অলখ আমেরিকা-কোথায় যেতে চাই?

সাইফ শহীদ এর ছবি
লিখেছেন সাইফ শহীদ (তারিখ: বুধ, ১৪/০৭/২০১০ - ৪:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুক্রবারের বিকেল। দিনের কাজের শেষে আমি প্রস্তুত হচ্ছিলাম বাড়ী ফেরার। এমন সময় মোবাইল ফোন বেজে উঠল। দেখলাম ববি ফোন করেছে। সাধারনত আমি তার ফোন এলে 'হাই ববি' বলে উত্তর দিই। দুদিন আগেই আমি তাকে ফোন করেছিলাম। তখন কেউ উত্তর দেয়নি বা ফোন ধরেনি। তখন বাধ্য হয়ে তার ভয়েস মেইলে মেসেজ রেখেছিলাম যে তার শারীরিক কুশালাদির ব্যাপারে আমি চিন্তিত এবং সে যেন এই মেসেজ পেয়ে তখনি আমাকে ফোন করে। সাধারনত আমার মেসেজ পেয়ে সেদিন বা তার পরের দিনের মধ্যেই ফোন করার অভ্যাস ববির। এবার দুদিন হয়ে গেল তার কোন ফোন পাইনি। তার এই ফোন পেয়ে আমি বলতে যাচ্ছিলাম - 'কি, এত দিনে তোমার ফোন করার সময় হল।' কিন্তু ভিতর থেকে কে যেন বাধা দিল।

আমি ফোন ধরে শুধু বললাম - 'হ্যালো'।
- সাহিদ? - এক মেয়েলি গলায় প্রশ্ন এলো।
- বলছি।
- আমি ববির ছেলের বউ। ববি আজ সকালে মারা গেছে।
- আজ সকালে? - আমি থেমে থেমে প্রশ্ন করলাম।
- হ্যাঁ। আমার স্বামী যখন ফোন করে কোন সাড়া পায়নি, তখন সেখানে যেয়ে দেখে ববি মৃত।
- ওহ, আমি খুবই দুংখিত। - আর কিছু বলতে পারলাম না।
- আমরা জানি যে তুমি ববির খুব ভাল বন্ধু, তাই ফোন করছি।
- ধন্যবাদ এটা বলার জন্যে।
- আমি পরে জানাবো কখন অন্তেষ্টি ক্রিয়া হবে।
- হ্যা, প্লীজ জানিও। আর তোমার নামটা কি?
- আমি মলিনা।
- ধন্যবাদ মলিনা, আমাকে ফোন করার জন্যে।

ফোন রেখে দিয়ে ভাবলাম - এমন কি হতে পারে যে ববি আজ সকালে না, বরং দু'দিন আগে যখন আমি ফোন করেছিলাম তখন থেকেই মৃত? সে জন্যেই কি সে আমার মেসেজের কোন উত্তর দেয়নি? খারাপ লাগলো ভেবে - মরার সময় নিকট কোন আত্বীয় বা বন্ধু সাথে ছিল না তার হাতটা ধরে রাখার জন্যে। মলিনা বলছিল আমি নাকি ববির খুব ভাল বন্ধু। তার মানে হয়তো তেমন কোন বন্ধু-বান্ধব ছিল না ববির। আমি স্মৃতির জগতে ফিরে গেলাম এবং মনে করার চেষ্টা করলাম কি ভাবে ববির সাথে আমার পরিচয় হয়েছে এবং পরিচয় বন্ধুত্ত্বে পৌঁছিয়েছে।

আমেরিকা আসার পর প্রথম দিকে আমাকে অনেক বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়েছিল। এক সময় এক রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারের কাজ করার সময় ববির সাথে আমার পরিচয়। নিয়মিত আসত সে সেখানে এবং সাধারনত ক্যাশ রেজিস্টারের কাছের কাউন্টারে বসতো। ম্যানেজার হিসাবে অনেক সময় ক্যাশ রেজিস্টারের সামনে দাড়িয়ে গেস্টদের কাছ থেকে টাকা নিতাম আমি। এরই ফাঁকে ফাঁকে কথা হতো ববির সাথে।

