ইতিহাসের পৌনঃপৌনিক আবর্তন

আসাদুজ্জামান রুমন এর ছবি
লিখেছেন আসাদুজ্জামান রুমন (তারিখ: বুধ, ২৮/১১/২০০৭ - ২:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লেখাটি আংশিক পরিমার্জিত।

বলা হয় বৃটিশরা আমাদের ভূখন্ডে আসার আগে আমরা সভ্য হতে শিখিনি। মানে দাঁড়ায়, বৃটিশরা আমাদেরকে ভদ্র হতে শিখিয়েছে, সভ্যতার তালিম দিয়েছে। স্যুট-টাই পরা শিখিয়েছে, দেয়ালঘেরা ছোট্ট কামরায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে শিখিয়েছে। শিখিয়েছে গাড়োয়ানের দরাজ গলা ফেলে তিন দরোজার মিৎশুবিশির সিডি প্লেয়ারে রক,পপ, এসিডিসি, মেটাল-এ মাতাল হতে। এই বৃটিশরাই আমাদের শিখিয়েছে কী করে আমাদের শরতের এক টুকরো নীলাকাশ হারাতে হয় সভ্যতার চিমনির কালো ধোঁয়ায়। এই বৃটিশরাই শিখিয়েছে কী করে বাঙালী হয়ে আরেক বাঙালীর রক্ত চুষে নেয়া যায়, কী করে স্বজাতির হাড়মাঁস চিবিয়ে খেতে হয়।

রাজবল্লভ, উঁমিচাঁদ-রা এই বৃটিশদেরই আবিষ্কার। মীরণ কিংবা মীরজাফরের পতনের পরপরই শেষ হয়ে যায়নি তাদের তৃষ্ণার্ত আত্মার রক্তপিপাসু হাহাকার। কোথাও কোথাও যেমন লোমশ মানব শিশুর ভুমিষ্ঠ হওয়া প্রমাণ করে মানুষের পূর্ব পুরুষ বনোবো-র কথা, তেমনি কোন কোন বাঙালীও তার আচরণে পরিচয় প্রকাশ করে যায় ধমনীতে বহমান দুষিত রক্তের কথা। বৃটিশ প্রেমের কথা, চারিত্রিকভাবে থার্ডক্লাস কোন বৃটিশের পদযুগলে নিজের নোংরা, সরীসৃপের ন্যায় লকলকে জিভটির কার্যকর ক্রিয়ায়।

হোক স্বাধীন বাংলাদেশের কোন শহর বা প্রান্তিক অঞ্চলের কোন ইউপি সদস্য কিংবা পাশ্চাত্যের নামী-ধনী কোন দেশের ভূতপূর্ব রাজধানীতে অনেক বছর ধরে বসবাসরত নামসর্বস্য চৌধুরী, সব জায়গাতেই এরা সমভাবে সক্রিয়। মুখে ভালো কথার খই ফুটিয়ে, মানুষকে নানা ভোলে ভুলিয়ে নিজের কার্যটি আদায় করে নিতে কোনই কুণ্ঠাবোধ হয় না জগৎশেঠের এই বেজন্মা বংশধরদের। ধোঁকা দেয়া এদের চারিত্রের মূল বৈশিষ্ট। "পূর্বপুরুষ জমিদার ছিলো, মধ্যপ্রাচ্যের শেখ পরিবারের অমুকের সাথে একটু আগেই কথা হলো- তারা পায়ে ধরতে বাকী তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে, দক্ষিণ কোরিয়ার ভবিষ্যত প্রেসিডেন্ট তাদের সাথে একত্রে বসে তিনদিনের বাসী ভাত খায় তাদেরই রেঁস্তোরায়, পশ্চিমের নামী দেশটির ভূতপূর্ব সরকার প্রধানের সঙ্গে তাদের তুই-তুকারী সম্পর্ক, বাংলাদেশের এ্যাম্বাসেডর তাদের এক কথায় ওঠে আরেক কথায় বসে, শহরের মেয়র তাদের কাছে পাত্তা পায় না এবং কোন বাঙালীর সাথেই মিশেনা তারা, স্থানীয় কোন বাঙালীরই তাদের সঙ্গে মেশার যোগ্যতা নেই"- এটা বেশ অহংকারের সঙ্গেই প্রকাশ করে নতুন কোন বাঙালীর দেখা পেলে। চরিত্র নিয়ে পোস্টমর্টেম করে স্থানীয় সকল বাঙালীর। সবার নেতিবাচক দিকগুলো নিপুন চতুরতায় ফুটিয়ে তোলে নিজেরটা আড়াল রেখে। নবুয়্যত সিস্টেম থেমে না গেলে পরবর্তী ওহী আসতো ভাড়া বাড়ির তাদের চারতলার এ্যাপার্টমেন্টেই- এমন একটা 'টাচ' দেয়ার চেষ্টা করে ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকা, বোকা বনে যাওয়া অসহায় বাঙালীকে।

