর ছবি

চলুক

মৌনকুহর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

উচ্ছলা এর ছবি

শৈশব লুটে নিল স্নেহময় ডাকাতের দল মন খারাপ

লেখার স্টাইল খুব সুন্দর হাসি

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্ম...... মন খারাপ
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তারেক অণু এর ছবি

হায় শৈশব, হায় শিশুসব মন খারাপ

মৌনকুহর এর ছবি

মন খারাপ

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমাদের প্রজন্মের মা-বাবাগুলোর একটা অন্যতম কাজই হলো মনে হয় গুটলুগুলোকে আঁতেল বানানো। আমার দুটো ভাতিজা, রাফিন আর ঋদ্ধ। রাফিন এই ২৬শে অক্টোবরের পাঁচ পুরো করবে আর ঋদ্ধ তো হলোই সেদিন, এই ২৩ সেপ্টেম্বর। রাফিন আমাকে পাপা ডাকে আর আমি ওকে ডাকি বাবা। এখন শুনুন আমাদের লেটেস্ট সংলাপ-

আমিঃ আচ্ছা বাবা, আমি তো তোমাকে বাবা ডাকি। কিন্তু তোমার ছোট্ট ভাইটাকে কি বলে ডাকবো?
রাফিনঃ পাপা, ওকে তুমি বুড়ো বলে ডেকো।
আমিঃ কেনো বাবা, ওকে বুড়ো ডাকবো কেনো?
রাফিনঃ ওর তো এখনও দাঁত নেই তাই বুড়ো ডাকবা।
আমিঃ যখন ওর দাঁত উঠবে তাহলে তখন কি হবে?
রাফিনঃ আচ্ছা তখন আমরা অন্য কিছু একটা ঠিক করে নেবো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মৌনকুহর এর ছবি

হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তিথীডোর এর ছবি

♪♫'ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে গ্রন্থকীটের দল বানায় র্নিবোধ...' মন খারাপ

লেখায় চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্ম...... মন খারাপ
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

guest_writer এর ছবি

এটাইতো বর্তমান সময়ের বাস্তবতা। ভীত ভাল নাহলে ইমারত দৃড় হবেনা। দেখছেননা কলেজ, ইউনিভার্সিটি, বুয়েট, মেডিকেলে ভর্তির জন্য কি দারুন প্রতিযোগিতা। এখনতো শিক্ষা নয় চাকরির জন্য লেখাপড়া। ভুল বললাম কি?

হ্যাঁ শিশুদেরকে শৈশব ফিরিয়ে দেবার কথা ভাবতে হবে।

প্যৌঢ়ভাবনা

মৌনকুহর এর ছবি

শিশুদেরকে শৈশব ফিরিয়ে দেবার কথা ভাবতে হবে

চলুক

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তানিম এহসান এর ছবি

যাক, গুটলুদের নিয়ে লেখাসহ ফিরে এলেন তাহলে!

গুটলুদের বাবা-মায়েরা আজকাল নিজেরাই পারলে লেখাপড়া করে শিশুদের পরীক্ষা দিয়ে দেয়। আমার এক আত্মীয় তার মেয়েকে মোটামুটি সালাদ বানিয়ে ফেলেছে - নাচ-গান-ছড়া-আবৃত্তি-অভিনয়-ছবি আঁকা-ফার্স্টহওয়া -- অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি লাভ হয়নি। বেচারীকে দেখলে মায়া লাগে, রোবটের মত কাজ করে যায়।

আর আমরা! এখনও শৈশব শৈশব করে হাহাকার করি - কি অসাধারণ শৈশব ছিলো আমাদের শৈশবে!!

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্ম...... মন খারাপ
সাথে থাকবার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্ম...... মন খারাপ

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

রু (অতিথি) এর ছবি

আমি তো মনে হয় মেট্রিকের জন্যও এতো পড়ি নাই। লেখাটা ভালো লেগেছে।

মৌনকুহর এর ছবি

পি এইচ ডি'র জন্যেও লোকে এই স্টাইলে পড়ে না বোধ হয়!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

শিশুদের কিছুই গড়ছিনা কেবল কিছু যন্ত্রের বিদ্যা শিক্ষা ছাড়া।

আমার ভাইয়ের ছেলেটি তিন দিন তার এক টানা স্লোগান ছিলো "আমাত তুতি তুলি তই??""" এই হিব্রু ভাষা কেউ বুঝেনি বলে সেও ক্ষান্ত দেয়নি যতক্ষন তার প্রশ্নের জবাবা না পাচ্ছে। তিন দিন পর আবিষ্কার করা গেলো " আমার গুটি গুলি কই? (কেরামের গুটি) ওর এই সাধনার থেকে শিখে নেয়ার আছে অনেক কিছুই।