ববি এক সময় আর্মিতে ছিল এবং জার্মানীতে পোস্টিং হয়েছিল তার। তখন তার কাজ ছিল মিলিটারি ভেহিকল রক্ষনাবেক্ষণ করা। পরে আর্মি থেকে বেরিয়ে এসে অটো-মেকানিকের কাজ নেয় ববি। স্থানীয় এক অটো ওয়ার্কশপের ম্যানেজার ছিল সে। আমার সাথে যখন তার পরিচয় তখন সে কাজের থেকে অবসর নিয়েছে। আর্মি থেকে সে একটা ডিসাবিলিটি বেনিফিটও পেতো। টাকার অংকটা তেমন বেশী ছিল না, তবে একা মানুষের তাতেই চলে যেত।

ববির স্ত্রী, বা সঠিক ভাবে বলতে গেলে এক্স-ওয়াইফের সাথেও আমার পরিচয় হয়েছিল। । মাঝে মাঝে এই মহিলা তার বর্তমান স্বামীকে সাথে নিয়ে খেতে আসতেন এই রেস্টুরেন্টে। স্বামীকে দেখে ভাল লোক বলে মনে হত। ভদ্রলোক ছিলেন আফ্রো-আমেরিকান। ববির পূর্বসূরীরা ছিল স্পানিস। এই জিনিসটা আমেরিকাতে খুব দেখা যায়। ভিন্ন ভিন্ন জাতি এবং গোষ্টির লোকেরা কয়েক পুরুষের পর কেমন যেন মিলেমিশে যাচ্ছে। ববির ছেলে মেয়ের সাথেও আমার পরিচয় হয়েছিল। একজন মেক্সিকান ও অন্যজন সাদা বিয়ে করেছে। মেয়েটি বাসা ভাড়া করেছিল নীচের এপার্টমেন্টে, আর ঠিক তার উপরের এপার্টমেন্টে তার মা তার নতুন স্বামীকে নিয়ে থাকতো। ওই সময় ববির থাকার জায়গার অভাব হওয়ায় মেয়ের অনুরোধে তার নীচের এপার্টমেন্টে চলে এলো ববি। ততদিনে ববির সাথে আমার বন্ধুত্ব ঘনিষ্ট হয়েছে। একদিন ঠাট্টা করে জিজ্ঞাসা করলাম - "ববি তুমি রাতে ঘুমাও কি করে, যখন চিন্তা করো যে ঠিক তোমার মাথার উপরে অন্য একজন লোক তোমার স্ত্রীর সাথে প্রেম করছে?"

দেখলাম তার মুখটা কেমন যেন করুন হয়ে গেল আমার এই প্রশ্ন শুনে।

- সাহিদ, এটাই জীবন। আমার হয়তো এখন পে-ব্যাকের সময়।

রেস্টুরেন্টের অন্যদের মত ববিও আমাকে সাহিদ বলে সম্মোধন করতো। সে আমার কাছে স্বীকার করেছিল যে এক সময় তার খুব মদের নেশা ছিল এবং অন্য নারীতেও আসক্তি ছিল। এসবের কারনেই স্ত্রীকে হারিয়েছে সে। তবু দেখতাম একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল তার
স্ত্রীর সাথে। আমেরিকান জীবন যাত্রা আমাকে এখনো অবাক করে।

একবার, বেশ কিছুদিন ধরে দেখলাম ববি রেস্টরেন্টে আসছে না। এমন সময় তার থেকে ফোন পেলাম। জানলাম প্রচন্ড পীঠের ব্যাথায় ভেটারান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সে। সে ফোন করে আমাদেরকে জানাতে চেয়েছে যাতে আমরা তার জন্যে চিন্তা না করি। অবাক হলাম - বুঝলাম আমরাই এখন তার পরিবার। তার প্রিয় ব্রেকফাস্ট প্যাকেট করে সাথে নিয়ে গেলাম হাসপাতালে দেখতে। আমাকে দেখে খুব খুশী হলো। তার প্রিয় খাবার সাথে করে নিয়ে এসেছি দেখে আরও আবেগ আপ্লিত হল, যদিও তার বেশী বহিপ্রকাশ হতে দিল না।

আমাদের চারটি গাড়ী - সবার আলাদা আলাদা। এগুলির কোনটিই ব্রান্ড-নিউ গাড়ী ছিল না - ফলে মাঝে মাঝে মেরামতের প্রয়োজন হত। যখনি আমাদের কোন গাড়ী সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন উঠতো, আমি সবার আগে ববিকে জিজ্ঞাসা করতাম। শহরের অনেক অটো-ওয়ার্কশপের সাথে পরিচয় ছিল ববির, এবং প্রয়োজনে সে আমাকে সঠিক স্থানে নিয়ে যেত। এক দিন ফ্রি-ওয়েতে গাড়ী চালাচ্ছি - হঠাৎ করে একটা নতুন ধরনের শব্দ করে গাড়ীর স্পীডো-মিটার ১০০ মাইলের উপর উঠে গেল। ভয় পেয়ে গেলাম। পরবর্তী সুযোগে ফ্রি-ওয়ে থেকে বের হয়ে এসে ববিকে ফোন করলাম। আমার সমস্যার বিবরন শুনে ববি বললো

