আনাড়ি বালকদিগের জন্য সরল পাকপ্রণালী

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৪/২০০৯ - ৮:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ একটু খাওয়া দাওয়ার কথা হোক। প্রবাসে এলে বাঙালিকে হাতা খুন্তি ধরতেই হয়, কতো আর বিলিতি খানা খাওয়া যায়, তাছাড়া ট্যাঁকেও টান পড়ে। বাড়িতে থাকতে রান্নাঘরে যেতাম শুধু ফ্রিজ হাতড়াতে, সেখান থেকে অনেক দূর এসেছি। তো সেই অভিজ্ঞতা থেকে কিছু সহজ পরামর্শ দিই, যাঁদের দরকার তাঁরা কাজে লাগাতে পারবেন। কঠিন কোনো রান্নার কথা বলছি না, সোজা দেখে কিছু টিপস, নিজে খেতে বা কাউকে ইমপ্রেস করতে কাজে লাগতে পারে।

এই টিপসগুলি মূলত আনাড়ি বালকদিগের জন্য, রন্ধন পটিয়সীদের কোনো কাজেই লাগবে না। তাঁরা নির্দ্বিধায় না পড়ে কেটে পড়তে পারেন, কিচ্ছু মনে করবো না।

দেশে রেস্টুরান্টে মেথি চিকেন খেতে দিব্বি লাগতো। সেটা বানানো অতি সহজ। যেমন করে মুর্গি রাঁধেন রাঁধুন, হয়ে গেলে কসুরি মেথির শুকনো পাতা নিয়ে হাতে ডলে ঢেলে দিন। বেশি ক'রে দেবেন, যতো ইচ্ছে দিন কোনো সমস্যা নেই, যতো বেশি ততো স্বাদ। নেড়েচেড়ে মিশিয়ে দিলেই খানা তৈয়ার। এই মেথি পাতা দিয়ে স্বর্গীয় তরকাও হয়। পদ্ধতি খুব সোজা, গোটা মুগের ডাল (সবুজ রঙের) সেদ্ধ করে নিন। তেলে পঁেয়াজ রসুন কাঁচা লঙ্কা কুচোনো ভেজে তাতে সেদ্ধ ডাল ঢেলে মেশান, ডিম দিন দু-একখানা, তারপর সেই একই পদ্ধতি, মেথিপাতার গুঁড়ো দিয়ে। রুটি দিয়ে খেতে চমৎকার, সাথে কাঁচা পঁেয়াজ কাঁচা লঙ্কা কামড়ে কামড়ে খাবার নির্দেশ রয়েছে।

সহজ কিন্তু উপাদেয় ইটালিয়ান পাস্তা বানাতে চান? মুদিখানা থেকে পেস্তো সস কিনে আনুন। এইবার পাস্তা (যেটা খুশি) নুনজলে সেদ্ধ ক'রে ছঁেকে নিন। গরম প্যানে অলিভ অয়েল ঢেলে তাতে খানিক পঁেয়াজ রসুন কুচোনো দিয়ে ভেজে তার মধ্যে সেদ্ধ পাস্তা ঢেলে আর ঐ সস দিয়ে ভালো করে মেশান, শেষে গোলমরিচ গুঁড়ো আর দরকার হলে নুন দিলেই রেডি। যদি কাউকে ইমপ্রেস করার ব্যাপার থাকে তো বেসিলের পাতা কুচিয়ে উপরে ছড়িয়ে দিন, কয়েক খন্ড টমেটোও দিতে পারেন (দুটো জিনিসই কাঁচা দেবেন, স্রেফ গার্নিশ হিসেবে)। পেস্তো সসে প্রচুর বেসিল থাকে, দেওয়া না-দেওয়াতে স্বাদে বিরাট পার্থক্য হবে না, তবে "ফ্রেশ আর্বস" (যাকে আমরা সঠিক উচ্চারণে 'হার্বস' বলি) দেখে বিলাতি বালিকারা আনন্দে মূর্ছা যেতে পারে তাই বললাম (এইখানে ইতিহাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন চলবে না)।

