বায়োস্কোপের বাক্স ১০: গেমার

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: শনি, ৩০/০৫/২০০৯ - ৮:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তি পাবে এমন একটা সিনেমা নিয়ে এক্ষুণি কথা বলতে চাইছি কেন? কারণ এর প্রিভিউ দেখে আমি ভয়ানক উত্তেজিত হয়ে পড়েছি! ভিস্যুয়ালি এ যাবৎ আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মুভি "সিন সিটি"। এই নতুন ছবি "গেমার" প্রায় সেই পর্যায়ের। যাঁরা সিনসিটি দেখেছেন তাঁরা ভিস্যুয়াল নিয়ে কথাটা বুঝবেন, খুব কম রঙে এবং কম মিশ্র শেডের ব্যবহারে এখানে একটা সলিড লুক আনা হয়েছে, আঁকা ছবির মতো খানিকটা, যা অনেক কমিক্সে দেখা যায়। কিছু ছবি দিলাম, প্রিভিউর স্ক্রিন শট নিয়ে, খানিকটা আন্দাজ পাওয়া যাবে।

ছবির কনসেপ্টটাও আগ্রহ-সঞ্চারক। ছবির গল্প ওয়েবসাইট থেকে যা পাওয়া গেলো তা এইরকম, অদূর ভবিষ্যতের পৃথিবীতে গেমিং ও বিনোদন জন্ম দিয়েছে এক ভয়ানক হাইব্রিড, এক মাস-স্কেল অনলাইন গেম যেখানে মানুষ খেলাচ্ছে মানুষকে, মস্তিষ্ক-নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে। এই সব বিতর্কিত গেমগুলোর স্রষ্টা কেন ক্যাসেলের নবতম আবিষ্কারের নাম স্লেয়ার্স। এই ফার্স্ট-পার্সন শ্যুটার গেমে লক্ষ লক্ষ লোক তাদের নৃশংসতম বাসনা চরিতার্থ করবে বিশ্বব্যাপি দর্শকদের সামনে, সত্যিকারের কয়েদিদের খেলার পুতুল বানিয়ে, তারা লড়বে, মরবে, এবং উত্তেজনায় ফেটে পড়বে দর্শককূল! কেইবল (Kable) এই হিংস্র গেমের সুপারস্টার ও কাল্ট হিরো, যাকে নিয়ন্ত্রণ করে সাইমন নামে এক অল্পবয়সি গেমার। প্রতি সপ্তাহে সে কেইবলকে দিয়ে পার করায় অসম্ভব সব বাধা এবং জয়ী হয়ে অর্জন করে প্রায় রকস্টারের সমতুল্য খ্যাতি। আর কেইবল, আধুনিক যুগের হতভাগ্য গ্লাডিয়েটর, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আক্ষরিক অর্থেই সে লড়ে যায় বঁেচে থাকার জন্য, তার মুক্তির জন্য, আত্মপরিচয় ও পরিবারকে ফিরে পাবার জন্য, এবং উন্মাদ ধনাঢ্য বণিকের করালগ্রাস থেকে মানুষের ভবিষ্যতকে রক্ষা করার জন্য।

অভিনেতাদের মধ্যে আছেন জেরার্ড বাটলার ("৩০০"), মাইকেল হল ("ডেক্সটার")। বাটলার মশাই ক্রমেই জাঁকিয়ে বসছেন হলিউডে, মাঝে মধ্যে নরমসরম প্রেমের ছবি করলেও আমার ধারণা তিনি কালে কালে জেসন স্টাথামের ঘরানার দামি স্টার হয়ে উঠবেন। মাইকেল হল-কে সিক্স ফিট আন্ডারে দেখা গিয়েছিলো, কিন্তু ডেক্সটার-এ অভিনয় করে তাঁর অভিনয় ক্ষমতার প্রশংসা হয়েছে অনেক।