- 'তোমার স্পীডো-মিটার কেবল ছিড়ে গেছে। ভয় নেই। আমি কালকে তোমার বাড়ীতে যেয়ে ঠিক করে দিয়ে আসবো।"

গাড়ী সংক্রান্ত সব ব্যাপারে গভীর জ্ঞান ছিল তার।

মমতাজ এক এক্সিডেন্ট করে তার গাড়ী 'টোটাল' করে ফেললো (বীমা কোম্পানীর ভাষায় 'টোটাল' মানে গাড়ী মেরামত করতে যে খরচ হবে, সেটা গাড়ীর বর্তমান বাজার মূল্যের চাইতে বেশী)। তাই বীমা কোম্পানীর সাথে একটা 'ডীল' করে আমি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ীটা ফেরত ও কিছু কম টাকা নিলাম। আমি ববিকে বললাম, আমি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ীটা মেরামত করতে যা পার্টস লাগে সেটা কিনে দেবো এবং সে যদি গাড়ীটা আর কোন খরচ না নিয়ে ঠিক করে দেয়, তবে পরে যখন আর একটা গাড়ী কিনতে পারবো, তখন তাকে এই গাড়ীটা দিয়ে দেবো। আমার মনে হয় না পরে গাড়ী পাবার ব্যাপারে সে তেমন একটা আশা করেছিল। তবে বেশ কয়েক দিন খাটা-খাটি করে গাড়ীটাকে চালু করে দিল সে।

প্রায় দুই বছর পর একদিন ববিকে ফোন করে বললাম গাড়ীটা এসে নিয়ে যেতে। একটু যেন অবাক হলো এবং খুশীও হলো। আমি যে আমার কথা রেখেছি তাতে বেশী খুশী হলো সে। সে বলতে শুরু করলো এক জন সৎ মানুষ হিসাবে এখন আমার উচিত একজন ভাল খৃষ্টান হওয়া। সে আমাকে অনেক বার প্রশ্ন করেছে - "সাহিদ, তোমার আত্মার স্যালভেশনের জন্যে কি করছো তুমি?"

ইতিমধ্যে ববি একটি নতুন সৃষ্ট ছোট ব্যাপটিষ্ট গীর্জায় যোগ দিয়েছে। মেয়ের বাসা ত্যাগ করে সে এখন ২০ মাইল দূরের শহরে ছেলের সাথে থাকে। দূরত্বের জন্যে রেস্টুরেন্টে আসা কমে গেছে তার। তবুও সুযোগ পেলে সে এসে আমাদের সাথে দেখা করে যেত।

ববির শিরদাড়ায় মাঝে মাঝে তীব্র ব্যাথা হত। সে বেশ মোটাও ছিল - ২২০ পাউন্ডের উপরে। আমাদের বাড়ীতে শেষ যে বার এল - আমাদের একটা গাড়ীতে ব্রেক বদলাতে - আবার পিঠে ব্যাথা পেল সে। সে শুয়ে শুয়ে গাড়ীর নীচে কাজ করছিল - ব্যাথায় সহজে আর উঠতে পারছিল না। আমাদের বাড়ীতে এই ঘটনা হওয়াতে খারাপ বোধ করলাম আমি। এর পর একদিন আমার সাথে লান্চ খাবার কথা থাকলেও, সে আসতে পারলো না। ববির সাথে সেই আমার শেষ দেখা।

পরের দিন ববির ছেলের ফোন পেলাম। শেষকৃতাদির ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত হলাম। সে আরও জানালো যে তারা আমাকে এক জন 'পল-বেয়ারার' করবে বলে ঠিক করেছে। তার কথাতে আমি অভিভুত হয়ে পড়লাম। সাধারনত মৃত ব্যাক্তির আত্বীয়-স্বজন বা ঘনিষ্ঠ জনের মধ্যে থেকে 'পল-বেয়ারার' নিযুক্ত করা হয়। ববির জন্যে আমি কিই বা করেছি? বরং আমার বন্ধুত্বের সুযোগে তার কাছ থেকে অনেক সাহায্য নিয়েছি। তার এই সব সহযোগিতার জন্যে আমি ঋৃণী হয়ে আছি তার কাছে।