কোন বাঙালীর সঙ্গে না মেশার কথা সদম্ভে প্রকাশ করলেও বাঙালীদের সঙ্গেই তাদের আড্ডা জমে প্রতি রাতে। দলাদলিতে নিজের ক্যালিবারের জোরে পেরে না উঠে শুরু করে নতুন আরেক সংগঠন, সেটাও বাঙালীদের ঘিরেই। দেশীয় সজ্জন সংস্কৃতির বালাইহীন সহধর্মীনিরা হয় সে সংগঠনের সাংস্কৃতিক সর্বেসর্বা। লক্ষ্যে-অলক্ষ্যে কর্কশকণ্ঠী গলায় বিশ্রীভাবে পরশ্রীকাতরতায় মেতে ওঠে তারা। ইনিয়ে বিনিয়ে সারাক্ষণ নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহীরের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে। নিজের পতিদেবের মতো সবাইকেই নিজের ঘরের ভৃত্য মনে করে ভুল করে। পতিদেবরা ঘরে ঠাঁই পায় না। নিজের অশ্লীল আচরণে নিজের অজান্তেই জানান দেয় ঘসেটি বেগমরা এখনো ঘাপটি মেরে আছে এইসব নাম ফাটানো 'সো-কলড' সংস্কৃতির ধ্বজ্জাধারীদের ছায়ায়।

কর্মচারীর বেতনের টাকা পরিশোধ না করে আশা দিয়ে দিনাতিপাত করে উঁমিচাঁদের বিষাক্ত রক্তের উত্তরসূরী পতিদেবরা। মাসের পর মাস কর্মচারীর বেতন জমতে থাকে বকেয়া হয়ে। আর তারা শহরের কেন্দ্রে হেরেম বানিয়ে সেখানে দেশ থেকে আসা টিভি সাংবাদিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটায়। নিজের খরচায় সাংবাদিকটিকে পাশের দেশে পাঠায় অসতর্কতায় জন্ম নেয়া ভ্রূনটিকে ধ্বংস করতে। বেজমেন্টে কোন মহিলা কর্মচারীকে জাপটে ধরার পর সেই কর্মচারী দৌড়ে এসে তখনই ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে যায় চাকুরী থেকে। শহরের যতো পাঁড় মাতালদের সঙ্গে সখ্যতা হয় তাদের, চুরি করা জিনিষে ভরে যায় হেরেমের স্টোর রুম।

অথচ এরাই গলা উঁচু করে এলান করে এদের চরিত্রে বিন্দুমাত্র কালোদাগ নেই, কারো টাকা এরা মারে না, এরা সত্যিকারের মুসলমান অথচ কখনোই মসজিদে যায় না কারণ 'মসজিদে যায় তারাই যাদের মন কলুষ'। মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে এর-ওর কাছ থেকে টাকা ধার নেয়, পরিশোধ করার সময় শুরু করে নতুন থিয়েটার। শুরু হয় কুৎসা রটনা, এবং স্বভাবতঃই নিজেরা থাকে মহীরুহের তালিকায়। একেকবার নিজেকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের গ্র্যাজুয়েট বলে দাবী, পরমুহূর্তে দাবী এদেশের নামী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব ছাত্র। নিজের দুর্গন্ধযুক্ত কাহিনী স্বনির্মিত সুগন্ধিমাখা কথার ডালিতে ঢেঁকে চলে অপর মানুষের নামে চরম বেশরম প্রোপাগান্ডা চলে।

নিজের রক্তের টানেই এরা লর্ড ক্লাইভ, কর্ণওয়ালিসকে খুঁজে ফেরে। পেয়েও যায় একসময় টম এন্ড জেরী নিয়ে খেলা করা একই বিষদাঁতের কোন উত্তরসূরীকে। নিজের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে চাটতে থাকে সেই তৃতীয় শ্রেনীর বৃটিশটির চটি।

