শহীদলিপির ইতিহাস – দেশে ফেরার পর

সাইফ শহীদ এর ছবি
লিখেছেন সাইফ শহীদ (তারিখ: বুধ, ২৬/০৫/২০১০ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্ব – শহীদলিপির ইতিহাস – যে ভাবে শুরু
আগের পর্ব – শহীদলিপির ইতিহাস – বিলেতের দিনগুলি

এক বছরের জায়গায়, দুই বছর পর বিদেশ থেকে দেশে ফিরলাম। দেশে ফেরার পরে বেক্সিমকো কম্পুউটারস-এর ম্যানেজিং ডিরেকটরের দায়িত্বভার গ্রহন করলাম। ধানমন্ডী ২৮ (পুরানো) নং রোডে বেশ বড় একটি দোতলা বাড়ীতে আমাদের অফিস ছিল তখন। আমি নতুন একটা ‘R&D’ বিভাগ খুললাম কোম্পানীতে। এছাড়াও এ্যাপেল কম্পুউটারের ডিলারশীপ নিয়ে কাছেই সাত মসজিদ রোডে আর একটা এ্যাপেল ডিভিশন খুললাম। সেখানে ডেস্ক-টপ পাবলিশিংয়ের একটি আলাদা ডিপার্টমেন্ট করা হলো। আমি লন্ডনে থাকতে যে কটা লেজার প্রিন্টারের উপযোগী ফন্ট তৈরী করেছিলাম, সেগুলির আরও উন্নতি সাধন করলাম এবং আরও নতুন নতুন কিছু ট্রু-টাইপ (TTF) লেজার ফন্ট তৈরী করার জন্যে কয়েক জন শিল্পীকে কাজে বসিয়ে দিলাম। ফন্টোগ্রাফার নামক একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে নতুন ফন্ট তৈরী করা তখন অনেক সোজা হয়ে গিয়েছে। পরে যারা বাজারে এসেছে তাদের মধ্যে অনেকেই শহীদলিপির তৈরী ফন্ট ফাইল নিয়ে, ফন্টোগ্রাফারের মাধ্যমে সামান্য কিছু পরিবর্তন করে, নিজের তৈরী বলে চালিয়েছে। নীচে শহীদলিপির কিছু ফন্টের নমুনা দিলাম :

Shahidlipi Font Samples

একটু বেশীই সমাদর পেতে থাকলাম সবার কাছ থেকে। ভালই লাগলো। আমি বিলাতে থাকার সময়ই শুনেছিলাম যে ইত্তেফাক তার প্রথম পাতার সেকেন্ড হেড লাইন হিসাবে ছেপেছিল শহীদলিপির খবর। এবার বাংলাদেশ টিভি থেকে অনুরোধ এলো তাদের একটা বিজ্ঞান সম্পর্কীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ গ্রহনের জন্যে। বাংলাদেশ টিভি তখন ঢাকার একমাত্র টিভি ষ্টেশন। সুতরাং টিভি দেখা মানে বিটিভি দেখা। শুরু করলাম এই বিজ্ঞান ভিত্তিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করা। ৩-৪টি প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করার পর বিটিভির মহম্মদ জাহাঙ্গীর তার এক ইন্টারভিউ প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করার অনুরোধ জানালেন। তার অনুষ্ঠানে, আমার সম্পর্কে আমার সামনেই একটু বেশী প্রশংসা করে ফেললেন। পরে ঠিক করলাম – আর না, এত প্রচার ভাল না। এরপর থেকে টিভিতে আর আত্মপ্রচার মূলক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাইনি।

ঐ সময়ে বাংলাতে যারা বই ছাপাতে চাইতেন তাদের জন্যে দুটি পথ খোলা ছিল। একটি হলো লেটার প্রিন্টিং প্রেসে ছাপানো – এতে লেখার অক্ষরগুলি অতটা ভাল আসতো না এবং কিছুটা মোটা মোটা হত লেখা গুলি (হয়তো একই অক্ষর অনেকবার ব্যবহারের জন্যে)। অন্য পদ্ধতি ছিল অফ-সেট প্রিন্টিং মেসিনে ছাপানো। এই দ্বিতীয় পদ্ধতিতে খরচ হতো অনেক বেশী। সংখ্যায় বেশী সংখ্যক বই না ছাপালে পোষাতো না।