রেলস্টেশনে লুচি/পুরি'র সাথে একটা তরকারি/সব্জি দেয়, সেটা খেতে খুব ভালো লাগতো যখন উত্তর ভারতের কলেজ যাওয়ার জন্য লম্বা ট্রেন জার্নি করতাম। সেটা একদিন বানালাম (বুঝে বানাইনি, বানিয়ে খেয়ে দেখলাম সেই রকম খেতে হয়েছে)। পদ্ধতিটা তরকারি বানানোর সাধারণ পদ্ধতির চেয়ে সোজা। আলু ছোটো ছোটো করে কেটে নিন, পঁেয়াজ রসুন কাঁচা লঙ্কা কুচোনো গরম তেলে ঢেলে নুন হলুদ আর আলু এক সাথেই ঢেলে দিন ( সাধারণত পঁেয়াজ ইত্যাদি ভাজা হলে আলু যোগ করা হয়, এখানে একসাথেই দিয়ে দিন)। তাতে ২-১ মিনিট পরেই জল ঢেলে দিন যাতে আলুগুলো সব মোটামুটি ডুবে যায়। এবার খানিক ফোটালেই (আলু নরম হওয়া অবধি) ফুটপাতের তরকারি রেডি। তরিবৎ করতে চাইলে প্রথমে তেলে একটু হিং-এর গুঁড়ো দিতে পারেন। আর রেলস্টেশনের স্বাদ নিখুঁত আনতে হলে খানিক ধুলোবালি মিশিয়ে দিন, দাঁতে কচকচ ক'রে বালি পড়লে দেখবেন কেমন নস্টালজিক লাগে।

নারকেলের নাড়ু আমার ভীষণ প্রিয়, কিন্তু বানাতে গেলেই সন্দেহ হতো মিষ্টি কম বা বেশি হয়ে যাবে। একজন একটা সোজা পদ্ধতি বললো, একটা দিওয়ালি পট-লাকের জন্য বানালাম, চমৎকার হলো। কনডেন্সড মিল্কের ক্যান একটা কড়াইতে ঢেলে (কম আঁচে, নইলে তলা ধরে যাবে), তাতে কোরানো নারকেলের প্যাকেট (ভেজাটা, যেটা দেশী দোকানে ফ্রিজারে থাকে, শুকনোটা দিয়ে করলে তেমন ভালো হয় না দেখলাম) থেকে ১/২ ভাগ বা ২/৩ ভাগ ঢেলে দিয়ে অল্প নাড়াচাড়া করলেই রেডি। নাড়ু পাকাতে খাটনি লাগলে ট্রেতে ঢেলে একটু চেপেচুপে ছুরি দিয়ে কেটে দেশি ব্রাউনি বানিয়ে ফেলতে পারেন। কাটার পর এলাচ গুঁড়ো বা জায়ফল ঘষে গুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন।

নারকেল দিয়ে ভাপা ইলিশ কি চিংড়ি বানানোর মতো সোজা রান্না দুটি নেই। কোরানো নারকেল নাড়ু বানিয়ে বঁেচে গেছে না আধ প্যাকেট? দুটোর যে মাছটা বানাতে চান সেটা ঘরের তাপমাত্রায় এনে একটা মাইক্রোওয়েভ-বান্ধব পাত্রে রাখুন, তাতে ঐ নারকেল দিন, নুন হলুদ লঙ্কা-কুচোনো আর সরষের তেল বেশি করে ঢেলে চামচ দিয়ে মাখুন, শুকনো শুকনো লাগলে কিছুটা জল বা দুধ মিশিয়ে দিন। এবার মাইক্রোওয়েভে ঢুকিয়ে দিন ঢাকনা এঁটে। যদি ঢাকনাওয়ালা পাত্র না হয় তো জলটা একটু বেশি দিন। চিংড়ি হলে দশ-বারো মিনিট, আর ইলিশ হলে মিনিট কুড়ি রেখে বের করে ভাত দিয়ে খেয়ে ফেলুন ঝটপট।

উৎকৃষ্ট লস্যি বানাতে চান? দই আর দুধ মিক্সিতে ঢেলে (দই বেশি দুধ কম) চিনি মিশিয়ে ঘঁেটে নিন, তাতে গোলাপ জল দিন খানিকটা। ভাবছেন এতো সোজা জিনিস নিয়ে লেখার কী আছে? খেলে বুঝবেন, আমি তো খেয়ে চিৎপাত।