পরের দিন কাজের পর গির্জায় গেলাম তার ভিজিটেশন সার্ভিসে যোগ দিতে। এই গির্জাটি আমার অফিস থেকে প্রায় ২৫ মাইল দূরে। আগে কখনো ঐ দিকে যাইনি। মোট গোটা বিশেক লোক ছিল সেখানে - অধিকাংশই তার আত্মীয়-স্বজন। তার তিন বোনের সাথে দেখা হল। এরা সবাই অন্য স্টেট থেকে এসেছে ভাইয়ের শেষকৃতাদিতে যোগ দিতে। তাদের বাবাও আর্মিতে ছিল এবং 'ডি-ডে'-তে নর্মান্ডিতে মারা যায়। বোনেরা খুব ছোট ছিল তখন - বাবাকে মনে নেই। ৯২ বছর বয়সে তাদের মা এখনো জীবিত - তবে শারীরিক কারণে আসতে পারেনি। বোনেরা আমাকে তাদের মা ও পরিবারের অন্যদের ছবি দেখালো।

ববির এক্স-ওয়াইফ তার বর্তমান স্বামী সহ উপস্থিত ছিল। তার কথা মত তার স্বামী আমাকে অন্যদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। তার চোখে আমি সত্যিকারের শোকের ছায়া দেখলাম। এরা সবাই সাধারণ ওয়ার্কিং-ক্লাশ আমেরিকান। আমি তাদের সহমর্মিতা দেখে আবারো অভিভুত হলাম। ববির মেয়ে এসে আমাকে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে দৃঢ় আলিংগনে আবদ্ধ করলো। বললো - 'অনেক ধন্যবাদ আসার জন্যে।'

খোলা কফিন বাক্সে ববি শুয়ে আছে, দুই হাত ভাজ করে বুকের উপর রাখা। মনে হল সে যেন ঘুমাচ্ছে। দেখে হঠাৎ আমার মনে হল - আমি যদি সাথে করে ববির প্রিয় ব্রেকফাস্ট ও সবুজ মরিচ নিয়ে আসতাম তাহলে হয়তো সে উঠে বসে বলতো - 'সাহিদ, অনেক সময় নিলে তুমি আসতে।'

গির্জার যাজক এসে আমার পাশে বসলো। নিজের পরিচয় দেবার পর বললো - 'ববি তোমার কথা অনেকবার বলেছে।'
আমি অবাক হলাম।
- আমরা ঠিক করেছি তুমি একজন 'পল-বেয়ারার' হবে।
- আমি দুঃখিত, কিন্তু কাল আমার কাজের দিন। আমার মনে হয় না আমার পক্ষে আসা সম্ভব হবে।
- ঠিক আছে, আর কাউকে ডাকব তাহলে।

আমার খারাপ লাগলো যে তাদের অনুরোধ রাখতে পারলাম না। আমি ভাবছিলাম - আমরা কি অন্য ধর্মের কাউকে আমাদের কারো কবর দেবার সময় এমন ভাবে যুক্ত করি?

- ববি এই গির্জার তৈরীর সময় অনেক সাহায্য করেছে। - যাজক জানালো আমাকে।
- হ্যা, সে এ কথা আমাকে বলেছে।
- আমার কোন সন্দেহ নাই, ববি এখন কোথায় আছে।- যাজক আরও জানালো আমাকে। আমি শুধু মাথা নেড়ে তার কথা শুনে গেলাম।
- আমরা সবাই পাপী এবং যীশু হচ্ছেন আমাদের উদ্ধার কর্তা - যাজক ধর্ম প্রচার শুরু করে দিলেন। তার পর আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন - তুমি কি ঠিক করেছো, তুমি কোথায় যেতে চাও?

কোন উত্তর না চুপ করে শুনে গেলাম আমি।

ওখানে ঘন্টা খানেক থাকার পর বিদায় নিয়ে চলে এলাম। আমি তখনো ভাবছি - আমি কি সত্যিই জানি, আমি কোথায় যেতে চাই?