মৌনকুহর এর ছবি

শিশুদের কিছুই গড়ছিনা কেবল কিছু যন্ত্রের বিদ্যা শিক্ষা ছাড়া

চলুক

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

বন্দনা কবীর এর ছবি

আজকালকার কিছু মায়েদের এই পরীক্ষা,পড়া, ইস্কুল' নিয়ে অতি মাতামাতি করা দেখে কেমন যেন ন্যাকামি লাগে।
আমার মা জীবনেও আমার ইস্কুলে গিয়েছে বলে মনে পড়ে না। বাবার হাত ধরে ভর্তি হতে গিয়েছি। আর সন্ধ্যেয় মায়ের কাছে পড়তে বসেছি।
আমার ছেলেদেরকে ইস্কুলে আমি-ই ভর্তি করিয়ে দিয়েছি বটে কিন্তু প্যারেন্টস ডে' ফে'ছাড়া সেই ইস্কুলের চেহারা দেখেছি বলেও মনে পড়েনা। রোজ সকালে ইস্কুলের গেটের সামনে বসে দাঁড়িয়ে আড্ডাও মারিনি বা দিতে নিতে যাইনি। ছেলেদের দিনরাত পড় পড় করে মাথাও খাইনি। কই? আমার ছেলেরা কি খারাপ করছে পড়ালেখায়?
সারাক্ষন একটা কাজের জন্য চাপ দিলে সেইটাকে পানিশমেন্টের মত মনে হয়। আনন্দ নিয়ে বা স্বেচ্ছায় যে কাজটি করা হয় তার ফলও ভাল হয়' এটা মায়েরা যে কবে বুঝবে? এই সব অতি আদেখলে মা'য়েরাই বাচ্চাগুলোর সর্বোনাশ করছে প্রকারান্তরে। ফার্মের মুরগির মত সারাক্ষন কেবল নাক গুজে পড়া আর কম্পিউটারে গেম খেলা! আহারে বেচারারা!!

সত্যি-ই, আজকালকার বাচ্চাগুলোকে দেখলে কেবলই নচিকেতার গানটির লাইনই মনে পড়ে যায়

ছোট ছোট শিশুদের শৈশব কেড়ে নিয়ে গ্রন্থ্যকিটের দল বানায় নির্বোধ'

বন্দনা কবীর এর ছবি

আজকালকার কিছু মায়েদের এই পরীক্ষা,পড়া, ইস্কুল' নিয়ে অতি মাতামাতি করা দেখে কেমন যেন ন্যাকামি লাগে।
আমার মা জীবনেও আমার ইস্কুলে গিয়েছে বলে মনে পড়ে না। বাবার হাত ধরে ভর্তি হতে গিয়েছি। আর সন্ধ্যেয় মায়ের কাছে পড়তে বসেছি।
আমার ছেলেদেরকে ইস্কুলে আমি-ই ভর্তি করিয়ে দিয়েছি বটে কিন্তু প্যারেন্টস ডে' ফে'ছাড়া সেই ইস্কুলের চেহারা দেখেছি বলেও মনে পড়েনা। রোজ সকালে ইস্কুলের গেটের সামনে বসে দাঁড়িয়ে আড্ডাও মারিনি বা দিতে নিতে যাইনি। ছেলেদের দিনরাত পড় পড় করে মাথাও খাইনি। কই? আমার ছেলেরা কি খারাপ করছে পড়ালেখায়?
সারাক্ষন একটা কাজের জন্য চাপ দিলে সেইটাকে পানিশমেন্টের মত মনে হয়। আনন্দ নিয়ে বা স্বেচ্ছায় যে কাজটি করা হয় তার ফলও ভাল হয়' এটা মায়েরা যে কবে বুঝবে? এই সব অতি আদেখলে মা'য়েরাই বাচ্চাগুলোর সর্বোনাশ করছে প্রকারান্তরে। ফার্মের মুরগির মত সারাক্ষন কেবল নাক গুজে পড়া আর কম্পিউটারে গেম খেলা! আহারে বেচারারা!!

সত্যি-ই, আজকালকার বাচ্চাগুলোকে দেখলে কেবলই নচিকেতার গানটির লাইনই মনে পড়ে যায়

ছোট ছোট শিশুদের শৈশব কেড়ে নিয়ে গ্রন্থ্যকিটের দল বানায় নির্বোধ'

মৌনকুহর এর ছবি

আপনার মন্তব্যে এই পোস্টের কঙ্কাল-কাঠামো উন্মোচিত হল।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

বন্দনা এর ছবি

এখনকার বাচ্চাগুলার জন্য কষ্টই লাগে খুব, নিজেদের মাবাবাদের কম্পিটিশনের বলি হয় কচি বাচ্চাগুলা।

মৌনকুহর এর ছবি

হুম্ম...... মন খারাপ

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

রানা এর ছবি

ভাল লাগলো......... আচ্চা আমরা কি লিখতে পারবো ?

মৌনকুহর এর ছবি

কেন পারবেন না?! এইখানে দেখুন।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।