বিবাহবিচ্ছেদ ভাবনা

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: রবি, ০৬/০৪/২০০৮ - ১১:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্যাথলিক খ্রীষ্টানদের আমৃত্যু বন্ধন কিংবা ভারতীয় হিন্দু বিবাহের জন্ম-জন্মান্তরের বন্ধন হিসেবে মুসলিম আইনে বিবাহকে দেখা হয় না। জন্ম-জন্মান্তরের দাসত্ব কিংবা দায়বদ্ধতা থেকে বৈবাহিক সম্পর্কে নারীকে মুক্তি দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নারীকে তালাকের অধিকার দিয়েছে। চাইলে মুসলিম নারী এবং পুরুষ পরস্পরের সাথে বৈবাহিক বন্ধন ছিন্ন করতে পারে। যদিও এটা ইশ্বরের মতঃপুত নয় তবে এটা অবিচ্ছেদ্যই রাখতে হবে এমন অভিপ্রায়ও ইশ্বরের নয়। ইশ্বর চান বিবাহিত দম্পতি সর্বাত্বক চেষ্টা করবে সম্পর্ক বজায় রাখতে- প্রয়োজনে সময় নিবে- কিন্তু যদি ব্যবধান অলঙ্ঘনীয় হয় তবে সেক্ষেত্রে নারী কিংবা পুরুষের স্বাধীন সিদ্ধান্ত আছে এই সম্পর্ক অবসানে।

এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই মনে প্রশ্নটা আসলো- বাংলাদেশের সমাজে বিবাহবিচ্ছেদের সামাজিক অভিঘাতটা এমন কেনো? বিবাহবিচ্ছেদ বিষয়টা এখনও সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য কোনো পরিণতি বিবেচিত হয় না। এখানে পুরুষতন্ত্রকে দোষি করে লাভ নেই। অন্তত ১০০ বছর আগেও নারীরা বিবাহবিচ্ছেদের পরে নতুন করে বিবাহ করে এবং নতুন করে সংসার শুরু করেছে এমন উদাহরণও আছে- এবং সেটা মোটেও ব্যতিক্রমি কোনো উদাহরণ নয়।
যখন হিন্দু বিধবা বিবাহ নিয়ে ইশ্বরচন্দ্র এবং রামমোহন অস্থির তার আগে থেকেই এখানের মুসলিম সমাজের বিধবা বিবাহ প্রচলিত। ক্যাথলিক সমাজে কিংবা হিন্দু সমাজের আজন্ম এবং জন্মজন্মান্তরের দায়বদ্ধতা থেকে মুসলীম সমাজ মুক্ত ছিলো অনেক আগে থেকেই- তবে কেনো ১৯৭০এর দশকে এসে একজন নারীকে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে সামাজিক প্রতিক্রিয়ার কথাও বিবেচনা করতে হতো?
এই সামাজিক সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটলো কিভাবে?
কয়েকটা সাধারণ সমাধান আমার মনে এসেছে- তবে সেসবের কোনোটাই হয়তো সঠিক নয়। একটা হতে পারে আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলীমই ধর্মান্তরিত মুসলিম, এবং তারা পারিবারিক ভাবে পূর্বে হিন্দু এবং ভারতীয় সংস্কৃতির অনুসারি ছিলো- তাই তাদের পারিবারিক সংস্কৃতিতে বিবাহবিচ্ছেদ নামক ব্রাত্য প্রথাটি নিষিদ্ধ বিবেচিত ছিলো। এ কারণেই বিবাহবিচ্ছেদের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকা স্বত্ত্বেও নারী বিবাহবিচ্ছেদকে গ্রহনযোগ্য কোনো প্রথা বিবেচনা করে নি। এটা ভারতীয় সংস্কৃতি এবং পারিবারিক সংস্কৃতির দাসত্ব।
অন্য একটা কারণ হতে পারে- আমাদের সমাজে জাহাজবাহিত পশ্চিমা রোমান্টিকতার ধারণা।
উনবিংশ শতব্দীর শেষে ইউরোপে, ভিক্টোরিয়া পিরিয়ডের কাছাকাছি সময়ে একটা রোমান্টিক সামাজিক আন্দোলন সূচিত হয়, সেটা মূলত রোমান্টিক কবি হিসেবে আমরা যাদের চিনি তাদের কাছ থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের মননে ক্যাথলিক আজন্ম প্রেম এবং আজন্ম ভালোবাসা- সংসার এবং বিবাহসম্পর্কিত রোমান্টিকতার ধারণাগুলো ছিলো। তাদের অনুসারি আমাদের নব্যশিক্ষিত মধ্যবিত্ব পুরুষেরাও নিজেদের তেমন রোমান্টিক হিসেবেই তৈরি করতে চেয়েছিলেন। এরই ফলশ্রুতিতে তাদের মননে এবং তাদের শিল্পে বিবাহবিচ্ছেদ একটা পীড়াদায়ক বাস্তবতা চিহ্নিত হয়েছে। এবং তারা যেকোনো অঘটনের পরেও একটা পর্যায়ে বিবাহিত সম্পর্ককেই উর্ধে তুলে ধরেছেন।
সে কারণে পুরোনো প্রেমিকের সাথে সাক্ষাৎএর পরেও পর্যাপ্ত সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও বিবাহিত নারী হঠাৎ করেই উপলব্ধি করে স্বামী নামক অস্তিত্বটা আসলেই মধুর- এবং এভাবেই বিবাহিত সম্পর্ককে মহীয়ান করে তোলা হয়েছে। এবং একটা পর্যায়ে এই দায়টা চুকাতে হয়েছে সামাজিক ভাবে পুরুষ এবং মেয়েদের।
মেয়েদের কথাই বলছি বিশেষ করে কারণ পুরুষের বিবাহবিচ্ছেদের ধাক্কা মানসিক। সামাজিক ধাক্কাটা তাকে খুব কমই বহন করতে হয়- পুরুষের বিবাহবিচ্ছেদের মানসিক অভিঘাত থাকে এই তথাকথিত চিরস্থায়ী সম্পর্কের রোমান্টিক ধারণা সম্পর্কিত জড়তা।
নারীর ক্ষেত্রে এটা সমাজ বাস্তবতা- পুরুষ একটু বহুগামী হবে- একটু মানিয়ে চললেই হতো- এই ভাবে হুট করে তালাক নিয়ে ভালো কাজ করিস নি- এইসব ইত্যকার উপদেশের অভিঘাত সামাজিক প্রতিক্রিয়াটা আসলে তেমন ভাবে ঐসলামিক নয়।