তবে অফ-সেট প্রিন্টিং প্রেসের টাইপ সেটিং মেসিন ব্যবহার না করে, কম্পুউটার কম্পোজ করে ভাল ফন্টে লেজার প্রিন্টারে ছাপিয়ে নিয়ে সেই মাষ্টার কপি থেকে অফ-সেট প্রিন্টিং প্রেসে ছাপালে খরচ বেশ কমে আসলো। ফলে অনেকেই আমাদের ডেস্ক-টপ পাবলিশিং ডিপার্টমেন্টে আসতে লাগলো তাদের বই-এর মাষ্টার কপি কম্পোজ ও প্রিন্ট করিয়ে নিতে। আমার মনে আছে – কবি নির্মলেন্দু গুন, বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী, ইত্যাদিকে দেখেছি আমাদের অফিসে কম্পুউটার অপারেটর ছেলে-মেয়েদের সাথে বসে তাদের টাইপিং-এর কারেকশনগুলি দেখিয়ে দিচ্ছেন। দেখতে দেখতে অনুরূপ অনেক ডেস্ক-টপ পাবলিশিং সেন্টার গড়ে উঠলো – প্রথমে ঢাকা শহরে, তারপর সারা দেশে।

আমি আর একটা পরীক্ষা চালালাম – অফ-সেট প্রিন্টিং প্রেসে একেবারে না যেয়ে, লেজার প্রিন্ট করা পাতা থেকেই বাধাই করে বই বের করলে কেমন হয়। কম সংখ্যক কপি বই বের করতে হলে এতে খরচ কম পরার কথা। শুধু নিশ্চিত ছিলাম না – এই ধরনের বইয়ের লেখা কত দিন টিকে থাকবে, যেহেতু ভিন্ন ধরনের কালি ব্যবহার হয়। পরীক্ষামূলক ভাবে যারা বই প্রকাশ করতে চায়, বা সামান্য কয়েক কপি প্রথমে ছাপিয়ে রিভিউয়ের জন্যে পাঠাতে চায়, অথবা নতুন লেখক যে শুধু সামান্য কয়েক কপি বই ছাপাতে চায় তার প্রিয়জনদের মধ্যে বিলি করার জন্যে – তাদের জনো এটি হবে এক সুবর্ণ সুযোগ। হাতের কাছে কাউকে পেলাম না এমন পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্যে টাকা খরচ করে কম্পিউটারে বই ছাপাতে আগ্রহী।

আমার স্ত্রী, মমতাজ শহীদ, এক জন কবি এবং লেখিকা। এর আগে তার দু’টি কবিতার বই (একটি বাংলা একাডেমী প্রেস এবং অন্যটি লন্ডন থেকে) ছাপানো হয়েছিল। তাকে রাজী করিয়ে তার আর একটি কবিতার বই, ‘সুখের কাছে তুমি’ এভাবে কম্পুউটার কম্পোজ করে হার্ড কভারে বাধিয়ে প্রকাশ করলাম। এটাই বাংলাদেশে সর্ব প্রথম কম্পিউটারে মুদ্রিত বাংলা গ্রন্থ।

List of books by Mamtaz Shahid

বেক্সিমকো কম্পুউটারস-এ তখন আমরা ৬০ জনের বেশী কাজ করতাম। তখন এটি ছিল বাংলাদেশের সর্ব-বৃহৎ কম্পুউটার কোম্পানী। আমার উদ্দেশ্য ছিল, শুধু দেশের ভিতরে নয়, দেশের বাইরে ও আমরা আমাদের কাজের পরিধি বিস্তার করবো। বিলাতে থাকার সময়ই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে পৃথিবী জুড়ে এই আই, টি সেকটরে উপযুক্ত দক্ষ জন বলের অনেক অভাব। বাংলাদেশে যদি আমরা নিজেদেরকে উপযুক্ত করে তুলতে পারি তা হলে সমগ্র পৃথিবী উন্মুক্ত হয়ে যাবে আমাদের জন্যে।