মন্তব্য

আব্দুর রহমান এর ছবি

কোথায় যেতে চাই তা ঠিক জানি না , কিভাবে গেলে ভালো হয় সেটাও জানি না, শুধু জানি , চাই বা না চাই যেতেই হবে।

লেখা খুব ভালো লাগলো, যদি কখনো জানতে পারেন কোথায় যাওয়াটা মঙ্গলজনক, তাহলে আমাকেও একটু জানাবেন।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

সাইফ শহীদ এর ছবি

আব্দুর রহমান,

যদি কখনো জানতে পারেন কোথায় যাওয়াটা মঙ্গলজনক, তাহলে আমাকেও একটু জানাবেন।

সে সুযোগ হয়তো কখনো হবেনা।

ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্যে।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

'পল-বেয়ারার' কী?

লেখাটা একটানে পড়লাম। অনেক কিছুই মনে হলো, এলোও। এখন গুছিয়ে বলতে পারবো না। পরে যদি সক্ষম হই, বলে যাবো এসে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তাসনীম এর ছবি

পলবেয়ারার এইখানে পাবে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাইফ শহীদ এর ছবি

পরে যদি সক্ষম হই, বলে যাবো এসে।

অপেক্ষা করবো।

ধন্যবাদ।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

তাসনীম এর ছবি

আমি তখনো ভাবছি - আমি কি সত্যিই জানি, আমি কোথায় যেতে চাই?

মনে হয় এই প্রশ্নের সম্মুখীন সবারই হতে হয়। ভালো লাগছে স্মৃতিচারণ যদিও বিষাদমাখা ছিল এই পর্ব।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাইফ শহীদ এর ছবি

ধন্যবাদ এমিল।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

খুব মন খারাপ করা লেখা।
একটা লেখার ভেতরে অনেকগুলো গল্প, চমৎকার।

এর আগে আপনার কোনো লেখা আমার পড়ার সুযোগ হয়নি। সাইফ শহীদ আপনাকে অভিনন্দন। ভালো থাকবেন।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

সাইফ শহীদ এর ছবি

লুৎফর রহমান রিটন,

খুব সংবেদনশীল মন আপনার।

ধন্যবাদ আপনাকে।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

সাইফ শহীদ এর ছবি

লুৎফর রহমান রিটন,

খুব সংবেদনশীল মন আপনার।

ধন্যবাদ আপনাকে।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

স্পর্শ এর ছবি

মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুর্দান্ত এর ছবি

হৃতপিন্ডে ভেজা হাত বুলিয়ে দিলেন।
কোথায় যেতে চেয়েছিলাম, কোথায় আছি, কোথায় যেতে চাই আর কোথায় যাবো? ভাবতে হবে।

সাইফ শহীদ এর ছবি

হৃতপিন্ডে ভেজা হাত বুলিয়ে দিলেন।

দুর্দান্ত কথা।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

বাউলিয়ানা এর ছবি

একটানে পড়ে গেলাম।

লেখাটা একদম হৃদয় ছুঁয়ে গেল।

সাইফ শহীদ এর ছবি

লেখাটা একদম হৃদয় ছুঁয়ে গেল।

ধন্যবাদ।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

হাসান মোরশেদ এর ছবি

শোকের মতো মৌলিক অনুভূতিতে সম্ভবতঃ সব মানুষই সমান- রাষ্ট্র,সমাজভেদে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাইফ শহীদ এর ছবি

আসলে অনেক কিছুতেই মানুষ সমান - বিভিন্নতাটা শুধু বাইরের আবরনে।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

দ্রোহী এর ছবি
শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মন খারাপ

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

তার্কিক [অতিথি] এর ছবি

অদ্ভুত ধরণের মন খারাপ করা লেখা। ভাল লাগল। আপনার স্মৃতিচারণ বেশ লাগে পড়তে।

সাইফ শহীদ এর ছবি

তার্কিক,

অদ্ভুত ধরণের মন খারাপ করা লেখা।

কারো মন খারাপ করার কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল না। জানিনা আপনার মন বেশী সংবেদনশীল, না আমার লেখা এর জন্যে দায়ী।

এর পর একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প লেখার চেষ্টা করবো। তখন আবার নিজের হারানো প্রেমিকের কথা মনে পড়ে মন খারাপ হবে না তো?

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

জনৈক আরাফাত এর ছবি

ঠিক কোথায় যেতে চাই না- বলে ঠিক কোথায় থামতে চাই- ভাবতে ভালো লাগে।

সিরিজের সবগুলো লেখা টানা পড়লাম। ভালো লেগেছে বেশ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।