মাইকেল জ্যাকসন ও একটি বালিকা

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: শনি, ২৫/০৭/২০০৯ - ২:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আরেকটা ছোটো গল্প লিখে ফেললাম, একেবারে নিরামিষ এটা, কোনো নষ্টামির কথা নেই। কাল একটা গল্প লিখে আজ আরেকটা নামিয়ে দিলাম, নিজের কেরামতিতে নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। হাসি

যে ধরনের গল্প লিখে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি হয় এটা ঠিক সে ধরনের নয় (যে গল্পের কথা স্নিগ্ধা বলেছেন), তবে সে সব লিখতে আমার মতো লেখকের এক হপ্তা করে সময় লাগে, কাজেই আপাতত এটাই পড়তে থাকুন। কেমন লাগলো সে কথা জানাবেন অবশ্যই, প্রতীক্ষায় রইলাম।

--------------------------------------------------------

মাইকেল জ্যাকসন মারা গেছেন, টিভিতে তাই নিয়ে বড়ো ধুমধাম। ছোট্ট বাবাই গোল গোল চোখ করে দেখছে তার কাভারেজ। এমনিতে তার এ নিয়ে আগ্রহ থাকার কথা নয়, কিংবদন্তী পপস্টার তাঁর স্বর্ণযুগ পেরিয়ে গেছেন বাবাইয়ের জন্মের আগেই। কিন্তু বাবাই মনে মনে তার দাদা টুপাইকে একেবারে হিরো মানে, আর টুপাই হলো জ্যাকসনের এক নম্বর ফ্যান। সে খড়গপুর আইআইটিতে পড়ে, উইকেন্ডে সুযোগ পেলে কলকাতা চলে আসে মাঝে মাঝে। এখন সে বাড়িতে, টিভির সামনে বসে জ্যাকসনের জীবনী দেখছে মনোযোগ দিয়ে, অতএব বাবাইকেও দেখতে হবে। ছেলেদের বাবারও আজ ছুটির দিন, কাজেই সোফায় বসে টিভি দেখতে দেখতে তিনি গুষ্ঠিসুখ উপভোগ করছেন।

বড়ো ছেলে বাড়ি এলে মায়ের আদরের বান ডাকে, কাজের মেয়ে চাঁপাকে দিয়ে তিনি সম্ভব হলে পঞ্চান্ন ব্যঞ্জন রাঁধেন এবং একটু পরে পরেই বাটি করে এনে ধরেন বড়োখোকার মুখের কাছে। হস্টেলে যাবার আগে টুপাইয়ের খাওয়া নিয়ে অনেক বাঙ্খামা ছিলো। এখন সে কতো ধানে কতো চাল সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝেছে, ভালোমন্দ পেলে সোনামুখ করে খেয়ে নেয়। এখন সেই রকমের একটা ব্যাপার চলছে, এটা আবার ললিতা নিজে রেঁধেছেন টিভির রেসিপি দেখে, কাজেই পরিমাণটা একটু বেশিই দিয়েছেন। চাতকের মতো চেয়ে আছেন যদি একটু প্রশংসা শোনা যায়, তবে টুপাই সে সব লক্ষ্য করছে বলে মনে হয় না, সে এখন চাঁদে হাঁটার কলাকৌশল শিখছে। বাবাইকে খাওয়ানোর পক্ষেও এটা একটা সুযোগ, দাদাকে কপি করে সেও যদি চাট্টি খেয়ে নেয় তো ললিতার সুবিধাই হয়। অতএব তিনি তাকেও তোতাই-পাতাই করে গেলাচ্ছেন। এই সময় পাশের বাড়ির সুমি এলো। বয়সে সে বাবাইয়ের মতোই, এ বাড়িতে তার অবাধ যাতায়াত। মেয়ে বলে তাকে খেলার সঙ্গী বানাতে বাবাইয়ের একটু মানে লাগে, তবে অন্য কেউ না জুটলে সুমির কপালে শিকে ছেঁড়ে।

