কেমন হবে ওবামার আগামী চার বছর? কেন এই প্রশ্ন?
'লস লুনাস' একটি গ্রাম। আমাদের শহরের কাছেই তার অবস্থান। দূরত্ব মাইল ত্রিশেক, আমেরিকার হিসাবে এমন কিছু দূরে না। এটাকে এই শহরের শহরতলী বললে ভুল হবে না, কারন অনেক মানুষ একটু বেশী ফাকা জায়গা পছন্দ করে এই গ্রামে থাকে এবং রোজ কাজ করতে এই শহরে আসে। 'রিও গ্রান্ড' নদী 'লস লুনাসের' মাঝ থেকে বয়ে গেছে। নদী অবশ্য নামেই নদী, শুখনার সময় অনেক জায়গাতে হেঁটে পাড় হওয়া যায় এই নদী। এই গ্রামের সাথে আমার পরিচয় অনেক দিনের
- আপনি কি হাই-কমিশনার সাহেবের পিএ বলছেন? - টেলিফোনে জিজ্ঞাসা করলাম আমি।
- হ্যাঁ, বলেন।
- আমার নাম সাইফ শহীদ। আমার বাবা, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, হাই-কমিশনার সাহেবের শিক্ষক ছিলেন। উনার সাথে একটু কথা বলতে চাই।
আমাকে লাইনে থাকতে বলল পিএ।
একটু পরে বেশ ভারী গলার আওয়াজে টেলিফোনের অপর প্রান্ত থেকে প্রশ্ন এল - "স্যার কেমন আছেন?
বুঝলাম এটা হচ্ছে হাই-কমিশনার সমর সেনের গলা।
বেশ ছোটবেলার কথা। আমার বয়েস তখন ১০-১২ বছর হবে। জন্মদিনে উপহার পেলাম একটা 'ব্রাউনি বক্স ক্যামেরা।' দেখতে একটা ছোট জুতার বাক্সের মত এই ক্যামেরাটা, তবে জুতার বাক্স যেমন সাধারনত সাদা রঙের হয় তার বদলে এটি ছিল কাল। ছবি তোলার বদলে এটি আমি আমার ‘স্ট্যাটাস সিমবল’ হিসাবে বেশি ব্যাবহার করার সুযোগ পেলাম। তখনকার দিনে এই ক্যামেরাতে ব্যবহার করতে হত ১২০ সাইজের ফিল্ম। তখন সাদা-কালোর দুনিয়া। রঙ্গিন ফিল্ম তখনও শুর
৬০-দশকের শেষের দিক তখন। অনেকটা রুটিন মতই যথারীতি দেরীতে গতরাতে হলে ফিরেছি। ফলে অন্যদের সকাল হয়ে গেলেও তখনো আমি বিছানায়। এছাড়া দিনটি ছিল রবিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ বন্ধ। হঠাৎ শুনি কে যেন আমাকে ডাকছে আমার ডাক নাম ধরে। এখানে সাধারণত কেউ আমাকে ডাক নামে ডাকে না। চোখ খুলে দেখি পন্ডিত স্যার আমার বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকছেন - স্বপন, ওঠো।
- স্যার আপনি? - ধড়মড় করে ওঠে বসে প্রশ্ন করলাম।
- “আর তুই কিছু করলি না, তুই তাদের কেন পেটালি না?”
প্রথম জিয়াউর রহমানের নাম শুনলাম ২৭ শে মার্চ, ১৯৭১। সেদিন বিকেলে রেডিওর নব ঘোরাতে ঘোরাতে হঠাৎ করে শুনলাম কোন এক মেজর জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করে নিজেকে অস্থায়ী সরকার প্রধান ঘোষনা করছে। তার ঘোষনা ছিল ইংরেজীতে এবং উচ্চারণ ছিলো অনেকটা অবাঙ্গালীদের মতো। ঘোষনা খুব পরিস্কার শুনতে পেলাম যেহেতু কালুরঘাটের রেডিও ষ্টেশন আমাদের বাসা থেকে মাত্র চার মাইল দুরত্ত্বের মধ্যে ছিল। সাধারন ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেড
[ভূমিকা - তিন ঘন্টার বেশী হয়ে গেল, তবু হিক্কা ওঠা বন্ধ হচ্ছে না দেখে 'আর্জেন্ট কেয়ার' ডাক্তারের স্মরনাপর্ণ হলাম। তার আগে অবশ্য আমি নাক চেপে নিশ্বাস বন্ধ করে চেষ্টা করেছি হিক্কা বা হেচকি বন্ধ করার। বেশ কিছু পানি খেয়েও দেখলাম কোন লাভ হল না। রক্তে কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে ফেলতে পারলে এটি তখন শরীর থেকে হিক্কা উঠা বাদ দিয়ে অতিরিক্ত কার্বনডাইঅক্সাইডকে বের করতে ব্যস্ত হওয়ার কথা। এক ঠোঙ্গার মধ্যে
'উচিটা ফলস' টেক্সাসের একটি ছোট শহর। সেখানকার স্থানীয় পত্রিকায় সম্প্রতি একটি ছোট্ট খবর বের হল - "স্থানীয় 'মো' গ্রোসারীতে দুই তরুন ডাকাতির অভিপ্রায়ে প্রবেশ করে কাউন্টারের ক্লার্ককে গুলি করে মেরে ফেলেছে।" এ ধরনের খবর আমেরিকার মত বিশাল দেশে নতুন কিছু না। বিশেষ করে শাষনতন্ত্রের দ্বিতীয় সংশোধনীর কারনে এখানে সবার অধীকার আছে আগ্নেয় অস্ত্র রাখার। এই অধীকারের অপব্যবহার হয় অনেক। ২১ বছরের নীচের কারো হাতে অস্ত