পুরো ব্যাপারটা হলিউডি আর পাঁচটা ছবির থেকে বিরাট কিছু আলাদা হবে বলে মনে হয় না, কিন্তু গেমসের ভক্তদের ভালো লাগবে এইটে বলা যায়।

ছবির ওয়েবসাইটের লিঙ্ক এবং প্রিভিউ দেখার জন্য (ছবির ওয়েবসাইটেও তা পাবেন, কম রেসোলিউশনে/ব্যান্ডউইডথে দেখার দরকার হলে) অ্যাপেলের ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিলাম। লেখায় অত্যধিক ইংরিজি শব্দ ব্যবহার করতে হলো বিষয়ের খাতিরেই।


মন্তব্য

আলাভোলা এর ছবি

হুমম। দেখতে হবে।
আপনার এই সিরিজটা এত কম আসে ক্যান ? মন খারাপ

পোস্টের ফরম্যাটটা ভচকে গেল যে!

মূলত পাঠক এর ছবি

প্রথম পাতায় একটার বেশি পোস্ট যে দেয়া যায় না (তাও তো হাল্কা করে নিয়মভঙ্গ করি মাঝে মাঝে)। আপনারা আরো বেশি বেশি লেখেন তাইলে আমিও পোস্টাতে পারি। কতো বিষয় রয়েছে, কারে ছেড়ে কারে লিখি!

ভচকে গেছে নাকি? আমার অ্যাপেলযন্ত্রে তো ঠিকই দেখায়! কী করি বলেন তো? ঐ চলমান পোস্টারটার জন্যই বিগড়েছে বোধ হয়।

হিমু এর ছবি

প্রথম পাতায় পোস্টসীমা বোধহয় ২। ২টার বেশি দিলে হতচ্ছাড়া মডুগুলি এসে হামলা করে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মূলত পাঠক এর ছবি

দুই নাকি? তাহলে তো অতি উত্তম! আরো লেখা দেওয়া যাবে।

ধন্যবাদ হিমু।

তুলিরেখা এর ছবি

লেখা ভালো। কিন্তু পাতাটা কেমন জানি ছড়িয়ে গেছে, ছায়া ছায়া হয়ে গেছে। মন খারাপ
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

একটা চলমান পোস্টার লাগিয়েছিলাম, সেইজন্যই ঐ সমস্যা। সরিয়ে দিলাম, এখন ঠিক হয়ে গেছে।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

'সিন সিটি " আমি দেখছি বললে ভুল হয়, চাবায় খাইছি। মূল কমিক্সটা আগে পড়া ছিল, প্রিভিউ না দেইখাই গেছিলাম হলে, ভিজুয়াল ট্রিটমেন্ট দেইখা এমন তাব্দা খাইছিলাম যে পরে আরো ২বার দেখছি!! কন্ট্রাস্ট ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইটের সাথে মিনিমাম কালার দিয়া, আবার কোথাও আরো কন্ট্রাস্ট
করে লাল বিশেষ করে সোনালী রং ........১টা অসাধারণ মুড তৈরী করে .......

গেমার টাও দেখবো অপেক্ষা করতেছি!
মজা লাগলো লেখা পড়ে.......আরো দেন।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে সুজঞ্চৌধুরী যে! খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। সিন সিটির মর্ম আপনি বুঝবেন, সন্দেহ নেই। সারবস্তুর কথা না ধরলেও ওটা একটা মাস্টারপিস, স্রেফ ভিস্যুয়াল ট্রিটমেন্টের জন্য। গেমার নিয়ে আমার ততো আশা নেই, তবে খারাপ হবে না হয়তো। ভুতুম বা সিরাতের মতো গেমস প্রেমীদের জন্য আরো আকর্ষক হবে।

আপনার অনুভূতি অভিজ্ঞতার কথা লিখুন না, সিন সিটির বিষয়ে?

