শীতের প্রতীক্ষায়

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি
লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক (তারিখ: বুধ, ০৭/১১/২০০৭ - ৯:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নভেম্বর শুরু হয়েছে। অনেকদিন ধরেই শীত আসি আসি করছে, কিন্তু পুরোপুরি আসছেনা। এই ঠান্ডা তো এই গরম। সকালের দিকে তাপমাত্রা শূন্যের কাছাকাছি তো দুপুর গড়াতেই চোদ্দ পনের। সকালের প্রকৃতির দুপুরেই এমন পরিবর্তন কানাডায় না এলে বুঝতাম না।

ইদানিং ভোরেই ঘুম ভাঙে। মেয়েটা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। ভোর হতেই স্কুলে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয় তার। দুই-তিন স্তরের পোষাক গায়ে চড়িয়ে মাথায় মোটা হ্যাট লাগিয়ে হাতে ব্যাগ নিয়ে বাইরে বের করি। সূর্যালোকহীন সকালটা অন্ধকারে বিদ্যুত চমকানির আলোয় আলোকিত মনে হয়। ক'দিন ধরে বাতাসের তীব্র গতিবেগ ম্যাপলের সবগুলো জ্বরাপাতাকে করেছে ধরাশায়ি। সবুজের গালিচায় সেগুলো পড়ে থাকে নিথর হয়ে। মেয়েকে নিয়ে লনের মাঝ বরাবর সিমেন্টবাঁধানো পথ দিয়ে এগিয়ে যাই। স্কুল হাঁটা পথ দূরে, কিন্তু বাতাসটা বেশ বেশী; তাই যন্ত্রযানেই যাওয়া-আসা।

এই নিয়ে চার-চারটি শীত দেখব। জীবনে বরফ দেখিনি বলে প্রথম শীতে যেদিন প্রথম বরফ পড়ল আমরা তিন বন্ধু গায়ে ভারী জ্যাকেট জড়িয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। এক ইঞ্চি পুরু বরফের হালকা চাদরে সে কী ছোটাছুটি। সে অনুভূতি এখনো হারিয়ে যায়নি। আস্তে আস্তে অনুভূতিরা সব সয়ে নেয়, দেড়-দুইফুট বরফেও তখন তারা অবাক হয়না, থেমে থাকেনা চলাফেরা।

বরাবরের মত এবারো তাই শীতের প্রতীক্ষায় বসে আছি।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এতো অল্প কথাতেই লেখা শেষ! পাঠকের তৃষ্ণা মেটে কি? :}

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমেরিকা আসার পর ধূসর মরুভুমি দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। জানতাম গরম কিন্তু এমন গরম জানতাম না। পুরো আমেরিকার মধ্যে এই জায়গাটাতে কোন কালে বরফ পড়ে নাই। তাই ক্যালিফোর্নিয়া গিয়ে বরফ দেখে আমাদের সেই বরফে হুটোপুটি খাবার অবস্থাই হয়েছিল। মজা লাগল আপনার লেখা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।