কবিতাকথন ৭: আনন্দী

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৫/২০০৯ - ৬:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাইরে এখন চমৎকার সামার, চাঁদিফাটা গরম পড়ে নি বলে উপভোগ্য সময়। এইরকমই একটা দিনে এই কবিতাটা লেখা হয়েছিলো, তখন অবশ্য শীতের মুলুকে থাকতাম, কাজেই সামার ব্যাপারটা আরো বেশি কাঙ্খিত ছিলো। ঘোর গরম শুরু হওয়ার আগেই তাই দিয়ে দিলাম এখানে, সাভানার আর্ট একদিন পরে হবে। মোটামুটি নিজের গল্প, অনুভূতি আর ছবি নিজেরই, তবে আশা করি গোটা ব্যাপারটা সার্বজনীনই হবে। যাঁরা কবিতার নিয়মিত পাঠক নন, তাঁদের মতামতও চাইছি। সহজ ছবির মতো কবিতাও কি পারবে না সে দুরত্ব ঘোচাতে?

আনন্দী

খুব সূর্য উঠেছিলো, চকচকে রোদ
তোমার সোনালি চুলে মুখ দেখে হাসে,
এমন সকাল
রাতশেষে আসে নাকি রোজ রোজ,
এমন আলোর দিন, নবীন সামার

জোড়ায় জোড়ায় সব মানুষেরা পথে নামে
জানলায় আদুরে বেড়াল,
উদোম শরীরে ফোটে ঘামতেল, শরীরে শরীর,
কফিশ্রমিকেরা দেয় জয়ধ্বনি
পোর্তে রিকো থেকে
দলে দলে ধূম্রকাপ, হাস্যময় যুবকসকাল

গন্ডোলাসুরের মতো গান গায় বাজিয়ে গিটার
ক্ষয়াটে বৃদ্ধ এক, হাসিতে যৌবন
চোখের ভাষায় লেখা আয়ু তার, খুশির অক্ষরে
হটডগ ঠেলাগাড়ি চিনাম্যান চোখ টিপে হাসে।
হাতে হাত পথ হাঁটে আনন্দযুগল
স্বেদকণা রতি ও রোদের

পেপারব্যাকের ফাঁকে পথ চেয়ে থাকি
এক্ষুণি মোড় ঘুরে দেখা দেবে আমার সুজন
চেয়ারে বসার আগে হাসবে সে অ্যাপোলোজেটিক

এমন সকালে কেউ দেরি হলে অভিমান করে?

ছবি বদলে দিলাম, আগের ফোটোগ্রাফ সরিয়ে আঁকলাম এই ছবিটা, তুলিরেখার মন্তব্য শুনে।


মন্তব্য

তুলিরেখা এর ছবি

চমৎকার। " হাস্যময় যুবকসকাল।"
চেয়ারে রাজারাণী থাকলে তো আরো মানাতো! হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালো বুঝলাম না ঐ রাজারাণীর ব্যাপারটা, ব্যঙ্গ না তো? হাসি

তবে ভালো বলেছেন ধরে নিয়েই থাংকু বলি, ভালো ধরতে তো আর সমস্যা নেই।

তুলিরেখা এর ছবি

না না, ব্যঙ্গ তো অবশ্যই না। ভালো ভেবেই বলা। কবিতাটা ভালো লেগেছে। সুন্দর একটা প্রাণবন্ত সকাল চিত্রময় হয়ে ফুটে ওঠে। তাই ঝলমলে সকালে খালি চেয়ার কেমন একটু লাগে, আর্ট ফিলমে তো খালি চেয়ার দেখায় ক্লান্ত সন্ধ্যায় কিনা!
কবিতা চমৎকার, চিত্ররূপময়।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

সেইটা ঠিক, চেয়ার দুটো ইনভাইটিং হলেও প্রাণবন্ত ঠিক নয়, গেলাসে সুরা অবধি নেই, কে এসে বসবে এখানে! একটা ছবি এঁকে লাগালে হতো, কিন্তু ততো জোর নেই কলমের হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

যাক আপনার কথা শুনে এঁকে ফেললাম একটা ছবি।

খালি চেয়ার দূর হলো। হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

আহা! ঠিক এমন ছবিটাই দেখতে চাইছিলাম।
খুব সুন্দর।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।

ভুতুম এর ছবি

ছবিটা সুন্দর, আর কবিতাটাও প্রাণবন্ত।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, ভুতুম! (এমন একটা নাম নিয়েছেন, সিরিয়াস মুখে উত্তর দেওয়া মুশকিল)। হাসি

স্পর্শ এর ছবি

ছবি ও ছবিতা দুটিই দারুণ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ স্পর্শ, এইটা ছবিতাই হয়েছে বটে। হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কী কী যেন বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু হিংসার চোটে দেখেন কথাই বেরুচ্ছে না এখন মুখ (হাত) দিয়ে...! ইয়ে, মানে...