দ্রোহী এর ছবি

স্বীকার করছি সিন সিটি অসাধারণ চলচ্চিত্র কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে আমার বেশি একটা ভালো লাগেনি ছবিটা। মন খারাপ

গেমারের প্রোমোশনাল দেখেছিলাম। ভালোই লেগেছিল। তাছাড়া আমি পাঁড় গেমার। বেশ আগ্রহ নিয়েই অপেক্ষা করছি ছবিটি দেখার জন্য।

মূলত পাঠক এর ছবি

বিষয়বস্তুর হিসেবে সিন সিটির চেয়ে ভালো ছবি অনেক দেখেছি (আমি তারান্তিনো রড্রিগেস কি ফ্রাঙ্ক মিলারের বিশাল কিছু ফ্যানও নই)। তবে ভিস্যুয়ালি ছবিটা অসাধারণ!

গেমার দেখবো সেই একই কারণে। পাঁড় গেমার হিসেবে আপনি লিখবেন আপনার অভিজ্ঞতা, দেখার পর। হাসি

সাইফ এর ছবি

'গেমার' অবশ্যই ফাটাফাটি হবে, যেমন হয়েছিল সিন সিটি, ৩০০ এবং "দি স্পিরিট" এর গল্প ভালো না, অবশ্য কমেডি হিসাবে নিলে গল্প খারাপ বলা যাবে না, আমার কাজ ভালো লেগেছে, আর তারমদ্ধে 'ইভা মেন্ডেসর' পোজই যথেষ্ট ছিল আমার ঐ ছবি দেখার জন্য। জেরার্ড বাটলার, মাইকেল হল দুজনেই ফাটাফাটি অভিনয় করেন। বাটলারের ড্রাকুলা ২০০০, ফ্যান্টম অফ দি অপেরা, নিমস আইল্যান্ড, রেইন অফ ফায়ারে তার অভিনয় অসাধারণ, ৩০০ তার আগের যে কোন ছবি থেকে ১০ ডিগ্রী উপরে। আর হলের আমি ডাই হার্ড ফ্যান, ডেক্স্টার যখন দেখা শুরু করি, তখন ২য় বছর চলছে, আমি প্রায় ১২ঘন্টায় ১২ টি পর্ব দেখে শেষ করি, তারপর ২য় সিজন শুরু করি। এখন চৌঠা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

সিন সিটি ২ ২০১১ তে রিলিজ হবার একটা সম্ভাবনা আছে, এ বেপারে লেখা দিন পাঠকদা, আপনার লেখা্ অনেক সম্বলিত

মূলত পাঠক এর ছবি

সিন সিটি ২ কি রে ভাই, ৩-এর কথাও পড়লাম। কিন্তু একটু ডিটেইল পেলে লিখবো।

স্পিরিট দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলাম, কিন্তু রিলিস করার পর যা ভয়ানক রিভিউ দেখলাম তার পর আর থিয়েটারে যাওয়ার সাহস পাই নি। ডিভিডি এনে দেখবো'খন। আসলে ঐ গ্যাব্রিয়েল মাখ্‌টের মতো মিষ্টিমধুর টাইপ নায়ক দিয়ে কি আর ফ্রাঙ্ক মিলারের জিনিস হয়! ইভা মেন্ডেস থাকলে অবশ্য সাতাত্তর খুন মাফ, সে কথা মানি। ইভা মেন্ডেসের কথায় মনে পড়লো, হিচ ছবিতে তার চরিত্রটা প্রথমে ঐশ্বর্য রাইয়ের করার কথা ছিলো, ডেট পাওয়া যায়নি নাকি। ভাগ্যিস ডেট পাওয়া যায় নি!

