আমরা একটা সিনেমার গল্প দেখার অপেক্ষা করছি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: রবি, ১৫/০২/২০০৯ - ৪:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাঙলা সিনেমায় হলেই গল্পটা ভালো মানাতো। কিন্তু ঘটনা বাঙলা সিনেমার না। বাস্তবের। আমাদের বেলকুচি’র আদালত পাড়া এলাকার। আমরা আদালত পাড়ার নাম অনায়াসে শোভাদের পাড়া বলতে পারি। অন্তত এই গল্পে সেটাই ডিমান্ড করে। তাই কাগজ-কলমে আর আমাদের বাপ-দাদাদের জমিজমার পর্চায় আদালত পাড়া নামটাকে বিদায় জানাতে চাই, কি বলেন? তবে গল্পে প্রবেশের আগে আদালত পাড়া থুক্কু শোভাদের পাড়ার একটু বিবরণ দেয়াটা সমুচিত বোধ করছি। আশা করি, পাঠক আমার এই নাক গলানোর বিষয়টা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর এই গল্পে আমারো একখান ভূমিকা আছে, সেটা বড়ো কিছু না। তবুও জানিয়ে রাখলাম একটু। যাতে আপনাদের একটু মনোযোগ পাই। বোঝেন না, বয়সটা তো বেশি না। এই বয়সে কে না একটু মনোযোগ পেতে চায়। বিশেষত, যেখানে শোভা তার রূপের বাহার নিয়ে বিরাজিত। ওহ হ্যাঁ, বলতে ভুলে গেছি, আমাদের পাড়ায় ছিল শোভাদের বাড়ি। আমাদের পাড়া মনে হয় বলা ঠিক হলো না। যেখানে শোভার জন্য আদালত পাড়া নামটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।

আপনি ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জমুখী কোনো গাড়িতে যদি উঠেন, তাহলে আপনাকে যমুনা সেতু পার হয়ে কড্ডার মোড়ে নামতে হবে। সেখান থেকে বেলকুচি’র বাস। বাসের গায়ে অবশ্য বেলকুচি’র নামটা ছাপ্পর মারা দেখতে পাবেন না। বাসের হেলপারও আপনাকে বেলকুচি বলে বলে ডাকবে না। তবে বাসের গায়ে সিরাজগঞ্জ টু এনায়েতপুর নামটা দেখবেন। চোখ বুঝে উঠে পড়ুন এই গাড়িতে। ভাড়া? ওটা নিয়ে ভাববেন না। যদি মনে করেন, কন্ট্রাক্টর ব্যাটা বেশি ভাড়া চেয়েছে। তাহলে বলুন, বেলকুচি কলেজে পড়েন। দেখবেন বাপ বাপ বলে আপনি যাই দিয়েছেন, সেটাই নিবে। আপনি সমেশপুর, তামাই রোড, সূবর্ণসাড়া পার হয়ে পাবেন চালা। এখানেই আপনাকে নেমে যেতে হবে। নেমে ডানে তাকালেই দেখবেন সাগরিকা সিনেমা হল। বুঝবেন এটাই বেলকুচি। তবে গল্পের সময়কালে সাগরিকা সিনেমা হল ছিল না। ছিল জোনাকি সিনেমা হল। আমাদের গল্পে হারিয়ে যাওয়া জোনাকি হল আবার ফিরে আসবে আশা করি। আপনারা কিছুটা নস্টালজিক হবেন। কারণ পাঠক হিসেবে আপনিও গল্পের অংশী। কী, আপনার মনে হচ্ছে না, আপনি এই গল্পের অংশীদার। আচ্ছা আগে শোভাদের পাড়ায় যাই তো, তারপর দেখা যাবে।

শোভাদের পাড়া চালা বাসস্ট্যান্ড-এর কয়েকশ’ গজ পশ্চিমে, ভেতরের দিকে। যে কাউকে বললেই দেখিয়ে দেবে। তবে কাকে বলবেন, সেটা অবশ্য প্রশ্ন। চ্যাংড়া কাউকে বললে, একটু মুচকি হেসে আপনাকে দেখিয়ে দেবে। আর একটু জোয়ান কাউকে বললে, রাগী চোখ নিয়ে তাকাবে। তারপর দাঁত কিড়মিড় করে আপনাকে দেখিয়ে দিতে দিতে ভাববে, অ্যাই, এলো আরেকজন প্রতিযোগী। আর বুড়াদের কাউকে বললে বলবে, শোভাদের পাড়া আবার কোনটা? তারপর বুঝিয়ে বললে বলবে ওটা আদালত পাড়া। তা শোভা কার মেয়ে, বাবাজি? বুড়া ব্যাটাকে পাত্তা দেয়ার কাজ নাই। তাকে এড়িয়ে চলুন শোভাদের পাড়ায় যাই। শোভাদের পাড়ায় আমাদের গল্পটি অপেক্ষা করে আছে।