মিক্সির কথায় মনে পড়লো, উপাদেয় চিকেন পকোড়া বানানোর কথা। শুধু চিকেনই বা কেন, যে কোনো মাংসের কিমা কিনে মিক্সিতে দিয়ে তাতে কালোজিরে নুন কুচোনো রসুন লংকাগুঁড়ো কিছুটা বেসন বা আটা/ময়দা আর দরকার হলে খানিকটা জল দিয়ে ভালো করে মেশান। ছাঁকা তেলে এক চামচ ক'রে এই মিশ্রণ দিয়ে ভাজুন। স্বাদ বাড়াতে চাইলে জোয়ান আর শুকনো লংকা তেলে ভেজে দিতে পারেন মিক্সিতে।

অনেক কিছু রান্না হলো, এবার হ্যাংলার মতো চেয়ে না থেকে খেয়ে ফেলুন না, বসে থাকলে ঠান্ডা হয়ে যাবে, গোঁজামিলের রান্না ঠান্ডা হলে যদি অখাদ্য লাগে তো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।


মন্তব্য

তানভীর এর ছবি

এই সরল পাকপ্রণালী ৪-৫ বছর আগে আমার খুবই দরকার ছিল। তবু পড়ে আনন্দ পেলাম। লাসসি অবশ্য এখনো বানাই- দুধ, দইয়ের সাথে ম্যাংগো পাল্প দিয়ে। গোলাপ জল দিয়ে ট্রাই করে দেখবো।

আর রেলস্টেশনের স্বাদ নিখুঁত আনতে হলে খানিক ধুলোবালি মিশিয়ে দিন, দাঁতে কচকচ ক'রে বালি পড়লে দেখবেন কেমন নস্টালজিক লাগে।

হো হো হো

মূলত পাঠক এর ছবি

জটিল পাকপ্রণালীও দেওয়া যায়, এগুলি নব্যপ্রবাসী বালকদিগের জন্য ছিলো। আপনার কী কুইসিন পছন্দের বলে ফেলুন, কিছু এক্সোটিক খানাপিনা নিয়ে আড্ডা দেয়া যাবে। রান্নার পদ্ধতির চেয়ে আমার নিজের পড়তে বেশি ভালো লাগে খাওয়ার গল্প। মনীষীরাও এ বিষয়ে সহমত, রবি ঠাকুর থেকে বুদ্ধদেব বসু অবধি। সেই "অল্পেতে খুশি হবে দামোদর শেঠ কি" পড়ে জিভে জল আসতো, কিংবা "আমসত্ত্ব দুধে ফেলি" ইত্যাদি। বুদ্ধদেব বসুর এই লেখাটা তো মাস্টারপিস। ভদ্রলোক যতোই ভুলোমন কবি টাইপের হোন না কেন, খাওয়াদাওয়া নিয়ে যা পর্যবেক্ষণ আর বর্ণনাশক্তি দেখিয়েছেন তাতে আশ্চর্য হতে হয়। সে যুগে বাঙালি পুরুষ আর যাই হোক রান্নায় শ্রমবিভাজনে বিশ্বাস করতো না, এ হয়তো তাঁর বিদেশবাসের ফল।

ম্যাংগো লস্যি দেশি রেস্তোঁরায় পাওয়া যায়, ওরা মন্দ বানায় না এই একটা জিনিস। তবে গোলাপজলের লস্যিটা আমাকে এক উত্তর ভারতীয় বন্ধু খাইয়েছিলো, খাসা লেগেছিলো।

অম্লান অভি এর ছবি

দারুণুস্, পাশের সহপাঠি পড়ে বেশ খুশী।
আগামীতে যোগ্য গুলি ভোগ্য হবে আমার পাতে।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

মূলত পাঠক এর ছবি

এই লেখাটা পোস্ট করার সময় একটু কিন্তু-কিন্তু লাগছিলো, কোন্ কম্মে লাগবে কার এই ভেবে। এখন তো দেখি এইটায় দেশহিত হলো, "আগামীতে যোগ্য গুলি ভোগ্য হবে আমার পাতে"। হাসি

তানবীরা এর ছবি

আল্লাহ বাচাইছে আনাড়ি বালক না। নারকোল ইলিশের রেসিপি পড়ে মূর্ছা গেলাম। ভাইজান বউরে ইম্প্রেস করার চেষ্টা কইরেন না। বেচারী নতুন মানুষ ভয় পাবে।