আজ অবশ্য অন্য রকম ব্যাপার, টুপাইদাদা এসেছে, অতএব সুমিও থেবড়ে বসে পড়লো কার্পেটে, বাবাইয়ের পাশে। বাড়িতে তার অঢেল টিভি দেখার স্বাধীনতা নেই, তাই টিভির প্রতি আগ্রহটা প্রবল। ললিতা স্নেহ করেন এই মেয়েটিকে, আগের কাল হলে শরৎচন্দ্রের গল্পের মতো দুই মায়ে মিলে বাবাই-সুমির বিয়েথা-ও ঠিক করে ফেলতেন। এ যুগে সে সব অচল, তাই মাঝে মাঝে সুমিকে রাগান এই প্রসঙ্গ তুলে। বাবাই পাত্তাও দেয় না, সুমি একটু গুটিয়ে যায়, একটু ভীতু স্বভাবের বলেই বোধ হয়। ললিতা জিজ্ঞেস করলেন, কি রে সুমি খাবি একটু চিলি চিকেন?

ঘাড় কাত করে সম্মতি জানালো সে। ললিতা রান্নাঘর থেকে আরেক বাটি নিয়ে এলেন। সুমি খুঁটে খুঁটে খেতে লাগলো। অন্য দিন হলে বাবাই পেছনে লাগতো, আরো খা, মোটা হ! কেরালার কালো হাতি একটা! কিন্তু আজ সে ব্যস্ত, তাই সুমি এ যাত্রায় বেঁচে গেলো।

টিভিতে জ্যাকসনের জীবনের নানা অধ্যায় দেখাচ্ছিলো। কেউ মারা গেলে কালো অধ্যায় পেছনে চলে যায়, তাছাড়া দর্শকেরা যেহেতু তাঁর ফ্যান কাজেই এখন সাদা অধ্যায় বেশি প্রচার পাচ্ছে। কালো জ্যাকসন আক্ষরিক অর্থেই কী করে সাদা হলেন সে গল্প চলছে। সান্যালমশাই বড়ো ছেলেকে একরকম রাগানোর জন্যই বললেন, তোদের যা গান তাতে তো গলার চেয়ে চেহারাই বেশি ইম্পর্ট্যান্ট, সেই জন্যই এই সব কান্ড।

টিভি থেকে চোখ না সরিয়েও টুপাই ঝাঁজি দিয়ে বলে ওঠে, বাজে কথা বোলো না তো! শুনেছো থ্রিলার, ব্যাড এই সব অ্যালবাম? ঐ গান যে গাইতে পারে তার সাত খুন মাফ!

সুমি পুরোটা ধরতে পারে না, সে আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করে, জ্যাকসন সাতটা খুন করেছিলো না কি টুপাইদাদা?

এবার বাবাইয়ের রেগে যাওয়ার পালা, হাঁদা কোথাকার! কিছুই জানিস না তো কথা বলিস কেন? সান্যালমশাই থামালেন তাকে।

ললিতা একটু বড়ো ছেলের হয়ে সাফাই গাইলেন, আহা আর্টিস্টদের ও রকম প্লাস্টিক সার্জারি করতেই হয় আজকাল, এ কি তোমার হেমন্ত পেয়েছো যে ধুতি পরে স্টেজে উঠে হারমোনিয়াম টেনে বসে গেলো? সে যুগ চলে গেছে।

মায়ের ভুল শুধরে দিলো টুপাই, জ্যাকসনের নাকটায় প্লাস্টিক সার্জারি হয়েছে, চামড়ায় নয়।

সাথে সাথে ফুট কাটে বাবাই, তোর নাকেও করিয়ে নে রে সুমি, নইলে ঐ সিঙারা নাক দেখলে লোকে কামড় বসিয়ে দেবে।

সুমির যে ইচ্ছে নেই তা নয়, বাবাই ওর চেহারা নিয়ে সারাক্ষণ পেছনে লাগে, সম্ভব হলে সে করিয়ে নিতো ঐ সব প্লাস্টিক-টাস্টিক, কিন্তু তার বাবা মা কি রাজি হবেন? নিজে থেকে কিছু যদি হতো তাহলে তার আশা ছিলো।

টুপাই ও দিকে তার জ্ঞানভাণ্ডার থেকে বাবা-মাকে শোনাতে থাকে, জ্যাকসনের একটা রোগ হয়েছিলো, ভিটিলিগো, তার জন্য চামড়া ঐ রকম বেরঙ হয়ে গেছে। প্রথম প্রথম লোকে সার্জারিই ভেবেছিলো, কিন্তু শেষে ওপ্রার শোয়ে জ্যাকসন নিজেই একবার খুলে বলে তার রোগের কথা। এ রোগটার কথা লোকে আগে ততো জানতো না, জ্যাকসনের কথা জানা গেলে এ নিয়ে প্রচার হয় অনেক।