বাটলারের ছবি আমিও বেশ পছন্দ করি। ভদ্রলোকের মাথায় কে ঢুকিয়েছে ওই প্রেমময় সিনেমা করার কথা কে জানে, এখন মাঝে মাঝেই চেষ্টা করে সেই সব করার। ৩০০ মুভি যেমনই হোক, দুর্ধর্ষ ভিস্যুয়াল আর ঐ ধুমধারাক্কা দেখেই আমি মুগ্ধ! ফ্যান্টমটা আগে নাটক দেখে ফেলেছিলাম, একই ফরম্যাটে সিনেমা বানালে সেটা একটু কেমন কেমন লাগে দেখতে। আর সিনেমায় গান আমি ইংরিজিতে হলে বিশেষ সহ্য করতে পারি না, বাংলা হিন্দি অবধি ঠিক আছে। হলের কথাতেও সহমত, সিক্স ফিট আন্ডারেও ভদ্রলোক ভালো করেছেন যদিও চরিত্রটা বাকিদের তুলনায় বেশ বোরিং ছিলো। ডেক্সটাের তো ফাটাফাটি ব্যাপার, যদিও পুরো সিরিজটা দেখা হয় নি।

সিন সিটি ১ নিয়ে কেউ লিখলে পড়তে পাই, সিরাত আর ভুতুমকে বলে বলে টায়ার্ড হয়ে গেলাম। এবার আপনাকে ধরলাম, লিখে ফেলুন।

সাইফ এর ছবি

বস, সিন সিটি ১ নিয়ে লেখা দিতে পারি, পঠনযোগ্য হবে না, আমি বরং অনিকেতদা কে ধরি, উনার লেখায় যাদু আছে। আর শেষবার আমরা ২জনে একসাথে বসে ব্লু-রে তে সিন সিটি দেখলাম, তাই এখন একটু চাপাচাপি করলে উনি রাজী হয়ে যাবেন। যেটা মজার বিষয় হল যে, ব্লু -রে তে ছবিটি এসেছে ২ ভার্ষনে, সাধারন বা থিয়েটার মোড এবং স্টোরি মোড। প্রতিটি চরিত্রের গল্পটিকে একবারে দেখানো হয়েছে, ২ টি ভার্ষনই দুর্দান্ত। যদি পাঠকদা এদিকে আসেন, আপনাকে সিনসিটি দেখানোর দাওয়াত থাকলো। আর ভাগ্যিস ইভা হিচে ছিল, নাহলে যা তা হয়ে যেত ছবিটা। কিন্ত ফ্যান্টমে গান কিন্ত বাটলারের গাওয়া, আমার খুবই অসাধারন লেগেছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

ফ্যান্টম যদি কখনো সুযোগ হয় মঞ্চে দেখুন। আমি মিউসিক্যালের ভক্ত নই, কিন্তু অল্পস্বল্প যা দেখেছি তাতে এইটা অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। মঞ্চে যে এমন ম্যাজিক করা যায় না দেখলে বিশ্বাস হতো না। গানও চমৎকার লেগেছিলো। সিনেমা যখন দেখেছিলাম বাটলার কে তা জানতাম না। আবার দেখলে শুনবো তার গান।

দাওয়াতের জন্য অনেক ধন্যবাদ। গেলে নিশ্চয়ই দেখবো সিন সিটি। আর অনিকেতকে দিয়ে যদি লেখাতে পারেন ও নিয়ে, তাহলে অতি উত্তম হয়। কাল ইউটিউবে প্রথমের স্নিপেটটা আবার দেখছিলাম (জশ হার্টনেট), আহা কী জিনিস!

ভুতুম এর ছবি

লিখবো পাঠকদা, এই সপ্তাহের মধ্যেই লেখার আশা রাখি। দেঁতো হাসি আর ডেক্সটার তো চরম, আমার সবচেয়ে ফেভারিট টিভি সিরিজ!