সবকিছুরই একটা নেচারাল পানিশমেন্ট আছে। আর সেকারণেই একসময় তাদের দাম্ভিকতায় অমানিশা নেমে আসে। দেশী-বিদেশি, আপন-পর সবার কাছেই এই নামসর্বস্বরা হেয় প্রতিপন্ন হয়। কাজ করার পর বেতনের টাকা দিতে অস্বীকার করায় কোন এক আফ্রিকান হয়তো ক্যাশবাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে চলে যায়, হয়তো কোন এক কুর্দিশ কিংবা মরোক্কান পাওনা টাকার জন্য ভরা বাজারে সজোরে থাপ্পর মারে গালে, ভেঙে ফেলে নাক, মা-বাপ তুলে বিশ্রি ভাষায় গালাগাল করে। হয়তো অনেক বাঙালীর মনেও জমে থাকা ক্ষোভ চারা দিয়ে ওঠে। তারা দেশীভাই বলে হয়তো এযাত্রা কিছু বলে না কিংবা অপেক্ষা করে সময়ের।
তাতেও হয়তো কিছুই আসে যায় না বড়গলা সেই চরিত্রটির। আবার নতুন উদ্যমে শুরু হয় তার দেশে হাতি বেঁধে আসার গল্প! শুরু হয় নতুন ফিকির, শুরু হয় নতুন শিকার খোঁজা!

[ মূল লেখাটি ছাপা হয় হাজারদুয়ারীতে। ]


মন্তব্য

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

একে অপররে শোষণ করা শিখতে লাগে না, বৃটিশেরও দরকার হয় না। এইটা মাইনষের মজ্জাগত, বৃটিশের আগে হাজার বছরের ইতিহাসেও একই জিনিস পাইবেন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

দিগন্ত এর ছবি

ভাল বলেছেন। উমিচাঁদ বা মীরজাফরেরা অনেককাল ধরেই ছিলেন বাংলার বুকে, ব্রিটিশেরা তাদের ঠিকঠাক ব্যবহার করেছিলেন মাত্র।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দেশের বাইরে এসে 'বাঙ্গালী ভাই ভাই' এসব হালকা আবেগ মাত্র । একটা অংশ ঠিকই দেশী ভাইদের কপালে লবন রেখে বরই খায় ।
রুমন সাহেবের এই বিশ্লেষনধর্মী লেখাটা ভালো লাগছে ।
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

??? এর ছবি

বিদেশে "বাঙালি ভাই ভাই" এটা লোকদেখানো হতেই পারে, কিন্তু শোষণকে ইতিহাসের মধ্যে লোকেট করতে গিয়ে উমিচাঁদ রায়দুর্লভ কে ডেকে না-আনলেও চলত। উমিচাঁদ-জগতশেঠের সিরাজ-বিদ্রোহ স্রেফ দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা, এইরকম সরলীকরণ বোধয় করা যায় না।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

আসাদুজ্জামান রুমন এর ছবি

আপনার মূল্যবান মন্তব্যটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ সুমন রহমান।

'বাঙালি ভাই ভাই' লোকেট করাটা মোটেও উদ্দেশ্য ছিলো না লেখাটির। বরং উদ্দেশ্য ছিলো কয়েকশ বছর পরেও একজন বাঙালীর বৃটিশপ্রীতি, এবং সেই প্রীতির গ্যালাটিনের নিচেই যে কাটা পড়ে অনেক বাঙালির (আত্ম)সম্মান।

উঁমিচাদ-রায়দুর্লভ-জগৎশেঠ-র কার্যকলাপ মোটেই সরল না। কিন্তু এরা কেনো দেশের সঙ্গে বিদ্রোহ করেছে? নিজের জন্য ভালোটা মেইকশিউর করার জন্য কি!
খেয়াল করুন, একই চরিত্র এবং উদ্দেশ্যের মানুষজন কিন্তু এখনো খুঁজে পাওয়া যায়। দেশের কথা বাদ ই দিলাম। যারা কেবল প্রবাসে নিজেকে শো-ডাউন করার জন্যই গোরাপত্তন করে কোন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংঘের। দেশপ্রেম বা মমত্ববোধ এখানে মূখ্য না। দূর থেকে মনে হতে পারে 'ইনি অবতার না হয়েই যান না'। কাছ থেকে তারা কেমন, সেই আলোচনাই ছিলো লেখাটির মূল লক্ষ্য।