ছেলের গুণে ললিতা এমনিতেই মুগ্ধ থাকেন, এখন তিনি চোখ বড়ো বড়ো করে শুনলেন জ্ঞানের বাণী। সুমি এর মধ্যে উঠে পড়লো। ললিতা জিজ্ঞেস করলেন, কি রে, খাওয়া হয়ে গেলো? ঘাড় নাড়লো সুমি, তারপর চলে গেলো। বাবাইয়ের অবশ্য সে দিকে হুঁশ নেই, সে দাদার কথা মুগ্ধ হয়ে গিলছে।

----------------------

রান্না সেরে একটু কাত হয়ে আনন্দবাজারটা পড়ছিলেন রাণু, স্বামী বেরিয়েছেন, মেয়েটাও গেছে বাবাইদের বাড়ি, তিনি অবসরটা উপভোগ করছিলেন। দরজার শব্দে কান খাড়া করলেন, মৃদু পায়ের শব্দ।

সুমি এলি মা?

উম, মৃদু সম্মতি শোনা গেলো ও ঘর থেকে। রাণু আবার পেপারে ডুব দিলেন।

গুটি গুটি পায়ে এসে দরজায় হেলান দিয়ে সুমি দাঁড়ালো। চোখ তুললেন রাণু, কিছু বলবি?

ইতস্ততঃ করে সুমি বললো, মা -

- হ্যাঁ বল না কী বলবি।

- মা আমার ভিট্টিলিগো হয় না? ওই যে জ্যাকসনের হয়ে ফর্সা হয়ে গেছে, ওই যে, যে লোকটা গান গায়, মরে গেছে, তার মতো আমার হয় না? টুপাইদা বলেছে ওটা হলে লোকে ফর্সা হয়ে যায়, টুপাইদা সব জানে মা। আমার হয় না ওইটা?


মন্তব্য

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

চমত্কার!

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, রিয়াজ উদ্দীন।

জাহিদ হোসেন এর ছবি

কালো মেয়ের মনের দুঃখ আর তার ফর্সা হবার সাধ বাঙালীর একটা ফেভারিট সেন্টিমেন্ট। (ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী ক্রিমের অ্যাডগুলো দেখলে তা ভালো বোঝা যায়।) এই সেন্টিমেন্টটাকে জনাব হুমায়ূন আহমেদ খুব ভালোভাবে কচলেছেন ত‍াঁর বেশ কয়েকটি লেখাতে। পাবলিকে খায় ভালো এই জিনিস। মিথ্যে বলবো না, আমিও খাই। এই লেখাটির শেষে এসে তাই সুমির জন্যে মনটি হুহু করে ওঠে। আহা-মেয়েটির মনে কত দুঃখ!

গল্পটির প্রথম ভাগের বর্ণনাও খুব ভালো লেগেছে, যদিও আরো একটু শর্ট করলেও হোত। এর সবটুকুই তো পাঠককে বিভ্রান্ত করা, অন্যদিকে ফোকাস করা। তার জন্যেই বোধহয় শেষের প্যারাতে এসে আচমকা হাতুড়ির বাড়ি খাই।

বটমলাইনঃ- চমৎকার!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মূলত পাঠক এর ছবি

সম্পূর্ণ সহমত, কালো হলো বাঙালির কালজয়ী ফর্মুলা। টিপিক্যাল টিয়ার-জার্কার যারে কয় আর কি। মাইকেল জ্যাকসনের গাত্রবর্ণের রেফারেন্সটুকুই হয়তো নতুন, এর বেশি নয়।
ঐ শেষে একটুখানি ভালো লাগলেই যথেষ্ট, এই গল্পকারের চাহিদা বেশি না। হাসি

স্বপ্নহারা এর ছবি

শেষটা ভাল লেগেছে...খুব!

হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, স্বপ্নহারা।

অনিকেত এর ছবি

মূলোদা, ফাটাফাটি হয়েছে!