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

অসাধারণ! আমি একটা মাইক্রোসাইজ ইন্ট্রো লিখে রেখেছি, সিন সিটি সিনেমাটা নিয়ে, সেটাও পোস্ট করে দেবো, যাঁরা দেখেন নি তাঁরা আর পালাবার পথ পাবেন না। হাসি

দ্রোহী এর ছবি

আর হলের আমি ডাই হার্ড ফ্যান, ডেক্স্টার যখন দেখা শুরু করি, তখন ২য় বছর চলছে, আমি প্রায় ১২ঘন্টায় ১২ টি পর্ব দেখে শেষ করি, তারপর ২য় সিজন শুরু করি। এখন চৌঠা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

ওরে বাবা ১২ ঘন্টায় ১২ পর্ব? আমার প্রায় তিন সপ্তাহ সময় লেগেছিলো তিনটা সিজন শেষ করতে। আমিও চৌঠা সেপ্টেম্বরের দিকে হা করে বসে আছি।

লস্ট পাঁচ সিজন শেষ করতে প্রায় এক মাস লেগেছে। এখন আগামী বছরখানেক হা করে বসে থাকতে হবে। যদিও লস্ট সম্পর্কে আমার অবজারভেশন হচ্ছে লস্ট উল্টো দিক থেকে শুরু করলেও কোন ক্ষতি নেই। ঘটনার পারস্পরিকতা নষ্ট হবে না। সিরিজটা গত পাঁচ বছর ধরে একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

লস্ট যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের অসম্মান না করেই বলছি, এতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি যখন থেকে নির্মাতারা সিরিজ লম্বা করার জন্য মূল বিষয়টাকে টানতে শুরু করে সম্পূর্ণ অন্য দিকে নিয়ে গেছেন। এখন কেমন হয় জানি না, দেখি নি বহুকাল। নতুন সিরিজগুলো দেখার চেষ্টা করি কিন্তু কয়েক পর্বের পরেই আর সুবিধা করতে পারি না, উদাহরণ কিউপিড, রেসকিউ মি, সাউথল্যান্ড (অ্যাকশন কমেডি রোমান্টিক সব উদাহরণই দিলাম)।

দ্রোহী এর ছবি

লস্টের মধ্যে বিজ্ঞান, অপবিজ্ঞান, কল্পবিজ্ঞান সবকিছুই একবারে ঢুকে গিয়ে প্যাঁচ লেগে গেছে। বউ বসে বসে দ্যাখে তাই আমাকেও দেখতে হয়।

একটা জিনিস ই আমি আগ্রহ নিয়ে দেখি। আর তা হচ্ছে সাউথ পার্ক।

মূলত পাঠক এর ছবি

তাহলে ফ্যামিলি গাই দেখতে পারেন, ভালো লাগবে মনে হয়। আমি তো দেখে গড়াগড়ি দিয়ে হাসি। অন্যরকমের মজার!

দ্রোহী এর ছবি

ফ্যামিলি গাই দেখি। তবে অতোটা আগ্রহ নিয়ে না। আমি সাউথ পার্ক ফ্যান।

সাইফ এর ছবি

আমি সব দেখি টরেন্ট কোরে, মাঝে এড থাকলে আমি খুব বিরক্ত হই, আর ৪০ মিনিট এর অনুস্ঠান দেখতে ৬০ মিনিট লেগে যায়, তাই পুরা সিজন হাতে ছিল, ১ পর্ব দেখেই আমি কাত, এ কি দেখলাম, যখন সিজন শেষ করলাম, তখন দএখি বাইরে সকাল, হে হে হে, নেষা পুরা।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ইদানিং সিনেমা নিয়ে অনেক কম লিখছেন মন খারাপ

'সিনসিটি'! আহ্, পুরাতন অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। আমার এক বন্ধু টারান্টিনো-রড্রিগুয়েজের বিশাল ভক্ত। ওর ব্যাপক আগ্রহের কারণেই প্রথম সিনসিটির খোঁজ পাই। ভার্সিটি থেকে ঢাকায় ছুটে গিয়েছিলাম আমরা এই সিনেমার ডিভিডি কেনার জন্য। যাই হোক, তারও আগে সিনেমার ট্রেলার দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এখনও কিন্তু আমি ট্রেলারটা দেখি প্রায়ই! কী দুর্দান্ত! সিনেমাটা যে খুবই ভাল লেগেছিল, তা না, তবে অনেক ভাল লেগেছিল। জেসিকা অ্যালবার সেই নাচের কথাও মনে আছে এখনো। এমনকি দেখার পর সিনেমাটা নিয়ে, আমার বন্ধুর সাথে মজা করে, একটা রিভিউ টাইপও লিখেছিলাম। কই যে আছে সেটা, কে জানে!