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে বলেই ফেলুন না কী বলতে চাইছিলেন, দু দিনের জীবন, হিংসা করে আর কী করবেন! হাসি

সবজান্তা এর ছবি

কী সব্বোনাশ !

আপনি মশাই এমন ছবিও আঁকতে জানেন ? আপনার জন্যই তো আমার ভাগে এমন গুণের কমতি পড়লো মন খারাপ


অলমিতি বিস্তারেণ

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা

কি ভাগ্যিস ওপরওয়ালা কমিউনিস্ট নন। হাসি

অনেক ধন্যবাদ, এমন প্রশংসার জন্য। ভালো থাকবেন।

তীরন্দাজ এর ছবি

হাস্যময় যুবকসকাল

আমারও খুব ভালো লেগেছে। দেখি আরেকজনও কোট করেছেন। সুন্দর ছবি....সবকিছুই ...বাহ!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার প্রশংসা পেয়ে। পাঠকের ভালোলাগাতেই লেখকের তৃপ্তি, অন্তত এই সামান্য লেখকের।

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনি আসলেই গুনী মানুষ! 'জাহাজী আর যাযাবর জীবনের গল্প' বের করতে চাচ্ছি সামনের বইমেলায়। ইশতিয়াক রউফ ছবি এঁকে ইলাসট্রেশনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সে সময় তো কোন ছবি তুলতে পারিনি!

আপনার ছবিটি দেখে লোভ হচ্ছে আপনাকে দিয়ে করানোর। একজনকে বলে ফেলেছি। নইলো আপনাকেই অনুরোধ করতাম। আমার খুবই ভালো লেগেছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মূলত পাঠক এর ছবি

সে তো বিশাল সম্মানের ব্যাপার হতো। আপনার এই বইটা আমার চোখে খুবই মূল্যবান, লেখার স্টাইল ইত্যাদি দিয়ে আসর মাতান অনেকেই, কিন্তু এতো সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা বাঙালি লেখকদের ভাঁড়ারে কমই থাকে। এর সাথে যুক্ত হওয়া গেলে আনন্দ পেতাম। তবে আপনি ভাববেন না, আপনার আরো বই বেরোবে তো নিশ্চয়ই, তখন "মেরা নম্বর আয়েগা"। হাসি

আর ব্লার্বে লেখকের ছবি যদি এঁকে দিতে চান সামঞ্জস্যের খাতিরে তো জানাবেন, একটা ট্রাই মারা যাবে।

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। লেখকে ছবির ব্যাপারে ভেবে দেখবো। আমার মনে হয় ভালো হবে খুব।

অন্য ছবিব ব্যাপারে বলা যায়না! এমনও হতে পারে, আমি অনুরোপত্র নিয়ে আপনার সামনেই দাঁড়াবো। আপনার ছবিটি ঠিক তেমনটি, যেমনটি আমি ভেবে রেখেছিলাম। লোভের প্রকোপে বেশ কয়েকটি সিগারেট টানা হয়ে গেছে এতোক্ষণে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মূলত পাঠক এর ছবি

নিশ্চয়ই, সুযোগ হলে জানাবেন।

ভালো থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

"চকচকে রোদ
তোমার সোনালি চুলে মুখ দেখে হাসে,"
এখানে কি "দেখে" শব্দটির পরিবর্তে "রেখে" হবে??
নাকি
"চকচকে রোদ
তোমার সোনালি চুল, মুখ দেখে হাসে,"
কবিতাটি পড়ে প্রাণবন্ত সকালের দৃশ্যগুলো সহজেই কল্পনা করে নিতে পারবে পাঠকমন।
জুয়েইরিযাহ মউ

মূলত পাঠক এর ছবি

'রেখে' হলে যে অর্থ হয় তাও মন্দ হয় না, যদিও লেখার সময় আমি 'দেখে'ই লিখেছিলাম। উজ্জ্বল রোদে সোনালি চুল ঝলমল করে ওঠে, রোদ যেন মুখ দেখছে আয়নায়, এই জাতীয় কিছু।

ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম।

স্নিগ্ধা এর ছবি

গন্ডোলাসুরের মতো গান গায় বাজিয়ে গিটার
ক্ষয়াটে বৃদ্ধ এক, হাসিতে যৌবন
চোখের ভাষায় লেখা আয়ু তার, খুশির অক্ষরে
হটডগ ঠেলাগাড়ি চিনাম্যান চোখ টিপে হাসে।
হাতে হাত পথ হাঁটে আনন্দযুগল
স্বেদকণা রতি ও রোদের

এই প্যারাটা খুবই সুন্দর!
কবিতাটা চিঠির মতো কিংবা 'গল্প বলা'র মতো - অন্যরকম। ভালো লাগলো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

যাক সাভানায় ভালো বলতে পারতেন কিন্তু বলতে বলতেও বলেন নি, এইবারে যে বলে ফেললেন এইতে আমি বিগলিত। হাসি

থাংকু। হাসি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

এমন সকালে কেউ দেরি হলে অভিমান করে?

এ লাইনটা আমার মত যারা সকালে উঠতে পারেননা, তাদের জন্য অসামান্য হাতিয়ার দেঁতো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

এইটা ভালো পয়েন্ট ধরেছেন তো! সকালে হলে অবশ্য আমার সবসময়ই দেরি হয়ে যায়, সকাল যেমনটাই হোক। এইবার থেকে এই লাইনটা ব্যবহার করবো। হাসি

দময়ন্তী এর ছবি

বা: চলুক

কিন্তু যুবকসকাল কেন? যুবতীসকাল নয় কেন?? এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তী ঈ ঈ ব্র প্রতিবাদ জানালাম, হুঁ৷

--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক এর ছবি

আচ্ছা যুবতীসন্ধ্যা নিয়েও লিখবো এবার, একটা ভাবগম্ভীর নিবন্ধ, একেবারে পাদটীকা-কণ্টকিত।

থাংকু। হাসি

মধ্যসমুদ্রের কোলে এর ছবি

------------------------------------------------------------------------------------------
চেয়ারে বসার আগে হাসবে সে অ্যাপোলোজেটিক
---------------
অওসাম!
এই লাইনের পরে শেষ লাইনটা খুব একটা গায়ে লাগছে না। যদিও ওটাকেই সবচেয়ে ট্রিকি (ম্যাজিক অর্থে) করতে চাচ্ছিলেন বোধহয়।
ভালো লাগলো।
-------------------------------------------------------------------------------------------
পরমা'র অডিশন কি অনুভব করা গেলো? জানা হলো না তো।

মূলত পাঠক এর ছবি

ওই লাইনটা আসলে সত্যিই মনে হয়েছিলো তখন। অ্যাপোলোজেটিক হাসি ব্যাপারটা তো আর সুদুর্লভ কিছু নয়, পদে পদে দিতে হয়, আবার দেখতেও হয়। যখন এই বড়োসড়ো শব্দটা মাত্রাটাত্রা মেনে বাংলা পংক্তিতে ঢুকে পড়ে, যেন আপনার কোনো সাহেববন্ধু আপনার বাড়ি এসে পা মুড়ে সুন্দর বাবু হয়ে বসেছে সবার সাথে খেতে আর মাসিমা পরিবেশন করছেন এই জাতীয় কিছু হয়, তখন আসলে দিব্যি লাগে দেখতে। আর ওর পরের লাইনটা তেমন কিছু আলাদা নয় হয়তো, কিন্তু ওটাই বোধ হয় নির্যাস, এমন যে সকাল সেখানে সকালটাই মুখ্য হয়, ছোটোখাটো মানঅভিমান নিয়ে মুখ ভার করার মানেই হয় না এই রোদঝলমল দিনে।