খোঁজ নিয়ে জানলাম যে বুয়েটের কম্পুউটার বিভাগে তখনো আগের দিনের ফোরট্রান ও প্যাসকাল ল্যানগুয়েজ শেখানো হচ্ছে। তাদের এক অনুষ্ঠানে তারা আমাকে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করেছিল। প্রধান অতিথির ভাষনের সময় আমার স্বভাবজাত স্পষ্ট কথায় বলে এলাম, এখনি যদি এই সব বস্তা পঁচা সিলেবাস পরিবর্তন করে C, C++ জাতীয় অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ল্যানগুয়েজ এবং নতুন নতুন বিষয়াদি শেখানো আরম্ভ না করা হয়, তবে এই ফ্যাকাল্টিকে আমরা ভবিষ্যতে জ্ঞান পাপী বলে ধারণা করবো। কোন লাভ হলো না। ডিপার্টমেন্ট হেড আমাকে বোঝালেন কতটা দুরূহ এবং সময় সাপেক্ষ তাদের সিলেবাস পরিবর্তনের পদ্ধতি।

আমি নিজেই বেক্সিমকোতে একটি এডুকেশন সেন্টার খুললাম যেখানে কম্পুউটার বিষয়ক পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স শুরু করে দিলাম। কিছু দিন পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আমাদের নামে কারণ দর্শাবার চিঠি এলো যে আইন বহির্ভূত হওয়ায় কেন ঐ সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে। ব্যারিষ্টার রফিকুল হকের সাথে আলোচনা করে আমি নিজের বরাতে ঐ চিঠির উত্তর দিলাম। আমি লিখলাম – প্রজাতন্ত্রের শাসনতন্ত্র অনুসারে শিক্ষা পাবার ও দেবার অধিকার সবার আছে। মন্ত্রণালয় যেন আমাকে দয়া করে জানায় শাসনতন্ত্রের কোন আইনের কোন ধারা বলে তারা বলছে যে শিক্ষা দেবার অধিকার আমার নেই। আর কোন জবাব পাইনি আমার চিঠির উত্তরে। প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ উৎসবে শ্রদ্ধেয় প্রফেসর মতিন পাটয়ারী এলেন প্রধান অতিথি হিসাবে (তিনি তখন ICTVTR-এর উপাচার্য)।

আমাদের সফটওয়ার ডিপার্টমেন্টের তৈরী – বেক্সিব্যাংক ও বেক্সিলেজার নামের দুটো সফটওয়ার বেশ বিক্রি হচ্ছিল। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের থেকে বেশ কয়েকটা ম্যাকিনটশ কম্পুউটার এবং তাদের জন্যে বাংলায় একাউটিংয়ের সফটওয়ার তৈরী করতে অর্ডার দিল। উৎসাহের সাথে লেগে গেলাম আমরা এই কাজে। তবে সঠিক উপাত্তের অভাবে হোচট খেয়ে খেয়ে চললো এই প্রোজেক্ট অনেক দিন ধরে।

তখন ডেস্কটপ পাব্লিশিংয়ের বাইরে বাংলা সফটওয়ার তৈরী ও ব্যবহারের সব চাইতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল বাংলার প্রমিত রূপের অভাব। এর ফলে আমরা বাংলা অক্ষরের সর্টিং অর্ডারও ঠিক করতে পারছিলাম না। যে কোন ডাটা-বেসে কাজ করতে গেলে সর্টিং অর্ডারটি ঠিক করা খুবই প্রয়োজন। বেশ কিছু তদবিরের পর শেষ পর্যন্ত ‘কম্পুউটারে বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন ও ষ্টান্ডার্ডাইজেশন কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করা হল। এই কমিটির অর্ধেক সদস্য এলেন দেশের বিভিন্ন কম্পুউটার কোম্পনীতে যারা বাংলা ভাষা নিয়ে কাজ করছে তাদের মধ্যে থেকে, আর বাকী অর্ধেক এলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমী জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে, যারা ভাষার উপর বিশেষজ্ঞ। দুর্ভাগ্য বসত এই কমিটির কাজ চললো খুবই ধীর গতীতে। কমিটির সভাতে দেখা যেতো, যারা ভাষাবিদ তারা সময় ব্যয় করছেন তাদের কম্পুউটার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে, অন্য দিকে কিছু কিছু ‘তথা-কথিত টেকীরা’ বাংলা ভাষার উপর তাদের জ্ঞান জাহির করে কালক্ষেপণ করছেন।