আমি গেমার নই। গেম খেলি, তবে খুচরো গেম, এবং নেশা নেই একদমই। তাই সিনেমাটা কেমন লাগবে জানি না। আপনার রিভিউ ভাল লাগল। আরো লিখুন। হাসি

দ্রোহী এর ছবি

জেসিকা অ্যালবাকে দেখে কেন জানি মনে হয় মেয়েটা সবসময় পেটের পীড়ায় ভোগে! খাইছে

মূলত পাঠক এর ছবি

এইটা একটা নতুন অবজার্ভেশন! খোঁজ নেবো নাকি, "কি মামণি, পেট ঠিক আছে তো?"
হাসি

দ্রোহী এর ছবি

"মা মণি" বললে মাইন্ড করতে পারে!!!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দ্রোহী'দা, জটিল অবজার্ভেশন!
ওর যত সিনেমাই দেখসি, এমনকি ওর টিভি সিরিজ 'ডার্ক অ্যাঞ্জেলস'-ও, এখন মনে হইতেছে আপনার কথাটা ভুল না। দেঁতো হাসি

আর, পাঠক'দা, মামণির সাথে আপনার খুব ভাল যোগাযোগ আছে মনে হচ্ছে! চোখ টিপি

মূলত পাঠক এর ছবি

যোগাযোগ নাই, তাই বলে চেষ্টা করায় বাধা কী। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে দেখাশোনাপড়ার জিনিস এতো রকম, লিখতে গেলে এতো কিছু বিষয়ের মাঝে পথ হারিয়ে যায়! কতো সিনেমা দেখেও ভালোলাগা শেয়ার করা হয় না। নাঃ, এইবার থেকে এক লেখায় দু-তিন খানা করে সিনেমার কথা লিখতে হবে, না হলে সে সব বাদ চলে যাচ্ছে।

আমি গেমপ্রেমী নই, তবে দেখবো ছবিটা অ্যাকশনের জন্যই। মাইন্ডলেস মারপিটের মতো জিনিস হয়!

সাইফ এর ছবি

তাহলে আপনার ক্র্যান্ক ২ দেখা উচিত বা উলভেরিন, হা হা হা

মূলত পাঠক এর ছবি

ক্রাঙ্ক ১ দেখেছিলাম, ২ দেখার সাহস হলো না। হাসি

তবে জেসন স্টাথামের মারপিট চমৎকার লাগে, হাতেপায়ে মারামারি তো উঠেই গেছে দেশ থেকে, ইনি সেইটা করেন বলে আমোদ পাই।

উলভেরিন শুনলাম সুবিধার হয় নি, একজন তো বললো ওটা প্রায় প্রেমের গপ্পো, আরো কী কী জানি গন্ডগোল আছে, দেখার ইচ্ছা নাই। হিউ জ্যাকম্যান অস্কারে যা গান শোনালো, একটা মিউসিক্যাল করলে পারে তো!

সিরাত এর ছবি

আপনার লেখাটা আগেই দেখেছি মোবাইলে, যথারীতি কমেন্ট করা হয় নি (হয়নি না হয় নি? চোখ টিপি )! যাই হোক, ভাল প্রেমিস দেখা যায় মুভিটার, আগ্রহ চাগায় দিছেন! আসলে অবশ্যই দেখে নিবো নে, ধন্যবাদ! এ ধরনের একটা ফ্লেমিশ মুভি দেখেছিলাম যদিও একবার।

তবে আপনার পোস্টের মন্তব্যে '300' আর 'সিন সিটি'-র আলোচনা দেখে আবার দেখার ভাল লোভ হচ্ছে। ধুর মিয়া, এমনেই সময় পাই না, আবার নতুন পেইন দ্যান কিল্লাই?