নটে গাছটি মুড়লো গল্পের অপেক্ষার প্রহর ফুরালো। আমরা আদালত ভবনকে পেছনে রেখে তাঁতের খটর খটরের মধ্যে প্রবেশ করেছি ইতিমধ্যে। তবে গল্পে এইসব জোলা বাড়ির তাঁতের কোনো ভূমিকা নাই, কেবল খটর খটর শব্দ উপহার দেয়া ছাড়া। আপনি বাইরে থেকে গেছেন বলে হয়তো শব্দটা বিরক্তিকর লাগছে। কিন্তু শোভাদের পাড়ার কারোরও বিরক্তি নাই এ নিয়ে। যেহেতু এটার উপর রুটি-রুজি জড়িত। তাঁতের শব্দ থাকা মানে হাটে বেচাকেনা থাকা। বাড়ির হাঁড়িতে ভাতের নিশ্চয়তা থাকা। আমরাও ভাতের এই নিশ্চয়তাটুকু থাক, এই-ই চাই। নইলে শোভাদের বাড়ির সামনে গিয়ে আমাদের ফুটানি কেমনে হবে! পেটে ভাত থাকলে না মাস্তি। বিশেষত আমরা যেহেতু মাত্রই যৌবনে পা রেখেছি, তাদের তো মাস্তির দরকার আছে। এই মাস্তির কারণেই না আমাদের এই গল্পটি। তবে গল্পটি যে এভাবে সিনেমাটিক হয়ে যাবে তা কে ভেবেছিল!

আমরা গল্পের পাড়ায় এসে পড়েছি। আর কয়েকশ’ গজ ভেতরে যেতে হবে। সেখানে শোভাদের বাড়ি। মূল গল্পটি আমরা এখানেই ঘটতে দেখবো। তবে তার আগেই আমাদের চোখে পড়বে মামুনদের বাড়ি। মামুনদের বাড়ির সামনে এসে আমাদের একবার থেমে যেতে হচ্ছে যে! যেহেতু ও বেচারা হাত-পা ভেঙ্গে বসে আছে। ঠিকই ধরেছেন, হাত-পা ভাঙ্গা আসলে শোভার কারণে। রাজা এডওয়ার্ড সিংহাসন ছেড়েছিলেন প্রেমের টানে। আমাদের মামুন তো কোন ছার!

মামুন পড়তো আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয়ে। ক্লাস টেনে। তাই আমরা ধরে নিতে পারি সে আসলে কোনো ছার টাইপের কেউ ছিল না। আবার বাঙলা সিনেমা নয় যে পরীক্ষা দিলেই ক্লাসে ফার্স্ট হবে। ছিল গোবেচারা একটা ছেলে। এই গোবেচারা ধরনের ছেলেরাই আগুপিছু না ভেবে ঝুঁকি নিতে পারে। মামুন এই ঝুঁকি নিয়েছিল। প্রথমে উতরে গেলেও শেষে আর পারেনি। মানে ঘটনা আর বাঙলা সিনেমার মতো করে ঘটেনি। ঘটেছে বাস্তবের মতো। এই কারণেই মামুনের বাড়ির সামনে যখন এসেছি, একবার তাকে দেখে যেতে হচ্ছে। একজন রোগীকে এক নজর দেখে তার শরীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেয়ার মতো সহানুভূতি আমাদের সবার আছে। তবে জিধুরি’র পোলাপানদের মধ্যে তা ছিল না। তাই মামুনের এই অবস্থা। সে যাই হোক, শোভার জন্য মার খাওয়া মেনে নেয়া যায়। কারণ শোভার প্রতি তার যে গভীর অনুরাগ।