আবশ্য ব্যাপারটা এতো সহজও ছিল না। বাংলা ভাষার একটি ঐতিহ্যবান অতীত রয়েছে। এমন কিছু করাটা ঠিক হতো না যাতে করে সেই অতীতের লেখা সাহিত্য পড়তে নতুন প্রজন্মের অসুবিধা হবে। ৎ-বর্ণটি কি ত-বর্গের সাথে গণ্য হবে, নাকি ব্যঞ্জনবর্ণের শেষের দিকে গণ্য হবে? অন্তঃস্থ-ব বাংলাদেশে আলাদা ভাবে ব্যবহার হয় না। তবে এটাকে কি প-বর্গের ব-এর সাথে এক করে দেখা হবে, না ভাষা থেকে মুছে ফেলতে হবে? বর্ণানুক্রম করার সময় ‍ং ‍ঃ ‍ঁ বর্ণগুলি কি স্বরবর্ণের পরে বসবে না ব্যঞ্জনবর্ণের শেষে? ব্যঞ্জন বর্ণের পরে র-এর যুক্ত রূপকে র-ফলা (যথা ক্র) বলা হয়, আর ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে র-এর যুক্ত রূপকে রেফ (যথা র্ক) বলা হয়। লেখার সময় কিন্তু আমরা আগে ব্যঞ্জনবর্ণটি লিখি তার পর রেফ চিহ্নটি বসায়। কম্পুউটারে লেখার সময় কি ভাবে লিখবো আমরা? এমনি অনেক প্রশ্নের উত্তর চাচ্ছিলাম আমরা।

এছাড়া রাজনীতির প্রশ্ন ছিল। পশ্চিম-বাংলার বাংলার প্রমিত রূপ অনেকটা হিন্দীকে অনুসরণ করে করা হয়। আমরা কি বৃহত্তর স্বার্থে সেটাই অনুসরণ করবো, না পূর্ব-পাকিস্তানী ভাব ধারা বজায় রাখবো বাংলাদেশে?

যেহেতু তখনও বাংলা ভাষার কোন প্রমিত রূপ স্থির করা হয়নি, বিভিন্ন ডেভেলপাররা তাদের নিজেদের চিন্তা ও যুক্তি অনুসারে বিভিন্ন কী-বোর্ড লে-আউট এবং বিভিন্ন ক্যারেকটার কোডিং ব্যবহার শুরু করে দিল। আমার ইচ্ছা ছিলো কিছু ডাটাবেসের কাজ করার এবং বাংলা স্পেল চেকার জাতীয় কিছু টুলস তৈরী করার। তবে আমি তখন প্রমিত রূপ ঠিক হবার আশায় আপাততঃ অপেক্ষা করতে মনস্ত করলাম।

সমস্ত পৃথিবীতে বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা এখন ২৫ থেকে ৩০ কোটি এবং বাংলাদেশ-ভারতের বাইরে পৃথিবীর বহু দেশে ছড়িয়ে আছে তারা। তারা আর এখন আগেকার সংকীর্ণ কূপমণ্ডুকতায় আবদ্ধ হয়ে থাকতে চায়না। তাদের মাঝে যে ধ্বনি এখন উচ্চারিত হচ্ছে তা হচ্ছে – ভাষা হোক উন্মুক্ত।