সিন সিটি ১ নিয়ে কেউ লিখলে পড়তে পাই, সিরাত আর ভুতুমকে বলে বলে টায়ার্ড হয়ে গেলাম।

ভুতুম রে আমি এটা এখনি মেইলে জানাইতেছি। আমি তো এখনো পড়ি নাই, পড়লে শুধু আপনার অনুরোধ রাখার জন্যই লিখতাম। হাসি

নাহ, আপনার রিভিউগুলা পড়তে ভালই লাগে রাজর্ষিদা।

আমার মনে একটা দুঃখ কি, হিন্দি বা বাংলা ছবি তেমন দেখা হয় না। এই গান শুরু হইলেই আমার মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়। আপনারও দেখলাম গানের প্রতি রাগ আছে। কি করা যায় বলুন তো?

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার মতো দর্শকদের জন্য টলারেবল দেশি ছবির একটা রেডি-রেকনার বানাতে হবে দেখছি। সেই সব ছবি যা দেখতে বসলে বিরক্ত হয়ে উঠে যেতে হয় না।

গানের উপর আমার রাগ নেই, যথাস্থানে হ'লে। খুব ভালো গান হ'লে অস্থানে কুস্থানেও শুনতে পারি। কিন্তু ওই ফিলার-মার্কা গান, ছবির দৈর্ঘ্য বাড়াতে আর নিয়মরক্ষা করতে, ঐ বস্তু বিরক্তিকর।

রিভিউ ভালো লাগে জেনে লেখার উৎসাহ পেলাম। সিন সিটি নিয়ে লেখার ব্যাপারে এই বার একটা ডেডলাইন দিয়ে দেবো, না হলে রেগেমেগে নিজেই লিখে ফেলবো। লেখার ইচ্ছে তো হয়ই, কিন্তু এতো বিশাল ক্যানভাস, কী লিখবো ভাবলে মাথা ঘোরে! আর আমি লিখলে তো সিনেমাটা নিয়েই শুধু আলোচনা হবে, ঐ কমিক্সটা নিয়ে আমার কোনো ধারণাই নেই। নানান সমস্যা।

খেকশিয়াল এর ছবি

হ অপেক্ষায় আছি আমিও। তবে আপ্নেরা বোধহয় স্পিরিট নিয়া কথা বলতাছিলেন, দেইখেন, আমার কাছে পুরাই বোগাস লাগছে!! কই ফ্র্যাঙ্ক মিলার নাম দেইখা দেখতে বইলাম.. আর এইটা কি গল্প চুজ করলো, কি ঘোড়ার ডিম দেখাইলো, পুরাই ফাউল!

------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মূলত পাঠক এর ছবি

হ্যাঁ রিভিউ খুবই খারাপ ছিলো। তবে প্রিভিউ দেখে ভালো লেগেছিলো।

হিমু এর ছবি

সিন সিটি খুবই ভালো লেগেছিলো দেখে। কাহিনী যেমন তেমন, কিন্তু দর্শকের চোখকে এমনভাবে মজিয়ে ফেলে পর্দায়, কী আর বলবো!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মূলত পাঠক এর ছবি

সত্যি কথা। সব ছবিতে তো সব গুণ থাকে না, খোঁজারও মানে হয় না, যা আছে তা নিয়েই আমরা সুখী হতে পারি। হাসি
এমন সুন্দর ছবির মতো ছবি কটা হয়!

কীর্তিনাশা এর ছবি

সিন সিটি দারুণ লেগেছে।

আপনার প্রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে গেমারও ভালোই হবে।

দেখার অপেক্ষায় থাকলাম হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ কীর্তিনাশা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।