??? এর ছবি

আপনার বাঙালি-র বৃটিশপ্রীতি নিয়া আমার কোনো দ্বিমত নাই। আমি বলছিলাম আপনি যে ঐতিহাসিক তুলনাটি করেছেন তার কথা। জগতশেঠ বা উমিচাঁদ এরা দেশের সঙ্গে বিদ্রোহ করেন নাই, করেছিলেন নবাবের সঙ্গে। আর এটাকে বিদ্রোহ না বলে আমি বলি সমাজ পরিবর্তনের স্বাভাবিক নিয়ম। অনাগত পুঁজিবাদী সিস্টেম কখনই সামন্ত কাঠামোর মধ্যে স্বচ্ছন্দ্যে চলতে পারবে না, ফলে বিকল্প তাকেই খুঁজে নিতে হবে। একটা দৃষ্টান্ত দিই: আমাদের মাথামোটা নবাব সিরাজ ও তার মাতামহ আলীবর্দী ঐ ইংরেজদের বিনাশুল্কে বানিজ্য করার অনুমতি দিয়েছিলেন, যখন দেশীয় বণিকদের ২৫% শুল্ক দিয়ে বাণিজ্য করতে হত। এই হল মাথামোটা সামন্ত নবাবীর নমুনা, আর এই নবাবীর বিরূদ্ধে বিদ্রোহ না হওয়ার কোনো কারণ আমি দেখি না।

এ কারণেই বলছিলাম, বর্তমানে যে বাঙালি ইংরাজের লেজুড়বৃত্তি করতেছেন, তার সাথে ঐ চরিত্রগুলোকে তুলনা করা একটু মুশকিল।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

আসাদুজ্জামান রুমন এর ছবি

সুমন রহমান, জানিনা ইতিহাস নিয়ে এতোটা কথা বলাটা আমার স্পর্ধায় পড়ে কীনা। তথাপি বলছি, যদি নবাবের বিরুদ্ধেই কেবল তাদের বিদ্রোহ হতো তাহলে বাংলার মসনদে কখনোই ফিরিঙ্গি বণিকেরা আসতে পারতোনা। সিরাজ কিংবা তাঁর মাতামহকে আমি চিকনমাথার কেউ বলে আখ্যা অবশ্যই দেবো না, কিন্তু যারা বিদ্রোহ করলো তারাও যে তাদের চাইতে কোন অংশে কম না সেটা বলতে পারবো। যদি সিস্টেম টুকু বদলানোই হলো তবে ধরে রাখা হলো না কেনো? বিদেশী বখতিয়ার খলজী যখন স্বদেশী লক্ষণ সেনকে হটিয়ে আমাদের শাসন করতে শুরু করে, আমি কেন জানি সহজে মেনে নিতে পারি না।

সিস্টেম বিফল হলে অবশ্যই তার বদল প্রয়োজন, আমি মনেপ্রাণে সেটাই চাই। কিন্তু ধার করা মাথা এনে তারপর সেই মাথায় তেল ঢালতে গিয়ে আমার নিজের বাড়ির নারকেল গাছ উজার করার পক্ষপাতি আমি হতে পারি না। চারিত্রিক তুলনাটা সেদিকেই ছিলো। রায়দুর্লভদের ডেকে এনে ওইজা বোর্ডে কথা বলার কোন ইচ্ছা আমার নেই। সিস্টেম বদলাতে গিয়ে খাল কেটে কুমির আনার ব্যাপারটাই আমাকে ভাবায় বেশি।

দিগন্ত এর ছবি

রায়দুর্লভ, জগতশেঠ বা উমিচাঁদ কি বাঙালী ছিলেন? এরা তো আমার ধারণা উত্তর ভারতীয় এবং বাংলা হয়ত জানতেনও না।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

শেখ জলিল এর ছবি

রাজবল্লভ, উঁমিচাঁদ-রা এই বৃটিশদেরই আবিষ্কার। মীরণ কিংবা মীরজাফরের পতনের পরপরই শেষ হয়ে যায়নি তাদের তৃষ্ণার্ত আত্মার রক্তপিপাসু হাহাকার।
.....হায়রে বাঙালি! হায়রে স্বদেশ!!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।