শোভার প্রতি এই অনুরাগ শুধু মামুনের একার ছিল না। ছিল আরো অনেকেরই। শোভার স্কুলে যাওয়ার পথে আমাদের পাড়ার উঠতি পোলাপান ছাড়াও সেজন্যই দেখা মিলতো অন্য পাড়া ও গ্রামের তরুণদের। দেখা মিলবে না কেন? মধুর টানে ভ্রমর আসে কোনে সুদূর থেকে। আর এরা তো পাড়া আর আসেপাশের মহল্লার ছেলেপেলে। শোভা বাড়ি থেকে বের হয়েছে। রোকনদের ফ্যাক্টরি ঘর ঘুরে সড়কে যেই এসে পড়েছে, তারপর থেকেই তার উপর এক ঝাঁক কামনামদির চোখ। এইসব চোখ উপেক্ষা করে বেশ বিব্রত ভঙ্গি নিয়ে শোভা প্রায়ই হেঁটে যায়। কেউ চুপচাপ দেখে। কেউ শিষ দেয়। কেউ কেউ কুকুর তাড়ানো কণ্ঠে গান গেয়ে উঠে। তাতে কি শোভার কিছু যায় আসে? কে জানে! অন্তত আমাদের জানা হয়নি। জানতে অবশ্য ইচ্ছেও হয়নি কোনোদিন। ইচ্ছে করলে হয়তো বন্ধুদের মধ্যে নারীবাদী বলে গণ্য হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। আমরা দেখতাম শোভা হেঁটে যাচ্ছে। চারপাশে তার রূপ তুষারের মতো ঝরে ঝরে পড়ছে। বুকের ওপর বই রেখে তার ওপর একটা হাত ভাঁজ করে রেখেছে। মুখটা কিছুটা আনত। এভাবেই প্রতিদিন।

তবে উৎপাতটা বেড়ে গেলো আরো পড়ে। জোনাকি সিনেমা হলের কল্যাণে। জোনাকি সিনেমা হলে এক ঈদে হিংসা নামে একটি ছবি এলো। ছবির পরিচালক মোতালেব হোসেন। জসিম, শাবানা, অমিত হাসান, শাহনাজ ছবির নায়ক নায়িকা। তো আসুক ছবি। তাতে কি! আমরা প্রায়ই স্কুল ফাঁকি দিয়ে মর্নিং শো দেখি। নতুন সিনেমা আমাদের জন্য ভালোই। কিন্তু সিনেমাটা মোটেই ভালো ছিল না শোভার জন্য, মামুনের জন্যও। সিনেমায় জসিমের একটা গান ছিল- শোভা তোমার ভালোবাসা, শোভা তোমার মন...। গানে গানে শোভার বারোটা বাজল। সুরে - বেসুরে পথে ঘাটে শুনতে হতে হলো গানটি। ওদিকে মামুনের বারোটা বাজল হাত-পায়ের।

হিংসা সিনেমা হাউজফুল ব্যবসা করে গিয়েছে। কিন্তু রেখে গেছে গানটি। একদিন শোভা স্কুলে যাচ্ছিল। সামাদের দোকান অতিক্রম করতে করতে পেছন থেকে জিধুরি’র নোমানরা শোভা তোমার... গানটি গেয়ে উঠে। বলা হয়নি নোমান প্রতিদিন জিধুরি থেকে বাইক নিয়ে এসে শোভার স্কুলে যাওয়ার পথে দাঁড়িয়ে থাকতো। আমরা পাড়ার ছেলেরা জানতাম, নোমান সন্ত্রাসী ধরনের ছেলে। কলেজে পড়ে। রেকর্ড ভালো না। দুটো কেসও আছে তার নামে। আমরা তাকে সমঝে চলি। আমরা সমঝে চললে কি হবে, মামুন পারেনি। একে তো নিজেদের পাড়া, তার উপর আবার শোভাকে ডিস্টার্ব। পাড়ার কয়েকজনকে নিয়ে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিল তাদের। দেখে নেবে পালিয়ে যাওয়ার আগে নোমান এই হুমকি দিয়ে রেখেছিল।

সত্যি দেখে নিয়েছিল নোমান। তবে এতো তাড়াতাড়ি নেবে তা ভাবিনি আমরা। হয়তো নোমানের সন্ত্রাসী মান একটু বেশিই গিয়েছিল। কেন না, যেখানে শোভা নিজে মামুনের কাজে বাহবা দিয়েছে। মামুন অবশ্য জানে না নোমানকে তাড়ানোর মতো নায়কোচিত কাজের জন্য শোভা তাকে বাহবা দিয়েছে। শোভা বলেছিল, মামুন ভাইকে যেন আমি তার পক্ষ হয়ে ধন্যবাদটুকু পৌঁছে দিই। আমি মামুনকে এই ধন্যবাদটুকু পৌঁছে দিইনি। উল্টো এই কাজে আমার না-অবদানটুকুকে আড়াল করে নিজেকে বড় করে তুলে ধরেছি তার কাছে। নোমান তাড়ানোর যাত্রায় আমিও বহাল তবিয়তে ছিলাম। অথচ ভীতুর আন্ডা আমার কিঞ্চিত ভূমিকা ছিল না তাতে। ভূমিকা ছিল মামুনের। বাঙলা সিনেমার নায়কের মতো।