আমি সেই উন্মুক্ত দিনের অপেক্ষায় আছি। এখনো জানি না আমার সেই অপেক্ষার দিন শেষ হয়েছে কিনা।


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি

শুধুই মুগ্ধতা...চলুক।


আমি নিজেই বেক্সিমকোতে একটি এডুকেশন সেন্টার খুললাম যেখানে কম্পুউটার বিষয়ক পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স শুরু করে দিলাম। কিছু দিন পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আমাদের নামে কারণ দর্শাবার চিঠি এলো যে আইন বহির্ভূত হওয়ায় কেন ঐ সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে।

অবাক করার মত ঘটনা।

এই পুরো সিরিজটাই দুর্দান্ত লাগছে, ডেস্কটপ প্রযুক্তির প্রথম যুগে বাংলাভাষা নিয়ে এই রকম অসাধারণ কাজের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের জানা খুবই জরুরি।

ভাষাকে উন্মুক্ত হতেই হবে, এটা কোন বেনিয়ার সম্পত্তি নয়, যেই আবেগ নিয়ে দুই প্রজন্ম আগে আপনি শহীদলিপি তৈরি করেছেন সেই একই আবেগ নিয়ে আজকে অভ্রের জন্ম। এই প্রযুক্তি সবার জন্য...কারো হুলিয়ায় ভীত নয় সে।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দ্রোহী এর ছবি

একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম।

ভাষা উন্মুক্ত হবেই।

শামীম এর ছবি

মুগ্ধতায় তারা দাগিয়ে গেলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

তার মানে ডেস্কটপ পাবলিশিং-এর গোড়াপত্তন হয় শহীদলিপির হাতে। অন্য কোনো বেনিয়ার এ সংক্রান্ত দাবী তাহলে পুরোই ভূয়া একটা দাবী। তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না এ নিয়ে? সেই বেনিয়া এতোই লাফালাফি করে বাংলায় 'এই করেছি, সেই করেছি' বলে। কিন্তু কোনোদিন তো মনের ভুলেও কোনো ক্রেডিট শহীদলিপিকে দেয় নি। আর এখন সে "ভাষা হোক উন্মুক্ত" শ্লোগানের পিছনে দলবল, ক্ষমতা, আইন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌যথারীতি দারুণ!
এই ইতিহাস কি বেনিয়া কাগুর অজানা?
অপেক্ষার দিন ফুরিয়ে এসেছে। বাংলা কীবোর্ড হবে বেনিয়া মুক্ত।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চুপচাপ তারা দাগিয়ে গেলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তাসনীম এর ছবি

এই লেখায় উল্লেখিত শহীদলিপির কিছু ট্রু টাইপ ফন্ট (TTF) সাইফ সাহেব আমাদের পাঠিয়েছেন। আগ্রহীরা এটা ব্যবহার করতে চাইলে আমাকে ই-মেইল করতে পারেন। tmhossain এট জিমেইল ডট কম।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শরতশিশির এর ছবি

শহীদ আঙ্কেল, আর 'মুগ্ধতা, মুগ্ধতা'' বলবো না। আপনাকে খালি কীভাবে এবং কখন মেইন স্ট্রিম মিডিয়ায় আনা যায়, তাই ভাবছি। আপনি "মাত্রা" বজায় রাখতে টিভিতে আসা ছাড়লেন, আর কীভাবে আরেকজন মিডিয়া ক্যু করে বসে আছেন বছরের পর বছর!

আবার এখন আপনার সবার সামনে আসার পালা। আপনি খালি দেশে আসেন, বাকীটা দেখা যাবে। আমার এখন সেটাই অনুরোধ থাকবে। হাসি

নির্লজ্জ বেনিয়াগিরি আর নয়।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

খ্রীষ্টোফার এর ছবি

মনে হচ্ছে জব্বার সাহেবদের দিন শেষ হয়ে এসেছে। এভাবে আসল খবরগুলো বেরিয়ে আসতে থাকলে বেচারার তো ইনসুলিন-এর সাথে বোরখা-ও কিনতে হবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।