মূলত পাঠক এর ছবি

থ্যাংক য়ু, অনিকেত ভাই।

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো।

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ঋদ্ধ। ভালো থাকবেন।

চশমাওয়ালি এর ছবি

আমার তো বেশ লাগল।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ চশমাওয়ালি। আপনার লেখাও আমার খুব পছন্দের, জানেনই তো।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এইবার, এইবার একদম পারফেক্টো অনুগপ্পো হয়েছে মশয় !! পারফেক্ট টুইস্ট !!
পাঁচে পাঁচ !!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, একেবারে পাঁচে পাঁচই দিয়ে দিলেন? হাসি
অনেক ধন্যবাদ।

বইখাতা এর ছবি

একটু অন্যরকম মন্তব্য করি (ভয়ে ভয়ে), আপনার লেখার একজন পাঠক হিসাবে। আপনার সাম্প্রতিক দুইটা গল্প ভালো লেগেছে, তবে আপনার আগের কিছু লেখা পড়ে আপনার কছে প্রত্যাশা আসলে আরো বেশি তৈরী হয়ে গেছে। আরও ভালো ভালো গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

সে কি মশাই, ভয়ে ভয়ে কেন, আমি তো লোকাল থানার দারোগা নই। হাসি

আরো ভালো লেখার চেষ্টা করবো নিশ্চয়ই।

সুধীর এর ছবি

দ্রুত পঠনের সময় ভুল দেখলাম " মাইকেল জ্যাকসন একটি বালিকা" । চমকে উঠেছিলাম।
কিন্তু মনে পড়ে গেল বেশ কিছু দিন আগে দেখা মাইকেলের এক টিভি ইন্টারভিউ/শো। তাতে মাইকেল বোন জ্যানেটকে সবার সামনে এনে বলেছিল ঃ অনেকে বলে আমরা দুজন নাকি একই ব্যক্তি। এই দেখুন জ্যানেট আলাদা। সন্দেহ ভাঙলো তো?"

মাইকেলের বাবা অবশ্য এই ছেলের ওপর অনেক উৎপাত করেছেন, তার মেয়েলি স্বভাবের জন্য। যখন বাচ্চাদের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে কাগজে হৈ-চৈ শুরু হলো, তাড়াহুড়া করে এলভিসের মেয়েকে চুক্তি বিয়ে করে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন তিনি স্বাভাবিক পুরুষ। এটা নিয়েও কম গুঞ্জন আর হাসাহাসি হয় নি।

গল্প ভালো । কিন্তু মাইকেলে জ্যাকসন ত্রুটিহীন গায়ক ও নৃত্যশিল্পী ছিলেন। লোকে যাই বলুক। আশা করি মূলত পাঠক (এবং শ্রোতা ?) কিছু মনে করলেন না। তাঁর নিজের কলম নিয়ে পরীক্ষণ অব্যাহত থাকুক এবং উত্তরোত্তর শ্রীমণ্ডিত হোক।

মূলত পাঠক এর ছবি

এ গল্পে জ্যাকসন স্রেফ অণুঘটক। আমি ওঁর ফ্যান নই, বিতর্কের কারণে আরো আপত্তি আছে তবে এখানে সে সব আলোচ্য নয়।
কমলের শ্রীবৃদ্ধি কামনার জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা চালাবো।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ইয়ে মানে, এই বিষয়টাই আমার কাছে খুব বিরক্তিকর লাগে, এ কারণেই মনে হয় গল্পের বিষয়বস্তু খুব বেশি পছন্দ হলো না। দোষ সব ওই 'ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী'র টিভি বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের। দেখাতে দেখাতে পচিয়ে ফেলেছে! এত্তো মেজাজ খারাপ লাগে দেখলেই! মডেলগুলাও বিরক্তিকর। ব্যবহারের পূর্বে মুখে কালি মেখে বসে থাকে, আর (ছয় থেকে আট সপ্তাহ) ব্যবহারের পর এক্কেবারে গোলাপি টুকটুকে! মেজাজ খারাপ হবে না কেন বলেন! মন খারাপ

আপনার লেখা নিয়ে অভিযোগ নেই। বরাবরের মতোই চমৎকার করে লিখেছেন হাসি

আরো আসুক। অপেক্ষায় থাকলাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

সত্যি কথা, বহুব্যবহৃত বিষয়। তাও যদি খানিক ভালো লাগে তাহলেই আমি খুশি।
ভালো থাকুন।