সিনেমায় আমরা যেমন দেখি, কলেজ করিডোরে নায়িকা যখন হারামীদের হাতে নাজেহাল হতে নেয় তখন কোনো না কোনো ভাবে নায়ক চলে আসে। নায়িকাকে আগলিয়ে দাঁড়ায়। তারপর ইয়া ধুসঠাস। হারামীর দল কুপোকাত। নোমান যখন শোভা তোমার... গানটি ধরে তখন মামুন আস্তে করে ফ্যাক্টরি ঘর থেকে একটি মাকু লুঙ্গির পেছনে গুঁজে নেয়। এরপর নায়কোচিতভাবে গিয়ে দাঁড়ায় নোমানের সামনে। শোভাকে কেন ডিস্টার্ব করা হচ্ছে তা জানতে চায়। জবাব না দিয়ে উল্টো সে একথা জিজ্ঞেস করার কে তা জানতে চায় নোমান? তখন আর রাগ সামলাতে পারেনি মামুন। পেছন থেকে মাকু বের করে মাথায় বাড়ি মারে। নোমানের মাথা ফেটে রক্ত বের হতে নিলে তার বন্ধুরা পাল্টা মারের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেখে পাড়ার আরো কয়েক ছেলে এসে দাঁড়িয়েছে মামুনের পেছনে। এই ছেলেরা স্পষ্টই পাড়ার মেয়ের সম্মান নিয়ে চিন্তিত। তাই তারা নোমানকে নিয়ে বাইক হাকিয়ে কেটে পড়ে। যেতে যেতে একটি হুমকি দিয়ে যায়। আর এ ঘটনার তৃতীয় দিনে মামুনকে রিক্সা গ্যারেজের সামনে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এ কথা বলা হয় নি যে মামুন আমাদের বন্ধু। আমাদের বন্ধু মার খেয়ে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে আছে আর আমরা দেখতে যায় নি তাই কি হয়? এক সকালে আমি সজল, বুলবুল, কাদের, সেলিম, আবদুল্লাহ ভ্যান নিয়ে যাই সদর হাসপাতালে। হাসপাতাল আমরা চিনি না। খুঁজে নিতে যা একটু দেরি হয়। মামুনের ওয়ার্ডে প্রবেশ করেই দেখি, মামুন শুয়ে আছে। পাশে আলো ছড়িয়ে বসে আছে শোভা। আর মামুনের চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে।

মামুনকে দেখতে আমরা যারা হাসপাতালে গেছি কেউই অচঞ্চল স্বভাবের নই। হাসপাতাল বলেই আমরা হয়তো শান্ত ছিলাম। তাই শোভা আমাদের দেখতে পায়নি। দেখতে পায় নি বলে মামুনের কপালে শোভার আলতো চুম্বন দৃশ্যটি আমাদের চোখে পড়ে। আর আমরা তাজ্জব হয়ে আরেকটি সিনেমার গল্প দেখার অপেক্ষা করি। কেন না, আমরা শহরে যেতে যেতে শুনেছিলাম, নোমান তার দলবল নিয়ে শোভাকে তুলে নেয়ার হুমকি দিয়েছে।


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

বাহ্ রে বাহ্ ! দারুন এক গল্প পড়লাম।

পান্থ পুরা ফাটাইসেন চলুক

আর হ্যা দুদিন আগেই আপনার বেলকুচি আর সাগরিকা সিনেমা হল দেখে এলাম। আসলে গিয়েছিলাম এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজে......

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

গিয়েছিলেন বুঝি! আগে বলবেন তো।
ঘুরতে গিয়েছিলেন কী? কেমন দেখলেন আমাদের এলাকা?