আপনি শিল্পী মানুষ, গান - সিনেমাতেই থাকেন, রান্না বান্না অন্যদের চ্যাপ্টার

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মূলত পাঠক এর ছবি

ঐ লিগাই কইছিলাম, রন্ধনপটীয়সীগো লিগা না এই লিখা। ঐ ইলিশ খাইয়া আমি নিজে মূর্ছা গেছি, বালকেরাও যাইবো, যাগো হাত পুড়াইয়া খাইতে হয় তাগোরে খুশি করন এমন কিসু কঠিন কাম না। তয় আপনে যদি অন্য প্রণালীতে রাইন্ধা খাওয়াইতে চান তো কন কবে যামু আপনের বাসায়। খাইয়া তারিফও করুম, কথা দিলাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

ওহো, এখন মনে পড়লো, নারকেল ইলিশ/চিংড়িতে সর্ষে-পেস্ট দিতে হয় তো ! দেখছেন কী ভুল! যাক এখন তো ঠিক হলো, রঁেধে ফেলুন এইবার।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বেশ বেশ। আমার জিবে লালা চলে এল। হাসি
----------------------------------------
শুধু শরীরে জেগে থাকে শরীরঘর
মধ্যবর্তী চরকায় খেয়ালী রোদের হাড়

মূলত পাঠক এর ছবি

হাসি

ভুতুম [অতিথি] এর ছবি

যাব্বাবা! রান্না করা দেখছি মেলা সোজা কাজ, এতোদিন হুদাই ভয় খাইছি। আপনি মূলত পাঠক হলেও গৌণত রন্ধক ও বটে। ভালো লেগেছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

পাঠক বাদে আর সব কিছুতেই আমি গৌণত, কোনোটাতেই মুখ্য ভূমিকা পাই না।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুমম, এমন সময় রেসিপি দিলেন, গতকালই প্রথমবারের মতো খিচুড়ি রাঁধতে গিয়ে হাত পুড়াইলাম। দেঁতো হাসি বাসার কেউ নাই গত কয়েকদিন ধরে। থাকবে না আরো কিছুদিন। তাই ভাত, ডিম ভাজি আর আলু ভর্তাই ভরসা। সে ভরসায় যেতে না চাইলে আছে ১৫*২=৩০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে বোনের বাড়ি গিয়ে খেয়ে আসা। কিন্তু রাত ১০:০০টায় বাসায় ফিরে আনাড়ি বালকের আপনার প্রদত্ত রেসিপি রান্নার ধৈর্য আর কতটা থাকে বলুন? তবুও এক ছুটির একটা ট্রাই দিবো কী'না ভাবছি।

মূলত পাঠক এর ছবি

খিচুড়ি সুস্বাদু করনের ট্রিক কইতে পারি (্তয় তাতে হাত পুড়বো না সেই গ্যারেন্টি নাই)। এই পরামর্শগুলি আনাড়ি বালকগো লিগা, রন্ধনে যারা দ্রৌপদী তাগোর কামে আইবো না হাসি

পঁেয়াজ আর রসুন বেশী কইরা লন, যত্তোটা হইলে আপনের মতে বেশী হয় তার চাইতে বেশী (অবৈজ্ঞানিক মেথড, তবে কাম দেয়)। যেমন তেমন কইরা কুচায়া ফালান, বেশী সৌন্দর্য দরকার নাই। মরিচও দ্যান, তবে এইটা কমই ভালো, পরদিন সকালে নাইলে কষ্ট আছে। সরিষার তৈলে কালোজিরা আর এই সব গুলি দিয়ে ভাজেন লবন-হলদি সমেত, প্রেসার কুকারেই ভাজন শুরু করেন। মুসুরির ডাল আর চাল সমান সমান (ডাল বেশী হইলে আরো হোয়াদ হয়) ধুইয়া লইয়া জল ফালাইয়া ঐ ভাজাগুলির মধ্যে ঢালেন, এই বার কিছুক্ষণ চালডালও ভাজেন। ঘষাঘষি করতে হইবো তলা ধরলে, তবে চিন্তা নাই, পঁেয়াজ অল্প পুড়লে হোয়াদ খোলতাই হয়। এইবারে সোজা কাজ, জল ঢালেন ওর মধ্যে। ভুনা বানানোর ইচ্ছা হইলে কম জল, ধরেন মালমশল্লার উপর জলের লেভেল দুই তিন আঙ্গুল, আর লোৎ লোৎ চাইলে চাইর পাঁচ আঙ্গুল। লবন চাইখ্যা ঢাকনা আইট্যা দুইখান সিটি দিয়া রাইখ্যা দেন, কুকারের রাগ কমলে খুইল্যেন'অনে। খাইতে খারাপ হইবো না।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