এখানেই ধন্দ লাগে- আমরা ক্রমশ আরও বেশী ঐসলামিকতার দিকে ঝুঁকছি- তবে আমাদের সমাজে অনেক বেশী এই সব হিন্দুয়ানী ভাবধারার বসবাস। আমাদের নারীদের বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার নেই- পুরোনো দিনের ইসলামী মহিলারা যেমন অতিসহজেই সম্পর্ক ছেদ করে চলে যেতে পারতো- এবং তেমন সুন্দরী বলে জনশ্রুতি থাকলে তার বিবাহপ্রস্তাবের অভাব হতো না- এখন বর্তমানের বাংলাদেশে এটা খুবই ক্ষীণ একটা প্রথা।
সঠিক কি ভুল জানি না- তবে শুনেছি বাংলাদেশের বিবাহচুক্তিতে না কি একটা ধারা আছে- নারীর তালাক দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে কি না- যদি কোনো পুরুষ এটাতে টিক দেয় তবেই নাকি নারীর এই অধিকার প্রাপ্য হয়- নারীর বিবাহবিচ্ছেদের অধিকারের প্রাপ্যতাও কি না পুরুষের মর্জির উপরে নির্ভরশীল। সে যদি অনুগ্রহ করে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দেয় তবেই কি না নারী এই অধিকার ফলাতে পারবে।
আমার কাছে এটাকে অগ্রনযোগ্য একটা বিধান মনে হয়- এমন কি এটা শরীয়াসম্মতও নয়। আমাদের শরীয়া এবং ইসলামী আইন নিয়ে মাতাল উজবুকেরা এখনও কেনো এই ইস্যুতে শক্ত কিছু বলছে না-
যদি এমন কোনো বিধান থাকে বিবাহচুক্তিতে যেখানে নারীকে পুরুষের অনুগ্রহে বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার অর্জন করতে হবে সেটা অন্যায়- অনায্য একটা বিধান। এটা রদ করে বিবাহচুক্তির সমতা চাই আমি।
এবং যদি কারো অন্য কোনো ধারণা থাকে- সামাজিক ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের ধারণা কেনো এত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে সমাজে এটাও জানালে ভালো লাগবে। সম্পর্কগুলো জটিল হয়ে উঠবার আগেই প্যাঁচ কেটে বের হয়ে যাওয়া ভালো।


মন্তব্য

আরিফ জেবতিক এর ছবি

নারীর বিবাহ বিচ্ছেদের প্রবনতা কম হওয়ার পেছনে আপনি যে দুইটি কারন উল্লেখ করেছেন তার চাইতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারন হচ্ছে নারীর দাড়াবার জায়গা নেই ।
অর্থনৈতিক ভাবে নারী দুর্বল , এই কয়বছর আগেও ঘরের বাইরের কর্মজীবি নারী খুঁজে পাওয়া যেত না মধ্যবিত্তদের মাঝে ।

নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা বিত্তহীনদের মাঝে অবশ্য কর্মজীবি মহিলা আছে , কিন্তু যেহেতু তাদের সম্পদ নেই তার শ্রম দিতে হয় সম্পদশালী কারো জমিতেই । সেদিক দিয়ে সম্পদশালী লোকটি এদেরকে বিয়ে করে ফেলে শ্রমের দাম দেয়া থেকে মুক্ত হয় এবং শ্রমের পাশাপাশি শারিরীক কিছু বেনিফিটও পায় ।

তালাক দিয়ে নারী যাবে কোথায় ? বাপের বাড়ীতে বাপ বেঁচে নেই , সেই সংসার এখন ভাইয়ের সংসার । ভাইয়ের সংসারে সে প্রার্থিত অতিথি নয় ।

একারনেই আমাদের সমাজে নারীদের পক্ষ থেকে তালাক দেয়াটা খুব বেশি চোখে পড়ে না ।

-------
বাংলাদেশের বিবাহ আইনে পঞ্চম শর্ত বলে একটা ধারা আছে কাবিনে । ছেলে যদি অধিকার না দেয় , তাহলে স্ত্রী তাকে তালাক দিতে পারবে না ।

অবশ্য এই আইনের ফাঁক আছে । কোর্টে গিয়ে তালাক দেয়া যায় ।
নারীরা কতোজন কোর্টে যেতে পারে সেটা তো জানেনই ।

দিগন্ত এর ছবি

আরিফ ভাইয়ের সাথে একমত, আসল কারণ স্বনির্ভরতার অভাব। পশ্চিমা দুনিয়ার সাথে এখানেই আমাদের তফাত। আপনি একটু হিসাব নিয়ে দেখেন তো কত শতাংশ বিবাহবিচ্ছেদ হয় যেখানে মেয়ে চাকরি করে আর কত শতাংশ হয় যেখানে মেয়ে চাকরি করে না - এদের তফাতই বলে দেবে আপনাকে সত্য কোনটা। ভারতের এই পরিসংখ্যানটা আমি জানতাম, খুঁজলে পেয়েও যাব। তফাতটা অনেক ...
---------------------------------
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

মাল্যবান এর ছবি

"আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলীমই ধর্মান্তরিত মুসলিম, এবং তারা পারিবারিক ভাবে পূর্বে হিন্দু এবং ভারতীয় সংস্কৃতির অনুসারি ছিলো..."
চমতকার premise নিয়ে আপনার ব্যাখ্যা শুরু করেছেন দাদা!
১৯৭১ এ পাকিস্তানি সেনারাও যেসব premise নিয়ে আমাদের হত্যা করতে শুরু করেছিল তার মধ্যে এরকম একটা কিছু ছিল বলে শুনেছি।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মাল্যবান কী বলতে চাইলেন তা কি বোঝা গেল?



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আরিফ ভাই আর রাসেল দুজনের কথার ঝোঁক আসলে একই দিকে। ক্যাথলিক বা ভারতীয় সনাতন ধর্ম থেকে পৃথক হলেও ইসলামী ঐতিহ্যও শেষবিচারে সামন্তসমাজের রীতিনীতিকেই সমর্থন করে এসেছে, যেখানে কোন ঐতিহ্যেই নারী নাগরিক হয়ে ওঠেনি।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

গৌতম এর ছবি

সীতারাম ইয়েচুরির একটা বক্তব্য পড়েছিলাম। তাঁর মতে, সামাজিক এই প্রতিবন্ধকতার অধিকাংশরেই মোকাবিলা সম্ভব মাত্র একটা কাজ করে। সেটা হচ্ছে নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন।

এই যে আজকে পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ, বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে নারীর মতামত ইত্যাদি প্রসঙ্গগুলো উঠে আসছে, সেগুলো অনেকটাই দুরীভূত হতো যদি আর্থিক দিক দিয়ে নারীর অবস্থানটা সাবলীল হতো। তখন হয়তো সমস্যাগুলো অন্যভাবে আসতো, কিন্তু নারীকে উপেক্ষা করার পুরুষ-মানসিকতা অনেকটাই বন্ধ হয়ে যেতো।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রাসেল এর ছবি