কীর্তিনাশা এর ছবি

ঘুরতে যাইনি গিয়েছিলাম আমার এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে। এনায়েতপুরে যে এত বিশাল এবং অত্যাধুনিক হসপিটাল করা হয়েছে তা জানা ছিল না। দেখে আমি পুরোপুরি বিস্মিত, মুগ্ধ।

তবে রথ দেখা কলা বেচা দুটাই হয়েছে। মানে ঘোরাঘুরিও করেছি বেশ। তাঁতি পাড়ায় গিয়ে সরাসরি তাঁতমেশিন থেকে খুলে দেয়া লুঙ্গি কিনেছি। যমুনার তির ধরে হেটেছি। খুব ভালোই কেটেছে দিনটা। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বাড়ি গেলে আমরা বন্ধুরা মিলে মাঝে মধ্যে হাসপাতাল আর তার পেছনের বাঁধে আড্ডা দিতে যাই। আমাদের ভালোই লাগে।

পুতুল এর ছবি

আপনার বলার ভঙ্গিটা খুব ভাল লাগল।
গল্পটি খুব বাস্তব সম্মত।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

থ্যাঙ্কু পুতুল দা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পুরাটা পড়ার টাইম নাই... যত্টুক পড়ছি তত্টুকই ভালো লাগছে... পরে পুরাটা পড়বো... এখন পাঁচায়া গেলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হায় হায় নজু ভাই কই দৌড়ায়। খ্যাপে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দারুণ লাগলো পান্থ। চলুক

আশেপাশের চেনাজানা উপাদানের গল্প বরাবরই অন্যরকম।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

থ্যাঙ্কু শিমুল ভাই।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ভালো হয়েছে বলার ভঙ্গি। ভাষা এবং থিম। আর খারাপ.....থাক অজকের মতো ছেড়ে দিলাম...হাতের কাছে অতশী কাঁচ নেই....

মূর্তালা রামাত

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ছেড়ে দিলেন! আমি মার খাবো বলেই তো এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। যান তাড়াতাড়ি একটা অতশী কাঁচ নিয়ে আসেন।

তানবীরা এর ছবি

হুমম, সিনেমার গল্পই বটে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুমম, সিনেমার গল্পই বটে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আগ্গুন গল্প বস। কিন্তু সমস্যা হইলো "শোভা তোমার ভালোবাসা" গানটা হিংসা ছবির না, ইলিয়াস কাঞ্চন আর ববিতার একটা ছবি। নাম "ত্যাগ" অথবা "শোধ"। এই গানটা দুইবার আছে সিনেমাতে। একবার ভালো, স্বাভাবিক অবস্থায় আরেকবার ইডিয়ট কাঞ্চন ল্যাংড়া হইয়া ক্র্যাচে ভর দিয়া 'কল্পনা' দেখে। এই হইলো কাহিনী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কী জানি! মনে নাই বস। আমার মনে হয়েছিল হিংসা সিনেমারই গান। আমার এক সিনেমাখোর বন্ধুকে ফোন করেও সিওর হলাম। সে বন্ধুটিও বলল, হিংসা সিনেমার গান।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হিংসা সিনেমায় শাবানার নাম থাকে 'রুবী'। একটা গানও আছে "আই লাভ ইউ মোর দ্যান আই ক্যান সে" গানটার অনুরূপ, "ও ও ও রুবী, বলোনা তুমি বলোনা, কেনো যে তুমি মোর সাথে করেছো এতো ছলনা..."

শোভা তোমার ভালোবাসা গানটা ইডিয়ট কাঞ্চনের সিনেমার একটা গান, আমি ড্যাম শিউর। কারণ আমি সিনেমাটা ইশকুল ছুটির পর লুকায়া দেখছি। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ও ও ও রুবী, বলোনা তুমি বলোনা, কেনো যে তুমি মোর সাথে করেছো এতো ছলনা..." এই গানটাও তো আমাদের স্কুলবেলায় ব্যাপক হিট হইছিল। এখন মনে হইতেছে আপনিই সঠিক।
আপনার স্কুল ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখার কাহিনী শুনতে মঞ্চায়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখার স্টাইল আসলেই দারুন। খুব ভাল গল্প। কিন্তু কথা হল– মুমুর কাজিনার নাম কি "শোভা"? চোখ টিপি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ওই মিয়া, এতো কাজিনা খোঁজের ক্যান। কাজিনারে নিয়া আপনার একটা গল্প তো লিখমু কইছি। শোভারে পছন্দ হইলে কন। খবর নেই, এখনো বিয়ে হইছে কী'না।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।