মূলত পাঁচকের লেখা পড়তে পড়তে খিদে পেয়ে গেলো! চোখ টিপি
উত্তম জাঝা! রান্না-বান্না!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালো ভালো প্রেমের কবিতা লিখে লোককে প্রেমিক তো কতো কবিই বানিয়েছেন, আমার ফাঁকিবাজি রান্নার গপ্পো শুনিয়ে আপনাকে খাদক বানিয়ে আমি হেব্বি খুশি! (আনন্দে ডিগবাজির ইমো আছে নাকি?)

ইয়ে মানে পাচকে চন্দ্রবিন্দুটা কী কোনো বিশেষ ইঙ্গিতবাহী? মানে "এবার থামুন নইলে পঁেদিয়ে স্বর্গত ক'রে দোবো" টাইপ কিছু? হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

মূলত পাঠক,
শিক্ষিত গাতক,
নিয়ত পাচক! হাসি

'পাকপ্রণালী' দেখে প্রথমেই ধাক্কা খেলাম 'পক প্রণালী'র কাছাকাছি হওয়ায়, ভাবলাম আপনি আমার সারাছাত্রজীবনের ত্রাস ভূগোল নিয়ে এলেন না কি! ভাগ্যে, পরক্ষণেই মনে পড়লো, বুঝিবা পোস্টের ভিজুয়াল অংশের ইঙ্গিতটুকু পেয়েই বুঝি-বা, যে- আপনি গান-এর পরে রান্নানামা লিখবেন ব'লে আওয়াজ দিয়েছিলেন সেদিন। লেখেন তো আপনি বেশ ভালোই। হাসি আর সব ধরনের বিষয়ে পাণ্ডিত্যের ভাউ-টা-ও তো ভালোই নিতেছেন চামে-চিকনে! চোখ টিপি খাইছে
অনেক লোভ হ'লো অনেক কিছু নিয়েই, তবু এই অলস আমি কিছুদিন নিজের একলাবাসে নিজে রেঁধেই এমন কাহিল হয়ে গ্যাছি, যে- ম্যাক্সিমাম-ই যোগাড়যন্ত্রের জায়গায় এসে আমার কাছে কঠিন মনে হয়ে গ্যাছে। তবে হ্যাঁ, সহজ রিসোর্সের মধ্যে ডিম-ডাল এক ক'রে দেয়াটাই ট্রাই করবো আমি নেকস্ট, তবু সেটাও নির্ঘাত মেথিগুঁড়ো ছাড়াই। দেঁতো হাসি
ধন্যবাদ। লিখুন। ভালো থাকুন।

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মূলত পাঠক এর ছবি

ওরেব্বাস, এমন সাট্টিফিকেটের পর আনত কুর্নিশ করা ছাড়া উপায় কিছু থাকে না। অনেক ধন্যবাদ এমন প্রশংসার জন্য।

আর মেথিগুঁড়ো দিলে কিন্তু তেতো হবে, আমি যে জিনিসটার কথা বলেছি সেটা হলো শুকনো মেথি পাতার গুঁড়ো।

আর সোজা মানে ভালো না তা আমার মত নয়, আমার সবচেয়ে প্রিয় খাদ্য হলো সেদ্ধ ভাত, মুসুর ডাল সেদ্ধ পঁেয়াজ কাঁচালংকা ধনেপাতা সর্ষের তেল দিয়ে, আলু সেদ্ধ বাঙালি ঘি দিয়ে মেখে, ডিমসেদ্ধ স্রেফ নুন দিয়ে। বিরিয়ানি ভালো জিনিস, কিন্তু সেদ্ধ ভাত, আহা!

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ওহ্ আচ্ছা। আমারটা তেতো হ'তো না। কেন জানেন? আমি তো মেথিগুঁড়োও দিতামই না কোনোদিন! চোখ টিপি
তবু, থ্যাংকস আ লট।
এত আনত হ'তে হবে না। ঋজু থাকেন। হাসি

আর, আপনার শেষ প্যারাটার সঙ্গে তো আমি একদম শতভাগ সহমত। দেঁতো হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মূলত পাঠক এর ছবি

আহা রে আমার সেদ্ধ ভাত! ভরা পেটেও জিভে জল চলে আসে হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।