প্রজাপতি [অতিথি] এর ছবি

চমৎকার লাগলো গল্পটা, এক টানে শেষ হয়ে গেল।

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, প্রজাপতি।

অমিত আহমেদ এর ছবি

গল্পটা ভালো লেগেছে। একটানে পড়েছি। প্রথমদিকে বর্ণনা একটু কম হলেও পারতো। কালো মেয়ের ব্যাপারটা প্রহরীর মতো আমার কাছেও ভালো লাগে না। তবে লেখার জোরের কারণে ভালোই লেগেছে মন্দ লাগেনি। নানান ক্ষেত্রে আপনার বিচরণ দেখছি আর বিস্মিত হচ্ছি; আপনার মিয়া প্রতিভা আছে। চলুক


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, প্রতিভাই বটে। এটা ততো পরিশ্রমের ফসল নয়, মোটামুটি লাগলেই যথেষ্ট। আপনাকে ধন্যবাদ এমন প্রশংসার জন্য।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

হুমম। সত্যি কথা বলব? ঠিক জমে নি!
আমার প্রিয় লেখক আপনি, অপ্রিয় কথা সরাসরি বলতে তাই বাঁধে না...
গল্পে এমন কিছু ঘটে নি যে, সুমির প্রতি আমার কোনো আবেগি মনসম্পর্ক (ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্টের বাংলা হাসি ) তৈরি হয়, তাই শেষে সুমির সেই মন্তব্যে আমি নাড়া খাই না, সাধারণ বাচ্চার একটা সাধারণ কথাই মনে হয়!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

মূলত পাঠক এর ছবি

খুব সাধের লেখা এটা নয়, সেটা তো ধরতে পেরেছেন নিশ্চয়ই। আপনার প্রিয় লেখক হবার সৌভাগ্য বিশাল ব্যাপার, এটা সে হিসেবে যথেষ্ট ভালো লেখা না তা জানি, মনে করার তো প্রশ্নই নেই। হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

লেখা ভাল লেগেছে সবসময়ের মতই, তবে কালো মেয়ের ব্যাপার এলে আমি একটু স্পর্শকাতর হয়ে যাই... :|

আমি ছোট মানুষ, তাই মাফ করে দিয়েন, কিন্তু গল্পে সুমি আরেকটু এলে কি তার দুঃখটা আরেকটু গভীর ভাবে নাড়া দিতনা?

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মূলত পাঠক এর ছবি

এই গল্পটা বেশি বড়ো করতে চাই নি, তাও তো অণুগল্পের মাপে করা গেলো না। পরের বার (বা আরো পরে) বড়ো করে লিখবো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খ্রাপ্না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

হাসি

ভুতুম এর ছবি

সুন্দর হয়েছে।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ, ভুতুম।

সুধীর এর ছবি

গল্পে অনুঘটক হলেও আপনি যে মাইকেলের ফ্যান নন, এটা খুব স্পষ্ট ছিল। আমি যেহেতু আর কোথাও এই লোকটি সম্পর্কে এক বাক্যও লেখার সময় পাই নি, এখানে মওকা নিলাম। সেজন্য দুঃখ প্রকাশও করেছি, দেখেছেন নিশ্চয়ই। মূল-কাণ্ডের বদলে লতাপাতা নিয়ে আলোচনা কেন করেছি, আপনি অনেক বুদ্ধিমান, ইশারা হি কাফি। বুঝতেই পারছেন আপনার লেখা আমি আরো অনেকের মত বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়ি।

মূলত পাঠক এর ছবি

দুঃখ প্রকাশের দরকারই নেই, ব্লগে সবসময় প্রাসঙ্গিকতার গন্ডি মেপে চলা হয়ও না, এবং সেজন্যই অনেক সময় অপ্রত্যাশিতভাবে অনেক ইন্টারেস্টিং আলোচনা শুরুও হয়।

তবে গল্পের চরিত্রদের মতামত থেকে আমার মত আন্দাজ করাটা কিন্তু সবসময় ঠিক ফলাফল নাও দিতে পারে। হাসি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

মূলোদা, আপনার এই গল্পটা কেমন্জানি খাপছাড়া লাগলো।

মাইন্ড করবেন না আশা করি হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

মাইন্ড করছি না, সব গল্প কি আর মনমতো হয় আমার, যাক নেক্সট টাইম হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।