বোধ হয় আলোটা জায়গামতো পড়ে নি, আসলে মেয়েরা কেনো বিবাহবিচ্ছেদ করছে না এটা নিয়ে সংশয় নয়।
প্রশ্নটা ছিলো, মুসলিম সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত কোনো গোঁড়ামি নেই- এটা একটা আইনসিদ্ধ অধিকার- এর পরও বাংলাদেশের সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ নামক শব্দটার বিষয়ে একটা এলার্জি কাজ করছে-
এই এলার্জি বা হিস্টেরেসিসএর উৎস কি? যা কিছু আইনসিদ্ধ সেগুলো করবার জন্য কোনো সামাজিক চাপ থাকবার কথা নয়- এর পরও তালাকের বিষয়ে একটা সামাজিক চাপ আছেই- তালাক প্রক্রিয়াটার উপরে সামাজিক চাপের কথাটা আসলে আলোচনায় আনতে চাইছিলাম।
সামাজিক সংস্কার রক্ষার জন্য বৈবাহিক সম্পর্ক অব্যহত রাখবার এই মানসিক চাপের উৎপত্তি কোথায়?
ছেলে কিংবা মেয়েতে বৈষম্য নয়- পুরুষতান্ত্রিকতার উদাহরণ হলো মেয়েদের তালাকের অধিকারও পুরুষ দিবে- তবে সামাজিক ভাবে পুরুষও যদি তালাক চায় তাহলেও একই সামাজিক চাপের ভেতর দিয়ে তাদের যেতে হচ্ছে- ভেঙে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের একই মানসিক চাপ এবং সামাজিক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে- তালাক প্রক্রিয়াটা ঘৃণ্য কোনো প্রক্রিয়া নয় বরং মুসলিম সমাজে একটা কোরানসিদ্ধ অধিকার- এর পরেও সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ্য না হয়ে উঠতে পারার কারণ কি?

-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, আমি যতদূর জানি ইসলামে তালাক ব্যাপারটা কে বৈধতা দেয়া হয়েছে কিন্তু একই সাথে নিরুৎসাহিতও করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তালাক হচ্ছে ইসলামে নিকৃষ্টতম বৈধ কাজ। হতে পারে এজন্যেই সামাজিকভাবে এর গ্রহণযোগ্যতা কম।

জাফরী
Riverside, California

আরিফ জেবতিক এর ছবি

প্রথম কথা হচ্ছে ইসলামে বিবাহ বিচ্ছেদকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে । এ কারনে বৈধ হওয়া সত্ত্বেও এটার বিষয়ে এক ধরনের এলার্জি আছে ।

এলার্জির কারন আরো অনেকগুলো হতে পারে :

১. তালাকপ্রাপ্তা মেয়েটাকে কে টানবে ? ( আমার ঘাড়ে ফেলিস না -জাতীয় এলার্জি )

২. আমাদের সামাজিক কনসেপ্টে স্বামী স্ত্রীর মানসিক এডজাস্টমেন্টের কোন চর্চা নেই । সম্পূর্ণ অচেনা একটা মেয়েকে বিয়ে করে এনে বিয়ের রাতেই প্রেগনেন্ট করে ফেলা হচ্ছে একটা স্বাভাবিক চর্চা।
তো , যেহেতু মানসিক যোগাযোগের কোন বিষয় নেই , তাই এ কারনে বিচ্ছেদ হওয়ারও কারন দেখা যায় না ।

বিচ্ছেদ হয় সাধারনত : নির্যাতন , খেতে না দেয়া ধরনের বিষয়ে । এগুলো সরাসরি পরিবারের সামাজিক অবস্থানের সাথে সম্পর্কযুক্ত । তাই এই ইগো থেকেও পরিবার বিবাহ বিচ্ছেদে এলার্জি দেখায় ।

আরো বহু কারন আছে নিশ্চয়ই ।
ভেবে দেখতে হবে ।

হিমু এর ছবি

নরসিংদীর লোকজনের সঙ্গে দিগদারিতে যাইয়েন না। রামদার কোপ খেয়ে কল্লা পড়ে যাবে :D।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

১. কাবিন নামার ১৮ কি ১৭তম প্রশ্নটা হলো স্ত্রীর ডিভোর্সের অধিকার সংক্রান্ত। সাধারণত কাজীরা নিজে পুরো ফরমটা পূরণ করে বর আর কণেকে দিয়ে স্বাক্ষর করায়। আমার বিয়ের সময় কাজীর সে লেখা আমাকে কাটতে হয়েছিল!

২. বাংলাদেশে মেয়েরা ডিভোর্স চায় না তার আরেকটা কারন হলো, পরে যাকে পাবে (সম্ভাবনা যতটুকুই হোক) তার সাথে যে মিল হবে তার গ্যারান্টি কী?

৩. মেয়েদের বাবা-মারা বিয়ের সময় ছেলের হাতে সঁপে দিয়ে বলে আজ থেকে তুমিই তার রক্ষাকর্তা। আর মেয়েকে বলে দেয়, স্বামীর ঘরে যাচ্ছিস, সব মুখ বুঁজে সবি।

আলমগীর

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।