এই লেখাটি শুধু নিজের জন্য

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: রবি, ২০/০৭/২০০৮ - ৪:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালে সচলে ঢুঁ মেরেই দেখলাম, আজিজে সচলের বিশাল এক আড্ডা হয়ে গেছে। সচলের সাম্প্রতিক এই সমস্যায় কী করণীয়- তা নিয়ে। আমি থাকি ভার্সিটির হলে। ১০ মিনিটের পথ আজিজ। অথচ আমি জানলাম না এরকম একটি আড্ডার খবর। মনটা খারাপ হয়ে গেল। মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল সচলে কবি সমুদ্র গুপ্তের মারা যাবার সংবাদটি দেখে। আমি সমুদ্র গুপ্তের মারা যাবার সংবাদটি প্রথম দেখলাম সচলায়তনে।

আমার সাধারণত পত্রিকা পড়া হয় না। এ কারণে কবি সমুদ্র গুপ্তের মারা যাওয়ার সংবাদটি পাইনি। যদিও একসময় ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা না দেখলে মেজাজ সপ্তমে চড়ে যেত। দেরিতে পত্রিকা দেওয়ার কারণে হকারকে অনেক নাজেহালও করেছি। কিন্তু আজ পত্রিকা পড়তে মোটেই ভালো লাগে না। পত্রিকার সমস্ত পাতাজুড়ে যেন দুঃসংবাদের মেলা। সব সেক্টরেই। কোথাও আশার কোনো নিশানা নেই। এক অদ্ভুত কালবেলা যেন আমাদের চারপাশ ঘিরে। আর পত্রিকাগুলোতে থাকে তারই রগরগে বর্ননা। বলুন, এই বর্ননা পড়তে কারই বা ভালো লাগে।

এই পত্রিকা না পড়ার কারণেই কবি সমুদ্র গুপ্তের মারা যাবার সংবাদটিও শুনিনি। অথচ গতকালই কবি সমুদ্র গুপ্তকে এক আয়োজনের কথা বলছিলেন আসিফ ভাই (পেশাদার বিজ্ঞান বক্তা)। সেখানে উনি বক্তৃতা দিবেন। বললেন, পান্থ আসবা কিন্তু। তোমাকে তো ডাকলেই কাজের দোহাই দাও। এক জীবনে কত কাজ করবা। জীবন তো একটাই। আসিফ ভাই আমাকে বললে এমন করেই বলেন। আজকের একবার সোজা পথে না ডুকতে পেরে বিকল্প পথে সচলে ঢুকে তার মারার যাওয়ার সংবাদটি দেখে ব্যথিত হই। জানতাম, যমের সাথে লড়াই করতেছিলেন।

কবিতা মাঝে মাঝে পড়ার চেষ্টা করি আমি। তবে সমুদ্র গুপ্তের কোনো কবিতার বই আমার পড়া হয়ে উঠেনি। ফেব্রুয়ারির কবিতা পরিষদের কবিতা উৎসবে, কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাকে হাঁটতে, কখনো কারো সাথে গল্প করতে করতে যেতে দেখেছি তাকে। আর বন্ধুবান্ধবদের বলেছি, ওই দ্যাখ, কবি সমুদ্র গুপ্ত যায়। আমাদের সিরাজগঞ্জের কবি (কবির কী কোনো দেশ আছে?)।

বাতাসে সাদা ফর্সা চুল উঠিয়ে কবি আর ফিরবেন না কবিতা পরিষদের অনুষ্ঠানে কিংবা ক্যাম্পাসের সবুজ পথে। আর কাউকে বলা হবে না, ওই আমাদের সিরাজজগঞ্জের কবি যায়। কবি তার একটি বইয়ের নাম দিয়েছিলেন, নদীও বাড়ি ফেরে। কিন্তু সমুদ্র গুপ্ত আর ফিরবেন না, না ফেরার দেশ থেকে।

আচ্ছা, মানুষ মরে যায় কেন? মানুষের মরাটা কী এতোই জরুরি?

মনটা খুবই খারাপ। কিচ্চু ভালো লাগছে না। বেহুদা, পোস্ট দিয়ে ফেলছি হয়তোবা। ব্লগরব্লগর তো এমনই। শুধুই নিজের জন্য, নিজের সাথে কথা বলা। আজ না হয় তাই বললাম একটু বেশি করেই।


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনার নিজের জন্য লেখা হলেও আমার ভালো লাগলো পোস্টটা। আর মানুষের মৃত্যু নিয়ে কিছু বলতে চাই না। প্রিয় মানুষ চলে গেলে সবার মন খারাপ হয়। তাই বলে তো জীবন থেমে যায় না। আপনি, আমি - আমরাও থামবো না কেউ।

------------------------
সচল আছি, থাকবো সচল!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনার নিজের জন্য লেখা হলেও আমার ভালো লাগলো পোস্টটা। আর মানুষের মৃত্যু নিয়ে কিছু বলতে চাই না। প্রিয় মানুষ চলে গেলে সবার মন খারাপ হয়। তাই বলে তো জীবন থেমে যায় না। আপনি, আমি - আমরাও থামবো না কেউ।

------------------------
সচল আছি, থাকবো সচল!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনার নিজের জন্য লেখা হলেও আমার ভালো লাগলো পোস্টটা। আর মানুষের মৃত্যু নিয়ে কিছু বলতে চাই না। প্রিয় মানুষ চলে গেলে সবার মন খারাপ হয়। তাই বলে তো জীবন থেমে যায় না। আপনি, আমি - আমরাও থামবো না কেউ।

------------------------
সচল আছি, থাকবো সচল!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সচলের যে আড্ডা হয়েছিল তা আড্ডা শেষ হবার পরের দিন থেকে আস্তে আস্তে অনুভব করলাম আমি

কিন্তু বসার আগে পর্যন্ত মনে হয়নি একটা আড্ডা হতে যাচ্ছে
যার সাথে যার যোগাযোগ আছে বলা হচ্ছিল- আমাদের বোধহয় একবার বসা দরকার
চলেন আজ বিকেলে বসি আর যাকে যাকে পারেন বলেন

কে যে কারে বলেছে আর কাকে কার বলার কথা সেটা কেউ জানে না
অথচ পরে দেখা গেলো প্রায় ৩০ জন হয়ে গেছেন তাৎক্ষণিকভাবে

০২

নিজের মুখে না বলা পর্যন্ত অনুমান করা কঠিন কে দেশে থাকেন আর কে থাকেন না
আমি নিজের ক্ষেত্রেই দেখেছি যাদেরকে মনে করি দেশে থাকেন পরে শুনি থাকে না
আবার যাকে মনে করি দেশে থাকে না পরে শুনি সে আশেপাশেই থাকে

সেইদিনই আমাকে শাহবাগে দেখে একজন চিৎকার করে উঠল- আপনি না ইংলন্ডে থাকেন?
আমি বললাম আমার কোনো পাসপোর্টই নাই দেশের বাইরে যাই কেমনে?

আপনি ওরকম ফাকে পড়ে গেছেন
এক কাজ করেন আপনার ইমেইল আর মোবাইল নম্বরটা আমাকে মেইল করে দেন সচলায়তনে
এর পরে যদি কোনো আড্ডার খবর আমি জানি তবে আপনি খবর পাবেন নিশ্চিত

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

পান্হ,কাছেই যখন থাকেন মাঝে মধ্যে ঢু দিয়েন। দুই-চার জন সচল সব সময়ই পাবেন।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।