পরমা বা অন্য কবিতা নিয়ে লিখতে গেলে পোস্টমর্টেম বলে মনে হয় যদি তবে সে কি আর ভালো কথা হবে। আমি নিজে একে পোস্টমর্টেম ভাবতে রাজি নই, লেখা শেষ হলেই কবিতার মৃত্যু হয় না কি যে ময়নাতদন্ত হবে। কিন্তু যে নামেই ডাকা হোক, বিশ্লেষণ মোটামুটি সচলে কবিরা পছন্দ করেন না বলেই মনে হয়। তবে তার পরেও একটা কথা আছে। কবিতা পড়ে খুব খারাপ লাগলে (লাগে, অনেক সময়ই লাগে) মন্তব্য করি না (অবশ্য এর উল্টোটা সর্বদা সত্যি নয়, ওইখানে নিজের পালানোর পথটা রেখে দিয়েছি)। আপনার কবিতা পড়ে কিছু অনুভূতি হয় তো নিশ্চয়ই, পরমাতেও হয়েছে। কিন্তু সে কথা ব্যাখ্যা করলেই যে বিশ্লেষণ হয়ে যাবে, কী করি বলুন তো? হাসি

সিরাত এর ছবি

ওরে, রাজর্ষিদা, আপনি তো পাঙ্খা ছবি আকেন দেখা যায়? এত কমিক্স পইড়া আমারও আবার ছবি আঁকতে ইচ্ছা করতেছে। চেষ্টা করলে মোটামুটি একটা কিছু দাঁড়া করাইতে পারি, তয় আপনার মত একজনের কমেন্ট শুইনা ঠাস কইরা একটা আঁকতে পারি না। ইশ! কি মজা আপনার!

আরো আঁকেন, আরো দেখান! কমিক্স বানাই দুইজনে মিলা চলেন একখান! চোখ টিপি আমি স্ক্রিপ্ট, আপনি আঁকা, ভুতুম লেটারিং, আরেকজনরে দিয়া কালার করামু। নাম হবে 'বেঙ্গলম্যান'!! চোখ টিপি

মূলত পাঠক এর ছবি

বেঙ্গলম্যান? শুনেই হাসি লাগছে, এইটা আক্ষরিক অর্থেই কমিকস হবে মনে হচ্ছে।

আমার অন্য কারোর ভালো লেখা পড়লেও ছবি এঁকে ফেলতে ইচ্ছে হয়। তুলিরেখার গল্পে একদা দুখানা এঁকেছিলাম, কিন্তু তিনি যে স্পিডে লেখেন তাতে পাল্লা দিয়ে এঁকে যাওয়া মুশকিল। গণেশ আর ব্যাসদেবের গল্পটার মতোই। তীরন্দাজের গল্পে আঁকা গেলে চমৎকার হতো।

পাঙ্খা ছবি? হা হা, মজা পেলাম। থাংকু।:)

তুলিরেখা এর ছবি

কী ই ই ই ? অ্যাঁ
আমি কি গণেশের মতন পেটমোটা? নাকি আমার হাতির মাথা?
হাতি ভালোবাসি বলে কি আমিও হাতি? হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনি তো মশাই ভারি ইয়ে যারে কয়, ঘাপটি মেরে থাকেন নাকি এইসব ফাইনার পয়েন্ট ধরার জন্য? হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

উদোম শরীরে ফোটে ঘামতেল, শরীরে শরীর,
..................................................
হাতে হাত পথ হাঁটে আনন্দযুগল
স্বেদকণা রতি ও রোদের
........................................................
চেয়ারে বসার আগে হাসবে সে অ্যাপোলোজেটিক
এমন সকালে কেউ দেরি হলে অভিমান করে?

এক্কেরে সেইরকম চলুক
ছবিও চলুক চলুক
কবিতার শেষ দু'লাইন আমি একসাথেই দিলাম। সৃষ্টি নিয়ে স্রষ্টার ওপরই পোদ্দারি করার জন্য এই যে আমিও একটা হাসি দিলাম, হাসি , অ্যাপোলোজেটিক! চোখ টিপি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার লেখা কবিতা তেমন সুপবিত্র কিছু না, ভালোবেসে তেলেভাজা বানালেও মাইন্ড করবো না।

ভালো লেগেছে এইটাই আনন্দের কথা। হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পাঠক'দা, আপনি পোর্ট্রেট করেন? ভাবছি আপনাকে দিয়ে করিয়ে নেব নাকি একখান খাইছে

মূলত পাঠক এর ছবি

করি তো বটেই, খালি একটা ছোট্টো সমস্যা হয়, আঁকার পর চেনা যায় না বিশেষ। মানে মানুষ বোঝা যায়, ইটি-জাতীয় কিছু মনে হয় না। তবে তাতে ক্ষতি কী বলেন, আর্ট তো একেই বলে, না হলে ফোটো তোলালেই হয়! হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।